চাঁদাবাজি করতে গিয়ে পুলিশের এসআই ও সোর্স অবরুদ্ধ



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা ২৪.কম,বগুড়া
চাঁদাবাজি করতে গিয়ে পুলিশের এসআই ও সোর্স অবরুদ্ধ

চাঁদাবাজি করতে গিয়ে পুলিশের এসআই ও সোর্স অবরুদ্ধ

  • Font increase
  • Font Decrease

বগুড়ায় চাঁদাবাজি করতে গিয়ে পুলিশের এক এসআই ও তার সোর্সকে অবরুদ্ধ করে রাখে জনগণ। পরে থানা থেকে অতিরিক্ত পুলিশ পৌঁছে তাদেরকে উদ্ধার করেন। এঘটনায় বগুড়া সদর থানার এসআই মাসুদ রানাকে থানা থেকে প্রত্যাহার করে পুলিশ লাইন্সে সংযুক্ত এবং তার সোর্স ইকবালকে আটক করে থানা হাজতে রাখা হয়েছে।

শুক্রবার (৫ আগস্ট) বিকেলে বগুড়া শহরের নাটাইপাড়ায়( নাপিত পাড়া) এই ঘটনা ঘটে।

জানা গেছে, বগুড়া সদর থানার এসআই মাসুদ রানা তার সোর্স ইকবালকে সাথে নিয়ে শুক্রবার দুপুরের পর নাপিতপাড়ায় তরুণ কুমার শীলের বাসায় যান। তারা পুলিশ পরিচয়ে বাসার ভিতরে প্রবেশ করে তরুণ শীলের মোবাইল ফোন জব্দ করে। এসময় ওই বাসার ভিতর কয়েকজন যুবক মোবাইল ফোনে আইপিএল এর জুয়া খেলছিলেন। এসময় পুলিশের সোর্স ইকবাল তাদের কাছে ৫০ হাজার টাকা চাঁদা দাবি করে। একপর্যায় বাড়ির লোকজন পুলিশের উপস্থিতি মোবাইল ফোনে ভিডিও ধারণ শুরু করলে এসআই মাসুদ রানা তাদেরকে মারপিট শুরু করে।

অরুণ শীলের পরিবারের অভিযোগ পুলিশ বাড়ির নারীদেরকেও মারপিট শুরু করলে প্রতিবেশীরা এসে পুলিশ ও তার সোর্সকে অবরুদ্ধ করে। খবর পেয়ে বগুড়া সদর থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে গেলে স্থানীয় লোকজন বিক্ষুদ্ধ হয়ে পুলিশের বিরুদ্ধে বিভিন্ন শ্লোগান দেন। এসময় তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়ার আশ্বাস দিয়ে অবরুদ্ধ অবস্থা থেকে উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসা হয়।

বগুড়া সদর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) সেলিম রেজা বলেন পুলিশ সুপারের নির্দেশে এসআই মাসুদ রানাকে থানা থেকে প্রত্যাহার করে পুলিশ লাইন্সে সংযুক্ত করা হয়েছে। মাসুদ রানার সোর্স ইকবালকে আটক করে থানা হাজতে রাখা হয়েছে।

   

ভোলায় বাঁধ ধসে নারীর মৃত্যু



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ভোলা
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

ভোলার ইলিশায় শহর রক্ষা বাঁধের ব্লক ধসে লাইজু বেগম (৪০) নামে এক নারীর মৃত্যু হয়েছে। এসময় আহত হয়েছেন কমপক্ষে আরও ৫ জন।

সোমবার (২ অক্টোবর) দুপুর ১ টার দিকে ব্লক ধসের এ ঘটনা ঘটে।

ভোলা সদর মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ শাহীন ফকির জানিয়েছেন, ইলিশা লঞ্চঘাটের মাঝখানের পন্টুন এলাকার ৪০ মিটার ব্লক হঠাৎ করে নিচের দিকে দেবে যায়। এসময় তীরে জেলের বেঁধে রাখা ট্রলারের ওপর ব্লক ধসে পড়লে মাছ কুড়াতে আসা লাইজু বেগম (৪০) নামে এক নারী ঘটনাস্থলেই মারা যান এবং নৌকায় থাকা আরও ৫ জন আহত হন।

ভোলার পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মোঃ হাসানুজ্জামান জানিয়েছেন, আজ দুপুরে হঠাৎ করেই ৪০ মিটার দৈর্ঘ্যের সিসি ব্লক নদীতে দেবে যায়। ইতিমধ্যে পানি উন্নয়ন বোর্ডের যে সার্ভে টিম রয়েছে, তারা ঘটনাস্থলে এসে পৌঁছেছে। সার্ভে করে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে বিষয়টি জানানো হবে। এছাড়া, পরবর্তীতে এরকম ঘটনার পুনরাবৃত্তি যেন না ঘটে সেজন্য এখানে জিও ব্যাগ ডাম্পিং করা হবে।

;

পিকআপ থেকে ছিটকে পড়ে শ্রমিকের মৃত্যু



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, সিলেট
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

সিলেট মহানগরীর দক্ষিণ সুরমায় পিকআপ থেকে ছিটকে পড়ে মোঃ সবুজ মিয়া নামে এক শ্রমিকের মৃত্যু হয়েছে। 

সোমবার (২ অক্টোবর) সকালে নগরীর কাজিরবাজার সেতুর দক্ষিণ প্রান্তে এ ঘটনা ঘটে।

নিহত সবুজ মিয়া (৩৫) ওসমানী নগরের গোয়ালাবাজার এলাকার জায়ফরপুর গ্রামের ওসমান মিয়ার ছেলে।

বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন দক্ষিণ সুরমা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. শামসুদ্দোহা (পিপিএম)।

পুলিশ জানায়, দক্ষিণ সুরমার কদমতলী থেকে পান বোঝাই করে একটি পিকআপ (সিলেট মেট্টো ন-১১-১৮৪৫) কাজিরবাজারে আসছিল। পিকআপটি কাজিরবাজার সেতুর দক্ষিণ প্রান্তে আসামাত্র সড়কের উপর থাকা ক্রসিং বারে লেগে পিকআপ থেকে ছিটকে পড়ে গুরুতর আহত হন সবুজ। পিকআপের চালক ও পথচারীরা তাকে উদ্ধার করে এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসকরা তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

পুলিশ আরও জানায়, সবুজ সেই পিকআপে ভর্তি পান নামিয়ে দেওয়ার চুক্তি করেছিলেন। তাই কদমতলী থেকে তিনি পিকআপের উপরে করে কাজিরবাজার আসছিলেন। পথিমধ্যে দুর্ঘটনাটি ঘটে।

এবিষয়ে দক্ষিণ সুরমা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোঃ শামসুদ্দোহা (পিপিএম) জানান, লাশ ময়না তদন্ত শেষে পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। এবিষয়ে এখনো কোনো অভিযোগ দায়ের করা হয়নি।

 

 

;

চট্টগ্রামে দুই গোডাউন থেকে ১৭০০ কেজি নিষিদ্ধ পলিথিন জব্দ



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, চট্টগ্রাম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

চট্টগ্রাম নগরীর বাকলিয়া থানার চাক্তাই-খাতুনগঞ্জে দুইটি প্রতিষ্ঠানের গোডাউন থেকে ১৭০০ কেজি নিষিদ্ধ পলিথিন জব্দ করেছে জেলা প্রশাসন ও পরিবেশ অধিদপ্তর। এসময় প্রত্যেককে ৩০ হাজার করে ৬০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে।

সোমবার (২ অক্টোবর) দুপুরে এ অভিযান পরিচালনা করেন জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট জনাব প্রতীক দত্ত।

তিনি জানান, চাক্তাই ও খাতুনগঞ্জে ওসমানিয়া গলির নামহীন একটি গোডাউন এবং রহমান এন্ড ব্রাদার্সের একটি গোডাউন থেকে আনুমানিক ১৭০০ কেজি উৎপাদন নিষিদ্ধ পলিথিন জব্দ করা হয়। যার আনুমানিক বাজার মূল্য প্রায় ৩ লাখ টাকা। উভয় প্রতিষ্ঠানকে ৩০ হাজার টাকা করে মোট ৬০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।

চট্টগ্রামের ভারপ্রাপ্ত জেলা প্রশাসক জনাব আব্দুল মালেক বলেন, আমরা পলিথিনমুক্ত নগরী গড়ার জন্য বদ্ধপরিকর, এ ধরনের অভিযান অব্যাহত থাকবে।

 

;

সাতক্ষীরায় শিশু হত্যার দায়ে একজনের মৃত্যুদণ্ড



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, সাতক্ষীরা
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

সাতক্ষীরা সদর উপজেলার কুচপুকুর এলাকায় তৃতীয় শ্রেণির ছাত্রকে অপহরণের পর হত্যার দায়ে আসামি আশরাফুল ইসলামকে মৃত্যুদণ্ডের আদেশ দিয়েছেন জেলা দায়রা জজ আদালত।

সোমবার (২ অক্টোবর) দুপুরে চাঁদ মোহাম্মদ আব্দুল আলিম আল রাজীর আদালতে এ আদেশ দেন। আসামি পলাতক থাকায় আদালতের কাঠগড়ায় উপস্থিত ছিলেন না।

তিনি সাতক্ষীরার তালা উপজেলার সুভাষিনী গ্রামের আব্দুল জলিলের ছেলে।

মামলার এজাহার থেকে জানা যায়, সদর উপজেলার কুচপুকুর গ্রামের জিয়াউর রহমানের ছেলে রিয়াদ হোসেন কদমতলা কিন্ডারগার্টেনের তৃতীয় শ্রেণিতে পড়ত। যুবক আশরাফুল ইসলাম জিয়াউর রহমানের বাড়িতে মাঝে মাঝে যাতায়াত করতেন। এক পর্যায়ে তিনি জিয়াউর রহমানের মেয়েকে বিয়ে করার জন্য প্রস্তাব দেন।

পারিবারিকভাবে প্রস্তাব প্রত্যাখ্যাত হলে আশরাফুল প্রতিশোধ নেওয়ার উপায় খুঁজতে থাকেন। ২০১৩ সালের ১২ ডিসেম্বর রিয়াদকে বেড়াতে নিয়ে কুপিয়ে হত্যা করে সদর উপজেলার বলাডাঙ্গা ফুটবল মাঠে ফেলে যান আশরাফুল। পরের দিন সকালে বলাডাঙ্গা ফুটবল মাঠ থেকে রিয়াদের মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ।

ওই দিন রাতে রিয়াদের পিতা জিয়াউর রহমান বাদি হয়ে আশরাফুল ইসলামকে আসামি করে সাতক্ষীরা সদর থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। মামলা নং-৩৪। তদন্ত শেষে সদর থানার এসআই হুমায়ুন কবির ২০১৬ সালের ১৪ জুলাই আশরাফুল ইসলামকে আসামি করে আদালতে চার্জশীট প্রদান করেন।

পুলিশের দেওয়া তদন্ত প্রতিবেদন ও ১৭ জন সাক্ষীর মধ্যে ১৪ জন সাক্ষীর সাক্ষ্য গ্রহণ শেষে বিচারক মঙ্গলবার এ আদেশ প্রদান করেন। আসামি পক্ষের আইনজীবী ছিলেন এড. রোকনুজ্জামান।

প্রসঙ্গত, মামলা দায়েরের পর থেকে আসামি পলাতক রয়েছেন।

সাতক্ষীরা আদালতের সরকারি কৌশলী এড. আব্দুল লতিফ জানান, শিশুকে অপহরণের পর হত্যার ঘটনায় করা মামলায় আসামিকে মৃত্যুদণ্ড দেওয়ায় রাষ্ট্রপক্ষ সন্তোষ প্রকাশ করেছেন।

;