বুধবার থেকে মেট্রোরেল চলবে ১২ ঘণ্টা



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

যাত্রীদের সুবিধার্থে বুধবার থেকে মেট্রোরেল নতুন সময়সূচিতে চলবে। এদিন থেকে সকাল ৮টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত চলবে মেট্রোরেল।

ঢাকা ম্যাস ট্রানজিট কোম্পানি লিমিটেড (ডিএমটিসিএল) ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) এম এ এন সিদ্দিক এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানান, এখন মেট্রোর সাপ্তাহিক ছুটি মঙ্গলবার হলেও নতুন সময়সূচিতে শুক্রবারে বন্ধ থাকবে।

মেট্রোরেলের উত্তরা উত্তর স্টেশন থেকে আগারগাঁও পর্যন্ত এ সময়সূচি কার্যকর হবে বলে জানানো হয়েছে।

নতুন সময় অনুযায়ী সকাল ৮টা থেকে বেলা ১১টা পর্যন্ত ‘পিক আওয়ার’ হিসেবে বিবেচনা করে প্রতি ১০ মিনিট পর পর মেট্রো ছাড়বে। বেলা ১১টার পর থেকে ১৫ মিনিটের ব্যবধানে মেট্রো ছাড়বে বিকেল ৩টা পর্যন্ত। পরবর্তী ৩ ঘণ্টা আবারও ১০ মিনিট পর পর স্টেশন ছাড়বে মেট্রো রেল। সন্ধ্যা ৬টা এক মিনিট থেকে ‘নন পিক আওয়ার’ ধরে ১৫ মিনিট পরপর মেট্রো চলবে রাত ৮টা পর্যন্ত।

গত বছর ২৮ ডিসেম্বর ঢাকার প্রথম মেট্রোরেল চালু হয়েছে। শুরু থেকে সীমিত সময় চলাচল করছে। ডিএমটিসিএল কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, আগামী জুলাইয়ে আগারগাঁও থেকে মতিঝিল অংশে পরীক্ষামূলকভাবে মেট্রোরেল চালানো হবে। ডিসেম্বর নাগাদ পুরো পথে যাত্রী নিয়ে চলাচল শুরু হতে পারে। তখন হয়তো দিনে ১৬ ঘণ্টা পর্যন্ত মেট্রোরেল চলাচল করবে। পর্যায়ক্রমে তা ২৪ ঘণ্টায় সম্প্রসারণ করা হবে।

   

জলবায়ু পরিবর্তনে অস্তিত্বের সংকটে বরিশাল



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট বার্তা২৪.কম, বরিশাল
জলবায়ু পরিবর্তনে অস্তিত্বের সংকটে বরিশাল

জলবায়ু পরিবর্তনে অস্তিত্বের সংকটে বরিশাল

  • Font increase
  • Font Decrease

জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে বরিশাল শহরের বছরে (জীবন, জীবিকা ও সম্পদের) ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ প্রায় ৮০ কোটি টাকা। যা মোট মূল্য সংযোজন উৎপাদনের ৭ শতাংশ। এরমধ্যে সবচেয়ে বড় হচ্ছে আপদ মৌসুমী বন্যা ও ঘুর্ণিঝড়। এখনই কার্যকর উদ্যোগ গ্রহণ করা না হলে আগামী ২০৫০ সাল নাগাদ বছরে গড়ে ক্ষয়ক্ষতির পরিমান দাঁড়াবে ১৩০ মিলিয়ন ডলার।

সম্প্রতি সময়ে জীবাশ্ম জ্বালানি খাতে বিনিয়োগ বন্ধ এবং জলবায়ু পরিবর্তনে ক্ষতিগ্রস্তদের জন্য ক্ষতিপূরণের দাবিতে বেসরকারি উন্নয়ন সংগঠন প্রান্তজন, উপকূলীয় জীবনযাত্রা ও পরিবেশ কর্মজোট-ক্লিন ও এশিয়ান পিপলস মুভমেন্ট অন ডেট অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট-এপিএমডিডি যৌথভাবে বরিশালে প্রতিবাদ সমাবেশে বক্তারা এসব কথা বলেন।

জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবেলায় কার্বন নিঃসরণ কমানোর ক্রমাগত মিথ্যা প্রতিশ্রুতি দেয়া উন্নত দেশ ও প্রতিষ্ঠানগুলোর সমালোচনা করে তরুণ জলবায়ু কর্মীরা বলেন, জলবায়ু পরিবর্তনের বিপর্যয়কর প্রভাবের কারণে বিশ্ব এখন একটি সংকটপূর্ণ সময় পার করছে। উন্নত দেশগুলোকে প্যারিস জলবায়ু চুক্তি মেনে বৈশ্বিক তাপমাত্রা বৃদ্ধি ১.৫ ডিগ্রিতে সীমাবদ্ধ রাখতে হবে। পাশাপাশি বহুজাতিক প্রতিষ্ঠানগুলোকে জীবাশ্ম জ্বালানির ব্যবসায় বিনিয়োগ না করে কার্বন নিঃসরণ হ্রাসে এখনই উদ্যোগী হতে হবে।

ইয়ুথনেট ফর ক্লাইমেট জাস্টিসের বরিশালের জেলা সমন্বয়কারী মো. সিয়াম সিকদার বলেন, ‘আমরা বৈশ্বিক উষ্ণায়নের বদলে যে সেদ্ধ হওয়ার যুগে প্রবেশ করেছি সেই আগুনে আর জীবাশ্ম জ্বালানি ঢালা যাবে না। জীবাশ্ম জ্বালানির যুগ শেষ হয়ে গেছে, আর নবায়নযোগ্য জ্বলানির উপরেই নির্ভর করছে আমাদের ভবিষ্যৎ।

বিশ্ব উষ্ণায়ণ ও ভৌগলিক কারণে বরিশাল জেলা ও নগর জলবায়ু পরিবর্তন জনিত বিরূপ প্রভাবের শিকার হচ্ছে। এ প্রভাবে সরাসরি এখানে বসবাসকারী মানুষ ও আশেপাশের পরিবেশকে চরমভাবে ঝুঁকিপূর্ণ করে তুলছে। এছাড়াও দৈনন্দিন স্বাভাবিক জীবনযাত্রাকেও ব্যহত করছে। 

জলবায়ু পরিবর্তন জনিত কারণে সৃষ্ট সমস্যা সমূহ হচ্ছে-কীর্তনখোলা নদীতে লবনাক্ততা বৃদ্ধি, নদী ভাঙণের কারনে দারিদ্রতা ও বাস্তুচ্যুতি, সুপেয় পানির সংকট, অত্যাধিক গরম, অসময়ে অতিবৃষ্টি ও অনাবৃষ্টি, জলবায়ু উদ্বাস্তু জনগোষ্ঠীর সংখ্যা বৃদ্ধি, উপকূলীয় অঞ্চলে পানির উচ্চতা বৃদ্ধি, দারিদ্রতা, বেকারত্ব, বাল্যবিবাহ, অপুষ্টি ও পানিবাহিত রোগের বৃদ্ধি প্রভৃতি। 

স্থানীয় অভিযোজনের উপর বিনিয়োগ বাড়ানোর পাশাপাশি তাদের দীর্ঘমেয়াদী রুপকল্প তুলে ধরে সমাধানের পথ হিসেবে নগরীর ড্রেনেজ সিস্টেমের উন্নয়ন, বন্যা সহনশীল বাড়ি নির্মাণ, খাল খনন, বন্যা সহনশীল শস্যের প্রচার, বাঁধ নির্মাণ, আগাম সর্তকবার্তা প্রদান, বৃষ্টির পানি সংরক্ষণ, কঠিন বর্জ্য ব্যবস্থাপনা করা প্রয়োজন।  

যুব উন্নয়ন অধিদপ্তর বরিশালে সহকারী পরিচালক প্রিন্স বাহাউদ্দিন তালুকদার বলেন, ‘উন্নত দেশে বিলাসী জীবনের দায় আমাদের নিতে হচ্ছে, কারণ পৃথিবী একটাই। আমরা সবাই মানুষ একই আলো-বাতাসে লালিত হই। তাই এ বায়ুকে যারা দূষিত করে তাদের এর দায় নিতে হবে। অদূর ভবিষ্যতে জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব সম্পর্কে এখনই সচেতন পদক্ষেপ না নিলে পৃথিবী হতে পারে জীবনের অস্তিত্ব শূন্য।

ক্লিন-এর প্রধান নির্বাহী হাসান মেহেদী বলেন, ‘বাতাসে কার্বন নির্গমনের ৭২ শতাংশই আসে জীবাশ্ম জ্বালানি থেকে। তাই কার্বন নির্গমন কমানোর জন্য কয়লা, গ্যাস ও জ্বালানি তেলে উন্নত দেশগুলোর বিনিয়োগ বন্ধ করতে হবে। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্যসহ ৪০টি দেশ জীবাশ্ম জ্বালানিতে বিনিয়োগ করবে না বলে প্রতিশ্রুতি দিয়েছে। কিন্তু জার্মানি, জাপান, চীন, অস্ট্রিয়া, অস্ট্রেলিয়া, দক্ষিণ কোরিয়া, বেলজিয়ামের মতো দেশগুলো জীবাশ্ম জ্বালানিতে বিনিয়োগ বন্ধ করার কোনো প্রতিশ্রুতি দেয়নি।’

এপিএমডিডির সমন্বয়কারী লিডি ন্যাকপিল বলেন, ‘২০টি দেশ ও কয়েকটি ব্যাংক ২০২২ সাল নাগাদ জীবাশ্ম জ্বালানিতে বিনিয়োগ বন্ধ করার সিদ্ধান্ত নিলেও ২০৩০ সালের মধ্যে যদি জীবাশ্ম জ্বালানিভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্র বন্ধ না করে তাহলে পৃথিবীর উষ্ণায়ন ১.৫ ডিগ্রির মধ্যে সীমাবদ্ধ রাখা যাবে না।’ 

জলবায়ু পরিবর্তনে অস্তিত্বের সংকটে বরিশাল 

বাংলাদেশে কর্মরত জাতিসংঘ ও তাদের উন্নয়ন অংশীদারি সংস্থার একটি যৌথ প্রতিনিধিদল বরিশাল ও খুলনা অঞ্চল সফর করেছে । দলটি জেন্ডার সমতা ও নারীর ক্ষমতায়ন নিশ্চিতকল্পে অধিকতর কর্মসূচি নেওয়ার প্রয়োজনীয়তা তুলে ধরে। সাম্প্রতিক সময়ে জেন্ডার সমতা অর্জনে বাংলাদেশ উল্লেখযোগ্য সাফল্য অর্জন করলেও জলবায়ু পরিবর্তনের ব্যাপক প্রভাবের কারণে খুলনা ও বরিশাল অঞ্চলে বসবাসরত নারীরা অনেক সামাজিক ও অর্থনৈতিক বাধার সম্মুখীন হচ্ছেন।

এই সফর নিয়ে বাংলাদেশে জাতিসংঘের আবাসিক সমন্বয়কারী গোয়েন লুইস বলেন, ‘বাংলাদেশে নারীর ক্ষমতায়নে নানা অগ্রগতি হওয়া সত্ত্বেও আমরা খুলনা এবং বরিশালের প্রান্তিক নারী ও কিশোরীদের কাছ থেকে তাদের সমস্যার কথা শুনেছি। তারা প্রতিনিয়ত বিভিন্ন সামাজিক, অর্থনৈতিক ও পরিবেশগত বাধার মুখোমুখি হচ্ছে। যা নারীর ক্ষমতায়ন এবং জেন্ডার-ভিত্তিক সহিংসতা দূর করার ক্ষেত্রে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করে। এক্ষেত্রে, নারী ও মেয়েদের উন্নয়নে আরও কাজ করা প্রয়োজন। সেই সঙ্গে উন্নয়নে নারীদের সমান অংশীদার করতে হবে।’

এ ব্যাপারে বরিশালের জেলা প্রশাসক শহীদুল ইসলাম বলেন, ‘জলবায়ু পরিবর্তনে নদীভাঙন, ঘূর্ণিঝড়, বজ্রপাতের মতো দুর্যোগের শিকার হয়ে মানুষ অভিবাসনে ধাবিত হচ্ছে। কৃষিতে লবণাক্ততা এবং বজ্রপাত এ অঞ্চলের এখন বড় ধরনের সমস্যা। অভিবাসনের কথা মাথায় রেখে প্রকল্পে পরিবর্তন এনেছে সরকার। অভিবাসনে পড়া গৃহহীনরা ঘর পাচ্ছে। কিন্তু অভিবাসনে পড়া মানুষ মধ্যস্বত্বভোগীদের কবলে পড়ে বিপাকে পড়ছেন। অতিরিক্ত বৃষ্টির জন্য যে মৌসুমী বন্যা, ঘুর্নিঝড় ও নদী ভাঙন হচ্ছে এতে বরিশালের মানুষ চরমভাবে ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছে। আগামী দিনগুলোর জন্য আমাদের সচেতনতা জরুরী। আন্তর্জাতিক ও জাতীয় পর্যায়ে জলবায়ু পরিবর্তনের যে প্রভাব পরছে তা মোকাবিলায় আমাদের উদ্যোগী হতে হবে।

;

রাজধানীতে মাদকবিরোধী অভিযানে গ্রেফতার ৫৬



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় মাদকবিরোধী অভিযানে মাদক বিক্রি ও সেবনের অভিযোগে ৫৬ জনকে গ্রেফতার করেছে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) বিভিন্ন অপরাধ ও গোয়েন্দা বিভাগ।

ডিএমপির নিয়মিত মাদক বিরোধী অভিযানের অংশ হিসেবে রোববার (১ অক্টোবর) সকাল ছয়টা থেকে আজ সোমবার সকাল ছয়টা পর্যন্ত রাজধানীর বিভিন্ন থানা এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাদেরকে গ্রেফতার করা হয়।

এ সময় তাদের কাছ থেকে ৩৯ গ্রাম ১৩৫ পুরিয়া হেরোইন, ২ হাজার ৯০৭ পিস ইয়াবা, ১১৪ কেজি ২৫০ গ্রাম গাঁজা ও ৫০০ বোতল ফেনসিডিল উদ্ধারমূলে জব্দ করা হয়।

গ্রেফতারকৃতদের বিরুদ্ধে সংশ্লিষ্ট থানায় মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে ৪০টি মামলা রুজু হয়েছে।

;

বাড়ল এইচএসসির ব্যবহারিক পরীক্ষার সময়



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

উচ্চমাধ্যমিক সার্টিফিকেট (এইচএসসি) ব্যবহারিক পরীক্ষার সময় বাড়ানো হয়েছে। নতুন ঘোঘণা অনুযায়ী ৮ অক্টোবর পর্যন্ত চলবে ব্যহারিক পরীক্ষা ।

রোববার (১ অক্টোবর) ঢাকা শিক্ষা বোর্ডের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক অধ্যাপক মো. আবুল বাশার স্বাক্ষরিত অফিস আদেশ থেকে এ তথ্য জানা যায়।

এতে বলা হয়, বিদ্যমান সময়সূচি অনুযায়ী ব্যবহারিক পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা ছিল গত ২৬ সেপ্টেম্বর থেকে ৪ অক্টোবর পর্যন্ত। পরিবর্তিত সময়সূচি অনুযায়ী ২৬ সেপ্টেম্বর থেকে ৮ অক্টোবর পর্যন্ত ব্যবহারিক পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে।

নির্দেশনায় বলা হয়েছে, ৯ অক্টোবরের মধ্যে ব্যবহারিক নম্বর অনলাইনে এন্ট্রি করে ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা অথবা তার প্রতিনিধিকে হাতে হাতে ব্যবহারিক পরীক্ষার উত্তরপত্র, স্বাক্ষরলিপি ও অন্যান্য কাগজপত্র রোল নম্বরের ক্রমানুসারে সাজিয়ে বোর্ডের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রকের নির্দেশনা অনুযায়ী জমা দিতে হবে।

আটটি সাধারণ শিক্ষাবোর্ডে চলতি বছরের এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষা শুরু হয় ১৭ আগস্ট। আর প্রাকৃতিক দুর্যোগের কারণে স্থগিত বাকি তিন শিক্ষা বোর্ডের (চট্টগ্রাম, কারিগরি ও মাদরাসা) পরীক্ষা শুরু হয় ২৭ আগস্ট।

;

রাজবাড়ী-ঢাকা রুটে বাস চলাচল বন্ধ



সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, রাজবাড়ী
রাজবাড়ী-ঢাকা রুটে বাস চলাচল বন্ধ

রাজবাড়ী-ঢাকা রুটে বাস চলাচল বন্ধ

  • Font increase
  • Font Decrease

আবারও রাজবাড়ী-ঢাকা রুটে অনির্দিষ্টকালের জন্য বাস চলাচল বন্ধ ঘোষণা করেছে রাজবাড়ী পরিবহন মালিক সমিতি। ফরিদপুরের করিম গ্রুপের মালিকানাধীন গোল্ডেন লাইন পরিবহনের সাথে দ্বন্দ্বের কারণেই তারা এই সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছেন বলে জানা গেছে।

সোমবার (২ অক্টোবর) ভোর থেকে রাজবাড়ী-ঢাকা রুটে হঠাৎ বাস চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। এতে বিপাকে পড়েছেন সাধারণ যাত্রীরা।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক সূত্র জানায়, রাজবাড়ীর কোনো বাস পদ্মা সেতু দিয়ে ঢাকা যায় না। কিন্তু গোল্ডেন লাইন পদ্মা সেতু হয়ে ঢাকা যায়। এছাড়া গোল্ডেন লাইন রাজবাড়ীর পরিবহন মালিকদের সাথে আলোচনা না করে তারা নিজেদের মতন ট্রিপ পরিচালনা করছিলেন। এতে প্রথমে তাদের বাঁধা দেওয়ায় তারা ঢাকার গাবতলীতে আমাদের কাউন্টার গুলোতে ভাঙচুর করে। পরে আমরা ঢাকার বাস-ট্রাক ওনার্স এসোসিয়েশনের সাথে আলোচনা করে বিষয়টির সুরহা করেছিলাম।

এরপর সিদ্ধান্ত আসে গোল্ডেন লাইন রাজবাড়ীতে দুইটি ট্রিপ চালাবে। কিন্তু তারা সিদ্ধান্তের বাইরে গিয়ে একাধিক ট্রিপ চালাচ্ছিলো। তাই গত শুক্রবার আমরা বাস মালিক সমিতির সামনে থেকে গোল্ডেন লাইনের একটি বাস যাত্রী নামিয়ে ঢাকা ফেরত পাঠায়।এতেই তাদের সাথে আমাদের আবার দ্বন্দ্ব বেঁধে যায়।

তারা আরো বলেন, গোল্ডেন লাইন পরিবহনের সাথে দ্বন্দ্ব আমাদের নতুন নয়। এর আগেও গোল্ডেন লাইন পরিবহনের সাথে ঝামেলার কারণে বাস চলাচল বন্ধ ছিল। তারপর রাজবাড়ী জেলা প্রশাসক ও পুলিশ সুপারের সাথে আমরা আলোচনা করে ও ঢাকার বাস-ট্রাক ওনার্স এসোসিয়েশনের সাথে বসে বিষয়টি মিমাংসা করেছিলাম। কিন্তু তারপরও গোল্ডেন লাইন তাদের ইচ্ছামতন ট্রিপ চালাচ্ছে।এতে আমাদের ব্যবসার মারাত্বক ক্ষতি হচ্ছে।

এদিকে ঢাকা-রাজবাড়ী রুটে হঠাৎ পরিবহন বন্ধ থাকায় যাত্রীরা কাউন্টারের এসে ফেরত যাচ্ছেন। অনেক যাত্রীরা ভোগান্তিতে পড়ছেন। তারা ঝুঁকি নিয়ে মাহেন্দ্র, ব্যাটারি চালিত অটো এবং লোকাল বাসে ঘাট পর্যন্ত ভেঙে ভেঙে যাচ্ছেন।

;