ফের করোনা আক্রান্ত তথ্যমন্ত্রী



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
তথ্যমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ

তথ্যমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ

  • Font increase
  • Font Decrease

আবারও করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী এবং আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ।

রোববার পঞ্চগড়ে নৌকাডুবিতে স্বজনহারা মানুষদের মাঝে আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনার ত্রাণ ও অর্থসহায়তা বিতরণ শেষে ঢাকা ফিরে পরদিন যথারীতি দাফতরিক দায়িত্ব পালনকালে অসুস্থ অনুভব করেন মন্ত্রী।

মঙ্গলবার (৪ অক্টোবর) বিকেলে সচিবালয় ক্লিনিকের চিকিৎসকরা পরীক্ষা করে তার শরীরে বেশ জ্বর পান । তাদের পরামর্শে আইইডিসিআরের (ইনস্টিটিউট অব এপিডেমিওলজি, ডিজিজ কন্ট্রোল এন্ড রিসার্চ) মাধ্যমে টেস্ট করানো হয়। আজ রিপোর্টে দেখা যায় তিনি কোভিড পজিটিভ।

সপ্তাহের কর্মদিবসগুলোতে ঢাকা ও বিভিন্ন স্থানে রাষ্ট্রীয় ও দলীয় দায়িত্ব পালন শেষে প্রায় প্রতি সপ্তাহান্তে চট্টগ্রামে নিজ নির্বাচনী এলাকা সফরকারী ড. হাছান আগেও দু'বার করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন।

প্রথমবার বিএসএমএমইউতে ভর্তি অবস্থায়ই শেষ দিকে হাসপাতালেই নথিপত্র স্বাক্ষর করেছেন, পরের বার বাসাতেই ছিলেন। এবারও মিন্টো রোডের সরকারি বাসভবনে রয়েছেন মন্ত্রী।

ড. হাছান মাহমুদ করোনাক্রান্ত হলেও তিনি মোটামুটি সুস্থ আছেন এবং সকলের দোয়া চেয়েছেন।

   

খালেদা জিয়াকে রাজনীতির গিনিপিগ বানিয়েছে বিএনপি



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
খালেদা জিয়াকে রাজনীতির গিনিপিগ বানিয়েছে বিএনপি

খালেদা জিয়াকে রাজনীতির গিনিপিগ বানিয়েছে বিএনপি

  • Font increase
  • Font Decrease

তথ্যমন্ত্রী হাছান মাহমুদ এ দিন বলেন, ‘বিএনপি কয়েকদিন থেকে বলছে যে, বেগম খালেদা জিয়ার অধিকার লঙ্ঘন করা হচ্ছে। খালেদা জিয়া যতবার অসুস্থ হয়েছেন, বিএনপি বলেছে উনাকে বিদেশ না নিলে উনি মারা যাবেন। আর ততোবারই উনি হাসপাতাল থেকে ভালো হয়ে বাড়িতে ফেরত গেছেন।

সোমবার (২অক্টোবর) দুপুরে রাজধানীর জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে ‘মায়ের কান্না’ সংগঠন আয়োজিত মানববন্ধনে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি এই মন্তব্য করেন।

অনুষ্ঠানে সম্প্রচারমন্ত্রী বলেন, আসলে বেগম খালেদা জিয়াকে যেভাবে উপস্থাপন করা হচ্ছে, তাতে করে বেগম জিয়াকে বিএনপি গিনিপিগ বানিয়েছে, রাজনীতির দাবার গুটি বানিয়েছে। আসলে বেগম খালেদা জিয়া সুস্থ হোক সেটা তারা চায় না। তারা চায় বেগম জিয়া আরো অসুস্থ থাকুক, যাতে তারা রাজনীতিটা করতে পারে। আমরা এ দেশের সাবেক প্রধানমন্ত্রী তার সর্বোচ্চ চিকিৎসা নিশ্চিত করার জন্য সরকার সর্বোতভাবে কাজ করছে। বিদেশ নেওয়াটা আদালতের এখতিয়ার। আদালতের আদেশ ছাড়া তিনি তো বিদেশ যেতে পারেন না। সুতরাং এ নিয়ে দয়া করে রাজনীতি করবেন না।

সম্প্রচারমন্ত্রী বলেন, দেশে আবার সন্ত্রাস করার পরিকল্পনা করা হয়েছে। বিএনপি আবার অগ্নিসন্ত্রাস, সন্ত্রাসের পরিকল্পনা গ্রহণ করেছে। এভাবে উঠে, বসে, দৌড়ে, কিম্বা হামাগুড়ি দিয়ে, ক’দিন হাঁটা কর্মসূচি, ক’দিন বসা কর্মসূচি, ক’দিন দাঁড়ানো কর্মসূচি দিয়ে মানুষকে যে সম্পৃক্ত করা যায় নাই সেটি তারা বুঝতে পেরেছে। তাই এখন দেশকে অস্থিতিশীল করার জন্য, বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করার জন্য এবং বিশ্ববেনিয়ারা যাতে ফায়দা লুটতে পারে সে জন্য তারা সন্ত্রাসের পরিকল্পনা করছে।

তিনি আরও বলেন, আমি দ্ব্যর্থহীনভাবে বলে দিতে চাই, আওয়ামী লীগ রাজপথে আছে, রাজপথে থাকবে, কাউকে আর ২০১৩-১৪-১৫ সালের মতো বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করতে দেওয়া হবে না। জনগণকে সাথে নিয়ে তাদেরকে কঠোর হস্তে দমন করা হবে।

;

স্ত্রী হত্যার ৯ বছর পর গ্রেফতার স্বামী



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, চট্টগ্রাম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

চট্টগ্রামের পাহাড়তলীতে স্ত্রীকে হত্যা করে প্লাস্টিকের ড্রামে মরদেহ গুম করে রাখা মামলায় আবুল হোসেন লিটনকে (৪৫) দীর্ঘ ৯ বছর পর গ্রেফতার করেছে র‌্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র‌্যাব)।

রোববার (১ অক্টোবর) ফেনীর সোনাগাজী থানাধীন রাঘবপুর এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেফতার করা হয়৷

গ্রেফতার আবুল হোসেন লিটন ফেনীর সোনাগাজী থানার রাঘবপুর এলাকা মৃত হাফেজ আহম্মদের ছেলে।

র‌্যাব জানায়, নিহত ভুক্তভোগী নাসিমা বেগম (২৬) বাগেরহাট জেলার সদর থানার মৌজারডাঙ্গা গ্রামের মেয়ে। ২০০৮ সালে নিহত নাসিমার সঙ্গে পার্শ্ববর্তী এলাকায় মো. কামরুল ইসলামের বিয়ে হয়। এর ২ বছর পর তাদের একটি কন্যা সন্তান জন্ম হয় এবং এর ২/৩ মাস পর তাদের বিবাহ বিচ্ছেদ হয়ে যায়। পরে নাসিমা নিরুপায় হয়ে সন্তানকে তার নানীর কাছে রেখে চট্টগ্রামে বসবাসরত ভাই মো. সেলিম হোসেনের ভাড়া বাসায় থেকে স্থানীয় গার্মেন্টসে চাকরি নেন। গার্মেন্টেসে চাকরি করার সময় আবুল হোসেন লিটনের সাথে পরিচয় হয় এবং প্রেমের সম্পর্ক গড়ে উঠে।

পরবর্তীতে নাসিমা তার পরিবারের কাউকে না জানিয়ে ২০১৩ সালে লিটনকে বিয়ে করেন। বিয়ের ১৫/২০ দিন পর নিহত নাসিমা তার বড় ভাইকে জানায় যে, লিটনকে বিবাহ করে চট্টগ্রামের পাহাড়তলী থানাধীন গ্রীনভিউ এলাকায় বাসা ভাড়া নিয়ে বসবাস করছেন। বোনের বিবাহের কথা শুনে নিহত নাসিমার ছোট ভাই হিরণ শেখ ওই বাসায় বেড়াতে আসলে তার বোনের স্বামী লিটনের পূবের্র বিয়ে এবং তার ৭ বছরের একটি কন্যা সন্তানের কথা জানাজানি হয়। এ নিয়ে স্বামী লিটনের সঙ্গে নাসোমার ঝগড়াঝাটি হয়।

এরপর ২০১৪ সালের ৩১ মার্চ ভুক্তভোগী নাসিমার ছোট ভাই তার ব্যবহৃত মোবাইল বার বার ফোন দিলেও ফোন রিসিভ না করা এবং পরে নাসিমার মোবাইল নাম্বারটি বন্ধ পায়। লিটনকে ফোন করলে জানায় যে, তোমার বোনের সাথে ঝগড়া হয়েছে সে বাহিরে আছে। তখন বোন বাসায় আসলে কথা বলার জন্য অনুরোধ করেন। পরবর্তীতে নাসিমার ছোট ভাই হিরণ শেখ রাতে ফোন দিলে বোন জামাই লিটনকে জানায় যে, তোমার বোন ঘুমাচ্ছে ফোন দেওয়া যাবে না। 

বিষয়টি নিয়ে তাদের সন্দেহ হলে একই বছর ৪ এপ্রিল বাগেরহাট থেকে নাসিমার বড় ভাই শেখ মো. হুমায়ন কবির ও ছোট ভাই হিরণ এবং বড় বোন সেলিনা বেগম সকালে চট্টগ্রাম এসে সবাই একত্রে পাহাড়তলীর ৫ নম্বর রোডের মো. ইসমাইল মজুমদারের বাড়ির ৬ষ্ঠ তালার বাড়া বাসায় গিয়ে তালা বন্ধ দেখতে পায়। তখন ওই বাসায় ৬ষ্ঠ তলায় স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে ঝগড়া হয়েছে এবং দুইদিন আগে লিটন তার পূর্বের স্ত্রীর ঘরের মেয়েকে নিয়ে গ্রামের বাড়িতে গেছে বলে বাসার মালিক মো. ইসমাইল মজুমদার জানায়।

তখন নিহত নাসিমার ভাই ও বোনেরা মিলে ঘরের দরজা বন্ধ দেখে পার্শ্বের খোলা জানালা দিয়ে ভেরের দিকে দেখতে গিয়ে ঘরের ভেতর থেকে দুর্গন্ধ বেরোচ্ছিল। এ ব্যাপারে তাদের মনে সন্দেহ হলে স্থানীয় থানা পুলিশকে অবহিত করে। পুলিশ এসে মালিকের নিকট থেকে অতিরিক্ত চাবি নিয়ে বাসার তালা খোলে ভেতরে প্রবেশ করে রান্না ঘরে রংয়ের প্লাস্টিকের পানির ড্রামের ভিতর থেকে পঁচা অবস্থায় নাসিমার মরদেহ উদ্ধার করেন। নৃশংস ও জঘন্য এই হত্যার ঘটনাটি তখন ব্যাপক আলোড়ন সৃষ্টি করে।

এ ঘটনায় নিহত নাসিমার ভাই মো. সেলিম হোসেন (৩৩) বাদী হয়ে নগরীর পাহাড়তলী থানায় বোনের জাসাই লিটনকে আসামি করে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। মামলাটির তদন্ত শেষে বিজ্ঞ আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করলে আদালত মামলাটির বিচার কার্যক্রম শুরু করে এবং আসামি লিটনের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেন।

এসব তথ্য নিশ্চিত করে র‌্যাব-৭ এর জ্যেষ্ঠ সহকারী পরিচালক (গণমাধ্যম) তাপস কর্মকার বলেন, আলোচিত ও জঘন্য এ হত্যা মামলায় দীর্ঘদিন পলাতক আসামি আবুল হোসেন লিটনকে ফেনীতে আত্মগোপন থাকা অবস্থা গ্রেফতার করা হয়। পরে জিজ্ঞাসাবাদে লিটন জানায়, সে তার ২য় স্ত্রীকে ঝগড়াঝাটির একপর্যায়ে তাকে হত্যা করে পানি রাখার প্লাস্টিকের ড্রামের ভিতরে গুম করে রেখেছিলো যেন কেউ জানতে না পারে।

গ্রেফতারকৃত আসামি সংক্রান্তে পরবর্তী আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের নিমিত্তে সংশ্লিষ্ট থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে বলে জানান এই কর্মকর্তা।

;

ভোলায় বাঁধ ধসে নারীর মৃত্যু



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ভোলা
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

ভোলার ইলিশায় শহর রক্ষা বাঁধের ব্লক ধসে লাইজু বেগম (৪০) নামে এক নারীর মৃত্যু হয়েছে। এসময় আহত হয়েছেন কমপক্ষে আরও ৫ জন।

সোমবার (২ অক্টোবর) দুপুর ১ টার দিকে ব্লক ধসের এ ঘটনা ঘটে।

ভোলা সদর মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ শাহীন ফকির জানিয়েছেন, ইলিশা লঞ্চঘাটের মাঝখানের পন্টুন এলাকার ৪০ মিটার ব্লক হঠাৎ করে নিচের দিকে দেবে যায়। এসময় তীরে জেলের বেঁধে রাখা ট্রলারের ওপর ব্লক ধসে পড়লে মাছ কুড়াতে আসা লাইজু বেগম (৪০) নামে এক নারী ঘটনাস্থলেই মারা যান এবং নৌকায় থাকা আরও ৫ জন আহত হন।

ভোলার পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মোঃ হাসানুজ্জামান জানিয়েছেন, আজ দুপুরে হঠাৎ করেই ৪০ মিটার দৈর্ঘ্যের সিসি ব্লক নদীতে দেবে যায়। ইতিমধ্যে পানি উন্নয়ন বোর্ডের যে সার্ভে টিম রয়েছে, তারা ঘটনাস্থলে এসে পৌঁছেছে। সার্ভে করে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে বিষয়টি জানানো হবে। এছাড়া, পরবর্তীতে এরকম ঘটনার পুনরাবৃত্তি যেন না ঘটে সেজন্য এখানে জিও ব্যাগ ডাম্পিং করা হবে।

;

পিকআপ থেকে ছিটকে পড়ে শ্রমিকের মৃত্যু



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, সিলেট
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

সিলেট মহানগরীর দক্ষিণ সুরমায় পিকআপ থেকে ছিটকে পড়ে মোঃ সবুজ মিয়া নামে এক শ্রমিকের মৃত্যু হয়েছে। 

সোমবার (২ অক্টোবর) সকালে নগরীর কাজিরবাজার সেতুর দক্ষিণ প্রান্তে এ ঘটনা ঘটে।

নিহত সবুজ মিয়া (৩৫) ওসমানী নগরের গোয়ালাবাজার এলাকার জায়ফরপুর গ্রামের ওসমান মিয়ার ছেলে।

বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন দক্ষিণ সুরমা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. শামসুদ্দোহা (পিপিএম)।

পুলিশ জানায়, দক্ষিণ সুরমার কদমতলী থেকে পান বোঝাই করে একটি পিকআপ (সিলেট মেট্টো ন-১১-১৮৪৫) কাজিরবাজারে আসছিল। পিকআপটি কাজিরবাজার সেতুর দক্ষিণ প্রান্তে আসামাত্র সড়কের উপর থাকা ক্রসিং বারে লেগে পিকআপ থেকে ছিটকে পড়ে গুরুতর আহত হন সবুজ। পিকআপের চালক ও পথচারীরা তাকে উদ্ধার করে এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসকরা তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

পুলিশ আরও জানায়, সবুজ সেই পিকআপে ভর্তি পান নামিয়ে দেওয়ার চুক্তি করেছিলেন। তাই কদমতলী থেকে তিনি পিকআপের উপরে করে কাজিরবাজার আসছিলেন। পথিমধ্যে দুর্ঘটনাটি ঘটে।

এবিষয়ে দক্ষিণ সুরমা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোঃ শামসুদ্দোহা (পিপিএম) জানান, লাশ ময়না তদন্ত শেষে পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। এবিষয়ে এখনো কোনো অভিযোগ দায়ের করা হয়নি।

 

 

;