৩ দিনের ছুটি ৭ মাসেও শেষ হয়নি কর্মকর্তার!



মোঃ আব্দুল হাকিম, ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, রাজশাহী
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

পারিবারিক কাজে ৩ দিনের ছুটি নিয়েছিলেন চাঁপাইনবাবগঞ্জ সদর উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডাঃ মো: আবুরেজা তালুকদার। ছুটি শেষও হয়েছে। কিন্তু গত সাত মাসেও কর্মস্থলে যোগ দেননি তিনি। দু’দফা তলব করেও এই কর্মকর্তাকে ফেরাতে পারেনি বিভাগীয় প্রাণীসম্পদ দপ্তর। মাঝে বেতন আটকে গেলে ভুয়া স্মারকের চিঠিতে বেতন আবেদন করে ধরা পড়ে যান এই কর্মকর্তা।

বিভাগীয় ও জেলা প্রাণিসম্পদ কার্যালয়, সংশ্লিষ্ট দপ্তর ও একাধিক সূত্রে জানা গেছে, ডাঃ মো: আবুরেজা তালুকদার গত বছরের আগস্টের ১৫ থেকে ১৭ তারিখ মোট তিন দিনের ছুটি নিয়েছিলেন। পারিবারিক জরুরি কাজ জানিয়ে কর্মস্থল ত্যাগ করেন। তার অনুপস্থিতিতে একই অফিসের এলএইও ডাঃ শামীমা নাসরিনকে সাধারণ দায়িত্ব পালন করতে বলেন। ১৭ দিন পেরিয়ে গেলে সেপ্টেম্বরের ৪ তারিখে গণকর্মচারী শৃঙ্খলা (নিয়মিত উপস্থিতি) অধ্যাদেশ, ১৯৮২ অনুযায়ী কারণ দর্শানোর নোটিশ দেন জেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডাঃ মোস্তাফিজুর রহমান। একইসাথে বিভাগীয় ও প্রাণিসম্পদ মহাপরিচালক বরাবর ব্যবস্থা গ্রহণের অনুরোধ জানান তিনি। কিন্তু কোন সদুত্তর মেলেনি।

সূত্র জানায়, নিয়ম বর্হিভূত কর্মকাণ্ডের সাথে জড়িত ১৯তম বিসিএসের এই কর্মকর্তা।

একই অফিসের দুই কর্মচারীর বিরুদ্ধে বিভিন্ন বিষয়ে ভুয়া অভিযোগ করেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার বরাবর। সেটা করেন ভুয়া স্মারক ব্যবহার করে যা সম্পর্কে জানেন না জেলা, বিভাগীয় কিংবা খোদ প্রাণিসম্পদের মহাপরিচালক।

একাধিকবার কৈফিয়ত চাওয়া হলেও উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষকে কোনো জবাব দেওয়ার প্রয়োজন বোধ করেন নি তিনি। উল্টো দিয়েছেন হুমকি। সে বছরের ১৫ সেপ্টেম্বর কর্মচারী শৃঙ্খলা (নিয়মিত উপস্থিতি) অধ্যাদেশ, ২০১৭ অনুযায়ী বিভাগীয় মামলা হতে পারে বলে সতর্ক করেন ও তিন দিনের মধ্যে জবাব দিতে বলেন জেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডাঃ মোস্তাফিজুর রহমান।

সর্বশেষ হাল ছেড়ে বিভাগীয় কর্মকর্তা ড. নজরুল ইসলামের কাছে ডাঃ মো: আবুরেজার বিষয়ে ব্যবস্থা গ্রহণের অনুরোধ জানান এই কর্মকর্তা। তবে, মুখ খুলতে নারাজ অফিসের অন্যান্য কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা।

দপ্তরের অফিস সহকারী কাম কম্পিউটার অপারেটর মো: তরিকুল ইসলাম জানান বলেন, “উনারা বড় মাপের মানুষ। এসপি আছে, ডিসি আছে, প্রাণিম্পদের সচিব আছে। আমাদের কে আছে? আমাদের হুকুম করলে করতে হয়। ভুয়া স্মারক ব্যবহার, অফিস করেন না, দূর্নীতি যা কিছু আছে সেসব বিষয়ে আমি কিছু বলতে পারব না।”

এবিষয়ে একই দপ্তরের এলএইও ডাঃ শামীমা নাসরিন বলেন, “স্যার গতবছরের আগস্টে তিন দিনের ছুটি নিয়ে এখন পর্যন্ত একদিনও অফিস করেননি। প্রকল্পের কাজ যখন আটকে গিয়েছিল তখন ভেটেরিনারি সার্জন ডাঃ মো: আখতারুজ্জামানকে দায়িত্ব দেওয়া হয়। তিনি কাজগুলো করিয়ে নেন। আমরা এভাবেই কাজ করে যাচ্ছি সমস্যার মধ্য দিয়ে। স্যার কোথায় আছেন আমরা জানিনা।”

জেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডাঃ মোস্তাফিজুর রহমানকে বলেন, ডাঃ মো: আবুরেজার বিষয়ে নানা অভিযোগ রয়েছে। গতবছরের আগস্টের ১৫ থেকে ১৭ তারিখ মোট তিন দিনের ছুটি নিয়ে বিনা অনুমতিতে অনুপস্থিত ছিলেন।

চলতি মার্চ মাসের ১৩ তারিখে যোগদান করে আবার ছুটি নিয়েছেন। দীর্ঘ সময়ে একদিনের জন্যও চেয়ারে বসেননি। বারবার নোটিশ দেওয়া হয়েছে। শাস্তির বিষয়ে চাকরি থাকবে কিনা যাবে তা উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষ নির্ধারণ করবেন।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে রাজশাহী বিভাগীয় প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ড. নজরুল ইসলাম বলেন, ডাঃ মো: আবুরেজার বিনা অনুমতিতে অনুপস্থিত আছেন। জেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডাঃ মোস্তাফিজুর রহমান একাধিকবার নোটিশ ও কৈফিয়ত তলব করেছেন তাতে কোন কাজ হয়নি।

এছাড়া ভুয়া স্মারক ব্যবহার করে বেতনভাতা তোলার চেষ্টা করে বিভ্রান্তি করার চেষ্টা করেছেন। উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষকে না জানিয়ে অধীনস্ত কর্মচারীদের বিরুদ্ধে মিথ্যা বানোয়াট অভিযোগ দিয়েছেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার বরাবর যা সম্পূর্ণ অপরাধ।

বিনা অনুমতিতে অনুপস্থিতির শাস্তি সম্পর্কে জানতে চাইলে এই কর্মকর্তা বলেন, সরকারি কর্মচারী ( শৃঙ্খলা ও আপিল) বিধিমালা ২০১৭, সরকারি কর্মচারী (আচরণ) বিধিমালা ১৯৭৮ এবং গণকর্মচারী শৃঙ্খলা (নিয়মিত উপস্থিতি) অধ্যাদেশ, ১৯৮২ অনুযায়ী সম্পূর্ণ শাস্তিযোগ্য অপরাধ। বিভাগীয় মামলা হতে পারে ও বিনা বেতনে চাকরি বলে গণ্য হবে। এছাড়া বিভাগীয় মামলায় অভিযোগ প্রমাণিত হলে চাকরি থেকে স্থায়ীভাবে বরখাস্ত হতে পারে।

এ কর্মকর্তার অনুপস্থিতির বিষয়ে প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের পরিচালক (প্রশাসন) ডাঃ মোহাম্মদ রেয়াজুল হক জানান, বিনা অনুমতিতে অনুপস্থিত হওয়ার কোন নিয়ম নাই। এজন্য শাস্তি ভোগ করতে হবে। অনুপস্থিত হওয়ার কারণ ব্যখ্যা দিবে। যদি সন্তোষজনক কোন ব্যখ্যা দিতে না পারে তাহলে দপ্তরের নিয়মানুযায়ী শাস্তি দেওয়া হবে। পদাবনতি হতে পারে, পদোন্নতি আটকে থাকতে পারে অনেক কিছুই শাস্তির ব্যবস্থা আছে সেগুলো আমরা করব।

বিশ্ব পরিবেশ দিবসে বৃক্ষরোপণ করলেন প্রধানমন্ত্রী



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

বিশ্ব পরিবেশ দিবসে জাতীয় বৃক্ষরোপণ অভিযান এবং বৃক্ষমেলার উদ্বোধনী উপলক্ষে বৃক্ষরোপণ করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

সোমবার সকালে প্রধানমন্ত্রীর সরকারি বাসভবন গণভবন প্রাঙ্গণে বৃক্ষরোপণ করেন তিনি।

সোমবার বিশ্ব পরিবেশ দিবস। বিশ্বের অন্যান্য দেশের মতো বাংলাদেশেও নানা কর্মসূচির মধ্য দিয়ে দিবসটি পালিত হচ্ছে।

 

;

ড. ইউনূসের কর ফাঁকির ১২ মামলা আপাতত শুনবেন না হাইকোর্ট



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

গ্রামীণ ব্যাংকের প্রতিষ্ঠাতা ড. মুহাম্মদ ইউনূস পাঁচ বছরে প্রায় ১১শ কোটি টাকা কর ফাঁকি ও আয়করসংক্রান্ত ১২ মামলা আপাতত শুনবেন না হাইকোর্ট।

সোমবার (০৫ জুন) বিচারপতি ইকবাল কবির ও বিচারপতি এস এম মনিরুজ্জামানের দ্বৈত বেঞ্চ জানান, কনিষ্ঠ বিচারপতি এ মামলায় রাষ্ট্রপক্ষে শুনানি করেছিলেন কাজেই তারা এটি শুনতে পারবেন না। পরে নথি পাঠানো হয় প্রধান বিচারপতির কাছে।

গত ৭ মে হাইকোর্টকে এনবিআরের পক্ষ থেকে জানানো হয়, ২০১২ থেকে ২০১৭-এই পাঁচ বছরে ১১শ কোটি টাকা কর ফাঁকি দিয়েছেন ড. মুহাম্মদ ইউনূস।

এর আগে, ইউনূসের প্রতিষ্ঠিত বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের প্রায় সাড়ে ১১শ কোটি টাকার আয়কর রিটার্নের মামলা চালুর জন্য হাইকোর্টে আবেদন করে রাষ্ট্রপক্ষ।

রাষ্ট্রপক্ষ বলছে, সরকারের পাওনা অর্থগুলোর মধ্যে একটি হলো গ্রামীণ কল্যাণ ৫৭৬ কোটি ৯৪ লাখ ৫৭ হাজার ৮২৩ কোটি টাকা। গ্রামীণ কল্যাণের আরেকটিতে ৩৫৪ কোটি ৭৯ লাখ ৮৯ হাজার ৫৪৭ টাকা এবং গ্রামীণ টেলিকমের একটিতে সরকারের পাওনা ২১৫ কোটি টাকা।

ড. ইউনূসের ব্যক্তিগত ও তার প্রতিষ্ঠিত ৯টি প্রতিষ্ঠানের করসংক্রান্ত তথ্য চেয়ে এনবিআরের কাছে চিঠিও দিয়েছিল দুদক। পরে এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে এনবিআরের সর্বোচ্চ পর্যায় থেকে সংশ্লিষ্ট সার্কেল এবং জরিপ দপ্তরকে মৌখিক নির্দেশনাও দেওয়া হয়।

;

স্বামীর পরকীয়ার বলি স্ত্রী, বাবার ফাঁসির দাবিতে মানববন্ধনে সন্তানরা



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪. কম, লক্ষ্মীপুর
স্বামীর পরকীয়ার বলি স্ত্রী, বাবার ফাঁসির দাবিতে রাস্তায় সন্তানরা

স্বামীর পরকীয়ার বলি স্ত্রী, বাবার ফাঁসির দাবিতে রাস্তায় সন্তানরা

  • Font increase
  • Font Decrease

লক্ষ্মীপুরে স্বামীর পরকীয়ার প্রেমের বলি হয়েছেন সেলিনা আক্তার নামের এক গৃহবধূ। পরকীয়া প্রেমের প্রতিবাদ করায় প্রবাস ফেরত স্বামী জসীম উদ্দিন তাকে নির্যাতন করে নৃশংসভাবে হত্যা করেন। এ ঘটনায় মামলা দায়েরের পরে মোটা অংকের অর্থের বিনিময়ে পোস্টমর্টেম রিপোর্ট প্রভাবিত করার অভিযোগ দিয়েছেন নিহতের স্বজনরা। একারণে খুন করেও গ্রেফতার না হয়ে প্রকাশ্যে ঘুরে বেড়াচ্ছেন অভিযুক্ত জসীম।

সোমবার (৫ জুন) সকালে সদর উপজেলার জকসিন বাজারে স্বজন ও এলাকাবাসীদের নিয়ে বাবার গ্রেফতার ও ফাঁসির দাবিতে মানববন্ধন করে নিহত গৃহবধূর সন্তানরা।

বাজারের মূল সড়কে ঘণ্টাব্যাপী মানববন্ধনে অংশ নেয় নিহতের চার ছেলে-মেয়ে। তারা হলো- রোজিনা আক্তার, আসমা আক্তার, লাভলী আক্তার ও আব্দুল আজিজ। এছাড়া স্থানীয় শতাধিক এলাকাবাসী মানববন্ধনে অংশ নেয়।

এসময় নিহতের ভাই মোক্তার হোসেন জানান, সদর উপজেলার বাঙ্গাখাঁ ইউনিয়নের কাচারীবাড়ীর প্রবাসী জসীম উদ্দিন তার ভগ্নিপতি। সে প্রতারক,লম্পট ও নারীলোভী চরিত্রের। অর্থের লোভ দেখিয়ে সে বিভিন্ন নারীর সাথে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে তোলে। এসব নারীদের অনেককে সে বিদেশে নিয়ে গিয়ে গেছে বলে অভিযোগ করে জানান। সবশেষ শাহিন আক্তার সাথী নামের এক নারীর সাথে পরকীয়ার ঘটনাকে কেন্দ্র করে স্বামী জসীমের সাথে বিবাদ হয় স্ত্রী সেলিনা আক্তারের। এর জের ধরে গত ২৭ মে সেলিনাকে তার বাবার বাড়ী থেকে নিজ বাড়ীতে ডেকে নিয়ে নির্মম নির্যাতন শেষে হত্যা করে। পরে মুখে বিষ ঢেলে দেয়। এ ঘটনায় সদর থানায় মামলা করতে গেলে পুলিশ প্রভাবিত হয়ে মামলা গ্রহণ করেনি বলে দাবি করেন নিহতের ভাই। এছাড়া মোটা অংকের অর্থের বিনিময়ে সদর হাসপাতালের চিকিৎসককে প্রভাবিত করে পোস্টমর্টেম রিপোর্টে হত্যাকে আত্মহত্যার ঘটনা বলে চালান। একারণে ঘটনার এক সপ্তাহ পর ভাই মোক্তার হোসেন বোনের হত্যার বিচার চেয়ে লক্ষ্মীপুর আদালতে অভিযোগ দায়ের করেন। এতে ভগ্নিপতি জসীমসহ ১২ জনকে অভিযুক্ত করা হয়।


তিনি এ ঘটনার বিচারিক তদন্ত সাপেক্ষে খুনীদের গ্রেফতার ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানান। মানববন্ধনে অংশ নিয়ে নিহত গৃহবধূর তিন কন্যা ও এক ছেলে তাদের বাবার বিচার দাবি করে।

এসময় বড় মেয়ে রোজিনা আক্তার কান্নাজড়িত কণ্ঠে জানায়, তাদের বাবা পরকীয়া প্রেমে জড়িত ছিলেন। তার মা সেলিনা এসবে বাধা দেন। এর জের ধরে বাবা তার মা-কে নির্মম নির্যাতন করে হত্যা করেন। তাই মায়ের হত্যাকারী বাবা জসীমের ফাঁসির দাবি জানায় সে।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা(ওসি) মোছলেহ্ উদ্দিন জানান, এ ঘটনায় একটি অপমৃত্যু মামলা রয়েছে। তাই আলাদা করে হত্যা মামলা নেয়ার প্রয়োজন হয়নি। পুলিশ ঘটনার তদন্ত করছে। জানার জন্য সদর হাসপাতালের আবাসিক কর্মকর্তা (আরএমও) ডা.আনোয়ার হোসেনের সাথে কথা বলার চেষ্টা করেও তাকে পাওয়া যায়নি।

;

কোরবানি ঈদকে সামনে রেখে পশু পরিচর্যায় ব্যস্ত খামারিরা



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঠাকুরগাঁও
কোরবানি ঈদকে সামনে রেখে ব্যস্ত প্রান্তিক খামারিরা

কোরবানি ঈদকে সামনে রেখে ব্যস্ত প্রান্তিক খামারিরা

  • Font increase
  • Font Decrease

আল্লাহর সন্তুষ্টি লাভের আশায় সামর্থ্যবান মুসলমানেরা ঈদ-উল-আজহায় পশু কোরবানি দিয়ে থাকেন। ঈদে দেশীয় গরুর ব্যাপক চাহিদা থাকায় ঠাকুরগাঁওয়ে প্রান্তিক কৃষক ও ছোট খামারিরা গরু পালন করছেন। কিছুটা বাড়তি লাভের আশায় ঈদকে সামনে রেখে সকাল হতে সন্ধ্যা পর্যন্ত গরুকে গোসল করানো খাবার দেওয়া নিয়ে ব্যস্ত সময় পার করছেন প্রান্তিক খামারিরা। তবে ভালো দিক হলো ক্ষতিকর ইনজেকশন ও ট্যাবলেট ব্যবহার না করে দেশীয় পদ্ধতিতে গরু মোটাতাজা করছেন খামারি ও কৃষক।

ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার চন্ডিপুর, গড়েয়া মিলনপুর, সালান্দর, আখানগর ঘুরে দেখা যায় এমন চিত্র।

প্রাণি সম্পদ বিভাগের তথ্য মতে, জেলার পাঁচটি উপজেলায় ৪ হাজার ৩ শত ১৭ জন পারিবারিক ও বাণিজ্যিকভাবে খামারে গবাদিপশু পালন করছে। আর এ থেকে ৬৯ হাজার পশু উৎপাদিত হবে যা চাহিদার তুলনায় পর্যাপ্ত।

খামারি শামীম মিয়া বলেন, আমি বহুদিন যাবত খামার করে আসছি। এ বছর ভালো করে প্রস্তুতি নিচ্ছি। আমার খামারে এখন দেশি গরু ১০-১১ টি রয়েছে। আমারা যারা ছোটখাটো খামারিরা তারা বেশি একটা লাভবান হতে পারি না, কারণ প্রত্যেকটা জিনিসের দাম বেশি। বেশি দাম দিয়ে খাবার কিনে খাওয়ালে বেশি একটা লাভবান হওয়া যাবে না। আমরা প্রাকৃতিক সব খাবার খাওয়াচ্ছি।

অনন্যা ফার্মের স্বত্বাধিকারী হোসাইন মোহাম্মদ এরশাদ বলেন, এখানে আমি তিনটি গরু নিয়েছি আজ থেকে চার মাস আগে মোটাতাজা করার জন্য। এক একটা গরু প্রায় ৬০ থেকে ৭০ হাজার টাকা করে কেনা। ঈদের আগে শেষ মুহূর্তে গরু মোটাতাজা করতেছি। ইন্ডিয়ান গরু না আসে তাহলে আমরা একটু লাভবান হতে পারব। সরকারের কাছে আবেদন ঈদের আগে যাতে ইন্ডিয়ান গরু বাংলাদেশে না ঢুকে তাহলে ছোটখাটো খামারিরা লাভবান হতে পারবো।

আরেক খামারের খামারি সোহেল মাহমুদ বলেন, এ এলাকায় বেশিরভাগ খামারি দেশীয় পদ্ধতিতে গরু মোটাতাজা করছেন। সম্পূর্ণ দেশীয় পদ্ধতিতে ঘাস-খড়ের পাশাপাশি খৈলগুঁড়া ও ভুসি খাওয়ানো হচ্ছে। গোখাদ্যের দাম বেড়ে যাওয়ায় বর্তমানে গরুতে লাভ কিছুটা কমে গেছে। গতবার চারটি গরু বিক্রি করে প্রায় ৫০ হাজার টাকা লাভ হয়েছিল। এ বছর কোরবানি উপলক্ষে সাতটি গরু পালন করছি। আশা করি এবারও ভালো দাম পাব।

ঠাকুরগাঁও জেলা প্রাণিসম্পদ অফিসার ডা. মোঃ আবুল কালাম আজাদ বলেন, আসন্ন পবিত্র ঈদ-উল-আজহা উপলক্ষে ঠাকুরগাঁও জেলায় ৪ হাজার ৩১৭ জন পারিবারিক ও বাণিজ্যিকভাবে খামার পরিচালনা করছেন। এই খামার গুলোকে আমরা প্রাণিসম্পদ বিভাগ থেকে ভ্যাকসিন এবং চিকিৎসা পরামর্শ দিয়ে থাকি।

;