‘মাইক’ চলচ্চিত্র তরুণ প্রজন্মের কাছে বঙ্গবন্ধুর ভাষণকে পৌঁছে দিবে



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ঐতিহাসিক ৭ মার্চের ভাষণকে উপজীব্য করে বাংলাদেশ সরকারের অনুদানে নির্মিত পূ্র্ণদৈর্ঘ্য শিশুতোষ চলচ্চিত্র ‘মাইক’ এর মাধ্যমে তরুণ প্রজন্ম বঙ্গবন্ধুর ঐতিহাসিক ৭ মার্চের ভাষণসহ স্বাধীনতার ইতিহাস জানতে পারবে। মুক্তিযুদ্ধ ও বাংলাদেশের সঠিক ইতিহাস তুলে ধরতে ‘মাইক’ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।

মঙ্গলবার (২৮ মার্চ) ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র শিক্ষক কেন্দ্র (টিএসসি) অডিটোরিয়ামে চলচ্চিত্রটির বিশেষ প্রদর্শনী শেষে অনুভূতি প্রকাশ করে বিশিষ্টজনেরা এসব কথা বলেন।

চলচ্চিত্রটি নিয়ে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুবউল আলম হানিফ এমপি বলেন, 'মাইক' ইতিহাস সমৃদ্ধ সিনেমা। পঁচাত্তরে বঙ্গবন্ধুকে হত্যার পর ৭ মার্চের ভাষণ নিষিদ্ধ করা হয়েছিল এবং রাজাকারদের উত্থানের ইতিহাস সিনেমাটিতে তুলে ধরা হয়েছে।

তিনি বলেন, শিশুতোষ এই সিনেমাটি অসাধারণ হয়েছে। এ ধরণের সিনেমা আরো হওয়া প্রয়োজন। পচাঁত্তরের পরে ইতিহাসকে উল্টা পথে চালানোর চেষ্টা হয়েছে। বঙ্গবন্ধুর নাম নিশানা মুছে দেয়ার চেষ্টা হয়েছিল। যার কারণে প্রজন্ম ভুল ইতিহাস জানত, সঠিক ইতিহাস জানত না। এই সিনেমাটিতে সঠিক ইতিহাস তুলে ধরা হয়েছে। 'মাইক' ইতিহাসের মাইলফলক হিসেবে চিহ্নিত হয়ে থাকবে।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য (প্রশাসন) অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ সামাদ বলেন, বঙ্গবন্ধুর ঐতিহাসিক ৭ই মার্চের ভাষণকে উপজীব্য করে সরকারি অনুদানে নির্মিত পূর্ণদৈর্ঘ্য শিশুতোষ চলচ্চিত্র 'মাইক' সিনেমাটি এক কথায় অসাধারণ। আমি এই সিনেমার প্রযোজক ও পরিচালক শাহীনসহ সংশ্লিষ্ট সকলকে আন্তরিক অভিনন্দন জানাই। সিনেমায় দাইয়ান, সানজিদ, মেঘসহ ৪ শিশুশিল্পী কী যে অভিনয় করল! এককথায় অনবদ্য। এই সিনেমার মধ্যে কোন ছেদ নেই। সিনেমা দেখে আমি অভিভূত। আমি আশা করি এই সিনেমার জন্য শাহীনসহ শিল্পী এবং কলাকুশলীরা সম্মানিত হবেন।

তিনি বলেন, আমার ধারণা বাংলাদেশে বঙ্গবন্ধুর অনুসারী যারা, তার সঙ্গে আমি যুক্ত করব বঙ্গবন্ধুর রক্তধারা বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনা, শেখ রেহানাসহ যারা এই সিনেমাটি দেখবেন, তারা দেখে অভিভূত হবেন।

সংসদ সদস্য শামীম হায়দার পাটোয়ারী বলেন, এই চলচ্চিত্রটি দেখে দর্শক আন্দোলিত ও উৎসাহিত হবে। নতুন প্রজন্মের জানা দরকার যে ৫২ ও ৭১'র কী হয়েছিল। এই ভাষণ মানুষকে উজ্জীবিত ও আন্দোলিত করে। সেই কারণে এই ভাষণকে ঢেকে রাখার চেষ্টা করা হয়েছে। আমাদের সবার দায়িত্ব এই ভাষণকে সবার কাছে পৌঁছে দেয়া এবং জাতিকে সঠিক ইতিহাস জানান।

আওয়ামী লীগের বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি সম্পাদক ইঞ্জিনিয়ার আবদুস সবুর বলেন, 'মাইক' সিনেমা প্রমাণ করেছে বঙ্গবন্ধুর ৭ই মার্চের ১৮ মিনিটের ভাষণ কালে কালে, যুগে যুগে সবসময় প্রাসঙ্গিক। 'মাইক' সিনেমাটি সারাদেশে ছড়িয়ে যাবে এমন প্রত্যাশা ব্যক্ত করেন তিনি।

আওয়ামী লীগের শিক্ষা ও মানবসম্পদ সম্পাদক শামসুন্নাহার চাপা বলেন, মাইক সিনেমা দেখে আমি অত্যন্ত আনন্দিত। আমি খুবই খুশি। চলচ্চিত্রটির মাধ্যমে ৭ই মার্চের ভাষণকে ফুটিয়ে তোলা হয়েছে।

আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী সদস্যে এডভোকেট সানজিদা খানম বলেন, 'মাইক' সিনেমা দেখে আমি খুবই অভিভূত। এই সিনেমার মধ্য দিয়ে জাতির পিতার আদর্শ তরুণ প্রজন্মের মাঝে ছড়িবে পড়বে বলেও প্রত্যাশা ব্যক্ত করেন তিনি।

সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোটের সভাপতি গোলাম কুদ্দুছ বলেন, মাইক চলচ্চিত্র দেখে আমি অভিভূত। এই চলচ্চিত্রের মধ্যে বঙ্গবন্ধুর হত্যাকাণ্ডের পর ১৯৭৫ সালে যে ভয়াবহ পরিস্থিতি হয়েছিল সেটি উঠে এসেছে। স্বাধীনতা বিরোধীরা এদেশে বঙ্গবন্ধুর ঐতিহাসিক ভাষণকে নিষিদ্ধ করতে চেয়েছে। কিন্তু তারা তা পারেনি। আমি আশা করি এই চলচ্চিত্র তরুণ প্রজন্মেের কাছে বঙ্গবন্ধুকে পৌঁছে দেবে।

কবি অসীম সাহা বলেন, যে স্বপ্ন আমরা দেখতাম, এদেশের তরুণ প্রজন্ম বঙ্গবন্ধুর ভাষণ দেখে অনুপ্রেরণা পাবে। সেটি এই চলচ্চিত্রে তুলে ধরা হয়েছে। আর এই চলচ্চিত্রে শিশু শিল্পীরা অসাধারণ অভিনয় করে বঙ্গবন্ধুর প্রতি ভালোবাসার অনন্যতা দেখিয়েছে।

বিশেষ প্রদর্শনীতে আরো উপস্থিত ছিলেন মাইক চলচ্চিত্রের অভিনেত্রী তানভিন সুইটি, অভিনেতা নাদের চৌধুরী, শিশুশিল্পী সানজিদ রহমান খান, আলী আবদুল্লাহ দাইয়ান ভূঁইয়া, খন্দকার মেঘদূত জলিল, মীর্জা ত্বাবীব ওয়াসিতসহ চলচ্চিত্র সংশ্লিষ্ট কলাকুশলীরা।

এছাড়া বিবার্তার সম্পাদক বাণী ইয়াসমিন হাসি, বীর মুক্তিযোদ্ধা মফিজুল ইসলাম সরকার, সাংবাদিক নেতা আব্দুল জলিল ভূঁইয়া, ডিআরইউ’র সাবেক সাধারণ সম্পাদক নূরুল ইসলাম হাসিব, গৌরব '৭১ এর সভাপতি এস এম মনিরুল ইসলাম, নির্মাতা ও অভিনেতা কচি খন্দকার, কবি ও নির্মাতা টোকন ঠাকুর, নির্মাতা প্রশান্ত অধিকারী, নির্মাতা রেজা ঘটক, কবি আহমেদ শিপলু ও কবি ও ভাস্কর রিঙকু অনিমিখ, বিবার্তার বার্তা সম্পাদক হাবিবুর রহমান রোমেল প্রমূখ।

উল্লেখ্য, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ঐতিহাসিক ৭ মার্চের ভাষণকে কেন্দ্র করে বাংলাদেশ সরকারের অনুদানে নির্মিত পূ্র্ণদৈর্ঘ্য শিশুতোষ চলচ্চিত্র 'মাইক' তরুণ লেখক, কলামিস্ট ও সংগঠক এফ এম শাহীনের প্রযোজনায় চলচ্চিত্রটি যৌথভাবে পরিচালনা করছেন এফ এম শাহীন ও হাসান জাফরুল (বিপুল)।

বাংলাদেশ-ভারত সেনাবাহিনীর মধ্যে সহযোগিতা জোরদারে প্রধানমন্ত্রীর গুরুত্বারোপ



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

বাংলাদেশ-ভারত দুই বন্ধুত্বপূর্ণ দেশের সেনাবাহিনীর মধ্যে সহযোগিতা বাড়ানোর প্রয়োজনীয়তার ওপর জোর দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি বলেন, দুই প্রতিবেশী দেশের সেনাবাহিনীর মধ্যে সহযোগিতা জোরদার করা উচিত।

সফররত ভারতীয় সেনাপ্রধান জেনারেল মনোজ পান্ডে মঙ্গলবার (৬ জুন) সন্ধ্যায় জাতীয় সংসদ ভবনে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে সৌজন্য সাক্ষাৎকালে শেখ হাসিনা এ কথা বলেন।

বৈঠক শেষে প্রধানমন্ত্রীর বক্তৃতা লেখক এম নজরুল ইসলাম সাংবাদিকদের ব্রিফ করেন।

শেখ হাসিনা তার সরকার কর্তৃক বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব পিস সাপোর্ট অপারেশন ট্রেনিং (বিপসট) স্থাপনের কথা উল্লেখ করে বলেন, পারস্পরিক কল্যাণে এখানে দুই দেশের মধ্যে কর্মকা- বিনিময়ের সুযোগ রয়েছে। প্রধানমন্ত্রী ১৯৭১ সালের মহান মুক্তিযুদ্ধে ভারত সরকার, সেনাবাহিনী ও সেদেশের জনগণের সমর্থন ও ভূমিকার কথাও কৃতজ্ঞতার সঙ্গে স্মরণ করেন।

প্রধানমন্ত্রী দারিদ্র্যকে প্রধান শত্রু হিসেবে উল্লেখ করে বলেন, দারিদ্র্য এই অঞ্চলের জনগণের প্রধান শত্রু এবং এই অঞ্চলের দেশগুলিকে দারিদ্র্য দূর করতে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করতে হবে।

তিনি বলেন, বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে চমৎকার দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক বিরাজ করছে। এই সম্পর্ককে কাজে লাগিয়ে আর্থ-সামাজিক উন্নয়নে গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে বলেও তিনি উল্লেখ করেন। বাংলাদেশকে অধিক জনসংখ্যার দেশ হিসেবে উল্লেখ করে তিনি বলেন, সরকার বিভিন্ন সীমাবদ্ধতা ও সম্পদ সীমিত থাকা সত্ত্বেও দেশটিকে আর্থ-সামাজিকভাবে এগিয়ে নিতে আপ্রাণ চেষ্টা করছে।

বৈঠককালে ভারতীয় সেনাপ্রধান বলেন, প্রতিরক্ষা শিল্প খাতে বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে সহযোগিতা খুব ভালোভাবে এগিয়ে চলেছে। জেনারেল মনোজ পান্ডে এ সময় প্রধানমন্ত্রীকে আশ্বস্ত করে বলেন, আগামী দিনেও বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর আধুনিকায়নে সহযোগিতা অব্যাহত থাকবে।

তিনি বলেন, প্রযুক্তিগত ও অন্যান্য ক্ষেত্রে দুই বন্ধুপ্রতিম দেশের মধ্যে সহযোগিতা আরও জোরদার করার সম্ভাবনা রয়েছে। ভারতীয় সেনাপ্রধান পারস্পরিক সুবিধার জন্য এই সুযোগগুলিকে কাজে লাগানোর প্রয়োজনীয়তার উপর জোর দেন। জেনারেল মনোজ পান্ডে প্রধানমন্ত্রীকে জানান যে, তিনি চট্টগ্রামে বাংলাদেশ মিলিটারি একাডেমি পরিদর্শন করেছেন এবং সেখানে আধুনিক সুযোগ-সুবিধা দেখে সত্যিই মুগ্ধ হয়েছেন।

এ সময় অ্যাম্বাসেডর অ্যাট লার্জ মোহাম্মদ জিয়াউদ্দিন ও প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব মো. তোফাজ্জেল হোসেন মিয়া উপস্থিত ছিলেন।

;

জাতীয় সংসদে সম্পূরক বাজেট পাস



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

২০২২-২৩ অর্থবছরের জন্য ১৭ হাজার ২৯৯ কোটি ৪৮ লাখ ৩৫ হাজার টাকার সম্পূরক বাজেট জাতীয় সংসদে পাস হয়েছে। এর মাধ্যমে চলতি অর্থবছরে যেসব মন্ত্রণালয় বা বিভাগ তাদের মূল বরাদ্দের চেয়ে বেশি টাকা ব্যয় করেছে, তার অনুমোদন দেওয়া হয়।

মঙ্গলবার (৬ জুন) অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল ‘নির্দিষ্টকরণ (সম্পূরক) বিল-২০২৩’ জাতীয় সংসদে উত্থাপন করেন। পরে বিলটি কণ্ঠভোটে পাস হয়।

অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল ১ জুন জাতীয় বাজেটের সঙ্গে সম্পূরক বাজেট সংসদে উত্থাপন করেন। ২০২২-২৩ অর্থবছরে ৬২টি মন্ত্রণালয় ও বিভাগের অনুকূলে মোট বাজেট ছিল ৬ লাখ ৭৮ হাজার ৬৪ কোটি টাকা।

সম্পূরক বাজেটে ২২টি মন্ত্রণালয় ও বিভাগে ব্যয় বেড়েছে ১০১ হাজার ২৫৪ কোটি ৩১ লাখ টাকা এবং ৪০টি মন্ত্রণালয় ও বিভাগে ব্যয় কমেছে ৪২ হাজার ৩২৪ কোটি ৪৯ লাখ টাকা।

ফলে এসব মন্ত্রণালয় ও বিভাগের বাজেট বরাদ্দ কমেছে ১৭ হাজার ৫৫৭ কোটি টাকা এবং মোট বরাদ্দ এখন দাঁড়িয়েছে ৬ লাখ ৬০ হাজার ৫০৭ কোটি টাকা।

এর ওপর সাধারণ আলোচনা শেষে মঙ্গলবার সংসদে সম্পূরক বাজেট উত্থাপন করেন অর্থমন্ত্রী।

বিভিন্ন মন্ত্রণালয়, বিভাগ ও প্রতিষ্ঠান অনুদানের জন্য ৩৯টি দাবিতে বর্ধিত পরিমাণ চেয়েছে। ১৬৩টি কাট-মোশন ১১ সদস্য দ্বারা সরানো হয়েছিল।

জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিভাগ, কৃষি মন্ত্রণালয় এবং পানিসম্পদ মন্ত্রণালয়- এ তিনটি কাট-মোশন নিয়ে আলোচনা হয়।

জাতীয় পার্টির সংসদ সদস্য কাজী ফিরোজ রশীদ, মুজিবুল হক, ফখরুল ইমাম, রওশন আরা মান্নান, শামীম হায়দার পাটোয়ারী, পীর ফজলুর রহমান, হাফিজ উদ্দিন আহমেদ, রুস্তম আলী ফরাজী, গণফোরামের সাংসদ মোকাব্বির খান ও স্বতন্ত্র সংসদ সদস্য মোঃ রেজাউল করিম এই কাট মোশন আনেন।

তবে সেই কাট-মোশন কণ্ঠভোটে নাকচ হয়ে যায়।

সবচেয়ে বেশি বরাদ্দ পেয়েছে কৃষি মন্ত্রণালয় ৯ হাজার ৫৮৫ কোটি ৪১ লাখ টাকা এবং সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয় সর্বনিম্ন ২৪ কোটি ৭৬ লাখ টাকা।

অর্থ বিভাগ প্রাইম ৫০৪ কোটি ০৫ লাখ টাকা, পরিকল্পনা কমিশন ২ হাজার ২৪৭ কোটি ৮৪ লাখ টাকা, মহিলা ও শিশুবিষয়ক মন্ত্রণালয় ১১২ কোটি ০৫ লাখ টাকা, শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয় ১১৩ কোটি ১৯ লাখ টাকা, গৃহায়ণ ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয় ১ হাজার ৮৭৬ কোটি ৫১ লাখ টাকা, ধর্মবিষয়ক মন্ত্রণালয় ১৭০৭ কোটি ৬২ লাখ টাকা, যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয় ৩৫২ কোটি ৭৭ লাখ টাকা, স্থানীয় সরকার বিভাগ ৩ হাজার ৪৯১ কোটি ৯৩ লাখ টাকা, শিল্প মন্ত্রণালয় ৭০১ কোটি ৩২ লাখ টাকা, খনিজ সম্পদ বিভাগ ৩২ কোটি ৩৬ লাখ টাকা, কৃষি মন্ত্রণালয় ৯ হাজার ৫৮৫ কোটি ৪১ লাখ টাকা, পানিসম্পদ মন্ত্রণালয় ৩ হাজার ৩৫৯ কোটি ২৪ লাখ টাকা, খাদ্য মন্ত্রণালয় ২ হাজার ৮৮৬ কোটি ৬৪ লাখ টাকা, দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয় ৫৩৫ কোটি ০৮ লাখ টাকা, ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগ ৫৫১ কোটি ৬১ লাখ টাকা, পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয় ৬২ কোটি ৮৬ লাখ টাকা, বিদ্যুৎ বিভাগ ১ হাজার ১১৩ কোটি ৪০ লাখ টাকা এবং মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয় ১ হাজার ৭৭ কোটি ০৮ লাখ টাকা।

;

ঈদের ছুটির আগেই দিতে হবে শ্রমিকের বেতন-বোনাস: শ্রম প্রতিমন্ত্রী



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

ঈদের ছুটির আগেই পোশাকশিল্পের মালিকপক্ষকে শ্রমিকের বেতন-বোনাস পরিশোধ করতে বলেছেন শ্রম ও কর্মসংস্থান প্রতিমন্ত্রী বেগম মন্নুজান সুফিয়ান।

মঙ্গলবার (৬ জুন) বিকেলে রাজধানীর বিজয়নগর শ্রম ভবনের সম্মেলন কক্ষে জাতীয় ত্রিপক্ষীয় পরামর্শ পরিষদ- টিসিসি’র ৭৫তম এবং আরএমজি টিসিসি’র ১৫তম সভায় তিনি এসব কথা বলেন।

তিনি বলেন, ঈদ যেহেতু মাসের শেষ দিকে, সেজন্য শ্রমিকদের ঈদ বোনাসের সঙ্গে চলতি মাসের ১৫ দিনের বেতনও দিয়ে দেবেন।

এ সময় শ্রমিক নেতৃবৃন্দের জুন মাসের পূর্ণ বেতন দাবির প্রেক্ষিতে তিনি বলেন, ১৫ দিনের বেতন বাধ্যতামূলক। তবে কোনো মালিকের সক্ষমতা থাকলে, ইচ্ছে করলে তিনি পূর্ণ মাসের বেতনও দিতে পারেন।

তিনি আরও বলেন, গার্মেন্টস যেহেতু রফতানিমুখী শিল্প এবং ঈদে ঘরমুখো মানুষের চলাচল নির্বিঘ্ন করতে হবে, তাই এসব বিষয়কে মাথায় রেখে শ্রমিকদের ছুটি দেবেন।

টিসিসি সভায় মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. এহছানে এলাহী, অতিরিক্ত সচিব মো. তৌফিকুল আরিফ, ফাহমিদা আখতার, কলকারখানা ও প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন অধিদফতরের ভারপ্রাপ্ত মহাপরিদর্শক মিনা মাসুদ উজ্জামান, শিল্প পুলিশের ডিআইজি জিহাদুল কবির, বিজিএমইএ’র ভাইস প্রেসিডেন্ট মো. নাসির উদ্দীন, পরিচালক মো. হারুন অর রশিদ, জাতীয় শ্রমিক লীগের কার্যনির্বাহী সদস্য আব্দুস সালাম খান, বাংলাদেশ জাতীয় গার্মেন্টস শ্রমিক কর্মচারী লীগের সভাপতি মো. সিরাজুল ইসলাম রনি, জাতীয় শ্রমিক জোটের সাধারণ সম্পাদক নাঈমুল আহসান জুয়েল, জাতীয় শ্রমিক ফেডারেশনের কার্যকরী সভাপতি কামরুল আহসান, ইন্ডাস্ট্রি অল বাংলাদেশ কাউন্সিলের সাধারণ সম্পাদক কুতুবউদ্দিন আহমেদ এবং সম্মিলিত গার্মেন্টস শ্রমিক ফেডারেশনের সভাপতি শ্রমিক নেত্রী নাজমা খাতুনসহ বিভিন্ন মন্ত্রণালয়, আইএলও, দফতর-সংস্থার প্রতিনিধিরা সভায় অংশ নেন।

;

প্রাথমিকে শিক্ষকের ৩৭ হাজার ৯২৬ পদ শূন্য: সংসদে প্রতিমন্ত্রী



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

দেশে বর্তমানে ৬৬ হাজার ৫৬৬টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ৩৭ হাজার ৯২৬টি শূন্যপদ রয়েছে বলে জানিয়েছেন প্রাথমিক ও গণশিক্ষা প্রতিমন্ত্রী জাকির হোসেন। এর মধ্যে প্রধান শিক্ষকের পদ শূন্য ২৯ হাজার ৮৫৮টি এবং সহকারী শিক্ষকের ৮ হাজার ৬৮টি।

মঙ্গলবার (৬ জুন) জাতীয় সংসদে প্রশ্নোত্তরে প্রতিমন্ত্রী জাকির হোসেন এ তথ্য জানান। স্পিকার শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে প্রশ্নোত্তর টেবিলে উপস্থাপন করা হয়।

সরকার দলীয় আবুল কালাম আজাদের প্রশ্নের জবাবে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা প্রতিমন্ত্রী বলেন, শূন্যপদগুলো পূরণ করার পরিকল্পনা সরকারের রয়েছে। সরাসরি নিয়োগযোগ্য প্রধান শিক্ষকের এক হাজার ৯৫৫টি শূন্যপদে নিয়োগের জন্য জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় থেকে গত ৪ জানুয়ারি বাংলাদেশ সরকারি কর্ম কমিশনে চাহিদা পাঠানো হয়েছে।

তিনি জানান, রংপুর,বরিশাল ও সিলেট বিভাগে সহকারী শিক্ষক নিয়োগের জন্য গত ২৮ ফেব্রুয়ারি পত্রিকায় বিজ্ঞাপন দেওয়া হয়েছে। রাজশাহী, খুলনা ও ময়মনসিংহ বিভাগের নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি গত ২৩ মার্চ পত্রিকায় প্রকাশ করা হয়েছে। ঢাকা ও চট্টগ্রাম বিভাগের নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের কার্যক্রম চলমান রয়েছে।

জাতীয় পার্টির সংসদ সদস্য পীর ফজলুর রহমানের আরেক প্রশ্নের জবাবে প্রতিমন্ত্রী বলেন, দেশের প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকের সংখ্যা ৪ লাখ ২৭ হাজার ৯৭১টি। এর মধ্যে কর্মরত রয়েছেন ৩ লাখ ৯০ হাজার ৪৫টি।

হাজী মো. সেলিমের প্রশ্নের জবাবে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা প্রতিমন্ত্রী জানান, দেশে বর্তমানে কোনো রেজিস্টার্ড বেসরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় নাই।

সংরক্ষিত নারী আসনের সংসদ সদস্য খালেদা খানমের প্রশ্নের জবাবে শিক্ষামন্ত্রী দীপু মনি বলেন, প্রতিটি জেলায় একটি বিশ্ববিদ্যালয় ও প্রতিটি বিভাগে একটি মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার পরিকল্পনা রয়েছে। বর্তমানে দেশে ২টি নারী বিশ্ববিদ্যালয় আছে। যার মধ্যে একটি বেসরকারি ও অন্যটি আন্তর্জাতিক নারী বিশ্ববিদ্যালয়।

;