কাপ্তাই হ্রদে মাছ আহরণ-বিপণনে মানতে হবে ৫ শর্তাবলী!



আলমগীর মানিক, ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, রাঙামাটি
কাপ্তাই হ্রদে মাছ আহরণ-বিপণনে মানতে হবে ৫ শর্তাবলী!

কাপ্তাই হ্রদে মাছ আহরণ-বিপণনে মানতে হবে ৫ শর্তাবলী!

  • Font increase
  • Font Decrease

দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার সর্ববৃহৎ মিঠা পানির কৃত্রিম জলাধার কাপ্তাই হ্রদের মৎস্য সম্পদের সুষ্ঠু প্রজনন নিশ্চিতে টানা তিন মাস ১৭ দিন বন্ধ থাকার পর বুধবার মধ্যরাত থেকে পুনরায় মাছ আহরণ শুরু হচ্ছে। রাঙামাটি জেলা প্রশাসক মিজানুর রহমানের স্বাক্ষরিত নির্দেশনা পত্রানুসারে অন্তত ৫টি শর্ত মেনে কাপ্তাই হ্রদে মাছ আহরণে নামবে প্রায় ২৫ হাজার নিবন্ধিত জেলে। এরই মধ্যদিয়ে হ্রদে মাছ আহরণ,পরিবহন ও বাজারজাতকরণ উন্মুক্ত হচ্ছে ১৮ আগস্ট থেকে।

বৃহস্পতিবার সকাল থেকেই রাঙামাটির হাট-বাজারগুলোসহ দেশের বিভিন্ন এলাকায় কাপ্তাই হ্রদের মাছ বিপণন শুরু হবে। এদিকে, রাজস্ব আয় বৃদ্ধির লক্ষ্যে এবার নতুন করে কাপ্তাই হ্রদ থেকে আহরিত মাছের উপর শুল্কহার ১৪ থেকে ২০ শতাংশ বাড়ানো হয়েছে।


দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার সর্ববৃহৎ মিঠা পানির কৃত্রিম জলাধার কাপ্তাই হ্রদের আয়তন ৭২৫ বর্গ কিলোমিটার। দেশের অন্যতম মৎস্য উৎপাদন ক্ষেত্র কাপ্তাই হ্রদ আয়তনের বিচারে বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ মোট জলাশয়ের প্রায় ১৯ শতাংশ। উৎপাদন বাড়াতে চলতি মৌসুমে হ্রদে ৬০ হাজার ৩শ ২২ কেজি রুই, কাতল, মৃগেলের পোনা ছাড়া হয়েছে। মাছের রেণু উৎপাদনের জন্য হালদা নদীর ব্রুডফিশ ও পোনা সংগ্রহ করা হয়।

মাছের প্রাকৃতিক প্রজনন মৌসুমে প্রতিবছর ১ মে থেকে ৩১ জুলাই পর্যন্ত হ্রদে মাছ শিকার বন্ধ থাকে। তবে এবার পর্যাপ্ত বৃষ্টিপাত না হওয়ায় দুই দফায় এ নিষেধাজ্ঞা বাড়ানো হয় ১৭ আগস্ট মধ্যরাত পর্যন্ত।


বাংলাদেশ মৎস্য উন্নয়ন করপোরেশনের (বিএফডিসি) রাঙামাটি ব্যবস্থাপক লেফটেন্যান্ট কমান্ডার মো. তৌহিদুল ইসলাম জানিয়েছেন, এবার মৌসুমের শুরুতেই বৃষ্টিপাত হওয়ায় মাছের উৎপাদন ভালো হয়েছে। এর সঙ্গে শুল্কহার বৃদ্ধি পাওয়ায় এবার রাজস্ব আয় ১৭ কোটি টাকা ছাড়াবে বলেও আশা করছি। তিনি জানান, বন্ধকালীণ সময়ে আমরা অন্যান্য বছরের তুলনায় মাছের পোনা বেশি অবমুক্ত করেছি। তারই ধারাবাহিকতায় আমরা পোনা ও মা মাছ রক্ষায় বন্ধকালীন ৯৫ দিনে কাপ্তাই হ্রদে অবৈধ মৎস্য শিকারী থেকে পাচারকারিদের বিরুদ্ধে ৪২০টি অভিযান পরিচালনা করা হয়েছে। এসব অভিযানে ১২টি কেচকি জালসহ কারেন্ট জাল, সুতার জাল, নেট জাল সবগুলো প্রায় আড়াই লক্ষ মিটার জাল, দেশীয় ইঞ্জিন বোট ২৩৬টি, তিন টনেরও অধিক মাছ, ২০০ কেজি শুটকি উদ্ধারপূর্বক জব্দ করা হয়। এসব নিলামে বিক্রি করে সরকারে কোষাগারে জমা করা হয়েছে ১৪ লাখ ৭৮ হাজার ৫৯১ টাকা।

এদিকে, বুধবার মধ্যরাত থেকে কাপ্তাই হ্রদে মাছ আহরণ শুরু করতে ৫ শর্তাবলি উল্লেখ করে আদেশ পত্র জারি করেছে রাঙামাটি জেলা প্রশাসন কর্তৃপক্ষ। জেলা প্রশাসক মিজানুর রহমান কর্তৃক স্বাক্ষরিত উক্ত পত্রে নিন্মোক্ত ৫টি উল্লেখ করে সেগুলো মেনে না চললে আইনত দন্ডনীয় অপরাধ হিসেবে গণ্য করার কথাও বলা হয়েছে।

শর্তগুলো হলোঃ

(১)কেবলমাত্র বাংলাদেশ মৎস্য উন্নয়ন কর্পোরেশন, রাঙামাটি পার্বত্য জেলা থেকে লাইসেন্স গ্রহণ ও ধৃতব্য মাছের নির্ধারিত শেয়ার/শুষ্ক প্রদান সাপেক্ষে কাষাই হ্রদে মাছ শিকার করা যানে।

(২)করমুক্ত মৎস্য পোনার নিরাপত্তা এবং মাছের স্বাভাবিক প্রজননের জন্য ঘোষিত মৎস্য অভয়াশ্রমসমূহ থেকে মাছ ধরা/শিকারের উপর আরোপিত নিষেধাজ্ঞা সারা বছর বলবৎ থাকবে।

(৩)মৎস্য রক্ষা এবং সংরক্ষণ আইন, ১৯৫০-এর যথাযথ অনুসরণ করতে হবে। ৯ ইঞ্চির নিচে কোন পোনা মাছ ধরা সম্পূর্ণরূপে নিষিদ্ধ।

(৪)বিএফডিসি এর নির্ধারিত অবতরণ কেন্দ্র ব্যতীত অন্য কোথাও মৎস্য অবতরণ করা সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ এবং মৎস্য উন্নয়ন কর্পোরেশন কর্তৃক নির্ধারিত শুল্ক পরিশোধ বাতীত কোন মাছ বা শুটকী ক্রয়-বিক্রয় করা যাবে না।

(৫) চিতল, ফলি, বোয়াল ও অন্যান্য মাছের প্রজনন বৃদ্ধি এবং বিলুপ্তি রোধকল্পে হদের তলদেশ হতে সারা বছর (হ্রদ খোলা ও বন্ধকালীন সময়েও) সকল প্রকার গাছের গুড়ি/গুইটা তোলা/উঠানো/অপসারণ সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ করা হলো। উল্লিখিত শর্তাদির লংঘন আইনত দন্ডনীয় অপরাধ বলে গণ্য করা হবে।

   

উন্নয়ন সহযোগীদের একক প্ল্যাটফর্মে আসা প্রয়োজন: পরিবেশমন্ত্রী



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

জলবায়ু পরিবর্তন ও টেকসই উন্নয়ন সংক্রান্ত বিষয়ে সম্পদের বিভাজন রোধে সব উন্নয়ন সহযোগীদের এক প্ল্যাটফর্মে আসা উচিত বলে মন্তব্য করেছেন পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রী সাবের হোসেন চৌধুরী।

তিনি বলেন, সম্পদের সর্বোচ্চ ব্যবহার করতে, ডুপ্লিকেশন এবং ওভারল্যাপিং কমানো প্রয়োজন। জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে সৃষ্ট অসংখ্য চ্যালেঞ্জ এবং অস্তিত্বের হুমকির সঙ্গে, আর্থিক এবং সক্ষমতা বৃদ্ধির জন্য সম্পদের সুরক্ষা অপরিহার্য।

বৃহস্পতিবার (২৮ মার্চ) ঢাকার ইন্টারকন্টিনেন্টাল হোটেলে আয়োজিত কান্ট্রি এনভায়রনমেন্টাল অ্যানালাইসিস ২০২৩ : বিল্ডিং ব্যাক এ গ্রিনার বাংলাদেশ বিল্ডিং ওয়ার্কশপে প্রধান অতিথির বক্তব্যে পরিবেশমন্ত্রী এ কথা বলেন।

পরিবেশমন্ত্রী বলেন, দেশের স্বাস্থ্যই সর্বাগ্রে এবং সরকার বায়ু ও পানির গুণমান উন্নত করতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। জলবায়ু কর্মের জন্য অগ্রাধিকারমূলক হস্তক্ষেপগুলি ক্রমানুসারে করা হচ্ছে, এবং সরকার সক্রিয়ভাবে একটি সময়সীমাবদ্ধ পরিকল্পনা প্রণয়ন করছে।

তিনি বলেন, উদীয়মান চাহিদা মোকাবিলার জন্য প্রয়োজনীয় নীতির সমন্বয় করা হবে। মন্ত্রী সাবের হোসেন চৌধুরী টেকসই অনুশীলনের গুরুত্বের ওপর জোর দেন এবং বাংলাদেশের জন্য একটি সবুজ ভবিষ্যৎ গড়ে তোলার লক্ষ্যে উদ্যোগের কথা তুলে ধরেন।

বাংলাদেশের নিযুক্ত বিশ্বব্যাংকের কান্ট্রি ডিরেক্টর আবদুলায়ে সেক এবং পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব (পরিবেশ) ড. ফাহমিদা খানম এসময় উপস্থিত ছিলেন।

 

;

নিত্যপণ্যের দাম বাড়াতেই ভারতীয় পণ্য বর্জন করছে বিএনপি: নাছিম



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
নিত্যপণ্যের দাম বাড়াতেই ভারতীয় পণ্য বর্জন করছে বিএনপি: নাছিম

নিত্যপণ্যের দাম বাড়াতেই ভারতীয় পণ্য বর্জন করছে বিএনপি: নাছিম

  • Font increase
  • Font Decrease

আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও সংসদ সদস্য আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম বলেছেন, নিত্যপণ্যের দাম যাতে আরও বেড়ে যায়, সেজন্যই ভারতীয় পণ্য বর্জনের কর্মসূচি পালন করছে বিএনপি।

বৃহস্পতিবার (২৮ মার্চ) দুপুরে রাজধানীর কাকরাইলের ইনস্টিটিউশন অব ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার্স এ আয়োজিত আলোচনা সভায় তিনি একথা বলেন। বাংলাদেশ আওয়ামী স্বেচ্ছাসেবক লীগ এই আলোচনা সভার আয়োজন করে।

স্বেচ্ছাসেবক লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি ম. আব্দুর রাজ্জাকের সভাপতিত্বে এবং সাধারণ সম্পাদক আফজালুর রহমান বাবুর সঞ্চলনায় আলোচনা সভায় অন্যান্যর মধ্যে বক্তব্য রাখেন আওয়ামী লীগের ত্রাণ ও সমাজ কল্যাণ সম্পাদক আমিনুল ইসলাম আমিন এবং কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য নির্মল চ্যাটার্জী।

বাহাউদ্দিন নাছিম বলেন, শেখ হাসিনার সরকারের বিরোধিতার নামে দেশের মানুষের কষ্ট বাড়িয়ে তুলছে বিএনপি। তারই নতুন সংস্কার ভারত বিরোধিতা। নিত্যপণ্যের দাম যাতে আরও বৃদ্ধি পায়, সেজন্যই তারা ভারতীয় পণ্য বর্জনের কর্মসূচি শুরু করেছে।

আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক বলেন, বিএনপি কখনোই দেশের মানুষের ভালো চায় না। মানুষ শান্তিতে থাকুক- তারা এটা চায় না। জন্মলগ্ন থেকেই তারা দেশের স্বার্থবিরোধী কর্মকাণ্ড করছে, মানুষের স্বার্থে আঘাত লাগে এমন কাজ করছে আর ভারত বিরোধিতা তাদের তেমনই কর্মসূচি।

;

বায়ুদূষণে স্বাস্থ্যঝুঁকিতে বাংলাদেশ, বছরে মৃত্যু পৌনে তিন লাখ মানুষের



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
বায়ুদূষণে স্বাস্থ্যঝুঁকিতে বাংলাদেশ, বছরে মৃত্যু পৌনে তিন লাখ মানুষের

বায়ুদূষণে স্বাস্থ্যঝুঁকিতে বাংলাদেশ, বছরে মৃত্যু পৌনে তিন লাখ মানুষের

  • Font increase
  • Font Decrease

বাংলাদেশ উদ্বেগজনক মাত্রার দূষণ এবং পরিবেশগত স্বাস্থ্যঝুঁকিতে রয়েছে বলে জানিয়েছে বিশ্বব্যাংক। যা তুলনামূলক বেশি ক্ষতি করছে দরিদ্র, পাঁচ বছরের কম শিশু, বয়স্ক এবং নারীদের। প্রতিবছর বায়ুদূষণ, অনিরাপদ পানি, নিম্নমানের স্যানিটেশন ও হাইজিন এবং সীসা দূষণে অকালে প্রাণ হারাচ্ছেন ২ লাখ ৭২ হাজারের বেশি মানুষ।

বৃহস্পতিবার (২৮ মার্চ) বিশ্বব্যাংক প্রকাশিত দ্য বাংলাদেশ কান্ট্রি এনভায়রেন্টমেন্ট অ্যানালাইসিস (সিইএ) রিপোর্টে এ তথ্য জানা যায়।

রিপোর্ট অনুযায়ী, বায়ুদূষণ, অনিরাপদ পানি, নিম্ন মানের স্বাস্থ্যব্যবস্থা ও স্বাস্থ্যবিধি এবং সীসা দূষণে বছরে দুই লাখ ৭২ হাজারের বেশি অকালমৃত্যু ঘটে। পরিবেশগত কারণে ২০১৯ সালে বাংলাদেশের জিডিপির ১৭ দশমিক ৬ শতাংশের মতো ক্ষতি হয়েছে। ঘরের ও বাইরের বায়ুদূষণে স্বাস্থ্যের ওপর সবচেয়ে ক্ষতিকর প্রভাব ফেলে। যা ৫৫ শতাংশ অকালমৃত্যুর জন্য দায়ী।

বাংলাদেশ এবং ভুটানে নিযুক্ত বিশ্বব্যাংকের কান্ট্রি ডিরেক্টর আবদুলায়ে সেক বলেন, পরিবেশের ক্ষতি করে অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি হলে তা টেকসই হতে পারে না। শক্তিশালী প্রবৃদ্ধির গতিপথ টেকসই রাখতে এবং শহর ও গ্রামাঞ্চলের মানুষের জীবনমানের উন্নতি করতে বাংলাদেশ কোনোভাবেই পরিবেশকে উপেক্ষা করতে পারবে না। উচ্চ মধ্যম আয়ের দেশে উন্নীত হওয়ার লক্ষ্য অর্জনে পরিবেশের ক্ষয় রোধ এবং জলবায়ু সহিষ্ণুতা নিশ্চিত করা খুবই গুরুত্বপূর্ণ।

সিইএ রিপোর্টে বলা হয়, পরিবেশ দূষণ শিশুদের ওপর মারাত্মক প্রভাব ফেলছে। সীসা বিষক্রিয়া শিশুদের মস্তিকের বিকাশে অপরিবর্তনীয় ক্ষতি করছে। এর ফলে বছরে প্রাক্কলিত আইকিউ ক্ষতি হচ্ছে প্রায় ২০ মিলিয়ন পয়েন্ট। গৃহস্থালিতে কঠিন জ্বালানির মাধ্যমে রান্না বায়ুদূষণের অন্যতম উৎস এবং তা নারী ও শিশুদের বেশি ক্ষতি করছে। শিল্পের বর্জ্য এবং অনিয়ন্ত্রিত প্লাস্টিকসহ বিভিন্ন বর্জ্য এবং অন্যান্য উৎস থেকে আসা অপরিশোধিত ময়লাযুক্ত পানির কারণে বাংলাদেশের নদীগুলোর পানির গুণগত মানের মারাত্মক অবনতি ঘটেছে।

বায়ুদূষণ নিয়ন্ত্রণে সময়মতো এবং জরুরি হস্তক্ষেপ, উন্নত পানি, স্যানিটেশন ও হাইজিন (ওয়াশ) এবং সীসা দূষণ নিয়ন্ত্রণ প্রতি বছর ১ লাখ ৩৩ হাজারের বেশি অকালমৃত্যু ঠেকাতে পারে। সবুজ বিদ্যুৎ উৎপাদনে বিনিয়োগ, রান্নায় সবুজ জ্বালানি ব্যবহার এবং শিল্প-কারখানা থেকে দূষণ রোধে কঠোর নিয়ন্ত্রণ বায়ু দূষণ কমাতে পারে।

বিশ্বব্যাংকের সিনিয়র পরিবেশ বিশেষজ্ঞ এবং এই প্রতিবেদনের সহ-লেখক আনা লুইসা গোমেজ লিমা বলেন, সময়মতো এবং সঠিক নীতি ও কার্যক্রমের মাধ্যমে বাংলাদেশ পরিবেশ দূষণের ধারা পাল্টে ফেলতে পারে। পরিবেশ সুরক্ষা জোরদারে পদক্ষেপ এবং রান্নায় সবুজ জ্বালানির জন্য বিনিয়োগ ও অন্যান্য প্রণোদনা, সবুজ অর্থায়ন বাড়ানো, কার্যকর কার্বন মার্কেট প্রতিষ্ঠা এবং সচেতনতা বাড়ানো দূষণ কমাতে পারে এবং এর ফলে সবুজ প্রবৃদ্ধি অর্জন হতে পারে।

পরিবেশগত ব্যবস্থাপনার জন্য সুশাসন জোরদার ও প্রাতিষ্ঠানিক সক্ষমতা বাড়াতে এই রিপোর্টে পরিবেশগত অগ্রাধিকারসমূহ চিহ্নিত করা হয়েছে, বিভিন্ন পদক্ষেপের মূল্যায়ন এবং প্রয়োজনীয় সুপারিশ করা হয়েছে। সাক্ষ্য-প্রমাণের ভিত্তিতে অগ্রাধিকার নির্ধারণ, পরিবেশ নীতি পদ্ধতিগুলোর বৈচিত্রাকরণ ও জোরদারকরণ, সাংগঠনিক কাঠামো এবং প্রাতিষ্ঠানিক সক্ষমতা জোরদারকরণ এবং সবুজ অর্থায়নের জন্য সহায়ক পরিবেশ সৃষ্টির মাধ্যমে বাংলাদেশ এর পরিবেশকে রক্ষা করতে পারে।

;

এডিপি বাস্তবায়নে দক্ষতার সঙ্গে দ্রুত কাজ করার তাগিদ গণপূর্তমন্ত্রীর



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
এডিপি বাস্তবায়নে দক্ষতার সঙ্গে দ্রুত কাজ করার তাগিদ গণপূর্তমন্ত্রীর

এডিপি বাস্তবায়নে দক্ষতার সঙ্গে দ্রুত কাজ করার তাগিদ গণপূর্তমন্ত্রীর

  • Font increase
  • Font Decrease

গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের অধীনে চলমান প্রকল্পগুলো দক্ষতা ও আন্তরিকতার সাথে প্রকল্প সংশ্লিষ্টদের দ্রুত শেষ করার নির্দেশ দিয়েছেন গৃহায়ন ও গণপূর্তমন্ত্রী যুদ্ধাহত বীর মুক্তিযোদ্ধা র আ ম উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী। 

এসময় তিনি গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচি (এডিপি) বাস্তবায়নের অগ্রগতি জাতীয় গড় থেকে বেশি হলেও তা যথেষ্ট সন্তোষজনক নয় বলে মন্তব্য করেন।

বৃহস্পতিবার (২৮ মার্চ) সচিবালয়ে মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে এডিপি বাস্তবায়ন অগ্রগতি পর্যালোচনা সভায় সভাপতির বক্তব্যে তিনি একথা বলেন।

উবায়দুল মোকতাদির বলেন, প্রত্যেক দপ্তর ও সংস্থার ভাবমূর্তি উজ্জ্বল হয় এমন কাজ করতে হবে। নিজের দক্ষতা, বুদ্ধিমত্তা, আন্তরিকতা ও দেশপ্রেমের সাথে কাজ করতে হবে। সিদ্ধান্ত গ্রহণে অহেতুক বিলম্ব করা থেকে বিরত থাকতে হবে।

আগামী ৩০ জুনের আগেই প্রত্যেক দপ্তর বা সংস্থার এডিপি বাস্তবায়ন অগ্রগতি সম্মানজনক পর্যায়ে নিয়ে আসার জন্য তিনি নির্দেশনা দেন।

সভায় গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয় এবং এর অধীন সব দপ্তর ও সংস্থার চলমান প্রকল্পের বাস্তবায়ন অগ্রগতি (ভৌত ও আর্থিক) তুলে ধরে প্রকল্প বাস্তবায়নে বিদ্যমান সমস্যা ও চ্যালেঞ্জসমূহ সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করা হয়। সব চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করে নির্ধারিত সময়ের মধ্যে প্রকল্পের কাজ শেষ করার জন্য মন্ত্রী প্রকল্প পরিচালক ও সংশ্লিষ্টদের নির্দেশনা দেন।

সভায় মন্ত্রী বলেন, হাউজিং অ্যান্ড বিল্ডিং রিসার্চ ইনস্টিটিউটের নিজস্ব জনবলে স্বয়ংসম্পূর্ণ হতে হবে। গাজীপুর উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ ও নগর উন্নয়ন অধিদপ্তরের কাজ যথাযথভাবে করতে হবে।

সভায় গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের সচিব নবীরুল ইসলাম, রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান আনিসুর রহমান মিয়া, গাজীপুর উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান আজমত উল্লাহ খান, রাজশাহী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান জিয়াউল হক উপস্থিত ছিলেন।

;