রেজিস্ট্রেশন ছাড়া ঔষুধ, আমদানি-উৎপাদনে ১০ বছরের কারাদণ্ড
ভেজাল ও রেজিস্ট্রেশন ছাড়া ঔযুধ উৎপাদন, আমদানি ও বাজারজাতে সর্বোচ্চ ১০ বছরের কারাদণ্ড, ১০ লাখ টাকা জরিমানার বিধান রেখে ঔযুধ আইন, ২০২২ এর খসড়ার নীতিগত অনুমোদন দিয়েছে মন্ত্রিসভা।
বৃহস্পতিবার (১১ আগস্ট) মন্ত্রিসভার বৈঠক শেষে মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন।
প্রধানমন্ত্রী গণভবন থেকে এবং মন্ত্রী-প্রতিমন্ত্রীরা সচিবালয়ের মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সভাকক্ষ থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে বৈঠকে যোগ দেন।
তিনি জানান, আইনে ১০৩ টি ধারা রযেছে। এর মধ্যে বিভিন্ন শাস্তি নিয়ে (৫৪-৭৫) পর্যন্ত ২২ টি ধারা রয়েছে। এগুলো ৫ টি গ্রুপে এনে সমন্বত করা হবে।
তবে এর ৭০ ধারায় লাইসেন্স ছাড়া ঔষুধ আদানিতে সর্বোচ্চ ১০ বছরের কারাদণ্ড এবং ১০ লাখ টাকা জরিমানার বিধান রয়েছে। এক্ষেত্রে উভয় দণ্ডের ও বিধান রাখা হয়েছে।
৬৬ ধারায় সরকারি ঔষুধ বিক্রি ও মজুদের জন্যও সর্বোচ্চ ১০ বছরের কারাদণ্ড এবং ১০ লাখ টাকা জরিমানার বিধান রয়েছে। ৬৫ ধারায় ভেজাল ওষুধ উৎপাদন ও বিক্রির জন্য সর্বোচ্চ ১০ বছরের কারাদণ্ড এবং ১০ লাখ টাকা জরিমানার বিধান রাখা হয়েছে।
তিনি বলেন, এর আগে সর্বোচ্চ ৩ বছরের জেল ও ৩ লাখ টাকা জরিমানার বিধান ছিল। আগে ধারা ছিল ৪১ টি এখন নতুন আইনে ১০৩ টি ধারা রাখা হয়েছে।
এক্ষেত্রে ওষুধ প্রশাসন অধিদফতর এবং মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করার জন্য প্রতি জেলা সদরে আদালত থাকবে বলেও জানান মন্ত্রিপরিষদ সচিব।
তিনি বলেন,খসড়া আইনে ওষুধ প্রশাসন কেমন হবে, ওষুধ বিক্রি ও আমদানির লাইসেন্স দেয়ার নিয়ম উল্লেখ করা হয়েছে। কেউ লাইসেন্সের শর্ত ভঙ্গ করলে তার শাস্তি কী হবে সেটাও খসড়া আইনে রয়েছে।
এছাড়া মন্ত্রিসভা বৈঠকে ‘দ্য স্টেট একুইজেশন অ্যান্ড টেন্যান্সি (অ্যামেন্ডমেন্ট) অ্যাক্ট, ২০২২’ ও ‘জাতীয় শিল্পনীতি, ২০২২’ এর খসড়া অনুমোদন দেয়া হয়েছে।