রোহিঙ্গাদের বিস্মৃত সংকটে পরিণত হতে দেবে না যুক্তরাষ্ট্র



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

যুক্তরাষ্ট্রের সফররত জনসংখ্যা, শরণার্থী ও অভিবাসন ব্যুরোর সহকারী সেক্রেটারি জুলিয়েটা ভালস নোয়েস বলেছেন, তার দেশ জাতিসংঘের সংস্থাগুলোকে সঙ্গে নিয়ে রোহিঙ্গা ইস্যুকে ‘বিস্মৃত সংকট’ হতে দেবে না।

ইউএনএইচসিআর, আইওএম, ইউনিসেফ, ইউএনএফপিএ, এএফপি এবং ডব্লিউএইচওসহ জাতিসংঘের বিভিন্ন সংস্থার কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠকের পর তিনি বলেন, আমরা এটিকে বিস্মৃত সংকটে পরিণত হতে দেব না।

নোয়েস জোরপূর্বক বাস্তুচ্যুত রোহিঙ্গাদের অবস্থার উন্নতি এবং তাদের অধিকারের অগ্রগতির জন্য অক্লান্ত পরিশ্রম করে এমন সব মার্কিন অংশীদারদের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন।

মার্কিন সহকারী সেক্রেটারি কক্সবাজার ও ভাসানচরে রোহিঙ্গা ক্যাম্প পরিদর্শনের জন্য পাঁচ দিনের সরকারি সফরে শনিবার বাংলাদেশে এসেছেন।

শুক্রবার মার্কিন স্টেট ডিপার্টমেন্টের ইস্যুকৃত এক মিডিয়া নোটে বলা হয়, মার্কিন সহকারী সেক্রেটারি বার্মায় ক্রমবর্ধমান মানবিক সংকট থেকে পালিয়ে আসা রোহিঙ্গা এবং অন্যান্য শরণার্থীদের আশ্রয় দেয়ার ক্ষেত্রে উদারতার জন্য কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করতে ‘বাংলাদেশের সরকারি কর্মকর্তাদের সাথে দেখা করবেন।

আগামী ৭ ডিসেম্বর মার্কিন সহকারী সেক্রেটারি থাইল্যান্ডের উদ্দেশে বাংলাদেশ ত্যাগ করবেন।

সিনিয়র ফরেন সার্ভিসের একজন পেশাদার সদস্য জুলিয়েটা ভালস নোয়েস ৩১ মার্চ জনসংখ্যা, শরণার্থী ও অভিবাসন ব্যুরোর মার্কিন এসিস্টেন্ট সেক্রেটারি হন।

রমজানে নিত্যপণ্যের বাজার স্থিতিশীল রাখার আহ্বান এফবিসিসিআই’র



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

রমজানে তেল, চিনি, ছোলাসহ সব ধরণের নিত্যপণ্যের দাম স্থিতিশীল রাখতে খুচরা ও পাইকারি ব্যবাসয়ী, উৎপাদনকারী, আমদানিকারক এবং বাজার কমিটিগুলোকে আহ্বান জানিয়েছে দি ফেডারেশন অব বাংলাদেশ চেম্বার্স অব কমার্স এন্ড ইন্ডাস্ট্রি (এফবিসিসিআই)।

বৃহস্পতিবার (২৩ মার্চ) রমজান উপলক্ষে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের আমদানি, মজুদ, সরবরাহ, বাজার পরিস্থিতি ও বাজার মনিটরিং ব্যবস্থা জোরদার করার লক্ষ্যে সংশ্লিষ্ট ব্যবসায়ীদের সাথে মতবিনিময় সভায় এই আহ্বান জানান এফবিসিসিআই সভাপতি মো. জসিম উদ্দিন।

তিনি বলেন, বাজার স্থিতিশীল রাখতে ইতিমধ্যে সরকার কিছু পদক্ষেপ নিয়েছে। এক্ষেত্রে ভোক্তা এবং ব্যবসায়ীদেরও দায়িত্বশীল হতে হবে। ভোক্তাদের যেমন প্রয়োজনের অতিরিক্ত কেনাকাটা থেকে বিরত থাকতে হবে, ব্যবসায়ীদেরও অতি মুনাফা করা থেকে বিরত থাকতে হবে।

কোন ব্যবসায়ী যেন ভোক্তাদের কাছ থেকে পণ্যের অযৌক্তি দাম আদায় করতে না পারে সে বিষয়ে বাজার কমিটিগুলোকে তৎপর থাকার আহ্বান জানান মো. জসিম উদ্দিন। তিনি বলেন, আমরা চাই না ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদফতর অভিযান চালিয়ে ব্যবসায়ীদের হেনস্তা করুক। পণ্য ক্রয়-বিক্রয় ও মজুদ বিষয়ে সরকারের নিয়মনীতি রয়েছে। এসব বিষয়ে সাধারণ ব্যবসায়ীদের সচেতন করতে বাজার কমিটিগুলো উদ্যোগ গ্রহণ করতে হবে। কোন পণ্যের সরবরাহ বিঘ্নিত হলে আমাদের জানান, আমরা সহযোগিতা করবো।

কোন বাজারে অযৌক্তিক মূল্যে পণ্য ক্রয়-বিক্রয় হলে এবং এ বিষয়ে বাজার কমিটির উদাসীনতা দেখা গেলে সরকার কমিটির লাইসেন্স বাতিল করবে জানিয়ে সবাইকে সতর্ক করেন এফবিসিসিআই সভাপতি।

কোন অসাধু ব্যবসায়ীদের দায় এফবিসিসিআই নেবে না বলেও সভায় জানান এফবিসিসিআই সভাপতি।

এ সময় এফবিসিসিআই এর সিনিয়র সহ-সভাপতি মোস্তফা আজাদ চৌধুরী বাবু বলেন, চলমান বৈশ্বিক পরিস্থিতিতে দ্রব্যমূল্য যা বৃদ্ধি পাওয়ার পেয়েছে। রমজানকে কেন্দ্র করে এই দাম যেন নতুন করে না বাড়ে। আমরা বাজারে খোঁজ নিয়ে জেনেছি চিনি, ভোজ্যতেলসহ অন্যান্য নিত্য পণ্যের পর্যাপ্ত মজুদ রয়েছে। পাইপলাইনেও (আমদানি পর্যায়ে) যথেষ্ট পণ্য রয়েছে। গত বছর ঈদের আগে বাজারে যে বিশৃঙ্খলা হয়েছিলো, এবার যেন তার পুনরাবৃত্তি না হয়।

মতবিনিময় সভায় অংশ নিয়ে ভোজ্যতেল এবং চিনি উৎপাদনকারি প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধিরা জানান, রমজারে চাহিদার বিপরীতে দেশে পণ্য দুটির পর্যাপ্ত মজুদ রয়েছে। কারখানা পর্যায়ে জ্বালানি সরবরাহ স্বাভাবিক থাকলে এসব পণ্যের কোন ঘাটতি হবে না।

এ সময় ব্যবসায়ীরা অভিযোগ জানান, নিত্যপণ্য ক্রয়ের ক্ষেত্রে পাইকারি বাজার কিংবা মিলগেট থেকে রশিদ প্রদান না করায় ভ্রাম্যমান আদালতের জরিমানার মুখে পড়তে হচ্ছে তাদের।

আড়ত ও মিলগেটে পণ্য কেনা-বেচার ক্ষেত্রে রশিদ বাধ্যতামূলক করার বিষয়টি বাস্তবায়নে সরকারের সাথে জোরালোভাবে কাজ করা হবে বলে জানায় এফবিসিসিআই।

মতবিনিময় সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন, এফবিসিসিআই -এর সহ-সভাপতি এম এ মোমেন, মোঃ আমিন হেলালী, পরিচালক এম.জি.আর নাসির মজুমদার, বিজয় কুমার কেজরিওয়াল, হাফেজ হারুন, মোহাম্মদ বজলুর রহমান, আবু হোসেন ভূইয়াঁ রানু, আক্কাস মাহমুদ, বাংলাদেশ দোকান মালিক সমিতির সভাপতি হেলাল উদ্দিনসহ অন্যান্য ব্যবসায়ী নেতৃবৃন্দ।

;

ইন্টারপোলের রেড নোটিশের তালিকায় রবিউলের নাম



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
ইন্টারপোলের রেড নোটিশের তালিকায় রবিউলের নাম

ইন্টারপোলের রেড নোটিশের তালিকায় রবিউলের নাম

  • Font increase
  • Font Decrease

পুলিশের বিশেষ শাখার (এসবি) পরিদর্শক মামুন এমরান খান হত্যা মামলার অন্যতম আসামি দুবাইয়ে পালিয়ে থাকা রবিউল ইসলামের বিরুদ্ধে রেড নোটিশ জারি করেছে ইন্টারপোল।

বৃহস্পতিবার (২৩ মার্চ) রাতে ইন্টারপোলের রেড নোটিশের তালিকায় তার নাম পাওয়া গেছে। তালিকায় ৬৩তম বাংলাদেশি তিনি।

রবিউল ইসলাম ওরফে আরাভ খান ঢাকার স্পেশাল ব্রাঞ্চের পুলিশ পরিদর্শক মামুন ইমরান খান হত্যা মামলার অন্যতম পলাতক আসামি। এজন্য তাকে ইন্টারপোলের মাধ্যমে দেশে ফিরিয়ে আনার চেষ্টা চালানো হচ্ছে।সম্প্রতি বাংলাদেশের ক্রিকেট তারকা সাকিব আল হাসান দুবাইয়ে রবিউল ইসলামের একটি গয়নার শোরুম উদ্বোধনে গেলে বিষয়টি আলোচনায় আসে।

রবিউল ইসলাম কীভাবে দেশত্যাগ করলেন, এ ক্ষেত্রে কোনও পুলিশ কর্মকর্তা জড়িত রয়েছে কি না সেই বিষয়টিও তদন্ত করে দেখা হচ্ছে বলে আইজিপি জানিয়েছেন।

পুলিশ বলছে, বাংলাদেশে রবিউল ইসলামের গ্রামের বাড়ি গোপালগঞ্জে, সেখানে তার বিরুদ্ধে অন্তত ৯টি গ্রেফতারি পরোয়ানা রয়েছে। মামলার সংখ্যা আরও বেশি।

পুলিশ সদর দফতরের সূত্র বলছে, আরাভ খান ভারতীয় পাসপোর্ট ব্যবহার করে সংযুক্ত আরব আমিরাতের দুবাইয়ে গেছেন। তবে তিনি ভারতীয় নন, অবৈধ প্রক্রিয়ায় তিনি সেটি করেছেন। বাংলাদেশ প্রথমে বিষয়টি প্রমাণ করবে। এতে করে দুবাই যাওয়ার ক্ষেত্রেও তিনি জালিয়াতির আশ্রয় নিয়েছেন, সেটি প্রমাণিত হবে। একজন যদি জালিয়াতির মাধ্যমে অন্য দেশের পাসপোর্ট ব্যবহার করে দুবাই যান, তবে তিনি সেখানেও বড় ধরনের অপরাধে যুক্ত হতে পারেন। এ বিষয়েই কূটনৈতিক চ্যানেলের মাধ্যমে সংযুক্ত আরব আমিরাতকে বার্তা দেওয়া হবে। তারপর সমঝোতার ভিত্তিতে তাকে দেশে ফিরিয়ে আনার চেষ্টা করা হবে।

ঢাকা মহানগর পুলিশের গোয়েন্দা শাখার (ডিবি) একটি সূত্র বলছে, আরাভ খান আন্তর্জাতিক স্বর্ণ পাচার চক্রের সদস্য। সংযুক্ত আরব আমিরাতের দুবাই থেকে বাংলাদেশে স্বর্ণ পাচার চক্র নিয়ন্ত্রণ করে থাকেন তিনি।

আরাভের বিরুদ্ধে তদন্ত করতে গিয়ে পুলিশ জানতে পারে, তিনি একাধিক বিয়ে করেছেন। শ্বশুরকে অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে টাকা আদায় করতেন। এ কারণে ২০১৫ সালে অবৈধ অস্ত্রসহ গ্রেফতারও হয়েছিলেন তিনি। এ ছাড়া ক্যামেরা চুরির মামলাও রয়েছে তার বিরুদ্ধে।

;

তিস্তা ইস্যুতে নয়াদিল্লির জবাবের অপেক্ষায় ঢাকা



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

বাংলাদেশ পরবর্তী পদক্ষেপ নির্ধারণের জন্য অভিন্ন তিস্তা নদীর বিষয়ে ভারবাল নোটের জবাবের অপেক্ষায় আছে নয়াদিল্লির কাছ থেকে।

বৃহস্পতিবার (২৩ মার্চ) বিকেলে সাপ্তাহিক ব্রিফিংকালে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র সেহেলি সাবরিন বলেন, আমরা এখনও কোন জবাব (নোট ভারবাল) পাইনি। (নয়াদিল্লি থেকে) উত্তর পাওয়ার পর, আমরা আমাদের পরবর্তী পদক্ষেপ নেব।

পররাষ্ট্র সচিব মাসুদ বিন মোমেন মিডিয়াকে জানিয়েছিলেন, তিস্তায় প্রবাহ হ্রাস করার বিষয়ে পশ্চিমবঙ্গের প্রস্তাবিত প্রকল্পগুলোর ব্যাখ্যা চেয়ে বাংলাদেশ নয়াদিল্লিতে নোট ভারবাল পাঠিয়েছে। এর কয়েকদিন পর মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র এ মন্তব্য করেছেন।

সাবরিন বলেন, পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সম্প্রতি ঢাকায় ভারতীয় হাইকমিশনের মাধ্যমে পানির প্রবাহ হ্রাসের বিষয়ে ভারবাল নোটটি পাঠিয়েছে এবং আন্তঃসীমান্ত অভিন্ন নদীর পানি বণ্টনের জন্য দীর্ঘ প্রত্যাশিত চুক্তি করার জন্য বাংলাদেশের বিশেষ আগ্রহরে কথা পুনর্ব্যক্ত করেছে।

নিউইয়র্কে চলমান জাতিসংঘের পানি সম্মেলনে ঢাকা আন্তঃসীমান্ত নদীর পানি বণ্টনের বিষয়টি উত্থাপন করেছে কি না জানতে চাইলে সাবরিন বলেন, বৈঠকে বাংলাদেশ পানি সম্পদের টেকসই উন্নয়নের বিষয়ে দেশের জাতীয় নীতি তুলে ধরেছে।

২০০৯ সালে আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতায় আসার পর থেকেই তিস্তার পানি বণ্টন চুক্তির বিষয়ে আলোচনায় রয়েছে। ২০১১ সালে ভারতের সাবেক প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিংয়ের বাংলাদেশ সফরের সময় ঢাকা এবং নয়াদিল্লি তিস্তা চুক্তিটি স্বাক্ষর করার জন্য নির্ধারিত ছিল। তখন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জিরও তার সফরসঙ্গী হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু মমতা ব্যানার্জি চুক্তির বিরোধিতা করে শেষ মুহূর্তে সফরসঙ্গী হওয়া থেকে বিরত ছিলেন।চুক্তি না হওয়ায় হতাশা সঞ্চারিত হয় এবং সেই সময়ে ভারতীয় প্রধানমন্ত্রীর সফর আশানুরূপ হয়নি। ভারত ও বাংলাদেশ চুক্তি স্বাক্ষর করতে সম্মত হলেও পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য সরকারের বিরোধিতার কারণে তা বাস্তবায়িত হতে পারেনি।

সাম্প্রতিক ভারতীয় গণমাধ্যমের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য সরকার জলপাইগুড়ি এবং কোচবিহার জেলায় সেচের উদ্দেশ্যে তিস্তার পানি সরানোর জন্য দুটি নতুন খাল খননের নীতিগত সিদ্ধান্ত নিয়েছে।

টেলিগ্রাফ সংবাদপত্রের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে যে, পশ্চিমবঙ্গ সরকার তিস্তার পানি ব্যবহার করে দুটি জলবিদ্যুৎ প্রকল্প নির্মাণের পরিকল্পনা করেছে, যা বাংলাদেশের ভাটির দিকে পানি প্রবাহকে প্রভাবিত করবে।

এই সপ্তাহের শুরুর দিকে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বলেছিল, চমৎকার দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের পরিপ্রেক্ষিতে বাংলাদেশ নয়াদিল্লির সঙ্গে যে কোনো বিরোধ আলোচনার মাধ্যমে সমাধানের প্রচেষ্টা চালিয়ে যাবে।

১৯৯৭ সালে প্রধানমন্ত্রী হিসেবে শেখ হাসিনা আগের মেয়াদে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের দীর্ঘস্থায়ী সমস্যা দূর করে গঙ্গার পানি বণ্টনের বিষয়ে একটি যুগান্তকারী ৩০-বছরের চুক্তি স্বাক্ষর করেছিলেন। তখন নয়াদিল্লিতে ভারতের প্রধানমন্ত্রী ছিলেন দেবগৌড়া এবং জ্যোতি বসু তখন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী ছিলেন। ওই চুক্তিটি শুষ্ক মৌসুমে গঙ্গা নদীতে ন্যূনতম পানি প্রবাহ নিশ্চিত করেছিল।

;

‘সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম সম্পর্কে আরও সতর্ক থাকতে হবে’



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম সম্পর্কে আরও সতর্ক থাকার আহ্বান জানিয়েছেন ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার।

ফেসবুকের বাংলাদেশ বিষয়ক কর্মকর্তা সাবনাজ রশীদ দিয়া বৃহস্পতিবার ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রীর সঙ্গে তার দফতরে সৌজন্য সাক্ষাৎকালে তিনি এই আহ্বান জানান।

মোস্তাফা জব্বার বলেন, ফেসবুকসহ সকল সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে সাম্প্রদায়িকতা, সন্ত্রাস, জঙ্গিবাদ মুক্তিযুদ্ধের বিপক্ষে অপপ্রচার, গুজব রটনা এবং ব্যক্তি, সমাজ ও রাষ্ট্রের নিরাপত্তা বিঘ্নিত হয় এমন কোনো কিছুই যাতে না থাকে তার প্রতি সতর্ক থাকতে হবে।

বিশেষ করে ফেসবুকে জুয়ার বিজ্ঞাপন প্রচারের বিষয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করে মন্ত্রী বলেন, এ বিষয়ে ফেসবুক কর্তৃপক্ষকে কার্যকর উদ্যোগ নিতে হবে।

মন্ত্রী ২০১৮ সালে ফেসবুক কর্তৃপক্ষের সঙ্গে বার্সেলোনায় প্রথম বৈঠকের ধারাবাহিকতায় গত ৫ বছরে সম্পর্কের ধারাবাহিক উন্নয়নের বিষয়ে আশাবাদ ব্যক্ত করেন। ডিজিটাল প্রযুক্তি বিকাশের এই অগ্রদূত সোস্যাল মিডিয়া দৈনন্দিন জীবনের অংশ উল্লেখ করে তিনি বলেন, জাতীয় সংবাদ মাধ্যমসমূহে সম্পাদিত সংবাদ প্রকাশিত হয় কিন্তু সোস্যাল মিডিয়ায় যে যার মতো করে স্ট্যাটাস প্রকাশ করে থাকেন। যা ব্যক্তিগত আক্রমণ থেকে শুরু করে সামাজিক ও সাম্প্রদায়িক উস্কানিও হতে পাওে, যা দেশ ও জাতির জন্য ক্ষতি বয়ে আনতে পারে।

দেশ ও জাতিকে নিরাপদ রাখার বিষয়টি খুবই গুরুত্বপূর্ণ উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, এটি এক বড় চ্যালেঞ্জ। এ চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় ফেসবুক কর্তৃপক্ষকে আরও কার্যকর উদ্যোগ নেওয়ার আহ্বান জানান।

সাবনাজ রশীদ দিয়া বলেন, অন্যান্য দেশের পলিসি, আইন আর বাংলাদেশের প্রেক্ষিত অনেকটাই ভিন্ন, আমরা ক্ষতিকর কনটেন্টের বিষযয়ে সতর্ক আছি। আমাদের পলিসিতে ঝুঁকিপূর্ণ কনটেন্টের বিষয়ে সচেতন থাকার বিষয়ে সরকার থেকেও বারবার বলা হয়েছে। আমরা সেই আলোকে ব্যবস্থাও নিয়েছি।

তিনি জানান, ফেসবুক বিটিআরসির সাথে নিয়মিত বৈঠক করে ও প্রাত্যহিক যোগাযোগ রক্ষা করে যা তারা অব্যাহত রাখবে।

;