ভ্যান চালিয়ে পরীক্ষা দিয়ে রমজান পেলেন জিপিএ-৫



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঠাকুরগাঁও
ভ্যান চালিয়ে পরীক্ষা দিয়ে রমজান পেলেন জিপিএ-৫

ভ্যান চালিয়ে পরীক্ষা দিয়ে রমজান পেলেন জিপিএ-৫

  • Font increase
  • Font Decrease

মাত্র তিন বছর বয়সে বাবাকে হারায় রমজান৷ তারপর থেকে মায়ের আদরে বেড়ে ওঠা তার৷ স্বামীকে হারিয়ে চার সন্তান নিয়ে দিশেহারা হয়ে পরে রমজানের মা৷ সন্তানদের ভরণ পোষণ জোগাতে হাড়ভাংগা খাটুনি করতো তার মা৷ পারিবারিক অস্বচ্ছলতা আর তীব্র অভাবের ভিড়ে পড়াশোনা চালিয়ে যাওয়া ছিল বেশ দুষ্কর৷ পরিবারের কষ্ট লাঘবে মাকে সাহায্য করেন তিনি। 

অন্যের বাড়িতে কাজ করে যা আয় হত তা থেকে কিছু টাকা দিয়ে পড়াশোনার খরচ চালাতো রমজান৷ এসএসসির আগের পড়াশোনার খরচ চালাতে খুব বেশি কষ্ট না হলেও পরে হিমশিম খেতে হয়েছে তাকে। কোন কিছুর লাজলজ্জা না করে শুরু করেন ভ্যান চালানো৷ মনে যে স্বপ্ন স্থির, পড়াশোনায় ভালো ফলাফল করে করতে হবে ভাল চাকুরি৷ তবে সফলতার হাতছানি ছুঁয়েছে রমজানের৷ প্রকাশিত এইচএসসি ও সমমান পরীক্ষার ফলাফলে জিপিএ-৫ পেয়ে উত্তীর্ণ হয়েছে সে৷

ঠাকুরগাঁওয়ের রাণীশংকৈল উপজেলার বাচোর ইউনিয়নের মীরডাঙ্গী গ্রামের মৃত আবু তাহেরের ছেলে রমজান আলী। চার ভাই বোনের মধ্যে সবার ছোট সে। বাড়ির পাশে মীরডাঙ্গী উচ্চ বিদ্যালয় থেকে এসএসসিতে জিপিএ-৪.১১ ও প্রকাশিত এইচএসসি ফলাফলে রাণীশংকৈল ডিগ্রি কলেজ থেকে মানবিক বিভাগে জিপিএ-৫ পেয়েছে সে৷ অতি কষ্টের মাঝে এমন ফলাফলে নতুন স্বপ্নের ছোঁয়া পেয়েছে সে ও তার পরিবার। তার ফলাফলে খুশি পরিবার ও স্থানীয়রা।

স্থানীয় স্কুল শিক্ষক শরিফুল ইসলাম বলেন, তার জীবনটা একটা সংগ্রাম। অনেক কষ্ট করে সে অন্যের বাড়িতে কাজ করে, ভ্যান চালিয়ে ভাল ফলাফল করেছে। তার ফলাফলে আমরা অনেক খুশি। আমরা তার পাশে ছিলাম। আগামীতেও তার পাশে দাঁড়াব৷ সেই সাথে সকলকে তার পাশে দাঁড়ানোর অনুরোধ করছি।

কষ্টার্জিত কাঙ্ক্ষিত ফলাফল শুনে রমজান আলী বলেন, পরীক্ষা শেষ করার পর আমি ঢাকায় চলে আসি। এখানে এসে গার্মেন্টসে কাজ শুরু করি। এখনো গার্মেন্টস কর্মী হিসেবে কর্মরত আছি৷ ছোটবেলা থেকেই বাবার আদর পাইনি৷ মা অনেক কষ্ট করে আমাকে লালন পালন করেছেন৷ মায়ের সাথে কাজ করে নিজের খরচ ও পড়াশোনার খরচ চালিয়েছি। তবুও পিছপা হয়নি। স্বপ্ন ছিল একদিন ভালো ফলাফল করে একটি মানসম্মত বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশোনা করব৷ আজকে একটা মনের আশা পূরণ হল। আমি পরীক্ষা দেওয়ার সময় যে দিনগুলোতে ফাঁকা ছিল ভ্যান চালিয়ে আয় করেছি। আমার মা বলতো আমি ভালো ফলাফল করব আজকে সে আশা পূরণ হয়েছে। গতকালকে গার্মেন্টসে বলেছি আজকে আমার ছুটি লাগবে৷ ছুটি নিয়ে আজকে বাসায় ছিলাম। জিপিএ -৫ পেয়ে আমি আজ অনেক খুশি। রেজাল্ট শোনে সব কষ্ট ভুলে গেছি। আমার মা অনেক খুশি হয়েছেন।

ভবিষ্যতের পরিকল্পনা কি ও পড়াশোনা নিয়ে জানতে চাইলে রমজান আরো বলেন, আর্থিক সমস্যার কারণে কোচিং করতে পারিনি৷ সে কারণে ভাবছি এক বছর পর ভর্তি হব। তারপরেও চেষ্টা করব ভালো বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হওয়ার। ভবিষ্যতে ভালো একটি চাকুরি করে পরিবারের কষ্ট লাঘব ও দেশ সেবা করব৷

এ বিষয়ে রাণীশংকৈল উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সোহেল সুলতান জুলকারনাইন বলেন, বিষয়টি যেমনিভাবে কষ্টের তেমনি অনুপ্রেরণার। উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে তাকে সহযোগিতা করা হবে।

ইন্টারপোলের রেড নোটিশের খবরে আরাভের খোলা চিঠি



নিউজ ডেস্ক, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

পুলিশের বিশেষ শাখার (এসবি) পরিদর্শক মামুন এমরান খান হত্যা মামলার অন্যতম আসামি দুবাইয়ের আলোচিত স্বর্ণ ব্যবসায়ী আরাভ খান ওরফে রবিউল ইসলামের বিরুদ্ধে ইন্টারপোল রেড নোটিশ দেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজিপি) চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুন। সেটি ইন্টারপোল গ্রহণ করেছে বলে জানান তিনি।

ইন্টারপোলে রেড নোটিশের খবর শুনে সোমবার (২০ মার্চ) রাতে আরাভ খান তার সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুক পোস্টে সবার কাছে দোয়া চান আরাভ। এর কয়েক ঘণ্টা পরই বাংলাদেশের উদ্দেশে একটি খোলা চিঠি দেন তিনি।

আরাভ ফেসবুক পোস্টে লেখেন, খোলা চিঠি বাংলাদেশ, আসসালামু আলাইকুম। আমি আশা করি আপনারা সবাই ভালো আছেন এবং সর্বদাই আমার দোয়া থাকবে আপনাদের ওপর। আপনারা যেভাবে আমার পাশে দাঁড়িয়েছেন, আমি বাঁচি আর না বাঁচি এ কথা আমার মনে থাকবে।

জানি না আমার জীবনে আমি জেনে না জেনে যে ভুলগুলো করেছি, আপনারা যারা আমার পাড়া-প্রতিবেশী এবং আমাকে যারা চিনেন, যাদের সঙ্গে আমার কোনো অন্যায় হয়ে থাকলে তারা আমাকে মাফ করে দিবেন।

তিনি আরও লেখেন, দেশবাসীর কাছে আমি ক্ষমাপ্রার্থী। আমি যদি কোনো ভুল করে থাকি আপনারা আমাকে মাফ করে দিবেন। আমি জানি না কাল আমার সঙ্গে কী হবে। কিন্তু আমি চাই ন্যায় বিচার, সেটা হয়তোবা সম্ভব না। যাইহোক, আল্লাহ একজন আছে। এই বিচার আমি আল্লাহর কাছে ছেড়ে দিলাম।

ঢাকা মহানগর পুলিশের গোয়েন্দা শাখার (ডিবি) একটি সূত্র বলছে, আরাভ খান আন্তর্জাতিক স্বর্ণ পাচার চক্রের সদস্য। সংযুক্ত আরব আমিরাতের দুবাই থেকে বাংলাদেশে স্বর্ণ পাচার চক্র নিয়ন্ত্রণ করে থাকেন তিনি।

আরাভের বিরুদ্ধে তদন্ত করতে গিয়ে পুলিশ জানতে পারে, তিনি একাধিক বিয়ে করেছেন। শ্বশুরকে অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে টাকা আদায় করতেন। এ কারণে ২০১৫ সালে অবৈধ অস্ত্রসহ গ্রেফতারও হয়েছিলেন তিনি। এ ছাড়া ক্যামেরা চুরির মামলাও রয়েছে তার বিরুদ্ধে।

;

‘শিশুর শারীরিক, মানসিক ও নৈতিক বিকাশে খেলাধুলার বিকল্প নেই’



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ

রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ

  • Font increase
  • Font Decrease

শিশুর শারীরিক, মানসিক, সামাজিক ও নৈতিক বিকাশে খেলাধুলার বিকল্প নেই বলে জানিয়েছেন রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ।

মঙ্গলবার (২১ মার্চ) বঙ্গবন্ধু ও বঙ্গমাতা গোল্ডকাপ প্রাথমিক বিদ্যালয় ফুটবল টুর্নামেন্ট উপলক্ষে দেয়া এক বাণীতে তিনি একথা বলেন।

রাষ্ট্রপতি বলেন, খেলাধুলা শিশুদের মাঝে একধরনের প্রতিযোগিতার মনোভাব এবং দায়িত্ববোধ তৈরি করে। বঙ্গবন্ধু ও বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব গোল্ডকাপ প্রাথমিক বিদ্যালয় টুর্নামেন্ট বাংলাদেশে ক্ষুদে ফুটবলার তৈরির ক্ষেত্রে অনন্য ভূমিকা পালন করে যাচ্ছে।

তিনি বলেন, এই টুর্নামেন্টে অংশগ্রহণের মাধ্যমে কোমলমতি শিক্ষার্থীরা জাতির পিতা এবং বঙ্গমাতার জীবন ও কর্ম সম্পর্কেও অবহিত হওয়ার সুযোগ পাবে এবং তাদের জীবনাদর্শ অনুসরণ করে সুনাগরিক হয়ে গড়ে উঠবে।

মো. আবদুল হামিদ বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও তার সহধর্মিণী বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিবের চিন্তা-চেতনায় উদ্দীপ্ত বাংলাদেশ বিনির্মাণের লক্ষ্যে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগে ‘বঙ্গবন্ধু গোল্ডকাপ প্রাথমিক বিদ্যালয় ফুটবল টুর্নামেন্ট ২০২২’ ও ‘বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব গোল্ডকাপ প্রাথমিক বিদ্যালয় ফুটবল টুর্নামেন্ট ২০২২’ অনুষ্ঠিত হচ্ছে জেনে আমি আনন্দিত।

তিনি বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান শোষণ-বঞ্চনামুক্ত সুখী-সমৃদ্ধ ‘সোনার বাংলা’ গড়ার স্বপ্ন দেখেছিলেন। বঙ্গবন্ধুর সে স্বপ্ন পূরণে দেশের তরুণ প্রজন্ম কার্যকর অবদান রাখবে- এ প্রত্যাশা করি। আমি এই টুর্নামেন্টে অংশগ্রহণকারী ক্ষুদে খেলোয়াড়দের উত্তরোত্তর সাফল্য ও উজ্জ্বল ভবিষ্যৎ কামনা করছি।

রাষ্ট্রপতি ‘বঙ্গবন্ধু গোল্ডকাপ প্রাথমিক বিদ্যালয় ফুটবল টুর্নামেন্ট ২০২২’ ও ‘বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব গোল্ডকাপ প্রাথমিক বিদ্যালয় ফুটবল টুর্নামেন্ট ২০২২’ এর সার্বিক সাফল্য কামনা করেন।

;

প্রাথমিক শিক্ষার মানোন্নয়ন সাধিত হয়েছে: প্রধানমন্ত্রী



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা

  • Font increase
  • Font Decrease

সরকারের গৃহীত পদক্ষেপের ফলে প্রায় শতভাগ শিশু ভর্তির হার অর্জিত হয়েছে এবং প্রাথমিক শিক্ষার মানোন্নয়ন সাধিত হয়েছে বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

বঙ্গবন্ধু ও বঙ্গমাতা গোল্ডকাপ প্রাথমিক বিদ্যালয় ফুটবল টুর্নামেন্ট উপলক্ষে দেয়া এক বাণীতে প্রধানমন্ত্রী একথা বলেন।

শেখ হাসিনা বলেন, শিশুদের খেলাধুলায় আকৃষ্ট করার জন্য প্রতিটি উপজেলায় মিনি স্টেডিয়াম নির্মাণ করে দিচ্ছি। সেই সঙ্গে আন্তঃবিদ্যালয় থেকে শুরু করে জাতীয় পর্যায়ে ক্রীড়া প্রতিযোগিতার আয়োজন করছি।

প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় কর্তৃক ‘বঙ্গবন্ধু গোল্ডকাপ প্রাথমিক বিদ্যালয় ফুটবল টুর্নামেন্ট ২০২২’ এবং ‘বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন নেছা মুজিব গোল্ডকাপ প্রাথমিক বিদ্যালয় ফুটবল টুর্নামেন্ট ২০২২’ এর অংশগ্রহণকারী সকল খেলোয়াড়কে আন্তরিক শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানান তিনি।

শেখ হাসিনা বলেন, আমরা বাংলাদেশের ক্রীড়াঙ্গনকে দেশের গন্ডি পেরিয়ে আন্তর্জাতিক পর্যায়ে তুলে ধরতে সক্ষম হয়েছি। পুরুষদের পাশাপাশি আমাদের নারীরাও ক্রীড়াক্ষেত্রে উল্লেখযোগ্য সাফল্য অর্জন করেছে। এরই ধারাবাহিকতায় বাংলাদেশ ‘সাফ উইমেন্স চ্যাম্পিয়নশিপ ২০২২’-এ চ্যাম্পিয়ন হওয়ার অনন্য গৌরব অর্জন করেছে। আমি জেনে অত্যন্ত আনন্দিত হয়েছি যে, সেই ফুটবল টিমের ৫ (পাঁচ) জন খেলোয়াড় উঠে এসেছে বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন নেছা মুজিব গোল্ডকাপ প্রাথমিক বিদ্যালয় টুর্নামেন্টের মাধ্যমে। আমরা নিঃসন্দেহে বলতে পারি এই সফলতা আমাদের দূরদর্শী পরিকল্পনার ফসল।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, বিদ্যালয়ে লেখাপড়ার পাশাপাশি খেলাধুলায় অংশগ্রহণ শিশুদের শারীরিক ও মানসিক বিকাশের ক্ষেত্রে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। সে লক্ষ্যে ‘বঙ্গবন্ধু গোল্ডকাপ প্রাথমিক বিদ্যালয় ফুটবল টুর্নামেন্ট ২০২২’ এবং ‘বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন নেছা মুজিব গোল্ডকাপ প্রাথমিক বিদ্যালয় ফুটবল টুর্নামেন্ট ২০২২’ আয়োজন অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ।

শেখ হাসিনা বলেন, তিনি বিশ্বাস করেন, সুস্থ দেহ ও সুস্থ মনের সমন্বয়ে বেড়ে ওঠা আমাদের নতুন প্রজন্ম জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এবং বঙ্গমাতা বেগম ফজিলাতুন নেছা-এর মহৎ আদর্শে বলীয়ান হয়ে দেশ ও জাতি গঠনে পরিপূর্ণভাবে আত্মনিয়োগ করবে। ২০৪১ সালের ভবিষ্যৎ প্রজন্ম প্রযুক্তিজ্ঞান সম্পন্ন, আধুনিক এবং স্মার্ট নাগরিক হিসেবে গড়ে উঠবে।

তিনি বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ফুটবল খেলতে বেশি ভালবাসতেন। তিনি ছাত্রজীবনে গোপালগঞ্জ মিশন স্কুল ফুটবল টিমের ক্যাপ্টেন ছিলেন। তিনি ঢাকা ওয়ান্ডারার্স ক্লাবের হয়ে নিয়মিত খেলতেন। মহান স্বাধীনতা অর্জনের পর জাতির পিতা দেশের ক্রীড়া ক্ষেত্রের উন্নয়ন এবং আধুনিকায়নে নানা পদক্ষেপ গ্রহণ করেছিলেন।

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান প্রাথমিক শিক্ষাকে সার্বজনীন, অবৈতনিক ও বাধ্যতামূলক করেন জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, তিনি ৩৬,১৬৫টি প্রাথমিক বিদ্যালয় জাতীয়করণ এবং ১,৫৭,৭২৪ জন প্রাথমিক শিক্ষকের চাকরি সরকারিকরণ করেন। তিনি স্বাধীন বাংলাদেশে আধুনিক শিক্ষা ব্যবস্থা নিশ্চিত করতে প্রয়োজনীয় সকল পদক্ষেপ গ্রহণ করেন। তিনি প্রাথমিক শিক্ষার্থীদের জন্য বিনামূল্যে শিক্ষা উপকরণ, খাদ্যসামগ্রী এবং পোশাক প্রদানের উদ্যোগ গ্রহণ করেছিলেন।

আওয়ামী লীগ সরকার শিক্ষাকে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে দেশের শিক্ষা ব্যবস্থার ব্যাপক উন্নয়ন করছে উল্লেখ করে শেখ হাসিনা বলেন, ‘আমরা ২০১৩ সালে ২৬,১৯৩টি বেসরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়কে জাতীয়করণ এবং ১,০৫,৬১৬ জন শিক্ষকের চাকরি সরকারিকরণ করেছি। প্রধান শিক্ষকের পদ ২য় শ্রেণিতে এবং সহকারী শিক্ষকের বেতন স্কেল উন্নীত করেছি। প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রায় ১ কোটি ৪০ লাখ শিক্ষার্থীর মা’র মোবাইল ব্যাংকিং একাউন্টে সরাসরি উপবৃত্তির টাকা বিতরণ করছি। তাছাড়া, স্কুল ফিডিং, প্রধানমন্ত্রীর শিক্ষা সহায়তা ট্রাস্ট ফান্ড গঠন, শিক্ষকদের দেশে-বিদেশে প্রশিক্ষণ প্রদান, শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ভৌত অবকাঠামো উন্নয়ন, মাল্টিমিডিয়া ক্লাসরুম স্থাপন করার পাশাপাশি আরো অনেক উন্নয়নমূলক কর্মসূচি বাস্তবায়ন করে যাচ্ছি।’

‘বঙ্গবন্ধু গোল্ডকাপ প্রাথমিক বিদ্যালয় ফুটবল টুর্নামেন্ট ২০২২’ এবং ‘বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন নেছা মুজিব গোল্ডকাপ প্রাথমিক বিদ্যালয় ফুটবল টুর্নামেন্ট ২০২২’ টুর্নামেন্ট দু’টির সর্বাঙ্গীণ সাফল্য কামনা করে প্রধানমন্ত্রী এ আয়োজন সঙ্গে সংশ্লিষ্ট সকলকে আন্তরিক অভিনন্দন জানান।

;

রাষ্ট্রপতির কাছে আইন কমিশনের বার্ষিক রিপোর্ট পেশ



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদের কাছে আইন কমিশনের প্রতিনিধিদল কমিশনের বার্ষিক প্রতিবেদন- ২০২২ পেশ করেছেন।

সোমবার সন্ধ্যায় বঙ্গভবনে রাষ্ট্রপতির কাছে আইন কমিশনের বার্ষিক রিপোর্ট পেশ করা হয়।

রাষ্ট্রপতির প্রেস সচিব জানান, কমিশনের চেয়ারম্যান বিচারপতি এবিএম খায়রুল হক প্রতিনিধি দলের নেতৃত্ব দেন। এ সময় কমিশনের সদস্য বিচারপতি আবু বকর সিদ্দিকী এবং বিচারপতি এ টি এম ফজলে কবীর উপস্থিত ছিলেন।

সাক্ষাৎকালে কমিশনের চেয়ারম্যান প্রতিবেদনের বিভিন্ন দিক এবং কমিশনের কর্মকাণ্ড সম্পর্কে রাষ্ট্রপতিকে অবহিত করেন।

এ সময় রাষ্ট্রপ্রধান বলেন, দেশে আইনের শাসন প্রতিষ্ঠায় আইন প্রণয়নই যথেষ্ট নয়; প্রয়োজন আইনের যথাযথ প্রয়োগ।

তিনি আরও বলেন, তাই আইন প্রয়োগ করতে গিয়ে কোনো প্রতিবন্ধকতার সৃষ্টি হলে তা দূর করতে হবে। রাষ্ট্রপতি দেশের বিদ্যমান আইন কানুন যুগোপযোগী ও মানুষের জন্য কল্যাণকর করতে উদ্যোগ নেওয়ার জন্য আইন কমিশনের প্রতি আহ্বান জানান।

এ সময় রাষ্ট্রপতির সচিবগণ উপস্থিত ছিলেন।

;