‘দেশের মানুষের গণতান্ত্রিক অধিকার অক্ষুন্ন রাখতে সরকার বদ্ধপরিকর’



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা

  • Font increase
  • Font Decrease

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, ঐতিহাসিক ৭ জুনসহ সকল গণতান্ত্রিক আন্দোলন ও সংগ্রামের চেতনায় উদ্বুদ্ধ হয়ে দেশের মানুষের গণতান্ত্রিক অধিকার অক্ষুন্ন রাখতে আওয়ামী লীগ সরকার বদ্ধপরিকর।

তিনি বলেন, আমরা মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় দেশকে এগিয়ে নিতে এবং প্রতিটি মানুষের কাছে স্বাধীনতার সুফল পৌঁছে দিতে কাজ করছি। গত প্রায় সাড়ে ১৪ বছরে আমরা দেশের অভূতপূর্ব উন্নয়ন করেছি। বাংলাদেশ এখন স্বল্পোন্নত দেশ থেকে উন্নয়নশীল দেশের মর্যাদা লাভ করেছে।

ঐতিহাসিক ৬-দফা দিবস উপলক্ষে দেয়া এক বাণীতে প্রধানমন্ত্রী একথা বলেন। তিনি বলেন, ৭ জুন ঐতিহাসিক ছয় দফা দিবস। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ঘোষিত ৬-দফা আন্দোলনের গুরুত্বপূর্ণ অধ্যায়ের শুরুটা হয়েছিল ১৯৬৬ সালের এই দিনে। বাংলাদেশের স্বাধীনতা সংগ্রামের ইতিহাসে দিনটি অবিস্মরণীয় ও তাৎপর্যপূর্ণ।

শেখ হাসিনা বলেন, পাকিস্তানি শাসন-শোষণ-বঞ্চনা থেকে মুক্তির লক্ষ্যে স্বৈরাচার আইয়ুব সরকারের বিরুদ্ধে ১৯৬৬ সালের ৫ ফেব্রুয়ারি লাহোরে তৎকালীন পূর্ব ও পশ্চিম পাকিস্তানের সব বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলোকে নিয়ে ডাকা এক জাতীয় সম্মেলনে পূর্ব বাংলার জনগণের পক্ষে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ৬-দফা দাবি উত্থাপন করেন। পরবর্তীতে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব ১১ ফেব্রুয়ারি ঢাকায় ফিরে ৬-দফার পক্ষে দেশব্যাপী প্রচারাভিযান শুরু করেন এবং বাংলার আনাচে-কানাচে প্রত্যন্ত অঞ্চলে গিয়ে জনগণের সামনে ৬-দফার প্রয়োজনীয়তা তুলে ধরেন।

তিনি বলেন, বাংলার সর্বস্তরের জনগণ ৬-দফার প্রতি স্বতঃস্ফূর্ত সমর্থন জানায়। ছয়-দফা হয়ে ওঠে পূর্ব বাংলার শোষিত-বঞ্চিত মানুষের মুক্তির সনদ। ছয়-দফার প্রতি ব্যাপক জনসমর্থন এবং বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জনপ্রিয়তায় ভীত হয়ে সামরিক জান্তা আইয়ুব খানের স্বৈরাচারী সরকার ১৯৬৬ সালের ৮ মে বঙ্গবন্ধুকে গ্রেফতার করে কারাগারে পাঠায়। এর প্রতিবাদে বিক্ষুব্ধ মানুষ রাজপথে নেমে আসে।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, জাতির পিতা ঘোষিত ৬-দফা আন্দোলন ১৯৬৬ সালের ৭ জুন নতুন মাত্রা পায়। বাঙালির মুক্তির সনদ ৬-দফা আদায়ের লক্ষ্যে এ দিন আওয়ামী লীগের ডাকে হরতাল চলাকালে নিরস্ত্র জনতার ওপর পুলিশ ও তৎকালীন ইপিআর গুলিবর্ষণ করে। এতে ঢাকা এবং নারায়ণগঞ্জে মনু মিয়া, আবুল হোসেন, সফিক ও শামসুল হকসহ ১১ জন শহীদ হন। এই দিনে তিনি ঐতিহাসিক ৭ জুনসহ স্বাধীনতা সংগ্রামের সকল শহীদের স্মৃতির প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জানান।

শেখ হাসিনা বলেন, বাঙালির অবিসংবাদিত নেতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নেতৃত্বে ৬-দফার প্রতি এ দেশের জনগণের অকুণ্ঠ সমর্থনে রচিত হয় স্বাধীনতার রূপরেখা। ছয়-দফা আন্দোলনের মধ্য দিয়ে অঙ্কুরিত হয় স্বাধীনতার স্বপ্নবীজ। ছয়-দফা ভিত্তিক আন্দোলন-সংগ্রামের ধারাবাহিকতায় বাঙালির স্বাধিকার আন্দোলন স্বাধীনতা সংগ্রামে রূপ নেয়। ছয়-দফা ভিত্তিক ১১-দফা আন্দোলনের পথপরিক্রমায় শুরু হয় ৬৯-এর গণ-অভ্যুত্থান, ৭০-এর সাধারণ নির্বাচনে বাংলার জনগণ নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা লাভ করে এবং ১৯৭১ সালের মহান মুক্তিযুদ্ধে বিজয়ের মধ্য দিয়ে বিশ্বের মানচিত্রে জন্ম হয় স্বাধীন-সার্বভৌম বাংলাদেশের। ছয়-দফা কেবল বাঙালি জাতির মুক্তিসনদ নয়, সারা বিশ্বের নির্যাতিত-নিপীড়িত মানুষের মুক্তি আন্দোলনের অনুপ্রেরণার উৎস।

প্রধানমন্ত্রী মহান মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় উদ্বুদ্ধ হয়ে ঐক্যবদ্ধভাবে যে কোন ষড়যন্ত্র মোকাবিলা করে দেশের উন্নয়ন ও গণতন্ত্রের ধারাবাহিকতা রক্ষা এবং বাংলাদেশকে ২০৪১ সালের মধ্যে জাতির পিতার স্বপ্নের উন্নত-সমৃদ্ধ ও আধুনিক-স্মার্ট সোনার বাংলাদেশ গড়ে তোলার আহবান জানান।

   

রাইস কুকারে দেড় কোটি টাকার সোনা, যুবক আটক



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, চট্টগ্রাম
রাইস কুকারে দেড় কোটি টাকার সোনা

রাইস কুকারে দেড় কোটি টাকার সোনা

  • Font increase
  • Font Decrease

চট্টগ্রাম শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবৈধভাবে রাইস কুকারে লুকিয়ে নিয়ে আসা পৌনে দুই কেজি সোনাসহ মোহাম্মাদ আলী (৩৪) নামের এক যাত্রীকে আটক করেছে কাস্টমস কর্মকর্তারা। উদ্ধারকৃত সোনার আনুমানিক বাজার মূল্য প্রায় দেড় কোটি টাকা।

শুক্রবার (২২ সেপ্টেম্বর) সকাল সাড়ে ৯টার দিকে এসব সোনা সংযুক্ত আরব আমিরাতের শারজাহ থেকে ছেড়ে আসা এয়ার এরাবিয়ার জি-৯৫২৬ ফ্লাইটে করে চট্টগ্রাম নিয়ে আসেন ওই যাত্রী।

আটক মোহাম্মাদ আলী চট্টগ্রামের হাটহাজারীর ফতেয়াবাদ এলাকার বাসিন্দা।

চট্টগ্রাম বিমানবন্দর কাস্টমস সূত্রে জানা যায়, শুক্রবার সকালে সংযুক্ত আরব আমিরাতের শারজাহ থেকে ছেড়ে আসা এয়ার এরাবিয়ার জি ৯৫২৬ ফ্লাইটে চট্টগ্রামে আসেন তিনি। পরবর্তীতে বিমানবন্দরে স্বাভাবিক স্ক্যানিংয়ে তার ব্যাগেজে সন্দেহজনক পণ্য থাকার বিষয়টি ধরা পড়ে। এক পর্যায়ে তার ব্যাগেজে থাকা একটি রাইস কুকারে বিশেষভাবে লুকানো অবস্থায় ১ কেজি ৭০০ গ্রাম ২৪ ক্যারেটের কাঁচা সোনা ও ২২ ক্যারেটের ১০০ গ্রাম স্বর্ণালংকার পাওয়া যায়।

চট্টগ্রাম বিমানবন্দর কাস্টমস ইউনিটের ডেপুটি কমিশনার মো. আহসান উল্লাহ বলেন, স্ক্যানিংয়ে ধরা পড়ার পর তার সঙ্গে থাকা রাইস কুকার থেকে এসব সোনা উদ্ধার করা হয়েছে। উদ্ধার সোনার বাজারমূল্য প্রায় দেড় কোটি টাকা। ওই যাত্রীর বিরুদ্ধে যথাযথ আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।

;

রাতের বৃষ্টিতে এখনো পানিবন্দী রাজধানীর অনেক এলাকা



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
পানিবন্দী রাজধানীর অনেক এলাকা

পানিবন্দী রাজধানীর অনেক এলাকা

  • Font increase
  • Font Decrease

বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় টানা কয়েক ঘণ্টার বৃষ্টিতে কার্যত অচল হয়ে পড়েছিল গোটা রাজধানী। ডুবে গিয়েছিল রাজধানীর অলিগলি ও মূল সড়ক। এদিকে বৃষ্টির রাতের পর ১২ ঘণ্টারও বেশি সময় পেরিয়ে গেলেও জলাবদ্ধতা থেকে রেহাই রাজধানীর অনেক এলাকা।

শুক্রবার (২২ সেপ্টেম্বর) রাজধানীর পুরান ঢাকা, নিউ মার্কেট, আজিমপুরসহ বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা গেছে, অলিগলিতে এখনো হাঁটু সমান পানি জমে আছে। অনেক দোকানপাট বন্ধ। বাসাবাড়িতে আটকা পড়েছেন অনেকে। অনেকে আবার বাধ্য হয়েই ময়লা পানি মাড়িয়ে ছুটছেন নিজ নিজ গন্তব্যের দিকে। তবে সাপ্তাহিক ছুটির দিন হওয়ায় পথে মানুষের আনাগোনা কম, যানবাহনও কম চলাচল করছে।

রাজধানীর নিউমার্কেট এলাকায় গিয়ে দেখা যায়, মার্কেটের ভিতরে হাঁটু সমান পানি জমে থাকায় ব্যবসায়ীরা দোকান খুলতে পারেননি। এমন অবস্থায় ক্রেতা সমাগমের কথা তো চিন্তাও করা যায় না। অথচ অন্যান্য শুক্রবারে সকাল ৯টার পর থেকেই খুলতে শুরু করে নিউমার্কেটসহ ওই এলাকার দোকানপাট। ক্রেতার ভিড়ও লেগে যায় সকাল থেকেই। কিন্তু রাতের মুষলধারে বৃষ্টি সব হিসাব উল্টে দিয়েছে।

দোকান খুলবেন তো দূরের কথা অনেক ব্যবসায়ীকে রাতের বৃষ্টিতে ভিজে যাওয়া কাপড় রোদে শুকাতে ব্যস্ত থাকতে দেখা গেছে। এমন হাঁটু পানি জমে আছে ঢাকা নার্সিং কলেজের ভেতরেও। মেয়র হানিফ উড়ালসড়ক থেকে নামার জায়গা ঢাকা মেডিকেল কলেজের সামনের অংশের সড়কও সকালে পানির নিচে ছিল।

এদিন পুরান ঢাকার হোসাইনী দালান রোড, নাজিমুদ্দিন রোড, চাঁনখারপুল লেন ও নিমতলী এলাকা ঘুরে জলাবদ্ধতার এমন চিত্রই দেখা গেছে। আগের রাতের বৃষ্টিতে পরদিন দুপুরেও পানিবন্দী পুরান ঢাকার মানুষ।

আজিমপুরের দিক থেকে আসা সিএনজি চালক আলীম সরকার বলেন, যাত্রাবাড়ী থেকে আজিমপুরে একটা ট্রিপ নিয়ে এসেছিলাম। কিন্তু এসে দেখি ওই দিকের রাস্তায় এখনও পানি জমে আছে। সিএনজি নিয়ে গেলে ইঞ্জিন বন্ধ হয়ে যাবে। তাই যাত্রী নামিয়ে রিকশা ঠিক করে দিয়েছি।

নাজিমুদ্দিন রোডের বাসিন্দা অলোক। তিনি বলেন, বৃষ্টির পানিতে সড়কের পাশে জমিয়ে রাখা ময়লা-আবর্জনা ও ড্রেনের ময়লা একাকার হয়ে গেছে। রাত থেকে নোংরা পানি মাড়িয়েই চলাচল করছেন মানুষ। রাস্তার দুপাশের অধিকাংশ দোকানে পানি ঢুকেছে।

;

লক্ষ্মীপুরে রাতের অন্ধকারে স্কুল ভাঙচুর, অনিশ্চিত পাঠদান



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, লক্ষ্মীপুর
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

লক্ষ্মীপুরে রাতের অন্ধকারে দু'দফা হামলা চালিয়ে ১০ টি সেমিপাকা ও দুটি টিনসেট শ্রেণিকক্ষ ভাঙচুরের ঘটনা ঘটেছে।

বৃহস্পতিবার (২১ সেপ্টেম্বর) গভীর রাত ও শুক্রবার (২২ সেপ্টেম্বর) ভোরে সদর উপজেলার পালেরহাট মডেল একাডেমিতে এ ভাঙচুর চালানো হয়। জমির মালিকানা দাবি করে তোফায়েল আহমেদ ও আবু তাহেররা দলবল নিয়ে এ ঘটনা ঘটায়।

এসময় দুটি ল্যাপটপ ও শিক্ষার্থীদের মাসিক বেতনের ১ লাখ টাকা নিয়ে যায় হামলাকারীরা। ভাঙচুর ও লুটপাটে প্রায় ২০ লাখ টাকার ক্ষতি হয়েছে বলে প্রতিষ্ঠান প্রধান মোরশেদ কামাল দাবি করেছেন।

বিদ্যালয়ের প্রধান মোরশেদ কামাল ও তার বড় ভাই সাইফুল ইসলাম জানায়, তাদের মা ফাতেমা বেগম এই জমির মালিক। ২০১৪ সালে এ জমিতে বিদ্যালয় স্থাপন করা হয়। কিন্তু তাদের মায়ের চাচাতো ভাই তোফায়েল আহমেদ, আবু তাহের ও খোরশেদরা জমির মালিকানা দাবি করে আসছে। এনিয়ে ইউনিয়ন পরিষদে একাধিকবার বৈঠক হলেও তোফায়েলরা জমির কোন কাগজপত্র দেখাতে পারেনি। সবশেষ ১৩ সেপ্টেম্বর সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কার্যালয়েও বৈঠক হয়। সেখানেও তারা কোন কাগজপত্র উপস্থাপন করতে পারেনি।

এদিকে তোফায়েলরা দলবল নিয়ে জোরপূর্বক জমি দখল করতে বৃহস্পতিবার রাতের অন্ধকারে বিদ্যালয়ে ভাঙচুর চালায়। বাজারের একজন নৈশ প্রহরীর কাছ থেকে খবর পেয়ে ৯৯৯ এ কল দিলে পুলিশ ঘটনাস্থল আসে। হামলাকারীরা তাৎক্ষণিক পালিয়ে যায়। পরে পুলিশ চলে গেলে শুক্রবার ভোরে দেশীয় অস্ত্রশস্ত্রে সজ্জিত দলবল নিয়ে ফের ভাঙচুর চালায়। এতে বাধা দিতে গেলে প্রতিষ্ঠান প্রধান মোরশেদকে মারধর করে তারা। হামলাকারীরা বিদ্যালয়ের অফিস কক্ষসহ ১০টি সেমিপাকা, দুটি টিনসেট শ্রেণিকক্ষ, একটি ডেস্কটপ কম্পিউটারসহ সকল আসবাবপত্র ভাঙচুর করে। পরে দুটি ল্যাপটপ ও শিক্ষকদের মাসিক বেতনের জন্য রাখা ১ লাখ টাকা নিয়ে যায় হামলাকারীরা।

শিক্ষার্থী ইয়াসিন আরাফাত ও মেহেদী হাসান জানান, বৃহস্পতিবারও তারা ক্লাস করে গেছে। এখন তাদের স্কুলটা ভেঙে তছনছ করে ফেলেছে। তারা কোথায় ক্লাস করবে। সামনে তাদের বার্ষিক পরীক্ষা। এ অবস্থায় ক্লাস করতে না পারলে তাদের পড়ালেখার সমস্যা হবে।

শিক্ষার্থীদের অভিভাবক বেলাল হোসেন ও এমরান হোসেন জানান, বিদ্যালয়টি এমনভাবে ভাঙচুর করেছে পাঠদান কর্মসূচি চালানো অসম্ভব। এতে শিক্ষার্থীদের পাঠদান অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে। ভবিষ্যতে ছেলেমেয়েদের ভর্তি করানো ঝুঁকি মনে হচ্ছে।

বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মোরশেদ কামাল বলেন, দু'দফা হামলা চালিয়ে পুরো ভেঙে তছনছ করে ফেলা হয়েছে। প্লে থেকে অষ্টম শ্রেণি পর্যন্ত আমাদের প্রায় ২৫০ জন শিক্ষার্থী রয়েছে। এ শিক্ষার্থীদের পাঠদান এখন অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে। আমরা এ ঘটনার সুষ্ঠু বিচার চাই।

লক্ষ্মীপুর সদর মডেল থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) আনিছ উজ জামান বলেন, খবর পেয়ে রাতে ঘটনাস্থল এসে ভাঙচুরের সত্যতা পায়। পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে তখন হামলাকারীরা পালিয়ে যায়। এরপর আমরা চলে গেলে ফের স্কুলে ভাঙচুর চালানো হয়। ঘটনাস্থল এসে স্কুল কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথা বলেছি। হামলাকারীদের তথ্য নেওয়া হয়েছে। থানায় লিখিত অভিযোগ দিলে তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

;

চিংড়ি চাষের পাশাপাশি সবজি চাষে ঝুঁকছেন কৃষকরা



মৃত্যুঞ্জয় রায়, ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, সাতক্ষীরা
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

সাতক্ষীরায় চিংড়ির সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বাড়ছে মিঠা এবং নোনা পানির মাছের ঘেরের ভেড়ি বাঁধে সবজি চাষ। চিংড়ি মাছ চাষ হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে বাড়ছে ঘেরের আইলে বিভিন্ন ধরনের সবজি চাষও। ফসল হিসেবে শুরু হলেও এখন মূল ফসলের সঙ্গে পাল্লা দিচ্ছে সমানে সমান। মাচায় বা ঘেরের আইলে সবজি আর নিচে পানিতে চিংড়ি মাছ চাষ করে লাভবান হচ্ছেন কৃষকরা।

সাতক্ষীরার তালা উপজেলা ও পাটকেলঘাটার বিভিন্ন এলাকা ঘুরে ঘুরে দেখা যায় এমন দৃশ্য। অধিকাংশ মাছের ঘেরে যতদূর চোখ যায় সবুজের হাতছানি। ঘেরের আইলের ওপরে নির্মিত সারি সারি মাচায় ঝুলছে করলা, লাউ, কুমড়া, বরবটি, চিচিঙ্গা, ধুন্দল, শসা ও তরমুজ। আইলের ওপরে রয়েছে ঢ্যাঁড়শ, পুঁইশাক। চিংড়ি চাষের পাশাপাশি সবজি চাষে ঝুঁকছেন কৃষকরা। চিংড়ি চাষের পাশাপাশি ঘেরের বাঁধে সবজি চাষ করে বাড়তি টাকা আয় করে খুশিতে কৃষকরা।

সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, হরশিত নামে এক কৃষক মাছের খাবার দিচ্ছেন এবং বাঁধের ওপর কিছু মানুষ সবজির পরিচর্যা করছেন।

তার সঙ্গে চিংড়ি চাষ ও সবজি চাষ সম্পর্কে কথা বলতে চাইলে বলেন, আমরা ঘেরে চিংড়ি চাষ করি তার পাশাপাশি এই দুই বছর ঘেরের বাঁধ বড় করে সেখানে সবজি চাষ করছি। কারণ চিংড়ি চাষ করতে হলে ঘেরের বাঁধ উঁচু করতে হয়। বাঁধ ফেলে না রেখে সবজি চাষ শুরু করলাম এবং ভালো ফলন পাচ্ছি। চিংড়ির পাশাপাশি সবজি চাষ করে লাভবান হচ্ছি।

পাশে ঘেরের বিকাশ মন্ডল। তিনি স্ত্রী পুত্র সঙ্গে নিয়ে দেখি ঘেরের বাঁধে সবজি তুলছেন। তার কাছে শুনতে চাইলে বলেন, আমি ঘেরের বাঁধে মিঠাকুমরা, খেরায়, সোসা, বরবুটি এসব ফসল রোপন করেছি। আমি একদিন বাদে বাদে সবজি তুলে বিক্রি করে দেয় এবং তা থেকে আমি অনেক লাভবান হচ্ছি বলে জানিয়েছেন।

তিনি আরও বলেন, আমি সারাবছর সবজি চাষ করবো বলে আরো নতুন বীজ নিয়ে আসছি সেগুলো রোপণ করবো দেখা যাক ভালো ফলন পায় কি না।

সাতক্ষীরা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের উপপরিচালক কৃষিবিদ মোঃ সাইফুল ইসলাম বলেন, গত বছরের তুলনায় এবছর মাছের ঘেরে অনেক সবজি চাষ হয়েছে এবং প্রতিবছর ক্রমান্বয়ে সবজি চাষ বাড়ছে। আমরা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতর সব সময় চাষিদের পরামর্শ দিচ্ছি এবং সব সময় ওদের পাশে আছি।

সাতক্ষীরা জেলা মৎস্য অফিসার মোঃ আনিছুর রহমান বলেন, সাতক্ষীরাতে চিংড়িকে সাদা সোনা বলা হয়। সাতক্ষীরার চিংড়ি দেশ বিদেশে ভ্রমণ করছে এবং এখানকার চিংড়ি ঘের গুলো এখন দেখছি বাঁধ উচু করে সেখানে সবজি চাষ করছে পাশাপাশি তারা লাভবান হচ্ছে। এই উদ্যোগ তাদের অনেক লাভবান করছে এবং আমরা সব সময় তাদের পরামর্শ দিয়ে আসছি।

;