বৃক্ষরোপণে আবারও প্রধানমন্ত্রীর জাতীয় পুরস্কার পেল রাসিক



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, রাজশাহী
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

বৃক্ষরোপণে বিশেষ অবদান রাখার জন্য ‘বৃক্ষরোপণে প্রধানমন্ত্রীর জাতীয় পুরস্কার-২০২১’ এ ১ম স্থান অর্জন করেছে রাজশাহী সিটি কর্পোরেশন (রাসিক)। এছাড়াও সবুজায়ন, বৃক্ষরোপণ ও পরিবেশ উন্নয়নে দেশ-বিদেশে সুনাম ও খ্যাতি অর্জন করেছে রাজশাহী মহানগরী।

গত সোমবার (৫ জুন) বিশ্ব পরিবেশ দিবস উপলক্ষে রাজধানীর বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয় আয়োজিত অনুষ্ঠানে রাসিকের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ড. এবিএম শরীফ উদ্দিনের হাতে পুরস্কারটি তুলে দেন অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ এমপি।

বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী শাহাব উদ্দিন এমপির সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন- বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের উপমন্ত্রী হাবিবুন নাহার এমপি, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত কমিটির সভাপতি সাবের হোসেন চৌধুরী এমপি, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের সচিব ড. ফারহিনা আহমেদ, রাজশাহী সিটি কর্পোরেশনের সচিব মশিউর রহমান প্রমুখ।

রাসিকের তথ্যমতে, সিটি কর্পোরেশনের সাবেক মেয়র এএইচএম খায়রুজ্জামান লিটনের মেয়াদকালে নগর উন্নয়নে দীর্ঘমেয়াদী পরিকল্পনা ও সময়োপযোগী পদক্ষেপ গ্রহণের কারণেই পরিচ্ছন্ন, স্বাস্থ্যকর, দৃষ্টিনন্দন, সবুজ, উন্নত ও বাসযোগ্য পরিবেশবান্ধব শহর পেয়েছে নগরবাসী। এছাড়াও পরিবেশ উন্নয়নে সিটি কর্পোরেশনের নিরলস প্রচেষ্টা অব্যাহত রয়েছে। এরই স্বীকৃতি হিসেবে রাসিক পেয়েছে বিভিন্ন পদক।

জানা যায়, স্বাস্থ্যকর, সবুজ ও পরিচ্ছন্ন শহর হিসেবে ইতোমধ্যে রাজশাহী নগরী দেশের অন্যান্য শহরের দৃষ্টি আকর্ষণ করতে সক্ষম হয়েছে। নগরীর প্রধান সড়ক বিভাজক, সড়ক দ্বীপে এবং ফুটপাতে লাগানো হয়েছে সৌন্দর্য্যবর্ধক বিভিন্ন প্রজাতির গাছ। সবুজ হয়েছে প্রায় ৩৫ কি.মি. রাস্তার সড়ক বিভাজন ও চত্বর। নগরীর বারো রাস্তা মোড়, মোল্লাপাড়া গোল চত্বর, রাজিব চত্বর, ভদ্রা মোড়, তালাইমারি মোড় ও রানীবাজার ঢোপকল চত্বরসহ বিভিন্ন মোড় ও চত্বর পরিকল্পিতভাবে ফুলে ফুলে সাজানো হয়েছে। বাহারি ফুলের আকর্ষণীয় রঙে পথচারিদের দৃষ্টি কাড়ছে। নগরীর সবুজ রূপ ধরে রাখতে সর্বাত্মক চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন রাসিকের পরিবেশ কর্মীরা।

রাসিকের পরিবেশ উন্নয়ন কর্মকর্তা সৈয়দ-মাহমুদ উল ইসলাম বলেন, রাজশাহী একটি সবুজ, পরিচ্ছন্ন, ফুলের শহর হিসেবে দেশে বিদেশে পরিচিত লাভ করেছে। এই শহরের রূপকার সদ্য সাবেক মেয়র এএইচএম খায়রুজ্জামান লিটন। তাঁর নেতৃত্বে ও নির্দেশনার রাজশাহী মহানগরীর বিভিন্ন স্থানে সড়ক বিভাজক, ফুটপাত, সড়কদ্বীপ ও চত্বরসমূহে ২ লক্ষাধিক নানা প্রজাতির স্থায়ী বৃক্ষ এবং ১০ লক্ষাধিক সৌন্দর্যবর্ধক হেজ জাতীয় বৃক্ষরোপণ করা হয়।


এছাড়াও শীত ও বসন্তকালে নগরীর সড়ক বিভাজকে বিভিন্ন প্রজাতির ফুলের চারা রোপণের মাধ্যমে সড়কগুলো ফুলে-ফুলে সুশোভিত করা হয়। শুধুমাত্র ২০২২-২০২৩ সালের শীত মৌসুমে ২ লাখ ৫৩ হাজার নানা প্রজাতির ফুলের চারা রোপণ করা হয়েছে। স্বীকৃতি হিসেবে বৃক্ষরোপণে প্রধানমন্ত্রীর জাতীয় পুরস্কার ২০০৯, ২০১২ ও ২০২১ অর্জন, জাতীয় পরিবেশ পদক ২০২১ ও ২০২২ এবং এনভায়রনমেন্ট ফ্রেন্ডলি সিটি অব দ্যা ইয়ার ২০১৬, বাতাসে ক্ষতিকারক ধূলিকণা কমানোয় WHO(বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা) কর্তৃক বিশ্বের সেরা নগরী এবং এশিয়ার অন্যতম পরিচ্ছন্ন শহরের স্বীকৃতি অর্জন করেছে বলেও উল্লেখ করেন তিনি।

রাসিকের সাবেক মেয়র এএইচএম খায়রুজ্জামান লিটন বলেন, ‘বৃক্ষরোপণ, সবুজায়ন ও পরিবেশ উন্নয়নে সারাদেশে দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছে রাজশাহী নগরী। রাজশাহী পরিণত হয়েছে একটি পরিচ্ছন্ন, সবুজ, ফুলের নগরীতে। আমি আগামীতে আবারও সুযোগ পেলে আরও সুন্দর করে সাজানোর পরিকল্পনা রয়েছে।

আগামীতে ব্যাপক বৃক্ষরোপণ ও পদ্মাতীর ঘেঁষে সবুজ বেস্টনি স্থাপন, নদীর চর ও অন্যান্য খাসজমিতে বনায়নের উদ্যোগ গ্রহণ, উষ্ণায়ন ও চরম আবহাওয়ায় জীববৈচিত্র্য সংরক্ষণ এবং নগরবাসীর জীবন যাত্রার অনুকূল পরিবেশ রক্ষার জন্য বিশেষজ্ঞগণের সুপারিশক্রমে কার্যকর উদ্যোগ গ্রহণ এবং মিনি সাফারি পার্ক ও এভিয়ারি নির্মাণের উদ্যোগ নেয়া হবে। আগামীতে রাজশাহীকে আরও উন্নত, আধুনিক ও বাসযোগ্য নগরী হিসেবে গড়ে তুলতেও চান আসন্ন নিবার্চনের এই মেয়র প্রার্থী।

এর আগে ২০০৯ ও ২০১২ সালে বৃক্ষরোপণে প্রধানমন্ত্রীর জাতীয় পুরস্কার অর্জন করেছে রাজশাহী সিটি কর্পোরেশন। এছাড়া ২০১২, ২০২১ ও ২০২২ সালে জাতীয় পরিবেশ পদক অর্জন এবং ২০২০ সালে এনভায়রনমেন্ট ফ্রেন্ডলি সিটি অব দ্যা ইয়ার, ২০১৬ সালে বাতাসে ক্ষতিকারক ধূলিকণা কমানোয় WHO (বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা) কর্তৃক বিশ্বের সেরা নগরীর স্বীকৃতিও রয়েছে এই নগরীর।

   

রামু উপজেলায় দু'গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষ, গুলিবিদ্ধ-১, পরিস্থিতি থমথমে



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, নাইক্ষ‍্যংছড়ি (বান্দরবান)
গুলিবিদ্ধ সাহাবুদ্দিন শাকিল

গুলিবিদ্ধ সাহাবুদ্দিন শাকিল

  • Font increase
  • Font Decrease

কক্সবাজার জেলার রামু উপজেলার গর্জনিয়া ইউনিয়নের বেলতলীতে দু'গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এতে গুলিবিদ্ধ হয়েছেন ১ জন। এছাড়া ২ জনকে হন্য হয়ে খুঁজছে অস্ত্রধারীরা। 

রোববার (২৪ সেপ্টেম্বর) বিকাল ৩টার দিকে। এ ঘটনায় গুলিবিদ্ধ হয়েছেন যুবক সাহাবুদ্দিন শাকিল ( ২৭)। তিনি স্থানীয় নবী সুলতানের ছেলে। গুলিবিদ্ধ শাকিলকে প্রথমে নাইক্ষ্যংছড়ি হাসপাতালে পরে কক্সবাজার সদর হাসপাতালে নিয়ে যান স্বজনরা।

অপর দিকে অস্ত্রধারীরা যাদেরকে খুঁজছে তারা হলেন আনোয়ার হোসেন ও সোহেল।  আনোয়ারের বাড়ি বেলতলী এবং তাহের মেস্বারের ছেলে সোহেলের বাড়ি কচ্ছপিয়া গ্রামে।  

আহত শাকিল জানায়, সে প্রতিদিনকার ন্যায় বেলতলী স্টেশনের পূর্বপাশে ছিল। তখন বিকেল ৩টা বাজে। পশ্চিম দিক থেকে এলাকায় বহুল পরিচিত সন্ত্রাসী গ্রুপের নেতৃত্বে ৮/৯ টি মটর সাইকেল নিয়ে ১৬/১৭ জন যুবক স্বশস্ত্র অবস্থায় এসে তার উপর গুলি চালাতে থাকে। পরপর ৫ রাউন্ড গুলি বর্ষণ করলেও তার গায়ে লাগে ২ টি। এ সময় তাকে বেদড়ক মারধরের পর মৃত ভেবে ফেলে যায় চলে যায় সন্ত্রাসীরা। পরে স্থানীয় এবং স্বজনরা তাকে উদ্বার করে।

অপর দিকে আনোয়ারের স্বাজনদের দাবী, শাকিলকে ফেলে রেখে আনোয়ার হোসেনকে অপহরণের চেষ্টা করে ঐ দলটি। অবস্থা বেগতিক দেখে পাড়ার মেয়েরা এসে তাদের গতিরোধ করে আনোয়ারকে ছিনিয়ে নেয় তারা। পরে সোহেলের খোঁজে কচ্ছপিয়া পার হয় অস্ত্রধারী।

এ বিষয়ে রামু থানাধীন গর্জনিয়া পুলিশ ফাঁড়ির আইসি মোঃ সাইফুল ইসলাম বলেন, ঘটনার পরপরই পুলিশ ঘটনাস্থলে যান। ঘটনায় জড়িত লোকদেরকে খোঁজা হচ্ছে বলে জানান তিনি।

;

মিঠাপুকুরে সড়ক ভেঙে জনযোগাযোগ বিচ্ছিন্ন



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, রংপুর
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

অতি বর্ষণের কারণে পানির চাপে রংপুরের মিঠাপুকুরে সড়ক ভেঙে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়েছে। এতে প্রায় ১০ গ্রামের মানুষ দুর্ভোগে পড়েছে।

রোববার (২৪ সেপ্টেম্বর) বিকালে উপজেলার বালুয়া মাসিমপুর স্কুলের সামনে বড়বালাগামী পাকা সড়ক ভেঙে যায়।

খবর পেয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রকিবুল হাসান ও উপজেলা প্রকৌশলী আখতারুজ্জামান ভেঙে যাওয়া সড়ক পরিদর্শন করেছেন। 

স্থানীয় বাসিন্দা জালাল উদ্দিন বলেন, কয়েক দিন থেকে ভারী বৃষ্টি হচ্ছে। এতে নিম্নাঞ্চল তলিয়ে গেছে। পানির চাপের কারণে রাস্তাটি ভেঙ্গে যাওয়ায় আশেপাশের ১০টি গ্রামের মানুষ চরম দুর্ভোগে পড়েছেন। 

এদিকে একই দিন বজ্রপাতে দুখু মাহাতো (৫৫) নামে এক কৃষকের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে। তার বাড়ি মিঠাপুকুর উপজেলার পায়রাবন্দ ইউনিয়নের লোহনী গ্রামে।

মিঠাপুকুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রকিবুল হাসান বলেন, ভেঙে যাওয়া সড়ক দ্রুত সময়ের মধ্যে  মেরামতের ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে।

;

ইয়াবা মামলায় দুই ভাইয়ের ১৫ বছর কারাদণ্ড



স্টাফ করেসপনডেন্ট, বার্তা ২৪. কম, চট্টগ্রাম  
ইয়াবা মামলায় দুই ভাইয়ের ১৫ বছর কারাদণ্ড

ইয়াবা মামলায় দুই ভাইয়ের ১৫ বছর কারাদণ্ড

  • Font increase
  • Font Decrease

চট্টগ্রাম নগরীর পাহাড়তলী থানার একটি ইয়াবা মামলায় দুই ভাইকে ১৫ বছরের সশ্রম কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। একই রায়ে প্রত্যেককে ২০ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে আরও এক বছরের সশ্রম কারাদণ্ড দেওয়া হয়।

রোববার (২৪ সেপ্টেম্বর) চট্টগ্রাম চতুর্থ অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ শরীফুল আলম ভূঁঞা এই রায় দেন।

দণ্ডিতরা হলেন- কক্সবাজার সদর থানার ৬ নম্বর ওয়ার্ড বিজিবি ক্যাম্পের পাশে মৃত হাজী মোহাম্মদ ইসহাকের ছেলে মো. মোবারক হোসেন ও মোহাম্মদ সালমান।

মামলার নথি সূত্রে জানা গেছে, ২০১৮ সালের ২৭ মার্চ রাত সাড়ে ১১টার দিকে নগরের পাহাড়তলী থানার এ কে খান বিদ্যুৎ অফিসের সামনে থেকে দুই সহোদরকে গ্রেফতার করে র‌্যাব। এই সময় মোবারকের কাছ থেকে ৬০ হাজার পিস ও ছোট ভাই সালমানের কাছ থেকে ৪০ হাজার পিস ইয়াবা উদ্ধার করা হয়। 

এ ঘটনায় র‌্যাব-৭ এর ডেপুটি অ্যাসিসটেন্ট ডিরেক্টর মো. জসিম উদ্দিন বাদি হয়ে নগরের পাহাড়তলী থানায় একটি মাদক মামলা দায়ের করেন। পরদিন ওই মামলায় আদালত তাদের কারাগারে পাঠান।

২০১৮ সালের ৯ মে এই মামলায় আদালতে অভিযোগপত্র দেন মামলা তদন্ত কর্মকর্তা। একই বছরের ২৫ নভেম্বর দুই আসামির বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেন আদালত। এ মামলায় ১০ জন সাক্ষীর সাক্ষ্য উপস্থাপন করেন রাষ্ট্রপক্ষ। 

আদালতের বেঞ্চ সহকারী ওমর ফুয়াদ বলেন, ইয়াবা উদ্ধারের মামলায় দুই ভাইয়ের প্রত্যেককে ১৫ বছরের সশ্রম কারাদণ্ড, ২০ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে এক বছরের সশ্রম কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। তবে জামিনে গিয়ে পলাতক থাকায় তাদের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করা হয়েছে।

;

সিটি ডেভেলপমেন্ট চার্জ চালুর দাবি চসিক মেয়রের



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, চট্টগ্রাম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

দেশের ব্যবসায়ীদের শীর্ষ সংঠন এফবিসিসিআই এর সভাপতি নির্বাচিত হওয়ায় মাহবুবুল আলমকে সংবর্ধনা দিয়েছেন চট্টগ্রাম সিটি মেয়র বীর মুক্তিযোদ্ধা মোঃ রেজাউল করিম চৌধুরী। 

রোববার (২৪ সেপ্টেম্বর) দুপুরে নগরীর টাইগারপাস চসিক কার্যালয়ে আয়োজিত সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে মেয়র রেজাউল বলেন, চট্টগ্রামের কৃতি সন্তান মাহবুবুল আলম দেশের ব্যবসায়ীদের শীর্ষ সংঠন এফবিসিসিআই এর সভাপতি নির্বাচিত হওয়ায় চট্টগ্রামের মেয়র হিসেবে আমি আনন্দিত। এই প্লাটফর্মকে কাজে লাগিয়ে চট্টগ্রামের উন্নয়নে আরো ভূমিকা রাখবেন এই আমার আশা।

তিনি বলেন, চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের হোল্ডিং ট্যাক্স আর কিছু রাজস্ব আয়ের খাত ছাড়া আয়ের বড় কোনো উৎস নেই। অথচ এই স্বল্প আয়ে ৭০ লক্ষ মানুষের উন্নয়নের দায়িত্ব পালন করতে হচ্ছে চসিককে। এত রাস্তা করি তাও রাস্তা ভেঙ্গে যায়। কারণ সাধারণ রাস্তার ধারণ ক্ষমতা ১০ থেকে ১২ টন। অথচ, বন্দরকে কেন্দ্র করে অনেক ট্রাক-লরি নিয়ম ভেঙ্গে চলে ৩০-৪০ টন মাল নিয়ে। ফলে সড়ক করার কিছুদিন পর অতিরিক্ত চাপে সড়ক নষ্ট হয়ে যায়।

সিটি ডেভেলপমেন্ট চার্জ চালুর দাবি জানিয়ে মেয়র রেজাউল বলেন, আমি বন্দরের আয়ের মাত্র এক শতাংশ সিটি ডেপেলপমেন্ট চার্জ হিসেবে দাবি করেছিলাম। নানা আইনের গ্যাঁড়াকলে তা আটকে যায়। তখন বাধ্য হয়ে আন্তঃমন্ত্রণালয় বৈঠকে প্রস্তাব করলাম যে কন্টেনারগুলা বন্দরে নামে এবং ট্রাক-লরিগুলো বন্দরের পণ্য পরিবহণ করে সেগুলো থেকে বন্দরের গেটেই সিটি ডেভেলপমেন্ট চার্জ আদায় করা হোক। রাজস্বের জন্য কেবল জনগণের হোল্ডিং ট্যাক্সের উপর নির্ভর করে বসে থাকলে চট্টগ্রামের অবকাঠামোগত উন্নয়ন ব্যাহত হবে। মনে রাখতে হবে টানেলসহ নতুন প্রকল্পগুলো চালু হলে চট্টগ্রামের সড়কের উপর চাপ আরো বাড়বে।

সংবর্ধিত এফবিসিসিআই এর সভাপতি মাহবুবুল আলম বলেন, চট্টগ্রামের মেয়র মহোদয়ের দাবিগুলো যৌক্তিক এবং চট্টগ্রামের উন্নয়নের স্বার্থেই এ দাবি আদায়ের জন্য কাজ করব। চট্টগ্রামকে এগিয়ে নিতে হলে নির্বাচিত জনপ্রতিনিধিদের ক্ষমতায়ন করতে হবে। চসিকের কাজ অন্য সংস্থা করলে তা নগরীতে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করবে। দেশকে ট্রিলিয়ন ডলারের অর্থনীতিতে উন্নীত করতে হলে চট্টগ্রামের যোগাযোগ সক্ষমতা বাড়াতে হবে। ঢাকা-চট্টগ্রামকে উন্নীত করতে হবে ৮ লেনে, চালু করতে হবে চট্টগ্রাম থেকে ব্যাংককসহ বেশ কিছু বাণিজ্যিক নগরীর সরাসরি ফ্লাইট।  

সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে চসিকের প্যানেল মেয়র গিয়াস উদ্দিন চৌধুরী, আফরোজা কালাম, সচিব খালেদ মাহমুদ, ব্যবসায়ী নেতা হোটেল প্যারামাউন্ট ইন্টারন্যাশনালের এমডি সালেহ আহমেদ সুলেমানসহ কাউন্সিলরবৃন্দ এবং চসিকের বিভাগীয় প্রধানরা অংশ নেন। অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন মেয়রের একান্ত সচিব আবুল হাশেম।

;