রংপুরে আ.লীগ প্রার্থীর ৩০ হাজার, বিদ্রোহীর আয় ১৮ কোটি টাকা



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, রংপুর
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

রংপুর জেলা পরিষদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগ মনোনীত চেয়ারম্যান প্রার্থী ও বিদ্রোহী প্রার্থীর নগদ টাকার পরিমাণ নিয়ে সর্বত্র আলোচনা চলছে। শুধু তাই নয়, তাদের বার্ষিক আয় ও শিক্ষাগত যোগ্যতাসহ নির্বাচন কমিশনে দাখিল করা হলফনামার তথ্য নিয়ে চলছে বিশ্লেষণ।

হলফনামায় আওয়ামী লীগ মনোনীত চেয়ারম্যান প্রার্থী ইলিয়াছ আহমেদের নগদ টাকা ৩০ হাজার এবং আওয়ামী লীগ থেকে সদ্য বহিষ্কৃত বিদ্রোহী প্রার্থী মোছাদ্দেক হোসেন বাবলুর নগদ টাকা ১৮ কোটি ৬৪ লাখ ৮০ হাজার ৫২৪ টাকা বলে উল্লেখ করা হয়েছে।

নির্বাচন কমিশনের দাখিল করা হলফনামা সূত্রে জানা গেছে, দুই প্রার্থীর মধ্যে ইলিয়াছ আহমেদের বার্ষিক আয় ১১ লাখ ৭০ হাজার টাকা আর মোছাদ্দেক হোসেনের আয় ২৪ লাখ ২৯ হাজার ১০১ টাকা। শিক্ষাগত যোগ্যতায় আওয়ামী লীগের প্রার্থী এলএলবি পাস ও পেশায় আইনজীবী। আর বিদ্রোহী প্রার্থী এসএসসি পাস ও পেশায় ব্যবসায়ী।

ইলিয়াছ আহমেদের কৃষি খাতে আয় দেখানো হয়েছে ১ লাখ টাকা, পেশা থেকে আয় ২ লাখ ৬০ হাজার টাকা ও মুক্তিযোদ্ধা ভাতা ২ লাখ ৪০ হাজার টাকা। ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানে জমাকৃত অর্থ ৪ লাখ ১০ হাজার টাকা, স্ত্রীর নামে পোস্টাল সেভিংস রয়েছে ৫ লাখ টাকা, স্বর্ণ ও মূল্যবান ধাতু রয়েছে ৬ ভরি, নিজের নামে ১০ বিঘা ও স্ত্রীর নামে ২০ বিঘা কৃষি জমি রয়েছে।

এ ছাড়া অকৃষি জমি ৩০ শতক, গ্রামে দোতলা বাড়ি এবং স্ত্রীর নামে টিনসেড বাড়ি রয়েছে। তার মুক্তিযোদ্ধা ঋণ রয়েছে ১০ লাখ টাকা।

হলফনামা অনুয়ায়ী মোছাদ্দেক হোসেন বাবলুর আত্মীয় স্বজনদের থেকে ধার অথবা কর্জ নেই। কৃষিখাতে তার রয়েছে ২৭ হাজার ২৯০ টাকার সম্পত্তি। বাড়ি, অ্যাপার্টমেন্ট, দোকানসহ অন্য ভাড়া বাবদ আয় রয়েছে ৯ লাখ ৮৭ হাজার ৭৬০ টাকা। ব্যবসা বাবদ আয় রয়েছে ১৪ লাখ ১৪ হাজার ৫১ টাকা। বন্ড, ঋণপত্র, একচেঞ্জ ইত্যাদিতে রয়েছে ১ কোটি ৫৩ লাখ ৪৩ হাজার টাকা।

বাস, ট্রাক, ছোট গাড়ি ইত্যদি বাবদ দেখানো হয়েছে ৩৫ লাখ টাকা। স্বর্ণ অন্য মূল্যবান পাথর রয়েছে ৫৫ হাজার টাকার। ইলেক্টনিক্স সামগ্রী রয়েছে ১ লাখ টাকার। আসবাবপত্র ১৫ হাজার টাকা। কৃষি জমি রয়েছে ৫৮ লাখ ৩ হাজার ২৫০ টাকার। এছাড়া অকৃষি জমি রয়েছে ১ কোটি ১৫ লাখ ৪৮ হাজার ৬৭০ টাকার। দালান, আবাসিক ও বাণিজ্যিক ভবন রয়েছে ১৫ কোটি ৮০ লাখ ২৩ হাজার ৪৯৬ টাকার। বাড়ি-অ্যাপার্টমেন্ট ১ কোটি ৫৫ লাখ, ৪০ হাজার ৪৫০ টাকার। অন্য ১ লাখ ৩০ হাজার ৯৫৬ টাকা। অপরদিকে তার জামানতবিহীন ঋণ ৫০ লাখ এবং ব্যাংকে ঋণ রয়েছে ১৯ কোটি ২৩ লাখ ৫১ হাজার ১৯৩ টাকা।

খোঁজ নিয়ে জানা যায়, বীর মুক্তিযোদ্ধা ইলিয়াছ আহমেদ ১৯৭১ সালের স্বাধীন বাংলা ছাত্র সংগ্রাম পরিষদের অন্যতম নেতা ছিলেন। স্বাধীনতার আগে তিনি রংপুর সদর (মহকুমা) জেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক, রংপুর জেলা ছাত্রলীগের সহ-সাধারণ সস্পাদক, রংপুর সরকারি কলেজের ছাত্র সংসদের ভিপি ছিলেন।

তিনি ১৯৭১ সালের ২৩ মার্চ ডিসি অফিসে জাতীয় পতাকা উত্তোলন করেন। মুক্তিযুদ্ধকালীন রংপুর ক্যান্টনমেন্ট ঘেরাওয়ের অন্যতম সংগঠক ছিলেন। স্বাধীনতার পর যুবলীগের প্রতিষ্ঠাতা সদস্য তিনি, জেলা সভাপতি, সাধারণ সম্পাদক ও কেন্দ্রীয় যুবলীগের সদস্য এবং সহ-যুব সম্পাদক ছিলেন। আওয়ামী লীগের প্রবীণ এ নেতা ২০ বছর রংপুর জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করেছেন। বর্তমানে তিনি জেলা আওয়ামী লীগের সিনিয়র সহ-সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন।

এদিকে তার প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী বীর মুক্তিযোদ্ধা মোছাদ্দেক হোসেন বাবলু রংপুর জেলা আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা ও যুগ্ম আহবায়ক ছিলেন। এই নির্বাচনকে ঘিরে দল থেকে তাকে বহিষ্কার করা হয়েছে। ১২ বছর মুক্তিযোদ্ধা সংসদ কমান্ডের জেলার কমান্ডার হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন মোছাদ্দেক হোসেন বাবলু । এ ছাড়া তিনি রংপুর চেম্বার অব কর্মাস অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির প্রেসিডেন্ট ও এফবিসিসিআইয়ের পরিচালক ছিলেন।

প্রসঙ্গত, আগামী ১৭ অক্টোবর জেলা পরিষদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী বীর মুক্তিযোদ্ধা অ্যাডভোকেট ইলিয়াস আহমেদ আনারস প্রতীকে এবং বিদ্রোহী প্রার্থী হিসেবে মোটরসাইকেল প্রতীকে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন রংপুর জেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের সাবেক কমান্ডার মোছাদ্দেক হোসেন বাবলু। বিদ্রোহী প্রার্থী হওয়ায় ইতিমধ্যে তাকে প্রাথমিক সদস্যপদসহ আ.লীগের সকল পদ থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে। এ নির্বাচনে জেলার ১০৯৫ জন ভোটার তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করবেন।

   

প্রথম ধাপে প্রাথমিকের শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষা ৮ ডিসেম্বর, প্রবেশপত্র মিলবে শনিবার



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রথম ধাপে রংপুর, বরিশাল ও সিলেট বিভাগের সহকারি শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষা আগামী ৮ ডিসেম্বর অনুষ্ঠিত হবে।

বৃহস্পতিবার (৩০ নভেম্বর) প্রাথমিক শিক্ষা অধিদফতরের মহাপরিচালক (ডিজি) শাহ রেজওয়ান হায়াতের সই করা বিজ্ঞপ্তিতে এ নির্দেশনা দেওয়া হয়।

এতে উল্লেখ করা হয়, সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক পদে নিয়োগের লক্ষ্যে লিখিত পরীক্ষা আগামী ৮ ডিসেম্বর সকাল ১০টা থেকে বেলা ১১টা পর্যন্ত আবেদনকারীদের নিজ নিজ জেলায় অনুষ্ঠিত হবে। পরীক্ষার্থীদের অবশ্যই সকাল ৯টার মধ্যে কেন্দ্রে প্রবেশ করতে হবে।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, প্রার্থীদের আবেদনে উল্লেখিত মোবাইল নম্বরে যথাসময়ে ০১৫৫২১৪৬০৫৬ নম্বর থেকে প্রবেশপত্র ডাউনলোডের এসএমএস পাঠানো করা হবে। আগামী ৮ ডিসেম্বর অনুষ্ঠিতব্য প্রথম ধাপের পরীক্ষার জন্য প্রার্থীরা ২ ডিসেম্বর থেকে প্রবেশপত্র ডাউনলোড করে রঙিন প্রিন্ট কপি সংগ্রহ করতে পারবেন।

এক্ষেত্রে admit.dpe.gov.bd-এই ওয়েবসাইটে ঢুকে ইউজারনেম এবং পাসওয়ার্ড দিয়ে অথবা এসএসসির রোল, বোর্ড ও পাসের সন দিয়ে লগইন করে প্রবেশপত্র ডাউনলোড করা যাবে। ৮ ডিসেম্বরই প্রথম ধাপের পরীক্ষা, প্রবেশপত্র মিলবে শনিবার (২ ডিসেম্বর)।

পরীক্ষায় অংশগ্রহণের জন্য প্রার্থীদের অবশ্যই ডাউনলোডকৃত প্রবেশপত্রের রঙিন প্রিন্ট এবং নিজের জাতীয় পরিচয়পত্র (এনআইডি/স্মার্ট কার্ড) সঙ্গে আনতে হবে। ওএমআর শিট পূরণের নির্দেশাবলি এবং পরীক্ষা সংক্রান্ত অন্যান্য তথ্য প্রবেশপত্রে উল্লেখ থাকবে।

এদিকে, অন্যবারের মতো এবারও পরীক্ষাকেন্দ্রে কোনো বই, উত্তরপত্র, নোট বা অন্য কোনো কাগজপত্র, ক্যালকুলেটর, মোবাইল ফোন, ভ্যানিটি ব্যাগ, পার্স, হাতঘড়ি বা ঘড়িজাতীয় বস্তু, ইলেকট্রনিক হাতঘড়ি বা যে কোনো ধরনের ইলেকট্রনিক ডিভাইস, কমিউনিকেটিভ ডিভাইস বা এ জাতীয় বস্তু সঙ্গে নিয়ে প্রবেশ করা বা সঙ্গে রাখা সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ। যদি কোনো পরীক্ষার্থী এসব সঙ্গে নিয়ে পরীক্ষা কেন্দ্রে প্রবেশ করেন তাকে তাৎক্ষণিক বহিষ্কারসহ আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় সূত্র জানায়, প্রথম ধাপে রংপুর, বরিশাল ও সিলেট বিভাগের ১৮ জেলার ৫৩৫টি কেন্দ্রে লিখিত পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে। এ ধাপে পরীক্ষার্থীর সংখ্যা ৩ লাখ ৬০ হাজার ৬৯৭ জন।

;

স্বতন্ত্র প্রার্থীর বিরুদ্ধে দলীয় প্রার্থীর সমর্থকদের ঝাড়ু মিছিল



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, চট্টগ্রাম
ঝাড়ু মিছিল

ঝাড়ু মিছিল

  • Font increase
  • Font Decrease

চট্টগ্রাম-১৫ (সাতকানিয়া-লোহাগাড়া) সংসদীয় আসন থেকে দলের মনোনয়ন বঞ্চিত স্বতন্ত্র প্রার্থী ও সাতকানিয়া উপজেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি এম এ মোতালেবের বিরুদ্ধে ঝাড়ু মিছিল ও প্রতিবাদ সমাবেশ করেছে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী প্রফেসর ড. আবু রেজা মুহাম্মদ নেজামউদ্দিন নদভীর সমর্থকরা।

বৃহস্পতিবার (৩০ নভেম্বর) বিকেলে চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়কের কেরানীহাটে লোহাগড়া আওয়ামী লীগ ও অঙ্গ সংগঠনের ব্যানারে এ কর্মসূচি পালন করা হয়। নৌকা প্রতীকের সমর্থকরা প্রথমে কেরানীহাট হক টাওয়ার প্রাঙ্গণে এসে জমায়েত হয়। পরে ঝাড়ু মিছিল নিয়ে মহাসড়ক প্রদক্ষিণ করে কেরানীহাট-বান্দরবান রাস্তার মাথায় এসে সংক্ষিপ্ত প্রতিবাদ সমাবেশ করে।

এসময় বক্তারা এম.এ মোতালেবকে সাতকানিয়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতির পদ থেকে পদত্যাগ করার দাবি জানায়। এবং লোহাগাড়া-সাতকানিয়া অবঞ্চিত ঘোষণা, লোহাগাড়ার মাটি ড. আবু রেজা মুহাম্মদ নেজামুদ্দিন নদভীর ঘাঁটি ইত্যাদি স্লোগান দেন।

মিছিলে নারী-পুরুষসহ লোহাগাড়া আওয়ামী লীগের একাংশের নেতাকর্মীরা অংশগ্রহণ করে।

এঘটনায় তাৎক্ষণিক সংবাদ সম্মেলনে চট্টগ্রাম-১৫ (সাতকানিয়া-লোহাগাড়া) আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থী ও সাতকানিয়া উপজেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি এম এ মোতালেব বলেন, দলের সভাপতি বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনার ঘোষণা অনুযায়ী স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে নির্বাচনে অংশগ্রহণ করছি। নৌকার প্রার্থীর সমর্থকরা যেভাবে অশালীন আচরণ করছেন, লাঠিসোঁটা নিয়ে মিছিল করেছেন, আমার কুশপুত্তলিকা পুড়িয়েছেন, আমার ছবি পুড়িয়েছেন, সেটার নিন্দা জানানোর ভাষা আমার জানা নেই।

তিনি বলেন, আমার সঙ্গে দেখা করে যাওয়ার পথে আমার সমর্থকদের দেওদিঘীতে নৌকার প্রার্থীর ভাতিজার নেতৃত্বে আটকে রাখা হয়েছে, পরে পুলিশ প্রশাসন গিয়ে তাদের উদ্ধার করেছে। আজকে মনোনয়ন জমা দিয়েছি এই মুহূর্ত হতে যদি এই ধরনের কর্মকাণ্ড ঘটানো হয় সেটা জনগণ মেনে নিবে না।

'তারা নির্বাচনী আচরণবিধি লঙ্ঘন করেছেন, যদি আগামীতে এই ধরনের আচরণ করে পরিস্থিতি ঘোলাটে করার চেষ্টা করে তাহলে আমরা আইনের আশ্রয় নিবো এবং নির্বাচন কমিশনকে জানাব বলেন তিনি।

এ ঘটনার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়ে মোতালেব আরও বলেন, আমরা এই ধরনের কার্যক্রম চাই না, আমরা চাই সুষ্ঠু ও সুন্দর নির্বাচন। ভোটের যে ফলাফল হয় সেটা আমরা মেনে নিব। তারা যে উচ্ছৃঙ্খল আচরণ করেছেন তার জবাব আমরা তাদের মত উচ্ছৃঙ্খল ভাবে দিব না, তাদের সকল উচ্ছৃঙ্খলতার জবাব আগামী ৭ জানুয়ারি ব্যালটের মাধ্যমেই দেওয়া হবে ইনশাআল্লাহ।

সংবাদ সম্মেলনে চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগের একাধিক নেতাসহ স্থানীয় নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।

;

এলো গৌরবদীপ্ত বিজয়ের মাস



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

শুরু হলো মহান মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে অর্জিত বিজয়ের মাস ডিসেম্বর। ৩০ লাখ শহীদ আর ২ লাখ মা-বোনের সম্ভ্রমহানির বিনিময়ে অর্জিত স্বাধীনতার সাক্ষর বিজয়ের মাস নানান অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে উদযাপিত হবে।

বাংলাদেশের ইতিহাসে সবচেয়ে শ্রেষ্ঠ ঘটনা হলো একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধ। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নেতৃত্বে সশস্ত্র স্বাধীনতা সংগ্রামের এক ঐতিহাসিক পরিক্রমায় বাঙালি জাতির কয়েক হাজার বছরের সামাজিক, রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক মুক্তির স্বপ্ন পূরণ হয় এ মাসে।

মুক্তিযুদ্ধের অবিস্মরণীয় গৌরবদীপ্ত চূড়ান্ত বিজয় আসে এ মাসের ১৬ ডিসেম্বর। স্বাধীন জাতি হিসেবে বিশ্বে আত্মপরিচয় লাভ করে বাঙালিরা। অর্জন করে নিজস্ব ভূ-খণ্ড আর সবুজের বুকে লাল সূর্য খচিত নিজস্ব জাতীয় পতাকা। ভাষার ভিত্তিতে যে জাতীয়তাবাদ গড়ে উঠেছিল, এক রক্তক্ষয়ী যুদ্ধের পর বিজয়ের মাধ্যমে ঘোষিত স্বাধীনতা পূর্ণতা পায় এ দিনে।

বাঙালির হাজার বছরের স্বপ্নপূরণ হবার পাশাপাশি বহু তরতাজা প্রাণ বিসর্জন আর মা-বোনের সম্ভ্রমের বিনিময়ে এই অর্জন হওয়ায় বেদনাবিধূর এক শোকগাঁথার মাসও এই ডিসেম্বর।

এ মাসেই স্বাধীনতা বিরোধী শক্তি তাদের এদেশীয় দোসর রাজাকার-আলবদর আল-শামসদের সহযোগিতায় হানাদার গোষ্ঠী দেশের মেধাবী, শ্রেষ্ঠ সন্তান-বুদ্ধিজীবী হত্যার নৃশংস হত্যাযজ্ঞে মেতে উঠেছিল। সমগ্র জাতিকে মেধাহীন করে দেয়ার এধরনের ঘৃণ্য হত্যাযজ্ঞের দ্বিতীয় কোন নজির বিশ্বে নেই।

১৯৭১ সালের ডিসেম্বর মাসের শুরু থেকেই মুক্তিযোদ্ধাদের গেরিলা আক্রমণ আর ভারতীয় মিত্রবাহিনীর সমন্বয়ে গঠিত যৌথবাহিনীর জল, স্থল আর আকাশপথে সাঁড়াশি আক্রমণের মুখে বর্বর পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর পরাজয়ের খবর চারদিক থেকে ভেসে আসতে থাকে। ১৬ ডিসেম্বর ঢাকার ঐতিহাসিক রেসকোর্স ময়দানে (বর্তমান সোহরাওয়ার্দী উদ্যান) পাকিস্তানি বাহিনী আত্মসমর্পণ করতে বাধ্য হয়। যেখান থেকে ৭ মার্চ স্বাধীনতার স্থপতি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ‘এবারের সংগ্রাম আমাদের মুক্তির সংগ্রাম, এবারের সংগ্রাম স্বাধীনতার সংগ্রাম,’ বলে স্বাধীনতার ডাক দিয়েছিলেন, সেখানেই পরাজয়ের দলিলে স্বাক্ষর করেন পাকিস্তানি জেনারেল নিয়াজী। ৯ মাসের রক্তক্ষয়ী মুক্তিযুদ্ধের চূড়ান্ত বিজয় অর্জিত হয়। আর জাতি অর্জন করে হাজার বছরের স্বপ্নের স্বাধীনতা।

বঙ্গবন্ধু একাত্তরের ২৫ মার্চ রাতে পাক বাহিনীর হাতে গ্রেফতার হবার আগে আনুষ্ঠানিকভাবে স্বাধীনতার ঘোষণা দেন এবং তার ডাকে বাঙালি জাতি ঐক্যবদ্ধভাবে মুক্তিযুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়ে। দীর্ঘ ৯ মাসের সশস্ত্র জনযুদ্ধে ১৬ ডিসেম্বর জাতির চূড়ান্ত বিজয় অর্জিত হয়।

মহান এ বিজয়ের মাস উদযাপনে জাতীয় কর্মসূচির পাশাপাশি বিভিন্ন রাজনৈতিক, সামাজিক, সাংস্কৃতিক ও পেশাজীবী সংগঠনের পক্ষ থেকে বিস্তারিত কর্মসূচি নেওয়া হয়েছে।

;

টঙ্গীতে কাভার্ডভ্যানে আগুন



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
টঙ্গীতে কাভার্ডভ্যানে আগুন

টঙ্গীতে কাভার্ডভ্যানে আগুন

  • Font increase
  • Font Decrease

সরকারের পদত্যাগের এক দফা দাবিতে বিএনপি ডাকা হরতালের রাতে গাজীপুরের টঙ্গীতে একটি কাভার্ডভ্যানে আগুন দিয়েছে দুর্বৃত্তরা।

বৃহস্পতিবার (৩০ নভেম্বর) রাত সোয়া ১০টার দিকে টঙ্গীর মেঘনা রোডে এ ঘটনা ঘটে।

ফায়ার সার্ভিস মিডিয়া সেলের উপসহকারী পরিচালক শাহজাহান সিকদার এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

তিনি জানান, আগুন লাগার খবর পেয়ে ১০টা ২০ মিনিটে টঙ্গী ফায়ার স্টেশনের ২টি ইউনিট ঘটনাস্থলে গিয়ে অগ্নিনির্বাপণের কাজ করছে।

তাৎক্ষণিকভাবে এ ঘটনায় হতাহতের কোনো খবর পাওয়া যায়নি।

;