নিরাপদ খাদ্য নিশ্চিতে কাজ করছে সরকার: প্রধানমন্ত্রী



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা

  • Font increase
  • Font Decrease

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, সরকার জাতির পিতার পদাঙ্ক অনুসরণ করে সবার জন্য খাদ্য নিরাপত্তা অর্জনের পাশাপাশি জনগণের জন্য নিরাপদ খাদ্য সরবরাহ নিশ্চিত করতে নিরলস কাজ করে চলেছে।

বৃহস্পতিবার (২ ফেব্রুয়ারি) ‘জাতীয় নিরাপদ খাদ্য দিবস’ উপলক্ষে দেওয়া বাণীতে এ কথা বলেন তিনি।

শেখ হাসিনা বলেন, বাংলাদেশের জনগণের জন্য পুষ্টিকর ও নিরাপদ খাদ্য নিশ্চিত করার লক্ষ্য নিয়ে ষষ্ঠবারের মতো ‘জাতীয় নিরাপদ খাদ্য দিবস-২০২৩’ পালিত হচ্ছে জেনে তিনি আনন্দিত। দিবসটির এ বছরের প্রতিপাদ্য ‘নিরাপদ খাদ্য, সমৃদ্ধ জাতি; স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ার চাবিকাঠি’ যথাযথ হয়েছে বলেও তিনি মনে করেন।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, নিরাপদ খাদ্য প্রাপ্তি মানুষের সাংবিধানিক অধিকার। মানুষের এই অধিকার পূরণ করতে আমাদের সরকার ‘নিরাপদ খাদ্য আইন-২০১৩’ প্রণয়ন করেছে এবং বাংলাদেশ নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষ প্রতিষ্ঠাসহ সংশ্লিষ্ট আইন ও বিধিবিধান তৈরি করেছে। পাশাপাশি, ভেজাল খাদ্য প্রতিরোধে অন দ্য স্পট স্ক্রিনিং, মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করা হচ্ছে এবং যারা খাদ্যে ভেজাল দিচ্ছে তাদের বিরুদ্ধে তাৎক্ষণিক শাস্তির ব্যবস্থা করা হয়েছে।

এছাড়াও নিরাপদ খাদ্য প্রাপ্তির বিষয় মাথায় রেখে ‘কৃষি সম্প্রসারণ নীতি-২০২০’ প্রণয়ন করা হয়েছে এবং এসডিজি বাস্তবায়নের লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে আমাদের অষ্টম পঞ্চবার্ষিকী পরিকল্পনায় কৃষি সংশ্লিষ্ট যাবতীয় বিষয় অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে জানিয়ে তিনি বলেন, আমাদের সরকার সারাদেশে ১০০ বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চল গড়ে তুলছে যেখানে কৃষি প্রক্রিয়াজাতকরণ শিল্প গড়ে ওঠার ওপর বিশেষ গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে। কৃষি, খাদ্য নিরাপত্তা ও পুষ্টি অর্জনে কৃষি গবেষণা এবং উন্নয়ন, কৃষি উপকরণ সরবরাহ, কৃষি সম্প্রসারণ, সেচ কাজে পানির সাশ্রয়ী ব্যবহার, জলবায়ু পরিবর্তনজনিত প্রভাব মোকাবিলা এবং প্রাতিষ্ঠানিক সক্ষমতা বৃদ্ধি ও মানব সম্পদ উন্নয়ন এই ৬টি থিম্যাটিক বিষয় লক্ষ্য রেখেই প্রতিটি উদ্যোগ বাস্তবায়ন করা হচ্ছে।

একই সঙ্গে দেশের মানুষের খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে সরকার সার, বীজ ও সেচের সঙ্গে সঙ্গে কৃষিতে যান্ত্রিকীকরণের ওপর ব্যাপক জোর দিয়েছে এবং এতে করে খাদ্যের অপচয় এবং অনিরাপদ খাদ্যের ঝুঁকি হ্রাস পাচ্ছে বলে জানান তিনি।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান আমাদের সংবিধানে মৌলিক বিষয়গুলো যেমন: অন্ন, বস্ত্র, বাসস্থান, চিকিৎসা ও শিক্ষার উপর গুরুত্ব দিয়েছিলেন। সেখানে তিনি খাদ্যকেই সব থেকে বেশি গুরুত্ব প্রদান করেন। খাদ্য উৎপাদন বৃদ্ধিতে জাতির পিতা এ দেশে কৃষি গবেষণা প্রতিষ্ঠানসমূহ প্রতিষ্ঠা ও কৃষি প্রযুক্তি সম্প্রসারণের লক্ষ্যে উল্লে¬খযোগ্য কার্যক্রম হাতে নিয়েছিলেন যা আজ পর্যন্ত দেশের কৃষি উৎপাদন এবং খাদ্য ও পুষ্টি নিরাপত্তায় উল্লেখযোগ্য ভূমিকা রেখে চলছে।

শেখ হাসিনা বলেন, বৈশ্বিক উষ্ণতা বৃদ্ধি ও রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের প্রেক্ষাপটে বৈশ্বিক খাদ্য সংকটের সম্ভাবনা দেখা দিয়েছে। এই পরিস্থিতি থেকে বাংলাদেশকে রক্ষার জন্য সকলকে সচেতন হতে হবে এবং যার যেখানে যতটুকু পতিত জমি আছে তা চাষের আওতায় এনে খাদ্য উৎপাদন বাড়াতে হবে।
তিনি মনে করেন, খাদ্যের উৎপাদন থেকে ভোক্তা পর্যন্ত প্রতিটি ধাপে খাদ্যের নিরাপদতা ও পুষ্টিমান বজায় রাখা জরুরি। যিনি উৎপাদন প্রক্রিয়ার সঙ্গে জড়িত, তার যেমন সচেতনতা প্রয়োজন, তেমনি যিনি ভোগ করবেন, তার ক্ষেত্রেও নিরাপদতা প্রত্যয়টি অঙ্গাঙ্গীভাবে জড়িত। তাই সরকারি-বেসরকারি সকল প্রতিষ্ঠানকে একযোগে কাজ করতে হবে।

প্রধানমন্ত্রী আশা করেন, জনসাধারণের সচেতনতা বৃদ্ধি এবং অংশীজনদের প্রায়োগিক ভূমিকার মাধ্যমে আমরা খাদ্য উৎপাদন, আমদানি, প্রক্রিয়াকরণ ও বাজারজাতকরণে সর্বোচ্চ মান নিশ্চিত করে সবার জন্য নিরাপদ খাদ্য নিশ্চিত করতে সক্ষম হবো। তিনি ‘জাতীয় নিরাপদ খাদ্য দিবস-২০২৩’ উপলক্ষ্যে গৃহীত সকল কর্মসূচির সার্বিক সাফল্য কামনা করেন।

মানিকগঞ্জ জেলা হাসপাতালে বৈকালিক বহির্বিভাগ সেবা চালু



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, মানিকগঞ্জ
মানিকগঞ্জ জেলা হাসপাতালে বৈকালিক বহির্বিভাগ সেবা চালু

মানিকগঞ্জ জেলা হাসপাতালে বৈকালিক বহির্বিভাগ সেবা চালু

  • Font increase
  • Font Decrease

দেশের ১২ টি জেলার সাথে মানিকগঞ্জ ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেলা হাসপাতালে বৈকালিক বহির্বিভাগ সেবা চালু হয়েছে।

বৃহস্পতিবার (৩০ মার্চ) বেলা সাড়ে ৩ টার দিকে ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যান মন্ত্রী জাহিদ মালেক এ সেবার উদ্বোধন করেন।

এ সময় জেলা হাসপাতালের দ্বিতীয় তলায় ভার্চুয়ালি অনুষ্ঠানে জেলা প্রশাসক ( সার্বিক) সানোয়ারুল হক, সিভিল সার্জন মোয়াজ্জেম আলী খান চৌধুরী, জেলা হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডা.মোহাম্মদ বাহাউদ্দীন, আরএমও ডা.একেএম রাসেলসহ চিকিৎসক ও নার্সরা উপস্থিত ছিলেন।

হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ জানায়, প্রাথমিকভাবে জেলা হাসপাতালের নতুন ভবনের দ্বিতীয় তলায় পাচঁটি রুমে পাঁচজন চিকিৎসক রোগীদের চিকিৎসা সেবা দিবেন। মেডিসিন, শিশু, গাইনী ও প্রসূতি,সার্জারি ও মেডিকেল অফিসার বৈকালিক বর্হিবিভাগে দায়িত্ব পালন করবেন।

এদের সহায়তাকারী ও নাসর্রাও দায়িত্ব পালন করবেন। এদের মধ্যে সিনিয়র কনসালটেন্ট ফি ৪০০, জুনিয়র কনসালটেন্ট গ্রাজুয়েট ডিগ্রিধারী ৩০০ ও এমবিবিএস ২০০ টাকা নির্ধারন করা হয়েছে। প্রয়োজনের আরো চিকিৎসক বাড়ানো হবে জানান কর্তৃপক্ষ।

;

ভিয়েতনামের সাথে অর্থনৈতিক সহযোগিতা বাড়ানোর আহ্বান প্রধানমন্ত্রীর



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পারস্পরিক স্বার্থে বাংলাদেশ ও ভিয়েতনামের মধ্যে অর্থনৈতিক সহযোগিতা বৃদ্ধির ওপর গুরুত্বারোপ করেছেন।

 বৃহস্পতিবার ভিয়েতনামের বিদায়ী রাষ্ট্রদূত ফাম ভিয়েত চিয়েনের সাথে তার সরকারি বাসভবন গণভবনে সৌজন্য সাক্ষাৎকালে তিনি এ কথা বলেন।

প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সচিব ইহসানুল করিম সাংবাদিকদের এ তথ্য জানিয়েছেন।

তিনি বলেন, বৈঠকে তারা দুই দেশের মধ্যে ক্রমবর্ধমান দ্বিপক্ষীয় সম্পর্কে সন্তোষ প্রকাশ করেন।

শেখ হাসিনা বলেন, বাংলাদেশ ও ভিয়েতনামের মধ্যে মুক্তির জন্য বিজয় সংগ্রামের মতো অনেক অভিন্ন ইস্যু রয়েছে।

পাকিস্তানি সামরিক জান্তার বিরুদ্ধে তাদের মুক্তিযুদ্ধের সময় বাংলাদেশের মানুষ স্লোগান দিত ‘বাংলা হবে ভিয়েতনাম’ উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, দেশের জনগণ ভিয়েতনামের স্বাধীনতা সংগ্রামের প্রশংসা করেছিল।

কৃষি খাতের কথা বলতে গিয়ে তিনি বলেন, বাংলাদেশ একটি ঘনবসতিপূর্ণ দেশ এবং এখানে বিপুল জনসংখ্যা রয়েছে। তাই কৃষি উৎপাদন বাড়ানোর জন্য গবেষকদের নিয়োজিত করা হয়েছে।

প্রধানমন্ত্রী দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোর সাথে যোগাযোগ উন্নয়নের ওপর গুরুত্বারোপ করেন। তিনি ভিয়েতনামের রাষ্ট্রদূতকে তার মেয়াদ সফলভাবে শেষ করার জন্য ধন্যবাদ জানান।

ভিয়েতনামের রাষ্ট্রদূতকে আর্থ-সামাজিক ক্ষেত্রে তার দেশের সাফল্যের জন্য অভিনন্দন জানান প্রধানমন্ত্রী।

ভিয়েতনামের রাষ্ট্রদূত ফাম ভিয়েত চিয়েন নিজেকে বাংলাদেশের বন্ধু হিসেবে আখ্যায়িত করেন। তিনি বলেন, ভিয়েতনাম সরকার ছাড়াও বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সাথে ভিয়েতনাম কমিউনিস্ট পার্টির সম্পর্ক রয়েছে।

ভিয়েতনামের নেতার পক্ষ থেকে রাষ্ট্রদূত দু'দেশের কূটনৈতিক সম্পর্কের ৫০ বছর পূর্তি উপলক্ষে প্রধানমন্ত্রীকে ভিয়েতনাম সফরের আমন্ত্রণ জানান।

তিনি বলেন, বাংলাদেশ ও ভিয়েতনামের মধ্যে বাণিজ্য এক দশমিক পাঁচ বিলিয়ন মার্কিন ডলার এবং ভিয়েতনামে বাংলাদেশের রফতানি ৩০ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে।

বৈঠকে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের সচিব মোহাম্মদ সালাহউদ্দিন উপস্থিত ছিলেন।

;

লক্ষ্মীপুরে স্ত্রীকে শ্বাসরোধে হত্যার দায়ে স্বামীর যাবজ্জীবন



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, লক্ষ্মীপুর
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

লক্ষ্মীপুরের চন্দ্রগঞ্জে স্ত্রী রৌশন আক্তার লিপিকে (২৩) শ্বাসরোধে হত্যার দায়ে স্বামী মো. ইসমাইল হোসেন সুজনকে (২৮) যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদণ্ডের রায় দিয়েছেন আদালত।

একই সাথে তার ১০ হাজার টাকা জরিমানা, অনাদায়ে আরও এক বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়। একই মামলায় দণ্ডপ্রাপ্ত সুজনের পরকীয়া প্রেমিকা সুমি বেগমকে বেকসুর খালাস দিয়েছেন আদালত। রায়ের সময় সুজন আদালতে উপস্থিত ছিল না, সে পলাতক রয়েছে। খালাসপ্রাপ্ত আসামি সুমি আদালতে উপস্থিত ছিল।

বৃহস্পতিবার (৩০ মার্চ) দুপুরে জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক মো. রহিবুল ইসলাম এ রায় দেন। জেলা জজ আদালতের পাবলিক প্রসিকিউটর মো. জসিম উদ্দিন রায়ের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

দণ্ডপ্রাপ্ত ইসমাইল হোসেন সুজন লক্ষ্মীপুর সদর উপজেলার চন্দ্রগঞ্জ ইউনিয়নের পশ্চিম লতিফপুর গ্রামের ঘরোয়ার বাড়ির মৃত নুর মোহাম্মদের ছেলে। তার পরকীয়া প্রেমিকা সুমি ওরফে সুরমা আক্তার একই বাড়ির মো. সুমনের স্ত্রী। হত্যা মামলার বাদি ভিকটিম রৌশন আক্তারের মা আলেয়া বেগম (৪৩)।

মামলার এজাহার ও আদালত সূত্রে জানা গেছে, ২০১৮ সালের দিকে নোয়াখালীর বেগমগঞ্জ উপজেলার ধীতপুর গ্রামের আলেয়া বেগমের মেয়ে রৌশন আক্তার লিপির সাথে লক্ষ্মীপুরের চন্দ্রগঞ্জের পশ্চিম লতিফপুর গ্রামের মৃত নুর মোহাম্মদের ছেলে মো. ইসমাইল হোসেন সুজনের পারিবারিকভাবে বিয়ে হয়। বিয়ের পর লিপি জানতে পারে তার স্বামী সুজন সুমি নামে একজন নারীর সাথে পরকীয়া প্রেমে লিপ্ত রয়েছে। পরকীয়ার প্রতিবাদ করায় সুজন তার স্ত্রী লিপিকে বিভিন্ন সময় মারধরও করতো। ২০২০ সালের ২ মে সকালে সুজনের সাথে তার স্ত্রী লিপির ঝগড়া হয়। এদিন দুপুরে লিপির ঝুলন্ত মৃতদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। পরে লিপির মা আলেয়া বেগম ওইদিন বাদি হয়ে লিপির স্বামী ইসমাইল হোসেন সুজন ও তার পরকীয়া প্রেমিকা সুমি ওরফে সুরমা আক্তারের নামে চন্দ্রগঞ্জ থানায় মামলা দায়ের করেন। এতে তাদের বিরুদ্ধে লিপিকে আত্মহত্যার পরোচনার অভিযোগ আনা হয়। পরে পুলিশ দুই আসামীকে গ্রেফতার করে আদালতে সোপর্দ করলে আদালত তাদের কারাগারে পাঠায়।

এদিকে ময়নাতদন্তে লিপিকে শ্বাসরোধে হত্যা করা হয়েছে মর্মে প্রতিবেদন আসে। মামলাটি তদন্ত করেন চন্দ্রগঞ্জ থানার সেই সময়ের উপপরিদর্শক (এসআই) মো. সাইফুল ইসলাম ২০২১ সালের ২ ফেব্রুয়ারি দুই আসামীকে অভিযুক্ত করে আদালতে প্রতিবেদন দেন।

প্রতিবেদনে আসামী ইসমাইল হোসেন সুজন ও তার পরকীয়া প্রেমিকা সুমি ওরফে সুরমা আক্তারকে হত্যার দায়ে অভিযুক্ত করা হয়।

বিবাদী পক্ষের আইনজীবী রাসেল মাহমুদ ভূঁইয়া মান্না বলেন, মামলাটি মূলত আত্মহত্যা পরোচনার মামলা ছিল। কিন্তু ময়নাতদন্তে ভিকটিম লিপিকে হত্যা করা হয়েছে মর্মে প্রতিবেদন আসে। হত্যার ঘটনায় আদালত ইসমাইল হোসেন সুজনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেয়। কিন্তু সুমির বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমানিত না হওয়ায় তাকে বেকসুর খালাস দিয়েছেন আদালত।

;

সিরাজগঞ্জে টিসিবির পণ্য পাচারের ঘটনায় তদন্ত কমিটি গঠন



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, সিরাজগঞ্জ
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

সিরাজগঞ্জে রাতের আঁধারে টিসিবির পণ্য পাচারের সময় পিকআপসহ জনতার হাতে আটকের ঘটনায় তিন সদস্য বিশিষ্ট তদন্ত কমিটি গঠন করেছে সিরাজগঞ্জ জেলা প্রশাসন।

বৃহস্পতিবার (৩০ মার্চ) দুপুরে সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার মাশুকাতে রাব্বি এ তথ্য নিশ্চিত করে জানান, মঙ্গলবার গভীর রাতে টিসিবি পণ্য পাচারের ঘটনাটি জানার পর জেলা প্রশাসক মহোদয়কে অবগত করা হয়।

তিনি আরো বলেন, ঘটনাটির তদন্তে সদর উপজেলা সহকারি কমিশনারকে (ভূমি) প্রধান করে তিন সদস্য বিশিষ্ট কমিটি গঠন করেন জেলা প্রশাসক মীর মোহাম্মদ মাহবুবুর রহমান। তদন্ত কমিটির বাকী সদস্যরা হলেন, উপজেলা সমাজসেবা কর্মকর্তা সোহেল রানা ও সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. হুমায়ুন কবির। কমিটিকে তিন কার্যদিবসের মধ্যে তদন্ত প্রতিবেদন জমা দিতে বলা হয়েছে।

তিনি আরো বলেন, এই ঘটনায় বাগবাটি ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান মো. জাহাঙ্গীর হোসেন টিসিবি পণ্য পাচারে ঘটনায় একটি অভিযোগ দিয়েছেন।

প্রসঙ্গত, মঙ্গলবার (২৮ মার্চ) সদর উপজেলার বাগবাটি ইউনিয়ন পরিষদ কার্যালয়ে রাতের আঁধারে পাচারের সময় পিকআপসহ ৬৩ জন কার্ডধারীর টিসিবি পণ্য আটক করে স্থানীয় জনতা। এ সময় ডিলার মেসার্স জাকিরুল ইসলামের ম্যানেজারকেও আটক করে এলাকাবাসী। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ এসে আটক টিসিবির পণ্য স্থানীয় চেয়ারম্যানের জিম্মায় দিলেও ডিলারের ম্যানেজারকে ছেড়ে দেয়া হয়। এ বিষয় নিয়ে বিভিন্ন জাতীয় ও স্থানীয় দৈনিকে সংবাদ প্রকাশ হওয়ার পর বিষয়টি প্রশাসনের নজরে আসে।

;