ঘোড়ায় বর পালকিতে কনে, এমপি এলেন হেলিকপ্টারে



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, রাজশাহী
ঘোড়ায় বর পালকিতে কনে, এমপি এলেন হেলিকপ্টারে

ঘোড়ায় বর পালকিতে কনে, এমপি এলেন হেলিকপ্টারে

  • Font increase
  • Font Decrease

বিয়েতে কনের বাড়িতে বর আসেন ঘোড়ায় চড়ে। আর কনে নিয়ে যাওয়া হয় পালকিতে। শুধু তাই নয়, বিয়ের এই অনুষ্ঠানে অতিথি হয়ে ঢাকা থেকে দাওয়াত খেতে হেলিকপ্টারে চড়ে আসেন রাজনীতিবিদ, প্রকৌশলী ও রাজশাহী-৪ আসনের সংসদ সদস্য (এমপি) ইঞ্জিনিয়ার এনামুল হক। জেলার বাগমারা উপজেলার এক ইউপি চেয়ারম্যানের কন্যার রাজকীয় বিয়েতে এমন দেখা যায়।

শনিবার (১৮ মার্চ) ছিল বিয়ের অনুষ্ঠান। সকাল থেকেই তাই সব রাজকীয় কারবার। এক বিয়ে বাড়িতে ঘোড়া, পালকি আর হেলিকপ্টার দেখে অবাক এলাকার লোকজন।

বর মতিউর রহমানের বাড়ি উপজেলার ভরট্ট গ্রামে। তার বাবা আবদুল মান্নান মাদ্রাসাশিক্ষক। মা হালিমা খাতুন স্বাস্থ্যকর্মী। তাদের একমাত্র সন্তান মতিউর। সোনাডাঙ্গা ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান ও ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি আজাহারুল হকের একমাত্র মেয়ে ফারহানা আঁখির সঙ্গে মতিউরের বিয়ে হয়েছে।


আঁখির বিয়েতে অতিথি হিসেবে এসেছিলেন রাজশাহী-৪ (বাগমারা) আসনের সংসদ সদস্য ইঞ্জিনিয়ার এনামুল হক। গাড়ি নয়, হেলিকপ্টারে ঢাকা থেকে উড়ে আসেন তিনি। বিয়ের অনুষ্ঠান শেষে তিনি হেলিকপ্টারে ফিরে যান। স্থানীয় ফুটবল মাঠে হেলিকপ্টার নামে এবং উড়ে। গ্রামে প্রথমবার হেলিকপ্টারের এই দৃশ্য দেখতে ফুটবল মাঠে ভিড় করে মানুষ।

পরিবারের সদস্যরা জানান, চীন থেকে পড়াশোনা করে আসা মতিউরের সঙ্গে পারিবারিকভাবে বিয়ের আয়োজন করা হয় বিশ্ববিদ্যালয় পড়ুয়া শিক্ষার্থী আঁখির। মতিউরের ইচ্ছা অনুযায়ী, একটা ঘোড়া ভাড়া করে আনা হয়। আর গ্রামের প্রবীণ একজন মিস্ত্রিকে দিয়ে তিন দিনে তৈরি করা হয় একটি পালকি। ঘোড়ায় চড়ে বেলা ১১টার দিকে মতিউর বিয়ে করতে যান। তাঁর বাড়ি থেকে কনেবাড়ির দূরত্ব প্রায় এক কিলোমিটার দূরে। বিয়ের আনুষ্ঠানিকতা শেষে পালকিতে করে নববধূকে বাড়িতে নিয়ে আসেন মতিউর।

মতিউরের চাচা মামনুর রশিদ বলেন, ছেলের দাদা আহম্মদ হোসেন ঘোড়ায় চড়ে বিয়ে করেছিলেন। তিনিও নববধূকে বাড়ি এনেছিলেন পালকিতে করে। সেই গল্প শুনে বড় হওয়া মতিউরও চেয়েছিলেন একইভাবে বিয়ে করতে। তার ইচ্ছা পূরণ করা হয়েছে। গ্রামবাসীকে চমকে দিতে অনেকটা গোপনে গোপনেই এ আয়োজন করা হয়েছিল। গ্রামের মানুষ চমকে গেছে।

তিনি বলেন, আজ দুপুর ১২টার দিকে ভরট্ট গ্রাম থেকে ঘোড়ায় চড়ে মতিউর প্রায় এক কিলোমিটার দূরে কনের বাড়িতে যান। সঙ্গে নেন পালকি ও বরযাত্রীদের। কনের পরিবার থেকে তাঁদের গ্রামীণ পুরোনো রীতি অনুসারে বরণ করে নেওয়া হয়েছে।


মতিউরের মা হালিমা খাতুন বলেন, আমার একমাত্র ছেলের ইচ্ছা ছিল দাদার মতো ঘোড়ায় চড়ে বিয়ে করার। ছেলের শখ মেটাতে ও পরিবারের ঐতিহ্য ফিরে আনতে এ আয়োজন। সবাইকে চমক দিতে কিছুটা গোপনেই এসব আয়োজন করা হয়েছে।

কনের বাবা ইউপি চেয়ারম্যান আজাহারুল হক বলেন, তাঁর মেয়ের বিয়েতে স্থানীয় এমপি এনামুল হকসহ প্রায় তিন হাজার মানুষকে দাওয়াত করা হয়েছিল। তারা সবাই এসেছিলেন। বর ঘোড়ায় এসে পালকিতে করে কনে নিয়ে গেছে। এমপি এসেছিলেন হেলিকপ্টারে। এই বিষয়গুলো গ্রামবাসীর ভালো লেগেছে। সবার কাছে এই বিয়েটা অনেক দিন মনে থাকবে।

ড. ইউনূসের কর ফাঁকির ১২ মামলা আপাতত শুনবেন না হাইকোর্ট



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

গ্রামীণ ব্যাংকের প্রতিষ্ঠাতা ড. মুহাম্মদ ইউনূস পাঁচ বছরে প্রায় ১১শ কোটি টাকা কর ফাঁকি ও আয়করসংক্রান্ত ১২ মামলা আপাতত শুনবেন না হাইকোর্ট।

সোমবার (০৫ জুন) বিচারপতি ইকবাল কবির ও বিচারপতি এস এম মনিরুজ্জামানের দ্বৈত বেঞ্চ জানান, কনিষ্ঠ বিচারপতি এ মামলায় রাষ্ট্রপক্ষে শুনানি করেছিলেন কাজেই তারা এটি শুনতে পারবেন না। পরে নথি পাঠানো হয় প্রধান বিচারপতির কাছে।

গত ৭ মে হাইকোর্টকে এনবিআরের পক্ষ থেকে জানানো হয়, ২০১২ থেকে ২০১৭-এই পাঁচ বছরে ১১শ কোটি টাকা কর ফাঁকি দিয়েছেন ড. মুহাম্মদ ইউনূস।

এর আগে, ইউনূসের প্রতিষ্ঠিত বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের প্রায় সাড়ে ১১শ কোটি টাকার আয়কর রিটার্নের মামলা চালুর জন্য হাইকোর্টে আবেদন করে রাষ্ট্রপক্ষ।

রাষ্ট্রপক্ষ বলছে, সরকারের পাওনা অর্থগুলোর মধ্যে একটি হলো গ্রামীণ কল্যাণ ৫৭৬ কোটি ৯৪ লাখ ৫৭ হাজার ৮২৩ কোটি টাকা। গ্রামীণ কল্যাণের আরেকটিতে ৩৫৪ কোটি ৭৯ লাখ ৮৯ হাজার ৫৪৭ টাকা এবং গ্রামীণ টেলিকমের একটিতে সরকারের পাওনা ২১৫ কোটি টাকা।

ড. ইউনূসের ব্যক্তিগত ও তার প্রতিষ্ঠিত ৯টি প্রতিষ্ঠানের করসংক্রান্ত তথ্য চেয়ে এনবিআরের কাছে চিঠিও দিয়েছিল দুদক। পরে এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে এনবিআরের সর্বোচ্চ পর্যায় থেকে সংশ্লিষ্ট সার্কেল এবং জরিপ দপ্তরকে মৌখিক নির্দেশনাও দেওয়া হয়।

;

স্বামীর পরকীয়ার বলি স্ত্রী, বাবার ফাঁসির দাবিতে মানববন্ধনে সন্তানরা



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪. কম, লক্ষ্মীপুর
স্বামীর পরকীয়ার বলি স্ত্রী, বাবার ফাঁসির দাবিতে রাস্তায় সন্তানরা

স্বামীর পরকীয়ার বলি স্ত্রী, বাবার ফাঁসির দাবিতে রাস্তায় সন্তানরা

  • Font increase
  • Font Decrease

লক্ষ্মীপুরে স্বামীর পরকীয়ার প্রেমের বলি হয়েছেন সেলিনা আক্তার নামের এক গৃহবধূ। পরকীয়া প্রেমের প্রতিবাদ করায় প্রবাস ফেরত স্বামী জসীম উদ্দিন তাকে নির্যাতন করে নৃশংসভাবে হত্যা করেন। এ ঘটনায় মামলা দায়েরের পরে মোটা অংকের অর্থের বিনিময়ে পোস্টমর্টেম রিপোর্ট প্রভাবিত করার অভিযোগ দিয়েছেন নিহতের স্বজনরা। একারণে খুন করেও গ্রেফতার না হয়ে প্রকাশ্যে ঘুরে বেড়াচ্ছেন অভিযুক্ত জসীম।

সোমবার (৫ জুন) সকালে সদর উপজেলার জকসিন বাজারে স্বজন ও এলাকাবাসীদের নিয়ে বাবার গ্রেফতার ও ফাঁসির দাবিতে মানববন্ধন করে নিহত গৃহবধূর সন্তানরা।

বাজারের মূল সড়কে ঘণ্টাব্যাপী মানববন্ধনে অংশ নেয় নিহতের চার ছেলে-মেয়ে। তারা হলো- রোজিনা আক্তার, আসমা আক্তার, লাভলী আক্তার ও আব্দুল আজিজ। এছাড়া স্থানীয় শতাধিক এলাকাবাসী মানববন্ধনে অংশ নেয়।

এসময় নিহতের ভাই মোক্তার হোসেন জানান, সদর উপজেলার বাঙ্গাখাঁ ইউনিয়নের কাচারীবাড়ীর প্রবাসী জসীম উদ্দিন তার ভগ্নিপতি। সে প্রতারক,লম্পট ও নারীলোভী চরিত্রের। অর্থের লোভ দেখিয়ে সে বিভিন্ন নারীর সাথে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে তোলে। এসব নারীদের অনেককে সে বিদেশে নিয়ে গিয়ে গেছে বলে অভিযোগ করে জানান। সবশেষ শাহিন আক্তার সাথী নামের এক নারীর সাথে পরকীয়ার ঘটনাকে কেন্দ্র করে স্বামী জসীমের সাথে বিবাদ হয় স্ত্রী সেলিনা আক্তারের। এর জের ধরে গত ২৭ মে সেলিনাকে তার বাবার বাড়ী থেকে নিজ বাড়ীতে ডেকে নিয়ে নির্মম নির্যাতন শেষে হত্যা করে। পরে মুখে বিষ ঢেলে দেয়। এ ঘটনায় সদর থানায় মামলা করতে গেলে পুলিশ প্রভাবিত হয়ে মামলা গ্রহণ করেনি বলে দাবি করেন নিহতের ভাই। এছাড়া মোটা অংকের অর্থের বিনিময়ে সদর হাসপাতালের চিকিৎসককে প্রভাবিত করে পোস্টমর্টেম রিপোর্টে হত্যাকে আত্মহত্যার ঘটনা বলে চালান। একারণে ঘটনার এক সপ্তাহ পর ভাই মোক্তার হোসেন বোনের হত্যার বিচার চেয়ে লক্ষ্মীপুর আদালতে অভিযোগ দায়ের করেন। এতে ভগ্নিপতি জসীমসহ ১২ জনকে অভিযুক্ত করা হয়।


তিনি এ ঘটনার বিচারিক তদন্ত সাপেক্ষে খুনীদের গ্রেফতার ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানান। মানববন্ধনে অংশ নিয়ে নিহত গৃহবধূর তিন কন্যা ও এক ছেলে তাদের বাবার বিচার দাবি করে।

এসময় বড় মেয়ে রোজিনা আক্তার কান্নাজড়িত কণ্ঠে জানায়, তাদের বাবা পরকীয়া প্রেমে জড়িত ছিলেন। তার মা সেলিনা এসবে বাধা দেন। এর জের ধরে বাবা তার মা-কে নির্মম নির্যাতন করে হত্যা করেন। তাই মায়ের হত্যাকারী বাবা জসীমের ফাঁসির দাবি জানায় সে।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা(ওসি) মোছলেহ্ উদ্দিন জানান, এ ঘটনায় একটি অপমৃত্যু মামলা রয়েছে। তাই আলাদা করে হত্যা মামলা নেয়ার প্রয়োজন হয়নি। পুলিশ ঘটনার তদন্ত করছে। জানার জন্য সদর হাসপাতালের আবাসিক কর্মকর্তা (আরএমও) ডা.আনোয়ার হোসেনের সাথে কথা বলার চেষ্টা করেও তাকে পাওয়া যায়নি।

;

কোরবানি ঈদকে সামনে রেখে পশু পরিচর্যায় ব্যস্ত খামারিরা



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঠাকুরগাঁও
কোরবানি ঈদকে সামনে রেখে ব্যস্ত প্রান্তিক খামারিরা

কোরবানি ঈদকে সামনে রেখে ব্যস্ত প্রান্তিক খামারিরা

  • Font increase
  • Font Decrease

আল্লাহর সন্তুষ্টি লাভের আশায় সামর্থ্যবান মুসলমানেরা ঈদ-উল-আজহায় পশু কোরবানি দিয়ে থাকেন। ঈদে দেশীয় গরুর ব্যাপক চাহিদা থাকায় ঠাকুরগাঁওয়ে প্রান্তিক কৃষক ও ছোট খামারিরা গরু পালন করছেন। কিছুটা বাড়তি লাভের আশায় ঈদকে সামনে রেখে সকাল হতে সন্ধ্যা পর্যন্ত গরুকে গোসল করানো খাবার দেওয়া নিয়ে ব্যস্ত সময় পার করছেন প্রান্তিক খামারিরা। তবে ভালো দিক হলো ক্ষতিকর ইনজেকশন ও ট্যাবলেট ব্যবহার না করে দেশীয় পদ্ধতিতে গরু মোটাতাজা করছেন খামারি ও কৃষক।

ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার চন্ডিপুর, গড়েয়া মিলনপুর, সালান্দর, আখানগর ঘুরে দেখা যায় এমন চিত্র।

প্রাণি সম্পদ বিভাগের তথ্য মতে, জেলার পাঁচটি উপজেলায় ৪ হাজার ৩ শত ১৭ জন পারিবারিক ও বাণিজ্যিকভাবে খামারে গবাদিপশু পালন করছে। আর এ থেকে ৬৯ হাজার পশু উৎপাদিত হবে যা চাহিদার তুলনায় পর্যাপ্ত।

খামারি শামীম মিয়া বলেন, আমি বহুদিন যাবত খামার করে আসছি। এ বছর ভালো করে প্রস্তুতি নিচ্ছি। আমার খামারে এখন দেশি গরু ১০-১১ টি রয়েছে। আমারা যারা ছোটখাটো খামারিরা তারা বেশি একটা লাভবান হতে পারি না, কারণ প্রত্যেকটা জিনিসের দাম বেশি। বেশি দাম দিয়ে খাবার কিনে খাওয়ালে বেশি একটা লাভবান হওয়া যাবে না। আমরা প্রাকৃতিক সব খাবার খাওয়াচ্ছি।

অনন্যা ফার্মের স্বত্বাধিকারী হোসাইন মোহাম্মদ এরশাদ বলেন, এখানে আমি তিনটি গরু নিয়েছি আজ থেকে চার মাস আগে মোটাতাজা করার জন্য। এক একটা গরু প্রায় ৬০ থেকে ৭০ হাজার টাকা করে কেনা। ঈদের আগে শেষ মুহূর্তে গরু মোটাতাজা করতেছি। ইন্ডিয়ান গরু না আসে তাহলে আমরা একটু লাভবান হতে পারব। সরকারের কাছে আবেদন ঈদের আগে যাতে ইন্ডিয়ান গরু বাংলাদেশে না ঢুকে তাহলে ছোটখাটো খামারিরা লাভবান হতে পারবো।

আরেক খামারের খামারি সোহেল মাহমুদ বলেন, এ এলাকায় বেশিরভাগ খামারি দেশীয় পদ্ধতিতে গরু মোটাতাজা করছেন। সম্পূর্ণ দেশীয় পদ্ধতিতে ঘাস-খড়ের পাশাপাশি খৈলগুঁড়া ও ভুসি খাওয়ানো হচ্ছে। গোখাদ্যের দাম বেড়ে যাওয়ায় বর্তমানে গরুতে লাভ কিছুটা কমে গেছে। গতবার চারটি গরু বিক্রি করে প্রায় ৫০ হাজার টাকা লাভ হয়েছিল। এ বছর কোরবানি উপলক্ষে সাতটি গরু পালন করছি। আশা করি এবারও ভালো দাম পাব।

ঠাকুরগাঁও জেলা প্রাণিসম্পদ অফিসার ডা. মোঃ আবুল কালাম আজাদ বলেন, আসন্ন পবিত্র ঈদ-উল-আজহা উপলক্ষে ঠাকুরগাঁও জেলায় ৪ হাজার ৩১৭ জন পারিবারিক ও বাণিজ্যিকভাবে খামার পরিচালনা করছেন। এই খামার গুলোকে আমরা প্রাণিসম্পদ বিভাগ থেকে ভ্যাকসিন এবং চিকিৎসা পরামর্শ দিয়ে থাকি।

;

১২ মিনিট পর পর ছাড়বে মেট্রোরেল



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

ছয় ঘণ্টার বদলে প্রতিদিন ১২ ঘণ্টা মেট্রোরেলের চলাচল শুরু হওয়ার পর সন্ধ্যা ৬টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত ‘অফ পিক আওয়ার’ বিবেচনা করা হয়েছে।

এই দুই ঘণ্টা প্রতি ১৫ মিনিট পর পর ট্রেন ছাড়া হতো। কিন্তু আজ সোমবার থেকে তিন মিনিট সময় এগিয়ে ১২ মিনিট পর পর ট্রেন ছাড়া হবে।

রোববার (৪ জুন) ঢাকা ম্যাস র‍্যাপিড ট্রানজিট কোম্পানি লিমিটেড (ডিএমটিসিএল) এক বিজ্ঞপ্তিতে এমন তথ্য জানিয়েছে।

এতদিন উত্তরা থেকে আগারগাঁও পর্যন্ত মোট ৯টি স্টেশনে সকাল ৮টা থেকে দুপুর ২টা পর্যন্ত মেট্রো চলাচল করছে। যদিও শুরুতে এই পথে ট্রেন চলত দুপুর ১২টা পর্যন্ত। তবে গত বুধবার থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত মেট্রো ট্রেন চালানো শুরু হয়।

পর্যায়ক্রমে মেট্রো ট্রেন চলাচলের সময় বাড়ানো হচ্ছে। আগামী জুলাইয়ে রাত ১২টা পর্যন্ত মেট্রো চালানোর পরিকল্পনা রয়েছে। সেই পরিকল্পনা বাস্তবায়নে ধাপে ধাপে ট্রেন পরিচালনার সময় বাড়ানো হচ্ছে।

গত বছরের ২৮ ডিসেম্বর ঢাকায় মেট্রোরেল যাত্রা শুরু করে। এখন প্রথমাংশে উত্তরা থেকে আগারগাঁও পর্যন্ত চলছে। দ্বিতীয় অংশ আগারগাঁও থেকে মতিঝিল ২০২৩ সালের শেষ দিকে চালুর পরিকল্পনা রয়েছে। আর মতিঝিল থেকে কমলাপুর পর্যন্ত বর্ধিতাংশ ২০২৫ সালে চালুর লক্ষ্য নির্ধারণ করা হয়েছে।

;