সিরাজগঞ্জে মহাসড়কে ১৪ পয়েন্ট ঝুঁকিপূর্ণ



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

প্রতিবারের মতো এবারও নারীর টানে প্রিয়জন ও পরিবারের সঙ্গে ঈদ করতে ঢাকা ছাড়বেন অনেকেই। এতে ঈদযাত্রায় উত্তর ও দক্ষিণবঙ্গের ১৬ জেলার যানবাহন চলাচল করে উত্তরবঙ্গের প্রবেশদ্বার বঙ্গবন্ধু সেতু পশ্চিম মহাসড়ক দিয়ে। অতিরিক্ত যানবাহন চলাচলে বাড়তি চাপ বাড়ে এই সংযোগ মহাসড়কে।

বঙ্গবন্ধু সেতু পশ্চিম পাড় থেকে চান্দাইকোনো পর্যন্ত ১৪টি ঝুঁকিপূর্ণ স্থান চিহ্নিত করা হয়েছে। ঝুঁকিপূর্ণ স্থানগুলো আগামী ৮ এপ্রিলের মধ্যে মহাসড়কের কাজ দ্রুত সংস্কার করা হবে বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা। তবে মহাসড়কে চলাচলকারী বাস ও ট্রাক চালকরা জানিয়েছে দ্রুত সংস্কার কাজ সম্পন্ন করা হলে ঈদ যাত্রায় স্বস্তি আসবে।

খোঁজ নিয়ে জানা যায়, ঈদযাত্রায় সড়কপথে উত্তবঙ্গের প্রায় ১৬ জেলার মানুষ রাজধানী ঢাকা ছাড়তে ব্যবহার করেন এই সড়কপথ। স্বাভাবিক সময়ে দিনে ১৫ থেকে ২০ হাজার যানবাহন চলাচল করলেও ঈদে এর সংখ্যা বেড়ে দাঁড়ায় ৩০ থেকে ৪০ হাজার। অতিরিক্ত যানবাহনের চাপে সৃষ্টি হয় যানজট, যাত্রীদের পোহাতে হয় দূর্ভোগ ও ভোগান্তি। এছাড়াও মহাসড়কে রাস্তা প্রসস্থকরণ ও সংস্কার কাজ চলমান থাকার কারণে বিভিন্ন জায়গায় যানবাহন চলাচল করছে এক লেন দিয়ে।

বৃহস্পতিবার (৩০) দুপুরে সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, বঙ্গবন্ধু সেতু পশ্চিম সংযোগ মহাসড়কটিতে চার লেনে প্রসস্থকরণ ও সংস্কার কাজ চলছে। রাস্তার অনেক জায়গায় যানবাহন এক লেনে চলাচল করার কারণে দেখা দিচ্ছে যানজট ও ধীরগতি। মহাসড়কের দুপাশে ড্যাম ট্রাক দিয়ে মাটি ভরাটের কাজ চলছে। উন্নয়ন কাজ চলমান থাকায় সড়কের বিভিন্ন জায়গায় অসংখ্য খানাখন্দে মহাসড়কে গাড়ি চলাচল ঝুঁকিপুর্ণ হয়ে পড়েছে। আবার অনেক জায়গায় রাস্তা ঘুড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। রাতে পন্যবাহী ট্রাকের চাপ বেড়ে যাওয়ায় মহাসড়কে সৃষ্টি হচ্ছে তীব্র যানজট। কখনও ধীরগতি, কখনও থেমে থেমে, আবার কখনও ঘন্টার পর ঘন্টা যানজটে যাত্রী পরিবহনে থাকা যাত্রীদের চরম দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। এদিকে, নবনির্মিত নলকা সেতুর উত্তরের লেন খুলে দিলেও ঢাকা মুখি লেন বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। ঢাকামুখী লেন বন্ধ করে দেওয়ায় ঝুঁকিপুর্ণ পুরাতন সেতু দিয়েই চলাচল করছে যানবহন। এতে যেকোনো সময় বড় ধরণের দুর্ঘটনার আশংকা করছে স্থানীয়রা।

আকতার জেভি প্রকল্পের ম্যানেজার এখলাস উদ্দিন বলেন, জেলা পুলিশ সুপারের সাথে আমাদের কথা হয়েছে। মহাসড়কের যেসব জায়গায় খানাখন্দে রয়েছে সেগুলো জায়গায় মেরামত করে দেওয়া হবে। সলঙ্গা বাজার, দাদপুর বাজার, ঘুড়কা বাজার, ভুইয়াগাঁতী বাজার ও চান্দাইকোনা বাজার এলাকায় ১৫ রমজানের মধ্যে চার লেনের নতুন সড়ক খুলে দেওয়া হবে।

হাটিকুমরুল হাইওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো: বদরুল কবির বলেন, সাসেক-২ এর কর্মকর্তা এবং ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তাদের সাথে জেলা পুলিশ এবং আমাদের দুই দফা মিটিং হয়েছে। বঙ্গবন্ধু যমুনা সেতু থেকে চান্দাইকোনো পর্যন্ত ১৪টি ঝুঁকিপূর্ণ স্থান চিহ্নিত করা হয়েছে। সেগুলো ১৫ রমজানের মধ্যে তারা সংস্কার করে দেওয়ার আশ্বাস দিয়েছেন। ঈদ উপলক্ষে মহাসড়কে আমাদের ১০টা হুন্ডা মোবাইল টিম, ১৬টা পয়েন্টে ১৬টা পিকেট টিম কাজ করবে। সেই সঙ্গে মাইকিং ও জিডিটাল সাইনবোর্ড লাগানো হবে। সবমিলিয়ে এবার ঈদুল ফিতর উপলক্ষে সিরাজগঞ্জের মহাসড়কে আমাদের মোট ১৪৪ জন পুলিশ সদস্য কাজ করবে।

সিরাজগঞ্জ ট্রাফিক পরিদর্শক (প্রশাসন) সালেকুজ্জামান খান সালেক বলেন, ঈদ উপলক্ষে মহাসড়কে যানজট মুক্ত রাখতে জেলা পুলিশের সাথে মিটিং হয়েছে। মহাসড়কে আমাদের ১৫ থেকে ১৮টা মোবাইল টিম থাকবে। তবে ঈদ উপলক্ষে মহাসড়কে কতজন পুলিশ সদস্য কাজ করবে এ বিষয়ে এখন পর্যন্ত কোনো সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়নি।

সিরাজগঞ্জ পুলিশ সুপার আরিফুল রহমান মন্ডল বলেন, মহাসড়কে প্রায় ১৪টা ঝুকিপুর্ণ স্থান চিহ্নিত করা হয়েছে। সাসেক-২ এর কর্মকর্তা এবং ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তাদের নিয়ে দুই দিন আগে আমি মিটিং করেছি। ১২ থেকে ১৪ এপ্রিলের মধ্যে তারা সেগুলো সংস্কার করে দেবে। ঘরমুখো মানুষের ঈদ যাত্রা নির্বিঘ্ন করতে যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে বলে তিনি জানিয়েছেন।

   

জামালপুরে হিট স্ট্রোকে ব্যবসায়ীর মৃত্যু



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, জামালপুর
জামালপুরে হিট স্ট্রোকে ব্যবসায়ীর মৃত্যু

জামালপুরে হিট স্ট্রোকে ব্যবসায়ীর মৃত্যু

  • Font increase
  • Font Decrease

জামালপুরের ইসলামপুর উপজেলায় তীব্র তাপদাহে হিট স্ট্রোকে গোলাম রাব্বানী (৪৮) নামের এক ব্যবসায়ীর মৃত্যু হয়েছে।

মঙ্গলবার (২৩ এপ্রিল) দুপুর ১টার দিকে ওই ব্যবসায়ীর মৃত্যু হয়। নিহত রব্বানী উপজেলার চিনাডুলি ইউনিয়নের পশ্চিম গিলাবাড়ী এলাকার বাসিন্দা।

তিনি গুঠাইল বাজারে মরিচের ব্যবসা করতেন।

বিষয়টি বার্তা২৪.কম-কে নিশ্চিত করেছেন, ইসলামপুর উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. এ এ এম আবু তাহের।

পরিবার ও হাসপাতাল সূত্রে জানা গেছে, মঙ্গলবার সকাল সাড়ে ১১ টার দিকে নিজ বাড়িতেই হঠাৎ অসুস্থ হয়ে পড়েন ব্যবসায়ী গোলাম রাব্বানী।

পরে তাকে স্থানীয়রা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স নিয়ে যায়। হাসপাতালে নেওয়ার পর চিকিৎসকরা তাকে মৃত্যু ঘোষণা করেন।

ইসলামপুর উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. এ এ এম আবু তাহের বার্তা২৪.কম-কে বলেন, ওই ব্যবসায়ীকে হাসপাতালে আনার আগেই মৃত্যু হয়েছে। তবে আমরা ধারণা করছি অতিরিক্ত গরমের কারণেই উনার মৃত্যু হয়েছে।

;

আজমিরীগঞ্জ উপজেলা চেয়ারম্যান গ্রেফতার



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, হবিগঞ্জ
মর্তুজা হাসান

মর্তুজা হাসান

  • Font increase
  • Font Decrease

হবিগঞ্জের আজমিরীগঞ্জ উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মর্তুজা হাসানকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।

সোমবার (২৩ এপ্রিল) রাত আড়াইটায় হবিগঞ্জ শহরের চিড়াকান্দি এলাকার নিজ বাসা থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়।

জানা যায়, ২০১৭ সালে আজমিরীগঞ্জ থানায় মর্তুজা হাসানের বিরুদ্ধে দায়ের করা এক মামলায় তাকে গ্রেফতার করে পুলিশ।

এর আগে, ২০১৮ সালের ৪ আগস্ট আদালত থেকে ওয়ারেন্ট ইস্যু হয় উপজেলা চেয়ারম্যান মর্তুজা হাসানের নামে। তিনি জেলা আওয়ামী লীগের কার্যকরি কমিটির সদস্য, সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক হওয়ায় ওয়ারেন্ট থাকা সত্বেও প্রকাশ্যে ছিলেন।

মর্তুজা হাসান গ্রেফতারের বিষয়টি নিশ্চিত করে হবিগঞ্জ জেলা গোয়েন্দা শাখার পরিদর্শক মো. রফিকুল ইসলাম জানান, উপজেলা চেয়ারম্যানকে ডিবি কার্যালয়ে রাখা হয়েছে।

আগামী ৮ মে আসন্ন উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে মর্তুজা হাসান একজন উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী। তাকে গ্রেফতারের পর এলাকায় আলোচনার ঝড় বইছে।

;

জোরপূর্বক একীভূতকরণ ব্যাংকিং খাতে অব্যাহত দায়মুক্তির নতুন মুখোশ: টিআইবি



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

তড়িঘড়ি ও জোরপূর্বক একীভূতকরণকে ব্যাংকিং খাতে অব্যাহত দায়মুক্তির নতুন মুখোশ বলে মন্তব্য করেছে দুর্নীতিবিরোধী সংগঠন ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ (টিআইবি)।

সংস্থাটি মনে করে, প্রস্তাবিত একীভূতরকরণের মাধ্যমে খেলাপি ঋণে জর্জরিত দুর্বল ব্যাংকের মন্দ ঋণ ব্যবস্থাপনা এবং জবাবদিহি সংক্রান্ত বিষয়গুলোতে যে ধরনের অস্পষ্টতা তৈরি করা হয়েছে, তা সংকটের মূল সমস্যাকে পাশ কাটিয়ে ঋণখেলাপি ও জালিয়াতির জন্য দায়ী মহলকে ‘দায়মুক্তি’ প্রদানের নামান্তর।

মঙ্গলবার (২৩ এপ্রিল) গণমাধ্যমে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ মতামত প্রকাশ করেছে টিআইবি।

টিআইবি জানায়, ব্যাংকিং খাতের দুর্বল ব্যাংকগুলো রক্ষার নামে কেন্দ্রীয় ব্যাংক একীভূতকরণের পথে হাঁটতে শুরু করেছে, যা আর্থিক খাতে সংকট মোকাবিলায় বৈশ্বিক চর্চার সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ বিবেচিত হওয়ার কথা। কিন্তু সংবেদনশীল ও জটিল এই কাজটি করতে আর্ন্তজাতিকভাবে অনুসৃত মানদণ্ড ও রীতিনীতি, এমনকি কেন্দ্রীয় ব্যাংকের নিজের ঘোষিত নীতিমালা না মেনে তড়িঘড়ি করা হচ্ছে। স্বেচ্ছাচারীভাবে চাপিয়ে দেওয়া কয়েকটি ব্যাংক একীভূতকরণের ঘোষণা এবং এ প্রক্রিয়ায় থাকা ভালো ব্যাংকগুলোর অস্বস্তি, একীভূত হতে কোনো কোনো দুর্বল ব্যাংকের অনীহা, সব মিলিয়ে ব্যাংকিং খাতে শঙ্কা, অস্থিরতা ও অনিশ্চয়তা গভীরতর করেছে। যা একীভূতকরণের পুরো প্রক্রিয়াটিকে শুরুর আগেই প্রশ্নের মুখে ফেলে দিয়েছে।

বাংলাদেশ ব্যাংকের ঘোষিত একীভূতকরণ নীতিমালা অনুযায়ী, যে কোনো দুর্বল ব্যাংক চলতি বছরের মধ্যে স্বেচ্ছায় একীভূত হওয়ার আগ্রহ প্রকাশপূর্বক নিজস্ব সম্পদ ও দায়-দেনা কেন্দ্রীয় ব্যাংকের তালিকাভুক্ত নিরীক্ষা প্রতিষ্ঠান দিয়ে মূল্যায়ন করে প্রকাশ করার কথা। যা বিবেচনায় নিয়ে সবল কোনো ব্যাংক দুর্বল ব্যাংকটিকে স্বেচ্ছায় একীভূত করার উদ্যোগ নেওয়ার সুযোগ রাখা রয়েছে।

প্রাথমিক এই প্রক্রিয়াটি ব্যর্থ হলেই কেবল কেন্দ্রীয় ব্যাংক কর্তৃক জোরপূর্বক একীভূতকরণের উদ্যোগ নেওয়ার কথা- মনে করিয়ে দিয়ে টিআইবির নির্বাহী পরিচালক ড. ইফতেখারুজ্জামান বলেন, গণমাধ্যমের খবর অনুযায়ী, একটি দুর্বল ব্যাংক ছাড়া কোনো ব্যাংকই নিজ উদ্যোগে একীভূত হওয়ার ব্যাপারে আগ্রহ দেখায়নি, আবার এ প্রক্রিয়ায় নাম আসা সবল ব্যাংকগুলো স্বীয় উদ্যোগে স্বেচ্ছায় ও সজ্ঞানে এতে যুক্ত হতে সম্মত হয়েছে তাও নয়। অর্থাৎ পুরো প্রক্রিয়াটি প্রথম থেকেই স্বেচ্ছাচারিতার মাধ্যমে চাপিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করা হচ্ছে, যা ঘোষিত নীতিমালার সুস্পষ্ট লঙ্ঘন। তাছাড়া, দুর্বল ব্যাংকের সম্পদ ও দায়-দেনার পূর্ণাঙ্গ মূল্যায়ন ছাড়া আপাত সবল ব্যাংকের ঘাড়ে একীভূতকরণের নামে ঋণখেলাপি ও জালিয়াতির বোঝা চাপিয়ে দেওয়া কতটুকু যৌক্তিক ও ন্যায়সংগত? অবস্থাদৃষ্টে মনে হয়, যা ঘটছে তা ক্যান্সার চিকিৎসায় প্যারাসিটামল প্রয়োগের নামান্তর। একীভূতকরণের নামে একদিকে ব্যাংকিং খাতে খেলাপি ঋণ ও জালিয়াতির জন্য যারা দায়ী তাদের যেমন সুরক্ষা দিয়ে খেলাপি ঋণের সংস্কৃতিকে গভীরতর করা হচ্ছে, অন্যদিকে সবল ব্যাংকগুলোর সাফল্যের পরিণামে খারাপ ব্যাংক হজম করিয়ে দেওয়ার জোর প্রচেষ্টা চলছে। যা অস্বস্তি ও শঙ্কার নতুন বাতাবরণ ছড়িয়ে দিয়েছে পুরো খাতে।

দুর্বল ব্যাংককে বাঁচানোর এই প্রক্রিয়া হিতে বিপরীত হবে কি-না আশঙ্কা প্রকাশ করে টিআইবির নির্বাহী পরিচালক বলেন, একীভূতকরণের আলোচনায় সরকারি-সরকারি, বেসরকারি-সরকারি এবং বেসরকারি-বেসরকারি তিন ধরনের ব্যাংকই রয়েছে। এ ক্ষেত্রে কোন বিবেচনায় এই ব্যাংকগুলোকে অগ্রাধিকার ভিত্তিতে একীভূত করার জন্য নির্বাচিত করা হয়েছে, কিংবা কোন সবল ব্যাংকের সঙ্গে কোন দুর্বল ব্যাংক একীভূত হবে, তা কিভাবে ঠিক করা হয়েছে- তাও স্পষ্ট নয়। আবার, একীভূত হওয়ার আলোচনার বাইরে থাকা বেশ কয়েকটি ব্যাংককে তারল্য সহায়তা দিয়ে টিকিয়ে রাখা হয়ছে। অন্যদিকে, দুর্বল দুটি ব্যাংকের দায়িত্ব নিতে যাওয়া সবল বলে পরিচিত সরকারি দুটি ব্যাংকের নিজেদের খেলাপি ঋণের পরিমাণও বেশ বড়। এমন বাস্তবতায় ব্যাংকিং খাতের মূল সমস্যা মোকাবিলায় কার্যকর জবাবদিহি-ভিত্তিক সুশাসন নিশ্চিত করা ছাড়া, শুধু একীভূত করলেই সংকট মোকাবিলা করা যাবে বা গ্রাহক স্বার্থ রক্ষা পাবে কিংবা খেলাপি ঋণ কমে আসবে- এমন ভাবনা সত্যিই অলীক।

একীভূতকরণ নীতিমালায় দুর্বল ব্যাংকের পরিচালকদের পাঁচ বছর পর পুনরায় একীভূত হওয়া ব্যাংকের পর্ষদে ফেরত আসা ও ব্যবস্থাপনায় জড়িত শীর্ষ কর্মকর্তাদের পুনঃনিয়োগের সুযোগ রাখার বিধানের সমালোচনা করে টিআইবির নির্বাহী পরিচালক বলেন, এ বিধান দুর্বল ব্যাংকের সংকটের জন্য দায়ী ব্যক্তিদের জবাবদিহির বদলে পুরস্কৃত করা এবং এক ধরনের দায়মুক্তি দেবার বিধান। পাশাপাশি, দুর্বল ব্যাংকের নিরীক্ষাকালে নতুন কোনো অনিয়ম বা দুর্নীতির চিত্র উঠে এলে সে বিষয় গোপন রাখার যে বিধান নীতিমালায় রাখা হয়েছে, তা শুধু আর্থিক অনিয়মের চিত্রকেই ধামাচাপা দেবে না, একই সঙ্গে দায়ী ব্যক্তিদের জবাবদিহির মুখোমুখি করার প্রক্রিয়াও বাধাগ্রস্ত হবে। যা এক কথায় অন্যায়কে সুরক্ষা দেওয়ার শামিল। একীভূতকরণের নামে যা ঘটছে, তা হতাশাজনক এবং ঋণ খেলাপিদের হাতে ব্যাংকিং খাতের অব্যাহত জিম্মিদশার পরিচায়ক।

নীতিমালা অনুযায়ী, একীভূত দুর্বল ব্যাংকের খেলাপি ঋণ রাষ্ট্রীয় মালিকানার একটি সম্পদ ব্যবস্থাপনা কোম্পানি কিনে নেওয়ার কথা বলা হয়েছে। এর ফলে জনগণের অর্থে ঋণ খেলাপিদের আরও এক দফা দায়মুক্তি দেওয়ার বন্দোবস্ত করা হয়েছে। সবমিলিয়ে ব্যাংক খাতের বিশাল ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থা ও জন অস্বস্তি বিবেচনায় টিআইবি মনে করে, প্রত্যাশিত ফল পেতে সংশ্লিষ্ট খাতে সুখ্যাতিসম্পন্ন নিরপেক্ষ বিশেষজ্ঞগণের মতামতের ভিত্তিতে এবং আন্তর্জাতিক মানদণ্ড ও অভিজ্ঞতার আলোকে ব্যাংক একীভূতকরণ নীতিমালায় প্রয়োজনীয় সংস্কার ও সে অনুযায়ী ব্যবস্থাগ্রহণ জরুরি। পাশাপাশি, ইতোমধ্যে একীভূতকরণের নামে গৃহীত সিদ্ধান্তসমূহের বাস্তবায়ন স্থগিত করার আহ্বান জানাচ্ছে টিআইবি।

;

রাঙামাটিতে ইয়াবা পাচারকালে আটক ৩



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, রাঙামাটি
ছবি: বার্তা ২৪

ছবি: বার্তা ২৪

  • Font increase
  • Font Decrease

পান ব্যবসায়ের আড়ালে মাদকের ব্যবসার সাথে জড়িয়ে মাদক পাচারকালে ইয়াবাসহ আটক হয়েছে সাবেক ইউপি সদস্যসহ তিন মাদক ব্যবসায়ী।

মঙ্গলবার (২৩ এপ্রিল) ভোর রাত ৪টার সময় চট্রগ্রামের হাটহাজারী থেকে পান বোঝাই একটি মিনি ট্রাক রাঙ্গামাটির লংগদু উপজেলার আর্মি ক্যাম্পের চেকপোস্টে আসলে চেক করার জন্য গাড়ি দাড় করায় সেনাবাহিনী। এর মধ্যই সন্দেহজনক হলে লংগদু থানা পুলিশকে খবর দিলে পুলিশ এসে তল্লাশি করে ইয়াবাসহ তাদের আটক করে।

লংগদু থানার এসআই রফিকুল ইসলাম ও এসআই আল আমিন সঙ্গীয় ফোর্স ঘটনাস্থলে এসে গাড়িতে থাকা পানের খাঁচাগুলো তল্লাশি করে খাঁচা থেকে একটি প্যাকেট পায়। যার মধ্যে ৫১ পিস ইয়াবা (মাদক) ছিলো। যা পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে উদ্ধার করতে সক্ষম হয়। এসময় গাড়ির ড্রাইভার মারুফ ও হেলপার ইউনুছ এবং পান ব্যবসায়ী সাবেক কালাপাকুজ্জা ইউনিয়নের ইউপি সদস্য শাহ আলম ও রফিকুল ইসলমাকে আটক করে পান বহনকারী গাড়ি সহ থানায় নিয়ে যায়। পরবর্তীতে মাদক নিয়ন্ত্রন আইন-২০১৮ এর ৩৬(১) সারনির ১০(ক)/৩৮/৪১ ধারায় অপরাধে, আসামিদের দুপুর ২টায় লঞ্চে রাঙ্গামাটি আদালতে প্রেরণ করে। 

লংগদু থানার অফিসার ইনচার্জ মোহাম্মদ হারুনুর রশিদ বলেন, আমদের কাছে খবর আসলে ঘটনাস্থলে পুলিশ যায় এবং মাদকসহ তাদের আটক করে থানায় নিয়ে আসে। পরবর্তীতে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে মামলা রুজু করে তাদের আদালতে প্রেরণ করা হয়।

;