এলডিসি-পরবর্তী চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় মেধাস্বত্ব অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ: প্রতিমন্ত্রী



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী মো. শাহরিয়ার আলম

পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী মো. শাহরিয়ার আলম

  • Font increase
  • Font Decrease

পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী মো, শাহরিয়ার আলম বলেছেন, ২০২৬ সালে বাংলাদেশ এলডিসি থেকে উত্তরণের প্রচেষ্টা চালাচ্ছে, সেই পরিপ্রেক্ষিতে আমাদের জন্য মেধাস্বত্বের (আইপি) প্রভাব অত্যন্ত গুরুত্ব বহন করে।

তিনি বলেন, এলডিসি-পরবর্তী যুগের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় মূল্য সংযোজন, বৈচিত্রীকরণ এবং নতুন বাজারে প্রবেশ বাড়াতে আইপি-এর শক্তির ওপর বিশেষ জোর দিয়ে এসএমইগুলির জন্য লক্ষ্যযুক্ত সহায়তা প্রদান করা গুরুত্বপূর্ণ।

রোববার (৪ জুন) ঢাকার একটি হোটেলে ‘উৎপাদনের মূল্য ও অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির জন্য বাংলাদেশের নারী উদ্যোক্তাদের দ্বারা মেধাস্বত্ব সরঞ্জামের ব্যবহার’ শীর্ষক প্রকল্প উদ্বোধন অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন।

প্রতিমন্ত্রী বলেন, উদ্ভাবনকে উৎসাহিত করার জন্য মেধাস্বত্ব অধিকার রক্ষা করা জরুরি। তিনি বলেন, নারী মালিকানাধীন ব্যবসা এক্ষেত্রে বিশেষ মনোযোগের দাবি রাখে এবং সরকার এ খাতের উন্নয়নে অত্যন্ত প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।

শাহরিয়ার আলম বলেন, সৃজনশীলতা এবং উদ্ভাবন রক্ষায় আমরা সম্প্রতি গৃহীত বাংলাদেশ পেটেন্ট আইন ২০২২ এবং উদ্ভিদের জাত সুরক্ষা আইন-২০১৯ সহ বাংলাদেশে আইপিকে সুরক্ষা দেয়, এমন একাধিক আইন প্রণয়ন করেছি।

তিনি বলেন, সম্প্রতি বাংলাদেশ নকশা আইন-২০২৩ জাতীয় সংসদে উপস্থাপন হয়েছে। এই ধরনের আইনি ব্যবস্থার অধীনে, বাংলাদেশে পেটেন্ট এবং ডিজাইনের জন্য আইপি নিবন্ধন বাধ্যতামূলক। তিনি আরও বলেন, আইপি সম্পদের সুরক্ষা, ব্যবহার এবং ব্যবস্থাপনাকে অগ্রাধিকার দিয়ে বাংলাদেশ জ্ঞান, সৃজনশীলতা ও উদ্ভাবনের শক্তির ওপর নির্মিত একটি সমৃদ্ধ ভবিষ্যৎ সুরক্ষিত করতে পারে।

প্রতিমন্ত্রী বলেন, বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলা ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার স্মার্ট বাংলাদেশের স্বপ্ন বাস্তবায়নে জনগণকে দক্ষতা ও জ্ঞানে সজ্জিত করতে সরকার বদ্ধপরিকর।

ওয়ার্ল্ড ইন্টেলেকচুয়াল প্রপার্টি অর্গানাইজেশনের (ডব্লিউআইপিও) ডেপুটি ডিরেক্টর জেনারেল হাসান ক্লেইবসহ বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন।

প্রতিমন্ত্রী ডব্লিউআইপিওকে এই প্রকল্প চালু করার ক্ষেত্রে বাংলাদেশ সরকারের অমূল্য সমর্থন ও সহযোগিতার জন্য ধন্যবাদ জানান। তিনি বলেন, আমি আশা করি, প্রস্তাবিত প্রকল্পটি নারী উদ্যোক্তাদের পণ্যের ব্র্যান্ডিং এবং প্যাকেজিং উন্নত করতে আইপি টুলস, বিশেষ করে ট্রেডমার্ক এবং শিল্প নকশাগুলোকে কাজে লাগানোর ক্ষেত্রে সহায়ক হবে, যা শেষ পর্যন্ত পণ্যের মূল্য বৃদ্ধি, প্রতিযোগিতা সক্ষমতা বৃদ্ধি এবং জাতীয় ও আন্তর্জাতিক বাজারে পণ্যের প্রবেশকে সহজতর করতে সহায়তা করবে।

তিনি বলেন, একসাথে তারা এমন একটি পরিবেশ তৈরি করতে পারেন, যেখানে নারী উদ্যোক্তারা উন্নতি লাভ করবেন, উদ্ভাবন বিকাশ লাভ করবে এবং অর্থনৈতিক ক্ষমতায়ন সবার জন্য বাস্তবে পরিণত হবে।

পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী বলেন, এসএমই বাংলাদেশের অর্থনীতির মেরুদণ্ড এবং বিনিয়োগ, কর্মসংস্থান সৃষ্টি এবং অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধিতে এর অবদান অমূল্য। বর্তমানে, এসএমই দেশের শিল্প ইউনিটের ৯০ শতাংশেরও বেশি এবং উৎপাদনে মূল্য সংযোজনে ৪৫ শতাংশ অবদান রাখে। দেশে মোট এসএমই’র সংখ্যা ৭.৯ মিলিয়ন এবং এই খাতে প্রায় ২৪ মিলিয়ন লোক নিয়োজিত। দেশের মোট জনবলের ৩০ শতাংশ এখাতে নিযুক্ত এবং জিডিপিতে তাদের অবদান ২৫ শতাংশে পৌঁছেছে।

প্রতিমন্ত্রী বলেন, প্রত্যক্ষ প্রভাব ছাড়াও, এসএমই বিভিন্ন পণ্য ও পরিষেবার সরবরাহ চেইনে একটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে থাকে।

   

আলোকবর্তিকার মশাল হাতে দেশকে এগিয়ে নিচ্ছেন শেখ হাসিনা : প্রাণিসম্পদমন্ত্রী



স্টাফ করেসপনডেন্ট বার্তা২৪.কম ঢাকা
সেমিনারে মঞ্চে উপবিষ্ট বক্তারা। ছবি : সংগৃহীত

সেমিনারে মঞ্চে উপবিষ্ট বক্তারা। ছবি : সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

‘শেখ মুজিবুর রহমান বাংলাদেশের আলোকবর্তিকা। আর সেই আলোকবর্তিকার মশাল হাতে নিয়ে উন্নয়নের ধারায় দেশকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছেন তার সুযোগ্য কন্যা শেখ হাসিনা ’-এ কথা বলেছেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদমন্ত্রী শ ম রেজাউল করিম।

বুধবার (২৭ সেপ্টেম্বর) সকালে রাজধানীর সিরডাপ মিলনায়তনে সম্প্রীতি বাংলাদেশ আয়োজিত এক সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

রেজাউল করিম বলেন, ‘বঙ্গবন্ধুর আধুনিক বাংলাদেশের স্বপ্ন ডিজিটাল বাংলাদেশ রূপান্তর করছেন তার কন্যা শেখ হাসিনা। বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করার মাধ্যমে বাঙালির অগ্রযাত্রাকে ব্যাহত করা হয়েছে। তবে বাংলাদেশ থেমে থাকেনি, দেশের উন্নয়নের জন্য বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনা নিরলস কাজ করে যাচ্ছেন। শেখ হাসিনা অবিরাম জেগে আছেন আমাদের জন্য।’

তিনি আরও বলেন, ‘শেখ হাসিনা মনে করেন, কৃষিনির্ভর দেশে কৃষক বাঁচলে দেশ বাঁচবে। এজন্য তিনি কৃষিকে যথেষ্ট গুরুত্ব দিয়েছেন কৃষকদের উন্নয়নে। কীভাবে টেকসই উন্নয়ন হবে, সে বিষয়েও তিনি কাজ করে যাচ্ছেন। আর আমাদের এই দেশে শেখ হাসিনার সরকারের আমলে কেউ সংখ্যালঘু নয়, সকলেই সংখ্যাগরিষ্ঠ।’

মৎস্য ও প্রাণিসম্পদমন্ত্রী বলেন, ‘বঙ্গবন্ধু মানবতাবিরোধী অপরাধীদের বিচার সম্পন্ন করে যেতে পারেননি, তার সুযোগ্য কন্যা ক্ষমতায় আসার পর সেটাকে অনুসরণ করে তাদের বিচার করেছেন, যা বাংলাদেশকে বিচারহীনতার সংস্কৃতি থেকে বের করে এনেছে।’

বাংলাদেশ বুদ্ধিস্ট ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক ভিক্ষু সুনন্দ প্রিয় বলেন, ‘দীর্ঘদিন স্বৈরাচারীদের হাতে দেশ ছিল। পরবর্তীতে শেখ হাসিনা দেশের দায়িত্ব গ্রহণ করে দেশের লাগাতার উন্নয়ন করেছেন। ধর্মনিরপেক্ষ অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশ গঠনে শেখ হাসিনা নিরলস কাজ করে যাচ্ছেন।’

এ ছাড়াও বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনা সুপরিকল্পিতভাবে দেশকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছেন বলে উল্লেখ করেন ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক আবুল কালাম আজাদ।

সম্প্রীতি বাংলাদেশের আহ্বায়ক পীযূষ বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ‘দেশের প্রত্যেকটি জায়গায় শিক্ষা, সংস্কৃতি, সম্প্রীতি নিয়ে বঙ্গবন্ধুর যেসব কাজ অসমাপ্ত রয়ে গেছে, সেগুলোই সম্পূর্ণ করছেন তার সুযোগ্য কন্যা শেখ হাসিনা। তার নেতৃত্বেই বাংলাদেশ আজকে একটি রোল মডেল এবং ভবিষ্যতে এটি বিশ্বের অন্যান্য অনেক দেশকেই পেছনে ফেলে আরও অনেক দূর এগিয়ে যাবে।’

;

এক মাসে রিজার্ভ কমেছে ১৯২ কোটি ডলার



নিউজ ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

এ মাসের শুরুতে রিজার্ভের পরিমাণ ছিল ২ হাজার ৩০৭ কোটি ডলার। কিন্তু, মাস শেষ না হতেই রিজার্ভ কমেছে ১৯২ কোটি ডলার। বর্তমানে দেশের রিজার্ভ ২ হাজার ১১৫ কোটি ডলার। 

বুধবার (২৭ সেপ্টেম্বর) বাংলাদেশ ব্যাংকের এক প্রতিবেদন থেকে রিজার্ভের এ চিত্র পাওয়া গেছে। আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) ফর্মুলা মেনেই রিজার্ভ হিসাব করা হয়েছে। গত ৩১ আগস্ট রিজার্ভ ছিল ২ হাজার ৩০৬ কোটি ৯৫ লাখ ডলার, তা এখন কমে দাঁড়িয়েছে ২ হাজার ১১৫ কোটি ডলারে। 

বৈদেশিক মুদ্রা আয়ের চেয়ে ব্যয় বেশি হওয়ায় এ খাতে ঘাটতি হচ্ছে। এ ঘাটতি মেটাতে হচ্ছে বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ থেকে। যে কারণে রিজার্ভ কমে যাচ্ছে। 

বর্তমানে প্রতিমাসে গড়ে আমদানি ব্যয় হচ্ছে ৬০০ কোটি ডলার। এ হিসাবে তিন মাসের জন্য লাগবে ১ হাজার ৮০০ কোটি ডলার। অর্থাৎ বর্তমান রিজার্ভ দিয়ে নিয়ন্ত্রিত ব্যবস্থায় তিন মাসের কিছু বেশি সময়ের আমদানি ব্যয় মেটানো যাবে। আমদানি আরও কমালে চার মাসের আমদানি ব্যয় মেটানো যাবে। 

সূত্র জানায়, রপ্তানি আয় ও রেমিট্যান্স প্রবাহ কমায় বাজারে ডলারের প্রবাহ কমেছে। এদিকে নতুন এলসি খোলা ও আগের এলসির দেনা পরিশোধ করতে হচ্ছে। এছাড়া বৈদেশিক ঋণসহ অন্যান্য দেনাও শোধ করতে হচ্ছে। এসব খাতে ব্যাংকগুলো নিজস্ব উদ্যোগে ডলারের সংস্থান করতে না পারায় কেন্দ্রীয় ব্যাংকের কাছে চাচ্ছে। কেন্দ্রীয় ব্যাংক রিজার্ভ থেকে সীমিত আকারে ডলারের জোগান দিচ্ছে। এতে বকেয়া সব বিল পরিশোধ করা যাচ্ছে না। কিছু বকেয়া থাকছে। সেগুলোর বিপরীতে বাড়তি সুদ দিতে হচ্ছে। এতে দেনা আরও বেড়ে যাচ্ছে।

রাশিয়া-ইউক্রেনের যুদ্ধের পর থেকে  ভোগ্যপণ্য, জ্বালানি তেল ও পরিবহন খরচ বেড়ে যায়। এতে ২০২১-২২ অর্থবছরে আমদানি খরচ বেড়ে দাঁড়ায় ৮ হাজার ৯১৬ কোটি ডলার। যদিও ওই অর্থবছর শেষ হওয়ার আগেই বাংলাদেশ ব্যাংক আমদানিতে কড়াকড়ি আরোপ করে। বিশেষ করে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) কিছু পণ্য আমদানিতে অতিরিক্ত শুল্ক বসায়। অন্যদিকে কেন্দ্রীয় ব্যাংকও ডলারের দাম ধরে রাখে। পরে পরিস্থিতির আরও অবনতি ঘটলে ব্যাংকগুলোর হাতে ডলারের দাম নির্ধারণের দায়িত্ব দেওয়া হয়। তবে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের নির্দেশনা মেনেই দাম নির্ধারণ করা হচ্ছে। ফলে ডলারের সংকট কাটেনি।

;

ভারত থেকে লাখের অধিক ডেঙ্গু প্রতিরোধক স্যালাইন ঢুকলো দেশে



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, বেনাপোল (যশোর)
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

বেনাপোল বন্দর দিয়ে ডেঙ্গু চিকিৎসায় ব্যবহৃত এ পর্যন্ত ৪টি চালানে ১ লাখ ১ হাজার ৭৫১ বোতল স্যালাইন ভারত থেকে আমদানি করা হয়েছে। সরকারের এমন উদ্যোগ বাজারে সিন্ডিকেট ভেঙে কমতে শুরু করেছে স্যালাইনের দাম। এর আগে চাহিদা বাড়ায় ক্রেতাদের জিম্মি করে ৭৫  টাকার স্যালাইন ৫০০ টাকা পর্যন্ত বিক্রী করে আসছিল মুনাফা লোভি ফার্মেসি ব্যবসায়ীরা। 

গত ২০ সেপ্টম্বর থেকে ২৭ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত ৪টি চালানে এ পরিমাণ স্যালাইন আসে ভারত থেকে।

বানিজ্যিক সংশিষ্টরা বলছেন, করোনা পরিস্থিতি থেকে দেশ মুক্তি পেলেও নতুন করে ডেঙ্গু আক্রান্ত আবারো ভাবিয়ে তুলেছে সরকারকে। গতকালও আক্রান্তদের মধ্যে ১৫ জনের মৃত্যু হয়েছে। আক্রান্ত বেড়ে যাওয়ায় দেশে চিকিৎসায় ব্যবহৃত স্যালাইনের দাম সিন্ডিকেট করে বৃদ্ধি করে মোনাফালোভী ফার্মেসি ব্যবসায়ীরা। এতে জীবন বাঁচাতে বাধ্য হয়ে ৭৫ টাকার স্যালাইন ৫০০ টাকা পর্যন্ত কিনতে হয়েছে ভুক্তভোগীদের। অবশেষে সরকার স্যালাইনের চাহিদা মেটাতে ও সিন্ডিকেট ভাঙতে ভারত থেকে স্যালাইন আমদানির ঘোষনা দেয়।

প্রাথমিক ভাবে ৭ লাখ বোতল স্যালাইন আমদানি হচ্ছে। পরবর্তীতে  চাহিদা বাড়লে আমদানি পরিমাণ আরো বাড়তে পারে। গত ২০ সেপ্টম্বর থেকে এ পর্যন্ত ৪টি চালানে ১ লাখ ১ হাজার ৭৫১ ব্যাগ স্যালাইন বন্দরে প্রবেশ করেছে। প্রতি ব্যাগ স্যালাইন ভারতে কেনা দাম পড়েছে বাংলাদেশি অর্থে ৬১ টাকা ৩৫ পয়সা।

এদিকে আমদানি খবরে সিন্ডিকেট ভেঙে স্যালাইনের দাম কমতে শুরু করেছে বাজারে। ৫০০ টাকা থেকে কমে স্থানীয় বাজারে বিক্রী হচ্ছে ১৫০ টাকার মধ্যে।

ফার্মেসি ব্যবসায়ীরা বলছেন আমদানিকৃত স্যালাইন বাজারে সরবরাহ স্বাভাবিক হলে চাহিদা পূরনের পাশাপাশি বাজার দর আরো কমে আসবে। এর আগে সরকার পেঁয়াজ আমদানি করে সিন্ডিকেট ভাঙে। ডিমের সিন্ডিকেট ভাঙতে দুই এক দিনের মধ্যে ৪ কোটি ডিম আমদানি হবে ভারত থেকে।

ফার্মেসি ব্যবসায়ী আব্দুল খালেক জানান, স্যালাইন সরবরাহ নাই বললে চলে। তবে আমদানি হওয়া স্যালাইন দ্রুত বাজারে সরবরাহ করা গেলে দাম আরো কমে আসবে।

সাধারন ক্রেতা জাহিদুল জানান, সাধারন মানুষ যাতে সঠিক দামে স্যালাইন কিনতে পারে সরকারকে বাজার তদারকি রাখতে হবে।

বেনাপোল সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট এ্যাসোসিয়েশন আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক সুলতান মাহামুদ বিপুল জানান, আমদানি হওয়া স্যালাইন সংকট নিরসনের পাশাপাশি দূনীতিবাজদের সিন্ডিকেট ভাঙবে।

বন্দর থেকে স্যালাইন ছাড়করন সিঅ্যান্ডএফ এজেন্টের সত্তাধীকারী ফারুক ইকবাল ডাবলু জানান, আমরা আশা করছি দ্রুত সময়ের মধ্যে সব স্যালাইন বন্দরে চলে আসবে ও দেশের হাসপাতালগুলোতে সরবরাহ হবে।

বেনাপোল বন্দরের ভারপ্রাপ্ত পরিচালক আব্দুল জলিল জানান, বন্দর থেকে দ্রুত ছাড় করনের সহযোগীতা করছে বন্দর কর্তৃপক্ষ।

 

;

চট্টগ্রামে ট্রেনে কাটা পড়ে নারীর মৃত্যু



স্টাফ করেসপনডেন্ট, বার্তা২৪.কম, চট্টগ্রাম
প্রতিকী ছবি

প্রতিকী ছবি

  • Font increase
  • Font Decrease

চট্টগ্রাম নগরীর আকবরশাহ থানা এলাকায় রেললাইনে বসে থাকা মোবাশ্বেরা বেগম রানী (৫০) নামে এক নারী ট্রেনে কাটা পড়ে প্রাণ হারিয়েছেন।

বুধবার (২৭ সেপ্টেম্বর) দুপুরে সিডিএ ১ নম্বর রেলগেট এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে।

নিহত মোবাশ্বেরা ফেনী সুধারাম থানার প্রয়াত মো. ইসমাইলের স্ত্রী।

বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন চট্টগ্রাম রেলওয়ে থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) মোহাম্মদ ফারুক।

তিনি বলেন, বুধবার দুপুরের দিকে ওই মহিলা রেললাইনের ওপর বসে ছিল। দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে ঢাকাগামী মহানগর এক্সপ্রেস ট্রেনটি বিপরীত দিকে দিয়ে আসতে দেখেও তিনি রেললাইনের ওপর থেকে সরে আসেন নি। পরে ট্রেনে কাটা পড়ে ঘটনাস্থলেই তার মৃত্যু হয়।

এ ঘটনায় একটি অপমৃত্যুর (ইউডি) মামলা হয়েছে বলেও জানান তিনি।




;