`যে কোনো মূল্যে শিক্ষা কার্যক্রম অব্যাহত রাখা হবে'



স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা

  • Font increase
  • Font Decrease

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, করোনাভাইরাস এবং রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে অনেক অসুবিধা সত্বেও বাংলাদেশ যাতে পিছিয়ে না পড়ে সেজন্য তার সরকার নিরবচ্ছিন্ন শিক্ষা অব্যাহত রাখতে সম্ভাব্য সব ব্যবস্থা নিয়েছে।

তিনি বলেন, ‘করোনাভাইরাস এবং যুদ্ধ (রাশিয়া-ইউক্রেন) আমাদের জন্য অনেক বাধা তৈরি করেছে। আমরা এ সম্পর্কে আগে থেকেই সচেতন ছিলাম। তবে আমাদের আরও সতর্ক এবং সাশ্রয়ী হতে হবে। এছাড়া শিক্ষা প্রক্রিয়া অব্যাহত রাখতে পদক্ষেপ নেওয়া উচিত। শিক্ষা ব্যবস্থা যাতে পিছিয়ে না যায় সে জন্য আমরা ব্যবস্থা নিচ্ছি।’
প্রধানমন্ত্রী আজ তেজগাঁওয়ে তার কার্যালয়ে (পিএমও) মাধ্যমিক স্কুল সার্টিফিকেট (এসএসসি) ও সমমানের পরীক্ষার ফল হস্তান্তর অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির ভাষণে এ কথা বলেন।

শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে তাঁর হাতে ফলাফলের সারসংক্ষেপ ও পরিসংখ্যান তুলে দেন। পরে বিভিন্ন বোর্ডের চেয়ারম্যানগণ স্ব স্ব বিভাগের ফলাফলের পরিসংখ্যান প্রধানমন্ত্রীর হাতে তুলে দেন। এ সময় অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন শিক্ষা উপমন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল।

চলতি বছরের মাধ্যমিক স্কুল সার্টিফিকেট (এসএসসি) ও সমমান পরীক্ষায় নয়টি সাধারণ শিক্ষাবোর্ড, মাদরাসা ও কারিগরি শিক্ষাবোর্ড মিলে পাসের হার ৮৭ দশমিক ৪৪ শতাংশ। গত বছর এসএসসিতে পাসের হার ছিল ৯৩ দশমিক ৫৮ শতাংশ।

এ বছর নয়টি সাধারণ শিক্ষা বোর্ড, মাদ্রাসা ও কারিগরি শিক্ষা বোর্ড মিলিয়ে এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষায় মোট পরীক্ষার্থী ২০ লাখের বেশি অংশ নেয়। মোট তিন হাজার ৭৯০টি কেন্দ্রে পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। মোট পরীক্ষার্থীর মধ্যে শুধু সাধারণ শিক্ষা

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, করোনাভাইরাস এবং রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে অনেক অসুবিধা সত্বেও বাংলাদেশ যাতে পিছিয়ে না পড়ে সেজন্য তার সরকার নিরবচ্ছিন্ন শিক্ষা অব্যাহত রাখতে সম্ভাব্য সব ব্যবস্থা নিয়েছে।

তিনি বলেন, ‘করোনাভাইরাস এবং যুদ্ধ (রাশিয়া-ইউক্রেন) আমাদের জন্য অনেক বাধা তৈরি করেছে। আমরা এ সম্পর্কে আগে থেকেই সচেতন ছিলাম। তবে আমাদের আরও সতর্ক এবং সাশ্রয়ী হতে হবে। এছাড়া শিক্ষা প্রক্রিয়া অব্যাহত রাখতে পদক্ষেপ নেওয়া উচিত। শিক্ষা ব্যবস্থা যাতে পিছিয়ে না যায় সে জন্য আমরা ব্যবস্থা নিচ্ছি।’

প্রধানমন্ত্রী আজ তেজগাঁওয়ে তার কার্যালয়ে (পিএমও) মাধ্যমিক স্কুল সার্টিফিকেট (এসএসসি) ও সমমানের পরীক্ষার ফল হস্তান্তর অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির ভাষণে এ কথা বলেন।

শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে তাঁর হাতে ফলাফলের সারসংক্ষেপ ও পরিসংখ্যান তুলে দেন। পরে বিভিন্ন বোর্ডের চেয়ারম্যানগণ স্ব স্ব বিভাগের ফলাফলের পরিসংখ্যান প্রধানমন্ত্রীর হাতে তুলে দেন। এ সময় অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন শিক্ষা উপমন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল।

চলতি বছরের মাধ্যমিক স্কুল সার্টিফিকেট (এসএসসি) ও সমমান পরীক্ষায় নয়টি সাধারণ শিক্ষাবোর্ড, মাদরাসা ও কারিগরি শিক্ষাবোর্ড মিলে পাসের হার ৮৭ দশমিক ৪৪ শতাংশ। গত বছর এসএসসিতে পাসের হার ছিল ৯৩ দশমিক ৫৮ শতাংশ।

এ বছর নয়টি সাধারণ শিক্ষা বোর্ড, মাদ্রাসা ও কারিগরি শিক্ষা বোর্ড মিলিয়ে এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষায় মোট পরীক্ষার্থী ২০ লাখের বেশি অংশ নেয়। মোট তিন হাজার ৭৯০টি কেন্দ্রে পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। মোট পরীক্ষার্থীর মধ্যে শুধু সাধারণ শিক্ষা বোর্ডগুলোর অধীনে এসএসসি পরীক্ষার্থী প্রায় ১৬ লাখ।

বোর্ডগুলোর অধীনে এসএসসি পরীক্ষার্থী প্রায় ১৬ লাখ।

পাইপলাইনে প্রথম দিনে এল ৯০ লাখ লিটার ডিজেল



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

ভারত-বাংলাদেশ ফেন্ডশিপ পাইপলাইন দিয়ে প্রথম দিনে প্রায় ৯০ লাখ লিটার ডিজেল আমদানি করা হয়েছে।

শনিবার (১৮ মার্চ) বিকেল ৫টা ৫০ মিনিটে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবং ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে ইন্ডিয়া-বাংলাদেশ ফেন্ডশিপ পাইপলাইনে ডিজেল সরবরাহ উদ্বোধন করেন।

এই পাইপলাইন চালুর ফলে অল্প সময়ে এবং স্বল্প ব্যয়ে নিরাপদে উত্তরাঞ্চলের ১৬ জেলায় ডিজেল সরবরাহ করা সম্ভব হবে।এতদিন ভারত থেকে রেল ট্যাংকারে এ ডিজেল আমদানি করা হতো।

ফেন্ডশিপ পাইপলাইনের প্রকল্প কর্মকর্তা টিপু সুলতান জানান, উদ্বোধনী দিনে ভারতের নুমালীগড় থেকে পাইপলাইনে বাংলাদেশের পার্বতীপুর ডিপোতে প্রায় ৯০ লাখ লিটার ডিজেল এসেছে।

জানা গেছে, ভারতের রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠান নুমালীগড় রিফাইনারি লিমিটেডের শিলিগুড়িস্থ মার্কেটিং রেল টার্মিনাল থেকে বাংলাদেশের পঞ্চগড় জেলার বাংলাবান্দা সীমান্ত দিয়ে দিনাজপুরের পার্বতীপুরে বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম করপোরেশনের (বিপিসি) রেলহেড অয়েল ডিপো পর্যন্ত ১৩১.৫৭ কিলোমিটার পাইপলাইন নির্মাণ করা হয়েছে। এরমধ্যে ভারতীয় অংশে পাঁচ কিলোমিটার এবং বাংলাদেশ অংশে ১২৬.৫৭ কিলোমিটার পড়েছে। পার্বতীপুরে স্থাপিত রিসিপ্ট টার্মিনালের কন্ট্রোল রুমটি অত্যাধুনিক, কম্পিউটারাইজ ও অটোমেটেড যা হেড অফিসের সঙ্গে সংযুক্ত। অফিসে বসেই মোবাইলে পাইপলাইনে তেলের পরিস্থিতি দেখা যাবে। মাঠ পর্যায়ে পাইপলাইনের কেউ ক্ষতির চেষ্টা করলে, তা কন্ট্রোল রুমে ধরা পড়বে। পাইপলাইনের নিরাপত্তায় ১২৬.৫৭ কিলোমিটার বাংলাদেশ অংশে পাঁচটি এসভি স্টেশন (সেকশনালাইজিং ভালভ) স্থাপন করা হয়েছে। ৩০ কিলোমিটার পরপর একটি এসভি স্টেশন রয়েছে। তবে রিসিভ টার্মিনালে এখনও অনেক কাজ বাকি রয়েছে।

এদিকে সাড়ে ২৮ হাজার টন ধারণ ক্ষমতার ছয়টি ফুয়েল ট্যাংক, অগ্নিনির্বাপণ কাজের জন্য তিন হাজার লিটার ধারণ ক্ষমতার দুটি ওয়াটার ট্যাংক, অগ্নিনির্বাপক ফোম রাখার জন্য ২ হাজার ৫০০ লিটার ধারণ ক্ষমতার দুটি ওয়াটার ট্যাংক ও অটোমেশন সিস্টেম স্থাপনসহ অন্যান্য কাজ চলমান রয়েছে। ফুয়েল ট্যাংক নির্মাণ কাজ চলমান থাকায় আপাতত রেলহেড অয়েল ডিপোর ট্যাংকার ব্যবহার করা হচ্ছে। বর্তমান প্রক্রিয়ায় বিদেশ থেকে জ্বালানী তেল আমদানি করে পার্বতীপুরে নিয়ে আসতে সময় লাগে প্রায় একমাস। এ পাইপলাইনে কয়েক ঘণ্টার মধ্যে ভারত থেকে পার্বতীপুর ডিপোতে জ্বালানি তেল চলে আসবে। পাইপলাইনের মাধ্যমে জ্বালানি তেল আমদানির ক্ষেত্রে বর্তমান দর বিবেচনায় ব্যারেল প্রতি প্রায় ছয় ডলার সাশ্রয় হবে। এতে একদিকে সময় লাগবে কম, অপরদিকে পরিবহন ব্যয় ও সিস্টেমলস অনেক কমে যাবে বলে প্রকল্প সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা দাবি করেন।

;

হবিগঞ্জে অনির্দিষ্টকালের পরিবহন ধর্মঘট



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

৯ দফা দাবিতে রোববার ভোর থেকে হবিগঞ্জে অনির্দিষ্টকালের পরিবহন ধর্মঘটের ডাক দিয়েছে জেলা বাস, মিনিবাস, কোচ ও মাইক্রোবাস শ্রমিক ইউনিয়ন।

শ্রমিক ইউনিয়ন এক বিজ্ঞপ্তিতে তাদের এ সিদ্ধান্তের কথা জানায়।

ধর্মঘট আহ্বানকারীরা জানান, হবিগঞ্জ সদর হাসপাতালে অন্তত ৪০টি প্রাইভেট অ্যাম্বুলেন্স রোগীদের আনা নেয়া করে আসছে। সম্প্রতি হাসপাতাল প্রাঙ্গণে অ্যাম্বুলেন্স পার্কিং নিষিদ্ধ করেছে কর্তৃপক্ষ। এর প্রতিবাদে এক সপ্তাহ ধরে জরুরি সেবা বন্ধ রেখে ধর্মঘট পালন করে আসছে অ্যাম্বুলেন্স চালক-মালিক সমিতি। এদের সঙ্গে একাট্টা হয়ে শনিবার (১৮ মার্চ) রাতে জরুরি সভা করে পুরো জেলায় পরিবহন ধর্মঘটের ডাক দেয় জেলা সড়ক পরিবহন শ্রমিক ইউনিয়ন।

তবে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের অভিযোগ, হাসপাতাল প্রাঙ্গণে যত্রতত্র অ্যাম্বুলেন্স পার্কিংয়ের কারণে যানজটের সৃষ্টি হয়। আশঙ্কাজনক অনেক রোগী নিয়ে কোনো যানবাহন জরুরি বিভাগে যথাসময়ে আসতে পারছে না। পাশাপাশি চালকরা বিভিন্ন অপরাধমূলক কাজে জড়িয়ে হাসপাতালের পরিবেশ নষ্ট করছে। যার কারণে হাসপাতাল প্রাঙ্গণে অ্যাম্বুলেন্স পার্কিং নিষিদ্ধ করা হয়েছে। এরপর থেকে তারা নৈরাজ্য সৃষ্টি করে রোগীদের বিভিন্নভাবে হয়রানি করছে।

হবিগঞ্জ জেলা বাস, মিনিবাস, কোচ ও মাইক্রোবাস শ্রমিক ইউনিয়নের সভাপতি সজিব আলী বলেন, দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত অনির্দিষ্টকাল এ ধর্মঘট চলবে।

;

র‌্যাবের ১৯তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উদযাপন আজ



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

দেশে সন্ত্রাস দমনের লক্ষ্যে গঠিত এলিট ফোর্স র‌্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়নের (র‌্যাব) ১৯তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী আজ রোববার উদযাপন করা হবে।

রাজধানীর কুর্মিটোলায় র‌্যাব’র সদর দফতরের দরবারে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা র‌্যাব’র এবারের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর স্লোগান- ‘নিরাপত্তা রক্ষায় গণমানুষের আস্থায়’।

২০০৪ সালে স্বাধীনতা দিবসের প্যারেডে অংশ নিয়ে আত্মপ্রকাশ করে র‌্যাব। ২৬ মার্চ প্রতিষ্ঠার পর থেকে প্রতি বছর দিনটিকে ‘রেইজিং ডে’ হিসেবে পালন করে আসছে বিশেষ এই এলিট ফোর্স। বর্তমানে বাহিনীর মহাপরিচালকের (ডিজি) দায়িত্ব পালন করছেন পুলিশের অতিরিক্ত আইজিপি এম খুরশীদ হোসেন। প্রতিষ্ঠার পর সাংগঠনিক কর্মকাণ্ড ছাড়াও স্ব-স্ব এলাকায় গোয়েন্দা তথ্য সংগ্রহ শুরু করে র‌্যাব। প্রায় তিন সপ্তাহ পর ১৪ এপ্রিল (পহেলা বৈশাখ) রমনা বটমূলে নিরাপত্তা দিয়ে র‌্যাব তাদের কার্যক্রম শুরু করে। একই বছরের ২১ জুন পূর্ণাঙ্গভাবে অপারেশনাল কার্যক্রম শুরু করে বাহিনীটি। সময়ের সঙ্গে সঙ্গে বেড়েছে র‌্যাব’র জনবল ও ব্যাটালিয়নের সংখ্যা।

বর্তমানে সারা দেশে এ এলিট ফোর্সের ব্যাটালিয়ন সংখ্যা ১৫টি। যেখানে পুলিশ, সেনাবাহিনী, নৌবাহিনী, বিমানবাহিনী, বিজিবি, কোস্টগার্ড, আনসার ও সরকারের বেসামরিক প্রশাসনের বাছাই করা চৌকস কর্মকর্তা ও অন্য সদস্যরা তাদের দায়িত্ব পালন করছেন।

প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব মো. আমিনুল ইসলাম খান, পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজিপি) চৌধুরী আবদুল্লাহ আল মামুন, র‌্যাব মহাপরিচালক (ডিজি) এম খুরশীদ হোসেন পৃথক বাণী দিয়েছেন। এছাড়া দেশের জাতীয় দৈনিকে প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে বিশেষ ক্রোড়পত্র প্রকাশিত হচ্ছে। সাহসিকতা ও সেবা দুই ক্যাটাগরিতে র‌্যাব কর্মকর্তা ও সদস্যদের বিশেষ সম্মাননা পুরস্কার দেওয়া হয়। প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীতে এ পুরস্কার দেওয়া হয়।

;

দেশীয় সংস্কৃতির উপাদান দেশ-বিদেশে ছড়িয়ে দেওয়ার আহ্বান রাষ্ট্রপতির



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ

রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ

  • Font increase
  • Font Decrease

সারা দেশে ছড়িয়ে থাকা দেশীয় সংস্কৃতির বিভিন্ন উপাদানগুলোকে সংগ্রহ করে দেশ-বিদেশে ছড়িয়ে দেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ।

শনিবার (১৮ মার্চ) সন্ধ্যায় রাজধানীর জাতীয় জাদুঘর মিলনায়তনে পাঁচ দিনব্যাপী বৃহত্তর ময়মনসিংহ সাংস্কৃতিক উৎসবের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে তিনি এ আহ্বান জানান।

মো. আবদুল হামিদ বলেন, সারা দেশে আমাদের সংস্কৃতির বিভিন্ন উপাদান ছড়িয়ে রয়েছে। তথ্য-প্রযুক্তির যথাযথ ব্যবহারের মাধ্যমে এগুলোকে সংগ্রহ করে দেশ-বিদেশে ছড়িয়ে দিতে হবে।

তিনি বলেন, সংস্কৃতি হচ্ছে জীবনের দর্পণ এবং সংস্কৃতিই ব্যক্তি, জাতি ও দেশের প্রকৃত পরিচয় বহন করে। তথ্যের অবাধ প্রবাহের ফলে সারা বিশ্ব এখন একটি গ্রামে পরিণত হয়েছে। আকাশ সংস্কৃতির ডামাডোলে গা ভাসিয়ে দিলে চলবে না। গ্রাম-শহর নির্বিশেষে তথ্য-প্রযুক্তি এখন সবার জীবনে প্রভাব ফেলেছে। আকাশ সংস্কৃতি বিভিন্ন দেশ ও জাতির সংস্কৃতিতে দ্রুত প্রভাবও বিস্তার করছে।

তরুণ প্রজন্মকে বাংলার প্রাচুর্যে ভরা সাহিত্য-সংস্কৃতির সাথে পরিচয় করাতে সাহিত্যিক, নাট্যকার, নির্মাতা, সংগ্রাহক, গবেষকসহ বিভিন্ন ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানসহ সংশ্লিষ্ট সকলকে অনুরোধ জানিয়ে রাষ্ট্রপতি বলেন, ‘নতুন প্রজন্মকে ইতিহাস ও ঐতিহ্য সচেতন করে তোলার দায়িত্ব আমাদেরই। তাই প্রচলিত শিক্ষার পাশাপাশি তাদের শিকড়ের সন্ধান দিতে হবে, জানাতে হবে আমাদের গৌরবদীপ্ত অতীতের কথা।

দেশের চলমান উন্নয়ন প্রকল্পের প্রশংসা করে তিনি বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশ সামনে এগিয়ে যাচ্ছে । শিল্প, সাহিত্য ও সংস্কৃতিতেও এই উন্নয়নের ছোঁয়া স্পষ্ট।’ বৃহত্তর ময়মনসিংহের ঐতিহ্যবাহী লোকসংস্কৃতি ও দেশজ সংস্কৃতিকে জাতীয় পর্যায়ে তুলে ধরার লক্ষ্যে এ আয়োজনের প্রশংসা করেন তিনি।

বৃহত্তর ময়মনসিংহ সাংস্কৃতিক ফোরামের সভাপতি ও ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্য-প্রযুক্তি মন্ত্রী মোস্তফা জব্বার, সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী কে এম খালিদ, ময়মনসিংহ সাংস্কৃতিক ফোরামের জাতীয় কমিটির চেয়ারম্যান বিচারপতি মো. জাহাঙ্গীর হোসেন, বৃহত্তর ময়মনসিংহ সমিতির সভাপতি ও সাবেক মুখ্য সচিব মো. আবুল কালাম আজাদ, সাংস্কৃতিক উৎসব কমিটির আহ্বায়ক ম. হামিদ, বৃহত্তর ময়মনসিংহ সাংস্কৃতিক ফোরামের নির্বাহী সভাপতি ও সাবেক সিনিয়র সচিব আবদুস সামাদ, ময়মনসিংহ সাংস্কৃতিক ফোরামের সাধারণ সম্পাদক রাশেদুল হাসান শেলী প্রমুখ অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন।

;