টাঙ্গাইলে শিক্ষার্থীদের ক্লাস নিলেন ইউএনও



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, টাঙ্গাইল
টাঙ্গাইলে শিক্ষার্থীদের ক্লাস নিলেন ইউএনও

টাঙ্গাইলে শিক্ষার্থীদের ক্লাস নিলেন ইউএনও

  • Font increase
  • Font Decrease

শিক্ষার্থীদের পড়াশোনার মানোন্নয়নের লক্ষে টাঙ্গাইলের ভূঞাপুরে প্রাথমিক ও মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষা কার্যক্রম দেখতে বিদ্যালয় পরিদর্শন করেছেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) মো. বেলাল হোসেন।

মঙ্গলবার (২১ মার্চ) দিনব্যাপী উপজেলার বিভিন্ন প্রাথমিক ও মাধ্যমিক বিদ্যালয় পরিদর্শনে বের হন। পরিদর্শনের শুরুতে সকাল সাড়ে ১১টায় উপজেলার অলোয়া ইউনিয়নের নিকলা দড়িপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় পরিদর্শন করেন তিনি।

এসময় বিদ্যালয়ের বিভিন্ন শ্রেণিকক্ষ, বঙ্গবন্ধু কর্নার, শেখ রাসেল কর্নার, লাইব্রেরি, শিক্ষা উপকরণ ও বিদ্যালয় আঙিনায় ফুলের বাগান পরিদর্শন ও শিক্ষার্থীদের সাথে কুশল বিনিময় করেন। তারপর পাশের নিকলা উচ্চ বিদ্যালয়ের শ্রেণিকক্ষ পরিদর্শনের একপর্যায়ে নবম ও দশম শ্রেণির শ্রেণিকক্ষে প্রবেশ করেন। সেখানে শিক্ষার্থীদের সাথে কুশল বিনিময় শেষে উচ্চতর গণিত বিষয়ের ত্রিকোনমিতির উপর ক্লাস নেন ইউএনও বেলাল হোসেন।

ইউএনও’কে দেখে শিক্ষার্থীরা আনন্দে মেতে উঠে এবং ইউএনও’র বক্তব্য ছাত্র-ছাত্রীরা শুনেন।

শিক্ষার্থী জ্যোতি, সাইমা, রায়হান ও হাসান আলী জানান, স্কুলের স্যার আমাদের গণিত ক্লাস নিচ্ছিলেন। এসময় হঠাৎ করেই ইউএনও স্যার ক্লাসে প্রবেশ করেন। পরে স্যার আমাদের সাথে কুশল বিনিময় শেষে উচ্চতর গণিত বিষয়ের ত্রিকোনমিতির বিষয়ের উপর ক্লাস নেন। স্যার সুন্দরভাবে ক্লাস নিয়েছেন। আমরা অনেক কিছু শিখতে পেরেছি।

এরপর দুপুরে ইউএনও বেলাল হোসেন মাটিকাটা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ও গোবিন্দাসী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় পরিদর্শন করেন। সেখানেও শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের সাথে মতবিনিময় করেন এবং শিক্ষা ও পড়াশোনা মান-উন্নয়নে বিভিন্ন দিক-নির্দেশনা প্রদান করেন। এর আগে মাটিকাটা স্কুলের পাশে গড়ে ওঠা দোকানপাটে যাতে বখাটে যুবকরা আড্ডা না দিতে পারে সে ব্যাপারেও দোকানিদের কঠোর নির্দেশ দেন তিনি।

বিদ্যালয় পরিদর্শনকালে উপস্থিত ছিলেন- উপজেলা শিক্ষা অফিসার এম.জি মাহমুদ ইজদানাী, সহকারী উপজেলা শিক্ষা অফিসার মাহবুবুর রহমান ও রেজাউল ইসলাম, ভূঞাপুর প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক আব্দুর রাজ্জাক, অর্থ সম্পাদক কামাল হোসেন, দপ্তর সম্পাদক ফরমান শেখ প্রমুখ।

উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. বেলাল হোসেন বলেন, সবার জন্য মানসম্মত শিক্ষা নিশ্চিতকরণের লক্ষে জেলা প্রশাসক জসীম উদ্দীন হায়দার স্যারের নির্দেশনায় সকলকে নিয়ে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানসমূহ নিয়মিত পরিদর্শন করে যাচ্ছি। পরিদর্শনকালে বিভিন্ন বিদ্যালয়ের শিক্ষাদান কার্যক্রম, বঙ্গবন্ধু ও মুক্তিযুদ্ধ কর্নারসহ বিভিন্ন উদ্ভাবনী উদ্যোগ আমাকে মুগ্ধ করেছে।

ছাত্র-ছাত্রী, শিক্ষক ও অভিভাবকসহ সকলকে অনুপ্রাণিত করার মাধ্যমে উপজেলার শিক্ষাক্ষেত্রে একটি ইতিবাচক পরিবর্তন নিয়ে আসার লক্ষ্যে আমরা নিরলসভাবে পরিশ্রম করে যাচ্ছি।

ওয়ারীতে গ্যাসলাইনে আগুন, নিয়ন্ত্রণে ৬ ইউনিট



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

রাজধানীর ওয়ারীতে গ্যাসলাইনে আগুন লাগার ঘটনা ঘটেছে।

মঙ্গলবার (৬ জুন) দিবাগত রাত আড়াইটার দিকে এ আগুনের সূত্রপাত হয়। গ্যাসলাইন মেরামতের সময় আগুনের ঘটনা ঘটে।

ফায়ার সার্ভিসের কন্ট্রোল রুমের ডিউটি অফিসার এরশাদ হোসেন বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, রাত আড়াইটার দিকে ওয়ারীর পুরনো থানার পাশে টিপু সুলতান সড়কে গ্যাসলাইনে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনার খবর পেয়ে আমাদের ছয়টি ইউনিট পাঠানো হয়েছে।

এ ঘটনায় এ পর্যন্ত দগ্ধ ৬ জনকে বার্ন ইউনিটে ভর্তি করা হয়েছে।

 

;

জামায়াতের বনানীর আমির-সেক্রেটারিসহ আটক ১০



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

রাজধানীর বনানী থানা জামায়াতে ইসলামীর আমির তাজুল ইসলাম ও সেক্রেটারি মাওলানা রাফিসহ ১০ জনকে আটক করেছে পুলিশ।

মঙ্গলবার (৬ জুন) রাত সাড়ে ৯টার দিকে ওয়ারলেস গেটের নবাবী রেস্টুরেন্টে বৈঠককালে তাদের আটক করা হয়।

বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ডিএমপির মিডিয়া শাখার অতিরিক্ত উপ-পুলিশ কমিশনার কে এন নিয়তি রায়।

তিনি বলেন, ওয়ারলেস গেটের নবাবী রেস্টুরেন্টে গোপন বৈঠককালে বনানী থানা জামায়াতের আমির তাজুল ইসলাম ও সেক্রেটারি মাওলানা রাফিসহ জামায়াতে ইসলামী ও ছাত্রশিবিরের ১০ জন নেতাকর্মীকে আটক করা হয়েছে। তারা আগামী ১০ তারিখে সমাবেশ ও মিছিলকে কেন্দ্র করে নাশকতার পরিকল্পনা করছিল। তাদের বিরুদ্ধে আইনি পদক্ষেপ প্রক্রিয়াধীন।

;

‘ঐতিহাসিক ৬ দফা দাবি থেকে শিক্ষা নিয়ে দেশপ্রেমে উদ্বুদ্ধ হতে হবে’



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন

রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন

  • Font increase
  • Font Decrease

বঙ্গবন্ধুর ঐতিহাসিক ৬ দফা দাবি থেকে শিক্ষা নিয়ে দেশপ্রেমে উদ্বুদ্ধ হওয়ার জন্য তরুণ প্রজন্মের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন।

তিনি বলেন, ঐতিহাসিক ৬-দফা কেবল বাঙালি জাতির মুক্তিসনদ নয়, সারা বিশ্বের নিপীড়িত নির্যাতিত মানুষের মুক্তি আন্দোলনের অনুপ্রেরণার উৎস। আমি বিশ্বাস করি তরুণ প্রজন্ম বঙ্গবন্ধুর ৬-দফার দাবি থেকে শিক্ষা নিয়ে দেশপ্রেমে উদ্বুদ্ধ হবে।

ঐতিহাসিক ৬-দফা দিবস উপলক্ষে দেয়া এক বাণীতে রাষ্ট্রপতি এসব কথা বলেন।

বাংলাদেশের মুক্তিসংগ্রাম ও স্বাধীনতার ইতিহাসে ১৯৬৬ সালের ৬-দফা একটি অন্যতম মাইলফলক একথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, ১৯৬৬ সালের ৭ জুন জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ঐতিহাসিক ৬-দফা ঘোষণা করেন।

রাষ্ট্রপতি এ মহান দিনে জাতির পিতার প্রতি গভীর শ্রদ্ধা নিবেদনের পাশাপাশি ৬-দফা দাবি বাস্তবায়নের জন্য যারা জীবন দিয়েছেন তাদের স্মৃতির প্রতি জানান বিনম্র শ্রদ্ধা।

মো. সাহাবুদ্দিন বলেন, বাঙালির স্বাধীনতা দীর্ঘ সংগ্রামের ফসল। ১৯৪৮ সালে বাংলা ভাষার দাবিতে যে আন্দোলনের সূত্রপাত হয়, ’৫২-এর ভাষা আন্দোলনের মধ্য দিয়ে তার সফল পরিসমাপ্তি ঘটে। রচিত হয় বাঙালি জাতীয়তাবাদের ভিত্তি। এরপর ১৯৫৪ সালে যুক্তফ্রন্ট গঠন, ১৯৫৮ সালে সামরিক শাসনবিরোধী আন্দোলন ও ১৯৬২ সালে শিক্ষা কমিশন বিরোধী আন্দোলনের ধারাবাহিকতায় বাঙালির স্বায়ত্তশাসনের লক্ষ্যে বঙ্গবন্ধু ১৯৬৬ সালে লাহোরে সর্বদলীয় সম্মেলনে ঐতিহাসিক ৬-দফা প্রস্তাব পেশ করেন।

তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধু ঐতিহাসিক ৬-দফা দাবিতে শাসনতান্ত্রিক কাঠামো, কেন্দ্রীয় সরকারের ক্ষমতা, মুদ্রানীতি, রাজস্ব ও করনীতি, বৈদেশিক বাণিজ্য, আঞ্চলিক বাহিনী গঠনের বিষয়টি উল্লেখ করলেও মূলত এই ৬-দফার মধ্যেই বঙ্গবন্ধু তৎকালিন পূর্ব বাংলার রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক, সামাজিক ও সাংস্কৃতিক স্বার্থকে তুলে ধরেন, যার মধ্যে নিহিত ছিল বাঙালির স্বাধিকার ও স্বায়ত্তশাসনের রূপরেখা।

রাষ্ট্রপতি জানান, ঐতিহাসিক ৬-দফা ঘোষণার পর শাসকগোষ্ঠী বঙ্গবন্ধুর উপর অমানবিক নির্যাতন চালায় এবং তাকে বারবার গ্রেফতার করে। তা সত্ত্বেও তিনি ৬-দফার দাবি থেকে পিছপা হননি। তার নেতৃত্বে দাবি আদায়ের আন্দোলন বেগবান হয় এবং তা অল্প সময়ের মধ্যে সারা বাংলায় ছড়িয়ে পড়ে। শাসকগোষ্ঠী ৬-দফার আন্দোলন স্তিমিত করতে গ্রেফতার, নির্যাতনসহ কঠোর পদক্ষেপ গ্রহণ করে। ১৯৬৬ সালের ৭ জুন ৬-দফা দাবির সমর্থনে আওয়ামী লীগের আহ্বানে প্রদেশব্যাপী (তৎকালিন পূর্বপাকিস্তানে) সাধারণ ধর্মঘট চলাকালে পাকিস্তানি শাসকগোষ্ঠীর মদদে পুলিশের গুলিতে ঢাকা ও নারায়ণগঞ্জে ১১ জন শাহাদাত বরণ করেন। আহত ও গ্রেফতার হন অনেকে।

জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব রাজনৈতিক স্বাধীনতার পাশাপাশি ক্ষুধা ও দারিদ্র্যমুক্ত সোনার বাংলা গড়তে চেয়েছিলেন উল্লেখ করে মো. সাহাবুদ্দিন বঙ্গবন্ধুর সেই স্বপ্ন পূরণ তথা সুখী-সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গড়তে সকলের প্রতি আহ্বান জানান।

;

‘দেশের মানুষের গণতান্ত্রিক অধিকার অক্ষুন্ন রাখতে সরকার বদ্ধপরিকর’



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা

  • Font increase
  • Font Decrease

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, ঐতিহাসিক ৭ জুনসহ সকল গণতান্ত্রিক আন্দোলন ও সংগ্রামের চেতনায় উদ্বুদ্ধ হয়ে দেশের মানুষের গণতান্ত্রিক অধিকার অক্ষুন্ন রাখতে আওয়ামী লীগ সরকার বদ্ধপরিকর।

তিনি বলেন, আমরা মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় দেশকে এগিয়ে নিতে এবং প্রতিটি মানুষের কাছে স্বাধীনতার সুফল পৌঁছে দিতে কাজ করছি। গত প্রায় সাড়ে ১৪ বছরে আমরা দেশের অভূতপূর্ব উন্নয়ন করেছি। বাংলাদেশ এখন স্বল্পোন্নত দেশ থেকে উন্নয়নশীল দেশের মর্যাদা লাভ করেছে।

ঐতিহাসিক ৬-দফা দিবস উপলক্ষে দেয়া এক বাণীতে প্রধানমন্ত্রী একথা বলেন। তিনি বলেন, ৭ জুন ঐতিহাসিক ছয় দফা দিবস। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ঘোষিত ৬-দফা আন্দোলনের গুরুত্বপূর্ণ অধ্যায়ের শুরুটা হয়েছিল ১৯৬৬ সালের এই দিনে। বাংলাদেশের স্বাধীনতা সংগ্রামের ইতিহাসে দিনটি অবিস্মরণীয় ও তাৎপর্যপূর্ণ।

শেখ হাসিনা বলেন, পাকিস্তানি শাসন-শোষণ-বঞ্চনা থেকে মুক্তির লক্ষ্যে স্বৈরাচার আইয়ুব সরকারের বিরুদ্ধে ১৯৬৬ সালের ৫ ফেব্রুয়ারি লাহোরে তৎকালীন পূর্ব ও পশ্চিম পাকিস্তানের সব বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলোকে নিয়ে ডাকা এক জাতীয় সম্মেলনে পূর্ব বাংলার জনগণের পক্ষে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ৬-দফা দাবি উত্থাপন করেন। পরবর্তীতে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব ১১ ফেব্রুয়ারি ঢাকায় ফিরে ৬-দফার পক্ষে দেশব্যাপী প্রচারাভিযান শুরু করেন এবং বাংলার আনাচে-কানাচে প্রত্যন্ত অঞ্চলে গিয়ে জনগণের সামনে ৬-দফার প্রয়োজনীয়তা তুলে ধরেন।

তিনি বলেন, বাংলার সর্বস্তরের জনগণ ৬-দফার প্রতি স্বতঃস্ফূর্ত সমর্থন জানায়। ছয়-দফা হয়ে ওঠে পূর্ব বাংলার শোষিত-বঞ্চিত মানুষের মুক্তির সনদ। ছয়-দফার প্রতি ব্যাপক জনসমর্থন এবং বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জনপ্রিয়তায় ভীত হয়ে সামরিক জান্তা আইয়ুব খানের স্বৈরাচারী সরকার ১৯৬৬ সালের ৮ মে বঙ্গবন্ধুকে গ্রেফতার করে কারাগারে পাঠায়। এর প্রতিবাদে বিক্ষুব্ধ মানুষ রাজপথে নেমে আসে।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, জাতির পিতা ঘোষিত ৬-দফা আন্দোলন ১৯৬৬ সালের ৭ জুন নতুন মাত্রা পায়। বাঙালির মুক্তির সনদ ৬-দফা আদায়ের লক্ষ্যে এ দিন আওয়ামী লীগের ডাকে হরতাল চলাকালে নিরস্ত্র জনতার ওপর পুলিশ ও তৎকালীন ইপিআর গুলিবর্ষণ করে। এতে ঢাকা এবং নারায়ণগঞ্জে মনু মিয়া, আবুল হোসেন, সফিক ও শামসুল হকসহ ১১ জন শহীদ হন। এই দিনে তিনি ঐতিহাসিক ৭ জুনসহ স্বাধীনতা সংগ্রামের সকল শহীদের স্মৃতির প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জানান।

শেখ হাসিনা বলেন, বাঙালির অবিসংবাদিত নেতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নেতৃত্বে ৬-দফার প্রতি এ দেশের জনগণের অকুণ্ঠ সমর্থনে রচিত হয় স্বাধীনতার রূপরেখা। ছয়-দফা আন্দোলনের মধ্য দিয়ে অঙ্কুরিত হয় স্বাধীনতার স্বপ্নবীজ। ছয়-দফা ভিত্তিক আন্দোলন-সংগ্রামের ধারাবাহিকতায় বাঙালির স্বাধিকার আন্দোলন স্বাধীনতা সংগ্রামে রূপ নেয়। ছয়-দফা ভিত্তিক ১১-দফা আন্দোলনের পথপরিক্রমায় শুরু হয় ৬৯-এর গণ-অভ্যুত্থান, ৭০-এর সাধারণ নির্বাচনে বাংলার জনগণ নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা লাভ করে এবং ১৯৭১ সালের মহান মুক্তিযুদ্ধে বিজয়ের মধ্য দিয়ে বিশ্বের মানচিত্রে জন্ম হয় স্বাধীন-সার্বভৌম বাংলাদেশের। ছয়-দফা কেবল বাঙালি জাতির মুক্তিসনদ নয়, সারা বিশ্বের নির্যাতিত-নিপীড়িত মানুষের মুক্তি আন্দোলনের অনুপ্রেরণার উৎস।

প্রধানমন্ত্রী মহান মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় উদ্বুদ্ধ হয়ে ঐক্যবদ্ধভাবে যে কোন ষড়যন্ত্র মোকাবিলা করে দেশের উন্নয়ন ও গণতন্ত্রের ধারাবাহিকতা রক্ষা এবং বাংলাদেশকে ২০৪১ সালের মধ্যে জাতির পিতার স্বপ্নের উন্নত-সমৃদ্ধ ও আধুনিক-স্মার্ট সোনার বাংলাদেশ গড়ে তোলার আহবান জানান।

;