কয়লা গ্যাসের অভাব বিশ্বব্যাপী, কেনা মুশকিল: প্রধানমন্ত্রী



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা

  • Font increase
  • Font Decrease

সংসদ নেতা ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, আওয়ামী লীগ সরকার প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী মানুষের ঘরে ঘরে বিদ্যুৎ পৌঁছে দিয়েছে। কিন্তু জ্বালানি তেল, কয়লা বা গ্যাসের অভাব সারা বিশ্বব্যাপী। এখন কেনাটাই অনেকটা মুশকিল। ক্রয় করাটা অসম্ভব হয়ে পড়েছে। তারপরও প্রচেষ্টা অব্যাহত আছে। ইতোমধ্যে কাতার ও ওমানের সঙ্গে চুক্তি সই হয়ে গেছে। জলবিদ্যুৎ আমদানিরও ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। কয়লা কেনার জন্য ইতোমধ্যে পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে যাতে বিদ্যুৎ কেন্দ্রগুলো আবার চালু করা যায়। রোববার সংসদের বৈঠকে শোক প্রস্তাবের ওপর আলোচনায় অংশ নিয়ে তিনি এ কথা বলেন।

তিনি বলেন, করোনা ভাইরাসের অতিমারি আর ইউক্রেন রাশিয়া যুদ্ধের ফলে সমগ্র বিশ্বে যে খাদ্যমন্দা, মুদ্রাস্ফীতি, পরিচালনা ও পরিবহন ব্যয়, বিদ্যুতের ঘাটতি- এটা প্রত্যেকটি মানুষের জীবনকে অসহনীয় করে তুলেছে। বাংলাদেশ সাধ্যমতো চেষ্টা করে যাচ্ছে। বিশ্বের এই অস্বাভাবিক পরিস্থিতি আর কতদিন চলবে তা কেউ বলতে পারে না। হয়তো বিশ্ব পরিস্থিতি আরও খারাপের দিকে যেতে পারে।

আওয়ামী লীগ দলীয় চট্টগ্রাম-১০ আসনের সংসদ সদস্য ও সাবেক মন্ত্রী ডা. আফছারুল আমীনের মৃত্যুতে সংসদে শোক প্রস্তাব আনা হয়। চলতি সংসদের কোনো সদস্যের মৃত্যুতে বৈঠক মূলতবি করার রেওয়াজ রয়েছে। শোক প্রস্তাব গ্রহণের পরের দিনের কার্যক্রম স্থগিত করে সোমবার বিকাল পাঁচটা পর্যন্ত সংসদের বৈঠক মুলতবি করেন স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী।

শোক প্রস্তাবের আলোচনায় অংশ নিয়ে সংসদ নেতা বলেন, সরকার জ্বালানি সংকট মোকাবিলায় উদ্যোগ নিয়েছে। আজকে স্বাধীনতার সুফল মানুষের ঘরে ঘরে পৌঁছাচ্ছে। মানুষের আর্থ-সামাজিক উন্নতি হয়েছে। যদিও ইউক্রেন-রাশিয়ার যুদ্ধ, নিষেধাজ্ঞা, পাল্টা নিষেধাজ্ঞা, বিশ্বব্যাপী মুদ্রাস্ফীতি, জ্বালানি তেলের অভাবের কারণে এখন শুধু বাংলাদেশ নয়, উন্নত দেশগুলোও হিমশিম খাচ্ছে। ইউরোপ, আমেরিকাসহ বিভিন্ন দেশে কিন্তু জ্বালানির অভাব হচ্ছে।

সরকারপ্রধান বলেন, লোডশেডিং বা বিদ্যুৎ ব্যবহার সীমিত করা হচ্ছে। খাদ্যপণ্য থেকে শুরু করে প্রত্যেকটি জিনিসের দাম বেড়ে গেছে। উন্নত দেশেও বহু মানুষ চাকরি হারাচ্ছে। এমন একটি অস্বাভাবিক পরিস্থিতি সারা বিশ্বব্যাপী।

তিনি বলেন, জানি না আর কখনও এ রকম পরিস্থিতি হয়েছিল কিনা। হয়তো প্রথম বিশ্বযুদ্ধের পরে হয়েছিল। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পরে তো দুর্ভিক্ষ ও মন্বন্তর দেখা দিয়েছিল।

সবাইকে সাশ্রয়ী হওয়ার আহ্বান জানিয়ে সংসদ নেতা বলেন, বিদ্যুত ব্যবহারে একটু সাশ্রয়ী হতে হবে। সব জিনিস ব্যবহারে সাশ্রয়ী হতে হবে। খাদ্য উৎপাদনও বাড়াতে হবে। চেষ্টা করে যেতে হবে। বিশ্বের এই অস্বাভাবিক পরিস্থিতি আর কতদিন চলবে তা কেউ বলতে পারে না। হয়তো বিশ্ব পরিস্থতি আরও খারাপের দিকে যেতে পারে। তবে দেশের মানুষের সুরক্ষার জন্য, তাদের খাদ্য নিরাপত্তার জন্য যা যা করণীয় তা করে যাচ্ছেন বলেও জানান তিনি।

মরহুম আফসারুল আমীনকে স্মরণ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, তিনি ছাত্রজীবন থেকে ছাত্রলীগের সঙ্গে জড়িত ছিলেন। প্রতিটি সংগ্রামে তিনি ভূমিকা রেখেছেন। নিবেদিতপ্রাণ ছিলেন। দলের প্রতি তাঁর নিষ্ঠা ও সততা ছিল অতুলনীয়। তিনি মন্ত্রী হিসেবেও অত্যন্ত সাফল্য দেখিয়েছেন।

শেখ হাসিনা বলেন, ৭৫ এরপর ২১টি বছর মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস বিকৃতি করা হয়েছে। অনেক মুক্তিযোদ্ধা পরিচয় দেওয়ারও সাহস পেতেন না। বঙ্গবন্ধুকে হত্যার পর সংগ্রামের মধ্য দিয়ে গণতন্ত্র ফিরিয়ে আনা হয়েছে। সেই সংগ্রামে আফরারুল আমিনকে পাওয়া গেছে।

আওয়ামী লীগের নেতাকর্মী সবসময়ই দুর্গতদের সেবা করে উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ১৯৯১ সালের ঘুর্ণিঝড় হয়েছে, মানুষ মারা গেছে। তৎকালীন বিএনপি সরকার জানেইনি যে ঘূর্ণিঝড় হয়েছে। সকলের আগে আমাদের আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা ছুটে যায়। আমি নিজেও ছুটে যাই। সেই কুতুবদিয়া, মহেলখালী, বাশখালী- মানুষের লাশ, মহিলা ও শিশুর লাশ ভাসছে। তখন আফসারুল আমিনসহ চট্টগ্রামের সকল নেতারা মানুষের পাশে দাঁড়িয়েছিলেন। আমরা সাধ্যমতো রিলিফ দেওয়া ও লাশ দাফনের ব্যবস্থা করি। এটা নিয়ে সংসদে প্রধানমন্ত্রী (খালেদা জিয়া) বলেছিলেন, যত মানুষ মরার কথা ছিল তত মানুষ মরেনি। তিনি তখনও জানেননি। তাঁর কাছে কোনো খবর ছিল না। আমি জিজ্ঞাসা করেছিলাম কত মানুষ হলে আপনার তত মানুষ হবে।

শোক প্রস্তাবের ওপর অন্যদের মধ্যে সিনিয়র পার্লামেন্টারিয়ান তোফায়েল আহমেদ, ভূমিমন্ত্রী সাইফুজ্জামান চৌধুরী জাভেদ, শিক্ষা উপমন্ত্রী মুহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল, সরকারি দলের মোতাহার হোসেন, নুরুল ইসলাম নাহিদ, ওয়াসিকা আয়শা খান, জাতীয় পার্টির মহাসচিব মুজিবুল হক চুন্নু ও মসিউর রহমান রাঙা বক্তব্য রাখেন।

   

গতবারের চেয়ে এবারের ঈদে দুর্ঘটনা বেড়েছে ৩১.২৫ শতাংশ



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

২০২৩ সালের ঈদুল ফিতরের চেয়ে এবারের ঈদুল ফিতরে দুর্ঘটনা বেড়েছে ৩১.২৫ শতাংশ।

বিগত ২০২৩ সালের ঈদুল ফিতরে ৩শ ৪টি সড়ক দুর্ঘটনায় ৩শ ২৮ জন নিহত এবং ৫শ ৬৫ জন আহত হয়েছিলেন। বিগত বছরের সঙ্গে তুলনা করলে এবারের ঈদে সড়ক দুর্ঘটনা ৩১.২৫ শতাংশ, প্রাণহানি ২৪.০৮ শতাংশ, আহত ১৪৭.৪৩ শতাংশ বেড়েছে।

এবারের পবিত্র ঈদুল ফিতরে যাতায়াতে দেশের সড়ক মহাসড়কে ৩৯৯টি সড়ক দুর্ঘটনায় ৪শ ৭ জন নিহত এবং ১ হাজার ৩শ ৯৮ জন আহত হয়েছেন।

একই সময়ে রেলপথে ১৮টি দুর্ঘটনায় ২৪ জন নিহত এবং ২১ জন আহত হয়েছেন। এছাড়া নৌপথে ২টি দুর্ঘটনায় ৭ জন নিহত এবং ৫ জন আহত হয়েছে। সড়ক, রেল ও নৌপথে সর্বমোট ৪শ ১৯টি দুর্ঘটনায় নিহত ৪শ ৩৮ জন এবং ১ হাজার ৪শ ২৪ জন আহত হয়েছেন।

বাংলাদেশ যাত্রী কল্যাণ সমিতির সড়ক দুর্ঘটনা মনিটরিং সেলের প্রতিবেদনে এ তথ্য উঠে এসেছে।

শনিবার (২০ এপ্রিল) ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে (ডিআরইউ) যাত্রী কল্যাণ সমিতি আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে সংগঠনের মহাসচিব মো. মোজাম্মেল হক চৌধুরী এ তথ্য তুলে ধরেন।

তিনি বলেন, প্রতি বছরের মতো সংগঠনের সড়ক দুর্ঘটনা মনিটরিং সেল এবারও প্রতিবেদনটি তৈরি করেছে।

প্রতিবেদনে বলা হয়, প্রতিবছর ঈদকেন্দ্রিক সড়ক দুর্ঘটনা আশঙ্কাজনক হারে বেড়ে যাওয়ায় সংগঠনটি ঈদযাত্রায় সড়ক দুর্ঘটনা, অতিরিক্ত ভাড়া আদায় ও যাত্রী হয়রানির বিষয়টি অনেকদিন ধরে পর্যবেক্ষণ করে আসছে।

পর্যবেক্ষণে দেখা যায়, এবারের ঈদে লম্বা ছুটি থাকায় লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে ২০ শতাংশ মানুষ বেশি যাতায়াত করেছেন। বর্তমান সরকারের বিগত ১৫ বছরের ধারাবাহিক উন্নয়নের ফলে দেশের সড়ক-মহাসড়কের অবস্থা আগের তুলনায় ভালো থাকায় যানবাহনের গতি বেড়েছে। দেশের সবকটি সড়ক-মহাসড়কের পাশাপাশি পদ্মাসেতুতে মোটরসাইকেলের অবাধ চলাচলের কারণে মোট যাত্রীর ৭.৫ শতাংশ মোটরসাইকেলে যাতায়াত হয়েছে।

সরকারের বিভিন্ন নিয়ন্ত্রক সংস্থা ও আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী মাঠে থাকলেও অতিরিক্ত ভাড়া আদায়ের নৈরাজ্য ও পথে পথে যাত্রী হয়রানি চরমে উঠেছিল। গণপরিবহনগুলোতে ঈদকে কেন্দ্র করে অতিরিক্ত ভাড়া আদায়ের নৈরাজ্যর কারণে বাসের ছাদে, ট্রেনের ছাদে, খোলা ট্রাকে, পণ্যবাহী পরিবহনে যাত্রী হয়ে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে নিম্নবিত্তের লোকজনদের ঈদে বাড়ি যেতে হয়েছে।

বাংলাদেশ যাত্রী কল্যাণ সমিতির প্রতিবেদনে বলা হয়, ঈদযাত্রা শুরুর দিন ৪ এপ্রিল থেকে ঈদ শেষে কর্মস্থলে ফেরা ১৮ এপ্রিল পর্যন্ত বিগত ১৫ দিনে ৩শ ৯৯টি সড়ক দুর্ঘটনায় ৪শ ৭ জন নিহত এবং ১ হাজার ৩শ ৯৮ জন আহত হয়েছেন।

বিগত ২০২৩ সালের ঈদুল ফিতরে ৩শ ৪টি সড়ক দুর্ঘটনায় ৩শ ২৮ জন নিহত এবং ৫শ ৬৫ জন আহত হয়েছিলেন। বিগত বছরের সঙ্গে তুলনা করলে এবারের ঈদে সড়ক দুর্ঘটনা ৩১.২৫ শতাংশ, প্রাণহানি ২৪.০৮ শতাংশ, আহত ১৪৭.৪৩ শতাংশ বেড়েছে।

প্রতিবেদনে দেখা যায়, বরাবরের মতো এবারও দুর্ঘটনার শীর্ষে রয়েছে মোটরসাইকেল। এবারের ঈদে ১শ ৯৮টি মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় ১শ ৬৫ জন নিহত, ২শ ৪০ জন আহত হয়েছেন, যা মোট সড়ক দুর্ঘটনার ৪৯.৬২ শতাংশ, নিহতের ৪০.৫৪ শতাংশ এবং আহতের ৩০.৩৭ শতাংশ প্রায়।

এই সময় সড়কে দুর্ঘটনায় আক্রান্ত ৮৭ জন চালক, ৩১ জন পরিবহন শ্রমিক, ৪০ জন পথচারী, ৭৫ জন নারী, ৪৭ জন শিশু, ২৭ জন শিক্ষার্থী, ৮ জন আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্য, ৪ জন শিক্ষক, ১ জন বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতাকর্মী, ১ জন বীর মুক্তিযোদ্ধা, ২ জন চিকিৎসকের পরিচয় মিলেছে।

বাংলাদেশ যাত্রী কল্যাণ সমিতির সড়ক দুর্ঘটনা মনিটরিং সেলের সদস্যরা বহুল প্রচারিত ও বিশ্বাসযোগ্য জাতীয় ও আঞ্চলিক বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যমে প্রকাশিত সংবাদের পাশাপাশি জাতীয় অর্থোপেডিক হাসপাতাল ও পুনর্বাসন কেন্দ্রে (পঙ্গু হাসপাতালে) সড়ক দুঘটনায় আহত ৬শ ৫৮ জনের মধ্যে যাচাই-বাছাই করে ৬শ ৮ জন আহত রোগীর তথ্য নিয়ে এ প্রতিবেদন তৈরি করে।

সংঘটিত দুর্ঘটনা বিশ্লেষণে দেখা যায়, মোট যানবাহনের ৪০.৫০ শতাংশ মোটরসাইকেল, ১৪.২৮ শতাংশ ট্রাক-পিকআপ-কাভার্ডভ্যান-লরি, ৬.৫০ শতাংশ কার, মাইক্রো জিপ, ৫.৯৬ শতাংশ নছিমন-করিমন-ট্রাক্টর-লেগুনা-মাহিন্দ্রা, ৬.১৪ শতাংশ অটোরিকশা, ১২.১১ শতাংশ ব্যাটারিচালিত রিকশা-ইজিবাইক-ভ্যান-সাইকেল, ও ১৪.৪৬ শতাংশ বাস এসব দুর্ঘটনায় জড়িত ছিল।

সংঘটিত দুর্ঘটনার ২৬.৩১ শতাংশ মুখোমুখি সংঘর্ষ, ৪৭.১১ শতাংশ পথচারীকে গাড়ি চাপা দেওয়ার ঘটনা, ২২.৫৫ শতাংশ নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে খাদে পড়ার ঘটনায়, ০.৫০ শতাংশ ট্রেন-যানবাহনে, ০.৫০ শতাংশ চাকায় ওড়না পেছিয়ে ও ৩ শতাংশ অন্যান্য অজ্ঞাত কারণ দুর্ঘটনা সংঘটিত হয়েছে।

দুর্ঘটনার ধরন বিশ্লেষণে দেখা গেছে, মোট সংঘটিত দুর্ঘটনার ৩২.৫৮ শতাংশ জাতীয় মহাসড়কে, ১০.০২ শতাংশ আঞ্চলিক মহাসড়কে, ৫০.৬২ শতাংশ ফিডার রোডে সংঘটিত হয়। এছাড়াও সারাদেশে সংঘটিত মোট দুর্ঘটনার ৬.০১ শতাংশ ঢাকা মহানগরীতে, ০.২৫ শতাংশ চট্টগ্রাম মহানগরীতে ও ০.৫০ শতাংশ রেলক্রসিংয়ে সংঘটিত হয়েছে।

বাংলাদেশ যাত্রী কল্যাণ সমিতির মহাসচিব মো. মোজাম্মেল হক চৌধুরী বলেন, সড়ক, রেল ও নৌপথে গত ১৫ বছরে ধারাবাহিক উন্নয়নের ফলে অবকাঠামো ভালো হওয়ায় যানবাহনের গতি বেড়েছে। গতিকে নিরাপদ করার মতো আইনি কাঠামো, দক্ষচালক, মানসম্মত যানবাহনের অভাব রয়েছে।

আইন প্রয়োগে দুর্নীতির কারণে জাতীয় মহাসড়কে ফিটনেসবিহীন যানবাহন, নিষিদ্ধ ত্রি-হুইলার, ইজিবাইকের মতো যানবাহন অবাধে চলছে।

এছাড়াও ছোট ছোট যানবাহন মোটরসাইকেল, অটোরিকশা, ইজিবাইকের অস্বাভাবিকহারে বেড়ে যাওয়ার কারণে সড়কে বিশৃঙ্খলার পাশাপাশি পাল্লা দিয়ে বাড়ছে সড়ক দুর্ঘটনাও।

তিনি মোটরসাইকেল ও ইজিবাইকের আমদানি বন্ধ করে দেশব্যাপী উন্নতমানের আধুনিক বাস নেটওর্য়াক গড়ে তোলার জন্য সরকারের কাছে দাবি জানান।

ফিটনেসবিহীন যানবাহন চলাচল বন্ধ করা, পণ্যবাহী যানবাহনে যাত্রী পরিবহন ঠেকানো, আইন প্রয়োগে অনিয়ম ও দুর্নীতি বন্ধে ডিজিটাল পদ্ধতি প্রয়োগ, চালকের বেতন ও কর্মঘণ্টা সুনির্দিষ্ট করা, অতিরিক্ত ভাড়া আদায়ের নৈরাজ্য বন্ধ করা, সড়কে চাঁদাবাজি বন্ধে গণপরিবহনগুলোতে নগদ অর্থ বন্ধ করে ডিজিটাল লেনদেন চালুর দাবি জানান তিনি।

এতে সংবাদ সম্মেলনেন আরো উপস্থিত ছিলেন- সাবেক সংসদ সদস্য লুৎফুরন্নেছা খান, গণপরিবহন বিশেষজ্ঞ আব্দুল হক, সংগঠনের সহ-সভাপতি তাওহীদুল হক লিটন, যুগ্ম-মহাসচিব মনিরুল হক, প্রচার সম্পাদক মাহমুদুল হাসান রাসেল, মো. মহসিন প্রমুখ।

দুর্ঘটনার কারণ:
১. দেশের সড়ক-মহাসড়কে মোটরসাইকেলের অবাধ চলাচল।
২. জাতীয় মহাসড়কে রোড সাইন বা রোড মার্কিং, সড়কবাতি না থাকায় হঠাৎ ঈদে যাতায়াতকারী ব্যক্তিগত যানের চালকদের রাতে এসব জাতীয় সড়কে ঝুঁকি নিয়ে যানবাহন চালানো।
৩. জাতীয়, আঞ্চলিক ও ফিডার রোডে টার্নিং চিহ্ন না থাকার ফলে নতুন চালক এসব সড়কে দুঘটনায় পতিত হয়েছে।
৪. মহাসড়কের নির্মাণ ত্রুটি, যানবাহনের ত্রুটি, ট্রাফিক আইন অমান্য করার প্রবণতা।
৫. উল্টোপথে যানবাহন চালানো, সড়কে চাদাঁবাজি, পণ্যবাহী যানে যাত্রী পরিবহন।
৬. অদক্ষ চালক, ফিটনেসবিহীন যানবাহন, অতিরিক্ত যাত্রী বহন, বেপরোয়া যানবাহন চালানো এবং একজন চালক অতিরিক্ত সময় ধরে যানবাহন চালানো।

দুর্ঘটনার প্রতিরোধে সুপারিশ:
১. জরুরি ভিত্তিতে মোটরসাইকেল ও ইজিবাইক আমদানি ও নিবন্ধন বন্ধ করা;
২. জাতীয় ও আঞ্চলিক মহাসড়কে রাতের বেলায় অবাধে চলাচলের জন্য আলোকসজ্জার ব্যবস্থা করা;
৩. দক্ষ চালক তৈরির উদ্যোগ গ্রহণ, যানবাহনের ডিজিটাল পদ্ধতিতে ফিটনেস প্রদান।
৪. ধীরগতির যান ও দ্রুতগতির যানের জন্য আলাদা লেনের ব্যবস্থা করা;
৫. সড়কে চাদাঁবাজি বন্ধ করা, চালকদের বেতন ও কর্মঘণ্টা সুনিশ্চিত করা;
৬. মহাসড়কে ফুটপাত ও পথচারী পারাপারের ব্যবস্থা রাখা, রোড সাইন, রোড মার্কিং স্থাপন করা;
৭. সড়ক পরিবহন আইন যথাযথভাবে ডিজিটাল পদ্ধতিতে প্রয়োগ করা;
৮. উন্নতমানের আধুনিক বাস নেটওর্য়াক গড়ে তোলা, নিয়ন্ত্রক সংস্থা বিআরটিএয়ের সক্ষমতা বৃদ্ধি করা;
৯. মানসম্মত সড়ক নির্মাণ ও মেরামত সুনিশ্চিত করা, নিয়মিত রোড সেফটি অডিট করা;
১০. মেয়াদোত্তীর্ণ গণপরিবহন ও দীর্ঘদিন যাবৎ ফিটনেসহীন যানবাহন স্ক্যাপ করার উদ্যোগ নেওয়া।

;

বেনজীর আহমেদ

মিথ্যা ও কল্পনাপ্রসূত তথ্য দিয়ে সংবাদ প্রকাশ করা হয়েছে



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
সাবেক আইজিপি বেনজীর আহমেদ

সাবেক আইজিপি বেনজীর আহমেদ

  • Font increase
  • Font Decrease

দুর্নীতি ও অবৈধভাবে পুলিশের সাবেক মহাপরিদর্শক (আইজিপি) বেনজীর আহমেদ অঢেল সম্পদের মালিক বনে গেছেন বলে সম্প্রতি একটি গণমাধ্যমে দুই পর্বের সংবাদ প্রকাশ করে। প্রকাশিত ওই সংবাদের প্রতিবাদে শনিবার (২০ এপ্রিল) ‘আমার কিছু কথা’ শিরোনামে এক ভিডিও বার্তায় সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে বেনজীর আহমেদ বলেন, মিথ্যা ও কল্পনাপ্রসূত তথ্য দিয়ে সংবাদ প্রকাশ করা হয়েছে।

বেনজীর আহমেদের দাবি, কিছু তথ্য ফুলিয়ে ফাঁপিয়ে তিলকে তাল বানিয়ে উপস্থাপন করা হয়েছে।

তিনি বলেন, সম্প্রতি একটি পত্রিকায় আমার পরিবার ও আমার নামে খুবই আপত্তিজনক ও মানহানিকর অসত্য ও বিকৃত সংবাদ প্রচারিত হয়েছে। সেই সংবাদের সূত্র ধরে কিছু পত্রিকা একই ধরনের সংবাদ হুবহু প্রচার করেছে। তবে মূলধারার প্রিন্ট মিডিয়া এই অসত্য সংবাদ প্রকাশে আগ্রহ দেখায়নি। এজন্য মূলধারার গণমাধ্যমগুলোর সাংবাদিক বন্ধুগণের প্রতি আমি এবং আমার পরিবারের অনেক অনেক কৃতজ্ঞতা।

সাবেক এই আইজিপি বলেন, আপনারা জানেন গত ১৪ বছরে প্রথমে ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি) কমিশনার হিসেবে রাজধানীবাসীকে সেবা দিয়েছি, পরবর্তীতে এলিট ফোর্স র‍্যাবের মহাপরিচালক (ডিজি) ও পুলিশের আইজিপি হিসেবে দেশের মানুষের সেবা দেওয়ার সুযোগ হয়েছে।

তিনি আরও বলেন, বাংলাদেশ পুলিশের গুরুত্বপূর্ণ পদে ১৪ বছরসহ ৩৫ বছর সরকারি চাকরি করেছি। এই সময়ে শান্তিরক্ষী মিশনসহ বিদেশেও কাজ করেছি। যেহেতু ৩৫ বছর রাষ্ট্রের বেতনভুক্ত কর্মচারী হিসেবে চাকরি করেছি। তাই ব্যক্তিগত দায় হিসেবে প্রকাশিত সংবাদের প্রেক্ষিতে সত্য তথ্য তুলে ধরার নৈতিক তাগিদ অনুভব করছি। পাল্টা আক্রমণ নয়, কথার প্রেক্ষিতে কথা নয়। বরং আমি ও আমার পরিবারের পক্ষ থেকে প্রকৃত সত্যটি তুলে ধরতে চাই।

বেনজীর বলেন, প্রকাশিত দুই পর্বের সংবাদের তথ্যের পুঙ্খানুপুঙ্খ পর্যালোচনা করেছি। এতে সব মিলিয়ে ৪৫টি অভিযোগ ও অপমানজনক বক্তব্য উপস্থাপন করা হয়েছে। যার মধ্যে ২৪টি অভিযোগ সম্পূর্ণ মিথ্যা ও কল্পনাপ্রসূত, দুইটি বিষয়কে সাত বার পুনরাবৃত্তি করা হয়েছে। দুইটি তথ্য ভুল প্রেক্ষাপটে বিকৃতভাবে উপস্থাপন করা হয়েছে। বাকি ১০টি তথ্যকে ফুলিয়ে ফাঁপিয়ে তিলকে তাল বানিয়ে উপস্থাপন করা হয়েছে।

বেনজীর আহমেদ বলেন, আমার এবং পরিবারের ঢাকা ও ঢাকার বাহিরের সম্পত্তির তথ্য সম্পূর্ণ মিথ্যা। বেতন ভাতার হিসাব কাল্পনিক এবং ভুল। গোপালগঞ্জের পারিবারিক কৃষি খামারের ভূমির পরিমাণ যা উল্লেখ করা হয়েছে তা সঠিক নয়। জমির সকল তথ্য ট্যাক্স ফাইলে উল্লেখ আছে। এছাড়া আমার পরিবারের সদস্যদের জাতীয় পরিচয় পত্রসহ বেশ কিছু তথ্য প্রকাশ করা হয়েছে। যা আমাকে মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত করেছে।

সম্প্রতি প্রকাশিত এক জাতীয় দৈনিকের দাবি, পুলিশের সাবেক মহাপরিদর্শক (আইজিপি) ও র‌্যাবের সাবেক মহাপরিচালক বেনজীর আহমেদের বিপুল পরিমাণ অবৈধ সম্পদের খোঁজ মিলেছে। এরপর থেকেই বেশ আলোচনায় পুলিশের সাবেক এই আইজিপি।

;

গরমে স্বস্তি আনে নরসিংদীর বাঙ্গি



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা ২৪.কম, নরসিংদী
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

গ্রীষ্মকালের এমন তাপপ্রবাহ ও প্রচণ্ড রোদের কারণে অস্থির মানুষজন। কাজকর্মে নেমে এসেছে অসহনীয় অবস্থা। এই অবস্থায় ঠান্ডা জাতীয় খাওয়ার পাশাপাশি রোদ এড়িয়ে চলার পরামর্শ দিয়েছেন চিকিৎসকগণ। বেশি করে ফলমূল ও পানি খাওয়ারও পরামর্শ দিয়েছেন চিকিৎসকরা। ফলমূলের মধ্যে, ডাব, শসা, পেপে, বাঙ্গি আনারস ইত্যাদি। এই অবস্থায় জেলার চরাঞ্চলের মিষ্টি মধুর বাঙ্গির কদর বেড়েছে কয়েকগুন। এর ফলে একদিকে বেড়েছে বাঙ্গির উৎপাদন, অপরদিকে বেড়েছে মৌসুমি শ্রমিকের কর্মসংস্থান। আর এই নরসিংদীর সাগরকলা, লটকটন, বোম্বাই লেবুর পর এবার বাঙ্গি দিয়ে পরিচিত হচ্ছে নরসিংদী। মূলত মৌসুমি ফল হিসেবে নরসিংদীতে চাষাবাদ হয়ে থাকে এই বাঙ্গি।

গ্রীষ্মের অন্যতম ফল বাঙ্গি গ্রীষ্ম আসার আগেই নরসিংদীর চরাঞ্চলের মাঠে বেড়ে উঠে। ইতিমধ্যে বাঙ্গি চাষে প্রসিদ্ধ হয়ে উঠছে নরসিংদীর রায়পুরা ও সদর উপজেলার চরাঞ্চল। এ অঞ্চলের বাঙ্গি আকারে বড়, দেখতে সুন্দর ও সুস্বাদু হওয়ায় রাজধানীসহ আশপাশের বিভিন্ন জেলায় ব্যাপক চাহিদা রয়েছে। অল্প শ্রম ও অল্প খরচে অধিক লাভবান হওয়ায় প্রতি বছরই বাড়ছে বাঙ্গির চাষ। ফলে এ অঞ্চলে সৃষ্টি হচ্ছে মৌসুমি কর্মসংস্থানের।

জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সূত্রে জানা যায়, নরসিংদীর রায়পুরা উপজেলার চরাঞ্চল বেষ্টিত বাঁশগাড়ি, শ্রীনগর, চরমধূয়া ও মির্জাচর ইউনিয়নের সর্বত্র বাঙ্গি চাষ হয়ে থাকে। তুলনামূলকভাবে বাঁশগাড়ি ইউনিয়নেই সবচেয়ে বেশি বাঙ্গির আবাদ হয়ে আসছে। গত মৌসুমে রায়পুরার চরাঞ্চলে প্রায় ৪৫ হেক্টর জমিতে বাঙ্গি চাষাবাদ হয়েছে। যা আগের বছর হয়েছিল ৪০ হেক্টর জমিতে। এ বছর বাঙ্গি চাষের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে হেক্টর প্রতি ২০ থেকে ২৫ মেট্রিক টন।

বাঁশগাড়ি ইউনিয়নের মধ্যনগর ও চান্দেরকান্দি গ্রামের কৃষকরা তাদের জমিতে বাণিজ্যিকভাবে বাঙ্গি চাষ করে। শুধু মধ্যনগর বা চান্দেরকান্দি নয় আশপাশের বেশ কয়েকটি চরে বাঙ্গির আবাদ হচ্ছে। এই সকল চরের উৎপাদিত বাঙ্গির আকার বড় ও হলদে রঙের উজ্জ্বল হয়ে থাকে।

বাঁশগাড়ি ও শ্রীনগর ইউনিয়নের মধ্যবর্তী স্থানে পলি দ্বারা বিস্তৃত চর। বিস্তৃর্ণ পূর্ব পুরুষদের অনুকরণে চরে ধান জাতীয় ফসলের পাশাপাশি বাঙ্গি চাষ করা হয়েছে। মাটির উপর ছড়িয়ে রয়েছে বাঙ্গিগাছের সবুজ লতা। লতার ফাঁকে ফাঁকে কাঁচা-পাকা বাঙ্গি শোভা পাচ্ছে। জমি থেকেই বাঙ্গি কিনতে দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে পাইকারগণ জমিতে ছুটে আসেন। জমিতেই পাইকারগণ দরদাম  করে নিয়ে যাচ্ছেন যার যার মতো।

বাঙ্গি চাষীরা জানান, আগে নিজেরা খাওয়ার জন্য অল্প জমিতে বাঙ্গিচাষ করা হতো। পরবর্তীতে এটি লাভ জনক হওয়ায় বাণিজ্যিকভাবে চাষাবাদ শুরু করেন এই অঞ্চলের কৃষকরা। ফলে বর্তমানে চরের অর্ধেক জমিতেই বাঙ্গি চাষ হয়ে থাকে।

কৃষকরা আরো জানান, বাঙ্গি চাষ করতে তেমন খরচ লাগে না। রসুন ও বাঙ্গি দুই ফসল একবারে যায়। রসুনের জন্য সার দেয়ায় বাঙ্গির জন্য আলাদা করে সার লাগেনা। বীজ ও ঔষুধে এবছর দুই বিঘা জমিতে মাত্র ৬০ হাজার টাকা খরচ হয়েছে। আশা করা যায় আড়াই লাখেরও বেশি টাকা বিক্রি করা সম্ভব।

বাঙ্গি চাষ শুধু কৃষকদের সমৃদ্ধিই বয়ে আনেনা, সৃষ্টি হয়েছে মৌসুমী কর্মসংস্থানের। মৌসুমি শ্রমিকরা জমি থেকে বাঙ্গি ঝুঁড়িতে তুলে দীর্ঘ পথ পাড়ি দিয়ে নৌকা কিংবা ভ্যানে ভর্তি করে থাকেন। এতে পুরো চরে চোখে পড়ে কৃষক-শ্রমিকের কর্মচঞ্চলতা।

মৌসুমি শ্রমিকরা জানান, বাঙ্গির পুরা মৌসুমে এই গ্রামের কেউ বসে থাকেননা। সকলেই কিছু না কিছু কাজ করে জীবিকা নির্বাহ করেন। জমি থেকে প্রতিটি বাঙ্গি ঘাটে নৌকায় বা ভ্যানে বোঝাই করে দিলে ৫ টাকা পান। এতে প্রতিদিন গড়ে ৮শ থেকে ১ হাজার টাকা রোজগার করা সম্ভব হয়। আকারভেদে পাইকারী হিসেবে একশ বাঙ্গি ৩ থেকে ৫ হাজার টাকায় বিক্রি হয়। এই এলাকার বাঙ্গি দেখতে সুন্দর, মিষ্টি ও ভালো মানের হওয়ায় ব্রাহ্মনবাড়িয়া, বাঞ্ছারামপুর, যাত্রাবাড়ি, নারায়নগঞ্জ, গাজীপুর, সিলেট,নরসিংদীসহ দেশের বিভিন্ন জেলায় যাচ্ছে।  

রায়পুরা উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা বনি আমিন খান জানান, চরাঞ্চলখ্যাত রায়পুরায় বাঙ্গি চাষের ব্যাপক সম্ভাবনা রয়েছে। বাঙ্গি চাষ সম্প্রসারণে কৃষি বিভাগ সার্বক্ষণিক কাজ করে যাচ্ছে। এরই অংশ হিসেবে মাঠ পরিদর্শনসহ কৃষকদের বিভিন্ন পরামর্শ দেয়া হচ্ছে। বর্তমানে কৃষকরা স্থানীয়ভাবে উৎপাদিত বীজ কৃষকরা ব্যবহার করছেন। বাঙ্গি চাষে কৃষকদের প্রশিক্ষণ ও উন্নত জাতের বীজ সরবরাহের পরিকল্পনা রয়েছে কৃষি বিভাগের।

;

ঠাকুরগাঁওয়ে নিখোঁজের ২ দিন পর ছাত্রের মরদেহ উদ্ধার



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঠাকুরগাঁও
ছবি: বার্তা২৪

ছবি: বার্তা২৪

  • Font increase
  • Font Decrease

ঠাকুরগাঁও শহরের মাদ্রাসা পাড়া থেকে নিখোঁজের দুইদিন পর বাড়ির পাশের গলি থেকে নিবির (১২) নামে এক স্কুলছাত্রের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে।

শনিবার (২০ এপ্রিল) সকালে বাড়ির পাশের গলিতে ছেলের অর্ধগলিত মরদেহটি দেখতে পেয়ে চিৎকার করে ওঠেন নিবিরের মা। পরে পুলিশে খবর দেওয়া হয়।

নিবির ঠাকুরগাঁও পৌরসভার ১ নম্বর ওয়ার্ডের মাদ্রাসা পাড়া এলাকার বাসিন্দা ও ওমান প্রবাসী আব্দুস সালাম বাবলুর ছেলে। সে সালান্দর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পঞ্চম শ্রেণির ছাত্র।

এ ঘটনায় সন্দেহভাজন দুজনকে জিজ্ঞাসাবাদ করার জন্য আটক করেছে পুলিশ। আটকরা হলেন- একই এলাকার শিপন আলীর ছেলে আলিফ ও ফজর আলীর ছেলে লিখন।

পরিবার ও এলাকাবাসী সূত্রে জানা যায়, গত বৃহস্পতিবার (১৮ এপ্রিল) বাড়ি থেকে খেলতে বের হয়ে আর বাড়িতে ফেরেনি নিবির। এ নিয়ে সদর থানায় জিডি, মাইকিং ও ইন্টারনেটে ব্যাপক প্রচার করা হলেও সন্ধান মেলেনি তার।

বৃহস্পতিবার দিনগত মধ্য রাতে (শনিবার, ২০ এপ্রিল) বাড়ির জানালায় বিকট শব্দ করে দুর্বৃত্তরা। ভয়ে কেউ বাড়ি থেকে বাইরে আসেননি। তবে সকালে বাড়ির পাশের গলিতে নিবিরের নিথর মরদেহ পড়ে থাকতে দেখে চেঁচিয়ে ওঠেন নিবিরের মা। এরপর পরিবারের সবাই সেখানে হাজির হয়। পরে থানায় জানানো হয়।

এবিষয়ে ঠাকুরগাঁও সদর থানার ভারপ্রাপ্ত (ওসি) মো. ফিরোজ ওয়াহিদ বলেন, আমরা খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে আসি। লাশ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য মর্গে পাঠানো হয়েছে। ময়না তদন্তের পর তদন্তসাপেক্ষে বিস্তারিত জানানো যাবে।

;