বুধবার ১৫৯ উপজেলাকে ভূমি-গৃহহীনমুক্ত ঘোষণা করবেন প্রধানমন্ত্রী



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

চতুর্থ ধাপে ৩৯ হাজার ৩৬৫টি ভূমিহীন ও গৃহহীন পরিবারকে জমিসহ ঘর দেবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

বুধবার (২২ মার্চ) গণভবন থেকে ভার্চুয়ালি এক অনুষ্ঠানের মাধ্যমে এসব ঘর তুলে দেবেন প্রধানমন্ত্রী। এছাড়া ১৫৯টি উপজেলাকে ভূমিহীন-গৃহহীনমুক্ত ঘোষণা করবেন প্রধানমন্ত্রী।

প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের মুখ্য সচিব মো. তোফাজ্জল হোসেন মিয়া এ কথা জানান।

তোফাজ্জল হোসেন মিয়া বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আগামীকাল ভূমিহীন-গৃহহীন পরিবারের মধ্যে দুই শতাংশ জমির মালিকানাসহ ৩৯ হাজার ৩৬৫টি একক গৃহ হস্তান্তর করবেন।

মুখ্য সচিব বলেন, প্রধানমন্ত্রী ভিডিও কনফারেন্সিংয়ের মাধ্যমে সরাসরি তিনটি উপজেলায় উপকারভোগীদের সঙ্গে মতবিনিময় করবেন। উপজেলা তিনটি হলো, গাজীপুর জেলার শ্রীপুর উপজেলার গাজীপুর ইউনিয়নের নয়াপাড়া আশ্রয়ণ প্রকল্প, সিলেট জেলার গোয়াইনঘাট উপজেলার নন্দিরগাঁও ইউনিয়নের নওয়াগাঁও আশ্রয়ণ প্রকল্প এবং বরিশাল জেলার বানারীপাড়া পৌরসভার উত্তরপাড় আশ্রয়ণ প্রকল্প।

তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী দেশের ৭টি জেলা ও ১৫৯টি উপজেলাকে সম্পূর্ণরূপে ভূমিহীন-গৃহহীনমুক্ত হিসেবে ঘোষণা করবেন। এর আগে পঞ্চগড় ও মাগুরা জেলাকে তিনি ভূমিহীন-গৃহহীন হিসেবে ঘোষণা করেছিলেন।

তোফাজ্জল হোসেন বলেন, আগামীকাল গৃহ হস্তান্তরের পর দেশে ভূমিহীন-গৃহহীনমুক্ত জেলার সংখ্যা দাঁড়াবে ৯টিতে এবং উপজেলার সংখ্যা হবে ২১১টি।

তিনি আরও বলেন, এই জেলা ও উপজেলাগুলোতে নদী ভাঙন, প্রাকৃতিক বিপর্যয় বা অন্য কোন কারণে কেউ ভূমিহীন-গৃহহীন হয়ে পড়লে সে সকল পরিবারকে চিহ্নিত করে জমির মালিকানাসহ গৃহ প্রদানের ব্যবস্থা করে দেওয়া হবে।

সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, গৃহের জমির মালিকানা স্বামী-স্ত্রীর নামে দিয়ে দেওয়া হয়। জমির রেজিস্ট্রেশন, মিউটেশন ও দাখিলা পর্যন্ত তাদের নামে করে দেওয়া হয়। তাই গৃহের রক্ষণাবেক্ষণ ও প্রয়োজনীয় সংস্কারের দায়িত্বও তাদেরকে দেওয়া হয়।

অপর এক প্রশ্নের জবাবে তোফাজ্জল হোসেন মিয়া বলেন, শুধু সরকারি খাস জমিতেই আশ্রয়ণ প্রকল্পের গৃহ নির্মাণ করা হচ্ছে না। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান মেমোরিয়াল ট্রাস্ট থেকেও জমি ক্রয় করে এই প্রকল্পের ঘর নির্মাণ করা হচ্ছে। এক্ষেত্রে ব্যক্তিগত সহায়তাও গ্রহণ করা হচ্ছে।

জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ১৯৭২ সালে দেশে প্রথম ভূমিহীনদের পুনর্বাসন কার্যক্রম শুরু করেন। বর্তমান লক্ষ্মীপুর রামগতি উপজেলার চরপোড়াগাছা গ্রামে একই বছরের ২০ ফেব্রুয়ারি গুচ্ছগ্রাম প্রকল্পের মাধ্যমে শুরু করেন।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ১৯৯৭ সালে আশ্রয়ণ প্রকল্পের মাধ্যমে দেশে ভূমিহীন-গৃহহীন মানুষকে পুনরায় জমি ও গৃহের মালিকানা দিয়ে বঙ্গবন্ধুর অসম্পূর্ণ কাজ সম্পূর্ণ করার উদ্যোগ গ্রহণ করেন।

এই প্রকল্পের আওতায় ১৯৯৭ সাল থেকে এখন পর্যন্ত মোট ৭ লাখ ৭১ হাজার ৩০১টি পরিবারকে পুনর্বাসন করা হয়েছে। পরিবার প্রতি ৫ জন হিসেবে এই কার্যক্রমের উপকারভোগীর সংখ্যা ৩৮ লাখ ৫৬ হাজার ৫০৫ জন।

ইতিমধ্যে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের আশ্রয়ণ প্রকল্প সরাসরি পুনর্বাসন করেছে ৫ লাখ ৫৪ হাজার ৫৯৭টি পরিবারকে। ভূমি মন্ত্রণালয়, দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়সহ সংশ্লিষ্ট সরকারি দপ্তরের সমান কার্যক্রমের আওতায় পুনর্বাসিত হয়েছে আরও ২ লাখ ১৬ হাজার ৭০৪টি পরিবার।

বাজেট পুরোটাই গরিবের জন্য: অর্থমন্ত্রী



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল বলেছেন, ২০২৩-২৪ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেট পুরোটাই গরিব মানুষের জন্য।

শুক্রবার (২ জুন) রাজধানীর বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে (বিআইসিসি) অর্থ মন্ত্রণালয় আয়োজিত ২০২৩-২৪ অর্থবছরের বাজেটোত্তর সংবাদ সম্মেলনে এ কথা বলেন অর্থমন্ত্রী।

আ হ ম মুস্তফা কামাল বলেন, আপনারাই আগে বলতেন এ দেশে অনেক মধ্য আয়ের মানুষ আছে, কিন্তু তারা ট্যাক্স দেয় না। সময় এসেছে তাদের ট্যাক্স পেমেন্ট করতে হবে। এরা সবাই যদি ট্যাক্স দিতো তাহলে অন্যদের ভাগে কম ট্যাক্স দিতে হত। আমি মনে করি, এখন সময় এসেছে সবাইকে ট্যাক্স পেমেন্ট করতে হবে।

অর্থমন্ত্রী বলেন, আমি দুই কোটি মানুষের চাকরি ব্যবস্থার জন্য বলেছিলাম। আমরা ২ কোটি ৪৫ লাখ মানুষকে চাকরি দিয়েছি। এটা খারাপ না, আমাদের ভালোই অর্জন। আস্তে আস্তে আমাদের কর্মসংস্থান বাড়ছে এবং কর্মসংস্থানের পরিধিও বেড়ে গেছে। কর্মসংস্থান সৃষ্টি করার জন্য আমরা বিভিন্ন পদক্ষেপ গ্রহণ করেছি।

তিনি বলেন, আমি চাকরির ব্যাপারে যেসব কমিটমেন্ট বিভিন্ন সময় বিভিন্ন বাজেটে করেছিলাম সেগুলো দিয়েছি। আমরা মেইড ইন বাংলাদেশ কালচারটা জনপ্রিয় করার চেষ্টা করছি। এ দেশে যা জিনিস তৈরি হবে, তা দিয়ে আমাদের প্রয়োজন মিটবে। এর মধ্য দিয়ে কর্মসংস্থান সৃষ্টি হবে।

এ সময় কৃষিমন্ত্রী মো. আব্দুর রাজ্জাক, পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান, বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি, শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি, শিল্পমন্ত্রী নূরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ূন, পরিকল্পনা প্রতিমন্ত্রী অধ্যাপক ড. শামসুল আলম, প্রধানমন্ত্রীর অর্থনৈতিক বিষয়ক উপদেষ্টা ড. মশিউর রহমান উপস্থিত ছিলেন।

এর আগে গতকাল বৃহস্পতিবার (১ জুন) ২০২৩-২৪ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেটের আকার ৭ লাখ ৬১ হাজার ৭৮৫ কোটি টাকা। বিশাল এ বাজেটের ঘাটতি ২ লাখ ৫৭ হাজার ৮৮৫ কোটি টাকা। আর অনুদান ছাড়া ঘাটতির পরিমাণ ২ লাখ ৬১ হাজার ৭৮৫ কোটি টাকা, যা মোট জিডিপির ৫ দশমিক ২ শতাংশ।

আগামী এক বছর দেশ পরিচালনার সার্বিক আয়-ব্যয়ের হিসাব রয়েছে এই বাজেটে। এটি আওয়ামী লীগ সরকারের ২৩তম ও বাংলাদেশের ৫২তম বাজেট। প্রস্তাবিত বাজেট ২৬ জুন অনুমোদন হবে আর ১ জুলাই থেকে নতুন অর্থবছর শুরু হবে।

;

রংপুরের সুইপার কলোনিতে আগুন, সবকিছু আগুনে পুড়ে ছাই



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট,বার্তা২৪.কম,রংপুর
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

 

রংপুর নগরীর নিউ জুম্মাপাড়া সুইপার কলোনিতে  অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় ১০-১২টি পরিবারের সবকিছু আগুনে পুড়ে গেছে।

বৃহস্পতিবার (১ জুন) রাত সাড়ে ৯টার দিকে  অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। এতে বাদ যায়নি বিছানা, খাট, এমনকি রান্না করা ভাতের পাতিলও।

স্থানীয় প্রত্যক্ষদর্শী ও আগুন নেভাতে সহযোগিতা করা হেলাল মিয়া বলেন, কলোনির মমেনা বেগমের বাড়ির রান্নাঘর থেকে আগুনের সূত্রপাত হয়। দাউ দাউ করে ছড়িয়ে পড়া আগুনে অনেকগুলো পরিবারের ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। কারও ঘরে থাকা সবকিছুই পুড়ে ছাই হয়েছে।

আগুনের সূত্রপাত সেই মমেনা বেগম জানান, অসুস্থ ছেলের স্ত্রী দেখতে গেছি হাসপাতালই ছিলাম। সেখান থেকে শুনেছি বাড়িত আগুন লেগেছে। আসি দেখি কিছু নাই।

রংপুর ফায়ার সার্ভিস অ্যান্ড সিভিল ডিফেন্সের সিনিয়র ফায়ার স্টেশন অফিসার বাদশাহ মাসুদ আলম বলেন, আমাদের তিনটি ইউনিট সোয়া এক ঘণ্টার চেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ তদন্ত সাপেক্ষে বলা যাবে। তবে মোট ১০টি পরিবারের ১০টি বসতঘর, তিনটি রান্নাঘর ও দুইটি গোয়ালঘর পুড়ে গেছে।

;

বিএনপি বাজেট দিত ভিক্ষার টাকায়: আইনমন্ত্রী



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
বিএনপি বাজেট দিত ভিক্ষার টাকায়: আইনমন্ত্রী

বিএনপি বাজেট দিত ভিক্ষার টাকায়: আইনমন্ত্রী

  • Font increase
  • Font Decrease

আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রী এডভোকেট আনিসুল হক বলেছেন, বিএনপি বাজেট দিত ভিক্ষার টাকায়, আর বর্তমান সরকারের সময়ে দেশের জনগণের টাকায় বাজেট ঘোষণা করা হয়।

তিনি বলেন, ২০০৬ সালে বিএনপি তাদের শেষ সময়ে ৬৩ হাজার কোটি টাকার বাজেট ঘোষনা করেছিল যার ৮০ শতাংশই ছিল বিদেশ থেকে আনা। আর বর্তমান সরকার ৭ লক্ষ ৬১ হাজার কোটি টাকার বাজেট ঘোষণা করেছে। যার ৮০ শতাংশের বেশী দেশের মানুষের টাকা। বাঙালি এখন নিজেদের পায়ে দাঁড়াতে শিখেছে।

শুক্রবার (২ জুন) দুপুরে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়া মোগড়া উচ্চ বিদ্যালয় মাঠ প্রাঙ্গণে মোগড়া ইউনিয়নের ৪ নং ওয়ার্ড ছাত্রলীগের বার্ষিক সম্মেলণে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন।

মন্ত্রী আরো বলেন, জনগনের ভোটে ক্ষমতায় যাওয়ার স্বপ্ন বিএনপি দেখে না। তারা নির্বাচন করতে জনগেনর কাছেও আসবে না। বিগত দুটি নির্বাচনে দেশের মানুষ তা দেখেছে। তারা মূলত নির্বাচন করবে না, নির্বাচন নষ্ট করবে। মানুষকে বাসে পুড়িয়ে মারবে। এ বিষয়ে সকলকে সতর্ক থাকতে হবে। তিনি বলেন, দেশের সকল মানুষ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সাথে আছে। ষড়যন্ত্র করে লাভ নেই, দেশের জনগন উচিত শিক্ষা দিবে।

অনুষ্ঠানে মোগড়া ইউনিয়ন ছাত্রলীগের যুগ্ম আহŸায়ক আশিকুজ্জামান নূর রিফাতের সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি ছিলেন আখাউড়া উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি মোঃ আলী চৌধুরী, সাধারণ সম্পাদক তাকজিল খলিফা কাজল, কসবা পৌরসভার মেয়র এম.জি হাক্কানী প্রমুখ।

;

লোডশেডিং গরমে হাঁসফাঁস জনজীবন



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

প্রচণ্ড গরমের মধ্যে লোডশেডিং যেন ‘মড়ার ওপর খাঁড়ার ঘা’ হয়ে দাঁড়িয়েছে। দিনে-রাতে লোডশেডিংয়ে মানুষের ভোগান্তি চূড়ান্ত পর্যায়ে পৌঁছেছে। রোদ ও ভ্যাপসা গরমে সাধারণ মানুষকে দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে।

বৃহস্পতিবার সকাল থেকেই রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় এক ঘণ্টা পরপর লোডশেডিং চলছে। আর ঢাকার বাইরে খেয়ালখুশিমতো লোডশেডিং করা হচ্ছে। এ নিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ব্যাপক সমালোচনা চলছে। এমন পরিস্থিতিতে ক্ষুব্ধ গ্রাহকরা বলছেন, ‘বিদ্যুৎ এখন যায় না, মাঝেমধ্যে আসে।’

এবিষয়ে খিলক্ষেতের বাসিন্দা আফসানা রহমান বলেন, কয়েকদিন ধরে প্রচণ্ড গরম পড়ছে। তার ওপর বিদ্যুৎ যায় আর আসে। এর ফলে বাচ্চা নিয়ে প্রচণ্ড গরমে খুব কষ্ট হয়ে যাচ্ছে।

গরমে হাঁসফাঁস পরিস্থিতির মধ্যে একটু প্রশান্তির আশায় ভিড় বাড়ে শরবত ও জুসের দোকানে। সবচেয়ে বেশি ভোগান্তিতে শ্রমজীবী মানুষ। জীবিকার তাগিদে ঘর থেকে বের হওয়া এই মানুষেরা বলছেন, তীব্র গরমে কমেছে রোজগার।

শ্রমজীবীরা বলছেন, গরমে কাজ করা যাচ্ছে না। রাস্তাও লোকজন কম। এতে আয় কমে গেছে।

তবে রাজধানীর বাইরে বিদ্যুৎ পরিস্থিতি আরও বেশি ভয়াবহ। কোনো কোনো জেলায় বিদ্যুৎ থাকছে না দৈনিক গড়ে ১৪ থেকে ১৫ ঘণ্টা। এতে চরম ভোগান্তি পোহাচ্ছেন গ্রাহকরা। কয়লা সংকটে বিদ্যুৎকেন্দ্রের উৎপাদন ঘাটতির কারণেই লোডশেডিং বলছেন বিদ্যুৎ বিভাগের কর্মকর্তারা।

বৃহস্পতিবার রাজধানীর সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ৩৭ দশমিক ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস। তবে অনুভূত ছিল ৪২ ডিগ্রি। এর আগে রাজধানীতে জুন মাসে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছিল ২০১৪ সালে ৩৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস।

আবহাওয়া অধিদফতর তাদের আগামী এক মাসের দেওয়া পূর্বাভাসে বলেছে, এই জুন মাসে এবার স্বাভাবিকের চেয়ে কম বৃষ্টি হতে পারে। এ মাসে এক থেকে দুটি লঘুচাপ সৃষ্টি হতে পারে। এর মধ্যে একটি নিম্নচাপে পরিণত হতে পারে।

আবহাওয়া দফতরের পরিচালক মো. আজিজুর রহমান বলেন, ৮ জুন নিম্নচাপ সৃষ্টি হতে পারে। জুন মাসে কম বৃষ্টির কথা বলা হলেও এ মাসে উত্তরাঞ্চল, উত্তর-পূর্বাঞ্চল ও দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলের কিছু স্থানে স্বল্পমেয়াদি বন্যা পরিস্থিতির সৃষ্টি হতে পারে। তিনি জানিয়েছেন, সামগ্রিকভাবে জুন মাসে দেশে স্বাভাবিক অপেক্ষা কম বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা আছে।

চলতি মাসে দেশে ১-২টি বিচ্ছিন্নভাবে মৃদু (৩৬-৩৮ ডিগ্রি সে.) থেকে মাঝারি (৩৮-৪০ ডিগ্রি সে.) ধরনের তাপপ্রবাহ বয়ে যেতে পারে। ফলে দিন ও রাতের তাপমাত্রা স্বাভাবিক অপেক্ষা কিছুটা বেশি থাকতে পারে। এ সময় বঙ্গোপসাগরে এক-দুটি লঘুচাপ সৃষ্টি হতে পারে, যার মধ্যে একটি মৌসুমি নিম্নচাপে পরিণত হতে পারে। তবে এখন পর্যন্ত ঘূর্ণিঝড়ের কোনো আভাস নেই।

;