ডেবিট-ক্রেডিট কার্ড কারসাজি, কোটি টাকা হাতিয়ে নিয়েছে চক্রটি



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

গত পাঁচ থেকে ছয় বছর ধরে মানুষের ডেবিট ও ক্রেডিট কার্ড কারসাজির মাধ্যমে কোটি টাকা হাতিয়ে নেওয়া চক্রের মূলহোতাকে গ্রেফতার করেছে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)। তার নাম মো. খোকন ব্যাপারী ওরফে জুনায়েদ (৩০)।

সোমবার (১ আগস্ট) দুপুরে মালিবাগ সিআইডি কার্যালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন সংস্থাটির এলআইসি শাখার বিশেষ পুলিশ সুপার মুক্তা ধর।

তিনি বলেন, সম্প্রতি একটি প্রতারক চক্র বিকাশ, নগদ কিংবা রকেটের কর্মকর্তা পরিচয় দিয়ে আর্থিক লেনদেনের প্লাটফর্ম ব্যবহার করে সাধারণ মানুষের ডেবিট বা ক্রেডিট কার্ড থেকে প্রতারণার মাধ্যমে বিপুল অংকের টাকা হাতিয়ে নেয়। এমন একজন ভুক্তভোগীর অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে সিআইডি অভিযান পরিচালনা করে সোমবার (৩১ জুলাই) নারায়ণগঞ্জ এলাকা থেকে খোকন ব্যাপারী ওরফে জুনায়েদকে গ্রেফতার করে।

গ্রেফতার খোকনের নেতৃত্বে তিন থেকে চার সদস্যের একটি সংঘবদ্ধ প্রতারক চক্র মোবাইলে আর্থিক লেনদেনের প্ল্যাটফর্ম ব্যবহার করে নিজেদের বিকাশ, নগদ বা রকেটের কর্মকর্তা পরিচয়ে প্রায় পাঁচ থেকে ছয় বছর ধরে প্রতারণা করে আসছিল। চক্রের সকল সদস্যের সম্মিলিত প্রয়াসে বিকাশ, নগদ বা রকেটের কর্মকর্তা পরিচয়ে প্রতারণার কাজটি তারা বিভিন্ন ধাপে অত্যন্ত সুনিপুণভাবে করতো।

প্রতারণার ধাপগুলো উল্লেখ করে সিআইডির এই কর্মকর্তা বলেন, প্রথম ধাপে, প্রতারক বিকাশ কর্মকর্তা হিসেবে ভিকটিমকে ফোন দিয়ে অ্যাকাউন্ট আপডেট করতে বলে। আর অ্যাকাউন্টটি আপডেট না করলে স্থায়ীভাবে বন্ধ হয়ে যাবে বলে জানায়।

দ্বিতীয় ধাপে, প্রতারক ভিকটিমের ব্যবহৃত বিকাশ একাউন্টটিতে ভুল পাসওয়ার্ড তিন বারের অধিক দিলে অ্যাকাউন্টটি স্বয়ংক্রিয়ভাবে সাসপেন্ড হয়ে যায়। তৃতীয় ধাপে, ভিকটিমকে জানানো হয়, তার অ্যাকাউন্টটি সাময়িকভাবে সাসপেন্ড করা হয়েছে এবং একাউন্টে থাকা টাকা ব্লক হয়েছে। তবে এই টাকা ডেবিট/ক্রেডিট কার্ডে ট্রান্সফার করা সম্ভব।

চতুর্থ ধাপে, প্রতারক ভিকটিমের ডেবিট/ক্রেডিট কার্ডের নম্বর এবং সিভিএন জানতে চায়। পঞ্চম ধাপে, ভিকটিম এসব তথ্য সরবরাহ করলে ডেবিট/ক্রেডিট কার্ডের সংশ্লিষ্ট ব্যাংককে যে মোবাইল নম্বর সরবরাহ করে সেই মোবাইল নম্বরে একটা ওটিপি (OTP) কোড সম্বলিত একটি ম্যাসেজ যায়।

সর্বশেষ ষষ্ঠ ধাপে, ভিকটিম ম্যাসেজটি রিসিভ করার পর সেই কোডটি প্রতারককে জানায়। কোডটি পাওয়ার পর ভিকটিমের ডেবিট/ক্রেডিট কার্ড থেকে সর্বোচ্চ পরিমাণ টাকা প্রতারক তার নিজের বিকাশ অ্যাকাউন্টে ট্রান্সফার করে।

মুক্তা ধর আরও বলেন, ভুক্তভোগীর কাছ থেকে প্রতারণার মাধ্যমে অর্থ সংগ্রহের পরপরই তারা নিজেদের আইডেন্টিটি গোপন করে রাখে। গ্রেফতার খোকন এ পর্যন্ত তার সহযোগীদের নিয়ে প্রায় এক কোটিরও বেশি টাকা প্রতারণার মাধ্যমে আত্মসাৎ করেছে।

   

রংপুরে গৃহবধূর রহস্যজনক মৃত্যু



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, রংপুর
রংপুরে গৃহবধূর রহস্যজনক মৃত্যু

রংপুরে গৃহবধূর রহস্যজনক মৃত্যু

  • Font increase
  • Font Decrease

রংপুরের কাউনিয়ায় বৈদ্যুতিক শক খেয়ে সনিয়া বেগম (২০) নামে এক গৃহবধূর রহস্যজনক মৃত্যু হয়েছে। 

মঙ্গলবার (৩ অক্টোবর) সকালে উপজেলার বালাপাড়া ইউনিয়নের গোপিডাঙ্গা গ্রামে এ ঘটনা ঘটে

নিহত সনিয়া ওই গ্রামের রিপন মিয়ার স্ত্রী এবং পাবনা সদরের চর বাঙ্গাবাড়িয়া গ্রামের আমিরুল ইসলামের মেয়ে

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, তিন বছর আগে সনিয়া বেগমের সাথে রিপনের বিয়ে হয়। সোমবার বিকেল ৩টার দিকে রিপনকে সন্তান নিয়ে বাজারে যেতে বলেন সনিয়া। রিপন সন্তানকে নিয়ে বাজারে গেলে সনিয়া নিজ শয়ন ঘরে ঘুমিয়ে পড়েন। দীর্ঘক্ষণ পরেও তার কোনো সাড়াশব্দ না পেয়ে প্রতিবেশীরা ডাকাডাকি করেন। 

একপর্যায়ে দরজা খুলে বিছানার চাদর ও বালিশে আগুনের ধোঁয়া এবং বিদ্যুতের ছেঁড়া তারের পাশে খাটের ওপর সনিয়াকে অচেতন অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখেন তারা। পরে তাকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসকরা মৃত ঘোষণা করেন। খবর পেয়ে মঙ্গলবার সকালে পুলিশ শ্বশুরবাড়ি থেকে সনিয়ার মরদেহ উদ্ধার করে

কাউনিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোন্তাছের বিল্লাহ বলেন, ‘সনিয়া নামে এক গৃহবধূর মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনায় ওই নারীর বাবা বাদী হয়ে থানায় একটি অপমৃত্যু মামলা করেছেন।’

;

কারাভোগ শেষে মিয়ানমার থেকে দেশে ফিরল ২৯ বাংলাদেশি



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪. কম কক্সবাজার 
কারাভোগ শেষে মিয়ানমার থেকে দেশে ফিরল ২৯ বাংলাদেশি

কারাভোগ শেষে মিয়ানমার থেকে দেশে ফিরল ২৯ বাংলাদেশি

  • Font increase
  • Font Decrease

মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যের মংডুতে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ ও সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিজিপির মধ্যে পতাকা বৈঠক শেষে ২৯ জন বাংলাদেশি নাগরিক দেশে ফিরেছেন। সেখানে তারা বিভিন্ন মেয়াদে কারাভোগ করেছেন।

মঙ্গলবার (৩ অক্টোবর) দুপুরে বিজিবি’র টেকনাফ ২ ব্যাটালিয়ন দপ্তরে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানানো হয়।

দেশে ফেরা ২৯ জনের মধ্যে কক্সবাজারের জেলার মহেশখালী উপজেলার বাসিন্দা ১৩ জন, ৩ জন উখিয়ার ও ৭ জনের বাড়ি টেকনাফ উপজেলায়। এছাড়া বান্দরবান সদর উপজেলার ৩ জন এবং রাঙ্গামাটির কাউখালী উপজেলার ৩ জন দেশে ফিরেছেন।

বিজিবি-২ এর অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল মো. মহিউদ্দীন আহমেদ বলেন, ‘সকাল থেকে দুপুর সাড়ে ১২টা পর্যন্ত মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যের মংডুতে বিজিবি ও বিজিপি’র মধ্যে ব্যাটালিয়ন পর্যায়ে পতাকা বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছে। বৈঠকে উভয় দেশের সীমান্তরক্ষী বাহিনীর মধ্যে সীমান্ত ব্যবস্থাপনাসহ নানা বিষয়ে ফলপ্রসূ আলোচনা হয়েছে।’

তিনি আরও বলেন, ‘স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, বিজিবি এবং মিয়ানমারে বাংলাদেশ কনস্যুলেটের যৌথ উদ্যোগে যথাযথ কূটনৈতিক প্রক্রিয়া শেষে দীর্ঘ প্রচেষ্টার পর ২৯ জন বাংলাদেশিকে ফেরত আনা সম্ভব হয়েছে। স্বজনের কাছে তাদের পৌঁছে দিতে টেকনাফ থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।’ 

;

লিবিয়ায় আটকে পড়া বাংলাদেশিদের আর্জি: ‘আমরা জানটা ভিক্ষা চাচ্ছি’



স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট, বার্তা ২৪.কম, চট্টগ্রাম ব্যুরো
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

‘আমরা নয় প্রবাসী বর্তমানে লিবিয়াতে আছি। দালাল চক্রের ফাঁদে পড়ে আমরা এখানে এসেছি। কিন্তু এখানে কোনো কাজ নেই। ফলে আমরা খুব অভাব আর নির্যাতনের শিকার হয়েছি। আমাদের দেওয়ার মতো এখন আর কিছু নেই। আমরা তাই প্রধানমন্ত্রীর কাছ থেকে জানটা ভিক্ষা চাচ্ছি। যেভাবে হোক আমাদের দেশে ফিরিয়ে নেওয়া হোক।’

দালালের মাধ্যমে ইউরোপে যেতে গিয়ে লিবিয়ায় আটকে পড়াদের একজন চট্টগ্রামের বাঁশখালী উপজেলার কাথরিয়া ইউনিয়নের মোহাম্মদ করিম তাঁর পরিবারের কাছে পাঠানো এক ভিডিও বার্তায় এই আর্জি জানিয়েছেন। ২ মিনিট ১৫ সেকেন্ডের ভিডিওতে করিমের সঙ্গে লিবিয়ায় আটকে পড়া আরও আটজনকেও দেখা যায়। সেই দলের মাঝখানে বসে করিম জানান, তাদের দুঃসহ অভিজ্ঞতার কথা। করিমের সেই ভিডিওবার্তা পেয়ে চোখ ভিজে যাচ্ছে নয় প্রবাসীর স্বজনদের। তারা ভিডিওটি নিয়ে প্রশাসনের কাছে দৌঁড়াচ্ছেন ভাই কিংবা ছেলেকে নিজের কাছে ফিরিয়ে আনার আবেদন নিয়ে।

করিমের সঙ্গে আটকে পড়া বাকি আটজনও বাঁশখালীর বাসিন্দা। তারা হলেন গন্ডামারা ইউনিয়নের রুকনুল ইসলাম, মো. মোরশেদুল আলম, মোহাম্মদ কাউছার মিয়া, আজগর হোসেন, গিয়াস উদ্দিন, মোহাম্মদ আশেক ও তার ভাই ইব্রাহিম খলিল এবং বাঁশখালী পৌরসভার উত্তর জলদীর আইয়ুব আলী।

লিবিয়ায় আটকে পড়া নয় যুবকদের স্বজনদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, কয়েক লাখ টাকার বিনিময়ে ইউরোপ নেওয়ার কথা বলে ৮ থেকে ১ বছর আগে দালালেরা তাদের নিয়ে যান। কিন্তু ইউরোপ না নিয়ে তাদের লিবিয়ার বেনগাজিতে নিয়ে আটকে রাখা হয়। সেখানে গিয়ে তাদের কোনো কাজ দেয়া হয়নি। জঙ্গলে আটকে রেখে উল্টো আরও টাকার জন্য নির্যাতন করা হয়। সেসব শোনার পর অসহায় পরিবারগুলো জমি বিক্রি আর ধারদেনা করে টাকা পাঠিয়ে দালালের হাতে তুলে দেয়। নির্যাতনের মাত্রা বাড়তে থাকলে গত ১৭ সেপ্টেম্বর পরিবারের পক্ষ থেকে ওই ৯ জনকে দেশে ফিরিয়ে আনতে প্রশাসনিক সহযোগিতা ও সরকারি হস্তক্ষেপ চেয়ে বাঁশখালী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার (ইউএনও) কাছে লিখিত আবেদন করা হয়। এরপর ইউএনও উদ্যোগ নিলে লিবিয়ার বাংলাদেশ দূতাবাস ওই নয় প্রবাসীকে উদ্ধার করে নিরাপদ স্থানে নিয়ে আসে।

ছেলের ভিডিও পাওয়ার পর ঘুমাতে পারছেন না বলে জানিয়েছেন লিবিয়ায় আটকে পড়া মোহাম্মদ করিমের বাবা আবু আহমদ। তিনি বলেন, ‘আমার ছেলেসহ নয়জন কি যে কষ্টে আছে তা ভিডিওবার্তা দেখার পর অনুভব করতে পারছি। তাদের কষ্টের কথা শোনার পর থেকে ঘুম আর খাওয়া-দাওয়া বন্ধ হয়ে গেছে আমাদের। এত কষ্ট করে, জমি বিক্রি করে ছেলেকে বিদেশ পাঠালাম এত কষ্ট পাওয়ার জন্য? আমি সরকারের কাছে শুধু একটাই আবেদন করছি-আমার ছেলেসহ সবাইকে একটু দয়া করে মা-বাবার বুকে ফিরিয়ে দিন।’

লিবিয়ায় আটকে পড়া দুই ভাই মোহাম্মদ আশেক ও ইব্রাহিম খলিলের মা সুনিয়া বেগম। স্বামী অলি আহমদ মারা গেছেন আগেই। এখন দুই ছেলের কষ্টের কথা শুনে শয্যাশায়ী বৃদ্ধা সুনিয়া। ছেলেদের কথা জিজ্ঞাসা করতেই কান্নায় গলা বুজে আসে সুনিয়ার। অস্ফুট স্বরে বলতে থাকেন, ‘আমার দুই ছেলেকে দেখে মরতে চাই। আমার আর কিচ্ছু চাওয়ার নেই।’ 

ভিডিও বার্তা দেখার পর গিয়াস উদ্দিনের বাবা আবদুল মজিদের অবস্থাও একই। অসহায় এই বাবা শুধু বললেন, ‘যদি টাকা থাকত, আমি নিজেই ছেলেকে নিয়ে আসতে লিবিয়া উড়ে যেতাম। কিন্তু আমার তো অত টাকা নেই।’

পুরো ভিডিওতেই মোহাম্মদ করিম একাই কথা বলেছেন। তাঁর দুই পাশে বাকি ৮জন দুঃখমাখা চেহেরায় নির্বাক হয়ে দাঁড়িয়ে ছিলেন।

করিম এক নাগাড়ে তুলে ধরেন নির্যাতনের চিত্র, তুলে ধরেন এখন কেমন আছেন তা-ও। বলেন, ‘আমাদের মা বাবারা খুব অসহায় হয়ে পড়েছে। আমাদের যেসব জমি ছিল, সব বিক্রির পরেও আমরা এখান থেকে যেতে পারছি না। আমাদের দুবার আটক করে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল। একেকজন থেকে ১০-১৫ লাখ টাকা করে আদায় করেছে দালালেরা। এখন আমাদের দেওয়ার মতোও আর কিছু নেই।’

আটকে পড়া লিবিয়ারা প্রধানমন্ত্রী, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর পাশাপাশি সাহায্য চান স্থানীয় সংসদ সদস্য মোস্তাফিজুর রহমান। আর বর্তমানে তাঁদের নিরাপদ স্থানে রাখার ব্যবস্থা করার জন্য ইউএনওর প্রতি কৃতজ্ঞতা জানান।

আটকে পড়া নয় বাংলাদেশিকে দেশে ফিরিয়ে আনার বিষয়ে লিবিয়ার বাংলাদেশ দূতাবাসের সঙ্গে আলাপ করেছেন বলে জানিয়েছেন বাঁশখালী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) জেসমিন আক্তার। তিনি বলেন, দূতাবাসকে নয় বাংলাদেশী দালালের হাতে আটক থাকার বিষয়টি জানাই। এরপর দূতাবাসের উদ্যোগে তাঁদের দালালদের হাত থেকে উদ্ধার করে নিরাপদ স্থানে রাখা হয়েছে। কিন্তু তাঁদের ভিসা-পাসপোর্ট কিছু না থাকায় এখন কীভাবে তাঁদের দেশে ফিরিয়ে আনা যায় সেই বিষয়ে আলোচনা চলছে। পরিবারের কাছে পাঠানো ভিডিওবার্তাটি আমি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে পাঠাব।’

;

বগুড়ায় ইন্টার্ন নার্সদের অনির্দিষ্টকালের কর্মবিরতি



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, বগুড়া
বগুড়ায় ইন্টার্ন নার্সদের অনির্দিষ্টকালের কর্মবিরতি

বগুড়ায় ইন্টার্ন নার্সদের অনির্দিষ্টকালের কর্মবিরতি

  • Font increase
  • Font Decrease

ইন্টার্ন ভাতার দাবিতে অনির্দিষ্টকালের কর্মবিরতি ঘোষণা করেছে ইন্টার্ন নার্স ও ডিপ্লোমা ইন্টার্ন মিডওয়াইফ। বগুড়া ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট মোহাম্মদ আলী হাসপাতালে কর্মরত শতাধিক ইন্টার্ন নার্স ও ডিপ্লোমা ইন্টার্ন মিডওয়াইফের মানববন্ধন কর্মসূচি থেকে এ ঘোষণা দেয়া হয়।

মঙ্গলবার (৩ অক্টবর) সকাল ১০ টায় ব্যানার ও পোস্টার হাতে হাসপাতাল চত্বরে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ সমাবেশ করে এ ঘোষণা দেন তারা।

মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, বিধিমালা থাকলেও কোনো ইন্টার্ন স্যালারি দেওয়া হচ্ছে না। এছাড়া  ইন্টার্ন নার্স ও ডিপ্লোমা ইন্টার্ন মিডওয়াইফদের কোনো হোস্টেলের সুবিধাও নেই। দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি ও বাড়ি ভাড়াসহ প্রত্যেক ইন্টার্নের ৮ থেকে ১০ হাজার টাকা খরচ হয়। পড়াশোনা শেষ করে ইন্টার্নশীপ করা অবস্থায় বাড়ি থেকে টাকা এনে সেই খরচ চালাতে হচ্ছে। ইন্টার্ন স্যালারি বিষয়ে কোনো সুরাহা না হওয়া পর্যন্ত সকল ইন্টার্ন নার্স ও ইন্টার্ন মিডওয়াইফ অনির্দিষ্ট কালের জন্য কর্মবিরতি পালন করবেন।

কর্মসূচিতে অংশ নেওয়া বাংলাদেশ ডিপ্লোমা ইন্টার্ন নার্সেস এসোসিয়েশন (বিডিআইএনএ) বগুড়ার সাধারণ সম্পাদক হাবিবুর রহমান সরকার বলেন, ‘সরকারি নার্সিং ও মিডওয়াইফারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে তিন বছর মেয়াদী ডিপ্লোমা কোর্স সম্পন্ন করে তারা বিভিন্ন সরকারি মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল এবং জেলা ও সদর হাসপাতালে ইন্টার্ন নার্স হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। কিন্তু তারা কোনো ইন্টার্ন ভাতা পাচ্ছেন না। লগবুকে ইন্টার্ন স্যালারির উল্লেখ থাকা সত্ত্বেও কোনো ইন্টার্ন স্যালারি দেওয়া হচ্ছে না। অবিলম্বে দাবি মানা না হলে অনির্দিষ্টকালের জন্য প্রতদিন ২ ঘন্টা করে কর্মবিরতি পালন করা হবে।’

এবিষয়ে বগুড়া মোহাম্মদ আলী হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার (আরএমও) ডা. শফিক আমিন বলেন, তার হাসপাতালে যারা প্রশিক্ষণার্থী হিসেবে কাজ করেন তারা কর্মবিরতি শুরু করলে হাসপাতালের কাজে তেমন কোনো প্রভাব পড়বে না। কিন্তু হাসপাতাল চত্বরে অব্যাহতভাবে যেকোনো ধরণের সভা-সমাবেশ বা কর্মসূচি পালন করলে সেবাদান কাজে বিঘ্ন ঘটার আশঙ্কা রয়েছে। তাদের দাবির বিষয়টি সরকারের সংশ্লিষ্ট মহলের বিবেচনার বিষয় বলেও উল্লেখ করেন তিনি।

;