মোংলা বন্দরে ভারতের ট্রায়াল রানের জাহাজ



উপজেলা করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, মোংলা (বাগেরহাট)
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

মোংলা বন্দরে এসে পৌঁছেছে ভারতের প্রথম ট্রায়ালের কার্গো জাহাজ। বাংলাদেশ-ভারত বাণিজ্যে মোংলা বন্দর ব্যবহার বিষযয়ক চুক্তি বাস্তবায়নে চারটি ট্রায়াল রানের প্রথমটি রোববার (০৭ আগস্ট) সকালে এমভি রিশাদ রাইহান জাহাজটি বন্দর চ্যানেলের ত্রিমোহনা নালায় এসে নোঙ্গর করে।

সোমবার (৮ আগস্ট) বেলা ১১টায় বন্দরের ৯ নম্বর জেটিতে আনুষ্ঠানিকভাবে পণ্য খালাস শুরু হবে। এ সময় বাংলাদেশে নিযুক্ত ভারতীয় দূতাবাসের হাই কমিশনার প্রনয় কুমার বর্মা ছাড়াও বন্দরের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত থাকবেন।

মোংলা বন্দর কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান রিয়ার অ্যাডমিরাল মোহাম্মদ মুসা রোববার (০৭ আগস্ট) রাত সাড়ে ৯টায় এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

তিনি বলেন, গত ১ আগস্ট রিশাদ রাইহান নামে জাহাজটি ভারতের কলকাতা বন্দর থেকে দুই ধরনের মেশিনারি পণ্য নিয়ে লাইটার জাহাজটি ছেড়ে আসে। এর মধ্যদিয়ে চারটি ট্রায়াল রানের প্রথমটি শুরু করেছে ভারতের কলকাতা বন্দর। তারই ধারাবাহিকতায় প্রথম ট্রায়াল জাহাজ বাংলাদেশি পতাকাবাহী এমভি রিশাদ রাইহান মোংলায় এসে পৌঁছায়।

জাহাজটির স্থানীয় শিপিং এজেন্ট জেসি শিপিং এজেন্টের খুলনার ব্যবস্থাপক প্রদীপ কুমার দাস বলেন, মোংলা-তামাবিল ও মোংলা-বিবিরবাজার (কুমিল্লার স্থলবন্দর) রুটে ট্রায়ালের জন্য ট্রানজিট কার্গো জাহাজটি বর্তমানে মোংলা বন্দরে অবস্থান করেছে। এর ফলে বাংলাদেশ-ভারতের মধ্যে পণ্য আমদানি রফতানির ট্রায়াল কার্যক্রম শুরু হয়েছে।

মার্কস লাইনের দুইটি কন্টেইনারের মধ্যে একটি কন্টেইনারে ইলেক্ট্রো স্টিল কাস্টিংস লিমিটেডের ৭০ প্যাকেজের ১৬ দশমিক ৩৮০ টন লোহার পাইপ এবং বিবিরবাজার-শ্রীমন্তপুর সীমান্ত পয়েন্ট ব্যবহার করে আসামের জন্য আরেকটি কনটেইনারে ২৪৯ প্যাকেজে আট দশমিক পাঁচ টন প্রিফোম নিয়ে জাহাজটি মোংলা বন্দরে এসে পৌঁছায়।

মোংলা বন্দর কর্তৃপক্ষ সূত্র জানায়, ভারত-বাংলাদেশ প্রোটোকল রুটে অভ্যন্তরীণ নৌপথ ব্যবহার করে ব্যবসায়িক গতি বাড়ানোর লক্ষ্যে এই উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। এ কার্যক্রমের মাধ্যমে দুই দেশের অর্থনীতি এবং দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক উন্নয়নে আরও ইতিবাচক প্রভাব ফেলবে।

ভারত থেকে পণ্য পরিবহনের জন্য মোংলা বন্দর ব্যবহার সংক্রান্ত একটি চুক্তি এবং স্ট্যান্ডার্ড অপারেটিং পদ্ধতি দুই দেশের মধ্যে স্বাক্ষরিত হয়েছে। চলতি বছরের মার্চে অনুষ্ঠিত ১৩তম ভারত-বাংলাদেশ জয়েন্ট গ্রুপ অব কাস্টমস (জেএসসি) বৈঠকের পর ট্রায়াল রান পরিচালনার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল।

এ বিষয়ে মোংলা বন্দর কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান রিয়ার এডমিরাল মোহাম্মদ মুসা বলেন, মোংলা বন্দরের মাধ্যমে ভারতের সঙ্গে পণ্য পরিবহনের ক্ষেত্রে একটি অনন্য মাইলফলক সৃষ্টি হলো। এ কার্যক্রমের মাধ্যমে আমাদের বন্ধুপ্রতিম দেশের সঙ্গে বন্ধুত্ব ও অর্থনৈতিক সম্পর্ক আরও জোরদার হবে।

   

পরকীয়া প্রেমিককে হত্যা করে মাটিচাপা, ঘাতক গ্রেফতার



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

ঢাকার দক্ষিণ কেরানীগঞ্জের বাঘাশুর পশ্চিম পাড়া এলাকার সিংহ নদী থেকে অজ্ঞাত এক যুবকের মরদেহ উদ্ধারের ঘটনায় দুজনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই)।

সংস্থাটি বলছে, পরকীয়া প্রেমের বিষয়টি স্থানীয়দের কাছে ফাঁস করে দেওয়ার পরকীয়া প্রেমিকার পরিকল্পনায় এই হত্যাকাণ্ড ঘটে। পরবর্তীতে ঘাতকরা সিংহ নদীতে মরদেহ মাটিচাপা দিয়ে দেয়।

হত্যা ও লাশ গুমে জড়িত দুজনকে গ্রেফতার করেছে পিবিআই। তারা হলেন-আঁখি আক্তার (২৪) ও আলাল মোল্লা (৩৫)। এই ঘটনায় আঁখির স্বামী ওমর ফারুক আগেই থানা পুলিশের হাতে গ্রেফতার হন।

গ্রেফতার দুই আসামি রুমান শিকদারকে (৩৯) হত্যার দায় স্বীকার করে আদালতে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি দেয়। নিহত রুমান শিকদার একই এলাকার আবু শিকদারের ছেলে।

বুধবার (২৯ নভেম্বর) দুপুরে রাজধানীর ধানমণ্ডিতে সংস্থাটির প্রধান কার্যালয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে পিবিআই ঢাকা জেলার পুলিশ সুপার (এসপি) মো. কুদরত-ই-খুদা এ তথ্য জানান।


ঘটনার বিষয়ে পুলিশ সুপার কুদরত বলেন, ঘাতক আঁখি আক্তার ও নিহত রোমান শিকদার প্রতিবেশী। আঁখির স্বামী ওমর ফারুক প্রবাসী। এই সুযোগে প্রতিবেশী রুমানের সঙ্গে পরকীয়া প্রেমে জড়িয়ে পড়েন আঁখি। বিদেশ থাকাবস্থায় স্ত্রীর পরকীয়া প্রেমের বিষয়টি জানতে পেরে দেশে চলে আসেন ওমর ফারুক। দেশে এসে আঁখিকে বাড়ি থেকে বের করে দেন। পরবর্তীতে দুই স্বজনদের মধ্যস্থতায় মীমাংসা করে আঁখি ও ওমর ফারুক সংসার শুরু করে। কিছুদিন যেতে না যেতেই আঁখি আবারও রুমানেরব সঙ্গে পরকীয়া প্রেমে জড়িয়ে পড়েন।

চলতি বছরের মাঝামাঝি সময়ে রুমানের হাত ধরে পালিয়ে অন্যত্র কিছুদিন বসবাস করেন আঁখি। পরবর্তীতে ফারুক অনেক খোঁজাখুঁজির পর আঁখি ও তার প্রেমিক রুমানের সন্ধান পায়। পরে স্বজন ও স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিদের নিয়ে ফিরিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করলে স্থানীয়রা রুমানকে তার প্রেমিকা আঁখিকে বিয়ের জন্য চাপ দিলে রুমান তা অস্বীকার করেন। যার ফলে আঁখি আক্তার তার অনৈতিক কর্মকাণ্ডের জন্য স্বামী ফারুকের নিকট ক্ষমা চেয়ে সংসারে ফিরে যান। আঁখি আক্তার তাদের বাসাভাড়া করে থাকা ও পরকীয়ার বিষয়টি রুমানকে গোপন রাখতে অনুরোধ করেন। রুমান অনুরোধ উপেক্ষা করে বিষয়টি এলাকায় বিভিন্ন জনের কাছে বলাবলি করে আসছেন। আর এতে আঁখি ও ফারুক ক্ষিপ্ত হয়ে রুমান হত্যার সিদ্ধান্ত নেয়। পরিকল্পনা অনুযায়ী চলতি বছরের ২২ মার্চ গভীর রাতে মোবাইলে আঁখি আক্তার প্রেমিক রুমানকে ঘরে ডাকে। এরপর কথা বলার একপর্যায়ে পিছন থেকে লোহার রড দিয়ে রুমানকে আঘাত করে হত্যা করেন আঁখি ও তার স্বামী ফারুক। নিহতের লাশ বস্তাবন্দি করে গুমের উদ্দেশে প্রতিবেশী আলাল মোল্লার সহযোগিতায় বাড়ির পাশের সিংহ নদীতে লাশটি মাটিচাপা দিয়ে দেয়।

যেভাবে লাশ উদ্ধার ও পরিচয় নিশ্চিত

রুমনকে হত্যা করে মাটিচাপা দেওয়ার এক মাস পর চলতি বছরের ২১ মে সিংহ নদীতে নদী খননের কাজ চলার সময়ে নদীতে কাদামাটি কাটার সময়ে ভেকুতে অজ্ঞাতনামা এক ব্যক্তির কঙ্কাল উঠে আসে। বিষয়টা স্থানীয়রা জাতীয় জরুরি সেবা ৯৯৯ জানালে দক্ষিণ কেরাণীগঞ্জ থানা পুলিশ কঙ্কালের সঙ্গে একটি অস্পষ্ট নেভীব্লু রংয়ের শার্টের অংশ বিশেষ পায়। কঙ্কাল উদ্ধারের খবর পেয়ে নিহতের স্ত্রী-সন্তান ও স্বজনরা গিয়ে প্রাথমিকভাবে কঙ্কালের সঙ্গে থাকা নেভি ব্লু রংয়ের শার্টের অংশবিশেষ দেখে এটি রুমানের বলে দাবি করেন।

পরবর্তীতে উপপরিদর্শক (এসআই) মাইদুল ইসলাম কঙ্কালের সুরতহাল প্রস্তুত করেন এবং ডিএনএ প্রোফাইলের জন্য কঙ্কালটি স্যার সলিমুল্লাহ মেডিকেল কলেজ (মিটফোর্ড) হাসপাতালে মর্গে পাঠায়। পাশাপাশি এসআই মাইদুল বাদী হয়ে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। মামলাটি ৫ মাস থানা পুলিশ তদন্ত শেষে দায়িত্ব পায় পিবিআই। গত আগস্টের ২২ তারিখ মামলাটি তদন্ত শুরু করে পিবিআই'র ঢাকা জেলার একটি দল।

এর আগে কঙ্কাল উদ্ধারের পর নিহতের স্ত্রী সেলিনা আক্তার ডিএনএ পরীক্ষার আবেদন করেন। পরবর্তীতে নিহতের মেয়ে নুছরাত (১২) ও ছেলে সাইফের (৬) ডিএনএ নমুনা সংগ্রহ করে সিআইডি। পরবর্তীতে ডিএনএ পরীক্ষায় রুমানের পরিচয় নিশ্চিত হয়।

;

সিরাজগঞ্জ-২ আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থী ডা. হাবিব মিল্লাত মুন্না



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট,বার্তা২৪.কম,সিরাজগঞ্জ
অধ্যাপক ডা. হাবিব মিল্লাত মুন্না

অধ্যাপক ডা. হাবিব মিল্লাত মুন্না

  • Font increase
  • Font Decrease

আগামী দ্বাদশ জাতীয় নির্বাচনে গত ২০১৪ ও ২০১৮ সালে নৌকা প্রতীকে নির্বাচিত দুই বারের সংসদ সদস্য অধ্যাপক ডা. হাবিব মিল্লাত মুন্না স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করেছেন। 

বুধবার (২৯ নভেম্বর) দুপুরে জেলা রিটার্নিং অফিসার কার্যালয় থেকে মনোনয়ন উত্তোলন করেন তিনি । জানা যায়, সিরাজগঞ্জ-২ (সদরের একাংশ ও কামারখন্দ উপজেলা) আসন থেকে ২০১৪ সালে নৌকার মনোনয়ন পেয়ে বিনা প্রতিদ্বন্ধিতায় এবং ২০১৮ সালে পুনরায় নৌকার মনোনয়ন পেয়ে বিপুল ভোটে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন ডা. হাবিব মিল্লাত মুন্না।

ডা. হাবিব মিল্লাত মুন্না বিগত সময়ের উন্নয়ন কর্মকান্ড ও দলের প্রতি আস্থাশীল হিসেবে আশাবাদী ছিলেন এবারও তিনি দল থেকে মনোনয়ন পাবেন। কিন্তু শেষ পর্যন্ত দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনে দল থেকে তিনি মনোনয়ন বঞ্চিত হয়ে পড়েন। আসনটিতে আওয়ামী লীগ থেকে মনোনয়ন পেয়েছেন জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সম্পাদক ড. জান্নাত আরা হেনরী। তিনি ২০০৮ সালে নৌকার মনোনয়ন পেয়ে বিএনপি প্রার্থী রুমানা মাহমুদের কাছে সামান্য ভোটের ব্যবধানে হেরে গিয়েছিলেন।

এ ব্যাপারে ডা. হাবিব মিল্লাত মুন্না বলেন, বিষয়টি নিয়ে এখন কোন মন্তব্য করতে পারব না, পরে জানাবো।

এদিকে, ২৮ নভেম্বর পর্যন্ত জেলার ৬ টি সংসদীয় আসন থেকে আওয়ামী লীগ, জাতীয় পার্টি, জাকের পার্টি, তৃনমূল বিএনপি, জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল, বিকল্প ধারা, কৃষক শ্রমিক জনতা লীগ, বাসদ ও স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে ৩০ জন প্রার্থী মনোনয়নপ্ত্র সংগ্রহ করেছেন।

এর মধ্যে সিরাজগঞ্জ-১ আসন থেকে আওয়ামী লীগ মনোনীত তানভীর শাকিল জয়, জাকের পার্টির রেজাউল করিম, স্বতন্ত্র প্রার্থী গোলাম মোস্তফা তালুকদার ও জাতীয় পার্টির জহুরুল ইসলাম। সিরাজগঞ্জ-২ আওয়ামী লীগ মনোনীত মোছা. জান্নাত আরা হেনরী, জাতীয় পার্টির আমিনুল ইসলাম ঝন্টু, তৃনমূল বিএনপির সোহেল রানা, জাকের পার্টির রুবেল সরকার ও স্বতন্ত্র প্রার্থী ডা. হাবিব মিল্লাত মুন্না।

সিরাজগঞ্জ-৩ আসনে আওয়ামী লীগ মনোনীত মো. আব্দুল আজিজ, স্বতন্ত্র মোজাফফর হোসেন, জাতীয় পার্টির জাকির হোসেন, বিএনএম পার্টির গোলাম মোস্তফা, স্বতন্ত্র শরিফুল আলম খন্দকার, স্বতন্ত্র সাখাওয়াত হোসেন, স্বতন্ত্র আব্দুল হালিম খান দুলাল, স্বতন্ত্র নুরুল ইসলাম ও জাকের পার্টির আলমগীর হোসেন।

সিরাজগঞ্জ-৪ আসন থেকে জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দলের মোস্তফা কামাল বকুল, বিকল্পধারা বাংলাদেশের আইনুল হক ও জাতীয় পার্টির আব্দুল্লাহ আল হাসেম। সিরাজগঞ্জ-৫ আসন থেকে আওয়ামী লীগ মনোনীত আব্দুল মমিন মন্ডল, স্বতন্ত্র সাবেক বিএনপি নেতা আব্দুল্লাহ আল মামুন, স্বতন্ত্র নুরুল ইসলাম সাজেদুল, বাংলাদেশ কৃষক শ্রমিক জনতালীগের নাজমুল হক। 

সিরাজগঞ্জ-৬ আসন থেকে আওয়ামী লীগ মনোনীত চয়ন ইসলাম, স্বতন্ত্র হালিমুল হক মিরু, জাসদের মোজাম্মেল হক, বাসদের রেজাউর রশীদ খান ও জাকের পার্টির রেজাউল করিম বিপ্লব মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করেছেন।

;

১২ ঘণ্টায় আগুনে পুড়ল ৫টি যান



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: বার্তা ২৪

ছবি: বার্তা ২৪

  • Font increase
  • Font Decrease

বর্তমান সরকারের পদত্যাগের দাবিতে বিএন‌পি জামায়াতসহ সমমনা দলের ডাকা অষ্টম দফার অবরোধ কর্মসূচিকে কেন্দ্র করে দূবৃত্তের দেয়া আগু‌নে গত ১২ ঘণ্টায় পুড়েছে ৫ টি যানবাহন।

এ নিয়ে গত ২৮ অক্টোবর থেকে ২৯ নভেম্বর সকাল ৬ টা পর্যন্ত দুর্বৃত্ত কর্তৃক মোট ২২৮ টি অগ্নিসংযোগের সংবাদ পেয়েছে ফায়ার সার্ভিস।

বুধবার (২৯ নভেম্বর) ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স উপ সহকারি পরিচালক (মিডিয়া) শাহজাহান সিকদার এ তথ‌্য নি‌শ্চিত করেন।

তি‌নি জানান, গত ২৮ নভেম্বর সকাল ৬ টা থেকে ২৯ নভেম্বর সকাল ৬ টা পর্যন্ত দুর্বৃত্ত কর্তৃক ৫ টি যানবাহনে আগুন লাগানোর সংবাদ পেয়েছে ফায়ার সার্ভিস। এর মধ্যে ঢাকা সিটিতে ১ টি, গাজীপুরে ২ টি, বাগেরহাটে ১ টি ও সিরাজগঞ্জে ১ টি যানবাহনে অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় ৩ টি বাস ও ২ টি ট্রাক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বলেও জানানো হয়।

তি‌নি জানান, আগুন নির্বাপণ করতে ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের ৮ টি ইউনিট ও ৪২ জন কর্মী কাজ করে।

ফায়ার সার্ভিস জানায়, ২৮ নভেম্বর গাজীপুর সদরের ধীরাশ্রম রোডে ১টি ট্রাকে আগুন ও বাগেরহাটের রামপালে ফয়লা বাজারে ‘রোকেয়া পরিবহন’-এর ১টি বাসে আগুনের ঘটনা ঘটে।

এছাড়া ২৯ নভেম্বর সিরাজগঞ্জের কামারখন্দ হাটিকামরুল এলাকায় ১টি ট্রাকে, ঢাকার শ্যামপুরের ধোলাইপাড়ে ‘তুরাগ পরিবহন’-এর ১ টি বাসে আগুন এবং গাজীপুরের সালনায় ‘মিনহাজ পরিবহন’-এর ১ টি বাসে আগুনের ঘটনা ঘটে।

;

৩ টেকনোক্র্যাট মন্ত্রী-প্রতিমন্ত্রীর পদত্যাগ কার্যকর



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ইয়াফেস ওসমান, মোস্তাফা জব্বার ও  ড. শামসুল আলম

ইয়াফেস ওসমান, মোস্তাফা জব্বার ও ড. শামসুল আলম

  • Font increase
  • Font Decrease

নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার পরপর পদত্যাগপত্র জমা দেওয়া তিন টেকনোক্র‍্যাট মন্ত্রী ও প্রতিমন্ত্রীর পদত্যাগ কার্যকর করা হয়েছে।

বুধবার (২৯ নভেম্বর) সকালে তাদের পদত্যাগ কার্যকর করা হয়েছে বলে সরকারের উচ্চ পর্যায়ের একটি সূত্র নিশ্চিত করেছে।

তিনজন হলেন— বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রী স্থপতি ইয়াফেস ওসমান, ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার এবং পরিকল্পনা প্রতিমন্ত্রী ড. শামসুল আলম পদত্যাগপত্র জমা দিয়েছেন।

গত ১৯ নভেম্বর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিমন্ত্রী ইয়াফেস ওসমান, ডাক ও টেলিযোগাযোগমন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার ও পরিকল্পনা প্রতিমন্ত্রী ড. শামসুল আলম পদত্যাগ পত্র জমা দেন। একই সঙ্গে সেদিন প্রধানমন্ত্রীর অর্থনীতি বিষয়ক উপদেষ্টা মসিউর রহমান; বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিষয়ক উপদেষ্টা তৌফিক-ই-ইলাহী চৌধুরী এবং আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিষয়ক উপদেষ্টা ড. গওহর রিজভী পদত্যাগপত্র জমা দিয়েছিলেন।

এর আগে, ২০ নভেম্বর মন্ত্রিপরিষদ সচিব মো. মাহবুব হোসেন জানান, টেকনোক্র্যাট তিন মন্ত্রী ও উপদেষ্টাদের পদত্যাগপত্র গ্রহণ প্রক্রিয়া চলমান রয়েছে। যতক্ষণ না পদত্যাগপত্র গৃহীত হচ্ছে ততক্ষণ তারা কাজ চালিয়ে যেতে পারবেন।

প্রসঙ্গত, ১৫ নভেম্বর দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করা হয়েছে। তফসিল অনুযায়ী, আগামী ৭ জানুয়ারি ভোট গ্রহণ করা হবে।

;