‘সব মানুষের কাছে সুস্বাদু ইলিশ পৌঁছাতে কাজ করছে সরকার’



সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী শ ম রেজাউল করিম বলেছেন, দেশের সব মানুষের কাছে পুষ্টিকর, সুস্বাদু ও সুদৃশ্য ইলিশ পৌঁছাতে কাজ করছে সরকার।

বৃহস্পতিবার (৩০ মার্চ) রাজধানীর ফার্মগেটে বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা কাউন্সিল মিলনায়তনে মৎস্য জাটকা সংরক্ষণ সপ্তাহ, ২০২৩ উপলক্ষ্যে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে মন্ত্রী এ কথা জানান।

মন্ত্রী বলেন, ইলিশ মাছ সমৃদ্ধ করার লক্ষ্যে জাটকা সংরক্ষণ সপ্তাহ, ২০২৩ উদযাপন করা হচ্ছে। অন্যান্য বছরের ধারাবাহিকতায় এবার ১ এপ্রিল থেকে ৭ এপ্রিল পর্যন্ত জাটকা সংরক্ষণ সপ্তাহ পালন করা হবে। এ বছর জাটকা সংরক্ষণ সপ্তাহের প্রতিপাদ্য 'করলে জাটকা সংরক্ষণ, বাড়বে ইলিশের উৎপাদন'। দেশের ইলিশ সমৃদ্ধ ২০ জেলায় জাটকা সংরক্ষণ সপ্তাহ উদযাপন করা হবে। ১ এপ্রিল পিরোজপুরের হুলার হাট মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে জাটকা সংরক্ষণ সপ্তাহ উদ্বোধন করা হবে। আমাদের লক্ষ্য ইলিশ সম্পদ সংরক্ষণ ও উন্নয়নে জাটকা ও মা ইলিশ রক্ষায় জনগণকে সম্পৃক্ত ও সচেতন করা।

ইলিশ সম্পদ বৃদ্ধির লক্ষ্যে সরকারের নানা কার্যক্রম তুলে ধরে এ সময় মন্ত্রী বলেন, ইলিশের বিজ্ঞানভিত্তিক প্রজনন সময় বিবেচনা করে মা ইলিশ আহরণের নিষিদ্ধ সময় ২২ দিন নির্ধারণ, জাটকা নিরাপদে বৃদ্ধির জন্য ১ নভেম্বর হতে ৩০ জুন পর্যন্ত সারাদেশে ৮ মাস জাটকা ধরা, পরিবহন, মজুদ, ক্রয়-বিক্রয় নিষিদ্ধ করা, দেশের ইলিশ সমৃদ্ধ নদ-নদীতে ৬টি ইলিশ অভয়াশ্রম স্থাপন ও নির্দিষ্ট সময়ে এ অভয়াশ্রমে ইলিশসহ সব ধরণের মাছ ধরা নিষিদ্ধ করা, নিষিদ্ধকালে জেলেদের প্রতিবছর ভিজিএফ খাদ্য সহায়তা প্রদান, জাটকা আহরণে বিরত অতি দরিদ্র জেলেদের বিকল্প কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করা, সাসটেইনেবল কোস্টাল অ্যান্ড মেরিন ফিশারিজ প্রকল্প বাস্তবায়ন, ইলিশ সম্পদ উন্নয়ন ও ব্যবস্থাপনা প্রকল্প বাস্তবায়নসহ সরকার বিভিন্ন কার্যক্রম বাস্তবায়ন করছে। ফলে ২০০৮-০৯ অর্থবছরে যেখানে ইলিশের উৎপাদন ছিল ২ লক্ষ ৯৮ হাজার মেট্রিক টন, ২০২১-২২ অর্থবছরে তা বৃদ্ধি পেয়ে ৫ লক্ষ ৬৭ হাজার মেট্রিক টনে পৌঁছেছে। জাটকা ও মা ইলিশ সংরক্ষণ করতে পারলে ইলিশের উৎপাদন আরো অনেক বেশি বৃদ্ধি পাবে।

তিনি আরো বলেন, ইলিশের উৎপাদন বৃদ্ধিতে প্রতিবন্ধকতা তৈরি করে এমন জাল যেমন বেহুন্দি জাল, কারেন্ট জালসহ অন্যান্য অবৈধ জাল যাতে কেউ ব্যবহার করতে না পারে সেজন্য সরকার আইন দ্বারা নিষিদ্ধ করেছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশনা রয়েছে শুধু সমুদ্রে বা নদীতে নয় বরং যেখানে এসব অবৈধ জাল তৈরি হয় সেখানে আঘাত হানতে হবে। এ বছর জাটকা সংরক্ষণ সপ্তাহে যেখানে বেআইনি জাল উৎপাদন হবে, সে কারখানায় আমাদের অভিযান চলবে। যারা জাটকা নিধনের চেষ্টা করবে, মোবাইল কোর্ট পরিচালনার মাধ্যমে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে। পাশাপাশি যে অঞ্চলে জাটকা ধরা হবে সে অঞ্চলে বরফ কল বন্ধ রাখা হবে। বাজারেও মোবাইল কোর্ট থাকবে। জাটকা পরিবহন ও বিপণনে জড়িতদের আইনের আওতায় আনা হবে।

মন্ত্রী আরো জানান, জাটকা নিধনে সবচেয়ে ক্ষতিকর জাল ধ্বংসে ২০২৩ সালের জানুয়ারি ও ফেব্রুয়ারি মাসে দেশের ১৭টি জেলায় আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী সংস্থার সহায়তায় বিশেষ কম্বিং অপারেশন পরিচালনার মাধ্যমে মোট ৯৮৭ টি মোবাইল কোর্ট ও ৩ হাজার ২২৬ টি অভিযান পরিচালনা করে ৭ হাজার ৫৪ টি বেহুন্দি জাল, ৫৪৯ দশমিক ১৯ লক্ষ মিটার কারেন্ট জাল এবং ১২ হাজার ৪৮ টি অন্যান্য নিষিদ্ধ জাল আটক করা হয়েছে।

শ ম রেজাউল করিম আরো যোগ করেন, ২০২২ সালে মা ইলিশ সংরক্ষণ অভিযান সফলভাবে বাস্তবায়নের ফলে ৫২ শতাংশ ইলিশ প্রজননক্রিয়ায় অংশ নিতে পেরেছে যা ২০০১-০২ অর্থবছরের তুলনায় অনেক বেশি।

মাছ ধরা নিষিদ্ধ সময়ে সরকার জেলেদের জন্য ভিজিএফ খাদ্য সহায়তা ব্যাপকভাবে বৃদ্ধি করেছে উল্লেখ করে তিনি আরো বলেন, ২০২২-২৩ অর্থবছরে ২০ জেলার ৯৭ উপজেলায় জাটকা আহরণে বিরত ৩ লাখ ৬০ হাজার ৮৬৯ টি জেলে পরিবারকে মাসিক ৪০ কেজি হারে ৪ মাসে ৫৭ হাজার ৭৩৯ মেট্রিক টন ভিজিএফ চাল বিতরণ চলমান রয়েছে।

মন্ত্রী আরো যোগ করেন, সারাবিশ্বের বিস্ময়কর সুস্বাদু ইলিশ যার ৮০ শতাংশ বাংলাদেশে উৎপাদন হয়, যার জিআই সনদ আমাদের, এ ইলিশ যেন কোনোভাবেই ক্ষতিগ্রস্ত না হয় সেটাই জাটকা সংরক্ষণ সপ্তাহ, ২০২৩ এর লক্ষ্য। একটা সময় বিলুপ্ত হয়ে যাওয়ার মত অবস্থায় চলে যাওয়া ইলিশকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশনায় আজ আমরা সর্বোচ্চ উৎপাদন প্রক্রিয়ায় নিয়ে এসেছি। এ প্রক্রিয়ায় মৎস্যজীবী সংগঠন, নৌ পুলিশ, কোস্ট কার্ড, সাধারণ পুলিশ, সিভিল প্রশাসন, মৎস্য অধিদপ্তরের কর্মকর্তা, সাংবাদিকসহ সবার সহযোগিতা প্রয়োজন। ইলিশ উন্নয়নের মধ্য দিয়ে আমরা বাংলাদেশকে সমৃদ্ধ করতে চাই। ইলিশের স্বাদ সকলের কাছে পৌঁছে দিতে চাই। সুযোগ হলে বৈদেশিক মুদ্রাও অর্জন করতে চাই।

মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের সচিব ড. নাহিদ রশীদ, অতিরিক্ত সচিব মো. আব্দুল কাইয়ূম, বাংলাদেশ মৎস্য উন্নয়ন কর্পোরেশনের চেয়ারম্যান কাজী আশরাফ উদ্দীন, বাংলাদেশ মৎস্য গবেষণা ইনস্টিটিউটের মহাপরিচালক ড. ইয়াহিয়া মাহমুদ, মৎস্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক খ. মাহবুবুল হক এবং মন্ত্রণালয় ও মৎস্য অধিদপ্তরের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাগণ সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন।

সংবাদ সম্মেলনের আগে মন্ত্রী ‘মা ইলিশ সংরক্ষণ অভিযান ২০২২ এর মূল্যায়ন ও ভবিষ্যৎ করণীয়’ শীর্ষক কর্মশালায় প্রধান অতিথির বক্তব্য প্রদান করেন।

   

গাজীপুরের কোনাবাড়ী পল্লী বিদ্যুৎ অফিসে আগুন



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, গাজীপুর
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

গাজীপুর মহানগরীর কোনাবাড়ী পল্লী বিদ্যুৎ জোনাল অফিসে পাওয়ার ট্রান্সফরমারে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে।

বৃহস্পতিবার (২৫ এপ্রিল) বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে আগুনের সূত্রপাত ঘটে। খবর পেয়ে কোনাবাড়ী মডার্ন ফায়ার সার্ভিসের দুইটি ইউনিট ঘটনাস্থলে গিয়ে ২০ মিনিট চেষ্টা চালিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণ করে।

প্রত্যক্ষদর্শী ও ফায়ার সার্ভিস জানায়, বৃহস্পতিবার বিকেলে কোনাবাড়ী পল্লী বিদ্যুৎ জোনাল অফিসের ১০ মেগাওয়াটের ট্রান্সফরমারে যান্ত্রিক ত্রুটি থেকে অগ্নিকান্ডের সৃষ্টি হয়। এ সময় সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা-কর্মচারীরা ছুটে এসে পাশের ফ্যাশন পয়েন্ট নামে পোশাক কারখানার অগ্নিনির্বাপক যন্ত্র ও পানি দিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করে। ততোক্ষণে খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিসের দুটি ইউনিট ঘটনাস্থলে এসে আগুন নিয়ন্ত্রণ করেন।

কোনাবাড়ী পল্লীবিদ্যুৎ জোনাল অফিসের জেনারেল ম্যানেজার কামাল হোসেন বলেন, অতিরিক্ত তাপে ১০ মেগাওয়াট পাওয়ার ট্রান্সফরমার পুড়ে গেছে। এখান থেকে শুধু কাশিমপুর কেন্দ্রীয় কারাগারে বিদ্যুৎ সরবরাহ করা হতো।

কোনাবাড়ী মডার্ন ফায়ার সার্ভিসের টিম লিডার আশরাফ উদ্দিন বলেন, খবর পেয়ে আমাদের ২টি ইউনিট আগুন নিয়ন্ত্রণ করেছে। তবে তাৎক্ষণিকভাবে ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ জানা যায়নি।

;

টেকনাফে কোস্ট গার্ডের অভিযানে ৪৫ হাজার ইয়াবা উদ্ধার



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, কক্সবাজার
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

টেকনাফের বাহারছড়ায় কোস্ট গার্ডের অভিযানে ৪৫ হাজার পিস ইয়াবা উদ্ধার করা হয়েছে।

বৃহস্পতিবার (২৫ এপ্রিল) দুপুরে কোস্ট গার্ড সদর দপ্তরের মিডিয়া কর্মকর্তা লেফটেন্যান্ট কমান্ডার খন্দকার মুনিফ তকি এ তথ্য জানান।

তিনি বলেন, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে বাংলাদেশ কোস্ট গার্ডের একটি দল বৃহস্পতিবার ভোর সাড়ে ৪ টার দিকে কক্সবাজার জেলার টেকনাফ থানাধীন বাহারছড়া ইউনিয়নস্থ কচ্ছপিয়া ঘাট এলাকায় একটি বিশেষ অভিযান পরিচালনা করে।

অভিযান চলাকালীন কচ্ছপিয়া ঘাট সংলগ্ন ঝাউবনে কতিপয় ব্যক্তির গতিবিধি সন্দেহজনক মনে হলে কোস্ট গার্ড এর আভিযানিক দল কর্তৃক তাদেরকে টর্চ লাইট ও বাঁশির মাধ্যমে থামার সংকেত প্রদান করা হয়। তারা কোস্ট গার্ডের উপস্থিতি বুঝতে পেরে ঝাউবনের অভ্যন্তরে ১টি বস্তা ফেলে দ্রুত পালিয়ে যায়। পরবর্তীতে উক্ত বস্তাটি তল্লাশী করে ৪৫ হাজার পিস ইয়াবা ও ১টি দেশীয় অস্ত্র (রাম দা) জব্দ করা হয়।

জব্দকৃত ইয়াবা ও দেশীয় অস্ত্র পরবর্তী আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের নিমিত্তে টেকনাফ মডেল থানায় হস্তান্তর করা হয়।

;

জব্বারের বলীখেলার নতুন চ্যাম্পিয়ন কুমিল্লার বাঘা শরীফ



তাসনীম হাসান, স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, চট্টগ্রাম
ছবি: আনিসুজ্জামান দুলাল

ছবি: আনিসুজ্জামান দুলাল

  • Font increase
  • Font Decrease

মাথার ওপর বৈশাখের কাঠফাটা রোদ। সেটি উপেক্ষা করে ২০ বাই ২০ হাতের চতুর্ভুজ আকৃতির রিংয়ের চারপাশ ঘিরে অসংখ্য দর্শকের হৈ-হুল্লোড়। রেফারির বাঁশি বেজে ওঠার সঙ্গে সঙ্গে শুরু হলো শক্তির লড়াই। দাঁতে দাঁত চেপে, মাথায় মাথা লাগিয়ে শুরু হলো বাঘা শরীফ ও রাশেদের চ্যাম্পিয়ন হওয়ার লড়াই।

ঘামে ভিজে, রোদে পুড়ে অস্থির। তবু যেন ‘কেহ কারে নাহি ছাড়ে সমানে সমান’। কিন্তু থামতে যে হবেই! ৩১ মিনিটেও কেউ কারও পিঠ রিংয়ের বালুতে ছোঁয়াতে পারেনি। তবে শেষমেশ আর না পেরে হার মেনে নেন রাশেদ বলী। এর মধ্য দিয়ে ঐতিহাসিক এই বলীখেলা পেল নতুন চ্যাম্পিয়ন।

১১ রুদ্ধশ্বাস লড়াই শেষে রেফারি বাঘা শরীফের হাত উঁচিয়ে বললেন, ‘ওই এবারের আবদুল জব্বার বলীখেলার চ্যাম্পিয়ন’। মন ভাঙলেও মেনে নেন কুমিল্লারই আরেক বলী রাশেদ।

একটা সময় জব্বারের বলীখেলা মানেই ছিল কক্সবাজারের দিদার বলীর হাতে ট্রফি। রেকর্ড ১১ বারের চ্যাম্পিয়ন দিদার ২০১৭ সালে অবসরে যাওয়ার পর থেকে আসল দ্বৈরথটা হচ্ছে জীবন ও শাহজালালের মধ্যে। ২০১৯ সালের বলীখেলায় ফাইনালে জীবনকে হারিয়ে শিরোপা জিতেছিলেন শাহজালাল। পরেরবার শিরোটা পুনরুদ্ধার করেন জীবন। এরপর গতবার শোধ নেন জীবন। তবে এবার দুজনেই নাম প্রত্যাহার করেন।

যুবসমাজকে ব্রিটিশবিরোধী আন্দোলনে উদ্বুদ্ধ করতে ১৯০৯ সালে চট্টগ্রামের বকশিরহাটের ব্যবসায়ী আবদুল জব্বার সওদাগর চালু করেছিলেন বলীখেলা। সময়ের ব্যবধানে লালদীঘির মাঠে বসা ‘জব্বারের বলীখেলা’ হয়ে উঠেছে এই জনপদের অন্যতম আকর্ষণ। শুধু কি তাই? বলীখেলাকে কেন্দ্র করে বৃহত্তর চট্টগ্রামের সবচেয়ে বড় বৈশাখী মেলাটিও বসে এখানে। কিন্তু করোনার থাবা এই আনন্দ-উৎসব থামিয়ে দিয়েছিল ২০২০ সালে। এরপর গত বছরও এই মেলা হয়নি একই কারণে। এবারও ঐতিহাসিক এই আয়োজনের ভবিষ্যৎ ঝুলছিল সুতার ওপর। শেষ পর্যন্ত সিটি মেয়র মো. রেজাউল করিম চৌধুরীর প্রচেষ্টায় তিন বছর পর বলীখেলা দেখল নগরবাসী।

এবার আবদুল জব্বারের বলীখেলায় অংশ নিতে ৮৪ জন বলী নিবন্ধন করেন। তাদের মধ্যে ২৫ বছরের তরুণ যেমন ছিল, তেমনি ছিলেন ৭০ বছরের বলীও। প্রথম রাউন্ডে শখের বশে খেলতে আসা বলীরা অংশ নেন। এরপর হয় চ্যালেঞ্জ রাউন্ড। এই রাউন্ড থেকেই জয়ী হয়ে বাঘা শরীফ, রাশেদ, রাসের ও সৃজন চাকমা যান সেমিফাইনালে।

সেমিফাইনাল শেষে ফাইনালে মুখোমুখি হন বাঘা শরীফ ও রাশেদ। ফাইনালে দুই দুরন্ত বলীর লড়াইয়ে এক প্রস্থ নাটকও হলো। ২০ বাই ২০ হাতের চতুর্ভুজ আকৃতির রিংয়ে শক্তির লড়াইয়ে কেউ কাউকে ফেলতে পারছিলেন না। দুজনের মধ্যে বেশ কয়েকবার ধাক্কাধাক্কিও হলো।

পিঠ নিচে ফেলতে না পারলেও অবশ্য বাঘা শরীফ বারবারই পরাস্থ করেন রাশেদতে। খেলার ১১ মিনিটের মাথায় রাশেদ বলে উঠতে না পেরে সরে দাঁড়ান।

কুমিল্লার হোমনা বাসিন্দা বাঘা শরীফ মাংস বিক্রেতা। কাজের ফাঁকে যে টুকু অবসর মিলে তার পুরোটা দেন বলীখেলায়। কুমিল্লার অন্যতম সেরা বলী হিসেবে পরিচিতি আছে তার। সেজন্য তার নাম হয়ে দাঁড়ায় বাঘা শরীফ।

চ্যাম্পিয়ন হওয়ার পর বাঘা শরীফ বলেন, প্রথমবারের মতো অংশ নিলাম। আর প্রথমবার অংশ নিয়েই চ্যাম্পিয়ন হলাম। যারা সুযোগ করে দিয়েছেন। সামনের আসরগুলোতে আরও শিরোপা চাই।

;

দুই দপ্তরের অনাদায়ী অর্থ আদায় করে সরকারি কোষাগারে জমার নির্দেশ



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ফাইল ছবি

ফাইল ছবি

  • Font increase
  • Font Decrease

খাদ্য, যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন দুই দপ্তরের অডিট আপত্তির বিরুদ্ধে নির্দেশনা দিয়েছে সরকারি হিসাব সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটি। এই দুই দপ্তরের অনিষ্পন্ন অডিট আপত্তির প্রমাণক সাপেক্ষে নিষ্পত্তিসহ অনাদায়ী অর্থ আদায় করে সরকারি কোষাগারে জমার নির্দেশনা দিয়েছে কমিটি।

বৃহস্পতিবার (২৪ এপ্রিল) জাতীয় সংসদ ভবনের কেবিনেট কক্ষে দ্বাদশ জাতীয় সংসদের সরকারি হিসাব সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির ২য় বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন হাফিজ উদ্দিন আহম্মেদ এমপি। কমিটির সদস্য ফয়জুর রহমান, মো. মুজিবুল হক, মো. জাহিদ মালেক, ফজিলাতুন নেসা, সৌরেন্দ্র নাথ চক্রবর্তী, নূর মোহাম্মদ, আখতারউজ্জামান, এস. এ. কে একরামুজ্জামান, মো. রেজাউল হক চৌধুরী ও মো. নজরুল ইসলাম বৈঠকে অংশগ্রহণ করেন।

বৈঠকে খাদ্য মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন খাদ্য অধিদপ্তর এবং যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন যুব উন্নয়ন অধিদপ্তর এর ২০১৭-১৮ অর্থ বছরের কমপ্লায়েন্স অডিট রিপোর্ট নম্বর ৩৫/২০২১ এ অন্তর্ভুক্ত অডিট আপত্তির অনুচ্ছেদ নং- ০১, ০২, ০৩, ০৪, ০৫, ০৬, ০৭, ০৮ এবং ০৯ এর বিষয়ে আলোচনা ও প্রমাণক সাপেক্ষে নিষ্পত্তিসহ অনাদায়ী অর্থ আদায়পূর্বক সরকারি কোষাগারে জমা প্রদানের জন্য নির্দেশনা দেওয়া হয়।

বাংলাদেশের মহা হিসাব-নিরীক্ষক ও নিয়ন্ত্রকের রিপোর্টভুক্ত অনিষ্পন্ন অডিট আপত্তিগুলোর মধ্যে খাদ্য মন্ত্রণালয় এবং যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয় কর্তৃক নিষ্পত্তির জন্য প্রমাণকসহ মহা হিসাব-নিরীক্ষক ও নিয়ন্ত্রকের কার্যালয়ে প্রেরণের পরে সিএজি কর্তৃক নিষ্পত্তির সুপারিশের পরিপ্রেক্ষিতে সরকারি হিসাব সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটি পরবর্তী বৈঠকে উপস্থাপনের জন্য নির্দেশনা প্রদান করা হয়।

বৈঠকে খাদ্য মন্ত্রণালয়ের সচিব, যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের সচিবসহ সিএজি কার্যালয়, অর্থ মন্ত্রণালয়, বাংলাদেশ ব্যাংক, খাদ্য অধিদপ্তর, যুব উন্নয়ন অধিদপ্তর, সিজিডিএফ কার্যালয় এবং জাতীয় সংসদ সচিবালয়ের সংশ্লিষ্ট ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

;