আইএমএফ ৪.৫ বিলিয়ন ডলার ঋণ অনুমোদন দিতে পারে আজ



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) নির্বাহী বোর্ড সভা আজ সোমবার (৩০ জানুয়ারি)। এই সভায় বাংলাদেশের ৪.৫ বিলিয়ন ডলারের ঋণ প্রস্তাব অনুমোদন হতে বলে আশা করা হচ্ছে।

অর্থ মন্ত্রণালয়ের একাধিক কর্মকর্তা জানিয়েছেন, তারা ইঙ্গিত পেয়েছেন যে, বহুপক্ষীয় ঋণদাতার বোর্ড বাংলাদেশের ঋণের অনুরোধ অনুমোদন করতে নীতিগতভাবে সম্মত হয়েছে।

রাহুল আনন্দের নেতৃত্বে একটি আইএমএফ দল প্রোগ্রামের বিশদ বিবরণ বের করতে গত ২৬ অক্টোবর থেকে ৯ নভেম্বর ঢাকা সফর করেছেন। এরপর আইএমএফ-এর ভাইস প্রেসিডেন্ট আন্তোয়েনেট মনসিও সায়েহ ১৪-১৮ জানুয়ারি বাংলাদেশ সফর করেন এবং তার সফরের সময় তিনি যে অর্থনৈতিক উন্নয়ন এবং সামাজিক অগ্রগতির প্রত্যক্ষ করেছেন তার প্রশংসা করেন।

তিনি বলেন, এটি সারা বিশ্বে একটি প্রভাব ফেলেছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকেও অভিনন্দন জানিয়েছেন সায়েহ।

আইএমএফ এর সাবেক অর্থনীতিবিদ ড. আহসান এইচ মনসুর বলেছেন, অর্থ মন্ত্রণালয়, বাংলাদেশ ব্যাংক, জাতীয় রাজস্ব বোর্ড, পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়, বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো (বিবিএস) এবং অন্যদের সঙ্গে যে পরিদর্শন ও আলোচনা হয়েছে তা জানা যায়।

এছাড়া বৈশ্বিক ঋণদাতা দেশটিকে ৪.৫ বিলিয়ন ডলার ঋণ দেয়ার জন্য একটি চুক্তিতে পৌঁছেছে। তিনি বলেন, আইএমএফ ঋণের প্রথম কিস্তি শুধু আনুষ্ঠানিকতার অপেক্ষায় রয়েছে।

এর আগে অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল সংবাদমাধ্যমকে বলেন, আমরা যেভাবে চেয়েছিলাম ঠিক সেভাবে ঋণ পাচ্ছি। বাংলাদেশের জন্য মোট ৪.৫ বিলিয়ন ডলার ঋণ দেয়া হবে। ২০২৬ সালের ডিসেম্বর পর্যন্ত সাতটি কিস্তিতে এই পরিমাণ অর্থ বিতরণ করা হবে।

এছাড়া ৪৪৭.৭৮ মিলিয়ন ডলারের প্রথম কিস্তি ফেব্রুয়ারিতে দেয়া হবে। অবশিষ্ট পরিমাণ ৬৫৯.১৮ মিলিয়ন ডলার ছয়টি সমান কিস্তিতে দেয়া হবে।

সূত্র জানিয়েছে, ঋণের সুদের হার ম্যাচুরিটির সময় বাজারের হারের ওপর নির্ভর করবে। এছাড়া অর্থ মন্ত্রণালয় হিসাব করেছে যে এই হার প্রায় ২.২ শতাংশ হবে।

রাত পোহালেই অষ্টমীর স্নান, ব্রহ্মপুত্র তীরে লাখো পুণ্যার্থী



কল্লোল রায়, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, কুড়িগ্রাম
পূণ্যস্নানে অটো, পিকআপ ভ্যান, রিকশা, ভ্যান, মাইক্রোবাস এবং বাসে করে লোকজন আসা শুরু করেছে ঘাটে

পূণ্যস্নানে অটো, পিকআপ ভ্যান, রিকশা, ভ্যান, মাইক্রোবাস এবং বাসে করে লোকজন আসা শুরু করেছে ঘাটে

  • Font increase
  • Font Decrease

আগামীকাল (বুধবার) পূণ্যতোয়া খ্যাত ব্রহ্মপুত্র নদের তীরে হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের ঐতিহ্যবাহী অষ্টমীর স্নান ও মেলা অনুষ্ঠিত হবে। স্নান উপলক্ষ্যে কুড়িগ্রামের চিলমারী উপজেলার ব্রহ্মপুত্র তীরে যাবতীয় প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছে স্থানীয় প্রশাসন ও স্নান উৎসব কমিটি। ইতোমধ্যে হাজারো পুণ্যার্থী ব্রহ্মপুত্র তীরে উপস্থিত হতে শুরু করেছেন। উপজেলার রাজারভিটা এলাকায় বুধবার ভোর চারটা থেকে শুরু হয়ে ভোর সাড়ে পাঁচটা পর্যন্ত স্নাননের উত্তম লগ্ন ধার্য করা হয়েছে। তবে দিনব্যাপী স্নান চলবে।

প্রায় ৪ শত বছর ধরে প্রতিবছর চৈত্র মাসের শুক্ল পক্ষের অষ্টমী তিথিতে এ পূণ্যস্নান সম্পন্ন করেন হিন্দু ধর্মাবলম্বীরা। চিলমারীর ব্রহ্মপুত্রের এ স্থানটিকে তারা তীর্থ স্থান হিসেবে বিবেচনা করেন। হিন্দু ধর্ম মতে, এটি একটি পূণ্য কর্ম এবং এই স্নানের মাধ্যমে তাদের পাপ মোচন ঘটে। এই পাপ মোচনের অভিপ্রায়ে লাখো পুণ্যার্থী সমবেত হন ব্রহ্মপুত্র তীরে।

প্রতিবছরের ন্যায় এ বছরও স্নান উদযাপনে জেলা ও জেলার বাইরে থেকে ব্রহ্মপুত্র তীরে পুণ্যার্থীরা আসতে শুরু করেছেন। ইতোমধ্যে হাজার হাজার পুণ্যার্থী স্নান ঘাটের আশে পাশে অবস্থান নিয়েছেন। উপজেলার বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে এবং স্থানীয় বাসিন্দাদের বসতভিটায় তাদের আশ্রয়্রে ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। চিলমারীর ব্রহ্মপুত্র তীরের রমনা ঘাটের উত্তর দিক থেকে শুরু করে রাজারভিটা ভায়া রুকুনুদৌলা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় পর্যন্ত অষ্টমীর স্নান ঘাট হিসেবে নির্ধারণ করেছে স্থানীয় প্রশাসন। স্নান উপলক্ষ্যে ঘাট এলাকায় দিনব্যাপী মেলার আয়োজন থাকবে। স্নান ঘাট ইজারা গ্রহণকারীকে মেলার স্থানে এ বছর ছামিয়ানা টাঙানোর ব্যবস্থা নিতে বলা হয়েছে। এছাড়াও ঘাট এলাকায় পর্যাপ্ত নিরাপত্তার ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।

স্নান উৎসব কমিটির দেওয়া তথ্য মতে, অষ্টমী স্নান উপলক্ষে চিলমারীতে ব্রহ্মপুত্র তীরে কয়েক কিলোমিটার এলাকাজুড়ে পূণ্যর্থীদের বিচরণ হয়। লগ্ন অনুযায়ী নিজেদের সুবিধাজনক সময়ে ধর্মীয় এ স্নান সেরে নেন সনাতন ধর্মাবলম্বীরা। স্নান উৎসব নির্বিঘ্ন করতে পর্যাপ্ত প্রস্তুতি নিয়েছে উপজেলা প্রশাসন। পাশাপাশি স্নান ও মেলা উপলক্ষে নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা হয়েছে। দুর-দূরান্ত থেকে আসা পুণ্যার্থীদের নিরাপত্তার জন্য পুলিশ, ও আনসার সদস্য ছাড়াও সেচ্ছাসেবী মোতায়েনের ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।


ধর্মীয় দৃষ্টিকোণ থেকে ঐতিহ্যবাহী এই পূণ্যস্নানে অটো, পিকআপ ভ্যান, রিকশা, ভ্যান, মাইক্রোবাস এবং বাসে করে লোকজন আসা শুরু করেছে ঘাটে। পিকাপ ভ্যানে পরিবারের লোকজনদের সাথে নিয়ে এসেছেন রাজারহাটের ঘড়িয়ালডাঙ্গা ইউনিয়নের বাঘেরবাজার থেকে পঞ্চম চন্দ্র রায়। তিনি বলেন, প্রতি বছর আমি পরিবার আত্নীয় স্বজনদের নিয়ে এই উৎসবে আসি। রাতে তাবু করে এখানেই রান্না করে খাবো। বিভিন্ন এলাকা থেকে লোকজন এসেছেন, তাদের সাথে পরিচিত হবো।

প্রায় দুই যুগেরও পর এবছর বুধবার স্নান অনুষ্ঠিত হচ্ছে। এটি পুণ্যার্থীদের জন্য পবিত্র দিন বলে জানিয়েছে স্নান উৎসব কমিটি। কমিটির সহ সভাপতি তপন কুমার এনি বলেন, ‘ এ বছর দুই লক্ষাধিক পুণ্যার্থীর আগমন ঘটবে বলে আমরা ধারণা করছি। সকল প্রস্তুতি সম্পন্ন হয়েছে। স্থানীয় প্রশাসন ও জনপ্রতিনিধি সহ স্থানীয় মুসলিম সম্প্রদাায়ের লোকজন পুণ্যার্থীদের নানা ভাবে সহযোগিতা করছেন। এছাড়াও স্নান ঘাট এলকার সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে পুণ্যার্থীদের থাকার ব্যবস্থা করা হয়েছে। মূলত মুসলিম সম্প্রদায়ের সহযোগিতায় আমরা এই স্নান উৎসব নিরাপদে সম্পন্ন করি।’

চিলমারী উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) মো. মাহবুবুর রহমান বলেন, অষ্টমীর স্নান উপলক্ষ্যে যাবতীয় প্রস্তুতি সম্পন্ন হয়েছে। উৎসব নির্বিঘ্নে সম্পন্ন করতে উপজেলা প্রশাসন থেকে সার্বিক সহযোগিতা করা হচ্ছে।

;

নির্বাচনে গণমাধ্যমকর্মীদের বাধা দিলে ২-৭ বছরের জেল



সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

নির্বাচনের সময় গণমাধ্যমকর্মীদের বাধা দিলে ২-৭ বছর কারাদণ্ডের বিধান রেখে ‘রিপ্রেজেন্টেশন অব দ‌্য পিপল (অ‌্যামেন্ডমেন্ট) অ‌্যাক্ট, ২০২৩’ নীতিগত অনুমোদন দিয়েছে মন্ত্রিসভা।

মঙ্গলবার (২৮ মার্চ) প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে মন্ত্রিসভার বৈঠকে গণপ্রতিনিধিত্ব (সংশোধন) আইনের খসড়া অনুমোদন দেওয়া হয়। এতে সভাপতিত্ব করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

বৈঠক শেষে সচিবালয়ে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সচিব (সমন্বয় ও সংস্কার) মাহমুদুল হোসাইন খান সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান।

তিনি বলেন, এটাতে কিছু সংশোধনী প্রস্তাব করা হয়েছিল। আগে ছিল, যে কোনো ইউটিলিটি বিল যেদিন মনোনয়নপত্র জমা দেওয়া হবে তার সাতদিন আগে জমা দিতে হতো। না হলে মনোনয়নপত্র বাতিল গণ্য হতো। এখন বিলটা মনোনয়নপত্র যেদিন জমা দেবে, তার আগের দিন পর্যন্ত জমা দিতে পারবে।

সচিব বলেন, মনোনয়নপত্রের সঙ্গে টিআইএন সার্টিফিকেট সংযুক্ত করতে হবে এবং কত টাকা আয়কর জমা দিয়েছে, তার রশিদ অনুযায়ী সাবমিট করতে হবে। এটা আগে ছিল না। এ দুটি অংশ যোগ করা হয়েছে।

নির্বাচনের সময় গণমাধ্যমকর্মীদের বাধা দেওয়ার বিষয়ে তিনি বলেন, আপনারা যারা গণমাধ্যমকর্মী এবং পর্যবেক্ষক রয়েছেন, আপনাদের নিরাপত্তা নিশ্চিতে একটা বিধান রাখা হয়েছে। যদি কেউ গণমাধ্যমকর্মী এবং পর্যবেক্ষকদের আইনানুগ কাজে বাধা প্রদান করেন, সেক্ষেত্রে দুই থেকে সাত বছর পর্যন্ত কারাদণ্ডের বিধান রাখা হয়েছে।

সচিব বলেন, ধরুন, আপনি ক্যামেরা নিয়ে গেলেন। অনেক সময় হতে পারে মনোমালিন্য (হলো) আপনি বেরিয়ে যান, ইত্যাদি ইত্যাদি (বেরিয়ে যেতে বলা হলো)। আপনার যদি বৈধভাবে প্রবেশ করার অধিকার থাকে, কিন্তু তারপরও আপনাকে বের করে দেওয়া হলো বলপ্রয়োগ করে, ক্যামেরা ভেঙে ফেললো ইত্যাদি অনেক কিছুই হতে পারে। এক্ষেত্রে দুই থেকে সাত বছর পর্যন্ত সশ্রম কারাদণ্ড দেওয়ার বিধান রাখা হয়েছে।

তিনি বলেন, এটার নীতিগত অনুমোদন দেওয়া হয়েছে, এখনো ফাইনাল হয়নি। আরও কিছু কারেকশন আছে। কিছু মতামতসহ এটা আবার মন্ত্রিসভায় উপস্থাপিত হবে। তারপর আরও কিছু যদি সংযোজন হয়, সেটাসহ পাস করা হবে।

৩০০ আসনেই রিটার্নিং কর্মকর্তা নিয়োগের বিষয়ে মাহমুদুল হোসাইন খান বলেন, জাতীয় সংসদ নির্বাচনে রিটার্নিং অফিসার নিয়োগের আগে শুধু ডিসট্রিক্ট (জেলা) উল্লেখ করা ছিল। এখন জেলার পরিবর্তে প্রতিটি আসনে হবে। অর্থাৎ ৩০০ আসনে ৩০০ জন রিটার্নিং অফিসার থাকবেন- এমন আলোচনা হয়েছে।

;

‘মাইক’ চলচ্চিত্র তরুণ প্রজন্মের কাছে বঙ্গবন্ধুর ভাষণকে পৌঁছে দিবে



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ঐতিহাসিক ৭ মার্চের ভাষণকে উপজীব্য করে বাংলাদেশ সরকারের অনুদানে নির্মিত পূ্র্ণদৈর্ঘ্য শিশুতোষ চলচ্চিত্র ‘মাইক’ এর মাধ্যমে তরুণ প্রজন্ম বঙ্গবন্ধুর ঐতিহাসিক ৭ মার্চের ভাষণসহ স্বাধীনতার ইতিহাস জানতে পারবে। মুক্তিযুদ্ধ ও বাংলাদেশের সঠিক ইতিহাস তুলে ধরতে ‘মাইক’ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।

মঙ্গলবার (২৮ মার্চ) ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র শিক্ষক কেন্দ্র (টিএসসি) অডিটোরিয়ামে চলচ্চিত্রটির বিশেষ প্রদর্শনী শেষে অনুভূতি প্রকাশ করে বিশিষ্টজনেরা এসব কথা বলেন।

চলচ্চিত্রটি নিয়ে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুবউল আলম হানিফ এমপি বলেন, 'মাইক' ইতিহাস সমৃদ্ধ সিনেমা। পঁচাত্তরে বঙ্গবন্ধুকে হত্যার পর ৭ মার্চের ভাষণ নিষিদ্ধ করা হয়েছিল এবং রাজাকারদের উত্থানের ইতিহাস সিনেমাটিতে তুলে ধরা হয়েছে।

তিনি বলেন, শিশুতোষ এই সিনেমাটি অসাধারণ হয়েছে। এ ধরণের সিনেমা আরো হওয়া প্রয়োজন। পচাঁত্তরের পরে ইতিহাসকে উল্টা পথে চালানোর চেষ্টা হয়েছে। বঙ্গবন্ধুর নাম নিশানা মুছে দেয়ার চেষ্টা হয়েছিল। যার কারণে প্রজন্ম ভুল ইতিহাস জানত, সঠিক ইতিহাস জানত না। এই সিনেমাটিতে সঠিক ইতিহাস তুলে ধরা হয়েছে। 'মাইক' ইতিহাসের মাইলফলক হিসেবে চিহ্নিত হয়ে থাকবে।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য (প্রশাসন) অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ সামাদ বলেন, বঙ্গবন্ধুর ঐতিহাসিক ৭ই মার্চের ভাষণকে উপজীব্য করে সরকারি অনুদানে নির্মিত পূর্ণদৈর্ঘ্য শিশুতোষ চলচ্চিত্র 'মাইক' সিনেমাটি এক কথায় অসাধারণ। আমি এই সিনেমার প্রযোজক ও পরিচালক শাহীনসহ সংশ্লিষ্ট সকলকে আন্তরিক অভিনন্দন জানাই। সিনেমায় দাইয়ান, সানজিদ, মেঘসহ ৪ শিশুশিল্পী কী যে অভিনয় করল! এককথায় অনবদ্য। এই সিনেমার মধ্যে কোন ছেদ নেই। সিনেমা দেখে আমি অভিভূত। আমি আশা করি এই সিনেমার জন্য শাহীনসহ শিল্পী এবং কলাকুশলীরা সম্মানিত হবেন।

তিনি বলেন, আমার ধারণা বাংলাদেশে বঙ্গবন্ধুর অনুসারী যারা, তার সঙ্গে আমি যুক্ত করব বঙ্গবন্ধুর রক্তধারা বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনা, শেখ রেহানাসহ যারা এই সিনেমাটি দেখবেন, তারা দেখে অভিভূত হবেন।

সংসদ সদস্য শামীম হায়দার পাটোয়ারী বলেন, এই চলচ্চিত্রটি দেখে দর্শক আন্দোলিত ও উৎসাহিত হবে। নতুন প্রজন্মের জানা দরকার যে ৫২ ও ৭১'র কী হয়েছিল। এই ভাষণ মানুষকে উজ্জীবিত ও আন্দোলিত করে। সেই কারণে এই ভাষণকে ঢেকে রাখার চেষ্টা করা হয়েছে। আমাদের সবার দায়িত্ব এই ভাষণকে সবার কাছে পৌঁছে দেয়া এবং জাতিকে সঠিক ইতিহাস জানান।

আওয়ামী লীগের বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি সম্পাদক ইঞ্জিনিয়ার আবদুস সবুর বলেন, 'মাইক' সিনেমা প্রমাণ করেছে বঙ্গবন্ধুর ৭ই মার্চের ১৮ মিনিটের ভাষণ কালে কালে, যুগে যুগে সবসময় প্রাসঙ্গিক। 'মাইক' সিনেমাটি সারাদেশে ছড়িয়ে যাবে এমন প্রত্যাশা ব্যক্ত করেন তিনি।

আওয়ামী লীগের শিক্ষা ও মানবসম্পদ সম্পাদক শামসুন্নাহার চাপা বলেন, মাইক সিনেমা দেখে আমি অত্যন্ত আনন্দিত। আমি খুবই খুশি। চলচ্চিত্রটির মাধ্যমে ৭ই মার্চের ভাষণকে ফুটিয়ে তোলা হয়েছে।

আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী সদস্যে এডভোকেট সানজিদা খানম বলেন, 'মাইক' সিনেমা দেখে আমি খুবই অভিভূত। এই সিনেমার মধ্য দিয়ে জাতির পিতার আদর্শ তরুণ প্রজন্মের মাঝে ছড়িবে পড়বে বলেও প্রত্যাশা ব্যক্ত করেন তিনি।

সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোটের সভাপতি গোলাম কুদ্দুছ বলেন, মাইক চলচ্চিত্র দেখে আমি অভিভূত। এই চলচ্চিত্রের মধ্যে বঙ্গবন্ধুর হত্যাকাণ্ডের পর ১৯৭৫ সালে যে ভয়াবহ পরিস্থিতি হয়েছিল সেটি উঠে এসেছে। স্বাধীনতা বিরোধীরা এদেশে বঙ্গবন্ধুর ঐতিহাসিক ভাষণকে নিষিদ্ধ করতে চেয়েছে। কিন্তু তারা তা পারেনি। আমি আশা করি এই চলচ্চিত্র তরুণ প্রজন্মেের কাছে বঙ্গবন্ধুকে পৌঁছে দেবে।

কবি অসীম সাহা বলেন, যে স্বপ্ন আমরা দেখতাম, এদেশের তরুণ প্রজন্ম বঙ্গবন্ধুর ভাষণ দেখে অনুপ্রেরণা পাবে। সেটি এই চলচ্চিত্রে তুলে ধরা হয়েছে। আর এই চলচ্চিত্রে শিশু শিল্পীরা অসাধারণ অভিনয় করে বঙ্গবন্ধুর প্রতি ভালোবাসার অনন্যতা দেখিয়েছে।

বিশেষ প্রদর্শনীতে আরো উপস্থিত ছিলেন মাইক চলচ্চিত্রের অভিনেত্রী তানভিন সুইটি, অভিনেতা নাদের চৌধুরী, শিশুশিল্পী সানজিদ রহমান খান, আলী আবদুল্লাহ দাইয়ান ভূঁইয়া, খন্দকার মেঘদূত জলিল, মীর্জা ত্বাবীব ওয়াসিতসহ চলচ্চিত্র সংশ্লিষ্ট কলাকুশলীরা।

এছাড়া বিবার্তার সম্পাদক বাণী ইয়াসমিন হাসি, বীর মুক্তিযোদ্ধা মফিজুল ইসলাম সরকার, সাংবাদিক নেতা আব্দুল জলিল ভূঁইয়া, ডিআরইউ’র সাবেক সাধারণ সম্পাদক নূরুল ইসলাম হাসিব, গৌরব '৭১ এর সভাপতি এস এম মনিরুল ইসলাম, নির্মাতা ও অভিনেতা কচি খন্দকার, কবি ও নির্মাতা টোকন ঠাকুর, নির্মাতা প্রশান্ত অধিকারী, নির্মাতা রেজা ঘটক, কবি আহমেদ শিপলু ও কবি ও ভাস্কর রিঙকু অনিমিখ, বিবার্তার বার্তা সম্পাদক হাবিবুর রহমান রোমেল প্রমূখ।

উল্লেখ্য, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ঐতিহাসিক ৭ মার্চের ভাষণকে কেন্দ্র করে বাংলাদেশ সরকারের অনুদানে নির্মিত পূ্র্ণদৈর্ঘ্য শিশুতোষ চলচ্চিত্র 'মাইক' তরুণ লেখক, কলামিস্ট ও সংগঠক এফ এম শাহীনের প্রযোজনায় চলচ্চিত্রটি যৌথভাবে পরিচালনা করছেন এফ এম শাহীন ও হাসান জাফরুল (বিপুল)।

;

আগেই জানানো হবে কার কত ভূমি কর



সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

কার কত ভূমি উন্নয়ন কর- তা আগেই জানিয়ে দেওয়ার বিধান রেখে ‘ভূমি উন্নয়ন কর আইন, ২০২৩’ এর খসড়ার চূড়ান্ত অনুমোদন দিয়েছে মন্ত্রিসভা।

মঙ্গলবার (২৮ মার্চ) প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত মন্ত্রিসভা বৈঠকে এ অনুমোদন দেওয়া হয়। বৈঠক শেষে সচিবালয়ে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সচিব (সমন্বয় ও সংস্কার) মাহমুদুল হোসাইন খান সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান।

তিনি বলেন, ‘এখন বাংলা বর্ষপঞ্জি (ক্যালেন্ডার) অনুযায়ী ভূমি উন্নয়ন কর আদায় করা হয়। নতুন আইন অনুযায়ী জুলাই থেকে জুন মেয়াদে ভূমি উন্নয়ন কর আদায় করা হবে। আর্থিক বছরের সঙ্গে এটি সম্পৃক্ত করা হয়েছে। আগে পহেলা বৈশাখ থেকে ৩০ চৈত্র পর্যন্ত সময়ের জন্য ভূমি উন্নয়ন কর দিতে হতো। এখন সেটা হবে ১ জুলাই থেকে ৩০ জুন পর্যন্ত করা হয়েছে।’

খসড়া আইন অনুযায়ী এখন থেকে ইলেকট্রনিক পদ্ধতিতে ভূমি উন্নয়ন কর আদায় করা হবে জানিয়ে সচিব বলেন, ‘ম্যানুয়ালি আর কর আদায় করা যাবে না। কোনো ভূমির মালিক যদি একসঙ্গে তিন বছর ভূমি উন্নয়ন কর না দিয়ে থাকেন তাহলে প্রথম বছর থেকে তৃতীয় বছর পর্যন্ত সোয়া ৬ শতাংশ হারে জরিমানাসহ কর আদায় করতে হবে।’

‘ভূমি উন্নয়ন কর ব্যবহার ভিত্তিক হবে। আগের ২৫ বিঘা পর্যন্ত ভূমি উন্নয়ন কর মওকুফ ছিল, এখনও সেটা বলবৎ আছে। কেউ যদি ২৫ বিঘার বেশি জমির মালিক হয়ে থাকেন, তাহলে পুরোটারই ভূমি উন্নয়ন কর দিতে হবে।’

সচিব বলেন, ‘প্রতি বছর কার কত ভূমি উন্নয়ন কর, সেটা ইউনিয়ন ভূমি সহকারী কর্মকর্তা তালিকা তৈরি করে সহকারী কমিশনারের (ভূমি) কাছে পাঠাবেন। সহকারী কমিশনার (ভূমি) তা নোটিশ বোর্ডে টাঙিয়ে দেবেন। এ বিষয়ে যদি কারও আপত্তি থাকে, সেটা তিনি দায়ের করতে পারেন। তিনি এসিল্যান্ড ও জেলা কালেক্টরের কাছে আপত্তি দায়ের করতে পারেন। জেলা কালেক্টর তা ১৫ দিনের মধ্যে নিষ্পত্তি করবেন।’

এছাড়া জাতীয় সংসদের সুবর্ণজয়ন্তী উপলক্ষে একাদশ জাতীয় সংসদের বিশেষ অধিবেশনে রাষ্ট্রপতির ভাষণের খসড়া মন্ত্রিসভায় অনুমোদন দেওয়া হয়েছে বলেও জানান সচিব।

;