চোর সন্দেহে দুই শ্রমিককে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগ



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, রাজশাহী
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

চোর সন্দেহে রাজশাহীতে দুই নির্মাণ শ্রমিককে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় বাড়ির মালিকসহ ৪ জনকে আটক করেছে পুলিশ।

বৃহস্পতিবার (২ ফেব্রুয়ারি) দুপুর থেকে রাত ৯টা পর্যন্ত ওই দুই শ্রমিককে বেঁধে পেটানো হয়। পরে খবর পেয়ে রাতে স্থানীয় পুলিশ তাদের উদ্ধার করে হাসপাতালে নেয়। একজন হাসপাতালে নেওয়ার আগেই মারা যান। অন্যজন চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান। এ ঘটনায় চারজনকে আটক করেছে পুলিশ।

নিহতরা হলেন- চাঁপাইনবাবগঞ্জের শিবগঞ্জ উপজেলার চৈতান্নপুর গ্রামের গোলাম মোস্তফার ছেলে রাকিবুল ইসলাম (৩৫) ও নওগাঁর মান্দা উপজেলার সগুনা গ্রামের আবদুস সামাদের ছেলে রেজাউল করিম (৪০)। রেজাউল নগরীর তেরোখাদিয়া ডাবতলা মহল্লায় বসবাস করতেন।

আটককৃতরা হলেন- নির্যাতনের সঙ্গে জড়িত মডার্ন ফুডের মালিকের ছেলে আব্দুল্লাহ, আব্দুল্লাহর শ্বশুর মাসুম রেজা, শ্যালক মহিউদ্দিন রিয়াল ও ম্যানেজার এমরান হোসেনকে।

ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে নগরীর বোয়ালিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাজহারুল ইসলাম বলেন, দুই শ্রমিক নগরীর সপুরার মডার্ন ফুডের মালিকের বাড়িতে কাজে এসেছিলেন। এই বাড়ি থেকে ১০ লাখ টাকা চুরির অভিযোগে দুপুরে তাদের বেঁধে ফেলা হয়। এরপর দফায় দফায় নির্যাতন চালিয়ে তাদের কাছ থেকে টাকা চুরির স্বীকারোক্তি আদায়ের চেষ্টা করা হয়। রাত ৯টার দিকে পুলিশ খবর পেয়ে ওই বাড়ি থেকে মুমূর্ষু অবস্থায় দুই শ্রমিককে উদ্ধার করে।

এরপর তাদের পুলিশ পিকআপে দ্রুত রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। এ সময় জরুরি বিভাগের চিকিৎসক একজনকে মৃত ঘোষণা করেন। অন্যজন হাসপাতালের ৮ নম্বর ওয়ার্ডে চিকিৎসাধীন অবস্থায় রাত ১০টার দিকে মারা যান।

ওসি বলেন, নির্যাতনের সময় ভিডিও করা হয়েছে। সেই ভিডিও জব্দ করা হয়েছে। দুই শ্রমিককে নির্যাতনের সঙ্গে জড়িত অন্যদেরও আটকের চেষ্টা চলছে। রাজশাহী মেডিকেল কলেজের মর্গে নিহতদের মরদেহের ময়নাতদন্ত করা হবে। এ নিয়ে থানায় হত্যা মামলা হবে।

   

চোখে মরিচের গুঁড়া মেরে ১৪ লাখ টাকা ছিনতাই, আটক ১



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা ২৪.কম, চট্টগ্রাম 
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

চট্টগ্রামের হাটহাজারীতে চোখে মরিচের গুঁড়া মেরে সাড়ে ১৪ লাখ টাকা ছিনতাই এর ঘটনা ঘটেছে। এ সময় স্থানীয়রা ছিনতাই করে পালানোর সময় এক ছিনতাইকারীকে আটক করে পুলিশে সোপর্দ করেছে।

বৃহস্পতিবার (৩০ নভেম্বর) বিকেলে উপজেলার চিকনদন্ডী ইউনিয়নের ফতেয়াবাদ রেজিস্ট্রি অফিস সংলগ্ন শাহজালাল স্কুলের সামনে চট্টগ্রাম-খাগড়াছগি মহাসড়কে এ ঘটনা ঘটে।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, এনআরবি ব্যাংকের এজেন্ট ব্যাংকিংয়ের এক কর্মকর্তা একজন সিকিউরিটি গার্ডসহ স্কুটি চালিয়ে প্রতিদিনের ন্যায় টাকা সংগ্রহ করে ১৪ লাখ ৫৩ হাজার টাকা চৌধুরীহাট জনতা ব্যাংকে জমা করতে যাচ্ছিলেন। এ সময় ৪ জন যুবক মাস্ক পরে তাদের চোখে মরিচের গুঁড়ো মেরে দিয়ে টাকার ব্যাগ নিয়ে পালিয়ে যাওয়ার সময় চিৎকার দিলে স্থানীয়রা এগিয়ে এসে একজনকে আটক করে। টাকার ব্যাগ নিয়ে বাকী ৩ যুবক সিএনজি করে পালিয়ে যায়।

হাটহাজারী মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মনিরুজ্জামান বলেন, আমরা ঘটনাস্থলে এসেছি। তদন্তের স্বার্থে আপাতত আটককৃতের পরিচয় প্রকাশ করছি না। পরে বিস্তারিত জানানো হবে।

;

শেখ হাসিনার সঙ্গে দু’টি ইসলামিক দলের নেতৃবৃন্দের বৈঠক



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: ফোকাস বাংলা

ছবি: ফোকাস বাংলা

  • Font increase
  • Font Decrease

খেলাফত রব্বানী বাংলাদেশ ও নেজামে ইসলামী পার্টির নেতারা আজ আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছেন। আগামী ৭ জানুয়ারি অনুষ্ঠিতব্য জাতীয় নির্বাচনকে কেন্দ্র করে তারা বিভিন্ন বিষয়ে আলোচনা করেন।

বৃহস্পতিবার (৩০ নভেম্বর) প্রধানমন্ত্রীর সরকারি বাসভবন গণভবনে অনুষ্ঠিত এ বৈঠকে মুফতি ফয়জুল হক জালালাবাদী ও মাওলানা আনোয়ারুল হক নিজ নিজ দলের নেতৃত্ব দেন। 

প্রধানমন্ত্রীর ডেপুটি প্রেস সেক্রেটারি কে এম শাখাওয়াত মুন জানান, বৈঠকে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে জাতীয় নির্বাচনের সার্বিক বিষয়ে আলোচনা করেন নেতারা। এ সময় শেখ হাসিনা একটি অবাধ, সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচন অনুষ্ঠানের জন্য গৃহীত বিভিন্ন পদক্ষেপের কথা তুলে ধরেন এবং নির্বাচনে সকলের স্বতঃস্ফূর্ত অংশগ্রহণ প্রত্যাশা করেন।

নেতৃবৃন্দ আসন্ন সংসদ নির্বাচন সবার কাছে গ্রহণযোগ্য করতে শেখ হাসিনার নেওয়া পদক্ষেপের প্রশংসা করেন। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশের ব্যাপক উন্নয়নেরও প্রশংসা করেন তারা।

সূত্র: বাসস

 

;

‘বড় প্রার্থীদের’ শোডাউনে আটকা পড়ে মনোনয়নপত্র জমা দিতে পারেননি তাঁরা



স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, চট্টগ্রাম ব্যুরো
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

চট্টগ্রাম বিভাগীয় কমিশনার কার্যালয়ের এই কক্ষ থেকে ওই কক্ষের দরজায় দরজায় ঘুরছিলেন তাঁরা। সবার হাতেই ফাইলবন্দি এক গাদা কাগজ। দৌড়াদৌড়িতে সবাই ক্লান্ত, ঘেমেনেয়ে একাকার। তাঁরা সবাই আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে প্রার্থী হতে মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করেছিলেন। কিন্তু নির্দিষ্ট সময় পার হওয়ার পর কার্যালয়ে আসায় তাঁরা মনোনয়নপত্র জমা দিতে পারেননি।

বৃহস্পতিবার (৩০ নভেম্বর) ছিল দ্বাদশ নির্বাচনের মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার শেষ দিন। এই দিন চট্টগ্রাম শহর অঞ্চলে পড়া ছয় আসনের প্রার্থীরা বিভাগীয় কমিশনার কার্যালয় এবং উপজেলা পর্যায়ের আসনের প্রার্থীরা জেলা প্রশাসক ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তারা কার্যালয়ে নিজেদের মনোনয়নপত্র জমা দেন। বিভাগীয় কমিশনার ও জেলা প্রশাসকরে কার্যালয়ের জমা দিতে আসা প্রার্থীদের অনেকেই বড় বড় শোডাউন নিয়ে মনোনয়নপত্র জমা দিতে আসেন। এই দুটি কার্যালয় পড়েছে আদালতপাড়া এলাকায়। এমনিতেই জায়গাটি সবসময় লোকে লোকারণ্য থাকে। মনোনয়নপত্র জমা দেওয়াকে কেন্দ্র করে আরও কয়েক হাজার মানুষ দিনভর হাঁটাচলা করায় সরু সড়কের এলাকাটিতে তিল ধারণের জায়গাও ছিল না।

চট্টগ্রাম-৪ (সীতাকুণ্ড) আসনে ন্যাশনাল পিপলস পার্টির হয়ে মনোনয়নপত্র জমা দিতে এসেছিলেন বাসুদেব কুমার। তাঁর সঙ্গে ছিলেন এক নারী। এক ঘণ্টা ধরে এই কক্ষ থেকে ওই কক্ষে ঘোরাঘুরি করতে করতে দুজনেই ক্লান্ত হয়ে পড়েছিলেন।

জানতে চাইলে বিকেল সাড়ে পাঁচটার দিকে বাসুদেব কুমার বার্তা২৪.কমকে বলেন, এত এত পরিশ্রম করে এক সপ্তাহ ধরে আমরা কাগজপত্র সব গোছালাম। এত পরিমাণ জ্যাম আর শোডাউন, তাঁদের কারণে আমরা ভেতরেই ঢুকতে পারিনি। তিনটা ৫০ মিনিটে আমরা বিভাগীয় কমিশনার কার্যালয়ের নিচে এলেও শোডাউনের কারণে আমরা ভেতরে ঢুকতে পারিনি। কোনো সুযোগই ছিল না। অনেক কষ্টে ভেতরে ঢুকলেও মনোনয়নপত্র জমা দিতে পারিনি। কারণ বলে দেওয়া হয়, সময় শেষ। তারপরও এক ঘণ্টা ধরে চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি। আমাদের অপরাধটা কী?

চট্টগ্রাম-৯ আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে নির্বাচন করতে চান ওসমান গণি। তিনিও মনোনয়নপত্র জমা দিতে পারেননি। ক্ষুব্ধ হয়ে ওসমান গণি বলতে থাকেন, বাংলাদেশ ব্যাংক কার্যালয় থেকে আদালত চত্বর পর্যন্ত পুরো পথে মানুষের সমাগমের কারণে বিভাগীয় কার্যালয়ে পৌঁছতে একটু দেরি হয়ে যায়। সেজন্য চারটা পার হয়ে যায়। তখন কর্মকর্তারা বলেন, সময় পার হয়ে গেছে, আর নেওয়া যাবে না। কিছু সংসদ সদস্য এখানে হাজার হাজার মানুষ নিয়ে এসেছে, তাঁদের কারণে আমরা ভুক্তভোগী হলাম।

মনোনয়ন দিতে না পারা অন্য তিন প্রার্থী হলেন বাংলাদেশ ইসলামিক ফ্রন্টের রাশেদুল আমিন, ন্যাশনাল পিপলস পার্টির মিঠুন দাশ ও আকবর হোসেন কবি। তাঁদের মধ্যে রাশেদুল আমিন মনোনয়ন দিতে না পেরে মানসিকভাবে ভেঙে পড়েছেন বলে জানিয়েছেন তাঁর এক প্রতিনিধি।

ওই তরুণ বলেন, চট্টগ্রাম ১১ (বন্দর-পতেঙ্গা) আসনে আমাদের প্রার্থী মনোনয়ন জমা দিতে না পেরে মানসিকভাবে ভেঙে পড়েছেন। তাঁকে আমরা প্রাথমিক চিকিৎসার জন্য হাসপাতালে পাঠিয়েছি। একদিকে হরতাল অন্যদিকে শোডাউন-এই কারণে আমরা ঠিক সময়ে কার্যালয়ে পৌঁছাতে পারিনি।

মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার শেষদিনে বেশিরভাগ প্রার্থী মনোনয়ন জমা দেন। বৃহস্পতিবার সকাল ৯টা থেকে বিকেল চারটা পর্যন্ত মনোনয়নপত্র জমা নেওয়া হয়। কিন্তু আওয়ামী লীগের মনোনীত প্রার্থী ও স্বতন্ত্র হিসেবে নির্বাচনে দাঁড়ানো প্রার্থীদের বেশিরভাগই আচরণবিধি ভেঙে শোডাউন দিয়ে মনোনয়নপত্র জমা দিতে আসেন। যার খেসারত দিতে হয় ছোট দলের প্রার্থীদের।

আচরণবিধি ভাঙার বিষয়ে জেলা রিটার্নিং অফিসার ও জেলা প্রশাসক কর্মকর্তা আবুল বাসার মোহাম্মদ ফখরুজ্জমান বলেন, আমরা ঘটনা পর্যবেক্ষণ করছি। পাশাপাশি বিভিন্ন গণমাধ্যমে প্রকাশ হওয়া প্রতিবেদন ও ভিডিও ক্লিপ সংগ্রহ করা হবে। কেউ যদি নির্বাচনী আচরণবিধি ভাঙেন তাহলে আইন অনুযায়ী তাঁদের বিষয়ে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

;

প্রভাষক থেকে প্রতারক



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা ২৪.কম, ঢাকা 
প্রভাষক থেকে প্রতারক

প্রভাষক থেকে প্রতারক

  • Font increase
  • Font Decrease

সাইদুল ইসলাম (৫০)। একটা সময়ে ছিলেন কলেজের প্রভাষক। শিক্ষার্থীদের রসায়নের পাঠ দিতেন। শিক্ষকতা ছেড়ে শুরু করে ব্যবসা। আর এই ব্যবসায় পুঁজি হারিয়ে হয়ে ওঠেন প্রতারক। শিক্ষক থেকে প্রতারক বনে যাওয়া সাইদুল বিদেশে পাঠানোর নামে টাকা হাতিয়ে নিয়ে পথে বসিয়েছেন ৫০ জনেরও বেশি মানুষকে।

বুধবার (২৯ নভেম্বর) বিকেলে অভিনব এই প্রতারককে গ্রেফতারের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন মিরপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ মহসীন।

ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মহসীন বলেন, প্রতারক সাইদুল ওয়েসিস নেটলিংক লিমিটেড নামে একটি প্রতিষ্ঠানের ব্যবস্থাপনা পরিচালক।

ভুক্তভোগীদের অভিযোগ, জাপানে পাঠানোর নামে ৫০ জনের কাছ থেকে ৭৫ লক্ষ টাকা হাতিয়ে নিয়েছেন তিনি। সাইদুল একটি গার্লস হাইস্কুল এন্ড কলেজের প্রভাষক ছিলেন, অধ্যাপনা করেছেন ঢাকার একটি নামি কলেজেও। কিন্তু এখন সেই শিক্ষক গ্রেফতার হলেন প্রতারণায় জড়িয়ে।

মিরপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আরও বলেন, সাইদুল ওয়েসিই নেট লিংক লিমিটেড নামের একটি প্রতিষ্ঠানের ব্যবস্থাপনা পরিচালক। তার প্রতিষ্ঠান থেকে SSW এবং TITP ক্যাটাগরিতে ওয়ার্কিং ভিসায় জাপানে লোক পাঠানো হয় বলে বিজ্ঞাপন দেওয়া হয়। অথচ তার প্রতিষ্ঠান শুধু জাপানি ভাষা শিক্ষা দেওয়ার জন্যই লাইসেন্সপ্রাপ্ত! জাপানে পাঠানোর জন্য রেজিস্ট্রেশন, ভিসা প্রসেসিং ফি, মেডিকেল ফিসহ অন্যান্য খরচ বাবদ প্রতিজনের কাছ থেকে ১ থেকে দেড় লক্ষ টাকা পর্যন্ত নেওয়া হয়। এভাবে ৫০ জনের কাছ থেকে ৭৫ লক্ষ টাকা নিয়েছেন। টাকা পাওয়ার দুই মাসের মধ্যেই তাদের জাপান পাঠানোর কথা। কিন্তু নির্ধারিত সময় পার হয়ে গেলে তারা নানারকম তালবাহানা শুরু করে।

অবশেষে বুধবার ভুক্তভোগীরা থানায় অভিযোগ করলে গ্রেফতার করা হয় সাইদুলকে।

মহসীন আরও বলেন, সাইদুলকে গ্রেফতারের পর জানা গেছে, এক সময় তিনি শিক্ষকতা করতেন। ২০০৫ সালে মেহেরুন্নেছা মহিলা স্কুল এন্ড কলেজের রসায়ন বিভাগের প্রভাষক ছিলেন। এরপর যোগ দেন ঢাকা মডেল ডিগ্রি কলেজে। সেখানে তিনি সহযোগী অধ্যাপক ও রসায়ন বিভাগের বিভাগীয় প্রধান হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। ২০১৯ সালে তিনি ব্যবসায় নামেন। কয়েকটি ব্যবসায় আর্থিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার পর তিনি এই পথ বেছে নেন। তার বিরুদ্ধে এর আগেও ৩টি মামলা রয়েছে।

;