রংপুরে বিচারকের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, রংপুর
রংপুরে বিচারকের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা

রংপুরে বিচারকের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা

  • Font increase
  • Font Decrease

স্ত্রীর করা যৌতুক ও নারী নির্যাতন মামলায় রংপুরের সাবেক সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট আদালত-২ এর বিচারক দেবাংশু কুমার সরকার ও তার পিতার বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেছেন আদালত।

বুধবার (৮ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইবুনাল-০১ এর বিচারক মোস্তফা কামাল এ গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেন। এসময় আসামিরা আদালতে অনুপস্থিত ছিলেন।

রাষ্ট্রপক্ষের কৌসুলি খন্দকার রফিক হাসনাইন জানান, গত বছরের ২২ এপ্রিল ৩০ লাখ টাকা যৌতুক না দেয়ায় শারীরিক নির্যাতনের অভিযোগ এনে ডা. হৃদিতা সরকার স্বামী দেবাংশু সরকারসহ ৪ জনের বিরুদ্ধে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইবুনাল-১ এ মামলা করেন।

মামলাটি আদালতের আদেশে পিবিআই তদন্ত করে প্রতিবেদন দাখিল করেন। এর মধ্যে বাদি প্রতিবেদনের বিরুদ্ধে নারাজি করেন।

বুধবার আদালতে বিচারক তদন্তের বিষয়ে পিবিআই এর পুলিশ সুপার জাকির হোসেন ও তদন্ত কর্মকর্তাকে জিজ্ঞাসাবাদ শেষে দেবাংশু কুমার সরকার ও তার পিতা সুধাংশু কুমার সরকারের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেন।

একই সাথে বাদির নারাজির আবেদন আংশিক মন্জুর করেন।

উল্লেখ্য গত বছ‌রের ২২ এপ্রিল নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইবুনাল-১ এ রংপুরের সাবেক সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট আদালত-২ এর বিচারক স্বামী দেবাংশু কুমার সরকার ও তার পিতার বিরুদ্ধে মামলাটি দায়ের করেন স্ত্রী ডা. হৃদিতা সরকার।

   

স্বতন্ত্র প্রার্থীর বিরুদ্ধে দলীয় প্রার্থীর সমর্থকদের ঝাড়ু মিছিল



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, চট্টগ্রাম
ঝাড়ু মিছিল

ঝাড়ু মিছিল

  • Font increase
  • Font Decrease

চট্টগ্রাম-১৫ (সাতকানিয়া-লোহাগাড়া) সংসদীয় আসন থেকে দলের মনোনয়ন বঞ্চিত স্বতন্ত্র প্রার্থী ও সাতকানিয়া উপজেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি এম এ মোতালেবের বিরুদ্ধে ঝাড়ু মিছিল ও প্রতিবাদ সমাবেশ করেছে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী প্রফেসর ড. আবু রেজা মুহাম্মদ নেজামউদ্দিন নদভীর সমর্থকরা।

বৃহস্পতিবার (৩০ নভেম্বর) বিকেলে চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়কের কেরানীহাটে লোহাগড়া আওয়ামী লীগ ও অঙ্গ সংগঠনের ব্যানারে এ কর্মসূচি পালন করা হয়। নৌকা প্রতীকের সমর্থকরা প্রথমে কেরানীহাট হক টাওয়ার প্রাঙ্গণে এসে জমায়েত হয়। পরে ঝাড়ু মিছিল নিয়ে মহাসড়ক প্রদক্ষিণ করে কেরানীহাট-বান্দরবান রাস্তার মাথায় এসে সংক্ষিপ্ত প্রতিবাদ সমাবেশ করে।

এসময় বক্তারা এম.এ মোতালেবকে সাতকানিয়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতির পদ থেকে পদত্যাগ করার দাবি জানায়। এবং লোহাগাড়া-সাতকানিয়া অবঞ্চিত ঘোষণা, লোহাগাড়ার মাটি ড. আবু রেজা মুহাম্মদ নেজামুদ্দিন নদভীর ঘাঁটি ইত্যাদি স্লোগান দেন।

মিছিলে নারী-পুরুষসহ লোহাগাড়া আওয়ামী লীগের একাংশের নেতাকর্মীরা অংশগ্রহণ করে।

এঘটনায় তাৎক্ষণিক সংবাদ সম্মেলনে চট্টগ্রাম-১৫ (সাতকানিয়া-লোহাগাড়া) আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থী ও সাতকানিয়া উপজেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি এম এ মোতালেব বলেন, দলের সভাপতি বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনার ঘোষণা অনুযায়ী স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে নির্বাচনে অংশগ্রহণ করছি। নৌকার প্রার্থীর সমর্থকরা যেভাবে অশালীন আচরণ করছেন, লাঠিসোঁটা নিয়ে মিছিল করেছেন, আমার কুশপুত্তলিকা পুড়িয়েছেন, আমার ছবি পুড়িয়েছেন, সেটার নিন্দা জানানোর ভাষা আমার জানা নেই।

তিনি বলেন, আমার সঙ্গে দেখা করে যাওয়ার পথে আমার সমর্থকদের দেওদিঘীতে নৌকার প্রার্থীর ভাতিজার নেতৃত্বে আটকে রাখা হয়েছে, পরে পুলিশ প্রশাসন গিয়ে তাদের উদ্ধার করেছে। আজকে মনোনয়ন জমা দিয়েছি এই মুহূর্ত হতে যদি এই ধরনের কর্মকাণ্ড ঘটানো হয় সেটা জনগণ মেনে নিবে না।

'তারা নির্বাচনী আচরণবিধি লঙ্ঘন করেছেন, যদি আগামীতে এই ধরনের আচরণ করে পরিস্থিতি ঘোলাটে করার চেষ্টা করে তাহলে আমরা আইনের আশ্রয় নিবো এবং নির্বাচন কমিশনকে জানাব বলেন তিনি।

এ ঘটনার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়ে মোতালেব আরও বলেন, আমরা এই ধরনের কার্যক্রম চাই না, আমরা চাই সুষ্ঠু ও সুন্দর নির্বাচন। ভোটের যে ফলাফল হয় সেটা আমরা মেনে নিব। তারা যে উচ্ছৃঙ্খল আচরণ করেছেন তার জবাব আমরা তাদের মত উচ্ছৃঙ্খল ভাবে দিব না, তাদের সকল উচ্ছৃঙ্খলতার জবাব আগামী ৭ জানুয়ারি ব্যালটের মাধ্যমেই দেওয়া হবে ইনশাআল্লাহ।

সংবাদ সম্মেলনে চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগের একাধিক নেতাসহ স্থানীয় নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।

;

এলো গৌরবদীপ্ত বিজয়ের মাস



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

শুরু হলো মহান মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে অর্জিত বিজয়ের মাস ডিসেম্বর। ৩০ লাখ শহীদ আর ২ লাখ মা-বোনের সম্ভ্রমহানির বিনিময়ে অর্জিত স্বাধীনতার সাক্ষর বিজয়ের মাস নানান অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে উদযাপিত হবে।

বাংলাদেশের ইতিহাসে সবচেয়ে শ্রেষ্ঠ ঘটনা হলো একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধ। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নেতৃত্বে সশস্ত্র স্বাধীনতা সংগ্রামের এক ঐতিহাসিক পরিক্রমায় বাঙালি জাতির কয়েক হাজার বছরের সামাজিক, রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক মুক্তির স্বপ্ন পূরণ হয় এ মাসে।

মুক্তিযুদ্ধের অবিস্মরণীয় গৌরবদীপ্ত চূড়ান্ত বিজয় আসে এ মাসের ১৬ ডিসেম্বর। স্বাধীন জাতি হিসেবে বিশ্বে আত্মপরিচয় লাভ করে বাঙালিরা। অর্জন করে নিজস্ব ভূ-খণ্ড আর সবুজের বুকে লাল সূর্য খচিত নিজস্ব জাতীয় পতাকা। ভাষার ভিত্তিতে যে জাতীয়তাবাদ গড়ে উঠেছিল, এক রক্তক্ষয়ী যুদ্ধের পর বিজয়ের মাধ্যমে ঘোষিত স্বাধীনতা পূর্ণতা পায় এ দিনে।

বাঙালির হাজার বছরের স্বপ্নপূরণ হবার পাশাপাশি বহু তরতাজা প্রাণ বিসর্জন আর মা-বোনের সম্ভ্রমের বিনিময়ে এই অর্জন হওয়ায় বেদনাবিধূর এক শোকগাঁথার মাসও এই ডিসেম্বর।

এ মাসেই স্বাধীনতা বিরোধী শক্তি তাদের এদেশীয় দোসর রাজাকার-আলবদর আল-শামসদের সহযোগিতায় হানাদার গোষ্ঠী দেশের মেধাবী, শ্রেষ্ঠ সন্তান-বুদ্ধিজীবী হত্যার নৃশংস হত্যাযজ্ঞে মেতে উঠেছিল। সমগ্র জাতিকে মেধাহীন করে দেয়ার এধরনের ঘৃণ্য হত্যাযজ্ঞের দ্বিতীয় কোন নজির বিশ্বে নেই।

১৯৭১ সালের ডিসেম্বর মাসের শুরু থেকেই মুক্তিযোদ্ধাদের গেরিলা আক্রমণ আর ভারতীয় মিত্রবাহিনীর সমন্বয়ে গঠিত যৌথবাহিনীর জল, স্থল আর আকাশপথে সাঁড়াশি আক্রমণের মুখে বর্বর পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর পরাজয়ের খবর চারদিক থেকে ভেসে আসতে থাকে। ১৬ ডিসেম্বর ঢাকার ঐতিহাসিক রেসকোর্স ময়দানে (বর্তমান সোহরাওয়ার্দী উদ্যান) পাকিস্তানি বাহিনী আত্মসমর্পণ করতে বাধ্য হয়। যেখান থেকে ৭ মার্চ স্বাধীনতার স্থপতি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ‘এবারের সংগ্রাম আমাদের মুক্তির সংগ্রাম, এবারের সংগ্রাম স্বাধীনতার সংগ্রাম,’ বলে স্বাধীনতার ডাক দিয়েছিলেন, সেখানেই পরাজয়ের দলিলে স্বাক্ষর করেন পাকিস্তানি জেনারেল নিয়াজী। ৯ মাসের রক্তক্ষয়ী মুক্তিযুদ্ধের চূড়ান্ত বিজয় অর্জিত হয়। আর জাতি অর্জন করে হাজার বছরের স্বপ্নের স্বাধীনতা।

বঙ্গবন্ধু একাত্তরের ২৫ মার্চ রাতে পাক বাহিনীর হাতে গ্রেফতার হবার আগে আনুষ্ঠানিকভাবে স্বাধীনতার ঘোষণা দেন এবং তার ডাকে বাঙালি জাতি ঐক্যবদ্ধভাবে মুক্তিযুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়ে। দীর্ঘ ৯ মাসের সশস্ত্র জনযুদ্ধে ১৬ ডিসেম্বর জাতির চূড়ান্ত বিজয় অর্জিত হয়।

মহান এ বিজয়ের মাস উদযাপনে জাতীয় কর্মসূচির পাশাপাশি বিভিন্ন রাজনৈতিক, সামাজিক, সাংস্কৃতিক ও পেশাজীবী সংগঠনের পক্ষ থেকে বিস্তারিত কর্মসূচি নেওয়া হয়েছে।

;

টঙ্গীতে কাভার্ডভ্যানে আগুন



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
টঙ্গীতে কাভার্ডভ্যানে আগুন

টঙ্গীতে কাভার্ডভ্যানে আগুন

  • Font increase
  • Font Decrease

সরকারের পদত্যাগের এক দফা দাবিতে বিএনপি ডাকা হরতালের রাতে গাজীপুরের টঙ্গীতে একটি কাভার্ডভ্যানে আগুন দিয়েছে দুর্বৃত্তরা।

বৃহস্পতিবার (৩০ নভেম্বর) রাত সোয়া ১০টার দিকে টঙ্গীর মেঘনা রোডে এ ঘটনা ঘটে।

ফায়ার সার্ভিস মিডিয়া সেলের উপসহকারী পরিচালক শাহজাহান সিকদার এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

তিনি জানান, আগুন লাগার খবর পেয়ে ১০টা ২০ মিনিটে টঙ্গী ফায়ার স্টেশনের ২টি ইউনিট ঘটনাস্থলে গিয়ে অগ্নিনির্বাপণের কাজ করছে।

তাৎক্ষণিকভাবে এ ঘটনায় হতাহতের কোনো খবর পাওয়া যায়নি।

;

ভ্রমণপিপাসু নারীদের জন্য ভিন্ন আয়োজন



নিউজ ডেস্ক, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
ভ্রমণপিপাসু নারীদের জন্য ভিন্ন আয়োজন

ভ্রমণপিপাসু নারীদের জন্য ভিন্ন আয়োজন

  • Font increase
  • Font Decrease

ভ্রমণপিপাসু নারীদের জন্য দারুণ অ্যাডভেঞ্চারের আয়োজন করেছে ভ্রমণবিষয়ক প্রতিষ্ঠান ‘ওয়ান্ডার উইমেন’। চট্টগ্রামের একটি রিসোর্টে দুই দিনব্যাপি আয়োজিত ওই অনুষ্ঠানে নারীরা মেতেছিলেন নানা অ্যাডভেঞ্চারে।

সম্প্রতি চট্টগ্রামের মাটি-টা ইকো রিসোর্টে ‘এস্কেপড রিলোডেড’ শীর্ষক ওই বার্ষিক ইভেন্টের আয়োজন করা হয়। ওয়ান্ডার উইমেনের পঞ্চমবারের মত ওই আয়োজন করেছে। প্রাইম ব্যাংকের নারী উদ্যোগ ‘নীরা’র পরিচালনায় আয়োজনটিতে সহযোগিতা করে বাংলাদেশ ট্যুরিজম বোর্ড, ট্যুরিস্ট পুলিশ ও মাটি-টা ইকো রিসোর্ট।

অংশগ্রহণকারীরা চারটি দলে বিভক্ত হয়ে জিপলাইনিং, হিউম্যান ফুসবল, ট্রি টপিং, কুইক স্টেপ এবং আর্চারির মতো এক্টিভিটিগুলো উপভোগ করেন। টিমলিডারদের দিক নির্দেশনায় অংশগ্রহণকারীরা নিজেদের সেরাটা দিয়ে দায়িত্বপালন করেন। অসাধারণ রিসোর্টে বিভিন্ন কক্ষের পাশাপাশি তাঁবুতেও ছিলেন অংশগ্রহণকারীরা। দ্বিতীয় দিন হাইকিং অভিযান দিয়ে শেষ হয় অ্যাডভেঞ্চারটি। বিশাল লনে পিলো পাসিং খেলার পর ডিজে সেশনের আয়োজন করা হয়।

সমাপনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন প্রাইম ব্যাংকের হেড অব অ্যাফ্লুয়েন্ট ব্যাংকিং অ্যান্ড উইমেন ব্যাংকিং শায়লা আবেদীন। তিনি বলেন, বাংলাদেশের নারীদের এগিয়ে যেতে নীরা এবং ওয়ান্ডার উইমেন যৌথভাবে কাজ করছে।

এসময় মাটি-টা-এর সিইও এবং প্রতিষ্ঠাতা মুনাল মাহমুদও উপস্থিত ছিলেন। যিনি অংশগ্রহণকারীদের জন্য ব্যতিক্রম কিছু কার্যক্রমের ব্যবস্থাও করেছিলেন।

ওয়ান্ডার উইমেনের সিইও সাবিরা মেহরিন সাবা আয়োজনকে সফল করার জন্য অংশগ্রহণকারীদের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন। তিনি সবাইকে শুভেচ্ছা জানান এবং নারী ক্ষমতায়ন নিয়ে অনুপ্রাণিত করে এমন আরও অনুষ্ঠান ওয়ান্ডার উইমেন করবে বলে প্রতিশ্রুতি দেন।

;