দক্ষ মানবসম্পদ তৈরিতে শিক্ষাক্ষেত্রে উন্নয়ন করতে চান লিটন



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, রাজশাহী
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

আসন্ন রাজশাহী সিটি করপোরেশন (রাসিক) নির্বাচন উপলক্ষে ইশতেহার ঘোষণা করেছেন আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী ও সাবেক মেয়র এএইচএম খায়রুজ্জামান লিটন। ইশতেহারে দক্ষ মানবসম্পদ তৈরিতে শিক্ষাক্ষেত্রে উন্নয়নসহ ১০টি বিশেষ খাতে ১০৫টি কাজের প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন তিনি।

শনিবার (৩ জুন) রাজশাহী মেডিকেল কলেজ মিলনায়তনে এ প্রতিশ্রুতি দেন আওয়ামী লীগের এই প্রেসিডিয়াম সদস্য।

ঘোষিত ইশতেহারে বেকারত্ব হ্রাসের অংশ হিসেবে ব্যাপক কর্মসংস্থান, উদ্যোক্তা সৃষ্টিসহ অর্থনৈতিক-সামাজিক-মানবিক শান্তিময় ও সমৃদ্ধ মহানগরী গড়ে তোলার প্রত্যয় ব্যক্ত করেন মেয়র প্রার্থী। এছাড়াও নগরীকে সমগ্র বরেন্দ্র অঞ্চলভিত্তিক আকর্ষণীয় পর্যটন কেন্দ্র হিসেবে প্রতিষ্ঠা, শিক্ষা ও সংস্কৃতি সমৃদ্ধ নগরীর বিশেষত্ব অর্জন, ভৌগোলিক আয়তন ৯৬ বর্গকিলোমিটার থেকে ৩৫০ বর্গকিলোমিটারে সম্প্রসারণ ও শহরের পাশে জেগে ওঠা পদ্মার চরে রিভারসিটি নির্মাণ করতে চান তিনি।

লিটন বলেন, আমরা চতুর্থ শিল্পবিপ্লবের যুগে প্রবেশ করেছি। কৃত্রিম মেধা দিয়ে যন্ত্রের মাধ্যমে সকল কাজ সম্পাদন করার জন্য উন্নতবিশ্ব পরিকল্পনা করেছে। বাংলাদেশের মতো ঘনবসতিপূর্ণ দেশসমূহ থেকে উন্নত দেশগুলো কর্মী আহ্বান করে থাকে। কিন্তু ভারত, শ্রীলঙ্কা, ফিলিপাইন থেকে যে পরিমাণ শ্রম বিদেশে বিনিয়োগ হয়, বাংলাদেশ সেই সঙ্গে তাল মেলাতে পারছে না। কারণ, দক্ষমানবসম্পদ সৃষ্টির লক্ষ্যে শিক্ষাকে যুগোপযোগী করার ক্ষেত্রে আমাদের দৃষ্টিভঙ্গি পরিবর্তন করা জরুরি। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জেলায় জেলায় বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপন করেছেন, একটি দক্ষমানবসম্পদ সৃষ্টির লক্ষ্যে। আমাদের ভবিষ্যত প্রজন্ম বিশ্বপ্রতিযোগিতায় যেন পিছিয়ে না পড়ে তাই এই শিল্প বিপ্লবের সঙ্গে আমরাও সামিল হতে চাই। এই মহানগরীতে শিক্ষার বুনিয়াদ সমৃদ্ধ হলেও জনসংখ্যার অনুপাতে আরো প্রতিষ্ঠান ও সমন্বিত শিক্ষা চালু করতে আমি নিম্নোক্ত পরিকল্পনা ও প্রকল্প গ্রহণ করব।

খায়রুজ্জামান লিটন বলেন, সারাবিশ্ব করোনা মহামারিতে বিপর্যস্ত হয়ে আমাদের স্বাস্থ্য পরিসেবার সীমাবদ্ধতা ইঙ্গিত করে গেছে। বাংলাদেশের উত্তর ও দক্ষিণাঞ্চলের অনেক জেলা থেকেই চিকিৎসা নিতে মানুষ ছুটে আসেন এই শহরে। এই বিশাল জনপদের মানুষের আশা ভরসার স্থান রাজশাহী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল। এই ক্ষেত্রে দিন দিন চাপ বাড়ছে, চিকিৎসাসেবার প্রাতিষ্ঠানিক সম্প্রসারণ ও নতুন প্রতিষ্ঠান গড়ে তোলা সময়ের দাবি। চিকিৎসাব্যবস্থা উন্নত না করলে আধুনিক উন্নত চিকিৎসা নিতে মানুষ পার্শ্ববর্তী দেশ বা অন্যান্য দেশের উপর নির্ভরশীল হয়ে পড়ছে। অথচ প্রতিবছর এই নগরীর মেডিকেল কলেজসমূহ থেকে শত শত ডাক্তার এম.বি.বি.এস সনদ পাচ্ছেন। তাদের উচ্চশিক্ষা, গবেষণা ও বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক তৈরি করতে প্রাতিষ্ঠানিক সুবিধা প্রসারিত হয়নি। আমি দেশি ও বিদেশি সংস্থাকে সম্পৃক্ত করে এই খাতকে আরো সমৃদ্ধ করতে চাই। মানুষ যেন নিরাপদ ও পরিচ্ছন্ন পরিবেশ, নিরাপদ খাদ্য, নিরাপদ পানি এবং পরিসেবা পায় তার জন্য আমার সর্বোচ্চ প্রচেষ্টা অব্যাহত থাকবে। এই লক্ষ্যে স্বাস্থ্যসেবা খাতে বিভিন্ন কর্মসূচি গ্রহণ করা হবে।

আওয়ামী লীগ মনোনীত এই প্রার্থী বলেন, বাংলাদেশ সারাবিশ্বে উন্নয়নের রোল মডেল হিসেবে স্বীকৃতি অর্জন করেছে। ২০৪১ সালে উন্নত সমৃদ্ধ বাংলাদেশের অগ্রযাত্রায় সামিল হয়ে রাজশাহী মহানগরীকে যোগ্য অংশীদার হিসেবে গড়ে তুলতে চাই। সেই লক্ষ্যে আমার নির্বাচনী ইশতেহারে উন্নয়ন প্রকল্পের রূপরেখার প্রতি আপনাদের সমর্থন ও অংশগ্রহণ প্রত্যাশা করি। এই অঙ্গীকার সামনে নিয়ে আমি মেয়র পদপ্রার্থী। নিজেকে এই অঙ্গীকারের বিশ্বাসযোগ্য ও আস্থাভাজন বলে মনে করি। রাজশাহীর মহানগরীর সর্বাত্মক উন্নয়ন, পরিবেশ এবং সৌন্দর্য তার সাক্ষী। একই সঙ্গে আমার ধমনীতে বহন করি মহান মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম সিপাহসালার শহীদ এ.এইচ.এম কামারুজ্জামানের উত্তরাধিকার। আমি এই মাটিরই সন্তান। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী বঙ্গবন্ধুকন্যা দেশরত্ন জননেত্রী শেখ হাসিনার স্নেহধন্য এ.এইচ.এম খায়রুজ্জামান লিটন আপনাদের অকুণ্ঠ সমর্থন প্রত্যাশা করে। আমি বিশ্বাস করি রাজশাহীবাসী উন্নয়নের পক্ষে। তাই আসুন, আমরা মতভেদ ভুলে নগরীর উন্নয়নের স্বার্থে ঐক্যবদ্ধ হই। আগামী ২১ জুন ২০২৩ অনুষ্ঠিতব্য সিটি নির্বাচনে মেয়র পদে আমাকে নৌকা প্রতীকে ভোট দিয়ে পুনঃনির্বাচিত করে আপনিও হয়ে উঠুন মেগাসিটি বিনির্মাণ অভিযাত্রার গর্বিত অংশীদার। সকলের জন্য শুভকামনা। বিজয়ের অগ্রযাত্রায় আমরা এগিয়ে যাবো মিলিত পদক্ষেপে অনেক দূরে সমৃদ্ধির পথে।

ইশতেহার ঘোষণার শুরুতে মহান মুক্তিযুদ্ধের ৩০ লাখ শহীদ, দুই লক্ষাধিক সম্ভ্রম হারানো মা-বোন, সকল মুক্তিযোদ্ধা এবং জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও তার ঘনিষ্ঠ সহকর্মী শহীদ জাতীয় চারনেতাসহ শহীদ এ.এইচ.এম কামারুজ্জামান, শহীদ বঙ্গমাতা বেগম ফজিলাতুন্নেসা মুজিবসহ ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট বঙ্গবন্ধু পরিবারের সকল শহীদের প্রতি ও তৎপরবর্তী বাংলাদেশে ২১ বছর ধরে সামরিক স্বৈরাচার, মৌলবাদ, জঙ্গীবাদ বিরোধী, আগুনসন্ত্রাস বিরোধী দীর্ঘ গণতান্ত্রিক আন্দোলনে আত্মদানকারী অসংখ্য মহৎপ্রাণের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা নিবেদন করেন লিটন।

প্রসঙ্গত, শুক্রবার (২ জুন) প্রতীক বরাদ্দ পেয়েই প্রচারণায় নামে মেয়র ও কাউন্সিলর প্রার্থীরা। আগামী ২১ জুন ইভিএমের মাধ্যমে রাসিক নির্বাচনের ভোটগ্রহণ হবে। নির্বাচনে ভোটার সংখ্যা তিন লাখ ৫২ হাজার ১৫৭ জন। এর মধ্যে পুরুষ ভোটার এক লাখ ৭১ হাজার ১৮৫ জন। আর নারী ভোটার এক লাখ ৮০ হাজার ৯৭২ জন। এবার নতুন ভোটার ৩০ হাজার ১৫৭ জন। নগরীর মোট ১৫২টি ভোটকেন্দ্রের এক হাজার ১৭৩টি কক্ষে ভোটগ্রহণ করা হবে।

   

বান্দরবানে সেনা অভিযানে অস্ত্রসহ ৮ সন্ত্রাসী আটক



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, বান্দরবান
বান্দরবানে সেনা অভিযানে অস্ত্রসহ ৮ সন্ত্রাসী আটক

বান্দরবানে সেনা অভিযানে অস্ত্রসহ ৮ সন্ত্রাসী আটক

  • Font increase
  • Font Decrease

বান্দরবানে অভিযান চালিয়ে সশস্ত্র গোষ্ঠী কুকি-চিন ন্যাশনাল ফ্রন্টের (কেএনএফ) আরও ৮ সদস্যকে আটক করেছে সেনাবাহিনী।

মঙ্গলবার (১৬ এপ্রিল) বান্দরবান রিজিয়নের ১৬ ইস্ট বেঙ্গলের ধুপানিছড়া পাড়া এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাদের আটক করা হয়। অভিযানে নেতৃত্ব দেন সুংসাং পাড়া আর্মি ক্যাম্পের মেজর রাজীব।

আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদফতরের (আইএসপিআর) এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে সকালে সেনাবাহিনীর বান্দরবান রিজিয়নের অন্তর্গত ১৬ বেঙ্গল কর্তৃক ধুপানিছড়া পাড়া এলাকায় সুংসুংপাড়া আর্মি ক্যাম্পের মেজর রাজীবের নেতৃত্বে একটি টহল দল অভিযান পরিচালনা করে। কেএনএফ সন্ত্রাসীদের অবস্থানের খবরের পরিপ্রেক্ষিতে এ অভিযান চালানো হয়। পরে সেনা সদস্যদের অভিযানে অস্ত্র ও গোলাবারুদসহ আটজন সন্ত্রাসীকে আটক করা হয়।

আটক সন্ত্রাসীদের কাছ থেকে নয়টি এলজি, ১৯টি এলজি কার্তুজ, দুটি মোবাইল ফোন এবং দুটি আইডি কার্ড জব্দ করা হয়েছে।

এদিকে, বান্দরবানে সন্দেহভাজন কেএনএফ'র এক সদস্যকে কারাগারে পাঠিয়েছেন আদালত। সোমবার (১৫ এপ্রিল) বিকেলে বান্দরবানের চিফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে হাজির করা হলে বিচারক মাইসুমা সুলতানা তাকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।

সন্দেহভাজন কেএএনএফ সদস্য হলো হাও লিয়ান বম (৬৭)। তিনি বান্দরবান সদরের লাইমিপাড়া এলাকার বাসিন্দা।

এ পর্যন্ত মোট ৬২ জন কেএনএফ সদস্য ও একজন চাঁদের গাড়ির চালকসহ মোট ৬৩ জনকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।

বান্দরবানের রুমা ও থানচিতে প্রকাশ্যে ব্যাংক লুটের পর বিশেষ ক্ষমতা আইন ১৯৭৪ ও সন্ত্রাস বিরোধী আইন ২০০৯ এর বিভিন্ন ধারায় এ পর্যন্ত ৯টি মামলা দায়ের করা হয়েছে।

;

বিদেশে কর্মী প্রেরণে রিক্রুটিং এজেন্সিকে মানবিক হওয়ার আহ্বান প্রতিমন্ত্রীর



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

বিদেশে কর্মী প্রেরণে রিক্রুটিং এজেন্সিকে অবশ্যই মানবিক দিক বিবেচনা করতে হবে। বিদেশে বাংলাদেশের ভাবমূর্তি যেন আরও উজ্জ্বল হয় তা বিবেচনা করে দক্ষ কর্মী প্রেরণ করতে সবাইকে উদ্যোগী হতে হবে বলে মন্তব্য করেছেন প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী শফিকুর রহমান চৌধুরী।

মঙ্গলবার (১৬ এপ্রিল) প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে বিদেশে কর্মরত বাংলাদেশি শ্রমিক/কর্মীদের ন্যূনতম বেতন-ভাতা ও অন্যান্য বিষয় সম্পর্কিত আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন।

বায়রা এ মন্ত্রণালয়ের প্রধান অংশীজন জানিয়ে শফিকুর রহমান চৌধুরী বলেন, আপনারা বিভিন্ন দেশে বাংলাদেশি কর্মীদের ন্যূনতম বেতন কাঠামো সংক্রান্ত বিষয়ে যৌক্তিক প্রস্তাব প্রেরণ করবেন। ন্যূনতম বেতনের বিষয়ে মন্ত্রণালয় কার্যকর সিদ্ধান্ত গ্রহণ করবে। পাশাপাশি, আমরা আরও কম অভিবাসন ব্যয়ে কর্মী প্রেরণ করতে চাই।

প্রতিমন্ত্রী বলেন, বিদেশে কর্মী প্রেরণের মাধ্যমে বৈদেশিক মুদ্রা অর্জনে মন্ত্রণালয়ের সাথে বায়রাকে একসূত্রে কাজ করতে হবে। প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয় ও এর অংশীজনবৃন্দ সমন্বিতভাবে কাজ করলে মন্ত্রণালয়ের সুনাম আরও বৃদ্ধি পাবে। সবার সম্মিলিত প্রচেষ্টায় আমরা দ্রুত সময়ে একটি স্মার্ট মন্ত্রণালয় তৈরি করতে পারবো।

তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী দক্ষ কর্মী পাঠানোর নির্দেশনা প্রদান করেছেন। এ লক্ষ্যে আমাদের কারিগরি প্রশিক্ষণ কেন্দ্রসমূহে আধুনিক ও যুগোপযোগি যন্ত্রপাতি স্থাপনের ব্যবস্থা করা হচ্ছে।

প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. রুহুল আমিন, জনশক্তি কমর্সংস্থান ও প্রশিক্ষণ ব্যুরোর মহাপরিচালক সালেহ আহমদ মোজাফফর, ওয়েজ আর্নার্স কল্যাণ বোর্ডের মহাপরিচালক মো. হামিদুর রহমান, বোয়েসেলের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ড. মল্লিক আনোয়ার হোসেন, বায়রার মহাসচিব মো. আলী হায়দার চৌধুরী প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

;

৪৬তম বিসিএস পরীক্ষায় ১০৬ নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট নিয়োগ



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: বার্তা ২৪.কম

ছবি: বার্তা ২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

৪৬তম বিসিএস প্রিলিমিনারি টেস্ট (এমসিকিউ টাইপ) পরীক্ষা চলাকালে কেন্দ্রের ভেতরের ও বাইরের শৃঙ্খলা রক্ষার্থে ১০৬ জন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট নিয়োগ দিয়েছে সরকার। আগামী ২৬ এপ্রিল সকাল ১০টা থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত এ পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে।

মঙ্গলবার (১৬ এপ্রিল) জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় থেকে এ সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়েছে।

এতে বলা হয়, আগামী ২৬ এপ্রিল সকাল ১০টা থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত ৪৬তম বিসিএস প্রিলিমিনারি টেস্ট (এমসিকিউ টাইপ) পরীক্ষা ঢাকার ৯৬টি কেন্দ্রে একযোগে অনুষ্ঠিত হবে। পরীক্ষা চলাকালে কেন্দ্রের ভেতরের ও বাইরের শৃঙ্খলা রক্ষার্থে ঢাকার ৯৬টি পরীক্ষা কেন্দ্রের প্রতিটির জন্য একজন করে এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট নিয়োগ দেওয়া হলো।

পাশাপাশি বাংলাদেশ সরকারি কর্ম কমিশন সচিবালয়ের কন্ট্রোল রুমে অতিরিক্ত আরও ১০ জন বিসিএস (প্রশাসন) ক্যাডারের কর্মকর্তাকে এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেটের ক্ষমতা অর্পণ করে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে।

প্রজ্ঞাপনে আরও বলা হয়, ঢাকার কেন্দ্রগুলোর জন্য নিয়োগ করা এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেটদের আগামী ২৩ এপ্রিল বেলা ১১টায় বাংলাদেশ সরকারি কর্ম কমিশন ভবনে অনুষ্ঠিত ব্রিফিং সেমিনারে উপস্থিত হওয়ার জন্য নির্দেশনা দেওয়া হলো। পাশাপাশি পরীক্ষার দিন অর্থাৎ ২৬ এপ্রিল বাংলাদেশ সরকারি কর্ম কমিশন সচিবালয়ে রিপোর্ট করার জন্য নির্দেশনা দেওয়া হলো।

;

দেশের উন্নয়ন-শান্তির জন্য ঐক্যবদ্ধ হতে হবে- সাংগ্রাই উৎসবে পার্বত্য প্রতিমন্ত্রী



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

পার্বত্য চট্টগ্রামবিষয়ক প্রতিমন্ত্রী কুজেন্দ্র লাল ত্রিপুরা, এমপি বলেছেন, দেশের শান্তি ও উন্নয়নের জন্য, মানুষের কল্যাণের জন্য আমাদের সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে।

তিনি বলেন, আমরা পুরনো বছরকে বিদায় জানিয়ে নতুন বছরের জন্য আমাদের শপথ হবে, বাংলাদেশের মানুষের কল্যাণে ও দেশের উন্নয়নে যেন আমরা প্রত্যেকে বিশেষ ভূমিকা রাখতে পারি।

তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধু কন্যা প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার পার্বত্য চট্টগ্রামে শান্তি ও উন্নয়নের জন্য আলাদা বিশেষ দৃষ্টিভঙ্গি থাকার কারণে পার্বত্য চট্টগ্রামে এরকম অভূতপূর্ব উন্নয়ন সাধিত হয়েছে।

মঙ্গলবার (১৬ এপ্রিল) রাঙামাটি মারি স্টেডিয়াম মাঠে মারমা সংস্কৃতি সংস্থা (মাসস) আয়োজিত মারমা সম্প্রদায়ের ঐতিহ্যবাহী সাংগ্রাই উৎসবের জলকেলি উদ্বোধন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে পার্বত্য চট্টগ্রামবিষয়ক প্রতিমন্ত্রী কুজেন্দ্র লাল ত্রিপুরা, এমপি এসব কথা বলেন। পার্বত্য চট্টগ্রামবিষয়ক জনসংযোগ কর্মকর্তা, মো. রেজুয়ান খানের সংবাদমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে এ তথ্য জানানো হয়।

বিবৃতিতে জানানো হয়, জলকেলি উৎসব অনুষ্ঠানের উদ্বোধক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন রাঙামাটির সংসদ সদস্য এবং পরিবেশ, বন ও জলবায়ুবিষয়ক সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি দীপংকর তালুকদার, এমপি। এ অনুষ্ঠানে গেস্ট অব অনার হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ সরকারের অর্থ প্রতিমন্ত্রী ওয়াশিকা আয়েশা খান, এমপি।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে পার্বত্য প্রতিমন্ত্রী কুজেন্দ্র লাল ত্রিপুরা, এমপি বলেন, বৈসাবি একটি সামাজিক, সাংস্কৃতিক ও ধর্মীয় অনুষ্ঠান। বৈসাবি উৎসব পার্বত্য চট্টগ্রামে নতুন নয়। যুগ যুগ ধরে চলে আসছে এ উৎসব। এটা শুধু সাংস্কৃতিক উৎসবই নয়, এটাতে ধর্মীয় অনুভুতিও জড়িত।

তিনি বলেন, এদিন বয়োঃজ্যেষ্ঠদের কাছ থেকে আশীর্বাদ চাওয়া হয়। তাই, এটি সামাজিক ও সাংস্কৃতিক উৎসবের পাশাপাশি ধর্মীয় উৎসবও।

বঙ্গবন্ধুর চিন্তাধারার কথা উল্লেখ করে তিনি আরো বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বপ্ন ছিল, সব ভাষাভাষী ও সব ধর্মের লোক সম্প্রীতির ঐক্যের বন্ধনে একই ছাতার নিচে বসবাস করবেন। তাঁরই সুযোগ্য কন্যা বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নিরন্তর কাজ করে চলেছেন। লক্ষ্য একটাই- বাংলাদেশের জাতি, সব ভাষাভাষী গোষ্ঠী, ধর্ম ও সম্প্রদায়ের মধ্যে যেন ঐক্যের বন্ধন সৃষ্টি হয়। শেখ হাসিনার নেতৃত্বে সেই স্বপ্ন বাস্তবায়ন হচ্ছে।

প্রতিমন্ত্রী কুজেন্দ্র লাল ত্রিপুরা বলেন, রাঙামাটিতে আজকের এই জলকেলি উৎসব অনুষ্ঠান প্রমাণ করে আমরা শান্তি চাই! সম্প্রীতি চাই! ঐক্য চাই! তাই, দেশের কল্যাণে যা যা করা প্রয়োজন, সবাইকে স্ব স্ব অবস্থান থেকে সে কাজ করতে হবে।

পার্বত্য চট্টগ্রামকে বাংলাদেশের উন্নয়নের মূল স্রোতধারার সঙ্গে শামিল করার ক্ষেত্রে সবাইকে অনন্য ভূমিকা রাখার প্রতিও আহ্বান জানান পার্বত্য প্রতিমন্ত্রী কুজেন্দ্র লাল।

সাংগ্রাই উৎসবের শুরুতেই প্রধান অতিথি ও বিশেষ অতিথিরা মারমা তরুণ-তরুণীদের গায়ে পানি ছিটিয়ে জলকেলির সূচনা করেন। জলকেলির পর বিভিন্ন এলাকা থেকে আসা মারমা শিল্পীদের পরিবেশনায় সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়।

রাঙামাটি পার্বত্য জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান ও মারমা সংস্কৃতি সংস্থা (মাসস) সভাপতি অংসুইপ্রু চৌধুরীর সভাপতিত্বে এসময় অন্যান্যের মধ্যে সংরক্ষিত নারী সংসদ সদস্য জ্বরতী তঞ্চঙ্গ্যা, পার্বত্য প্রতিমন্ত্রী’র সহধর্মিনী প্রধান শিক্ষক মল্লিকা ত্রিপুরা, পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ডের ভাইস চেয়ারম্যান হারুন অর রশিদ, রাঙামাটি রিজিয়ন কমান্ডার ব্রিগেডিয়ার সোহেল আহমেদ, বিজিবি রাঙামাটি সদর সেক্টর কমান্ডার কর্নেল মো. আনোয়ার লতিফ খান, রাঙামাটির জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মোশারফ হোসেন খান, রাঙামাটির পুলিশ সুপার মীর আবু তৌহিদ, বিপিএম (বার), রাঙামাটি সদর পৌর মেয়র আকবর হোসেন চৌধুরী, দুদক রাঙামাটির উপপরিচালক জাহিদ কামাল প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

গেস্ট অব অনার হিসেবে বক্তব্য দিতে গিয়ে অর্থ প্রতিমন্ত্রী ওয়াশিকা আয়েশা খান, এমপি বলেন, পার্বত্য অঞ্চলের ঐতিহ্যবাহী উৎসব সাংগ্রাইয়ের সম্প্রীতি ও সৌহার্দ্যবোধ ও স্থিতিশীল পরিবেশ সৃষ্টির মাধ্যমে পাহাড়ে সবাই যেন ভালো থাকেন।

জলকেলি উৎসব উদ্বোধন করতে গিয়ে রাঙামাটির সংসদ সদস্য এবং পরিবেশ, বন ও জলবায়ুবিষয়ক সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি দীপংকর তালুকদার, এমপি বলেন, সাংগ্রাই উৎসব শুধু মারমা সম্প্রদায়ের নয়, এই উৎসব সবার। এ উৎসব এ এলাকায় বসবাসরত সব সম্প্রদায়ের উৎসবে পরিণত হয়েছে।

তিনি বলেন, মারমা সম্প্রদায়ের মানুষেরা পুরনো বছরকে বিদায় আর নতুন বছরকে স্বাগত জানাতে সাংগ্রাইয়ের এই জলকেলি উৎসব উদযাপন করেন। মারমা তরুণ-তরুণীরা এই জলকেলি উৎসবের মাধ্যমে একে অপরকে পানি ছিটিয়ে পুরনো বছরের গ্লানি, দুঃখ, অপশক্তিকে দূর করে ধুয়ে-মুছে নতুন বছরকে স্বাগত জানান।

;