দক্ষ মানবসম্পদ তৈরিতে শিক্ষাক্ষেত্রে উন্নয়ন করতে চান লিটন



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, রাজশাহী
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

আসন্ন রাজশাহী সিটি করপোরেশন (রাসিক) নির্বাচন উপলক্ষে ইশতেহার ঘোষণা করেছেন আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী ও সাবেক মেয়র এএইচএম খায়রুজ্জামান লিটন। ইশতেহারে দক্ষ মানবসম্পদ তৈরিতে শিক্ষাক্ষেত্রে উন্নয়নসহ ১০টি বিশেষ খাতে ১০৫টি কাজের প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন তিনি।

শনিবার (৩ জুন) রাজশাহী মেডিকেল কলেজ মিলনায়তনে এ প্রতিশ্রুতি দেন আওয়ামী লীগের এই প্রেসিডিয়াম সদস্য।

ঘোষিত ইশতেহারে বেকারত্ব হ্রাসের অংশ হিসেবে ব্যাপক কর্মসংস্থান, উদ্যোক্তা সৃষ্টিসহ অর্থনৈতিক-সামাজিক-মানবিক শান্তিময় ও সমৃদ্ধ মহানগরী গড়ে তোলার প্রত্যয় ব্যক্ত করেন মেয়র প্রার্থী। এছাড়াও নগরীকে সমগ্র বরেন্দ্র অঞ্চলভিত্তিক আকর্ষণীয় পর্যটন কেন্দ্র হিসেবে প্রতিষ্ঠা, শিক্ষা ও সংস্কৃতি সমৃদ্ধ নগরীর বিশেষত্ব অর্জন, ভৌগোলিক আয়তন ৯৬ বর্গকিলোমিটার থেকে ৩৫০ বর্গকিলোমিটারে সম্প্রসারণ ও শহরের পাশে জেগে ওঠা পদ্মার চরে রিভারসিটি নির্মাণ করতে চান তিনি।

লিটন বলেন, আমরা চতুর্থ শিল্পবিপ্লবের যুগে প্রবেশ করেছি। কৃত্রিম মেধা দিয়ে যন্ত্রের মাধ্যমে সকল কাজ সম্পাদন করার জন্য উন্নতবিশ্ব পরিকল্পনা করেছে। বাংলাদেশের মতো ঘনবসতিপূর্ণ দেশসমূহ থেকে উন্নত দেশগুলো কর্মী আহ্বান করে থাকে। কিন্তু ভারত, শ্রীলঙ্কা, ফিলিপাইন থেকে যে পরিমাণ শ্রম বিদেশে বিনিয়োগ হয়, বাংলাদেশ সেই সঙ্গে তাল মেলাতে পারছে না। কারণ, দক্ষমানবসম্পদ সৃষ্টির লক্ষ্যে শিক্ষাকে যুগোপযোগী করার ক্ষেত্রে আমাদের দৃষ্টিভঙ্গি পরিবর্তন করা জরুরি। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জেলায় জেলায় বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপন করেছেন, একটি দক্ষমানবসম্পদ সৃষ্টির লক্ষ্যে। আমাদের ভবিষ্যত প্রজন্ম বিশ্বপ্রতিযোগিতায় যেন পিছিয়ে না পড়ে তাই এই শিল্প বিপ্লবের সঙ্গে আমরাও সামিল হতে চাই। এই মহানগরীতে শিক্ষার বুনিয়াদ সমৃদ্ধ হলেও জনসংখ্যার অনুপাতে আরো প্রতিষ্ঠান ও সমন্বিত শিক্ষা চালু করতে আমি নিম্নোক্ত পরিকল্পনা ও প্রকল্প গ্রহণ করব।

খায়রুজ্জামান লিটন বলেন, সারাবিশ্ব করোনা মহামারিতে বিপর্যস্ত হয়ে আমাদের স্বাস্থ্য পরিসেবার সীমাবদ্ধতা ইঙ্গিত করে গেছে। বাংলাদেশের উত্তর ও দক্ষিণাঞ্চলের অনেক জেলা থেকেই চিকিৎসা নিতে মানুষ ছুটে আসেন এই শহরে। এই বিশাল জনপদের মানুষের আশা ভরসার স্থান রাজশাহী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল। এই ক্ষেত্রে দিন দিন চাপ বাড়ছে, চিকিৎসাসেবার প্রাতিষ্ঠানিক সম্প্রসারণ ও নতুন প্রতিষ্ঠান গড়ে তোলা সময়ের দাবি। চিকিৎসাব্যবস্থা উন্নত না করলে আধুনিক উন্নত চিকিৎসা নিতে মানুষ পার্শ্ববর্তী দেশ বা অন্যান্য দেশের উপর নির্ভরশীল হয়ে পড়ছে। অথচ প্রতিবছর এই নগরীর মেডিকেল কলেজসমূহ থেকে শত শত ডাক্তার এম.বি.বি.এস সনদ পাচ্ছেন। তাদের উচ্চশিক্ষা, গবেষণা ও বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক তৈরি করতে প্রাতিষ্ঠানিক সুবিধা প্রসারিত হয়নি। আমি দেশি ও বিদেশি সংস্থাকে সম্পৃক্ত করে এই খাতকে আরো সমৃদ্ধ করতে চাই। মানুষ যেন নিরাপদ ও পরিচ্ছন্ন পরিবেশ, নিরাপদ খাদ্য, নিরাপদ পানি এবং পরিসেবা পায় তার জন্য আমার সর্বোচ্চ প্রচেষ্টা অব্যাহত থাকবে। এই লক্ষ্যে স্বাস্থ্যসেবা খাতে বিভিন্ন কর্মসূচি গ্রহণ করা হবে।

আওয়ামী লীগ মনোনীত এই প্রার্থী বলেন, বাংলাদেশ সারাবিশ্বে উন্নয়নের রোল মডেল হিসেবে স্বীকৃতি অর্জন করেছে। ২০৪১ সালে উন্নত সমৃদ্ধ বাংলাদেশের অগ্রযাত্রায় সামিল হয়ে রাজশাহী মহানগরীকে যোগ্য অংশীদার হিসেবে গড়ে তুলতে চাই। সেই লক্ষ্যে আমার নির্বাচনী ইশতেহারে উন্নয়ন প্রকল্পের রূপরেখার প্রতি আপনাদের সমর্থন ও অংশগ্রহণ প্রত্যাশা করি। এই অঙ্গীকার সামনে নিয়ে আমি মেয়র পদপ্রার্থী। নিজেকে এই অঙ্গীকারের বিশ্বাসযোগ্য ও আস্থাভাজন বলে মনে করি। রাজশাহীর মহানগরীর সর্বাত্মক উন্নয়ন, পরিবেশ এবং সৌন্দর্য তার সাক্ষী। একই সঙ্গে আমার ধমনীতে বহন করি মহান মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম সিপাহসালার শহীদ এ.এইচ.এম কামারুজ্জামানের উত্তরাধিকার। আমি এই মাটিরই সন্তান। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী বঙ্গবন্ধুকন্যা দেশরত্ন জননেত্রী শেখ হাসিনার স্নেহধন্য এ.এইচ.এম খায়রুজ্জামান লিটন আপনাদের অকুণ্ঠ সমর্থন প্রত্যাশা করে। আমি বিশ্বাস করি রাজশাহীবাসী উন্নয়নের পক্ষে। তাই আসুন, আমরা মতভেদ ভুলে নগরীর উন্নয়নের স্বার্থে ঐক্যবদ্ধ হই। আগামী ২১ জুন ২০২৩ অনুষ্ঠিতব্য সিটি নির্বাচনে মেয়র পদে আমাকে নৌকা প্রতীকে ভোট দিয়ে পুনঃনির্বাচিত করে আপনিও হয়ে উঠুন মেগাসিটি বিনির্মাণ অভিযাত্রার গর্বিত অংশীদার। সকলের জন্য শুভকামনা। বিজয়ের অগ্রযাত্রায় আমরা এগিয়ে যাবো মিলিত পদক্ষেপে অনেক দূরে সমৃদ্ধির পথে।

ইশতেহার ঘোষণার শুরুতে মহান মুক্তিযুদ্ধের ৩০ লাখ শহীদ, দুই লক্ষাধিক সম্ভ্রম হারানো মা-বোন, সকল মুক্তিযোদ্ধা এবং জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও তার ঘনিষ্ঠ সহকর্মী শহীদ জাতীয় চারনেতাসহ শহীদ এ.এইচ.এম কামারুজ্জামান, শহীদ বঙ্গমাতা বেগম ফজিলাতুন্নেসা মুজিবসহ ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট বঙ্গবন্ধু পরিবারের সকল শহীদের প্রতি ও তৎপরবর্তী বাংলাদেশে ২১ বছর ধরে সামরিক স্বৈরাচার, মৌলবাদ, জঙ্গীবাদ বিরোধী, আগুনসন্ত্রাস বিরোধী দীর্ঘ গণতান্ত্রিক আন্দোলনে আত্মদানকারী অসংখ্য মহৎপ্রাণের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা নিবেদন করেন লিটন।

প্রসঙ্গত, শুক্রবার (২ জুন) প্রতীক বরাদ্দ পেয়েই প্রচারণায় নামে মেয়র ও কাউন্সিলর প্রার্থীরা। আগামী ২১ জুন ইভিএমের মাধ্যমে রাসিক নির্বাচনের ভোটগ্রহণ হবে। নির্বাচনে ভোটার সংখ্যা তিন লাখ ৫২ হাজার ১৫৭ জন। এর মধ্যে পুরুষ ভোটার এক লাখ ৭১ হাজার ১৮৫ জন। আর নারী ভোটার এক লাখ ৮০ হাজার ৯৭২ জন। এবার নতুন ভোটার ৩০ হাজার ১৫৭ জন। নগরীর মোট ১৫২টি ভোটকেন্দ্রের এক হাজার ১৭৩টি কক্ষে ভোটগ্রহণ করা হবে।

   

চট্টগ্রামে জেলা প্রশাসন কার্যালয়ে ব্রেস্টফিডিং কর্নার উদ্বোধন



স্টাফ করেসপনডেন্ট, বার্তা২৪.কম, চট্টগ্রাম
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

শিশু স্বাস্থ্যের সুরক্ষায় মায়ের দুধের বিকল্প কিছুই নেই। এ বিষয়টিকে প্রাধান্য দিয়ে চট্টগ্রামের পরীর পাহাড় তথা জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে প্রথমবারের মতো ব্রেস্টফিডিং কর্নার ‘মাতৃক্রোড়ের’ শুভ উদ্বোধন করা হয়েছে। 

মঙ্গলবার (২৬ সেপ্টেম্বর) সোয়া পাঁচটার দিকে ফিতা কেটে ও ফলক উন্মোচনের মাধ্যমে ব্রেস্টফিডিং কর্ণারের উদ্বোধন করেন চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসক আবুল বাসার মোহাম্মদ ফখরুজ্জামান। এসময় আরও উপস্থিত ছিলেন জেলা প্রশাসকের সহধর্মিনী ও চট্টগ্রাম লেডিস ওয়েলফেয়ার ক্লাবের সভাপতি তানজিয়া রহমান। 

ব্রেস্টফিডিং কর্ণার ‘মাতৃক্রোড়’ উদ্বোধনকালে জেলা প্রশাসক আবুল বাসার মোহাম্মদ ফখরুজ্জামান বলেন, চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসনের উদ্যোগে এই প্রথম ব্রেস্টফিডিং কর্ণারের উদ্বোধন করা হয়েছে। যেসকল মহিলা সেবাপ্রার্থী তাদের নবজাতকদের নিয়ে জেলা প্রশাসক কার্যালয়ে আসে তারা অত্যন্ত নিরাপত্তা ও নিশ্চিন্তভাবে ‘মাতৃক্রোড়’-এ বসে শিশুদেরকে বুকের দুধ পান করানোর পাশাপাশি তাদের ডায়াপার ও পোশাকসামগ্রী পরিবর্তন করাতে পারবে।

তিনি আরও বলেন, ‘ব্রেস্টফিডিং কর্ণারের পাশে মহিলা-পুরুষের জন্য আলাদাভাবে বেসিনসহ মোট ৪টি টয়লেট ও ৪টি ইউরিনাল তৈরী করা হয়েছে। শুধু জেলা প্রশাসক কার্যালয়ে নয়, পরীর পাহাড়স্থ বিভাগীয় কমিশনারের অফিস ও আদালতে নবজাতক নিয়ে আসা মহিলা বিচার প্রার্থীরাও এ ব্রেস্টফিডিং কর্ণার ‘মাতৃক্রোড়’-এ বসে বুকের দুধ পান করাতে পারবে।

এসময় আরও উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) মোঃ আবদুল মালেক, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (এলএ) মোঃ আবু রায়হান দোলন, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) রাকিব হাসান, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (শিক্ষা ও আইসিটি) মোঃ সাদি উর রহিম জাদিদ, আরডিসি নুএমং মারমা মং, ভূমি অধিগ্রহণ কর্মকর্তা জামমেদ আলম রানা, সহকারী কমিশনার (ভূমি-পটিয়া) ফাহমিদা আফরোজ, সিনিয়র সহকারী কমিশনার এসএম আলমগীর, সিনিয়র সহকারী কমিশনার মোঃ আশরাফুল আলম, সিনিয়র সহকারী কমিশনার মোঃ রাজিব হোসেন, সিনিয়র সহকারী কমিশনার রাকিবুল ইসলাম, এনডিসি হুছাাইন মুহাম্মদ, স্টাফ অফিসার টু ডিসি প্লাবন কুমার বিশ্বাস ও তাদের সহধর্মিণীগণ। 

;

কুষ্টিয়ায় নদীর চরে উচ্ছেদ অভিযান



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, কুষ্টিয়া
কুষ্টিয়ায় নদীর চরে অবৈধ দখলমুক্ত করতে উচ্ছেদ অভিযান

কুষ্টিয়ায় নদীর চরে অবৈধ দখলমুক্ত করতে উচ্ছেদ অভিযান

  • Font increase
  • Font Decrease

কুষ্টিয়া সদর উপজেলায় নদীর চরে অবৈধ দখলমুক্ত করতে উচ্ছেদ অভিযান চালিয়েছে উপজেলা প্রশাসন।

মঙ্গলবার (২৬ সেপ্টেম্বর) বেলা ১১টায় গড়াই নদীর বাম তীরের হাটশ হরিপুর ইউনিয়নের শালদাহ মৌজায় উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা পার্থ প্রতীম শীলের নেতৃত্বে এই উচ্ছেদ অভিযানে সহকারী কমিশনার (ভূমি) দবির উদ্দিনসহ আইন শৃংখলা বাহিনীর সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।

উচ্ছেদকৃত পরিবারগুলির অভিযোগ, স্থানীয় কিছু দূর্বৃত্তচক্র মোটা অংকের টাকার বিনিময়ে গরিব মানুষদের এখানে বসতে দিয়েছে।

কুষ্টিয়া সদর উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) দবির উদ্দিন বলেন, ‘সরকারী সম্পত্তিতে অবৈধ দখলমুক্ত করনে উচ্ছেদ অভিযান একটি চলমান উদ্যোগ। আজকেও তার অংশ হিসেবে সদর উপজেলার হাটশ হরিপুর ইউনিয়নে গড়াই নদীর বামতীরে কয়েক‘শ বিঘা সরকারী সম্পত্তিতে অবৈধ ভাবে যারা স্থাপনা ও অবকাঠামো গড়ে তুলেছিল, তাদের ঘরবাড়ি ভেঙ্গে চলে যাওয়ার জন্য ইতোপূর্বেই নোটিশ দেয়া হয়েছিলো। যারা যায়নি তাদের উচ্ছেদ করা হলো। তবে পরিস্থিতি বুঝে আজকেও সবগুলি উচ্ছেদ করা যায়নি।’

তিনি আর বলেন, ‘আগামী ৩দিনের মধ্যে তাদের যেতে বলা হয়েছে। এছাড়া গৃহহীনদের আবাসনের ব্যবস্থা সরকার করে দিচ্ছে। তারা চাইলে সরকারের কাছে ঘর চেয়ে আবেদন করতে পারেন। এখানে অভিযোগ উঠেছে কে বা কারা নাকি এসব গরীব মানুষদের কাছ থেকে টাকা পয়সা নিয়ে সরকারী জমিতে বসিয়েছে। সে বিষয়ে যদি কেউ সুনির্দিষ্ট লিখিত অভিযোগ দেয় তাহলে জড়িতদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে।’

উচ্ছেদ হওয়া গৃহহীন জেসমিন বলেন, ‘আমি বাধের চরে ভাড়া ছিলাম, হঠাৎ দেখি এই চরে টাকার বিনিময়ে জমি দেয়া হচ্ছে ঘরবাড়ি করার জন্য। আমিও স্থানীয় সাবেক ইউপি সদস্য নেদাই মেম্বারকে ৩০ হাজার টাকা দিয়ে ৩কাঠা জমি নিয়ে কিস্তির লোন তুলে এই ঘরটা তুলেছিলাম। এখন আমার সব গেল। আমি এর বিচার চাই, আমার টাকা ফেরত চাই’। 

তবে অভিযুক্ত নেদাই মেম্বর অভিযোগ অস্বিকার করে বলেন, ‘আমি কারো কাছ থেকে টাকা নিই নাই, টাকা নিয়েছে ছেলে পেলে।’

সদর উপজেলার ১নং হাটশ হরিপুর ইউপি চেয়ারম্যান এম মুশতাক হোসেন মাসুদ ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন, ‘রাজনৈতিক প্রভাব খাটিয়ে একদল দূর্বৃত্তচক্র লক্ষ লক্ষ টাকা হাতিয়ে নিয়ে সরকারী এসব জমি বিক্রি করেছে। যে সব লোকজন এর সাথে জড়িত আছে তাদের বিষয়ে সুনির্দিষ্ট অভিযোগ এনে তার প্রতিকার চেয়ে ইউনিয়ন পরিষদের পক্ষ থেকে একাধিকবার দরখাস্ত করেছি প্রশাসনের কাছে। কিন্তু কোন প্রতিকার পায়নি।’

অভিযানে নেতৃত্বদানকারী কুষ্টিয়া সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) পার্থ প্রতীম শীল বলেন, ‘এটা চলমান প্রক্রিয়া। সরকারি সম্পত্তি অবৈধভাবে দখলে রাখার কোন সুযোগ নিই। যারাই এই দখলের সাথে জড়িত থাকনা কেন, তাদের আর যে পরিচয়ই থাকুক তা দেখা হবেনা। আইন সবার জন্যই সমান ভাবে প্রযোজ্য।’

;

প্রান্তিক শিক্ষার্থীদের ঠিকানা, রাজাখালী উন্মুক্ত পাঠাগার



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, কক্সবাজার
রাজাখালী উন্মুক্ত পাঠাগার

রাজাখালী উন্মুক্ত পাঠাগার

  • Font increase
  • Font Decrease

বাংলাদেশের পর্যটন রাজধানী খ্যাত কক্সবাজার জেলার পেকুয়া উপজেলার একটি ইউনিয়ন রাজাখালী। সেই ইউনিয়নের সবুজ বাজারের দক্ষিণে কৃঞ্চচূড়া মোড়ে ২০২১ সালের জানুয়ারী মাসের এক তারিখ উদ্বোধন করা হয় রাজাখালী উন্মুক্ত পাঠাগার। এই পাঠাগার রাজাখালী ইউনিয়নের সর্বপ্রথম পাঠাগার। করোনায় পাঠাগারের প্রয়োজনীয়তা উপলব্ধি করে প্রান্তিক শিক্ষার্থীদের জীবনমান উন্নয়নে এলাকার শিক্ষিত যুবকদের প্রচেষ্টায় সৃষ্টি হয় রাজাখালীর এই পাঠাগার।

পাঠাগার সৃষ্টির পেছনে বর্তমান সভাপতি ম.ফ.ম  জাহিদুল ইসলাম, মিসবাহ উদ্দিন, এডভোকেট কামরুল কবির আজাদ, হেফাজ উদ্দিন, মোস্তাক আহমেদ, হুমায়ুন কবির খোকন, লায়ন আরিফ চৌধুরী, আনোয়ার ইসলাম মামুন গুরত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন। বর্তমানে পাঠাগারটি পরিচালনায় উপদেষ্টা, কার্যকরী ও সাধারণ পরিষদ নামের তিন স্তরের কার্যকর পরিষদ গঠন করেছে কতৃপক্ষ। যেখানে উপদেষ্টা হিসাবে রাখা হয়েছে স্হানীয় শিক্ষক, আইনজীবি, সংগঠক, বেসরকারি ও সরকারি  কর্মকর্তাসহ ৯ জন বিশেষ ব্যাক্তিকে। কার্যকরী পরিচালনা পরিষদের সদস্যসংখ্যা ২১। সাধারণ পরিষদে রাখা হয়েছে ১০০ জন সদস্য৷

এই পাঠাগারে প্রায় এক হাজার বই আছে৷ প্রতিদিন একটি পত্রিকা এবং মাসিক কয়েকটি ম্যাগাজিন রাখা হয়। বই আদান প্রদান রেজিস্টারে স্বাক্ষর করে বাড়িতে পড়ার সুযোগ রয়েছে এই পাঠাগারে৷ এলাকায় পাঠাগারকে কেন্দ্র করে বিভিন্ন সামাজিক, সাংস্কৃতিক, শিক্ষা, পরিবেশ রক্ষার কার্যক্রম চালায় কতৃপক্ষ। এর মধ্যে রয়েছে সাহিত্য আড্ডা, পাঠচক্র, বুক রিভিউ, চিত্র অঙ্কন, কুইজ, রচনা, কবিতা পাঠ, ৭ ই মার্চের ঐতিহাসিক ভাষণ ও সুন্দর হাতের লেখা প্রতিযোগিতা, ক্যারিয়ার অলিম্পিয়াড, ক্যারিয়ার গাইড লাইন, নারীর প্রতি সহিংসতা প্রতিরোধ ও প্রতিকার বিষয়ক কর্মশালা, সাইবার সিকিউরিটি, বাল্য বিবাহ প্রতিরোধ ও আইনি সহয়াতা বিষয়ক কর্মশালা, পরিবেশ রক্ষায় তারুণ্যের ভূমিকা শীর্ষক কর্মশালা, বৃক্ষ রোপণ ও বিতরণ, অভিভাবক সমাবেশ, বিনামূল্যে পাঠদান, গনস্বাক্ষর অভিযান, শিক্ষা উপকরণ বিতরণ, সহমর্মিতার ইদ উদযাপন, উপহারের মাধ্যমে ইদ শুভেচ্ছা বিনিময়, করোনা এবং রমজানে খাদ্য সামগ্রী বিতরণ, করোনায় ১৫০০ ব্যাক্তিকে বিনামূল্যে টিকার রেজিষ্ট্রেশন, মাস্ক ও অন্যান্য উপকরণ বিতরণ, বিখ্যাত কবি ও লেখকের জন্মজয়ন্তি উদযাপন, রক্তদান, বিভিন্ন জাতীয় আন্তর্জাতিক দিবস উপলক্ষে আলোচনা সভা ও র্যালী, কৃতি শিক্ষার্থী সংবর্ধনাসহ বিভিন্ন কার্যক্রম উল্লেখযোগ্য।

পাঠাভ্যাস গড়তে বিভিন্ন পুরস্কার দিয়ে উৎসাহিত করা হয় নতুন পাঠকদের

 

সইবার সিকিউরিটি, নারীর প্রতি সহিংসতা প্রতিরোধ ও প্রতিকার, জরুরি সেবার হটলাইন, পরিবেশ রক্ষা ও সচেতনতা এবং ক্যারিয়ার অলিম্পিয়াড প্রতিযোগিতার মাধ্যমে ৩৫০০ হাজার শিক্ষার্থীকে বিভিন্ন কার্যক্রমে অংশগ্রহনের সুযোগ করে দেওয়া হয়। এছাড়া খাদ্য সামগ্রী বিতরণ, শিক্ষা উপকরণ বিতরণন,অভিভাবক সমাবেসহ বিভিন্ন কর্মসূচির মাধ্যমে ১৫০০ হাজার ব্যাক্তিকে বিভিন্ন  সুবিধা প্রদান করা হয়। পরিবেশ রক্ষায় প্রায় ৮ হাজার গাছের চারা রোপণ ও বিতরণ করা হয়।

পাঠাগারের সার্বিক বিষয়ে কার্যকরী পরিচালনা পর্ষদের সভাপতি ম.ফ.ম. জাহিদুল ইসলাম বলেন, করোনায় শিক্ষাবিমুখী ও ঝড়ে পড়া শিক্ষার্থীদের শিক্ষার সুযোগ এবং এলাকায় শিক্ষার মান উন্নয়নের জন্য তরুণ শিক্ষিত প্রজন্মের কয়েকজন শিক্ষার্থী নিয়ে গড়ে তোলা হয় রাজাখালী উন্মুক্ত পাঠাগার। প্রতিষ্ঠার পর থেকে স্থানীয় বিভিন্ন অসাধু মহলের বিরোধিতা ও বাধার স্বত্বেও বিভিন্ন জনক্যালনমূলক কার্যক্রম এবং পাঠাগার পরিচালনা করে যাচ্ছে কতৃপক্ষ। এটাই তাদের সবথেকে বড় সার্থকতা। উপদেষ্টা পরিষদ ও সদস্যদের মাসিক চাঁদার মাধ্যমে এই উপকূলীয় অঞ্চলের প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর জীবনমান উন্নয়নে কাজ করে যাচ্ছে এই পাঠাগার।

পাঠাগারের কার্যকরী পরিষদের সাধারণ সম্পাদক জনাব মিনহাজুল ইসলাম বলেন, যেকোনো বয়সের নারী পুরুষ ভেদাভেদ ভুলে পাঠের অভ্যাস সৃষ্টিতে এই পাঠাগার গুরত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে। পাশাপাশি সবার সহযোগিতায় বিভিন্ন সহশিক্ষা কার্যক্রম পরিচালনা করার অদম্য ইচ্ছে তাদের।

;

রংপুরে ডেঙ্গুতে ৫৮ জন আক্রান্তের বিপরীতে মৃত্যু ১



স্টাফ করেসপনডেন্ট, বার্তা২৪.কম, রংপুর
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

রংপুর বিভাগে গত ২৪ ঘণ্টায় ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে আরও একজনের মৃত্যু হয়েছে। তিনি রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলেন। একই সময়ে ডেঙ্গু আক্রান্ত রোগী শনাক্ত হয়েছে ৫৮ জন। এ নিয়ে বিভাগে ডেঙ্গুতে মৃত্যুর সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৭ জনে। 

মঙ্গলবার (২৬ সেপ্টেম্বর) বিকেলে রংপুর বিভাগীয় স্বাস্থ্য পরিচালক ডা. এবিএম আবু হানিফ এ তথ্য নিশ্চিত করেন।

তিনি জানান, গত ২৪ ঘণ্টায় ৫৮ জন ডেঙ্গু আক্রান্ত রোগী শনাক্ত করা হয়েছে। এর মধ্যে রংপুরে ১৯, গাইবান্ধায় ১৭, কুড়িগ্রামে ১৪, নীলফামারীতে ৩, লালমনিরহাটে ৩, দিনাজপুরে ১ এবং ঠাকুরগাঁওয়ের ১ জন রয়েছে। 

রংপুর বিভাগের বিভিন্ন হাসপাতালসহ বাসাবাড়িতে ১৪৯ জন চিকিৎসাধীন রয়েছে। এর মধ্যে রংপুর মেডিকেল কলেজে ৩২, গাইবান্ধায় ২৮, কুড়িগ্রামে ১৯, নীলফামারীতে ১৮, দিনাজপুর ১৭, লালমনিরহাটে ১৫, ঠাকুরগাঁওয়ে ১১ এবং পঞ্চগড় জেলায় ৯ জন চিকিৎসাধীন রয়েছে। 

বিভাগীয় পরিচালক (স্বাস্থ্য) ডা. এবিএম আবু হানিফ বলেন, বর্তমানে ডেঙ্গুতে রংপুর ও গাইবান্ধায় বেশি রোগী শনাক্ত হচ্ছে। তবে হাসপাতালগুলোতে রোগীর খুব বেশি চাপ নেই। 

রমেক হাসপাতালের পরিচালক ডা. মোহাম্মদ ইউনুস আলী বলেন, এখন পর্যন্ত যারা ভর্তি রয়েছেন, তাদের যথাসাধ্য চিকিৎসাসেবা প্রদান করা হচ্ছে। ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত রোগীদের জন্য আলাদা ওয়ার্ড রয়েছে। আমরা সর্বোচ্চ সতর্কতায় চিকিৎসা কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছি। ডেঙ্গু রোগী শনাক্তে কীট সংকট নেই বলেও জানান তিনি।

;