পানির গুণগতমান পরীক্ষা, প্রকল্প পরিচালকের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার সুপারিশ



সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
পানির গুণগতমান পরীক্ষা, প্রকল্প পরিচালকের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার সুপারিশ

পানির গুণগতমান পরীক্ষা, প্রকল্প পরিচালকের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার সুপারিশ

  • Font increase
  • Font Decrease

প্রকল্পে অনিয়মের কারণে আটকে আছে স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তর কর্তৃক বাস্তবায়নাধীন ‘ওয়াটার কোয়ালিটি টেস্ট ম্যানেজমেন্ট স্ট্রেনদেনিং প্রজেক্ট’ (পানির গুণগতমান পরীক্ষা ব্যবস্থাপনা শক্তিশালীকরণ)। প্রকল্পে নানা অনিয়মের কারণে স্থানীয় সরকার পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয় গঠিত তদন্ত কমিটি প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে বলা হয়েছে।

অনিয়মের বিষয়ে দরপত্র পুন:মূল্যায়ন এবং দরপত্রে অংশগ্রহণকারীদের আইনগত প্রতিকার দেয়াসহ ৫ দফা সুপারিশ করা হয়েছে।

সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, ওয়াটার কোয়ালিটি টেস্ট ম্যানেজমেন্ট স্ট্রেনদেনিং প্রজেক্টের আওতায় টেন্ডারে অংশগ্রহণকারী প্রতিষ্ঠান স্টার্লিং মাল্টি টেকনোলজিস লিমিটেড (টেন্ডার আইডি ৬৪৭২৮ এবং ৬৪৬৯২৪) ব্যাপক অনিয়মের অভিযোগ তোলে। সর্বনিম্ন দরে ৫ম স্থানে থেকেও তাদেরকে বাদ দিয়ে দুর্নীতি ও অনিয়মের মাধ্যমে ৭ম স্থানে প্রতিষ্ঠানকে মনোনীত করা হয় বলে অভিযোগে উল্লেখ করা হয়। এরইপ্রেক্ষিতে বিষটি তদন্তে গত ৬ জুলাই তিন সদস্যের একটি কমিটি গঠন করে স্থানীয় সরকার বিভাগ।

তদন্ত কমিটির তিন সদস্য হলেন- স্থানীয় সরকার বিভাগের পানি সরবরাহ অনুবিভাগের অতিরিক্ত সচিব মো. খাইরুল ইসলাম, একই অনুবিভাগের যুগ্ম সচিব জসিম উদ্দিন এবং পরিকল্পনা-৩ শাখার উপ সচিব ড. বেলাল উদ্দিন। পরে সিনিয়র সহকারী সচিব (পাস-২) এ কে এম সাইফুল আলমকে কমিটিতে কো-অপ্ট করা হয়।

গত ২৭ জুলাই থেকে কাজ শুরু করে তদন্ত কমিটি। এ সময়ে ওই কমিটি অভিযোগকারী প্রতিষ্ঠান, প্রকল্প পরিচালক, জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তরের প্রধান প্রকৌশলীসহ সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে সরাসরি কথা বলেন এবং তথ্য-উপাত্ত পর্যালোচনা করে সম্প্রতি বিস্তারিত মতামত ও সুপারিশ সম্বলিত রিপোর্ট পেশ করেন। এতে অনিয়মের অভিযোগ প্রমাণিত হয়েছে এবং এই অনিয়মের সঙ্গে প্রধান প্রকৌশলী ও প্রকল্প পরিচালক উভয়ই জড়িত বলে মতামত দেয়া হয়েছে।

এর আগে গত ২৭ জুলাই তদন্ত কমিটির কাছে অভিযোগের বিষয়টি লিখিতভাবে জানায় ভুক্তভোগী প্রতিষ্ঠান স্টার্লিং মাল্টি টেকনোলজিস লিমিটেড।

এ বিষয়ে তদন্ত কমিটির প্রধান ও স্থানীয় সরকার বিভাগের অতিরিক্ত সচিব খায়রুল ইসলাম বরাবর দাখিল করা লিখিত অভিযোগে প্রতিষ্ঠানটির অপারেশন ম্যানেজার মো. শহিদুল ইসলাম বলেন, আমরা স্টার্লিং মাল্টি টেকনোলজিস লিমিটেড টেন্ডার আইডি ৬৪৭২৮ এবং ৬৪৬৯২৪ অংশগ্রহণ করি। টেন্ডার ওপেনিংয়ের সময় আমরা দেখতে পারি যে, আমরা সর্বনিম্ন দিক থেকে ৫ম অবস্থান করি। কিন্তু আমরা বিশ্বস্তসূত্রে জানতে পারি যে, সর্বনিম্ন দিক থেকে ৭ম অবস্থানকৃত টেকনোল্যাবকে মনোনীত করে রিপোর্ট প্রদান করা হয়। এজন্য আমরা টেন্ডার দুটি পুনর্মূল্যায়নের জন্য আবেদন করি।

টেন্ডারে অ্যাপ ভ্যালু ২২ কোটি ৫০ লাখ টাকা উল্লেখ করা হয়। কিন্তু বিশ্বস্ত সূত্রে জানতে পারি টেন্ডার বাজেট ২৮ কোটি ৮৪ লাখ ১৫ হাজার ৪০০ টাকা উল্লেখ করে টেকনোল্যাবকে মনোনীত করা হয়।

সূত্র জানায়, প্রকল্প পরিচালক এই টেন্ডার দুটির জন্য কোন টেকনিক্যাল কমিটি গঠন করেননি। একটি নির্দিষ্ট প্রতিষ্ঠানকে কাজ দেওয়ার জন্য তাদের স্পেসিফিকেশন হুবহু টেন্ডার প্রকাশ করে।

তিনি আরও বলেন, প্রকল্প পরিচালক বিভিন্ন মারফত আমাদের বিভিন্নভাবে হুমকি প্রদর্শন করেন এবং ব্যবসা করতে দেবে না যদি তার কথামত না চলি। অভিযোগ দেওয়ার পর তিনি আরও বেশি আমাদের ওপর ক্ষিপ্ত হয়ে আমাদের জানমালের হুমকি দেয়।

অভিযোগের বিষয়ে তদন্ত শেষে যে রিপোর্ট প্রদান করা হয়েছে, তাতেও অভিযোগ প্রমাণিত হয়েছে বলে উল্লেখ করা হয়েছে।

রিপোর্টে মতামত অংশে বলা হয়েছে-পানির গুণগতমান পরীক্ষা ব্যবস্থা শক্তিশালীকরণ প্রকল্পের পণ্য প্যাকেজ ৫ ও ৬ দুটিকে ভেঙ্গে চারটি প্যাকেজ করা হয়েছে। পাবলিক প্রকিউরমেন্ট বিধিমালা, ২০০৮ এর বিধি ১৭ (৪) ও ১৭ (৫) অনুযায়ী ডিপিপি তে অনুমোদিত কোন একক কাজকে একাধিক প্যাকেজে বিভক্তকরণের ক্ষেত্রে উপযুক্ত কর্তৃপক্ষের অনুমোদন গ্রহণ করতে হবে। কিন্তু বিধি মোতাবেক তা করা হয়নি যা গুরুতর অনিয়ম। প্রধান প্রকৌশলী এ বিষয়ে জেনেও টেন্ডার প্রক্রিয়ার বাকি কার্যক্রম চলমান রেখেছে, এমনকি পিডিকে দায়িত্ব থেকে অব্যাহতির উদ্যোগ না নিয়ে এই অনিয়ম চলমান রেখেছে যা অনিয়মের সাথে তিনি জড়িত বলে প্রতীয়মান হয়। টেন্ডার দুটি মূল্যায়নের জন্য বিধি মোতাবেক কোন টেন্ডার ওপেনিং ককিটি (টিওসি) এবং টেন্ডার ইভ্যুয়ালেশন কমিটি (টিইসি) গঠন না করে প্রকল্প পরিচালক এ অনিয়মের সাথে সম্পৃক্ত বলে প্রতীয়মান হয়।

তদন্ত রিপোর্টে ৫ দফা সুপারিশের মধ্যে রয়েছে - পানির গণগতমান পরীক্ষা ব্যবস্থা শক্তিশারীকরণ প্রকল্পের কার্যক্রমে অনিয়ম হওয়ায় আবেদনকারীসহ অন্যান্য দরপত্রে অংশগ্রহণকারী (টেন্ডারর) আইনগত প্রতিকার দেয়ার জন্য সুপারিশ করেন; জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তরের চলমান এ প্রকল্পসহ অন্যান্য সকল প্রকল্পের দরপত্র প্রক্রিয়া বিধি মোতাবেক প্রতিপালিত হচ্ছে কিনা- কমিটির মাধ্যমে পর্যায়ক্রমে যাচাই করা যেতে পারে; সকল প্রকল্পে মন্ত্রণালয়ের মনিটরিং কার্যক্রম জোরদার করা যেতে পারে; সেন্ট্রাল প্রকিউরমেন্ট টেকনিক্যাল ইউনিট (সিপিটিইউ) এর ২০/০৭/২০২২ তারিখের ৫১৮ নম্বর স্মারকের বরাতে প্রধান প্রকৌশলীসহ তার কার্যালয়ের অস্বচ্ছতা, খেয়ালীপনার কারণে পিপিএ-২০০৬ এবং পিপিআর ২০০৮ এর বিধিসমূহ লঙ্ঘন হওয়ায় সংশ্লিষ্টদের বিরুদ্ধে কার্যক্রম গ্রহণ করা যেতে পারে। সিপিটিইউ এর আদেশসমূহ পর্যালোচনা করা যেতে পারে;

পিপিআর-২০০৮ আলোকে টেন্ডার ওপেনিং কমিটি এবং টেন্ডার ইভ্যুয়ালেশন কমিটি গঠনপূর্বক আলোচ্য দরপত্র দুটি পুন:মূল্যায়ন করা যেতে পারে বলেও তদন্ত কমিটির সুপারিশে বলা হয়েছে।

 

   

সিলেটে যুবকের রহস্যজনক মৃত্যু



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, সিলেট
সিলেটে যুবকের রহস্যজনক মৃত্যু

সিলেটে যুবকের রহস্যজনক মৃত্যু

  • Font increase
  • Font Decrease

সিলেটের স্থানীয় দৈনিক উত্তরপূর্ব পত্রিকার কম্পিউটার অপারেটর অমিত দাস শিবুর রহস্যজনক মৃত্যু হয়েছে।

বৃহস্পতিবার (২৬ এপ্রিল) মধ্যরাতে নগরীর হাজারিবাগ এলাকার পেছনের মাঠে তার মরদেহ পড়েছিল। খবর পেয়ে সিলেট মেট্রোপলিটনের (এসএমপির) বিমানবন্দর থানা পুলিশ মরদেহ উদ্ধার করে।

বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন সিলেট মেট্রোপলিটন পুলিশের উপ পুলিশ কমিশনার (ডিসি উত্তর) আজবাহার আলী শেখ।

নিহত অমিত দাস শিবু গৌর চাঁদ দাসের ছেলে। তার গ্রামের বাড়ি সুনামগঞ্জে। তিনি নগরীর বাগবাড়ি নরসিং টিলা এলাকায় সপরিবারে বসবাস করতেন।

জানা যায়, অমিত দাস শিবু প্রতিদিনের মতো আজ রাতেও উত্তরপূর্ব পত্রিকা অফিসে কাজ করে বাসায় ফিরছিলেন। রাত পৌনে ২টার দিকে স্থানীয় লোকজন মরদেহ দেখতে পেয়ে পুলিশকে জানায়।

এব্যাপারে সিলেট মেট্রোপলিটন পুলিশের উপ পুলিশ কমিশনার (ডিসি উত্তর) আজবাহার আলী শেখ বলেন, আমরা খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে আসি। তার মরদেহের পাশে মোটরসাইকেলটি চাবি লাগানো অবস্থায় রাখা ছিল। তবে মোবাইল ফোন পাওয়া যায়নি। কিন্তু মোবাইলের শেষ লোকেশন ঘটনাস্থলেই দেখাচ্ছে। তার দেহে কোনো আঘাতের চিহ্ন মিলেনি। এরপরও ঘটনাটিকে রহস্যজনক ধরে তদন্ত চালিয়ে যাচ্ছে পুলিশ।

;

গ্যাস-বিদ্যুৎ-সারের দাম বাড়ানোর সুপারিশ আইএমএফ’র



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

আগামী ২০২৪-২৫ অর্থবছরের বাজেটের ভারসাম্য ঠিক রাখতে ও ভর্তুকি সহনীয় পর্যায়ে রেখে সার, বিদ্যুৎ ও গ্যাসের দাম সমন্বয়ের (বাড়ানো) সুপারিশ করেছে আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) প্রতিনিধিদল।

অর্থবিভাগের বাজেট অনুবিভাগের সঙ্গে এক বৈঠকে বৃহস্পতিবার (২৫ এপ্রিল) এ সুপারিশ করেছে ঋণ কর্মসূচির আওতায় শর্ত বাস্তবায়ন পর্যবেক্ষণে আসা আইএমএফ’র প্রতিনিধিদল।

প্রতিনিধিদলটি ইচ্ছাকৃত ঋণখেলাপিদের বিরুদ্ধে কী পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে তাও জানতে চেয়েছে। এছাড়া লক্ষ্যভিত্তিক খেলাপিঋণ কমানো বিশেষ করে সরকারি মালিকানার ব্যাংকগুলোর খেলাপিঋণ কমিয়ে আনা এবং প্রক্রিয়াধীন থাকা ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠান সংক্রান্ত আইনগুলোর দ্রুত বাস্তবায়নের তাগিদ দিয়েছে।

অর্থ মন্ত্রণালয় সূত্র জানায়, অর্থবিভাগের বাজেট অনুবিভাগের সঙ্গে ভর্তুকি নিয়ে বৈঠক করে মিশনের একটি অংশ, ভর্তুকি কমিয়ে আনেত পেট্রোলিয়াম পণ্যের জন্য একটি পর্যায়ক্রমিক সূত্র-ভিত্তিক মূল্য সমন্বয় ব্যবস্থা গ্রহণ করায় সরকারকে স্বাগত জানায়।

তবে সার্বিক বাজেট ব্যবস্থাপনার উন্নয়নে অন্যান্য খাতে ভর্তুকি কমিয়ে আনার জন্য বিদ্যুৎ, গ্যাস ও সারের দাম বাড়ানোর সুপারিশ করেছে। এ প্রসঙ্গে অর্থ বিভাগের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, খাদ্য নিরাপত্তার বিষয়টি মাথায় রেখে আপাতত কৃষিতে পর্যাপ্ত ভর্তুকি দিয়ে যাবে সরকার। তবে বিদ্যুৎ ও গ্যাসে ভর্তুকি কমাতে পর্যায়ক্রমে এসবের দাম বাড়ানো হবে।

আইএমএফের ডেভেলপমেন্ট মাইক্রোইকোমিক্স ডিভিশনের প্রধান ক্রিস পাপাগেওর্জিউ–এর নেতৃত্বে প্রতিনিধিদলটি অর্থ মন্ত্রণালয়ের আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগের সঙ্গে বৈঠক করে এসব পর্যবেক্ষণ তুলে ধরে।

বৈঠকে সরকারের পক্ষে নেতৃত্ব দেন আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগের সচিব শেখ মোহাম্মদ সলীম উল্লাহ। এ সময় আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগের কর্মকর্তারাসহ সোনালী ব্যাংকের এমডি মো. আফজাল করিমসহ জনতা, অগ্রণী ও রূপালী ব্যাংকের এমডিরাও উপস্থিত ছিলেন।

;

রাতের আঁধারে শিক্ষার্থীদের ক্লাস, অসুস্থ হয়ে হাসপাতালে ভর্তি ৬



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, গাজীপুর
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

গাজীপুরের কালিয়াকৈরে আফাজ উদ্দিন মেমোরিয়াল স্কুল ও কলেজ নামে বেসরকারি একটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে রাতের আঁধারে ক্লাস করাতে গিয়ে ছয় শিক্ষার্থী অসুস্থ হয়ে পড়েছে। বিষয়টি গোপন রেখে অসুস্থ ওই শিক্ষার্থীদের কালিয়াকৈর সদরের রুমাইসা জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়। পরে তাদের পরিবারের সদস্যরা খবর পেয়ে হাসপাতালে ছুটে আসেন।

বৃহস্পতিবার (২৫ এপ্রিল) রাত সাড়ে ৯টার দিকে উপজেলার টান কালিয়াকৈর এলাকার আফাজ উদ্দিন মেমোরিয়াল স্কুল ও কলেজের একটি ক্লাস কক্ষে এ ঘটনা ঘটে।

তবে তাৎক্ষণিকভাবে অসুস্থ শিক্ষার্থীদের নাম পরিচয় জানা যায়নি।

স্থানীয় ও শিক্ষার্থীদের পরিবার সূত্র জানায়, সারাদেশে তীব্র তাপদাহের কারণে স্কুল কলেজ বন্ধ থাকলেও বৃহস্পতিবার রাতে এইচএসসি পরিক্ষার্থীদের রাতের আঁধারে ক্লাস করানো হচ্ছিল। এসময় তীব্র গরমে ৬ শিক্ষার্থী অসুস্থ হয়ে পড়ে। পরে তাদের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের নিজস্ব মাইক্রোবাসে করে হাসপাতালে নেওয়া হয়। পরে কয়েকজনকে প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়। খবর পেয়ে পরিবারের লোকজন ছুটে এসে তাদের চিকিৎসা দিয়ে বাড়ি নিয়ে যায়।

অন্যদিকে কিছু শিক্ষার্থীর অবস্থা বেশি খারাপ থাকায় তাদের পার্শ্ববর্তী জেলা টাঙ্গাইলের মির্জাপুর কুমুদিনী সরকারি কলেজ ও হাসপাতালে পাঠানো হয় বলে জানা যায়।

এ বিষয়ে জানতে আফাজ উদ্দিন মেমোরিয়াল স্কুল ও কলেজের পরিচালক মো. সোহাগ রহমানের ব্যবহৃত মোবাইল ফোনে কল করলে তাকে পাওয়া যায়নি।

তবে ওই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের নৈশপ্রহরী নাম প্রকাশ না করে বলেন, ভেতরে ক্লাস চলছিল। কিছুক্ষণ পর গরমে অনেকেই ক্লান্ত হয়ে যায়। পরে তাদের হাসপাতালে নেওয়া হয়।

;

চুয়াডাঙ্গায় সড়ক দুর্ঘটনায় মোটরসাইকেল চালক নিহত



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, চুয়াডাঙ্গা
চুয়াডাঙ্গায় সড়ক দুর্ঘটনায় মোটরসাইকেল চালক নিহত

চুয়াডাঙ্গায় সড়ক দুর্ঘটনায় মোটরসাইকেল চালক নিহত

  • Font increase
  • Font Decrease

চুয়াডাঙ্গায় লাটাহাম্বারের সঙ্গে মোটরসাইকেলের সংঘর্ষে টুটুল হোসেন (১৮) নামের এক যুবকের মৃত্যু হয়েছে। এ ঘটনায় গুরুতর আহত হয়েছেন অপর দুই আরোহী মিলন হোসেন (২৫) ও জাব্বারুল (১৭)।

বৃহস্পতিবার (২৫ এপ্রিল) রাত ১০টার দিকে চুয়াডাঙ্গার আলমডাঙ্গা উপজেলার হাটবোয়ালিয়া সড়কের খোরদ কবরস্থানের সামনে এ দুর্ঘটনা ঘটে।

খবর পেয়ে আলমডাঙ্গা থানা পুলিশে নিহত টুটুলের মরদেহ উদ্ধার করে ও আহত দুজনকে চিকিৎসার জন্য চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে পাঠায়।

নিহত টুটুল আলমডাঙ্গার ভাংবাড়িয়া ইউনিয়নের মহেশপুর গ্রামের ইলিয়াস হোসেনের ছেলে।

স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, বৃহস্পতিবার বিকেলে টাইলস কিনে চুয়াডাঙ্গা শহর থেকে মহেশপুর গ্রামে ফিরছিলেন টুটুলের পিতা ইলিয়াস। পথে ভালাইপুর বাজারের অদূরে টাইলসবাহী গাড়িটি বিকল হয়ে পড়লে ইলিয়াস ছেলে টুটুলকে ফোন দিয়ে ডাকেন। টুটুল মোটরসাইকেলযোগে বাড়ি থেকে মিলন ও জাব্বারুলকে নিয়ে ভালাইপুরের উদ্দেশে বের হন। পথে হাটবোয়ালিয়া সড়কের খোরদ কবরস্থানের সামনে পৌঁছালে সামনে থেকে আসা একটি লাটাহাম্বারের সঙ্গে মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। এতে ঘটনাস্থলেই টুটুলের মৃত্যু হয়।

চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালের জরুরি বিভাগের কর্তব্যরত চিকিৎসক ডা. হাসানুজ্জামান বলেন, সড়ক দুর্ঘটনায় মিলন হোসেন ও জাব্বারুল নামের দুই যুবক জরুরি বিভাগে আসে। আহতদের মধ্যে মিলনের আঘাত গুরুতর হওয়ায় উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার্ড করা হয়েছে। এবং জাব্বারুলকে ভর্তি রাখা হয়েছে।

আলমডাঙ্গা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) শেখ গণি মিয়া বলেন, ঘটনাস্থলেই টুটুলের মৃত্যু হয়। পরিবারের পক্ষ থেকে কোনো অভিযোগ না থাকায় লাশ ময়নাতদন্ত ছাড়াই হস্তান্তর করা হয়েছে।

;