ঠাকুরগাঁওয়ে ভুট্টার ফসলে উঁকি দিচ্ছে কৃষকের স্বপ্ন



রবিউল এহ্সান রিপন, ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঠাকুরগাঁও
ভুট্টার আবাদ

ভুট্টার আবাদ

  • Font increase
  • Font Decrease

ঠাকুরগাঁওয়ের মাঠ ঘাটে ছেয়ে গেছে ভুট্টার আবাদ। যেসব মাঠে আগে দেখা যেতে গমের আবাদ সেসব মাঠে এখন ব্যাপকভাবে আবাদ হচ্ছে ভুট্টা। গমের থেকে ভুট্টার তিন গুণ ফলন বেশি হওয়ায় গমের স্থান দখল করে নিয়েছে ভুট্টা। গত বার ভুট্টায় লাভ পেয়ে কৃষকরা এবার ব্যাপক হারে চাষ করেছেন। ভুট্টা গাছের চেহেরা ও ফল ভালো আসায় লাভবান হওয়ার স্বপ্ন দেখছেন কৃষকরা।

ভুট্টা গাছে চেহারায় ফসলি মাঠ গুলো হয়ে উঠেছে সবুজে ঘেরা। যতদূর চোখ যায় দেখা যায়, ভুট্টা গাছের সবুজ রং ও সাদা ফুলে ভরে উঠেছে ফসলের মাঠ। পোলট্রি খাত, হাস-মুরগি, গবাদি পশু ও মানুষের খাদ্যের তালিকায় ভুট্টার ব্যবহার বৃদ্ধি পাওয়ার এর চাহিদা ব্যাপকভাবে বাড়ছে।

গমের তুলনায় ভুট্টায় বেশি লাভ পাচ্ছেন কৃষকরা। তাই জেলায় দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে ভুট্টার চাষ। কৃষকরা গত বছর ভুট্টার দাম বেশি পাওয়ায় এবছর আরও বেশি করে চাষ করেছেন বিভিন্ন আগাম উচ্চ ফলনশীল জাতের ভুট্টা। এছাড়াও এবার যারা আলু চাষ করেছেন তারা আলু তুলে আবার রোপণ করেছেন ভুট্টা।

আবহাওয়া ভালো থাকলে ও গত বছরের মতো এবারও দাম পেলে ভুট্টা চাষে এবছর অধিকহারে লাভবান হওয়ার আশা ও স্বপ্ন দেখছেন জেলার কৃষকরা।

ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার গিলাবাড়ি গ্রামের কৃষক শাহিন ইকবাল ৬ বিঘা জমিতে ভুট্টা লাগিয়েছেন। তিনি বলেন, ‘আমাদের দিকে ভুট্টার গাছ পালা ও গাছে ভুট্টার মোচা ভালো এসেছে। আল্লাহ সহায় থাকলে এবার ভুট্টাতে কৃষকরা অধিক লাভবান হতে পারবো।’

ভুট্টা চাষী লোকমান আলী বলেন, ‘গম ও আলুতে তেমন লাভ না হওয়ায় জেলার অধিকাংশ কৃষক চাষ করেছেন ভুট্টা। ৫০ শতাংশের এক বিঘা জমিতে এবার ভুট্টা চাষ করতে সর্বোচ্চ খরচ হবে ৩০-৩৫ হাজার টাকা আর পরিচর্যা অনুযায়ী ফলন হয় কমপক্ষে ৮০-১০০ মণ। কারও কারও এর চেয়েও বেশি ফলন হয়। এক বিঘা জমির ভুট্টা বিক্রিয় হয় কম পক্ষে ৮০-৯০ হাজার টাকা। অন্যদিকে এক বিঘা জমিতে গম হয় মাত্র ২০-২৫ হাজার টাকার। তাই গমের তুলনায়ভুট্টায় বেশি লাভ পাওয়ায় ভুট্টার চাষ ব্যাপক হারে বৃদ্ধি পাচ্ছে।’

পীরগঞ্জ উপজেলার মন্ডলপাড়া গ্রামের কৃষক হামিদুর রহমান বলেন, ‘আমি গতবার ভুট্টা চাষ করেছিলাম ৩ বিঘা জমিতে। দাম ভালো পাওয়ায় এবার চাষ করেছি ৫ বিঘাতে। গাছের চেহেরা খুবই ভালো আছে তাতে আবহাওয়া ভালো থাকলে গতবারের তুলনায় এবার আরও বেশি ফলন হতে পারে।’

রাণীশংকৈল উপজেলার কুমরগঞ্জ এলাকার কৃষক আব্দুল মান্নান বলেন, ‘কৃষকরা ব্যাপকভাবে ভুট্টার আবাদ করেছেন। গত বছর আমি ৮০ কেজি ওজনের কাচা এক বস্তা ভুট্টা বিক্রি করেছি ২ হাজার ২শত টাকায়। এবারও যদি এমন দাম থাকে তাহলে কৃষকরা ভুট্টাতে অনেক লাভবান হবে।’


বালিয়াডাঙ্গী উপজেলার হরিণমারি এলাকার কৃষক সমসের আলী বলেন, ‘আলু করে শুধু লস হয়। দাম তেমন পাওয়া যায় না। গেলবার ভুট্টার দাম ভালো ছিল। তাই আমিও এবার আগাম জাতের ভুট্টা চাষ করেছি।

হরিপুর উপজেলার কামাপুর গ্রামের কৃষক মনসুর আলী বলেন, ‘গতবছর ভ্ট্টুা চাষ করে লাভবান হওয়ায় কৃষকরা এবার বেশি করে ভুট্টা চাষ করেছেন। যে আমাদের পরিবার থেকেই শুধু ১৫ বিঘা জমিতে চাষ করেছি ভুট্টা। আশা করছি এবার ভুট্টার দাম ভালো পাবো। কারণ যেহেতু বর্তমানে সবকিছুর দামে বেশি তাই আশা করি ভুট্টার দামও বেশি পাবো।’

জেলায় মোট ১ লক্ষ্য ৫১ হাজার ৫৯৩ হেক্টর আবাদি জমির মধ্যে চলতি মৌসুমে শুধু ভুট্টা চাষ হয়েছে প্রায় ৩৮ হাজার হেক্টর জমিতে। যার উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে ৩ লক্ষ ৮৫ হাজার মেট্রিক টন। গত বছর চাষ হয়েছিল ৩৩ হাজার ৬০ হেক্টর জমিতে ও উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা অর্জিত হয়েছিল ৩ লাখ ৬২ হাজার ৫৮১ মেট্রিক টন ভুট্টা। এক বছরের ব্যবধানে জেলায় ৫ হাজার হেক্টর জমিতে ভুট্টার চাষ বৃদ্ধি পেয়েছে। চলতি মৌসুমে গম চাষ হয়েছে ৩৬ হাজার ৬৫৭ হেক্টও জমিতে অথচ গতবছর চাষ হয়েছিল প্রায় ৪৫ হাজার হেক্টর। এক বছরে প্রায় ৯ হাজার হেক্টর জমিতে গমে আবাদ কমেছে। এছাড়াও গত মৌসুমে জেলায় আলু চাষ হয়েছিল ২৭ হাজার ৬৭৭ হেক্টর কিন্তু এবার তা কমে হয়েছে ২৬ হাজার ১৬৭ হেক্টর আবাদ হয়েছে বলে জানান জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের উপ পরিচালক।

জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের উপ পরিচালক মো. সিরাজুল ইসলাম বলেন, ‘গম ও আলুর থেকে ভুট্টার আবাদ বৃদ্ধি পাওয়ার কারণ ভুট্টার চাহিদা, বাজার মূল্য ভালো থাকায় এবং একই পরিমাণ জমিতে গমের তুলনায় ভুট্টার ফলন প্রায় তিন গুণ বেশি হওয়ায় কৃষকরা দিন দিন ভুট্টা চাষে আগ্রহী হয়ে উঠছেন। আশা করছি চলতি মৌসুমে ১ হেক্টর জমিতে প্রায় সাড়ে ১১ টন করে জেলায় মোট ৩ লাখ ৮৫ হাজার মেট্রিক টন ভুট্টা উৎপাদ হবে। আমরা জেলা কৃষি বিভাগ কৃষকদের ভুট্টা চাষে সেচ, রাসায়নিক প্রয়োগসহ পোকা রোধের বিষয়ে পরামর্শ দিয়ে যাচ্ছি।’

পাঁচ দিনের মধ্যে সারাদেশে আবহাওয়া অধিদপ্তরের বৃষ্টির পূর্বাভাস



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

দেশের দুইটি জেলায় মঙ্গলবার সারাদিন তীব্র তাপদাহ বয়ে গেছে। সেই সঙ্গে রাজধানীসহ সারাদেশের বেশিরভাগ অঞ্চলের ওপর দিয়েও বয়ে গেছে মৃদু থেকে মাঝারি ধরনের তাপদাহ। গত কয়েক দিনের তাপপ্রবাহের পর এবার পূর্বাভাসে বৃষ্টিপাতের প্রবণতা বৃদ্ধি পাওয়ার কথা জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর।

মঙ্গলবার আবহাওয়ার বর্ধিত পাঁচ দিনের পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, এই সময়ের শেষ দিকে বৃষ্টিপাতের প্রবণতা বৃদ্ধি পেতে পারে। একই সঙ্গে আগামী ৪৮ ঘণ্টায় তাপপ্রবাহের পরিবর্তন হতে পারে।

সারা দেশে মঙ্গলবার সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল দিনাজপুর ও সৈয়দপুরে ৪০ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এই সময়ে ঢাকায় সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ৩৮ দশমিক ৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস। দিনের তাপমাত্রার সঙ্গে রাতের তাপমাত্রা যেন পাল্লা দিয়ে বাড়ছে।

আবহাওয়া অধিদপ্তর জানায়, মৌসুমি বায়ু দেশে বিস্তার লাভ না করায় তাপপ্রবাহ এমন বেড়েই চলছে। সাধারণ সময়ে জুন মাসের প্রথম সপ্তাহে দেশে মৌসুমি বায়ুর প্রবেশ ঘটে। তবে এবার ঘূর্ণিঝড় মোখার কারণে মৌসুমি বায়ু প্রবেশে ব্যাঘাত ঘটেছে। এই সপ্তাহের মধ্যেই টেকনাফ উপকূলে মৌসুমি বায়ুর বিস্তার লাভ করতে পারে।

মঙ্গলবার সন্ধ্যা ৬টা থেকে পরবর্তী ২৪ ঘণ্টার পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, পশ্চিমা লঘুচাপের বর্ধিতাংশ পশ্চিমবঙ্গ এবং তৎসংলগ্ন এলাকায় অবস্থান করছে। বরিশাল ও চট্টগ্রাম বিভাগের দু’এক জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা হাওয়াসহ বৃষ্টি/বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। এ ছাড়া দেশের অন্যত্র অস্থায়ীভাবে আংশিক মেঘলা আকাশসহ আবহাওয়া প্রধানত শুষ্ক থাকতে পারে।

যশোর, রাজশাহী, দিনাজপুর ও সৈয়দপুর জেলাসমূহের ওপর দিয়ে তীব্র তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে। চট্টগ্রাম, কুমিল্লা, চাঁদপুর, নোয়াখালী, ফেনী ও বান্দরবান জেলাসহ ঢাকা, ময়মনসিংহ, খুলনা, বরিশাল, সিলেট বিভাগসমূহ এবং রংপুর ও রাজশাহী বিভাগের অবশিষ্টাংশের ওপর দিয়ে মৃদু থেকে মাঝারি ধরনের তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে এবং তা অব্যাহত থাকতে পারে।

বরিশাল ও চট্টগ্রাম বিভাগে দিনের তাপমাত্রা সামান্য হ্রাস পেতে পারে। এ ছাড়া দেশের অন্যত্র তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে। সারা দেশে রাতের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে।

 

;

প্রধানমন্ত্রীর ঘর পেয়ে বদলে গেছে আশ্রয়হীনদের জীবন



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ময়মনসিংহ
প্রধানমন্ত্রীর উপহারের ঘর পেয়ে বদলে গেছে আশ্রয়হীনদের জীবন

প্রধানমন্ত্রীর উপহারের ঘর পেয়ে বদলে গেছে আশ্রয়হীনদের জীবন

  • Font increase
  • Font Decrease

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উপহারের ঘর পেয়ে বদলে গেছে সুবিধাভোগী আশ্রয়হীনদের জীবন। তারা মানবেতর জীবনযাপন থেকে মুক্তি পেয়ে এখন সুখ-স্বাচ্ছন্দ্যে পরিবার পরিজন নিয়ে জীবন যাপন করছে।

গফরগাঁও উপজেলার গাভীশিমূল গ্রামের আশ্রয়ণ প্রকল্পের সুবিধাভোগী সুফিয়া আক্তার (৪০) বলেন, "আমার এক পুত আর দুই ছেরি লইয়া মাইনসের জায়গাত ঘর বাইন্ধা থাকতাম। নিজের ঘর নাই দেইক্কা বড় ছেরিডার বিয়া খালি ভাইঙ্গা যাইতো। শেখ হাসিনা আমগরে এইহানো ঠাই দিছে। হের পরে ছেরি ডারে বুঝমতো বিয়া দিতারছি।"

সরেজমিনে দেখা যায়, ময়মনসিংহের গফরগাঁও উপজেলার পাঁচভাগ ইউনিয়নের গাভীশিমুল গ্রামের আশ্রয়ণ প্রকল্পের ৫২ টি ঘরের মধ্যে একটি ঘরে আশ্রয় মিলে সুফিয়ার পরিবারের।

সুফিয়ার তাঁর স্বামী ওয়াকিল মিয়ার সাথে পরের জমিতে ছোট্ট একটি কুঁড়ে ঘরে এক ছেলে ও দুই মেয়ে নিয়ে বহু কষ্ট করে থাকতো। প্রাপ্ত বয়স্ক মেয়েকেও বিয়ে দিতে পারছিলেন না। ঘর ছিলো না বলে মেয়ের জন্য ভালো কোন প্রস্তাব আসছিল না । সরকারের ঘর পেয়ে মাথা গোঁজার ঠাঁই হলো। বড় মেয়েকে ভালো ঘরে বিয়ে দিতে পারলেন। সরকারের দেওয়া ঘরে আশ্রয় পেয়ে সুফিয়া পরিবারের আয়েও ভূমিকা রাখতে শুরু করে। আশ্রয়ণের ঘরের পাশে একটি একচালা ঘরে গরু পালন শুরু করে। একটি গাভীর দুধ বিক্রি করে সে দৈনিক ১৬০ টাকা আয় করে এখন পরিবারের আয়ে ভূমিকা রাখছে।

অটোরিকশা চালক ফারজুল ইসলামের স্ত্রী হনুফা সরকারিভাবে সেলাই মেশিন পেয়েছে। সেলাইয়ের কাজ করে আয় করে এখন পরিবারের ভূমিকা রাখছে। সে দক্ষ কারিগর বলে বাহির থেকেও তাঁর কাছে সেলাইয়ের কাজ আসে। এরকম আরও ৬ জন মহিলা সরকারিভাবে সেলাই মেশিন পেয়েছে যা দিয়ে আয় করে পরিবারে ভূমিকা রাখছে।

প্রধানমন্ত্রীর উপহারের দুই শতাংশ জমির ওপর স্বপ্নের পাকা ঘরে ঠাঁই হয় ভূমীহীন সমলা খাতুন ও তার স্বামী কাজলের । স্বামী ও স্ত্রী উভয়ে মিলে ৩ টি গরু পালন করে জীবন পাল্টে ফেলেছে। তাদের ঘরে যেতেই দেখা যায় ভিন্ন চিত্র। প্রধানমন্ত্রীর বড় একটা ছবি দেয়ালে ঝুলছে । শুধু তাই নয় ঘরের বাহিরের দেয়ালে চিত্রিত করেছে নৌকা মার্কায় ভোট দিন।

সমলা খাতুন বলেন," হাসিনা যে ঘর দিছে এটাতে যে হুততারি এটাই তো বড়। যে নেত্রী ঘর দিয়েছে তার ছবি থাকবে না। তাঁর নুন খাই তার গুন গাই"।

উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আবুল কাশেম বলেন, 'আমাদের প্রিয় নেতা সংসদ সদস্য ফাহমী গোলন্দাজ বাবেলের পরামর্শে আশ্রয়ণ প্রকল্পগুলোতে যাচাই বাছাই করে প্রকৃত উপকারভোগীদের আমরা ঘর দিয়েছি।'

উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সংসদ সদস্য ফামহী গোলন্দাজ বাবেল বলেন, 'আওয়ামী লীগের রাজনীতি দেশ ও জন কল্যাণমুখী। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান যেমন স্বাধীনতা দিয়েছেন, আমাদের রাষ্ট্রীয় পরিচয় দিয়েছেন। তেমনি জাতির পিতার সুযোগ্য কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দেশের অভূতপূর্ব উন্নয়নের পাশাপাশি লাখো অসহায় নিরাশ্রয় পরিবারকে মাথা গোঁজার ঠাঁই করে দিয়েছেন। এ জন্যই আওয়ামী লীগ সরকার বার বার দরকার।'

;

যানবাহনের অর্থনৈতিক আয়ুষ্কাল ৩০ বছর নির্ধারণে দাবি মালিকদের



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, চট্টগ্রাম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

বাস, মিনিবাস ও মালবাহী ট্রাকের অর্থনৈতিক আয়ুষ্কাল পুনর্বিবেচনা করে ৩০ বছর নির্ধারণের দাবি জানিয়েছে চট্টগ্রাম সড়ক পরিবহন মালিক গ্রুপ।

সম্প্রতি নগরের স্টেশন রোডে আন্তঃজিলা বাস মালিক সমিতির সম্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠিত সভায় এই দাবি জানান সংগঠনটির নেতারা।

চট্টগ্রাম সড়ক পরিবহন মালিক গ্রুপের নেতাদের দাবি, ২০২৩-২৪ অর্থ বছরের প্রস্তাবিত বাজেটের কারণে পরিবহন ব্যায় বৃদ্ধি পাবে। একই সাথে সম্প্রতি যাত্রীবাহী বাস-মিনিবাসের ২০ বছর এবং পণ্যবাহী ট্রাক-কাভার্ড ভ্যানের ২৫ বছর অর্থনৈতিক আয়ুষ্কাল নির্ধারণ করে প্রজ্ঞাপন জারি করেছে সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগ।

এতে পরিবহন খাতসংশ্লিষ্ট সবাই ক্ষতির সম্মুখীন হবে৷ তাই বিষয়টি পুনর্বিবেচনা করে বাস, মিনিবাস ও মালবাহী ট্রাকের অর্থনৈতিক আয়ুষ্কাল ৩০ বছর করার দাবি তাদের।

সভায় সংগঠনের মহাসচিব মনজুরুল আলম চৌধুরী বলেন, ‘করোনা মহামারীর দীর্ঘ সময়ে গাড়ির মালিক ও শ্রমিকরা কাজ না পেয়ে অত্যন্ত দুর্বিসহ সময় কাটিয়েছেন। সরকারের পক্ষ থেকে কোনো প্রণোদনা আমরা সাধারণ মালিকরা পাইনি৷ অথচ গাড়ির সমস্ত কর নিয়মিত পরিশোধ করতে হয়েছে। এতে মালিক-শ্রমিকরা নিঃস্ব হয়ে পড়েছেন। এরমধ্যে এখন আবার গাড়ির আয়ুষ্কাল কমিয়ে দেওয়া হয়েছে। তাই আমরা বাস-মিনিবাস ও মালবাহী ট্রাকের আয়ুষ্কাল ৩০ বছর করার যৌক্তিক দাবি জানাচ্ছি।’

চট্টগ্রাম সড়ক পরিবহন মালিক গ্রুপের যুগ্ম সম্পাদক মো. শাহজাহান জানান, বাস-মিনিবাস ও মালবাহী ট্রাকের অর্থনৈতিক আয়ুষ্কাল বৃদ্ধির দাবি এবং বিভিন্নভাবে গাড়ির মালিক ও শ্রমিকদের হয়রানি বন্ধের দাবি বাস্তবায়নে সভায় একটি কমিটি গঠন করা হয়েছে। আলহাজ্ব কফিল উদ্দিন আহমেদ, আলহাজ্ব মোরশেদুল আলম কাদেরী ও হাজী জহুর আহমেদকে সমন্বয়কের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে।

সংগঠনের সহ-সভাপতি নুরুল আবছারের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় অন্যান্যদের মধ্যে সৈয়দ হোসেন, আহসান উল্লাহ চৌধুরী, আব্দুর রহমান, মোশারফ হোসেন, মনসুর আনোয়ার, ফারুক খান, মো. জাফর, মোঃ শাহজাহান, মনসুর রহমান, মোঃ ইসহাক, রেজাউল খান, মনসুর, আবুল বশর, মোবারক হোসেন, খোরশেদ আলম, মো. হাসান প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

;

সিলেটে ট্রাক-পিকআপ ভ্যান সংঘর্ষ, নিহত ১২



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

সিলেটের নাজির বাজারে পণ্যবাহী ট্রাকের সঙ্গে পিকআপ ভ্যানের সংঘর্ষে ১২ জন নিহত হয়েছেন।

বুধবার (৭ জুন) ভোরে ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের দক্ষিণ সুরমা থানাধীন নাজিরবাজার এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।

বিষয়টি নিশ্চিত করে সিলেট জেলার ফায়ার সার্ভিসের বিভাগীয় প্রধান মনিরুজ্জামান বলেন, আমরা ১১ জনকে মৃত অবস্থায় পেয়েছি। আহতাবস্থায় আটজনকে সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠিয়েছি। এছাড়া আমরা আসার আগে স্থানীয়রা ৭-৮ জনকে হাসপাতালে পাঠিয়েছেন। এর মধ্যে পথে একজনের মৃত্যু হয়। বাকিদের মধ্যে বেশ কয়েকজন গুরুতর আহত বলেও জানান তিনি।

দক্ষিণ সুরমা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সামশুদ্দোহা জানান, পিকআপ ভ্যানটি ২০ থেকে ২২ জনকে নিয়ে তাজপুরের দিকে যাচ্ছিল। দুর্ঘটনার পর এর চালক পালিয়ে যায়। তবে ট্রাকের চালক আহতাবস্থায় হাসপাতালে ভর্তি রয়েছে বলে জানান তিনি।

দুর্ঘটনার পর ঢাকা-সিলেট মহাসড়ক বন্ধ রয়েছে।

;