সংস্কার হচ্ছে না রাজশাহীর ঐতিহাসিক নারী মসজিদের



মোঃ আব্দুল হাকিম, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, রাজশাহী
সংস্কার হচ্ছে না রাজশাহীর ঐতিহাসিক নারী মসজিদের

সংস্কার হচ্ছে না রাজশাহীর ঐতিহাসিক নারী মসজিদের

  • Font increase
  • Font Decrease

মুসলিম সভ্যতার প্রাচীন এক নিদর্শন রাজশাহীর বাঘা উপজেলার নারী মসজিদ। প্রায় ৩০০ বছরের পুরনো এ মসজিদটি স্থাপত্যরীতিতে মোঘল ভাবধারার আছে সুস্পষ্ট ছাপও। তিন গম্বুজ বিশিষ্ট এ মসজিদটি অন্যসব মসজিদের মতো ইট বালির তৈরি হলেও, স্থানীয়রা এই মসজিদকে ভিন্নভাবে চেনেন। এই মসজিদের প্রবেশ পথের মূল দরজার ফারসি ভাষার পাথরে রয়েছে লোহমর্ষক বর্ণনা।

রাজশাহী শহর থেকে ৪৯ কিলোমিটার পূর্ব-দক্ষিণ কোণে বাঘা উপজেলা সদরে হজরত শাহ মোয়াজ্জেম ওরফে শাহদৌলার রহ: ছেলে হজরত শাহ আব্দুর হামিদ দানিশ মন্দ রহ: মাজারসংলগ্ন এলাকায় অবস্থিত এই মসজিদটি। এই মসজিদটি দেখতে বছরজুড়ে এখানে আসেন পর্যটক ও দর্শনার্থীরা। তবে রক্ষণাবেক্ষণের অভাবে মসজিদটি এখন বিলুপ্তির পথে। মোঘল আমলে নির্মিত এই নারী মসজিদে আর নামাজ আদায়ও করা হচ্ছে না। বর্তমানে মসজিদটি ‘অবহেলায় ও অযত্নে ধ্বংসের’ পথে। ফের সংস্কার করে মসজিদ চালুর দাবি এলাকাবাসীর।

মসজিদের পাশেই রয়েছে হযরত জহর শাহ (রহ.)-এর মাজার। মসজিদ দেখতে বছরজুড়ে এখানে আসেন পর্যটক ও দর্শনার্থীরা। তবে পর্যটকদের আকর্ষণ ধরে রাখা বা ঐতিহ্যের সাক্ষী হিসেবে টিকে থাকা এ স্থাপনা সংরক্ষণে তেমন কোনো উদ্যোগ নেই।

তিন গম্বুজবিশিষ্ট মসজিদের অবস্থান প্রায় ৩০ ফুট সুউচ্চ টিলার ওপর। বর্গাকার মসজিদটির দৈর্ঘ্য ২৭ ফুট, প্রস্থ ১৩ ফুট। চারপাশের দেয়াল ৩ ফুট ৬ ইঞ্চি চওড়া। উত্তর ও দক্ষিণ লম্বাকৃতির মসজিদের পূর্ব দিকে রয়েছে খিলান আকৃতির প্রবেশপথ। মসজিদের ইট ধূসর বর্ণের। এ ইটের দৈর্ঘ্য ১০ ইঞ্চি, প্রস্থ ৬ ইঞ্চি এবং চওড়া দেড় ইঞ্চি। বর্তমান যুগের ইটের চেয়ে এর আকৃতি একেবারেই আলাদা। দর্শনার্থী ও মুসল্লিদের ওঠানামার জন্য মসজিদের পূর্বদিকে রয়েছে প্রবেশপথ।

জানা যায়, প্রায় ৫০০ বছর আগে ৫ জন সংগীতসহ সুদূর বাগদাদ থেকে ইসলাম প্রচারের জন্য বাঘায় এসেছিলেন হযরত শাহ মোয়াজ্জেম ওরফে শাহ দৌলা (রহ.)। তিনি বসবাস শুরু করেন পদ্মা নদীর কাছে কসবে বাঘা নামক স্থানে। আধ্যাত্মিক শক্তির বলে এ এলাকার জনগণের মধ্যে ইসলাম প্রচারের ব্যাপক সাফল্য লাভ করে। এ সময়ে শাহ দৌলার অনেক অলৌকিক কীর্তি দেখে বিভিন্ন ধর্মাবলম্বী তার কাছে ইসলাম ধর্মে দীক্ষা নেন।

বাঘা ওয়াকফ এস্টেটের দেওয়া তথ্যমতে, হযরত শাহ দৌলার (রহ.) পুত্র হযরত শাহ আবদুল হামিদ দানিশ মন্দর (রহ.) মৃত্যুর পর তার তৃতীয় পুত্র মাওলানা শাহ আবদুল ওয়াহাব (রহ.) বাঘার খানকার দায়িত্বভার গ্রহণ করেন। ওই সময় দিল্লির সম্রাট শাহজাহানের প্রেরিত শাহী ফরমানযোগে ৪২টি মৌজা মাদদ মাস স্বরূপ দান লাভ করেন (১০৩০ হিজরি)। তখন শালিমানা ছিল ৮ হাজার টাকা। হযরত আবদুল ওয়াহাবের মৃত্যুর পর তার দুই পুত্রের মধ্যে হযরত শাহ মোহাম্মদ রফিক (রহ.) ১০২৮ হিজরি সালে ২০৩৭/আনা শালিআনার সম্পত্তি ওয়াকফ করেন।


ওয়াকফ এস্টেটের মোতাওয়াল্লি (ষষ্ঠ রইশ) সাইজুল ইসলামের আমলে রইশ পরিবারের ও বাইরের পর্দানশিন মহিলাদের জন্য মসজিদ নির্মাণ করেন। তারা এই মসজিদে নামাজ আদায় করতেন। ঐতিহ্যের সাক্ষী হিসেবে টিকে থাকা এই শৈল্পিক স্থাপনার শরীরজুড়ে এখন শুধুই অযত্ন আর অবহেলার ছাপ। মসজিদের দেয়ালের কিছু কিছু অংশের পলেস্তা ধসে পড়েছে। তবে বর্তমানে এ মসজিদে আর নামাজ আদায় হয় না।

বাঘা ওয়াকফ এস্টেটের বর্তমান মোতাওয়াল্লি খন্দকার মুনসুরুল ইসলাম রইশ বলেন, প্রত্নতত্ত্ব বিভাগ ঐতিহাসিক নিদর্শনের তালিকাভুক্ত করেছে। মসজিদ রক্ষণাবেক্ষণ ও পুরনো নকশা অক্ষুণ্ণ রেখে সংস্কারের দায়িত্ব এখন তাদের। মসজিদের ভেতরে প্রবেশ পথের ওপরে ফার্সি ভাষায় পাথরে খচিত শিলালিপিটি চুরি হয়ে যায়। যারা এই চুরির সঙ্গে জড়িত ছিল, কিছু দিন পর প্রথমত একজনের পায়ে ক্ষতের সৃষ্টি হয়। পরে পাথরটি মসজিদের ভেতরে রেখে যায়। এরপরে আরও একজন একইভাবে পঙ্গু হয়ে যায়। চিকিৎসায় পা কেটে ফেলেও ভালো হয়নি। পরে দু’জনই মৃত্যুবরণ করে। তাদের জীবদ্দশায় পাথর চুরির লোমহর্ষক ঘটনা তাদের মুখ দিয়েই বেরিয়ে আসে।

তিনি বলেন, এ ধরনের মসজিদ দেশে আর আছে কিনা আমার জানা নেই। এটি প্রত্নতত্ত্ব বিভাগ প্রাচীন নিদর্শন হিসেবে তালিকাভুক্ত করেছে। মসজিদ রক্ষণাবেক্ষণ ও পুরনো নকশা অক্ষুন্ন রেখে সংস্কার প্রয়োজন।

বাঘা মসজিদের বিষয়ে প্রন্ততত্ব অধিদফতরের বগুড়া বিভাগীয় পরিচালক ডা. নাহিদ সুলতানা বলেন, আমরা আমাদের সচিবসহ গত সপ্তাহে ভিজিট করেছি। এই বাজেটে যে কাজগুলো সেটা দুই বছর আগে নির্ধারিত তাই। এবছর কাজ করতে পারছি না। এটা ক্যামিকেল কনজারভেশন হবে। এখানে সংস্কারের কিছু নেই। এটা রাসায়নিক পরিচর্যা হবে।

জানতে চাইলে প্রত্নতত্ত্ব অধিদপ্তরের রাজশাহী বিভাগের সহকারী পরিচালক আবির বিন কায়সার বলেন, প্রায় ৩০০ বছর আগে মসজিদটি নারীদের জন্য নির্মাণ করা হয়েছিল বলে এলাকায় প্রচলিত। তাই সেটির নাম ‘নারী মসজিদ’ হিসেবেই ছড়িয়ে পড়েছে। সেটি সংস্কারের উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। পুরনো নকশা অক্ষুন্ন রেখেই মসজিদের সংস্কার করা হবে।

পিকআপ নিয়ে জেলায় জেলায় গরু চুরি করাই তাদের পেশা



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ময়মনসিংহ
পিকআপ নিয়ে জেলায় জেলায় গরু চুরি করাই তাদের পেশা

পিকআপ নিয়ে জেলায় জেলায় গরু চুরি করাই তাদের পেশা

  • Font increase
  • Font Decrease

গরু চুরির মামলায় ৫ জনকে গ্রেফতার করেছে ময়মনসিংহ জেলা গোয়েন্দা পুলিশ। এসময় তাদের কাছ থেকে ৭ গরু ও দুইটি পিকআপ উদ্ধার করা হয়।

গ্রেফতারকৃতরা পিকআপ নিয়ে দেশের বিভিন্ন জেলায় গরু চুরি ও ডাকাতি করতেন। পাঁচ জনের নামে দেশের বিভিন্ন থানায় গরু চুরি, ডাকাতি ও মাদক মামলার ১৫ মামলা রয়েছে বলে জানিয়েছেন জেলা পুলিশ সুপার মাসুম আহমেদ ভুঁঞা।

গ্রেফতারকৃতরা হলেন- কিশোরগঞ্জ সদর উপজেলার আ. মুন্নাসের ছেলে মো. রাজিব হাসান সবুজ (৩০), একই জেলার হোসেনপুর উপজেলা বিনত আলীর ছেলে মো. দ্বীন ইসলাম (২৮), ময়মনসিংহ জেলার হালুয়াঘাট উপজেলার জসিম উদ্দিনের ছেলে কাইয়ুম (৪২), নেত্রকোনা জেলার দুর্গাপুর উপজেলার মো. করিমের ছেলে মো. খাইরুল ইসলাম (২২), গাজীপুর জেলার কাপাসিয়া উপজেলার মো. নাহিদ হোসেন (২৫)।

বৃহস্পতিবার (১ জুন) দুপুরে পুলিশ সুপার কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে সম্মেলন পুলিশ এসব তথ্য জানান।

তিনি বলেন, গত ২৯ মে গভীর রাতে জেলার ভালুকা উপজেলার বেলেজিং ইনভেস্টমেন্ট প্রজেক্টে ডেইরি ফার্মের দেয়াল ভেঙে ১০ গরু চুরির ঘটনা ঘটে। এই ঘটনার পরদিন ভালুকা মডেল থানায় অজ্ঞাতনামা আসামি করে মামলা দায়ের করেন বেলেজিং ইনভেস্টমেন্ট প্রজেক্টের কেয়ারটেকার মো. আলাল উদ্দিন। ওই মামলা জেলা গোয়েন্দা পুলিশ ৩১ মে জামালপুর, কিশোরগঞ্জ, বগুড়া, কাপাশিয়া ও ভালুকায় পৃথক অভিযান চালিয়ে চোর চক্রের ৫ সদস্যকে গ্রেফতার করে।

পুলিশ সুপার বলেন, গ্রেফতারকৃতরা প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে ঘটনার সাথে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করেছে। তারা সবাই চোর চক্রের সক্রিয় সদস্য। সংঘবদ্ধ ভাবে তারা দেশের বিভিন্ন এলাকায় পূর্বপরিকল্পিত ভাবে দুর্ধর্ষ চুরি করে আসছে। পাঁচ জনের বিরুদ্ধে দেশের বিভিন্ন থানায় অন্তত ১৫টি মামলা রয়েছে।

এর মধ্যে ভালুকার এই দুর্ধর্ষ চুরির নেতৃত্বদানকারী রাজীব হাসান সবুজ ঘটনার দুইদিন আগে অপর একটি গরু চুরি মামলায় কিশোরগঞ্জ আদালত থেকে জামিনে ছাড়া পায় বলে ব্রিফিংয়ে জানান এসপি মাছুম আহম্মেদ ভূঞা।

;

বাজেটে প্রস্তাবিত পদক্ষেপ বাস্তববর্জিত: সিপিডি



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

চলমান অর্থনৈতিক সংকট মোকাবিলার ক্ষেত্রে বাজেটে ঘোষিত পদক্ষেপগুলো বাস্তববর্জিত বলে মনে করেন সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগের (সিপিডি) নির্বাহী পরিচালক ফাহমিদা খাতুন।

তিনি বলেন, চলমান অর্থনৈতিক সংকট এবং সমস্যার প্রেক্ষিতে আমাদের যে সামগ্রিক অর্থনৈতিক সূচকগুলো বাজেট প্রস্তাবনায় ঘোষণা করা হলো, সেই সূচকে যে অনুমিতি ব্যবহার করে করা হয়েছে এবং সেই সূচকগুলোর যে প্রাক্কলন করা হয়েছে সেগুলো আমাদের কাছে মনে হয়েছে বাস্তবতা বিবর্জিত এবং সেগুলো অর্জন করা সম্ভব নয়।

বৃহস্পতিবার (১ জুন) সন্ধ্যায় সিপিডি কার্যালয়ে তাৎক্ষণিক বাজেট প্রতিক্রিয়ায় সংস্থাটির নির্বাহী পরিচালক ড. ফাহমিদা খাতুন এ কথা জানান।

তিনি জানান, মূল্যস্ফীতির চাপ এবং পণ্যের ঊর্ধ্বমুখী দামের লাগাম টেনে ধরার জন্য যে প্রস্তাবনা করা হয়েছে, যে সমাধান দেওয়া হয়েছে সেগুলো কিন্তু সম্ভব না। সেগুলোর মাধ্যমে মূল্যস্ফীতির হার যে তারা ৬ শতাংশে নামিয়ে আনার কথা বলছেন, সেগুলো করা সম্ভব হবে না। মূল্যস্ফীতি কমানোর জন্য যে আর্থিক পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে সেখানে আমদানি করা কিছু পণ্যের ক্ষেত্রে কর রেয়াত দিলে কিছুটা স্বস্তি পাওয়া যেত। কিন্তু তেমন কোনো উদ্যোগ দেখা যায়নি।

ড. ফাহমিদা বলেন, করমুক্ত আয়সীমা আমরা বাড়ানোর কথা বলেছিলাম। এখানে করমুক্ত আয়সীমা তিন লাখ থেকে সাড়ে তিন লাখ করা হয়েছে, সেটি খুব ভালো। কিন্তু তার পাশাপাশি আয় যাই হোক দুই হাজার টাকা কর আরোপের বিষয়টি অবিবেচনাপ্রসূত মনে হয়েছে। এই দুই হাজার টাকা দেওয়ার বাধ্যবাধকতা তুলে দেওয়া উচিত।

তিনি বলেন, এছাড়া আমাদের অর্থনৈতিক সংস্কারের যে কথা ছিল সেগুলোর বিষয়ে বাজেটে তেমন কোনো পদক্ষেপ নেই। এই বাজেট এমন একটা সময় প্রণয়ন করা হয়েছে যখন আইএমএফের বিভিন্ন শর্ত আছে। বাজেট উপস্থাপনায় তিনবার আইএমএফের কথা বলা হয়েছে। কিন্তু শর্তের বিষয়ে পরিষ্কার কিছু বলা হয়নি। তবে আমরা দেখেছি, বিভিন্ন যে লক্ষ্যমাত্রা আছে সেখানে সেই শর্তগুলো পরিপালনের ক্ষেত্রে কিছুটা ইঙ্গিত রয়েছে।

;

বান্দরবানে কেএনএফ সন্ত্রাসীদের বোমায় সেনাসদস্য নিহত



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, বান্দরবা‌ন
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

বান্দরবানের রুমায় কুকি-চিন ন্যাশনাল ফ্রন্টের (কেএনএফ) প্রশিক্ষণ ক্যাম্প নিয়ন্ত্রণে নেওয়ার সময় পুঁতে রাখা বোমা (আইইডি) বিস্ফোরণে তুজাম (৩০) নামের সেনাবাহিনীর এক সদস্য নিহত হয়েছেন।

বৃহস্পতিবার (১ জুন) আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ (আইএসপিআর) পরিদফতর এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছে।

এতে বলা হয়, গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে রুমা সেনা জোনের একটি টহল দল ওই ক্যাম্পে অভিযান চালায়। এ সময় কেএনএফ সশস্ত্র সন্ত্রাসী দলটি পালিয়ে যায়।

বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, সাধারণ জনগণের নিরাপত্তার স্বার্থে সেনাবাহিনীর বিশেষায়িত দল এ ধরনের আরও সম্ভাব্য আইইডি শনাক্ত ও নিষ্ক্রীয়করণ প্রক্রিয়া অব্যাহত রয়েছে। দেশমাতৃকার জন্য আত্মোৎসর্গকারী শহীদ সেনাসদস্যের অনাকাঙ্ক্ষিত মৃত্যুতে গভীর শোক প্রকাশ ও তার পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানিয়েছে সেনাবাহিনী প্রধান।

সম্প্রতি কেএনএফ সন্ত্রাসীরা বান্দরবানের রুমা, রোয়াংছড়ি ও থানচি উপজেলার পাহাড়ি জনপদে ক্রমাগত হত্যা, অপহরণ, জনমনে আতঙ্ক সৃষ্টি ইত্যাদি মানবাধিকার লঙ্ঘনমূলক কর্মকাণ্ডের মাধ্যমে অরাজকতা সৃষ্টি করে চলেছে। তাদের এহেন মানবাধিকার লঙ্ঘন প্রতিহত করার উদ্দেশ্যে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীসহ অন্য আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী তৎপর।

;

বাস-অটোভ্যানের সংঘর্ষ, স্বামী-স্ত্রী সন্তানসহ নিহত ৪



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, টাঙ্গাইল
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

টাঙ্গাইলের মধুপুরে যাত্রীবাহী বাস-অটোভ্যানের সংঘর্ষে স্বামী-স্ত্রী ও সন্তানসহ ৪ জন নিহত হয়েছেন।

বৃহস্পতিবার (১ মে) দুপু্র আড়াইটার দিকে মধুপুর-টাঙ্গাইল-ময়মনসিংহ আঞ্চলিক মহাসড়কের উপজেলার গাংগাইর গোমা বাসস্ট্যান্ড এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।

নিহতরা হলেন- ধনবাড়ী উপজেলার পাইকা গ্রামের মাইনুউদ্দিন (৫০), তার স্ত্রী ছাহেরা বেগম (৩০), ছেলে সিয়াম (৩ বছর)। এছাড়া অপরজনের নাম ফরহাদ (৩০)। তিনি দরদ আলীর ছেলে। সে অটোভ্যান চালক। তার গ্রামের বাড়ি তাৎক্ষণিক জানা যায়নি।

স্থানীয়রা জানান, দুপুরে ব্যাটারিচালিত একটি অটোভ্যান তিনজন যাত্রী নিয়ে মধুপরের দিকে যাচ্ছিলেন। সে সময় বেপরোয়া গতির বিনিময় পরিবহন নামের একটি বাস টাঙ্গাইল যাওয়ার পথে বাসটি গাংগাইর গোমা বাসস্ট্যান্ড এলাকায় পৌঁছলে অটোভ্যানের সাথে সংঘর্ষ হয়। এতে ঘটনাস্থলে তিনজন মারা যায়। আহত হয় একজন। পরে তাকে উদ্ধার করে মধুপুর উপজেলা স্বাস্থ্যকমপ্লেক্সে পাঠানো হয়।

এ ঘটনায় মধুপুর সার্কেল সহকারী পুলিশ সুপার ফারহানা আফরোজ জেমি জানান, গাংগাইর এলাকায় বাসের ধাক্কায় অটোভ্যানের তিনজন যাত্রীসহ ভ্যান চালক সড়কে ছিটকে পড়ে যায়। এতে ঘটনাস্থলে তিনজন নিহত হয়। আহত হয় আরও একজন। পরে আহত অবস্থায় তাকে উদ্ধার করে মধুপুর উপজেলা স্বাস্থ্যকমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসকরা তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

তিনি আরও জানান, ঘটনাস্থল থেকে তিনজন ও হাসপাতাল থেকে একজনের মরদেহ উদ্ধার করে থানায় আনা হয়েছে। মরদেহের ময়না তদন্তের জন্য পাঠানোর প্রস্তুতি নেওয়া হচ্ছে। নিহত চারজনের মধ্যে তিনজন একই পরিবারের। এ ঘটনায় ঘাতক বিনিময় পরিবহন নামে বাসটি জব্দ করা হয়েছে। আইনগত বিষয় প্রক্রিয়াধীন।

;