ময়মনসিংহে ছাত্রলীগ-যুবলীগের গোলাগুলি, গুলিবিদ্ধ ২



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ময়মনসিংহ
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

ময়মনসিংহ মহানগর ছাত্রলীগ ও যু্বলীগের মধ্যে ‘গোলাগুলি’ ও ধাওয়া পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটেছে। এঘটনায় দুই জন গুলিবিদ্ধ হয়েছে বলে পুলিশ জানিয়েছে।

শুক্রবার (২৭ জানুয়ারি) রাত সাড়ে ৮টার দিকে মহানগরীর বাউন্ডারী রোড এলাকায় এই ঘটনা ঘটে ।

গুলিবিদ্ধরা হলেন- মহানগরীর নতুন বাজার এলাকার রাজ্জাক মিয়ার ছেলে শাকিল (২৫) ও নওমহল এলাকার জাহিদ হাসানের ছেলে রিমন।

ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পুলিশ ক্যাম্পের উপ-পরিদর্শক রফিকুল ইসলাম বলেন, গুলিবিদ্ধ অবস্থায় দুই জনকে জরুরি বিভাগে আনা হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাদেরকে হাসপাতালে ভর্তি করেন। আহতরা হাসপাতালের ৬ নম্বর ওয়ার্ডে চিকিৎসাধীন আছেন।

পুলিশ ও স্থানীয় জানায়, ঘটনার সময় রাত সাড়ে ৮টার দিকে নগরীর বাউন্ডারী রোড এলাকায় আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে মহানগর যুবলীগের সিনিয়র যুগ্ম আহবায়ক রাসেল পাঠান গ্রুপ এবং মহানগর ছাত্রলীগের আহবায়ক নওসেল আহম্মেদ অনি গ্রুপের মাঝে গোলাগুলি ও ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটে। পরে খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে এবং আহত দুই জনকে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠায়।

মহানগর ছাত্রলীগের আহবায়ক নওসেল আহম্মেদ অনি বলেন, আমার সঙ্গে বা মহানগর ছাত্রলীগের কোন নেতাকর্মীর সাথে কোন ঘটনা ঘটেছে বলে আমার জানা নেই।

মহানগর যুবলীগের সিনিয়র যুগ্ম আহবায়ক রাসেল পাঠান বলেন, মহানগর যুবলীগ নেতা জয়ের সঙ্গে আগামী শনিবারে জমি নিয়ে দরবার হওয়ার কথা ছিল। এসব বিষয় নিয়ে কথা হচ্ছিল। এসময় মহানগর ছাত্রলীগের আহ্বায়ক অনি ৫০ থেকে ৬০ জনকে নিয়ে এসে জয়ের ওপর হামলা করে। পরে জয় ও আমাদের ১০০ থেকে ১৫০ জন তাদের ধাওয়া করে ও পাথর মারার ঘটনা ঘটে। তবে, গোলাগুলির কোন ঘটনা ঘটেনি।

এবিষয়ে কোতোয়ালি মডেল থানার ওসি (তদন্ত) ফারুক হোসেন বলেন, ঘটনাস্থলে পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে এবং বর্তমানে পরিস্থিত স্বাভাবিক আছে। এই ঘটনায় আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন আছে বলেও জানান তিনি।

মিথী পেল মেডিকেলে চান্স, কেক কেটে ভূরিভোজ গ্রামবাসীর



উপজেলা করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, গৌরীপুর (ময়মনসিংহ)
মিথী পেল মেডিকেলে চান্স, কেক কেটে ভূরিভোজ গ্রামবাসীর

মিথী পেল মেডিকেলে চান্স, কেক কেটে ভূরিভোজ গ্রামবাসীর

  • Font increase
  • Font Decrease

রাজশাহী মেডিকেল কলেজে ভর্তির সুযোগ পেয়ে প্রশংসায় ভাসছেন মেধাবী শিক্ষার্থী ফারযানা আফরিন মিথী। মেয়ের এমন সাফল্যে আনন্দিত হয়ে গ্রামবাসীর জন্য ভূরিভোজের আয়োজন করেছেন মিথীর বাবা এম এম মালেক।

মেয়ের শিক্ষাজীবন সুন্দরভাবে সম্পন্ন করার জন্য সবার কাছে দোআ চেয়েছেন মা তাসলিমা আক্তার লাভলী। অন্যদিকে মিথীর মেডিকেল ভর্তির সুখবর উৎসবমুখর পরিবেশে কেক কেটে উদযাপন করেছেন গ্রামবাসী।

মিথীর বাড়ি ময়মনসিংহের গৌরীপুরের সিধলা ইউনিয়নের বালিয়াপাড়া গ্রামে। দুই বোনের মধ্যে মিথী সবার বড়। ছোট বোন সাদিয়া আফরিন অবন্তি ময়মনসিংহের প্রগ্রেসিভ ইন্টারন্যাশনাল স্কুলে তৃতীয় শ্রেণিতে পড়ে।

মিথী ২০২০ সালে ময়মনসিংহের বিদ্যাময়ী সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় থেকে জিপিএ-৫ পেয়ে এসএসসি পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হন। এরপর ২০২২ সালে ময়মনসিংহের মুমিনুন্নিসা সরকারি মহিলা কলেজ থেকে জিপিএ ৫ পেয়ে এইচএসসি পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হন।

চলতি বছর মেডিকেল ভর্তি পরীক্ষায় অংশ নিয়ে রাজশাহী মেডিকেল কলেজে ভর্তির সুযোগ পান মিথী। মিথীর মেডিকেলে ভর্তির সুযোগ পাওয়ায় মঙ্গলবার তার গ্রামের বাড়ি বালিয়াপাড়ায় সহ¯্রাধিক লোকজনকে ভূরিভোজ করানো হয়। আয়োজন করা হয় দোআ মাহফিলের। ওই অনুষ্ঠানে এলাকাবাসী ও স্বজনরা ফুলেল শুভেচ্ছায় সিক্ত করেন মিথীকে।

মিথীর বাবা এমএ মালেক বলেন, আমার মেয়ে রাজশাহী মেডিকেলে ভর্তির সুযোগ পাওয়ায় আমি খুব আনন্দিত। সেই আনন্দ পরিবার, আত্মীয়-স্বজন ও গ্রামের মানুষের সাথে ভাগাভাগি করতে আনন্দ ভোজের আয়োজন করেছি। মেয়ে ডাক্তারি পাস করে গ্রামের মানুষকে বিনামূল্যে চিকিৎসা সেবা দিবে সেই দিনটির আশায় আছি।

ফারযানা আফরিন মিথী বলেন, ছোটবেলা থেকেই আমার স্বপ্ন ছিল ডাক্তার হওয়ার। সেজন্য সবসময় মনোযোগ দিয়ে পড়াশোনা করেছি। আমার বাবা-মা আমাকে সবসবময় উৎসাহ দিয়েছেন। ডাক্তারি পাস করে মানবিক ডাক্তার হতে চাই।

সিধলা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান জয়নাল আবেদীন বলেন, এবছর আমাদের ইউনিয়ন থেকে মিথীই একমাত্র মেডিকেলে ভর্তির সুযোগ পেয়েছে। সে ভালো ভাবে পড়াশোনা করে ডাক্তারি পাস করে মানুষের সেবায় নিজেকে নিয়োজিত করকে গ্রামের মানুষকে চিকিৎসা সেবা দিবে এটাই প্রত্যাশা।

;

‘১৯৭১ সালে বাংলাদেশে গণহত্যা হয়েছে, জবাবদিহিতার আওতায় আনতে হবে’



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

লেকচার সিরিজের মূল বক্তা এশিয়া জাস্টিস অ্যান্ড রাইটসের কো ফাউন্ডার ব্যারিস্টার প্যাট্রিক বার্জেস বলেছেন, রুয়ান্ডা, আর্মেনিয়া, পূর্ব তিমুরসহ অনেক দেশেই গণহত্যা হয়েছে। বাংলাদেশেও গণহত্যা হয়েছে। ভবিষ্যতে যেন গণহত্যা না হয়, সেজন্য জবাবদিহিতা ও বিচারের আওতায় আনতে হবে।

সোমবার (২০ মার্চ) রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে তিনি এসব কথা বলেন।

‘বাংলাদেশে ১৯৭১ সালের গণহত্যার স্বীকৃতি’ শীর্ষক অনুষ্ঠানে বঙ্গবন্ধু লেকচার সিরিজের আওতায় এই আয়োজন করে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।

ব্যারিস্টার প্যাট্রিক বার্জেস বলেন, ২০১৯ সালে বাংলাদেশে আমি প্রথম আসি। তখনো বাংলাদেশের গণহত্যার বিষয়ে আমি অবহিত ছিলাম না। তবে কি ঘটনা ঘটেছিলো আমি পরবর্তীতে সেটা জানার চেষ্টা করি এবং জানতে পারি।

তিনি আরও বলেন, অর্থনৈতিক সীমাবদ্ধতা থাকা সত্ত্বেও মানবিক কারণে শরণার্থীদের আশ্রয় ও সহায়তা দিয়ে আসছে। এশিয়া জাস্টিস অ্যান্ড রাইটসও রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন প্রক্রিয়ায় সহায়তার চেষ্টা করছে। এ লক্ষ্যে প্রকৃত ঘটনা আসিয়ানকেও অবহিত করার চেষ্টা করছি।

বিশ্বের অনেক প্রভাবশালী দেশ রোহিঙ্গা গণহত্যার স্বীকৃতি দিলেও বাংলাদেশের ১৯৭১ সালের গণহত্যাকে তা দেয়নি বলে আক্ষেপ প্রকাশ করে পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলম বলেন, রোহিঙ্গাদের চেয়েও ১৯৭১ সালে ব্যাপকভাবে বাংলাদেশে গণহত্যা হয়েছে।তবে স্বীকৃতি কেন নয়, এটাই আমাদের প্রশ্ন।

তিনি আরও বলেন, ৫ বছর আগে জাতীয় সংসদে আমরা ২৫ মার্চ গণহত্যা দিবস পালনের সিদ্ধান্ত নিয়েছি। তখন থেকেই বিভিন্ন দেশের সঙ্গে আমাদের দ্বিপক্ষীয় বৈঠকে আমরা গণহত্যার বিষয়টি উল্লেখ করার চেষ্টা করি। এতদিন পরেও সেই গণহত্যার ঘটনা শুনে মানুষ ধাক্কা খায়। আতকে উঠে। সেই ঘটনা এখনো সবাইকে জানানো জরুরি।

তবে দুঃখজনক হলেও হয়তোবা সম্ভব নয় যে, জাতিসংঘ এই গণহত্যাকে আলাদাভাবে স্বীকৃতি দেবে। এটার বাস্তবতা যে ভিন্ন, সেটাও আমরা কয়েক বছর ধরে আপনাদের বলে আসছি, আপনারাও সেটা বোঝেন। তবে যাদের কাছে এটা গ্রহণ করতে কষ্ট হবে, তাদের কাছে ব্যাখ্যা করারও সুযোগ আছে। সেটা হলো, সেই সময়ের ভূ-রাজনৈতিক কারণে বর্তমান বিশ্বের অনেক রাষ্ট্রই প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষ ভাবে পাকিস্তানের পক্ষে ছিলো, বা আমাদের পক্ষে অবস্থান নেয়নি। তাদের অনেকের মনোভাব পরিবর্তন হয়েছে, তারা প্রাইভেট মিটিংয়ে আমাদের বলবেন, এই কাজগুলো ঠিক হয়নি, ভুল ছিলো, বলেনও। তবে পাবলিকলি তারা বলেন না। আমাদের প্রত্যাশা তারা যেন এখন বলেন, না সেই সময়ে তাদের অগ্রজরা সঠিক সিদ্ধান্ত নেননি। আর এই ধরনের কর্মকাণ্ডের মধ্য দিয়ে আমরা আরও জনগোষ্ঠীর কাছে পৌঁছাবো। বিশ্বব্যাপী এটার গ্রহণযোগ্যতা পাবে।

তিনি বলেন, ২০১৭ সালে জাতীয় সংসদে ২৫ মার্চ জাতীয় গণহত্যা দিবস হিসেবে পাস হয়। তারপর থেকেই সরকার শক্তভাবে এটাকে আরও এগিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করছে। তবে এটা একটি কঠিন কাজ। ১৯৭১ সালের প্রজন্মকে আমরা ধীরে ধীরে হারাচ্ছি। সে কারণে এখন সেই সময়ের ঘটনা শিক্ষার্থীদের অবহিত করার চেষ্টা করছি।

 

;

১৫৯ উপজেলাকে গৃহ-ভূমিহীন মুক্ত ঘোষণা করলেন প্রধানমন্ত্রী



সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা

  • Font increase
  • Font Decrease

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সাতটি জেলা এবং ১৫৯টি উপজেলাকে গৃহহীন ও ভূমিহীন মুক্ত এলাকা হিসেবে ঘোষণা করেছেন। এর ফলে গৃহহীন ও ভূমিহীনমুক্ত জেলার মোট সংখ্যা নয়টি এবং উপজেলার সংখ্যা ২১১টি।

সকল ভূমিহীনদের আবাসন নিশ্চিত করার সরকারি পরিকল্পনার অংশ হিসেবে পবিত্র ঈদ-উল-ফিতরের আগে গৃহহীনদের আরও ৩৯৩৬৫টি ঘর হস্তান্তর করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ।

বুধবার (২২ মার্চ) প্রধানমন্ত্রী তাঁর সরকারি বাসভবন গণভবন থেকে ভার্চুয়ালি এক অনুষ্ঠানের মাধ্যমে আশ্রয়ণ-২ প্রকল্পের চতুর্থ ধাপে এসব বাড়ি হস্তান্তর করেন।

এর আগে প্রথম ধাপে ভূমিহীন ও গৃহহীনদের মধ্যে ৬৩ হাজার ৯৯৯টি, দ্বিতীয় ধাপে ৫৩ হাজার ৩৩০টি এবং তৃতীয় ধাপে ৫৯ হাজার ১৩৩টি ঘর বিতরণ করা হয়েছে।

আশ্রয়ণ-২ প্রকল্পের আওতায় আরও ৩৯৩৬৫টি বাড়ি বিতরণের ফলে মোট সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ২,১৫,৮২৭টি। 

প্রধানমন্ত্রী গাজীপুর জেলার শ্রীপুর উপজেলার নয়াপাড়া আশ্রয়ণ প্রকল্প, সিলেটের গোয়াইনঘাট উপজেলার নোয়াগাঁও আশ্রয়ণ প্রকল্প এবং বরিশালের বানারীপাড়ার উত্তরপাড় আশ্রয়ণ প্রকল্পের সুবিধাভোগীদের সঙ্গে মতবিনিময় করেন।

সরকার শুধু খাস জমিতে প্রকল্পের বাড়ি নির্মাণই করছে না, বাড়ি নির্মাণের জন্য জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান মেমোরিয়াল ট্রাস্টের কাছ থেকে জমি কেনা হচ্ছে।

জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ১৯৭২ সালে গৃহহীনদের পুনর্বাসন কর্মসূচি চালু করেন। বঙ্গবন্ধুর পদচিহ্ন অনুসরণ করে তার কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ১৯৯৭ সালে আশ্রয়ণ প্রকল্পের মাধ্যমে গৃহহীন ও ভূমিহীনদের বাড়িঘর ও জমির মালিকানা দেওয়ার উদ্যোগ নেন।

আশ্রয়ণ প্রকল্পের অধীনে, ১৯৯৭ সাল থেকে এ পর্যন্ত মোট ৭,৭১,৩০১টি পরিবারকে পুনর্বাসন করা হয়েছে। পুনর্বাসিত মানুষের সংখ্যা ৩৮,৫৬,৫০৫ (আনুমানিক একটি পরিবারে পাঁচজন ব্যক্তি হিসাবে)।

প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের আশ্রয়ণ প্রকল্পের মাধ্যমে ইতোমধ্যে ৫,৫৪,৫৯৭ পরিবারকে সরাসরি পুনর্বাসন করা হয়েছে এবং ২,১৬,৭০৪ পরিবারকে ভূমি মন্ত্রণালয় এবং দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়সহ সংশ্লিষ্ট সরকারি অফিসের বিভিন্ন কর্মসূচির অধীনে পুনর্বাসন করা হয়েছে।

;

সুষম সার ব্যবহারে সাশ্রয় হবে ২০ হাজার কোটি টাকা



সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
সুষম সার ব্যবহারে সাশ্রয় হবে ২০ হাজার কোটি টাকা

সুষম সার ব্যবহারে সাশ্রয় হবে ২০ হাজার কোটি টাকা

  • Font increase
  • Font Decrease

ফসল উৎপাদনে জমিতে পরিমিত ও লাভজনক মাত্রায় সুষম সার ব্যবহারের আহ্বান জানিয়েছেন গবেষকরা। গবেষকরা জানান, সুষম সার ব্যবহারে শতকরা ৮ থেকে ১৪ ভাগ ফসল উৎপাদন বাড়ে এবং এতে বছরে বিশ হাজার কোটি টাকা সাশ্রয় করা সম্ভব। তাঁরা বলেন, বিগত বছরসমূহে প্রতি বছর সার বাবদ সরকার প্রায় ৮ হাজার কোটি টাকা ভর্তুকি দিয়েছে। সারের আন্তর্জাতিক বাজারমূল্য বৃদ্ধিতে বর্তমানে এ খাতে সরকারের ভর্তুকির পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ৩০ হাজার কোটি টাকারও বেশি ।

মঙ্গলবার (২১ মার্চ) রাজধানীর ফার্মগেটে বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা কাউন্সিল (বিএআরসি) মিলনায়তনে ‘সার নীতি সংলাপ’ অনুষ্ঠানে গবেষকরা এ আহবান জানান। কৃষককে সুষম সারের ব্যবহার সম্পর্কে সচেতন করার পরামর্শ দিয়েছেন সার নীতি সংলাপের প্যানেল আলোচকরা।

সংলাপ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন কৃষিসচিব ওয়াহিদা আক্তার। তিনি বলেন, সরকার সিদ্ধান্ত নিয়েছে ডিএপি সারের ব্যবহার বাড়িয়ে ইউরিয়া সারের ব্যবহার কমিয়ে আনা। কিন্তু দেখা যাচ্ছে ইউরিয়ার ব্যবহার দিন দিন বাড়ছে। আবার ডিএপির ব্যবহারও বাড়ছে। এতে করে সারের অপচয় হচ্ছে এবং সার আমাদনির খরচও বাড়ছে।

কৃষিসচিব আরও বলেন, জমিতে এক কেজি ডিএপি সার ব্যবহার বাড়ালে ৪০০ গ্রাম ইউরিয়া সার কম ব্যবহার করলে হয়। এক্ষেত্রে টিএসপি সার ব্যবহারের প্রয়োজন নেই। এ বার্তাটি মাঠ পর্যায়ে না পৌঁছানোর কারণে হাজার হাজার কোটি টাকা সরকারের অতিরিক্ত খরচ করতে হচ্ছে। এজন্য মাটি পরীক্ষার মাধ্যমে অঞ্চল ভিত্তিক সার সুপারিশমালা ব্যবহার করে ফসল আবাদে সুষম সার ব্যবহারে কৃষকদের আগ্রহী করে তুলতে হবে। সরকার পরিমিত মাত্রায় সুষম সার ব্যবহারে গবেষণা ও ব্যবস্থাপনার উপর ‘নিউট্রিয়েন্ট ম্যানেজমেন্ট ফর ডাইভারসিফাইড ক্রপিং ইন বাংলাদেশ’ শীর্ষক একটি প্রকল্প বাস্তবায়ন করছে।

মূল প্রবন্ধ উপস্থাপনায় অস্ট্রেলিয়ার মারডক বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক এবং প্রকল্প লিডার ড. রিচার্ড ডব্লিউ বেল বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা কাউন্সিলের সুপারিশসহ সুষম সার ব্যবহারে কৃষকরা কতটুকু সুফল পেতে পারে, তার একটি চিত্র তুলে ধরেন। তাঁর উপস্থাপনায় উঠে আসে কৃষকরা সুষম সার ব্যবহার করলে বছরে ধান উৎপাদন বেশি হবে ৭৫ লাখ টন। সার্বিকভাবে বছরে লাভ হবে ২০ হাজার ৫০৪ কোটি টাকা।

বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা কাউন্সিল কাউন্সিল (বিএআরসি) এর নির্বাহী চেয়ারম্যান ড. শেখ মোহাম্মদ বখতিয়ারের সভাপতিত্বে প্যানেল ডিসকাশনে আরো উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ড. লুৎফুল হাসান, কৃষি গবেষণা ফাউন্ডেশন (কেজিফ) এর এক্সিকিউটিভ ডিরেক্টর ড. জীবনকৃষ্ণ বিশ্বাস, কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর (ডিএই) এর মহাপরিচালক বাদল চন্দ্র বিশ্বাস, বাংলাদেশ কৃষি উন্নয়ন কর্পোরেশন (বিএডিসি) এর চেয়ারম্যান মো. আব্দুল্লাহ সাজ্জাদ, কৃষি মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব মো. রুহুল আমিন তালুকদার এবং কৃষি উন্নয়ন ও গণমাধ্যম ব্যক্তিত্ব শাইখ সিরাজ। অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য দেন সদস্য পরিচালক ড. মোঃ বক্তীয়ার হোসেন।

;