রাত পোহালেই অষ্টমীর স্নান, ব্রহ্মপুত্র তীরে লাখো পুণ্যার্থী



কল্লোল রায়, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, কুড়িগ্রাম
পূণ্যস্নানে অটো, পিকআপ ভ্যান, রিকশা, ভ্যান, মাইক্রোবাস এবং বাসে করে লোকজন আসা শুরু করেছে ঘাটে

পূণ্যস্নানে অটো, পিকআপ ভ্যান, রিকশা, ভ্যান, মাইক্রোবাস এবং বাসে করে লোকজন আসা শুরু করেছে ঘাটে

  • Font increase
  • Font Decrease

আগামীকাল (বুধবার) পূণ্যতোয়া খ্যাত ব্রহ্মপুত্র নদের তীরে হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের ঐতিহ্যবাহী অষ্টমীর স্নান ও মেলা অনুষ্ঠিত হবে। স্নান উপলক্ষ্যে কুড়িগ্রামের চিলমারী উপজেলার ব্রহ্মপুত্র তীরে যাবতীয় প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছে স্থানীয় প্রশাসন ও স্নান উৎসব কমিটি। ইতোমধ্যে হাজারো পুণ্যার্থী ব্রহ্মপুত্র তীরে উপস্থিত হতে শুরু করেছেন। উপজেলার রাজারভিটা এলাকায় বুধবার ভোর চারটা থেকে শুরু হয়ে ভোর সাড়ে পাঁচটা পর্যন্ত স্নাননের উত্তম লগ্ন ধার্য করা হয়েছে। তবে দিনব্যাপী স্নান চলবে।

প্রায় ৪ শত বছর ধরে প্রতিবছর চৈত্র মাসের শুক্ল পক্ষের অষ্টমী তিথিতে এ পূণ্যস্নান সম্পন্ন করেন হিন্দু ধর্মাবলম্বীরা। চিলমারীর ব্রহ্মপুত্রের এ স্থানটিকে তারা তীর্থ স্থান হিসেবে বিবেচনা করেন। হিন্দু ধর্ম মতে, এটি একটি পূণ্য কর্ম এবং এই স্নানের মাধ্যমে তাদের পাপ মোচন ঘটে। এই পাপ মোচনের অভিপ্রায়ে লাখো পুণ্যার্থী সমবেত হন ব্রহ্মপুত্র তীরে।

প্রতিবছরের ন্যায় এ বছরও স্নান উদযাপনে জেলা ও জেলার বাইরে থেকে ব্রহ্মপুত্র তীরে পুণ্যার্থীরা আসতে শুরু করেছেন। ইতোমধ্যে হাজার হাজার পুণ্যার্থী স্নান ঘাটের আশে পাশে অবস্থান নিয়েছেন। উপজেলার বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে এবং স্থানীয় বাসিন্দাদের বসতভিটায় তাদের আশ্রয়্রে ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। চিলমারীর ব্রহ্মপুত্র তীরের রমনা ঘাটের উত্তর দিক থেকে শুরু করে রাজারভিটা ভায়া রুকুনুদৌলা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় পর্যন্ত অষ্টমীর স্নান ঘাট হিসেবে নির্ধারণ করেছে স্থানীয় প্রশাসন। স্নান উপলক্ষ্যে ঘাট এলাকায় দিনব্যাপী মেলার আয়োজন থাকবে। স্নান ঘাট ইজারা গ্রহণকারীকে মেলার স্থানে এ বছর ছামিয়ানা টাঙানোর ব্যবস্থা নিতে বলা হয়েছে। এছাড়াও ঘাট এলাকায় পর্যাপ্ত নিরাপত্তার ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।

স্নান উৎসব কমিটির দেওয়া তথ্য মতে, অষ্টমী স্নান উপলক্ষে চিলমারীতে ব্রহ্মপুত্র তীরে কয়েক কিলোমিটার এলাকাজুড়ে পূণ্যর্থীদের বিচরণ হয়। লগ্ন অনুযায়ী নিজেদের সুবিধাজনক সময়ে ধর্মীয় এ স্নান সেরে নেন সনাতন ধর্মাবলম্বীরা। স্নান উৎসব নির্বিঘ্ন করতে পর্যাপ্ত প্রস্তুতি নিয়েছে উপজেলা প্রশাসন। পাশাপাশি স্নান ও মেলা উপলক্ষে নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা হয়েছে। দুর-দূরান্ত থেকে আসা পুণ্যার্থীদের নিরাপত্তার জন্য পুলিশ, ও আনসার সদস্য ছাড়াও সেচ্ছাসেবী মোতায়েনের ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।


ধর্মীয় দৃষ্টিকোণ থেকে ঐতিহ্যবাহী এই পূণ্যস্নানে অটো, পিকআপ ভ্যান, রিকশা, ভ্যান, মাইক্রোবাস এবং বাসে করে লোকজন আসা শুরু করেছে ঘাটে। পিকাপ ভ্যানে পরিবারের লোকজনদের সাথে নিয়ে এসেছেন রাজারহাটের ঘড়িয়ালডাঙ্গা ইউনিয়নের বাঘেরবাজার থেকে পঞ্চম চন্দ্র রায়। তিনি বলেন, প্রতি বছর আমি পরিবার আত্নীয় স্বজনদের নিয়ে এই উৎসবে আসি। রাতে তাবু করে এখানেই রান্না করে খাবো। বিভিন্ন এলাকা থেকে লোকজন এসেছেন, তাদের সাথে পরিচিত হবো।

প্রায় দুই যুগেরও পর এবছর বুধবার স্নান অনুষ্ঠিত হচ্ছে। এটি পুণ্যার্থীদের জন্য পবিত্র দিন বলে জানিয়েছে স্নান উৎসব কমিটি। কমিটির সহ সভাপতি তপন কুমার এনি বলেন, ‘ এ বছর দুই লক্ষাধিক পুণ্যার্থীর আগমন ঘটবে বলে আমরা ধারণা করছি। সকল প্রস্তুতি সম্পন্ন হয়েছে। স্থানীয় প্রশাসন ও জনপ্রতিনিধি সহ স্থানীয় মুসলিম সম্প্রদাায়ের লোকজন পুণ্যার্থীদের নানা ভাবে সহযোগিতা করছেন। এছাড়াও স্নান ঘাট এলকার সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে পুণ্যার্থীদের থাকার ব্যবস্থা করা হয়েছে। মূলত মুসলিম সম্প্রদায়ের সহযোগিতায় আমরা এই স্নান উৎসব নিরাপদে সম্পন্ন করি।’

চিলমারী উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) মো. মাহবুবুর রহমান বলেন, অষ্টমীর স্নান উপলক্ষ্যে যাবতীয় প্রস্তুতি সম্পন্ন হয়েছে। উৎসব নির্বিঘ্নে সম্পন্ন করতে উপজেলা প্রশাসন থেকে সার্বিক সহযোগিতা করা হচ্ছে।

পাঁচ দিনের মধ্যে সারাদেশে আবহাওয়া অধিদপ্তরের বৃষ্টির পূর্বাভাস



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

দেশের দুইটি জেলায় মঙ্গলবার সারাদিন তীব্র তাপদাহ বয়ে গেছে। সেই সঙ্গে রাজধানীসহ সারাদেশের বেশিরভাগ অঞ্চলের ওপর দিয়েও বয়ে গেছে মৃদু থেকে মাঝারি ধরনের তাপদাহ। গত কয়েক দিনের তাপপ্রবাহের পর এবার পূর্বাভাসে বৃষ্টিপাতের প্রবণতা বৃদ্ধি পাওয়ার কথা জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর।

মঙ্গলবার আবহাওয়ার বর্ধিত পাঁচ দিনের পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, এই সময়ের শেষ দিকে বৃষ্টিপাতের প্রবণতা বৃদ্ধি পেতে পারে। একই সঙ্গে আগামী ৪৮ ঘণ্টায় তাপপ্রবাহের পরিবর্তন হতে পারে।

সারা দেশে মঙ্গলবার সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল দিনাজপুর ও সৈয়দপুরে ৪০ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এই সময়ে ঢাকায় সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ৩৮ দশমিক ৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস। দিনের তাপমাত্রার সঙ্গে রাতের তাপমাত্রা যেন পাল্লা দিয়ে বাড়ছে।

আবহাওয়া অধিদপ্তর জানায়, মৌসুমি বায়ু দেশে বিস্তার লাভ না করায় তাপপ্রবাহ এমন বেড়েই চলছে। সাধারণ সময়ে জুন মাসের প্রথম সপ্তাহে দেশে মৌসুমি বায়ুর প্রবেশ ঘটে। তবে এবার ঘূর্ণিঝড় মোখার কারণে মৌসুমি বায়ু প্রবেশে ব্যাঘাত ঘটেছে। এই সপ্তাহের মধ্যেই টেকনাফ উপকূলে মৌসুমি বায়ুর বিস্তার লাভ করতে পারে।

মঙ্গলবার সন্ধ্যা ৬টা থেকে পরবর্তী ২৪ ঘণ্টার পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, পশ্চিমা লঘুচাপের বর্ধিতাংশ পশ্চিমবঙ্গ এবং তৎসংলগ্ন এলাকায় অবস্থান করছে। বরিশাল ও চট্টগ্রাম বিভাগের দু’এক জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা হাওয়াসহ বৃষ্টি/বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। এ ছাড়া দেশের অন্যত্র অস্থায়ীভাবে আংশিক মেঘলা আকাশসহ আবহাওয়া প্রধানত শুষ্ক থাকতে পারে।

যশোর, রাজশাহী, দিনাজপুর ও সৈয়দপুর জেলাসমূহের ওপর দিয়ে তীব্র তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে। চট্টগ্রাম, কুমিল্লা, চাঁদপুর, নোয়াখালী, ফেনী ও বান্দরবান জেলাসহ ঢাকা, ময়মনসিংহ, খুলনা, বরিশাল, সিলেট বিভাগসমূহ এবং রংপুর ও রাজশাহী বিভাগের অবশিষ্টাংশের ওপর দিয়ে মৃদু থেকে মাঝারি ধরনের তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে এবং তা অব্যাহত থাকতে পারে।

বরিশাল ও চট্টগ্রাম বিভাগে দিনের তাপমাত্রা সামান্য হ্রাস পেতে পারে। এ ছাড়া দেশের অন্যত্র তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে। সারা দেশে রাতের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে।

 

;

প্রধানমন্ত্রীর ঘর পেয়ে বদলে গেছে আশ্রয়হীনদের জীবন



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ময়মনসিংহ
প্রধানমন্ত্রীর উপহারের ঘর পেয়ে বদলে গেছে আশ্রয়হীনদের জীবন

প্রধানমন্ত্রীর উপহারের ঘর পেয়ে বদলে গেছে আশ্রয়হীনদের জীবন

  • Font increase
  • Font Decrease

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উপহারের ঘর পেয়ে বদলে গেছে সুবিধাভোগী আশ্রয়হীনদের জীবন। তারা মানবেতর জীবনযাপন থেকে মুক্তি পেয়ে এখন সুখ-স্বাচ্ছন্দ্যে পরিবার পরিজন নিয়ে জীবন যাপন করছে।

গফরগাঁও উপজেলার গাভীশিমূল গ্রামের আশ্রয়ণ প্রকল্পের সুবিধাভোগী সুফিয়া আক্তার (৪০) বলেন, "আমার এক পুত আর দুই ছেরি লইয়া মাইনসের জায়গাত ঘর বাইন্ধা থাকতাম। নিজের ঘর নাই দেইক্কা বড় ছেরিডার বিয়া খালি ভাইঙ্গা যাইতো। শেখ হাসিনা আমগরে এইহানো ঠাই দিছে। হের পরে ছেরি ডারে বুঝমতো বিয়া দিতারছি।"

সরেজমিনে দেখা যায়, ময়মনসিংহের গফরগাঁও উপজেলার পাঁচভাগ ইউনিয়নের গাভীশিমুল গ্রামের আশ্রয়ণ প্রকল্পের ৫২ টি ঘরের মধ্যে একটি ঘরে আশ্রয় মিলে সুফিয়ার পরিবারের।

সুফিয়ার তাঁর স্বামী ওয়াকিল মিয়ার সাথে পরের জমিতে ছোট্ট একটি কুঁড়ে ঘরে এক ছেলে ও দুই মেয়ে নিয়ে বহু কষ্ট করে থাকতো। প্রাপ্ত বয়স্ক মেয়েকেও বিয়ে দিতে পারছিলেন না। ঘর ছিলো না বলে মেয়ের জন্য ভালো কোন প্রস্তাব আসছিল না । সরকারের ঘর পেয়ে মাথা গোঁজার ঠাঁই হলো। বড় মেয়েকে ভালো ঘরে বিয়ে দিতে পারলেন। সরকারের দেওয়া ঘরে আশ্রয় পেয়ে সুফিয়া পরিবারের আয়েও ভূমিকা রাখতে শুরু করে। আশ্রয়ণের ঘরের পাশে একটি একচালা ঘরে গরু পালন শুরু করে। একটি গাভীর দুধ বিক্রি করে সে দৈনিক ১৬০ টাকা আয় করে এখন পরিবারের আয়ে ভূমিকা রাখছে।

অটোরিকশা চালক ফারজুল ইসলামের স্ত্রী হনুফা সরকারিভাবে সেলাই মেশিন পেয়েছে। সেলাইয়ের কাজ করে আয় করে এখন পরিবারের ভূমিকা রাখছে। সে দক্ষ কারিগর বলে বাহির থেকেও তাঁর কাছে সেলাইয়ের কাজ আসে। এরকম আরও ৬ জন মহিলা সরকারিভাবে সেলাই মেশিন পেয়েছে যা দিয়ে আয় করে পরিবারে ভূমিকা রাখছে।

প্রধানমন্ত্রীর উপহারের দুই শতাংশ জমির ওপর স্বপ্নের পাকা ঘরে ঠাঁই হয় ভূমীহীন সমলা খাতুন ও তার স্বামী কাজলের । স্বামী ও স্ত্রী উভয়ে মিলে ৩ টি গরু পালন করে জীবন পাল্টে ফেলেছে। তাদের ঘরে যেতেই দেখা যায় ভিন্ন চিত্র। প্রধানমন্ত্রীর বড় একটা ছবি দেয়ালে ঝুলছে । শুধু তাই নয় ঘরের বাহিরের দেয়ালে চিত্রিত করেছে নৌকা মার্কায় ভোট দিন।

সমলা খাতুন বলেন," হাসিনা যে ঘর দিছে এটাতে যে হুততারি এটাই তো বড়। যে নেত্রী ঘর দিয়েছে তার ছবি থাকবে না। তাঁর নুন খাই তার গুন গাই"।

উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আবুল কাশেম বলেন, 'আমাদের প্রিয় নেতা সংসদ সদস্য ফাহমী গোলন্দাজ বাবেলের পরামর্শে আশ্রয়ণ প্রকল্পগুলোতে যাচাই বাছাই করে প্রকৃত উপকারভোগীদের আমরা ঘর দিয়েছি।'

উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সংসদ সদস্য ফামহী গোলন্দাজ বাবেল বলেন, 'আওয়ামী লীগের রাজনীতি দেশ ও জন কল্যাণমুখী। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান যেমন স্বাধীনতা দিয়েছেন, আমাদের রাষ্ট্রীয় পরিচয় দিয়েছেন। তেমনি জাতির পিতার সুযোগ্য কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দেশের অভূতপূর্ব উন্নয়নের পাশাপাশি লাখো অসহায় নিরাশ্রয় পরিবারকে মাথা গোঁজার ঠাঁই করে দিয়েছেন। এ জন্যই আওয়ামী লীগ সরকার বার বার দরকার।'

;

যানবাহনের অর্থনৈতিক আয়ুষ্কাল ৩০ বছর নির্ধারণে দাবি মালিকদের



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, চট্টগ্রাম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

বাস, মিনিবাস ও মালবাহী ট্রাকের অর্থনৈতিক আয়ুষ্কাল পুনর্বিবেচনা করে ৩০ বছর নির্ধারণের দাবি জানিয়েছে চট্টগ্রাম সড়ক পরিবহন মালিক গ্রুপ।

সম্প্রতি নগরের স্টেশন রোডে আন্তঃজিলা বাস মালিক সমিতির সম্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠিত সভায় এই দাবি জানান সংগঠনটির নেতারা।

চট্টগ্রাম সড়ক পরিবহন মালিক গ্রুপের নেতাদের দাবি, ২০২৩-২৪ অর্থ বছরের প্রস্তাবিত বাজেটের কারণে পরিবহন ব্যায় বৃদ্ধি পাবে। একই সাথে সম্প্রতি যাত্রীবাহী বাস-মিনিবাসের ২০ বছর এবং পণ্যবাহী ট্রাক-কাভার্ড ভ্যানের ২৫ বছর অর্থনৈতিক আয়ুষ্কাল নির্ধারণ করে প্রজ্ঞাপন জারি করেছে সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগ।

এতে পরিবহন খাতসংশ্লিষ্ট সবাই ক্ষতির সম্মুখীন হবে৷ তাই বিষয়টি পুনর্বিবেচনা করে বাস, মিনিবাস ও মালবাহী ট্রাকের অর্থনৈতিক আয়ুষ্কাল ৩০ বছর করার দাবি তাদের।

সভায় সংগঠনের মহাসচিব মনজুরুল আলম চৌধুরী বলেন, ‘করোনা মহামারীর দীর্ঘ সময়ে গাড়ির মালিক ও শ্রমিকরা কাজ না পেয়ে অত্যন্ত দুর্বিসহ সময় কাটিয়েছেন। সরকারের পক্ষ থেকে কোনো প্রণোদনা আমরা সাধারণ মালিকরা পাইনি৷ অথচ গাড়ির সমস্ত কর নিয়মিত পরিশোধ করতে হয়েছে। এতে মালিক-শ্রমিকরা নিঃস্ব হয়ে পড়েছেন। এরমধ্যে এখন আবার গাড়ির আয়ুষ্কাল কমিয়ে দেওয়া হয়েছে। তাই আমরা বাস-মিনিবাস ও মালবাহী ট্রাকের আয়ুষ্কাল ৩০ বছর করার যৌক্তিক দাবি জানাচ্ছি।’

চট্টগ্রাম সড়ক পরিবহন মালিক গ্রুপের যুগ্ম সম্পাদক মো. শাহজাহান জানান, বাস-মিনিবাস ও মালবাহী ট্রাকের অর্থনৈতিক আয়ুষ্কাল বৃদ্ধির দাবি এবং বিভিন্নভাবে গাড়ির মালিক ও শ্রমিকদের হয়রানি বন্ধের দাবি বাস্তবায়নে সভায় একটি কমিটি গঠন করা হয়েছে। আলহাজ্ব কফিল উদ্দিন আহমেদ, আলহাজ্ব মোরশেদুল আলম কাদেরী ও হাজী জহুর আহমেদকে সমন্বয়কের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে।

সংগঠনের সহ-সভাপতি নুরুল আবছারের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় অন্যান্যদের মধ্যে সৈয়দ হোসেন, আহসান উল্লাহ চৌধুরী, আব্দুর রহমান, মোশারফ হোসেন, মনসুর আনোয়ার, ফারুক খান, মো. জাফর, মোঃ শাহজাহান, মনসুর রহমান, মোঃ ইসহাক, রেজাউল খান, মনসুর, আবুল বশর, মোবারক হোসেন, খোরশেদ আলম, মো. হাসান প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

;

সিলেটে ট্রাক-পিকআপ ভ্যান সংঘর্ষ, নিহত ১২



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

সিলেটের নাজির বাজারে পণ্যবাহী ট্রাকের সঙ্গে পিকআপ ভ্যানের সংঘর্ষে ১২ জন নিহত হয়েছেন।

বুধবার (৭ জুন) ভোরে ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের দক্ষিণ সুরমা থানাধীন নাজিরবাজার এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।

বিষয়টি নিশ্চিত করে সিলেট জেলার ফায়ার সার্ভিসের বিভাগীয় প্রধান মনিরুজ্জামান বলেন, আমরা ১১ জনকে মৃত অবস্থায় পেয়েছি। আহতাবস্থায় আটজনকে সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠিয়েছি। এছাড়া আমরা আসার আগে স্থানীয়রা ৭-৮ জনকে হাসপাতালে পাঠিয়েছেন। এর মধ্যে পথে একজনের মৃত্যু হয়। বাকিদের মধ্যে বেশ কয়েকজন গুরুতর আহত বলেও জানান তিনি।

দক্ষিণ সুরমা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সামশুদ্দোহা জানান, পিকআপ ভ্যানটি ২০ থেকে ২২ জনকে নিয়ে তাজপুরের দিকে যাচ্ছিল। দুর্ঘটনার পর এর চালক পালিয়ে যায়। তবে ট্রাকের চালক আহতাবস্থায় হাসপাতালে ভর্তি রয়েছে বলে জানান তিনি।

দুর্ঘটনার পর ঢাকা-সিলেট মহাসড়ক বন্ধ রয়েছে।

;