‘এসডিজি অর্জনে সংসদ সদস্যগণের ভূমিকা গুরুত্বপূর্ণ’



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী বলেছেন, টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা (এসডিজি) অর্জনে সংসদ সদস্যগণের ভূমিকা গুরুত্বপূর্ণ।

তিনি বলেন, এমডিজি অর্জনে সাফল্যের ধারাবাহিকতায় এসডিজি’র ক্ষেত্রেও বাংলাদেশ সাফল্যের স্বাক্ষর রাখছে। এই সাফল্যের ধারাবাহিকতা ধরে রাখতে সরকারের গৃহীত পরিকল্পনা ও নীতি বাস্তবায়নে সহযোগী হিসেবে পার্লামেন্টারিয়ানগণও সক্রিয় অংশগ্রহণ করছেন।

শুক্রবার (১২ আগস্ট) জাতিসংঘে বাংলাদেশের স্থায়ী মিশনে ইউএনএফপিএ এর ডেপুটি এক্সিকিউটিভ ডিরেক্টর এম্বাসেডর ইব পেটারসেনসহ ইউএনএফপিএ এর সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাগণের সঙ্গে বৈঠককালে স্পিকার এসব কথা বলেন।

ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী বলেন, জনগণের প্রত্যক্ষ ভোটে নির্বাচিত জনপ্রতিনিধি হিসেবে জনগণের প্রতি তাদের দায়বদ্ধতা রয়েছে। সেই দায়বদ্ধতা থেকেই বাংলাদেশে পার্লামেন্টারিয়ানগণ জনগণের কল্যাণে অধিক মাত্রায় আত্মনিয়োগ করছেন।

স্পিকার বলেন, সমকালীন বিশ্বে নতুন নতুন সম্ভাবনা যেমন সৃষ্টি হচ্ছে, তেমনি নতুন নতুন সমস্যারও উদ্ভব হচ্ছে। জলবায়ু পরিবর্তনজনিত সমস্যা, নদী দূষণ, বায়ু দূষণ, কার্বন নিঃসরণসহ নানাবিধ সমস্যা মানুষকে মোকাবিলা করতে হচ্ছে। এসব সমস্যা নিরসনের জন্য পার্লামেন্টারিয়ানদেরও সচেতন ও সচেষ্ট হতে হবে। এই লক্ষ্যে তাদের জনসম্পৃক্ততা আরও জোরালো করতে হবে। এক্ষেত্রে প্রয়োজনে তারা তথ্য যোগাযোগ প্রযুক্তিও ব্যবহার করতে পারেন।

বাংলাদেশে জনসংখ্যা ও উন্নয়ন ইস্যুতে পার্লামেন্টারিয়ানদের সক্রিয় অংশগ্রহণের বিষয়টি তুলে ধরে স্পিকার বলেন, স্পিকারের নেতৃত্বে পঁচিশ জন সংসদ সদস্যের সমন্বয়ে বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অব পার্লামেন্টারিয়ানস অন পপুলেশন এন্ড ডেভলপমেন্ট (বিএপিপিডি) গঠন করা হয়েছে। বিএপিপিডি মাতৃস্বাস্থ্য উন্নয়ন ও পরিবার পরিবল্পনা, বাল্যবিয়ে ও জেন্ডারভিত্তিক সহিংসতা প্রতিরোধ এবং যুব উন্নয়ন ও জনসংখ্যার বহুমাত্রিকতা- এই তিনটি ইস্যুতে সচেতনতা বৃদ্ধিমূলক কাজ করে আসছে। এই সব সমস্যা প্রতিরোধের ক্ষেত্রে কি কি প্রতিবন্ধকতা রয়েছে, তা সংশ্লিষ্ট সংসদ সদস্যগণ পর্যালোচনা করে করনীয় নির্ধারণ করছেন এবং প্রয়োজনীয় সুপারিশ প্রণয়ন করছেন।

তিনি বলেন, সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির গৃহীত সুপারিশসমূহ সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের গোচরে আনা হচ্ছে। সেই সঙ্গে তৃণমূলের সমস্যাগুলো সম্পর্কে সম্যক অভিজ্ঞতা অর্জনের লক্ষ্যে সংসদ সদস্যগণ সমস্যাপ্রবণ অঞ্চলগুলোতে সচেতনতামূলক সভা করছেন। এতে করে সংসদ সদস্যগণ প্রান্তিক জনগোষ্ঠীসহ ভুক্তভোগীদের সমস্যাগুলো সম্পর্কে সম্যক অভিজ্ঞতা অর্জন করতে পারছেন। এই সমস্যাগুলো তারা সংসদ অধিবেশনসহ বিভিন্ন ফোরামে তুলে ধরছেন।

ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী বলেন, কোভিড অতিমারির সময়েও বিএপিপিডি ভার্চুয়াল ও সরেজমিন- এই দুই পদ্ধতির সমন্বয় করে এসব আলোচনা পরিচালনা করেছেন। কোভিডকালীন ভুক্তভোগীগণ, বিশেষ করে নারী ও কন্যাশিশুগণ যেসব সমস্যার সম্মুখীন হচ্ছেন তা সংসদ সদস্যগণ জানার সুযোগ পেয়েছেন। বিশেষ করে কন্যাশিশু ও নারীদের সাথে আলোচনায় তাদের মূল সমস্যাগুলো উঠে এসেছে। এসব আলোচনায় ভার্চুয়ালি অংশগ্রহণের অভিজ্ঞতা তুলে ধরে স্পিকার বলেন, স্কুল কলেজের ছাত্রীদের দাবির প্রেক্ষিতে তাদের প্রজনন স্বাস্থ্য সমস্যাগুলোর বিষয়ে সংসদ সদস্যগণ সম্যক অবহিত হতে পেরেছেন। এসব সমস্যা বিষয়ে প্রয়োজনীয় পরামর্শ প্রদানের জন্য যাতে সংশ্লিষ্ট ডাক্তার কিংবা স্বাস্থ্যকর্মী মাসে মাসে সেইসব শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে প্রেরণ করা হয় সে বিষয়ে স্থানীয় প্রশাসনকে অনুরোধ করা হয়েছে।

কোভিডের অভিঘাত মোকাবিলায় সরকারের গৃহীত নানান পদক্ষেপের কথা উল্লেখ করে স্পিকার বলেন, ভুক্তভোগী জনগণকে সরকার নগদ অর্থ সহায়তা , খাদ্য সহায়তা দিয়েছে। এসব সহায়তা জনগণের দোরগোড়ায় সহজলভ্য করার কাজে সংসদ সদস্যগণ সক্রিয় ভূমিকা পালন করেছেন।

স্পিকার বলেন, বিএপিপিডি’র কার্যক্রম সফল করার জন্য ইউএনএফপিএ প্রয়োজনীয় কারিগরি সহযোগিতা প্রদান করছে। তিনি এই সহযোগিতার জন্য ইউএনএফপিএ’র প্রতি কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করেন। তিনি জানান, স্কুল পর্যায়ে বিশেষ করে ছাত্রীদের প্রজনন স্বাস্থ্য সংক্রান্ত সমস্যাগুলো চিহ্নিত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের লক্ষ্যে কার্যক্রম হাতে নেওয়া হয়েছে। এই লক্ষ্যে বিভিন্ন নির্বাচনী এলাকায় কিছু শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে পাইলট ভিত্তিতে কার্যক্রম পরিচালনা করা হবে। সেসব প্রতিষ্ঠানে বাল্য বিয়ে প্রতিরোধেও প্রয়োজনীয় কর্মসূচি পরিচালনা করা হবে। এসব কার্যক্রমে আরও অধিক মাত্রায় কারিগরি সহযোগিতার প্রয়োজন হবে বলে স্পিকার উল্লেখ করেন।

এ ধরনের সহযোগিতা প্রদান করতে ইউএনএফপিএ প্রস্তুত বলে মি. ইব পেটারসেন জানান। পেটারসেন আরও জানান, ইউএনএফপিএ সংসদ সদস্যগণের মাধ্যমে যুব জনগোষ্ঠীর উন্নয়নে আরও জোরালো কার্যক্রম পরিচালনায় আগ্রহী। মি. পিটারসেন জানান, বিভিন্ন ক্ষেত্রে জেন্ডারভিত্তিক সহিংসতার নেতিবাচক প্রভাব পড়ে। তাই তা নিরসনে আরও জোরালো কার্যক্রম পরিচালনা করা জরুরি। স্পিকার তার সঙ্গে একমত পোষণ করে বলেন, জাতীয় অর্থনীতি তথা জিডিপিতেও এর নেতিবাচক প্রভাব পড়ে।

স্পিকার বলেন, সংশ্লিষ্ট সংসদ সদস্যগণ যুব জনগোষ্ঠীর সঙ্গে যোগাযোগ স্থাপনের গুরুত্বপূর্ণ মাধ্যম হতে পারেন। সমাজের অর্ধেক জনগোষ্ঠী নারীদের পেছনে ফেলে কোন সমাজ এগিয়ে যেতে পারে না। তিনি বলেন, বাংলাদেশে তাই নারীর উন্নয়নে নানামুখী কার্যক্রম চলমান আছে। এর সুফল পাচ্ছে বাংলাদেশ।

বৈঠকে অন্যান্যের মধ্যে জাতিসংঘে বাংলাদেশের স্থায়ী প্রতিনিধি মোহাম্মদ আব্দুল মুহিত, জাতীয় সংসদ সচিবালয়ের যুগ্মসচিব এম.এ কামাল বিল্লাহ, বাংলাদেশ স্থায়ী মিশনের কাউন্সিলর শাহানারা মনিকা এবং ইউএনএফপিএ’র পক্ষ থেকে রিজিওনাল স্পেশালিস্ট ইসাবেলা জেরালডিন আদজাই উপস্থিত ছিলেন।

   

পানির অভাবে প্রায় ২ লাখ হেক্টর জমির চাষ অনিশ্চিত



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট,বার্তা২৪.কম,চুয়াডাঙ্গা
ছবি: বার্তা ২৪

ছবি: বার্তা ২৪

  • Font increase
  • Font Decrease

দীর্ঘ এক মাস ধরে বন্ধ রয়েছে দেশের বৃহত্তম সেচ প্রকল্প গঙ্গা-কপোতাক্ষ (জিকে)। ফলে পানিশূন্য হয়ে পড়েছে জিকে খাল। গত ১৯ ফেব্রুয়ারি সর্বশেষ পাম্পটি অকেজো হয়ে গেলে বন্ধ হয়ে যায় পানিপ্রবাহ। এতে এই প্রকল্পের আওতায় প্রায় ১ লাখ ৯৭ হাজার হেক্টর জমির চাষে সেচ অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে। স্থানীয়ভাবে স্যালোমেশিন দিয়ে পানি উঠালেও তাতে কৃষকের খরচ ও দুর্ভোগ দুটোই বেড়েছে।

এদিকে জিকে সেচ প্রকল্পের অকেজো পাম্প দ্রুত সচলকরণের দাবিতে চুয়াডাঙ্গার আলমডাঙ্গায় মানববন্ধন করেছে কৃষক জোট। মঙ্গলবার (১৯ ফেব্রুয়ারি) বেলা সাড়ে ১১টার দিকে আলমডাঙ্গা পৌর এলাকার পানি শূন্য জিকে খালের মধ্যে অবস্থান নিয়ে এ মানববন্ধন করেন তারা। এতে অংশ নেন সেচ প্রকল্পের আওতাধীন কয়েকশ'  কৃষক। ঘণ্টাব্যাপী চলা এই কর্মসূচি থেকে এ অঞ্চলে প্রত্যেক কৃষকের বোরো ধানের জমিতে সেচের পানি নিশ্চিত করার আহ্বান জানানো হয়।

মানববন্ধন কর্মসূচিতে বক্তব্য দেন কৃষক জোটের চুয়াডাঙ্গা জেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক অধ্যক্ষ শাহজাহান আলী, আলমডাঙ্গা উপজেলা কৃষক জোটের সভাপতি এমদাদুল হক, সাধারণ সম্পাদক আব্দুল মালেক, সহসভাপতি জান্নাতুল ফেরদৌস উষা, মহাসিন আলী, কৃষক জোটের প্রকল্প সমন্বয়কারী মশিউর রহমান, প্রকল্প কর্মকর্তা আসমা হেনা চুমকি প্রমুখ।

মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, আলমডাঙ্গা ও চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলার কৃষকেরা বোরো মৌসুমে ধান চাষে জিকে খালের পানির ওপর সম্পূর্ণরূপে নির্ভরশীল। এই অঞ্চলের কৃষকদের দিনের পর দিন অবহেলা করা হচ্ছে। তারা ঠিকমতো পানি পাচ্ছে না। অতিকষ্টে তাদের ফসল ফলাতে হয়। মৌসুমের শুরুতেই সেচ পানির সংকট রয়েছে। দীর্ঘদিন সেচ পাম্প নষ্টের অজুহাতে কৃষকদের দুর্ভোগে ফেলে হয়রানির অভিযোগও করেন বক্তারা।


জানা যায়, গঙ্গা-কপোতাক্ষ (জিকে) সেচ প্রকল্পের আওতায় কুষ্টিয়া, চুয়াডাঙ্গা, ঝিনাইদহ ও মাগুরা জেলায় পানি সরবরাহ করে পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো)। প্রতি বছরের ১৫ জানুয়ারি থেকে ১৫ অক্টোবর পর্যন্ত ১০ মাস দিনরাত ২৪ ঘণ্টা পদ্মা নদী থেকে তিনটি পাম্পযোগে এ চারটি জেলায় পানি সরবরাহ করা হয়। বাকি দুই মাস রক্ষণাবেক্ষণের জন্য পাম্প বন্ধ রাখা হয়।

পাম্প দিয়ে ওঠানো পানি চার জেলায় ১৯৩ কিলোমিটার প্রধান খাল, ৪৬৭ কিলোমিটার শাখা খাল ও ৯৯৫ কিলোমিটার প্রশাখা খালে যায়। জিকে সেচ প্রকল্পের প্রধান এবং শাখা খালগুলোতে পানি থাকলে সেচ সুবিধাসহ আশপাশের টিউবওয়েল ও পুকুরে পানি স্বাভাবিক থাকে। পদ্মায় পানির স্তর স্বাভাবিক থাকলে প্রতি পাম্পে প্রতি সেকেন্ডে গড়ে ২৮ হাজার ৩১৬ দশমিক ৮৫ লিটার পানি সরবরাহ হয়ে থাকে।

তিনটি পাম্পের মধ্যে ২০১৭ সালে প্রথমটি ও ২০২১ সালে দ্বিতীয়টি যান্ত্রিকত্রুটির কারণে অকেজো হয়ে পড়ে। এরপর মাত্র একটি পাম্প দিয়ে পানি সরবরাহ ব্যবস্থা চালু রাখা হয়। কিন্তু সেটিও চলতি বছরের ১৯ ফেব্রুয়ারি যান্ত্রিকত্রুটির কারণে অকেজো হয়ে পড়েছে। ফলে বোরো মৌসুমের শুরুতেই পানি থেকে বঞ্চিত হয়েছেন এ অঞ্চলের কৃষকরা।

আলমডাঙ্গার ডাউকি ইউনিয়নের বাদেমাজু গ্রামের কৃষক আশাদুল হক জানান, বোরো মৌসুমের শুরুতে পানি না পাওয়ায় দেরিতে ধান রোপন করা হয়েছে। এ বছর সেচ খালের আওতাধীন ৯ বিঘা জমিতে ধান চাষ করেছি। কিন্তু হঠাৎ পানি শূন্য হয়ে গেছে খালটি। ধানি জমিতে দেখা দিয়েছে ফাটল। বিকল্প হিসেবে ডিজেল চালিত স্যালো মেশিনের সাহায্য পানি দেওয়া হচ্ছে। এতে প্রতিদিন ৫শ' টাকার তেল কিনতে হচ্ছে। এ বছর পানির অভাবে ধানের ফলন কম হবে, খরচও বৃদ্ধি পাবে। এতে কৃষকদের ব্যাপক লোকসান গুণতে হবে।  

এ বিষয়ে ভেড়ামারা যান্ত্রিক পাম্প হাউসের নির্বাহী প্রকৌশলী মিজানুর রহমান বলেন, বর্তমানে জিকে সেচ প্রকল্পের তিনটি পাম্পই যান্ত্রিকত্রুটির কারণে অকেজো হয়ে রয়েছে। সবশেষ গত ১৯ ফেব্রুয়ারি তিন নম্বর পাম্পটি অকেজো হয়ে যায়। ফলে বন্ধ রয়েছে পানি সরবরাহ। তিনি আরও বলেন, আমরা পাম্পগুলো সচলের ব্যবস্থা গ্রহণ করেছি। ইতিমধ্যে কাজ চলছে। তবে কবে নাগাদ এটি সচল হবে তা এখনি বলা সম্ভব না।

চলতি মৌসুমে পানি সরবরাহ স্বাভাবিক হওয়ার সম্ভাবনা আছে কি না জানতে চাইলে তিনি বলেন, তেমন সম্ভাবনা নেই। কারণ পাম্পটি চালু হলেও পদ্মা নদীতে বর্তমানে পানির লেভেল মোটামুটি অনেক কম। সব মিলিয়ে হয়ত এ মৌসুমে চালু করা সম্ভব হবে না।

;

২৪ ঘণ্টায় করোনায় একজনের মৃত্যু, শনাক্ত ৩১



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

দেশে গত ২৪ ঘণ্টায় করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে একজনের মৃত্যু হয়েছে। এসময় আরও ৩১ জনের দেহে এই ভাইরাস শনাক্ত হয়েছে।

মঙ্গলবার (১৯ মার্চ) স্বাস্থ্য অধিদপ্তর থেকে পাঠানো করোনাবিষয়ক এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, এ নিয়ে করোনায় মোট মৃত্যু হলো ২৯ হাজার ৪৯৩ জনের। করোনা আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ২০ লাখ ৪৯ হাজার ২১৯ জনে।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তর জানায়, গত ২৪ ঘণ্টায় সারা দেশে ৮৮৫টি পরীক্ষাগারে ৬০২টি নমুনা পরীক্ষায় ৩১ জনের করোনা শনাক্ত হয়। তাদের মধ্যে ২৮ জনই ঢাকার রোগী। বাকি তিনজন চট্টগ্রামের। করোনা শনাক্তের হার ৫ দশমিক ১৫ শতাংশ। মহামারির শুরু থেকে এ পর্যন্ত মোট শনাক্তের হার ১৩ দশমিক শূন্য ৭ শতাংশ।

এদিকে, গত ২৪ ঘণ্টায় করোনা আক্রান্তদের মধ্য থেকে সুস্থ হয়েছেন আরও ৫২ জন। এ নিয়ে মোট সুস্থ রোগীর সংখ্যা বেড়ে দাঁড়াল ২০ লাখ ১৬ হাজার ৪১৪ জনে। সুস্থতার হার ৯৮ দশমিক ৪০ শতাংশ।

প্রসঙ্গত, ২০২০ সালের ৮ মার্চ দেশে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত প্রথম রোগী শনাক্ত হয়। এর ১০ দিন পর ১৮ মার্চ করোনা আক্রান্ত হয়ে একজনের মৃত্যুর খবর জানায় স্বাস্থ্য অধিদপ্তর।

;

রাজউক-ইউডিডি-এইচবিআরআইর সমস্যা নিরসনের আহ্বান গণপূর্তমন্ত্রীর



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

রাজউক, ইউডিডি ও এইচবিআরআইয়ের বিদ্যমান সমস্যা নিরসন ও কাজে গতিশীলতা বৃদ্ধির আহ্বান জানিয়েছেন গৃহায়ন ও গণপূর্তমন্ত্রী র আ ম উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী।

মঙ্গলবার (১৯ মার্চ) সচিবালয়ে গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে আয়োজিত সংস্থা তিনটির সাথে পৃথক মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ আহ্বান জানান।

নগর উন্নয়ন অধিদফতর (ইউডিডি) ভূমির সর্বোত্তম ব্যবহার ও পরিকল্পিত নগরায়নের লক্ষ্যে মাস্টারপ্ল্যান প্রণয়নের কাজ করছে। ১৯৬৫ সালে প্রতিষ্ঠিত এ প্রতিষ্ঠানে জনবল সংকট, কর্মকর্তা/কর্মচারীদের পদোন্নতিসহ বিভিন্ন সমস্যার কথা উল্লেখ করেন কর্মকর্তারা। মন্ত্রী এসব সমস্যা দ্রুত সমাধানের জন্য মন্ত্রণালয়ের সংশ্লিষ্টদের নির্দেশনা দেন। সেই সাথে অধিদফতরের কাজে গতিশীলতা বৃদ্ধির জন্য যা কিছু করা দরকার দ্রুততম সময়ের মধ্যে তা নিস্পন্ন করার জন্য তিনি সংশ্লিষ্টদের নির্দেশনা প্রদান করেন।

হাউজিং এন্ড বিল্ডিং রিসার্চ ইনস্টিটিউটের মহাপরিচালক পরিবেশবান্ধব নির্মাণসামগ্রী উদ্ভাবন ও তৎসংশ্লিষ্ট শিল্পকারখানা স্থাপনে সরকারের বিভিন্ন উদ্যোগ সর্ম্পকে সভাকে অবহিত করেন। পোড়ামাটির ইটের বিকল্প হিসেবে ব্যবহারযোগ্য স্যান্ড-সিমেন্ট ব্লক তৈরির আড়াইশোর বেশি কারখানা ইতোমধ্যে দেশের বিভিন্ন স্থানে স্থাপন করা হয়েছে বলে তিনি জানান।

এসব নির্মাণসামগ্রী বিশেষ করে স্যান্ড-সিমেন্ট ব্লক ব্যবহারে সর্বস্তরে আরো সচেতনতা সৃষ্টির জন্য মন্ত্রী নির্দেশনা প্রদান করেন। পরিবেশবান্ধব এসব নির্মাণসামগ্রী ডিকার্বানাইজেশনের ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালনে সক্ষম এবং জাতীয় স্বার্থে এসব নির্মাণসামগ্রীর ব্যবহার বৃদ্ধি প্রয়োজন বলে মন্ত্রী মন্তব্য করেন।

তিনি এইচবিআরআইয়ের প্রাতিষ্ঠানিক সমস্যাসমূহ দ্রুত সমাধানের জন্য সংশ্লিষ্টদের নির্দেশ দেন। একই দিনে রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের কর্মকর্তা/কর্মচারীদের সাথে আয়োজিত মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়। উক্ত সভায় রাজউকের বাস্তবায়নাধীন বিভিন্ন প্রকল্পে পর্যাপ্ত বনায়ন, পার্ক, খেলার মাঠ, শিশুপপার্ক ও জলাধার সংরক্ষণের জন্য মন্ত্রী সংশ্লিষ্টদের নির্দেশ দেন।

মন্ত্রী বলেন, গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের অধীন সকল দফতর/ সংস্থার কাজে গতিশীলতা বৃদ্ধি, ও যথাযথ নিয়ম মেনে দ্রুততম সময়ে কাজ নিষ্পন্ন করার মাধ্যমে আমরা একটি জনবান্ধব ও স্মার্ট মন্ত্রণালয় গড়ে তুলতে চাই। এজন্য সবাইকে যার যার অবস্থান থেকে সুচারুরুপে দায়িত্ব পালন করতে হবে।

মতবিনিময় সভায় মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. নবীরুল ইসলাম, অতিরিক্ত সচিববৃন্দ ও সংশ্লিষ্ট দফতর প্রধানগণ উপস্থিত ছিলেন।

;

বিশ্ব পরিস্থিতির বিবেচনায় শিক্ষাকার্যক্রম পরিচালনার নির্দেশ রাষ্ট্রপতির



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষকে তথ্য প্রযুক্তি ও বিশ্ব পরিস্থিতি বিবেচনায় রেখে বিশ্ববিদ্যালয়ের একাডেমিক কার্যক্রম পরিচালনার নির্দেশনা দিয়েছেন রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন।

মঙ্গলবার (১৯ মার্চ) বঙ্গভবনে বাংলাদেশ টেক্সটাইল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুটেক্স) উপাচার্য অধ্যাপক ড. শাহ আলিমুজ্জামানের নেতৃত্বে এক প্রতিনিধিদল রাষ্ট্রপতির সঙ্গে সাক্ষাৎকালে তিনি এই নির্দেশনা দেন।

রাষ্ট্রপ্রধান বলেন, টেক্সটাইল বর্তমান প্রেক্ষাপটে বাংলাদেশের অর্থনীতিতে অন্যতম প্রধান এবং সর্বোচ্চ বৈদেশিক মুদ্রা অর্জনকারী খাত। তিনি টেক্সটাইল খাতের আধুনিকায়ন ও বৈচিত্রকরণে টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারদের ভূমিকা খুবই গুরুত্বপূর্ণ বলে উল্লেখ করেন।

বিশ্ববিদ্যালয়সমূহের আচার্য রাষ্ট্রপতি সাহাবুদ্দিন বিশ্ববাজারে বাংলাদেশের টেক্সটাইল পণ্যকে আরও বেশি জনপ্রিয় ও আকর্ষণীয় করতে ব্যবসায়ী, বিনিয়োগকারী ও টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারদেরকে এগিয়ে আসার আহ্বান জানান।

সাক্ষাৎকালে বুটেক্স উপাচার্য বিশ্ববিদ্যালয়ের একাডেমিক কার্যক্রমসহ সার্বিক বিষয়াদি সম্পর্কে রাষ্ট্রপতিকে অবহিত করেন।

তিনি বলেন, ১৯৫৭ সালে তৎকালীন সরকারের মন্ত্রী থাকাকালে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান টেক্সটাইল ইনস্টিটিউটের একাডেমিক ও আবাসিক ভবন নির্মাণের জন্য তেজগাঁওয়ে জায়গা বরাদ্দ দেন এবং প্রতিষ্ঠানটির নির্মাণকাজ শুরু করেন।

বুটেক্স উপাচার্য বলেন, পরবর্তীতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ২০১০ সালে এটিকে বাংলাদেশ টেক্সটাইল বিশ্ববিদ্যালয় হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করেন। তিনি বিশ্ববিদ্যালয় পরিচালনায় রাষ্ট্রপতির সার্বিক সহযোগিতা কামনা করেন।

এ সময় রাষ্ট্রপতির কার্যালয়ের সচিবগণ উপস্থিত ছিলেন।

;