ঠাকুরগাঁও-৩ উপনির্বাচন: জয়ী লাঙ্গলের হাফিজ উদ্দিন



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঠাকুরগাঁও
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

বিএনপির সংসদ সদস্যদের পদত্যাগে শূন্য হওয়া ঠাকুরগাঁও -৩ (পীরগঞ্জ ও রাণীশংকৈল) আসনের উপনির্বাচনে বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হয়েছেন জাতীয় পার্টির মনোনীত প্রার্থী হাফিজ উদ্দিন আহমেদ। তিনি পেয়েছেন ২৫ হাজার ৪৬৩ ভোট। তার নিকটতম স্বতন্ত্র প্রার্থী গোপাল চন্দ্র রায় পেয়েছেন ১৬ হাজার ৬৯১ ভোট।

ভোটগ্রহণ শেষে বুধবার (১ ফেব্রুয়ারি) সন্ধ্যায় জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মো. মঞ্জুরুল হাসান ভোটের ফলাফল ঘোষণা করেন।

নির্বাচিত হওয়ার পর হাফিজ উদ্দিন আহমেদ বলেন, এর আগেও আমি এমপি হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছি। আবার জনগণ আমার ওপর আস্থা রেখেছেন। সবসময় জনগণের পাশে থাকার প্রতিশ্রুতি দিচ্ছি আমি।

জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মন্জুরুল হাসান বলেন, সকাল থেকে উৎসবমুখর পরিবেশে ইভিএমে মানুষ ভোট প্রদান করেছেন। কোন ধরনের সমস্যা দেখা যায়নি। এতে সর্বোচ্চ ভোট পেয়ে জাতীয় পার্টির মনোনীত প্রার্থী হাফিজ উদ্দিন আহমেদ বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হয়েছেন।

ঠাকুরগাঁওয়ের জেলা প্রশাসক ও রিটার্নিং কর্মকর্তা মাহবুবুর রহমান বলেন, কোন ধরনের অপ্রীতিকর ঘটনা ছাড়াই নির্বাচন সম্পন্ন হয়েছে। সর্বোচ্চ ভোট পেয়ে জাতীয় পার্টির মনোনীত প্রার্থী বিজয়ী হয়েছেন।

উল্লেখ্য, পীরগঞ্জ ও রানীশংকৈল উপজেলার ২টি পৌরসভা ও ১৬টি ইউনিয়ন নিয়ে গঠিত এ আসন। ভোটকেন্দ্রের সংখ্যা ১২৮টি। এই আসনে ভোটার সংখ্যা ৩ লাখ ২৪ হাজার ৭৪১ জন। এর মধ্যে পুরুষ ১ লাখ ৬৫ হাজার ২১০ জন এবং নারী ১ লাখ ৫৯ হাজার ৫৩১ জন।

এ আসনে ছয়জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। তারা হলেন- ১৪ দল মনোনীত ওয়ার্কার্স পার্টির মো. ইয়াসিন আলী (হাতুড়ি), জাতীয় পার্টির হাফিজ উদ্দিন আহম্মেদ (লাঙ্গল), স্বতন্ত্র প্রার্থী অধ্যক্ষ গোপাল চন্দ্র রায় (একতারা), জাকের পাটির এমদাদুল হক (গোলাপ ফুল), ন্যাশনাল পিপলস পার্টির শাফি আল আসাদ (আম) ও বাংলাদেশ ন্যাশনালিস্ট ফ্রন্টের সিরাজুল ইসলাম (টেলিভিশন)।

গৌরীপুরে ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদককে ছুরিকাঘাত



উপজেলা করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, গৌরীপুর (ময়মনসিংহ)
গৌরীপুরে ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদককে ছুরিকাঘাত

গৌরীপুরে ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদককে ছুরিকাঘাত

  • Font increase
  • Font Decrease

ময়মনসিংহের গৌরীপুর উপজেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক (একাংশ) মোফাজ্জল হোসেনকে (২৭) ছুরিকাঘাত করেছে দুর্বৃত্তরা।

সোমবার (২০ মার্চ) দুপুরে গৌরীপুর পৌর শহরের পাইলট বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের সামনে এই ঘটনা ঘটে।

স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, সোমবার দুপুরে মোফাজ্জল হোসেন পৌর শহরের কলাবাগান মহল্লা থেকে পায়ে হেঁটে উপজেলা পরিষদের দিকে আসছিলেন।
পথিমধ্যে পাইলট বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের সামনের সড়কে আসতেই দুর্বৃত্তরা হামলা চালিয়ে মোফাজ্জলের বাম হাতে ছুরিকাঘাত করে পালিয়ে যায়। দ্রুত তাকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক উন্নত চিকিৎসার জন্য ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করে।

উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের মেডিকেল অফিসার মোতাসসের ফুয়াদ বলেন, মোফাজ্জলের হাতে আঘাতের ক্ষত দেখে মনে হচ্ছে রগ কেটে যেতে পারে। প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে আমরা উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করেছি।

মোফাজ্জলের বাবা গৌরীপুর ইউপি চেয়ারম্যান হযরত আলী বলেন, কিছুদিন আগে একটি পক্ষ আওয়ামী লীগের বর্ধিত সভায় আমাকে ছুরিকাঘাত করে। ধারণা করা হচ্ছে ওই পক্ষটি আমার ছেলেকে ছুরিকাঘাত করেছে।

গৌরীপুর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মাহমুদুল হাসান বলেন, খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে। অভিযোগ পেলে প্রয়োজনীয় আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে।

;

স্বর্ণের লোভে শিশুকে হত্যার দায়ে নারীর আমৃত্যু কারাদণ্ড



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, লক্ষ্মীপুর
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

লক্ষ্মীপুরের রায়পুরে কানের দুল ছিনিয়ে নিতে পপি সাহা নামে সাত বছর বয়সী এক শিশুকে শ্বাসরোধে হত্যার দায়ে রুনা আক্তার আঁখি (২৫) নামে এক নারীকে আমৃত্যু সশ্রম কারাদণ্ডের রায় দিয়েছেন আদালত। একই সাথে তার ১০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।

একই মামলার আসামি রুনার স্বামী এমরান হোসেনের বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় তাকে খালাস দিয়েছেন আদালত।

সোমবার (২০ মার্চ) দুপুরে জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক মো. রহিবুল ইসলাম এ রায় দেন। রায়ের সময় দণ্ডপ্রাপ্ত রুনা ও তার স্বামী এমরান আদালতে উপস্থিত ছিলেন। আদালত রুনাকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছেন।

এদিকে দণ্ডপ্রাপ্ত ওই নারীকে পূর্বে একটি হত্যা মামলার রায়ে যাবজ্জীবন সাজা দেওয়া হয়। দুটি হত্যা মামলার রায়ে তাকে কারাভোগ করতে হচ্ছে।

দণ্ডপ্রাপ্ত রুনা জেলার রায়পুর উপজেলার পূর্ব কেরোয়া গ্রামের এমরানের স্ত্রী। ভিকটিম পপি উপজেলার বামনী ইউনিয়নের সাগরদী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রথম শ্রেণীর শিক্ষার্থী ছিল।

মামলার এজাহার এবং আদালত সূত্রে জানা গেছে, আসামি রুনা আক্তার আঁখি এবং তার স্বামী এমরান ঘটনার তিনমাস আগ থেকে রায়পুর উপজেলার সাগরদি গ্রামের ফারুক হওলাদার বাড়ির কাশেম হাওলাদারের একটি ঘর ভাড়া নেয়। ২০২১ সালের ২ সেপ্টেম্বর বেলা সাড়ে ১১ টা থেকে আড়াইটার দিকে রুনা পাশ্ববর্তী নেপাল সাহার বাড়ির নির্মল সাহার স্কুল পড়ুয়া শিশুকন্যা পপি সাহাকে তার ভাড়া বাসায় ডেকে নেয়। এসময় শিশুর কানে থাকা ৩ আনা ওজনের স্বর্ণের দুল ছিনিয়ে নেয় রুনা। এতে শিশুটি চিৎকার করতে চাইলে রুনা তার মুখ ও গলা চেপে ধরে। এতে শিশুটির মৃত্যু হয়। পরে তার মৃতদেহ খাটের নীচে লুকিয়ে রাখে। ঘটনার পর রুনার স্বামী এমরান হোসেন ঘরে আসলে তার স্ত্রী তাকে হত্যার ঘটনাটি জানায়। এতে সে লাশ গুম করার পরিকল্পনা করে।

অন্যদিকে, দীর্ঘ সময় শিশুটির কোন খোঁজ না পেয়ে বাড়ির লোকজন এবং স্বজনেরা খোঁজ চালায়। ওই বাড়ির এক নারী রুনার ঘরে পপির মৃতদেহটি দেখতে পায়। পরে রায়পুর থানা পুলিশে খবর দিলে পুলিশ মৃতদেহটি উদ্ধার করে এবং রুনা ও তার স্বামী এমরানকে আটক করে। রুনা হত্যার ঘটনাটি পুলিশের কাছে স্বীকার করে। কানের দুল ছিনিয়ে নিতে সে শিশুটিকে হত্যার কথা জানায়। ওইদিন শিশুটির মা ববিতা রানী সাহা (৩২) রায়পুর থানায় রুনা এবং তার স্বামী এমরানকে আসামি করে হত্যা মামলা দায়ের করেন। ওই মামলায় গ্রেফতার দেখিয়ে তাদের কারাগারে পাঠানো হয়।

রায়পুর থানার উপপরিদর্শক (এসআই) জাহাঙ্গীর আলম হত্যা মামলাটি তদন্ত করে ২০২১ সালের ১১ ডিসেম্বর আদালতে প্রতিবেদন দেন। এতে রুনাকে হত্যার দায়ে অভিযুক্ত এবং তার স্বামীকে হত্যার তথ্য গোপনের দায়ে অভিযুক্ত করা হয়।

জেলা জজ আদালতের পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) জসিম উদ্দিন বলেন, আদালত দীর্ঘ শুনানি শেষে সাক্ষ্য প্রমাণের ভিত্তিতে আসামি রুনাকে দোষী সাবস্ত করে আমৃত্যু কারাদণ্ডের রায় এবং তার স্বামী এমরানকে খালাস দিয়েছেন।

রায়ের পর মামলার বাদি ববিতা রানী সাহা বলেন, আদালত যে রায় দিয়েছে, তাতে আমরা সন্তুষ্ট। আমার মেয়েকে রুনা গলাটিপে হত্যা করেছে, তার ফাঁসির রায় হলে আরও খুশি হতাম।

এদিকে, ২০১৬ সালের ১১ ডিসেম্বর রায়পুর পৌরসভার দেনায়েতপুর গ্রামের রোজিনা আক্তার (১৫) নামে এক মাদরাসা ছাত্রীকে শ্বাসরোধে হত্যার দায়ে দোষী সাবস্ত হয় রুনা আক্তার আঁখি। ২০২২ সালের ১৮ মে একই আদালতের বিচারক মো. রহিবুল ইসলাম হত্যা মামলার আসামি রুনা আক্তার আঁখিসহ চারজনের যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের রায় দিয়েছেন। মামলার প্রধান আসামি আমির হোসেন কিশোরী রোজিনাকে বিয়ের প্রস্তাব দিলে তা প্রত্যাখ্যান করায় এ হত্যাকাণ্ডটি সংঘটিত হয়। হত্যার পর দণ্ডপ্রাপ্ত রুনা ওই মাদরাসা ছাত্রীর সাথে থাকা তার স্বর্ণালংকার নিয়ে যায়। স্বর্ণের লোভে সে দ্বিতীয় হত্যাকাণ্ডটিও ঘটায়।

;

রুমায় দুই ট্রাকের মুখোমুখি সংঘর্ষে প্রাণ গেল ৬ জনের



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

বান্দরবানের রুমায় দুই ট্রাকের মুখোমুখি সংঘর্ষে ছয়জন নিহত হয়েছেন। এ ঘটনয় আহত হয়েছেন আরও ১১ জন।

সোমবার (২০ মার্চ) বেলা দেড়টার দিকে উপজেলার বগা লেক এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে।

দুর্ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন রুমা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আলমগীর হোসেন।

তিনি বলেন, দুর্ঘটনায় হতাহতদের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, রুমার বগা লেক সীমান্ত সড়কে একটি খালি ট্রাক রুমা সদরের উদ্দেশে আসছিল। এ সময় চুনচুনপাড়ার কিছু নারী-পুরুষ ওই গাড়িতে করে রুমা সদর ইউনিয়নের দুস্থ নারীদের ভিজিডি চাল সংগ্রহের জন্য যাচ্ছিলেন। এ সময় ট্রাকটি বগা লেক ঢালু রাস্তায় নামার সময় বিপরীত দিক থেকে আসা আরেকটি ট্রাকের সঙ্গে মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। এতে ট্রাক দুটি রাস্তায় দুই পাশে ছিটকে খাদে পড়ে। ঘটনাস্থলে চার বম নৃগোষ্ঠীর নারীর মৃত্যু হয়। পরে আরও দুজনের মৃত্যু হয়।

সংবাদ পেয়ে সেনাবাহিনী ও স্থানীয়রা আহতদের উদ্ধার করে রুমা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স হাসপাতালে পাঠায়। এর মধ্যে আটজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক বলে জানা যায়। এ প্রতিবেদন লেখার পর্যন্ত হতাহতদের নাম-পরিচয় পাওয়া যায়নি।

;

‘সার্বভৌমত্ব রক্ষায় সশস্ত্র বাহিনীকে সক্ষম করে গড়ে তোলা হচ্ছে’



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা

  • Font increase
  • Font Decrease

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, সশস্ত্র বাহিনীকে তার সরকার এমনভাবে গড়ে তুলছে যাতে বাংলাদেশ কোনভাবে আক্রান্ত হলে তারা দেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব রক্ষা করতে পারে।

তিনি বলেন, আমরা কারও সঙ্গে যুদ্ধ করবো না। তবে, যদি কখনও তেমন পরিবেশ-পরিস্থিতি হয় তাহলে যেন আমরা দেশের সার্বভৌমত্ব রক্ষা করতে পারি সেইভাবে আমাদেরও দক্ষতা অর্জন করতে হবে এবং সেইভাবেই আমরা আমাদের বাহিনীগুলোকে তৈরি করে দিচ্ছি।

সোমবার (২০ মার্চ) বিকালে বাংলাদেশ নৌবাহিনীর নবনির্মিত ‘বানৌজা শেখ হাসিনা’ সাবমেরিন ঘাঁটির কমিশনিং অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির ভাষণে একথা বলেন তিনি। গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে কক্সবাজারের পেকুয়ায় নবনির্মিত ঘাঁটির সঙ্গে তিনি ভার্চুয়ালি যুক্ত হন।

জাতির পিতার দিয়ে যাওয়া পররাষ্ট্রনীতি ‘সকলের সঙ্গে বন্ধুত্ব, কারও সঙ্গে বৈরিতা নয়,’ এর উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমরা সেই নীতিতেই বিশ্বাস করি, আমরা কারো সঙ্গে যুদ্ধ করতে চাই না। তবে আমাদের প্রতিটি প্রতিষ্ঠান স্বাধীনতা সার্বভৌমত্বের প্রতীক, তারা সকল ক্ষেত্রে দক্ষতা অর্জন করুক সেটাই আমরা চাই।

তিনি বলেন, জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা মিশনেও আমাদের সশস্ত্র বাহিনী বিশাল ভূমিকা রেখে যাচ্ছে। সেখানে কর্তব্য পালনে তারা যেন কোনভাবেই পিছিয়ে না থাকে সেভাবেই আমরা এই বাহিনীগুলোকে প্রস্তুত করছি।

শেখ হাসিনা বলেন, আমি আশা করি দেশপ্রেমের চেতনায় উজ্জীবিত হয়ে নৌবাহিনীর প্রতিটি সদস্য পেশাগত দায়িত্ব পালনের পাশাপাশি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের যে স্বপ্ন-সেই ক্ষুধা ও দারিদ্র মুক্ত, উন্নত সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গড়ার কাজে তাদের প্রচেষ্টা অব্যাহত রাখবে।

তিনি বলেন, এই সমুদ্র সীমায় আমাদের যে বিশাল সম্পদ রয়েছে তা যেনও আমাদের অর্থনীতিতে কাজে লাগে সেজন্য ‘ব্লু ইকোনমি’ নীতি বাস্তবায়ন করছে সরকার। তাছাড়া, এক্ষেত্রে আমাদের পর্যটন শিল্প গড়ে তোলা থেকে শুরু করে অনেক সুযোগ রয়েছে কাজ করার।

সরকারপ্রধান দৃঢ় আস্থা প্রকাশ করে বলেন, বানৌজা শেখ হাসিনা ঘাঁটি সংযোজনের মাধ্যমে বাংলাদেশের সমুদ্রসীমা সুরক্ষিত রাখতে বাংলাদেশ নৌবাহিনীর সক্ষমতা আরও জোরালো হবে।

অনুষ্ঠানে বানৌজা শেখ হাসিনা ঘাঁটি থেকে নৌবাহিনীর একটি সুসজ্জিত একটি চৌকস দল প্রধানমন্ত্রীকে রাষ্ট্রীয় সালাম জানায়।

নৌবাহিনী প্রধান এডমিরাল মোহাম্মদ শাহীন ইকবাল অনুষ্ঠানে স্বাগত ভাষণ দেন।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পক্ষে নৌবাহিনী প্রধান বানৌজা শেখ হাসিনা ঘাঁটির প্রধান কমোডর এম. আতিকুর রহমানের কাছে কমিশনিং ফরমান হস্তান্তর করেন। এরপরই ঘাঁটিতে প্রথমবারের মতো পতাকা উত্তোলন করা হয়।

অনুষ্ঠানে সাবমেরিন ঘাঁটির ওপর একটি সংক্ষিপ্ত অডিও ভিজ্যুয়াল প্রেজেন্টেশনও প্রদর্শিত হয়।

;