নিরাপদ অভিবাসন নিশ্চিতে বাংলাদেশ অভিবাসন কমপ্যাক্ট টাস্কফোর্স’র যাত্রা শুরু



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
নিরাপদ অভিবাসন নিশ্চিতে বাংলাদেশ অভিবাসন কমপ্যাক্ট টাস্কফোর্স’র যাত্রা শুরু

নিরাপদ অভিবাসন নিশ্চিতে বাংলাদেশ অভিবাসন কমপ্যাক্ট টাস্কফোর্স’র যাত্রা শুরু

  • Font increase
  • Font Decrease

নিরাপদ, সুশৃঙ্খল এবং নিয়মিত অভিবাসন নিশ্চিত করা এবং অভিবাসন বিষয়ক বৈশ্বিক চুক্তি-জিসিএম বাস্তবায়ন, নিরীক্ষণ ও পর্যালোচনার লক্ষ্যে বাংলাদেশ সরকার অভিবাসন কমপ্যাক্ট টাস্কফোর্স গঠন করেছে।

মঙ্গলবার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে একটি অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে এই টাস্কফোর্সের যাত্রা শুরু হয়। বাংলাদেশ সরকারের উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা এবং বাংলাদেশে জাতিসংঘের অভিবাসন বিষয়ক নেটওয়ার্কের কর্মকর্তারা এই উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন।

অভিবাসন একটি বৈশ্বিক বাস্তবতা। একটি হিসাবে দেখা যায় বিশ্বব্যাপী প্রায় ২৮১ মিলিয়ন অভিবাসী রয়েছে যাদের অনেকেই স্বদেশ এবং প্রবাসে বিভিন্ন সময়ে নানারকম বিপর্যয়ের শিকার হন। আর এই অভিবাসীদের জন্যই নিরাপদ, সুশৃঙ্খল এবং বৈধ অভিবাসন নিশ্চিত করার দায়বদ্ধতার জায়গা থেকে ২০১৮ সালে জাতিসংঘে অভিবাসন বিষয়ক বৈশ্বিক চুক্তি-জিসিএম গৃহীত হয়। জাতিসংঘের আওতায় আন্তর্জাতিক অভিবাসনের সকল ক্ষেত্র বিবেচনায় এনে একটি পুর্ণাঙ্গ ব্যবস্থা তৈরির লক্ষ্যে প্রথমবারের মত বিভিন্ন দেশের সরকার এক্ষেত্রে অঙ্গীকারবদ্ধ হয়।

এই চুক্তি বাস্তবায়নের জন্য ’বাংলাদেশ জাতিসংঘের অভিবাসন বিষয়ক নেটওয়ার্ক’ বাংলাদেশ সরকারকে একটি আন্তঃমন্ত্রনালয় ব্যবস্থা তৈরির সুপারিশ করে যা জিসিএমের সকল বিষয় বাস্তবায়ন, নিরীক্ষণ ও পর্যালোচনা করবে।

টাস্কফোর্সের উদ্বোধনের মধ্য দিয়ে বাংলাদেশে বৈশ্বিক অভিবাসন কমপ্যাক্টের লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য বাস্তবায়নের অঙ্গিকারের প্রথম পদযাত্রা শুরু হলো।

এই অনুষ্ঠানে পররাষ্ট্র সচিব মাসুদ বিন মোমেন বলেছেন “দ্বিপাক্ষিক, আঞ্চলিক এবং বহুপাক্ষিক পর্যায়ে বাংলাদেশ তার কূটনৈতিক কর্মকাণ্ডে অভিবাসনকে ধারাবাহিকভাবে সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার দিচ্ছে। গ্লোবাল কমপ্যাক্ট ফর মাইগ্রেশন (জিসিএম) বাস্তবায়নে 'চ্যাম্পিয়ন কান্ট্রি' হিসেবে স্বীকৃত দেশ হিসেবে অভিবাসনের বিষয়গুলো এগিয়ে নিতে আমরা প্রতিশ্রুতিবদ্ধ থাকব।"

প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান সচিব, ড. আহমেদ মুনিরুস সালেহীন বলেছেন “আমরা গত ৫০ বছরে প্রায় ১ কোটি ৩০ লাখ মানুষ বিদেশে পাঠিয়েছি। জাতীয় উন্নয়নে আমাদের এই প্রবাসীদের বিশাল ভূমিকা রয়েছে। অভিবাসন বহুমাত্রিক এবং জটিল একটি বিষয়। আমাদের প্রবাসীদের সুরক্ষা ও মর্যাদা প্রতিষ্ঠার জন্য জিসিএম একটি বৈশ্বিক ব্যবস্থা হিসাবে আমাদের ব্যাপক সাহায্য করছে। আজকে এই টাস্কফোর্সের উদ্বোধন সেই প্রচেষ্টা বাস্তবায়নকে আরো ত্বরান্বিত করবে। নীতি-নির্ধারণ, পরিকল্পনা, তথ্য আদান-প্রদান এবং পর্যালোচনার ক্ষেত্রে পরামর্শদাতা হিসাবে ভূমিকা রাখবে এই টাস্কফোর্স। “

বাংলাদেশে জাতিসংঘের আবাসিক সমন্বয়ক গোয়েন লুইস বলেন, “বাংলাদেশ সরকার অভিবাসনকে শুধু উন্নয়নের পথ হিসাবেই বিবেচনা করেনি, একইসাথে অভিবাসনকে গুরুত্বের সাথে বিবেচনা করে ৮ম পঞ্চ-বার্ষিক পরিকল্পনায় প্রাধন্য দিয়েছে। এরই ধারাবাহিকতায় টাস্কফোর্স আরেকটি পদক্ষেপ। আমাদের যৌথ প্রচেষ্টা সকল অভিবাসীদের নিরাপত্তা, মর্যাদা এবং মানবাধিকার নিশ্চিত করবে এবং অভিবাসনকে কার্যকরভাবে পরিচালনা করবে।”

জাতিসংঘ-এর সদস্যরাষ্ট্রদের জিসিএম বাস্তবায়ন, নিরীক্ষণ ও পর্যালোচনায় বৈশ্বিকভাবে কার্যকর, সময়োপযোগী এবং সমন্বিত সহযোগিতার জন্য  জাতিসংঘ অভিবাসন নেটওয়ার্ক গঠন করে। বাংলাদেশ আন্তর্জাতিক অভিবাসন সংস্থা (আইওএম)-এর মিশন প্রধান ও  বাংলাদেশে  জাতিসংঘ অভিবাসন নেটওয়ার্ক-এর সমন্বয়ক আবদুসাত্তর এসয়েভ বলেছেন “ অভিবাসন অভিবাসী, তার দেশ ও গমনকৃত দেশের জন্য ব্যাপক সুযোগ-সুবিধা বয়ে আনে। অভিবাসন যখন খারাপভাবে নিয়ন্ত্রিত হয়, তখন এটি নানা সমস্যার সৃষ্টি করে। জিসিএম অভিবাসনের বিভিন্ন ঝুঁকি এবং চ্যালেঞ্জগুলোকে বিবেচনায় রেখে অভিবাসীদের সামগ্রিক সুবিধা প্রদানে ভূমিকা রাখছে। ’বাংলাদেশ  জাতিসংঘ অভিবাসন নেটওয়ার্ক’ সরকারের গঠিত টাস্কফোর্সের সাথে নিবিড়ভাবে কাজ করে জিসিএম বাস্তবায়নে অঙ্গীকারবদ্ধ।“

পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এবং প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের নেতৃত্বে আরো ১২টি মন্ত্রণালয় ও প্রধানমন্ত্রীর কার্যলয়ের সমন্বয়ে এই টাস্কফোর্স গঠণ করা হয়েছে। আর এর সকল কার্যক্রম পরিচালনার জন্য বাংলাদেশ জাতিসংঘ অভিবাসন নেটওয়ার্ক সহযোগিতা করবে।

   

লক্ষ্মীপুরে পুকুরের পানিতে ডুবে শিশুর মৃত্যু



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, লক্ষ্মীপুর
লক্ষ্মীপুরে পুকুরের পানিতে ডুবে শিশুর মৃত্যু

লক্ষ্মীপুরে পুকুরের পানিতে ডুবে শিশুর মৃত্যু

  • Font increase
  • Font Decrease

লক্ষ্মীপুরের রামগঞ্জ উপজেলায় পুকুরের পানিতে ডুবে এক শিশুর মৃত্যু হয়েছে। 

মঙ্গলবার (৩ অক্টোবর) সকালে লক্ষ্মীপুরের রামগঞ্জ উপজেলার ভোলাকোট ইউনিয়নের ৯ নম্বর ওয়ার্ডের সাহাপাড়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। 

নিহত সোহানা একই ইউনিয়নের লক্ষ্মীধরপাড়া গ্রামের পাটওয়ারী বাড়ির সৌদি প্রবাসী সাইফুল ইসলামের মেয়ে।

স্থানীয় ও পরিবার সূত্রে জানা গেছে, ঘরের বাইরে দুই বছরের শিশু সোহানা আক্তার খেলছিল। এ সময় সোহানার মা জান্নাত আক্তার সৌদি প্রবাসী স্বামীর সাথে মোবাইল ফোনে কথা বলছিলেন। হঠাৎ শিশু সোহানাকে দেখতে না পেয়ে পরিবারের অন্যান্য সদস্যরা আশপাশে খোঁজাখুঁজি শুরু করেন। 

একপর্যায়ে তারা শিশু সোহানাকে পুকুরের পানিতে ভাসতে দেখেন। পরে উদ্ধার করে রামগঞ্জ স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

রামগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা এমদাদুল হক বলেন, ‘সোহানার মরদেহ তাদের বাড়িতে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। সেখানেই তার মরদেহ দাফন করা হবে।’

;

‘সংখ্যালঘু সুরক্ষা আইন’ প্রণয়নের দাবিতে বাংলাদেশ হিন্দু পরিষদ



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা ২৪.কম, ঢাকা
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

বর্তমান সরকারের নির্বাচনী ইশতেহার মোতাবেক ‘সংখ্যালঘু সুরক্ষা আইন’ প্রণয়নের দাবিতে জাতীয় প্রেসক্লাব থেকে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় পর্যন্ত একটি শান্তিপূর্ণ পদযাত্রা এবং স্মারকলিপি প্রদান কর্মসূচির আয়োজন করেছে বাংলাদেশ হিন্দু পরিষদ।

মঙ্গলবার (৩ অক্টোবর) জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে থেকে এই শান্তিপূর্ণ পদযাত্রা শুরু হয়েছে।

শান্তিপূর্ণ পদযাত্রায় বাংলাদেশ হিন্দু পরিষদের সভাপতি দীপঙ্কর সিকদার দিপু বলেন, বাংলাদেশ নামক অসাম্প্রদায়িক রাষ্ট্রে একদল কুচক্রী মহলের ইন্ধন রয়েছে। সংখ্যালঘুদের ওপর যেভাবে নির্যাতন, নিপীড়ন বেড়েছে তা যে কোন অবস্থার জন্য হুমকিস্বরূপ। দেশের সংখ্যালঘুদের দেয়ালে পিঠ ঠেকে গেছে। একজন সংখ্যালঘু হিসেবে আর সইতে পারছি না। যদিও প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, কেউ যেন সংখ্যালঘু মনে করে নিজেদের ছোট না করেন, কিন্তু অপ্রিয় হলেও সত্যি যে, আমাদের ওপর নির্যাতন নিপীড়ন হয়। তাই বর্তমান সরকারের নির্বাচনী ইশতেহারের প্রতিশ্রুতি মোতাবেক অনতিবিলম্বে ‘সংখ্যালঘু সুরক্ষা আইন’ প্রণয়নের জোর দাবি জানাচ্ছি।

সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক সাজন কুমার মিশ্র বলেন, দেশের হিন্দু সম্প্রদায়ের দাবিগুলো, নিপীড়নের চিত্রগুলো যেন কেবল পত্রিকার পাতার মধ্যে সীমাবদ্ধ। বিচার ব্যবস্থা দুর্বলতার জন্য আজ স্বাধীন দেশে হিন্দুরা পরাধীন। হিন্দুরা অধিকারচ্যুত, অসহায়, সম্বলহীন। তাই রাজপথে এতো আন্দোলন করা হলেও হিন্দুদের দাবিগুলো মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর কান পর্যন্ত পৌঁছায় না। তাই আমাদের নির্যাতনমুক্ত সুন্দর সমাজ দান করতে প্রধানমন্ত্রীকে করজোরে অনুরোধ করছি। একই সাথে বর্তমান সরকারের নির্বাচনী ইশতেহারের প্রতিশ্রুতি মোতাবেক অনতিবিলম্বে ‘সংখ্যালঘু সুরক্ষা আইন’ প্রণয়নের দাবি জানাচ্ছি।

মুখপাত্র সুমন কুমার রায় বলেন, “হিন্দুদের ওপর একের পর এক হামলা, নির্যাতন, দলবেধে সাম্প্রদায়িক আক্রমণ, হিন্দু বাড়ি-ঘর ভাংচুর-লুটপাট, মঠ মন্দির ভাঙচুর, দেশত্যাগে ভয়ভীতি প্রদর্শনসহ মিথ্যা মামলায় গ্রেফতার, চাকরিচ্যুত প্রভৃতি যেন এক নিত্য ঘটনা। শুধুমাত্র এদেশের হিন্দু সংখ্যায় কম বলে এমন নির্যাতন সইতে হচ্ছে? এটা একটা অসাম্প্রদায়িক রাষ্ট্রের জন্য হুমকিস্বরূপ। অনতিবিলম্বে প্রত্যেকটি ঘটনার আইনগত ব্যবস্থা নিশ্চিতসহ সরকারের নির্বাচনী ইশতেহার মোতাবেক সংখ্যালঘু সুরক্ষা আইন বাস্তবায়ন করার দাবি জানাচ্ছি।

বাংলাদেশ হিন্দু পরিষদের সভাপতি দীপঙ্কর সিকদার দিপুর সভাপতিত্বে পদযাত্রায় আরো উপস্থিত ছিলেন, বাংলাদেশ হিন্দু পরিষদের সিনিয়র সহ-সভাপতি অনুপ কুমার দত্ত, গৌরাঙ্গ মন্ডল, ধ্রুবপদ পাল,সংগঠনের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক এডভোকেট দুর্জয় দে সঞ্জয়, এডভোকেট বাসুদেব গুহ, অ্যাডভোকেট পিসি হালদার, নমিতা বিশ্বাস প্রমুখ।

;

৯৯৯ নম্বরে কলে রুমে আটকে পড়া শিশু উদ্ধার



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

জাতীয় জরুরি সেবা ৯৯৯ এ কল করে তুষার নামের এক ভুক্তভোগী জানান, তার বাসার গৃহকর্মীর তিন বছর বয়সী শিশু সন্তান রুমের ভেতর থেকে ছিটকিনি আটকে দরজা বন্ধ করে দিয়ে এখন খুলতে পারছে না। তারা অনেক চেষ্টা করেও দরজা খুলতে পারেননি। শিশুটি রুমের ভেতর থেকে ভয়ে কন্নাকাটি করছে।

সোমবার (২ অক্টোবর) সন্ধ্যা সাড়ে ছয়টায় পটুয়াখালী সদরের শান্তিবাগ থেকে তিনি কল করেন। মঙ্গলবার দুপুরে এ তথ্য নিশ্চিত জানান জাতীয় জরুরি সেবা ৯৯৯ এর পরিদর্শক মিডিয়া আনোয়ার সাত্তার।

তিনি জানান, কলটি রিসিভ করেছিলেন ৯৯৯ কলটেকার কনস্টেবল মো. আশরাফুল ইসলাম। কনস্টেবল আশরাফ তাৎক্ষণিকভাবে পটুয়াখালী ফায়ার সার্ভিস স্টেশনে ঘটনাটি জানিয়ে দ্রুত উদ্ধারের ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য জানায়। পরবর্তীতে ৯৯৯ ফায়ার ডেসপাচার ফায়ার ফাইটার মো. সজীব মিয়া উদ্ধার সংশ্লিষ্ট সবার সঙ্গে যোগাযোগ করে উদ্ধার তৎপরতার আপডেট নিতে থাকেন।

সংবাদ পেয়ে পটুয়াখালী ফায়ার সার্ভিসের একটি উদ্ধারকারী দল অবিলম্বে ঘটনাস্থলে গিয়ে ‘হাইড্রলিক স্প্রেডারের’ সাহায্যে দরজা খুলে শিশুটিকে উদ্ধার করে।

পটুয়াখালী ফায়ার সার্ভিস উদ্ধারকারী দলের নেতৃত্ব দেয়া জনাব ফিরোজ আহমেদ ৯৯৯ কে এ বিষয়ে নিশ্চিত করেন।

;

উত্তরার লা বাম্বা রেস্টুরেন্টকে এক লাখ টাকা জ‌রিমানা



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
উত্তরার লা বাম্বা রেস্টুরেন্টকে এক লাখ টাকা জ‌রিমানা

উত্তরার লা বাম্বা রেস্টুরেন্টকে এক লাখ টাকা জ‌রিমানা

  • Font increase
  • Font Decrease

বা‌সি, পঁচা মাংস ফ্রিজে মজুত, ‌মেয়াদ উত্তীর্ণ পণ্য বি‌ক্রিসহ বি‌ভিন্ন অপরা‌ধে রাজধানীর উত্তরার লা বাম্বা রেস্টুরেন্টেকে এক লাখ টাকা জ‌রিমানা করেছে বাংলাদেশ নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষ। 

মঙ্গলবার (৩ মঙ্গলবার) রাজধানীর উত্তরা এলাকায় বাংলাদেশ নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষের পরিচালিত মোবাইল কোর্টে এই জ‌রিমানা করা হয়। জরিমানা পরিশোধ না করলে এক মা‌সের কারাদণ্ডের আদেশ দেওয়া হয়েছে।

বাংলা‌দেশ নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ইশরাত সিদ্দিকার নেতৃ‌ত্বে অভিযান‌টি প‌রিচালনা করা হয়।

এসময় রেস্টু‌রেন্ট‌টির রান্না ঘ‌রে অভিযান চা‌লি‌য়ে রেস্তোরাঁটির অস্বাস্থ‌্যকর সব খাবার জব্দ করা হয়। প‌রে রেস্টু‌রেন্টের মা‌লিকের উপ‌স্থি‌তি‌তে নিরাপদ খাদ্য আইন, ২০১৩ অনুসারে দুই লাখ টাকা জ‌রিমানা ও অনাদা‌য়ে এক মা‌সের কারাদণ্ডের আ‌দেশ দেন নির্বাহী ম্যা‌জি‌স্ট্রেট আকতারুজ্জামান ।

আকতারুজ্জামান ব‌লেন, ‘তা‌দের এখা‌নে যে‌হেতু আমা‌দের প্রথম অভিযান তাই এবার তাদের‌কে আমরা আইন অনুযা‌য়ী সর্বনিম্ন দুই লাখ টাকা জ‌রিমানা ক‌রে‌ছি এবং তা‌দের‌কে আমরা সময় দি‌য়ে‌ছি। পরবর্তী‌তে য‌দি তা‌দের এই সমস্ত অপরাধ ধরা পড়ে তাহ‌লে আমরা তা‌দের‌কে বড় ধর‌নের জরিমানার আওতায় আন‌বো। আর কোনো সু‌যোগ দেবো না।’

তিনি আরও বলেন, ‘জনস্বার্থে আমাদের এ অভিযান অব্যাহত থাকবে।’

;