ভিশনস্প্রিং ও ব্র্যাকের উদ্যোগে স্বাভাবিক দৃষ্টি ফিরে পেয়েছে ২০ লক্ষ মানুষ



নিউজ ডেস্ক, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
ভিশনস্প্রিং এবং ব্র্যাকের উদ্যোগে স্বাভাবিক দৃষ্টি ফিরে পেয়েছে ২০ লক্ষ মানুষ

ভিশনস্প্রিং এবং ব্র্যাকের উদ্যোগে স্বাভাবিক দৃষ্টি ফিরে পেয়েছে ২০ লক্ষ মানুষ

  • Font increase
  • Font Decrease

ভিশনস্প্রিং এবং ব্র্যাক হেলথ, নিউট্রিশন অ্যান্ড পপুলেশন প্রোগ্রাম (এইচএনপিপি)-এর যৌথ উদ্যোগ ও অর্থায়নে পরিচালিত রিডিং গ্লাসেস ফর ইমপ্রুভড লাইভলিহুড (আরজিআইএল) কর্মসূচীর আওতায় ২০ লক্ষ নিকট দৃষ্টিরত্রুটির মানুষ তাদের স্বাভাবিক দৃষ্টিশক্তি ফিরে পেয়েছেন। এই সাফল্য উদযাপনের লক্ষ্যে ভিশনস্প্রিং এবং ব্র্যাক ২৩শে জানুয়ারি ঢাকায় অবস্থিত ব্র্যাক সেন্টারে এক জমকালো অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছে। অনুষ্ঠানে এই কর্মসূচীর সাথে জড়িত স্বাস্থ্যকর্মী, কর্মী ও বিতরণকারীদের বিশেষ সম্মাননা প্রদান করা হয়।

অনুষ্ঠানে সম্মানিত অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অফ অফথালমোলজি (এনআইও)-এর পরিচালক এবং ন্যাশনাল আই কেয়ার (এনইসি)-এর লাইন ডিরেক্টর অধ্যাপক ডাঃ গোলাম মোস্তফা; সিলেট মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাইস-চ্যান্সেলর ও আইএপিবি বাংলাদেশ চ্যাপ্টারের কান্ট্রি চেয়ারম্যান অধ্যাপক ডাঃ এএইচএম এনায়েত হোসেন; উগান্ডা’র স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়-এর জনস্বাস্থ্য বিষয়ক পরামর্শক ডাঃ উপেনথায়ো জর্জ, ভিশনস্প্রিং-এর প্রতিষ্ঠাতা জর্ডান ক্যাসালো এবং ব্র্যাকের প্রাক্তন ভাইস চেয়ারম্যান আহমেদ মুশতাক রাজা চৌধুরী। বক্তারা তাদের বক্তব্যে আরজিএল এর দীর্ঘ পথ পরিক্রমায় প্রাপ্ত অভিজ্ঞতা সম্পর্কে আলোকপাত করেন।

এছাড়াও অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন ভিশনস্প্রিং-এর সিইও এলা গুডউইন, ব্র্যাকের নির্বাহী পরিচালক আসিফ সালেহ, ব্র্যাক ইন্টারন্যাশনালের নির্বাহী পরিচালক শামেরান আবেদ এবং ভিশনস্প্রিং-এর কান্ট্রি ডিরেক্টর মিশা মাহজাবীন।

২০০৬ সালে যাত্রা শুরু করা আরজিআইএল প্রোগ্রামের মূল লক্ষ্য ছিলো, ব্র্যাকের স্বাস্থ্যকর্মীদের প্রাথমিক চক্ষু সেবা সম্পর্কে প্রশিক্ষিত করে, মানুষের সেবায় কাজে লাগানো। সমাজের নিম্ন আয়ের মানুষদের মধ্যে যারা নিকট দৃষ্টিরত্রুটির এবং এর ফলাফলে যাদের জীবনযাত্রা ব্যাহত হয়, তাদের চশমা বিতরণের মাধ্যমে স্বাভাবিক দৃষ্টি ফিরিয়ে দিতে এই প্রোগ্রাম বিশেষ ভূমিকা রেখেছে। কার্টিয়ার, ওয়ারবি পার্কার এবং ন্যাশনাল ভিশন এর অর্থায়নে এই কার্যক্রমটি পরিচালিত হয়।

বাংলাদেশে আশাতীত সাফল্য পাওয়ার প্রেক্ষিতে উগান্ডা এবং জাম্বিয়াতেও এখন এই কার্যক্রম পরিচালিত হচ্ছে।

এই প্রোগ্রামে স্বাস্থ্যকর্মীদের নিকট দৃষ্টিরত্রুটির (প্রিসবায়োপিয়া) সমস্যায় আক্রান্ত মানুষুদের শনাক্ত করতে প্রশিক্ষণ প্রদান করা হয়। শনাক্তদের স্বাভাবিক দৃষ্টি ফিরিয়ে দিতে

চশমা বিতরণ করা হয়। চশমা বিতরণের পাশাপাশি স্বাস্থ্যকর্মীরা বিনামূল্যে চক্ষু পরীক্ষা, চিকিৎসার সুযোগ ও প্রয়োজনীয় পরামর্শ দিয়ে স্বল্প আয়ের মানুষদের জীবনযাত্রার মান উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছেন।

প্রোগ্রামটি চালু হওয়ার শুরুর দিকে বয়সজনিত নিকট দৃষ্টিরত্রুটির সমস্যা বিশেষজ্ঞ ডাক্তারের সাহায্য ছাড়া কেবলমাত্র স্বাস্থ্যকর্মীদের দ্বারা সমাধানের বিষয়টি বিতর্ক তৈরি করেছিলো।

বিষয়টি নিয়ে সন্দেহ থাকলেও বর্তমানে তিনটি দেশে প্রায় ১০ হাজার স্বাস্থকর্মী ১ কোটি মানুষের চোখ পরীক্ষা করেছেন এবং এরমধ্যে নিকট দৃষ্টিরত্রুটির সমস্যায় আক্রান্ত ২০ লক্ষ মানুষকে চশমা বিতরণের মাধ্যমে প্রোগ্রামটি সফলভাবে পরিচালনা করছেন। এছাড়াও জটিল সমস্যায় আক্রান্তদের উচ্চ চিকিৎসা সেবা প্রাপ্তি নিশ্চিত করতে বিশেষজ্ঞ ডাক্তারদের নিকট প্রেরণ করা হয়েছে। এই উদ্যোগ অন্যান্য এনজিও ও সরকার দ্বারা প্রশংসিত হয়েছে। গত বছর বিশ্ব
স্বাস্থ্য সংস্থা তাদের অনলাইন মডিউলে আরজিআইএল মেথডকে অন্তর্ভূক্ত করেছে।

ভিশনস্প্রিং এর সিইও এলা গুডউইন বলেন, ‘ষোলো বছর আগে আমরা কেবলমাত্র বিশ্বাসের উপর ভিত্তি করে লক্ষ মানুষের স্বাভাবিক দৃষ্টিশক্তি ফিরিয়ে দিতে এবং চশমা বিতরণের কার্যক্রমকে সহজ করতে এই প্রোগ্রামটি শুরু করি। আজ আমরা এই লক্ষ্য অর্জন করেছি এবং তার জন্য আমরা গর্বিত। আমরা এই কার্যক্রমকে আরও লক্ষ মানুষের মধ্যে ছড়িয়ে দিতে চাই। আমরা আগ্রহভরে
তাদের সাথে একসাথে কাজ করতে রাজি আছি, যারা এই লক্ষ্য অর্জনে প্রস্তুত।‘

ব্র্যাক হেলথ নিউট্রিশন অ্যান্ড পপুলেশন প্রোগ্রাম (এইচএনপিপি)-এর ডিরেক্টর, ডাঃ মোরশেদা চৌধুরী বলেন, সম্পদের অপ্রতুলতা স্বত্বেও কার্যকর একটি জনস্বাস্থ্য নীতি প্রয়োগের সফল উদাহরণ এই প্রকল্প। এই সমস্যাগুলো সাধারন মানুষের জীবনযাত্রার মান বাধাগ্রস্ত করে, উৎপাদনশীলতা কমিয়ে দেশের অর্থনৈতিক অগ্রগতি ব্যহত করে। অথচ দক্ষ স্বাস্থ্যকর্মীরাই এই ধরনের সমস্যাগুলো মোকাবেলা করতে সক্ষম। বাংলাদেশ সরকার ইতোমধ্যে জনস্বাস্থ্যের মান উন্নয়নে বিভিন্ন মাইলফলক অর্জন করেছে। বিশ্বের প্রতিটি মানুষের জনস্বাস্থ্য বিষয়ে টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে আমাদের একসাথে কাজ করতে হবে।

   

গরমে বেড়েছে চার্জার ফ্যান ও এসির চাহিদা



খন্দকার আসিফুজ্জামান, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

রাজধানী ঢাকাসহ দেশজুড়ে চলমান তাপপ্রবাহে অতিষ্ঠ মানুষ। অসহনীয় এই গরম থেকে বাঁচতে সামর্থ্য অনুযায়ী ক্রেতারা বেছে নিচ্ছেন চার্জার ফ্যান কিংবা এসি। যে কারণে ইলেকট্রনিক সামগ্রীর দোকানে বাড়ছে চার্জার ফ্যান ও এসির চাহিদা। সাধারণ সিলিং ফ্যান থেকে শুরু করে অন্যান্য ফ্যানের দাম স্বাভাবিক থাকলেও বেড়েছে রিচার্জেবল ফ্যানের দাম।

শুক্রবার (১৯ এপ্রিল) রাজধানীর নবাবপুরের ইলেকট্রনিক সামগ্রীর পাইকারি মার্কেটে গিয়ে দেখা যায়, শুক্রবার মার্কেটটির সাপ্তাহিক বন্ধ থাকলেও দেশের চলমান তাপপ্রবাহের কারণে চার্জার ফ্যানসহ বিভিন্ন ধরনের ফ্যানের চাহিদা বাড়ায় কিছু কিছু দোকান খোলা রয়েছে। এখানকার দোকানিদের দাবি, ফ্যানের চাহিদা বাড়লেও দেশে অন্যান্য পণ্যের দাম ঊর্ধ্বমুখী হলেও সে অনুযায়ী বাড়েনি ফ্যানের দাম।

সিলিং ফ্যানের দাম স্বাভাবিক রয়েছে জানিয়ে দোকানিরা বলেন, নন-ব্যান্ড সিলিং ফ্যানের দাম ১৫০০ টাকা থেকে শুরু এবং ব্র্যান্ডের সিলিং ফ্যানের দাম শুরু ২৮০০ টাকা থেকে। বিভিন্ন কোম্পানির স্ট্যান্ড ফ্যান আকার অনুযায়ী বিক্রি হচ্ছে ৩০০০ টাকা থেকে শুরু করে ৮০০০ টাকা এবং তার বেশি দরে। 


তবে দেশজুড়ে রিচার্জেবল ফ্যানের চাহিদার সাথে বেড়েছে দামও। ১২ ইঞ্চি চার্জার ফ্যানের দাম রাখা হচ্ছে ৩ হাজার থেকে ৪ হাজার ৫০০ টাকা এবং ১৪ ও ১৮ ইঞ্চির ফ্যান বিক্রি হচ্ছে ৬ হাজার থেকে ৮ হাজার টাকায়।

নবাবপুরে মামুন এন্টারপ্রাইজের প্রোপাইটর মীর মো. মামুন বার্তা২৪.কমকে জানান, বর্তমান বাজারে ফ্যানের চাহিদা থাকলেও দেশের বাজারের অন্যান্য পণ্যের দাম বাড়লেও ফ্যানের দাম বাড়েনি। শুধুমাত্র চার্জার ফ্যানের দাম গত বছরের তুলনায় আকার অনুযায়ী সর্বোচ্চ ৩০০ থেকে ৫০০ টাকা বেড়েছে।

একই মার্কেটের হাসান এন্টারপ্রাইজের স্বত্বাধিকারী মো. হাসান বলেন, গরমে চাহিদা বাড়লেও ফ্যানের দাম বাড়েনি। তবে ঈদ আর বৈশাখের লম্বা ছুটির কারণে দেশে যে চার্জার ফ্যানগুলো অ্যাসেম্বল করা হতো সেগুলো পর্যাপ্ত করতে না পারায় চার্জার ফ্যানের দাম কিছুটা বেড়েছে।

একটি কোম্পানির বিক্রয় প্রতিনিধি আক্তার হোসেন এসেছেন চার্জার ফ্যান কিনতে। তিনি বার্তা২৪.কমকে বলেন, যে গরম পড়ছে, যদি ট্যাকা থাকতো তাইলে একটা এয়ার কন্ডিশনই কিনতাম। কিন্তু চার্জার ফ্যানেরই যে বাজেট নিয়া আইসি অইটা দিয়াও হইবো না। বউরে ফোন দিয়া কইলাম আরও ৫০০ ট্যাকা মোবাইলে পাঠাইতে।


চার্জার ফ্যান কিনতে এসেছেন এমন আরও একজন মহিমা হালদার। ১১ মাসের একটি পুত্রসন্তানের মা তিনি। গরমে বিরক্তি নিয়ে বলেন, এমন গরমে ২৪ ঘণ্টা ফ্যান চালাইয়াও আমরা বড়রাই গরম সহ্য করতে পারতাছি না। আর ১১ মাসের ছোট্ট বাচ্চায় ক্যামনে সহ্য করব। অন্য খরচ বাদ দিয়াই একটা ফ্যান কিনতে আসা।

এদিকে চার্জার ফ্যানের পাশাপাশি চাহিদা বেড়েছে এসিরও। বেড়েছে দামও। বাংলাদেশি ব্র্যান্ড ওয়ালটন ও যমুনা ইলেকট্রনিক্সের কয়েকটি শোরুম ঘুরে দেখা যায়, ওয়ালটনের এক টনের এসি ৬৫ হাজার ও দেড় টন এসি বিক্রি হচ্ছে ৭৪ হাজার টাকায়। কিছুটা কমে যমুনার এক টনের এসি বিক্রি হচ্ছে ইনভার্টারসহ ৪৯ হাজার ও ইনভার্টার ছাড়া ৪২ হাজার টাকায়। আর দেড় টনের এসি ইনভার্টারসহ ৬৭ হাজার এবং ইনভার্টার ছাড়া ৫৭ হাজার টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

তবে ওয়ালটন এবং যমুনার বিক্রয় কর্মীদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, বিক্রির সময় পণ্যের মূল দাম থেকে ক্রেতাদের কিছুটা ছাড় দেওয়া হয়।

;

তীব্র তাপপ্রবাহ, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান আরও ৭ দিন বন্ধের দাবি



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

পবিত্র রমজান, ঈদুল ফিতরসহ বেশ কয়েকটি ছুটির সমন্বয়ে টানা ২৬ দিন ছুটি কাটিয়ে আগামী রোববার (২১ এপ্রিল) খুলছে দেশের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান। তবে এরই মধ্যে দেশের তাপমাত্রা অসহ্য অবস্থায় পৌঁছানোয় কারণে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ছুটি আরও ৭ দিন বাড়ানোর দাবি জানিয়েছে অভিভাবক ঐক্য ফোরাম।

শুক্রবার (১৯ এপ্রিল) সংগঠনের সভাপতি মুক্তিযোদ্ধা মো. জিয়াউল কবির দুলু সাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এ দাবি জানানো হয়।

এতে বলা হয়েছে, দেশের বিভিন্ন জেলা ও অঞ্চলে হিট অ্যালার্ট জারি করা হয়েছে। মানুষকে প্রয়োজন ছাড়া বাইরে বের হতে নিষেধ করছে প্রশাসন। এর মধ্যে স্কুল কলেজ খুললে অনেক শিশু অসুস্থ হয়ে পড়তে পারে। তাই দেশের সব স্কুল-কলেজ-মাদরাসা আগামী ৭ দিনের জন্য শ্রেণি শিক্ষা কার্যক্রম বন্ধ রাখার দাবি জানাচ্ছি।

প্রসঙ্গত, এ বছর শিখন ঘাটতি পূরণে মাধ্যমিকে ১৫ দিন ছুটি কমিয়ে প্রজ্ঞাপন জারি করে শিক্ষা মন্ত্রণালয়। রমজানের শুরুতে প্রায় দুই সপ্তাহ ক্লাস হয়েছে মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে। অন্যদিকে, রমজানের প্রথম ১০ দিন ক্লাস চালু ছিল প্রাথমিক বিদ্যালয়ে। একইভাবে সব কলেজ ও মাদরাসায়ও ছুটি কমিয়ে রমজানের শুরুর দিকে প্রায় দুই সপ্তাহ ক্লাস হয়। ছুটি শেষে রোববার থেকে পুরোদমে চালু হচ্ছে সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান।

 

;

বায়ুদূষণের শীর্ষে দিল্লি, ঢাকার বাতাসে নেই স্বস্তির খবর



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

বিশ্বের দূষিত বাতাসের শহরের তালিকায় দশম অবস্থানে রয়েছে ঢাকা। কয়েক দিনের তীব্র গরম আর শুষ্ক আবহাওয়ায় ঢাকার বাতাস আবারও অস্বাস্থ্যকর হয়ে উঠেছে।

শনিবার (২০ এপ্রিল) সকাল সাড়ে ৮টার দিকে আন্তর্জাতিক বায়ুমান প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠান আইকিউএয়ারের মানদণ্ড অনুযায়ী, ১২১ স্কোর নিয়ে বিশ্বের দূষিত শহরের তালিকায় দশম অবস্থানে রয়েছে মেগাসিটি ঢাকা। আজ ঢাকার বাতাস সংবেদনশীল গোষ্ঠীর জন্য অস্বাস্থ্যকর হিসেবে বিবেচিত। গতকাল শুক্রবারও ঢাকার বাতাস সংবেদনশীল গোষ্ঠীর জন্য অস্বাস্থ্যকর ছিল।

এদিকে আন্তর্জাতিক বায়ুমান প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠান আইকিউএয়ারের মানদণ্ড অনুযায়ী, বিশ্বের দূষিত শহরের তালিকায় ১৭৮ স্কোর নিয়ে শীর্ষে রয়েছে ভারতের দিল্লি শহর। এ ছাড়া ১৭৩ স্কোর নিয়ে দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছে থাইল্যান্ডের চিয়াং মাই, ১৬৩ স্কোর নিয়ে তৃতীয় অবস্থানে আছে ইন্দোনেশিয়ার জাকার্তা, এরপর নেপালের কাঠমান্ডু ১৬২ স্কোর নিয়ে আছে চতুর্থ স্থানে। ১৫৮ স্কোর নিয়ে পঞ্চম স্থানে আছে সংযুক্ত আরব আমিরাতে দুবাই শহর।

একিউআই স্কোর শূন্য থেকে ৫০ ভালো হিসেবে বিবেচিত হয়। ৫১ থেকে ১০০ মাঝারি হিসেবে গণ্য করা হয়; আর সংবেদনশীল গোষ্ঠীর জন্য অস্বাস্থ্যকর বিবেচিত হয় ১০১ থেকে ১৫০ স্কোর। স্কোর ১৫১ থেকে ২০০ হলে তাকে ‘অস্বাস্থ্যকর’ বায়ু বলে মনে করা হয়।

 

;

শসার দাম কমে যাওয়ায় হতাশায় মানিকগঞ্জের কৃষকেরা



খন্দকার সুজন হোসেন, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট বার্তা২৪.কম, মানিকগঞ্জ
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

মানিকগঞ্জের বিভিন্ন এলাকার কৃষি জমিগুলো এখন সবুজ সমারোহে ভরপুর। ধানের পাশাপাশি সবজি চাষাবাদে এখন ব্যস্ত কৃষক। জমিতে বপন করা প্রতিটি শসা গাছের ডগায় ডগায় ঝুলছে ছোট বড় শসা। ২/১ দিন পর পর জমি থেকে শসা সংগ্রহ করছে সবজি চাষিরা।

আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় এবার ফলনও হয়েছে আশানুরূপ। জমিতে বপন করা শসা গাছের যত্ন নিতে ভর দুপুরেও শসা ক্ষেতে ব্যস্ত কৃষকেরা। জমিতে বপন করা গাছের ফলন স্বাভাবিক রাখতে নিয়মিতভাবে আগাছা পরিষ্কার করতে হয়। এর পাশাপাশি কীটনাশকসহ ভিটামিন প্রয়োগে ব্যস্ত সময় পার করছেন চাষিরা।


আশানুরূপ ফলনের পরও বাজারদর নিয়ে হতাশায় জেলার সবজি চাষিরা। কয়েকদিন আগেও প্রায় ১০০ টাকার কাছাকাছি ছিল প্রতি কেজি শসার দাম। তবে সপ্তাহ দু’য়েক সময় গড়ানোর আগেই শসার দাম নেমে এসেছে ৫০ টাকার নিচে। দ্রুত গতিতে শসার দাম কমে যাওয়ায় হতাশায় মানিকগঞ্জের সবজি চাষিরা।

রাজধানীর সঙ্গে উন্নত যোগাযোগ ব্যবস্থা, অনুকূল আবহাওয়া আর বাম্পার ফলনের কারণে দিনকে দিন মানিকগঞ্জে বেড়ে চলেছে শসাসহ নানা প্রকারের সবজির চাষাবাদ। তবে সার, কীটনাশক, বীজসহ শ্রমিকের সঙ্গে তাল মিলিয়ে সবজির দাম বাড়েনি বলে অভিযোগ সবজি চাষিদের।

মানিকগঞ্জের সাতটি উপজেলাতেই কম-বেশি আবাদ হয় সবজির। তবে জেলার সাটুরিয়া, সিংগাইর এবং মানিকগঞ্জ সদর উপজেলাতে সবজি, বিশেষ করে শসার আবাদ হয়েছে বেশি এলাকায়। প্রথম দিকে শসার দাম বেশি হলেও আগামীর দিনগুলোতে শসার দর-দাম নিয়ে চিন্তিত কৃষকেরা।


মানিকগঞ্জের সাটুরিয়া উপজেলার সাহেবপাড়া এলাকার সবজি চাষি মো. নয়া মিয়া বলেন, এক বিঘা জমিতে শসা আবাদের জন্য জমি তৈরি, বীজ বপন, সার, কীটনাশক ও শ্রমিকসহ অন্যান্য ব্যয় মিলিয়ে খরচ হয়েছে প্রায় ৪৫ হাজার টাকা।

কয়েকদিন আগেও প্রতি কেজি শসা পাইকারি হিসেবে ৮৫ টাকা কেজি বিক্রি হলেও এখন প্রতি কেজি শসা পাইকারি বিক্রি হচ্ছে মাত্র ২৮ থেকে ৩০ টাকা কেজিতে। বাজারদর এই গতিতে কমতে থাকলে শসা চাষে নিশ্চিত লোকসান গুনতে হবে বলে মন্তব্য করেন তিনি।

আনোয়ার হোসেন নামের আরেক শসা চাষি বলেন, যারা আগাম শসার আবাদ করেছে তারা দামে শসা বিক্রি করতে পেরেছিল। এখনকার বাজারদর যা আছে তাতে কোনোরকমে চালানো যাবে। কিন্তু দরপতন আরও হলে লোকসান গুনতে হবে বলে জানান তিনি।

মোস্তফা হোসেন নামের এক বৃদ্ধ সবজি চাষি বলেন, বাজারে গেলে সবজির দাম হাতের নাগালের বাইরে মনে হয়। কিন্তু এই সবজি চাষাবাদের প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র আর শ্রমিকের বাজারদর যে হারে বেড়েছে সেই তুলনায় সবজির দাম অনেক কম বলে মন্তব্য করেন তিনি।


মানিকগঞ্জ জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের উপ-সহকারী রবিউল ইসলাম বলেন, চলতি মৌসুমে মানিকগঞ্জ জেলায় মোট ১১৯১ হেক্টর জমিতে সবজির আবাদ হয়েছে। সবজির আবাদ প্রক্রিয়া চলমান রয়েছে। সবজি আবাদের পরিমাণ আরও বাড়বে।

আলাদাভাবে শসা আবাদের জমির পরিমাণের তথ্য এখনো সংগ্রহ করা হয়নি। তবে জেলায় শসার বাম্পার ফলন হয়েছে। শসাসহ বিভিন্ন সবজি চাষে নিয়মিত মাঠ পর্যায়ে সহায়তার জন্য কৃষি বিভাগের লোকজন কাজ করে বলে মন্তব্য করেন তিনি।

;