নোয়াখালীতে বিএনপির সমাবেশকে ঘিরে গ্রেফতার ৬



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, নোয়াখালী
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

শনিবার (২৭ মে) বিকেলে নোয়াখালীর জেলা শহরে বিএনপির বিক্ষোভ সমাবেশকে সামনে রেখে পুলিশ গ্রেফতারের মাধ্যমে নেতাকর্মীদের মধ্যে আতঙ্ক তৈরির চেষ্টা করছে বলে অভিযোগ করেছেন জেলা বিএনপির সভাপতি গোলাম হায়দার বিএসসি।

শুক্রবার (২৬ মে) জেলার সদর উপজেলার বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে জেলা ছাত্রদলের সহ-সভাপতি সহ বিএনপির ৬ নেতাকর্মীকে পুলিশ গ্রেফতার করেছে বলে দাবি করেছেন জেলা বিএনপির নেতারা।

গ্রেফতারকৃতরা হলেন- নোয়াখালী জেলা ছাত্রদলের সহ-সভাপতি আনোয়ার হোসেন রকি, বিএনপি কর্মী আলা উদ্দিন ভুঁইয়া, মো. নোমান, দুলাল, সজিব ও নূর উদ্দিন।

নোয়াখালী জেলা বিএনপির সভাপতি গোলাম হায়দার বিএসসি বলেন, সরকার পুলিশের মাধ্যমে আতঙ্ক তৈরী করে সমাবেশকে বানচাল করতে চায়। সমাবেশকে ঘিরে আমাদের অনেক নেতাকর্মীকে গ্রেফতার করেছে। সঠিক তথ্য যাচাই বাছাই করে আমরা পরে জানাব। তবে গ্রেফতারের সংখ্যা বাড়বে বলেও মন্তব্য করেন এই নেতা।

সুধারাম থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো.আনোয়ারুল ইসলাম বলেন, ৬ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। গ্রেফতারকৃতদের বিরুদ্ধে একাধিক মামলা ও ওয়ারেন্ট রয়েছে।

জানা যায়, গায়েবি মামলায় গ্রেফতার, নির্যাতনের প্রতিবাদ, সরকারের পদত্যাগসহ ১০ দফা দাবিতে কেন্দ্রীয় কর্মসূচির অংশ হিসেবে নোয়াখালীর জেলা শহরে মাইজদীতে শনিবার (২৭ মে) বিকেলে বিক্ষোভ সমাবেশ করবে বিএনপি। বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী বিক্ষোভ সমাবেশে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন।

   

কারাভোগ শেষে মিয়ানমার থেকে দেশে ফিরল ২৯ বাংলাদেশি



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪. কম কক্সবাজার 
কারাভোগ শেষে মিয়ানমার থেকে দেশে ফিরল ২৯ বাংলাদেশি

কারাভোগ শেষে মিয়ানমার থেকে দেশে ফিরল ২৯ বাংলাদেশি

  • Font increase
  • Font Decrease

মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যের মংডুতে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ ও সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিজিপির মধ্যে পতাকা বৈঠক শেষে ২৯ জন বাংলাদেশি নাগরিক দেশে ফিরেছেন। সেখানে তারা বিভিন্ন মেয়াদে কারাভোগ করেছেন।

মঙ্গলবার (৩ অক্টোবর) দুপুরে বিজিবি’র টেকনাফ ২ ব্যাটালিয়ন দপ্তরে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানানো হয়।

দেশে ফেরা ২৯ জনের মধ্যে কক্সবাজারের জেলার মহেশখালী উপজেলার বাসিন্দা ১৩ জন, ৩ জন উখিয়ার ও ৭ জনের বাড়ি টেকনাফ উপজেলায়। এছাড়া বান্দরবান সদর উপজেলার ৩ জন এবং রাঙ্গামাটির কাউখালী উপজেলার ৩ জন দেশে ফিরেছেন।

বিজিবি-২ এর অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল মো. মহিউদ্দীন আহমেদ বলেন, ‘সকাল থেকে দুপুর সাড়ে ১২টা পর্যন্ত মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যের মংডুতে বিজিবি ও বিজিপি’র মধ্যে ব্যাটালিয়ন পর্যায়ে পতাকা বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছে। বৈঠকে উভয় দেশের সীমান্তরক্ষী বাহিনীর মধ্যে সীমান্ত ব্যবস্থাপনাসহ নানা বিষয়ে ফলপ্রসূ আলোচনা হয়েছে।’

তিনি আরও বলেন, ‘স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, বিজিবি এবং মিয়ানমারে বাংলাদেশ কনস্যুলেটের যৌথ উদ্যোগে যথাযথ কূটনৈতিক প্রক্রিয়া শেষে দীর্ঘ প্রচেষ্টার পর ২৯ জন বাংলাদেশিকে ফেরত আনা সম্ভব হয়েছে। স্বজনের কাছে তাদের পৌঁছে দিতে টেকনাফ থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।’ 

;

লিবিয়ায় আটকে পড়া বাংলাদেশিদের আর্তি: ‘আমরা জানটা ভিক্ষা চাচ্ছি’



স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট, বার্তা ২৪.কম, চট্টগ্রাম ব্যুরো
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

‘আমরা নয় প্রবাসী বর্তমানে লিবিয়াতে আছি। দালাল চক্রের ফাঁদে পড়ে আমরা এখানে এসেছি। কিন্তু এখানে কোনো কাজ নেই। ফলে আমরা খুব অভাব আর নির্যাতনের শিকার হয়েছি। আমাদের দেওয়ার মতো এখন আর কিছু নেই। আমরা তাই প্রধানমন্ত্রীর কাছ থেকে জানটা ভিক্ষা চাচ্ছি। যেভাবে হোক আমাদের দেশে ফিরিয়ে নেওয়া হোক।’

দালালের মাধ্যমে ইউরোপে যেতে গিয়ে লিবিয়ায় আটকে পড়াদের একজন চট্টগ্রামের বাঁশখালী উপজেলার কাথরিয়া ইউনিয়নের মোহাম্মদ করিম তাঁর পরিবারের কাছে পাঠানো এক ভিডিও বার্তায় এই আর্তি জানিয়েছেন। ২ মিনিট ১৫ সেকেন্ডের ভিডিওতে করিমের সঙ্গে লিবিয়ায় আটকে পড়া আরও আটজনকেও দেখা যায়। সেই দলের মাঝখানে বসে করিম জানান, তাদের দুঃসহ অভিজ্ঞতার কথা। করিমের সেই ভিডিওবার্তা পেয়ে চোখ ভিজে যাচ্ছে নয় প্রবাসীর স্বজনদের। তারা ভিডিওটি নিয়ে প্রশাসনের কাছে দৌঁড়াচ্ছেন ভাই কিংবা ছেলেকে নিজের কাছে ফিরিয়ে আনার আবেদন নিয়ে।

করিমের সঙ্গে আটকে পড়া বাকি আটজনও বাঁশখালীর বাসিন্দা। তারা হলেন গন্ডামারা ইউনিয়নের রুকনুল ইসলাম, মো. মোরশেদুল আলম, মোহাম্মদ কাউছার মিয়া, আজগর হোসেন, গিয়াস উদ্দিন, মোহাম্মদ আশেক ও তার ভাই ইব্রাহিম খলিল এবং বাঁশখালী পৌরসভার উত্তর জলদীর আইয়ুব আলী।

লিবিয়ায় আটকে পড়া নয় যুবকদের স্বজনদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, কয়েক লাখ টাকার বিনিময়ে ইউরোপ নেওয়ার কথা বলে ৮ থেকে ১ বছর আগে দালালেরা তাদের নিয়ে যান। কিন্তু ইউরোপ না নিয়ে তাদের লিবিয়ার বেনগাজিতে নিয়ে আটকে রাখা হয়। সেখানে গিয়ে তাদের কোনো কাজ দেয়া হয়নি। জঙ্গলে আটকে রেখে উল্টো আরও টাকার জন্য নির্যাতন করা হয়। সেসব শোনার পর অসহায় পরিবারগুলো জমি বিক্রি আর ধারদেনা করে টাকা পাঠিয়ে দালালের হাতে তুলে দেয়। নির্যাতনের মাত্রা বাড়তে থাকলে গত ১৭ সেপ্টেম্বর পরিবারের পক্ষ থেকে ওই ৯ জনকে দেশে ফিরিয়ে আনতে প্রশাসনিক সহযোগিতা ও সরকারি হস্তক্ষেপ চেয়ে বাঁশখালী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার (ইউএনও) কাছে লিখিত আবেদন করা হয়। এরপর ইউএনও উদ্যোগ নিলে লিবিয়ার বাংলাদেশ দূতাবাস ওই নয় প্রবাসীকে উদ্ধার করে নিরাপদ স্থানে নিয়ে আসে।

ছেলের ভিডিও পাওয়ার পর ঘুমাতে পারছেন না বলে জানিয়েছেন লিবিয়ায় আটকে পড়া মোহাম্মদ করিমের বাবা আবু আহমদ। তিনি বলেন, ‘আমার ছেলেসহ নয়জন কি যে কষ্টে আছে তা ভিডিওবার্তা দেখার পর অনুভব করতে পারছি। তাদের কষ্টের কথা শোনার পর থেকে ঘুম আর খাওয়া-দাওয়া বন্ধ হয়ে গেছে আমাদের। এত কষ্ট করে, জমি বিক্রি করে ছেলেকে বিদেশ পাঠালাম এত কষ্ট পাওয়ার জন্য? আমি সরকারের কাছে শুধু একটাই আবেদন করছি-আমার ছেলেসহ সবাইকে একটু দয়া করে মা-বাবার বুকে ফিরিয়ে দিন।’

লিবিয়ায় আটকে পড়া দুই ভাই মোহাম্মদ আশেক ও ইব্রাহিম খলিলের মা সুনিয়া বেগম। স্বামী অলি আহমদ মারা গেছেন আগেই। এখন দুই ছেলের কষ্টের কথা শুনে শয্যাশায়ী বৃদ্ধা সুনিয়া। ছেলেদের কথা জিজ্ঞাসা করতেই কান্নায় গলা বুজে আসে সুনিয়ার। অস্ফুট স্বরে বলতে থাকেন, ‘আমার দুই ছেলেকে দেখে মরতে চাই। আমার আর কিচ্ছু চাওয়ার নেই।’ 

ভিডিও বার্তা দেখার পর গিয়াস উদ্দিনের বাবা আবদুল মজিদের অবস্থাও একই। অসহায় এই বাবা শুধু বললেন, ‘যদি টাকা থাকত, আমি নিজেই ছেলেকে নিয়ে আসতে লিবিয়া উড়ে যেতাম। কিন্তু আমার তো অত টাকা নেই।’

পুরো ভিডিওতেই মোহাম্মদ করিম একাই কথা বলেছেন। তাঁর দুই পাশে বাকি ৮জন দুঃখমাখা চেহেরায় নির্বাক হয়ে দাঁড়িয়ে ছিলেন।

করিম এক নাগাড়ে তুলে ধরেন নির্যাতনের চিত্র, তুলে ধরেন এখন কেমন আছেন তা-ও। বলেন, ‘আমাদের মা বাবারা খুব অসহায় হয়ে পড়েছে। আমাদের যেসব জমি ছিল, সব বিক্রির পরেও আমরা এখান থেকে যেতে পারছি না। আমাদের দুবার আটক করে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল। একেকজন থেকে ১০-১৫ লাখ টাকা করে আদায় করেছে দালালেরা। এখন আমাদের দেওয়ার মতোও আর কিছু নেই।’

আটকে পড়া লিবিয়ারা প্রধানমন্ত্রী, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর পাশাপাশি সাহায্য চান স্থানীয় সংসদ সদস্য মোস্তাফিজুর রহমান। আর বর্তমানে তাঁদের নিরাপদ স্থানে রাখার ব্যবস্থা করার জন্য ইউএনওর প্রতি কৃতজ্ঞতা জানান।

আটকে পড়া নয় বাংলাদেশিকে দেশে ফিরিয়ে আনার বিষয়ে লিবিয়ার বাংলাদেশ দূতাবাসের সঙ্গে আলাপ করেছেন বলে জানিয়েছেন বাঁশখালী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) জেসমিন আক্তার। তিনি বলেন, দূতাবাসকে নয় বাংলাদেশী দালালের হাতে আটক থাকার বিষয়টি জানাই। এরপর দূতাবাসের উদ্যোগে তাঁদের দালালদের হাত থেকে উদ্ধার করে নিরাপদ স্থানে রাখা হয়েছে। কিন্তু তাঁদের ভিসা-পাসপোর্ট কিছু না থাকায় এখন কীভাবে তাঁদের দেশে ফিরিয়ে আনা যায় সেই বিষয়ে আলোচনা চলছে। পরিবারের কাছে পাঠানো ভিডিওবার্তাটি আমি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে পাঠাব।’

;

বগুড়ায় ইন্টার্ন নার্সদের অনির্দিষ্টকালের কর্মবিরতি



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, বগুড়া
বগুড়ায় ইন্টার্ন নার্সদের অনির্দিষ্টকালের কর্মবিরতি

বগুড়ায় ইন্টার্ন নার্সদের অনির্দিষ্টকালের কর্মবিরতি

  • Font increase
  • Font Decrease

ইন্টার্ন ভাতার দাবিতে অনির্দিষ্টকালের কর্মবিরতি ঘোষণা করেছে ইন্টার্ন নার্স ও ডিপ্লোমা ইন্টার্ন মিডওয়াইফ। বগুড়া ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট মোহাম্মদ আলী হাসপাতালে কর্মরত শতাধিক ইন্টার্ন নার্স ও ডিপ্লোমা ইন্টার্ন মিডওয়াইফের মানববন্ধন কর্মসূচি থেকে এ ঘোষণা দেয়া হয়।

মঙ্গলবার (৩ অক্টবর) সকাল ১০ টায় ব্যানার ও পোস্টার হাতে হাসপাতাল চত্বরে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ সমাবেশ করে এ ঘোষণা দেন তারা।

মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, বিধিমালা থাকলেও কোনো ইন্টার্ন স্যালারি দেওয়া হচ্ছে না। এছাড়া  ইন্টার্ন নার্স ও ডিপ্লোমা ইন্টার্ন মিডওয়াইফদের কোনো হোস্টেলের সুবিধাও নেই। দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি ও বাড়ি ভাড়াসহ প্রত্যেক ইন্টার্নের ৮ থেকে ১০ হাজার টাকা খরচ হয়। পড়াশোনা শেষ করে ইন্টার্নশীপ করা অবস্থায় বাড়ি থেকে টাকা এনে সেই খরচ চালাতে হচ্ছে। ইন্টার্ন স্যালারি বিষয়ে কোনো সুরাহা না হওয়া পর্যন্ত সকল ইন্টার্ন নার্স ও ইন্টার্ন মিডওয়াইফ অনির্দিষ্ট কালের জন্য কর্মবিরতি পালন করবেন।

কর্মসূচিতে অংশ নেওয়া বাংলাদেশ ডিপ্লোমা ইন্টার্ন নার্সেস এসোসিয়েশন (বিডিআইএনএ) বগুড়ার সাধারণ সম্পাদক হাবিবুর রহমান সরকার বলেন, ‘সরকারি নার্সিং ও মিডওয়াইফারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে তিন বছর মেয়াদী ডিপ্লোমা কোর্স সম্পন্ন করে তারা বিভিন্ন সরকারি মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল এবং জেলা ও সদর হাসপাতালে ইন্টার্ন নার্স হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। কিন্তু তারা কোনো ইন্টার্ন ভাতা পাচ্ছেন না। লগবুকে ইন্টার্ন স্যালারির উল্লেখ থাকা সত্ত্বেও কোনো ইন্টার্ন স্যালারি দেওয়া হচ্ছে না। অবিলম্বে দাবি মানা না হলে অনির্দিষ্টকালের জন্য প্রতদিন ২ ঘন্টা করে কর্মবিরতি পালন করা হবে।’

এবিষয়ে বগুড়া মোহাম্মদ আলী হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার (আরএমও) ডা. শফিক আমিন বলেন, তার হাসপাতালে যারা প্রশিক্ষণার্থী হিসেবে কাজ করেন তারা কর্মবিরতি শুরু করলে হাসপাতালের কাজে তেমন কোনো প্রভাব পড়বে না। কিন্তু হাসপাতাল চত্বরে অব্যাহতভাবে যেকোনো ধরণের সভা-সমাবেশ বা কর্মসূচি পালন করলে সেবাদান কাজে বিঘ্ন ঘটার আশঙ্কা রয়েছে। তাদের দাবির বিষয়টি সরকারের সংশ্লিষ্ট মহলের বিবেচনার বিষয় বলেও উল্লেখ করেন তিনি।

;

বরিশালে দুই পুত্রবধুর হাতে শাশুড়ি খুন



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট বার্তা ২৪.কম,বরিশাল
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

পারিবারিক কলহের জেরে পুত্রবধুদের হাতে বৃদ্ধা শাশুড়ি হেরোনা বেগমকে (৬৩) খুনের অভিযোগ ওঠেছে। নিহতের লাশ উদ্ধারের পাশাপাশি অভিযুক্ত দুই পুত্রবধু, ছেলে ও নিহতের স্বামী হায়দার প্যাদাকে আটক করা হয়েছে। সোমবার (২ সেপ্টেম্বর) দিবাগত রাতে জেলার গৌরনদী উপজেলার চর দিয়াশুর গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।

নিহতের ভাই মনির হোসেন সিকদার অভিযোগ করে বলেন, প্রায়ই তার বোন হেরোনা বেগমকে সৌদি প্রবাসী ভাগ্নের স্ত্রী রাখি বেগম, ছোট ভাগ্নে সুমন প্যাদা ও তার স্ত্রী তুলি বেগম শারীরিক ভাবে নির্যাতন করতো। গত পাঁচদিন আগেও তার বৃদ্ধা বোনকে মারধর করে পুত্রবধুরা। সোমবার আমার বোনের মেয়েরা তাদের বৃদ্ধা মাকে (হেরোনা) দেখতে বাবার বাড়ি চর দিয়াশুর আসলে পুত্রবধুরা বৃদ্ধা হেরোনা ও তার মেয়েদের অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করে। একপর্যায়ে বাবার বাড়ি থেকে রাগ করে চলে যায় হেরোনার মেয়েরা। এ নিয়ে ওইদিন রাতে পুত্রবধুদের সাথে বাগবিতণ্ডার একপর্যায়ে শাশুরি হেরোনা বেগমের মাথায় সীল পাটার পূতো দিয়ে আঘাত করা হলে অতিরিক্ত রক্তক্ষরণে তার মৃত্যু হয়।

অভিযোগ করে নিহতের ভাই আরও বলেন, হত্যা মামলা থেকে বাঁচতে বাড়ির পাশে একটি বাথরুমে লাশের গলায় ফাঁস লাগিয়ে হাটু ভাজ করে ঝুলিয়ে রাখা হয়।

ঘটনার পর হেরেনা আত্মহত্যা করেছে বলে আমার ভাগ্নে (নিহতের ছোট ছেলে) সুমন প্যাদা গৌরনদী মডেল থানা পুলিশকে খবর দেয়। পরে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে বিষয়টি হত্যাকাণ্ড বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করেন। একপর্যায়ে ঘটনার সাথে জড়িত থাকার সন্দেহে পুত্রবধু রাখি বেগম, তুলি বেগম, পুত্র সুমন প্যাদা ও স্বামী হায়দার প্যাদাকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য থানায় নিয়ে যায়।

এ বিষয়ে গৌরনদী সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সারমিন সুলতানা রাখী জানান, সংবাদ পেয়ে রাতেই ঘটনাস্থলে পৌঁছে ঝুলন্ত অবস্থায় নিহতের লাশ উদ্ধার করা হয়। তবে প্রাথমিক ভাবে বিষয়টি হত্যাকাণ্ড বলে মনে হয়েছে। এ বিষয়ে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহনের প্রক্রিয়া চলছে।

;