টাঙ্গাইলে হত্যা মামলায় ৪ জনের যাবজ্জীবন



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, টাঙ্গাইল
টাঙ্গাইলে হত্যা মামলায় ৪ জনের যাবজ্জীবন

টাঙ্গাইলে হত্যা মামলায় ৪ জনের যাবজ্জীবন

  • Font increase
  • Font Decrease

টাঙ্গাইলে আব্দুর রহিম হত্যা মামলায় চারজনের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। একই সঙ্গে আসামিদের প্রত্যেককে ২০ হাজার টাকা করে জরিমানা অনাদায়ে আরো তিন মাসের কারাদণ্ডের আদেশ দেওয়া হয়েছে। অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় ১১ জনকে খালাস দেওয়া হয়েছে।

২০১৭ সালের ১ সেপ্টেম্বর অপর আসামি ময়েজ উদ্দিন মৃত্যুবরণ করায় তাকে মামলা থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়।

সোমবার (২৭ জুন) দুপুরে টাঙ্গাইলের অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ ২য় আদালতের বিচারক মোহাম্মদ মোরশেদ আলম এ রায় দেন।

সাজাপ্রাপ্তরা হলেন- ধনবাড়ী উপজেলার রামজীবনপুর গ্রামের মৃত ময়েজ উদ্দিনের ছেলে সেজনু মিয়া ও মিজানুর রহমান, একই গ্রামের ফয়জ উদ্দিনের ছেলে মুনসুর আলী এবং গঙ্গাবর গ্রামের মৃত আলী ফকিরের ছেলে জামাল ফকির।

সাজাপ্রাপ্তদের মধ্যে সেজুন মিয়া পলাতাক থাকায় তার বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারির নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।

আদালতের সরকারি কৌশলী (পিপি) এস আকবর খান জানান, ২০০৪ সালের ৩০ ডিসেম্বর টাঙ্গাইলের ধনবাড়ী উপজেলার রামজীবনপুর গ্রামে আসামিরা একটি জমি দখলে নিয়ে চাষাবাদ করতে যান। জমির মালিক আব্দুর রহিম তাদের বাধা দেয়। এ সময় আসামিরা লাঠি দিয়ে পিটিয়ে আব্দুর রহিমকে গুরুতর আহত করে। আহত অবস্থায় আব্দুর রহিমকে মধুপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়। অবস্থার অবনতি হলে তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ময়মনসিংহ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় পরদিন ৩১ ডিসেম্বর আব্দুর রহিম মারা যান।

তিনি আরো জানান, ওই ঘটনায় নিহতের ছেলে মো. সুলতান মিয়া ২০০৫ সালের ৩ জানুয়ারি ধনবাড়ী থানায় ১৬ জনকে আসামি করে মামলা করেন।

ধনবাড়ী থানার উপপরিদর্শক (এসআই) মাহবুবুল আলম ২০০৫ সালের ২৭ জুলাই আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন। ২০০৭ সালের ১৬ আগস্ট আসামিদের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগ গঠন করা হয়। দীর্ঘ শুনানি শেষে আদালত রায় ঘোষণা করলেন।

   

মেহেরপুর জেলা জামায়াতের সাধারণ সম্পাদকসহ গ্রেপ্তার ৩



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট বার্তা২৪.কম মেহেরপুর
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

মেহেরপুর জেলা জামায়াতের সাধারণ সম্পাদক ইকবাল হোসেনসহ (৪০) তিন নেতাকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। সোমবার (২ সেপ্টেম্বর) শহরের শিশুবাগানপাড়া থেকে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়।

গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন, সদর উপজেলা জামায়াতের নায়েবে আমির আব্দুল জব্বার (৭০), একই উপজেলার জেলা শ্রমিক কল্যান ফেডারেশনের সভাপতি রাধাকান্তপুর গ্রামের আব্দুর রউপ (৫০)।

সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সাইফুল ইসলাম জানান, শিশুবাগান পাড়ায় জামায়াতের তিন নেতা অবস্থান করছে। এমন সংবাদের ভিত্তিতে সেখানে অভিযানে যায় সদর থানা পুলিশের একটি দল। ঐ এলাকার রুহুলের বাড়ি থেকে তাদের আটক করা হয় পরে তাদেরকে নাশকতার মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে।

;

পরিত্যক্ত ভূমি পেলে সৌন্দর্যবর্ধনে অর্থায়ন করবে চসিক



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম চট্টগ্রাম 
পরিত্যক্ত ভূমি পেলে সৌন্দর্যবর্ধনে অর্থায়ন করবে চসিক

পরিত্যক্ত ভূমি পেলে সৌন্দর্যবর্ধনে অর্থায়ন করবে চসিক

  • Font increase
  • Font Decrease

নাগরিক সুবিধা বৃদ্ধিতে সরকারি যে কোনো সংস্থা উপযুক্ত পরিত্যক্ত ভূমি দিলে চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন (চসিক) নিজস্ব অর্থায়নে নগরীর সৌন্দর্যবর্ধনে প্রকল্প করে দিবে। জানিয়েছেন চট্টগ্রাম সিটি মেয়র বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. রেজাউল করিম চৌধুরী

মঙ্গলবার (৩ অক্টোবর) নগরীর জামালখান মোড়ে খ্যাতিমান ব্যক্তিদের পেইন্টিং সংবলিত ডকুপেইন্ট ‘কিংবদন্তি’ উদ্বোধনকালে তিনি একথা বলেন

মেয়র বলেন, ‘চট্টগ্রামের উন্নয়নের ক্ষেত্রে নগরপরিকল্পনায় সৌন্দর্যবর্ধনের মাধ্যমে নান্দনিক চট্টগাম গড়ার জন্য কাজ করছি। সরকারি যে কোনো সংস্থা জনস্বার্থে তাদের উপযুক্ত পরিত্যক্ত ভূমি দিলে চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন নিজস্ব অর্থায়নে নগরীর সৌন্দর্যবর্ধনে কাজে লাগানো হবে। আমি চাচ্ছি পরিত্যক্ত সরকারি ভূমিগুলোতে পার্ক, খেলার মাঠ, হাটার ওয়ার্কওয়ে গড়ে তোলার মাধ্যমে সুস্থ বিনোদনের জনপরিসরের বিকাশ ঘটাতে।’

কাউন্সিলর শৈবাল দাস সুমন জানান, নতুন প্রজন্মকে দেশের খ্যাতিমান ব্যক্তিদের সাথে পরিচিত করতে এ প্রকল্পে ৫৬ জন ক্রীড়াবিদ, সঙ্গীত শিল্পী ও চলচ্চিত্র শিল্পীর পেইন্টিং সংযোজন করা হয়েছে। 

;

৫০০ টাকার জেরে হামলার শিকার কবি রাধাপদ



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, কুড়িগ্রাম
ছবি: বার্তা ২৪.কম

ছবি: বার্তা ২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

 

ছয় মাস আগে ৫০০ টাকা নিয়ে অনানুষ্ঠানিক এক সালিসে বাগ্‌বিতণ্ডার জের ধরে কুড়িগ্রামের নাগেশ্বরী উপজেলার ‘স্বভাবকবি’–খ্যাত রাধাপদ রায়ের (৮০) ওপর হামলার ঘটনা ঘটেছে। পরিবার ও স্থানীয় বাসিন্দাদের সঙ্গে কথা বলে এ তথ্য জানা গেছে। হামলায় আহত রাধাপদ বর্তমানে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।

গত শনিবার সকালে নাগেশ্বরী উপজেলার গোদ্দারেরপাড় এলাকায় নিজ বাড়িতে রাধাপদ রায় হামলার শিকার হন। পাশের এলাকার দুই ভাই মো. রফিকুল ইসলাম ও কদুর আলীর বিরুদ্ধে এ হামলার অভিযোগ ওঠে। কবিকে বাঁশের লাঠি দিয়ে বেধড়ক পেটানো হয়। এতে তাঁর শরীরের বিভিন্ন অংশে জখম হয়। পরে স্থানীয় লোকজন তাঁকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ভর্তি করেন।

এ ঘটনায় কবি রাধাপদ রায়ের ছেলে জুগল রায় গত রোববার রাতে অভিযুক্ত দুই ভাইয়ের বিরুদ্ধে নাগেশ্বরী থানায় মামলা করেন। তবে ঘটনার তিন দিন পরও অভিযুক্ত দুই ভাইকে গ্রেপ্তার করতে পারেনি পুলিশ।

নাগেশ্বরী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আশিকুর রহমান বলেন, ঘটনার দিন থেকে তারা দুই ভাই পলাতক রয়েছেন। তাদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে। কবিকে হাসপাতালে দেখতে গিয়েছিলাম। তিনি এখন সুস্থ আছেন।

রাধাপদ রায়ের ছেলে জুগল রায় বলেন, তার বড় ভাই মাধব রায় ও নাগেশ্বরী পৌরসভার হাসেমবাজার এলাকার মিলন ঢাকায় একসঙ্গে রাজমিস্ত্রির কাজ করতেন। পরে মিলন এলাকায় এসে দাবি করেন, তিনি মাধব রায়ের কাছে কাজের টাকা পাবেন। এ নিয়ে তিনি ছয় মাস আগে এলাকায় সালিস ডাকেন। সেখানে একসঙ্গে রাজমিস্ত্রির কাজ করা স্থানীয় শ্রমিকেরা উপস্থিত হন। ওই অনানুষ্ঠানিক সালিসে হিসাবের খাতায় দেখা যায়, মিলন ৫০০ টাকা পাবেন। পরে সালিস বৈঠকের মাধ্যমেই তা ফেরত দেন রাধাপদ রায়।

জুগল রায় বলেন, ওই সালিসে একই উপজেলার ভিতরবন্দ ইউনিয়নের কচুয়ারপাড় এলাকার কদুর রহমান এসে উপস্থিত হন। তিনি এলাকায় গ্রামীণ সড়ক অবকাঠামোর নির্মাণকাজ চলাকালে টাকা আত্মসাতের অভিযোগ তোলেন রাধাপদ রায়ের স্ত্রীর বিরুদ্ধে। সে সময় কদুর রহমানের সঙ্গে রাধাপদের বাগ্‌বিতণ্ডা হয়, যা হাতাহাতি পর্যন্ত গড়ায়। পরে কদুর রহমানের ছোট ভাই মো. রফিকুল ইসলাম এ ঘটনার প্রতিশোধ নেবেন বলে হুমকি দেন।

ওই সালিসে উপস্থিত ছিলেন স্থানীয় বাসিন্দা লিটন রায় (২৯)। তিনিও রাজমিস্ত্রির কাজ করেন। তিনি বলেন, টাকা পাওয়ার অভিযোগ নিয়ে রাজমিস্ত্রিদের ফোরম্যানসহ তাঁরা ১০–১২ জন বসেছিলেন। সেখানে কদুর রহমান টাকা মেরে খাওয়া নিয়ে ভৎসনা করতে থাকেন। কবির স্ত্রীকে নোংরা ভাষায় গালি দেন। এতে কবি ক্ষিপ্ত হলে তাদের মধ্যে হাতাহাতির ঘটনা ঘটে।

স্থানীয় বাসিন্দারা বলেন, শনিবার সকালে কদুর আলীর ছোট ভাই মো. রফিকুল ইসলাম কবিকে একা পেয়ে তার ওপর দেশীয় অস্ত্র (বাঁশের লাঠি) দিয়ে অতর্কিত হামলা চালান এবং শরীরের বিভিন্ন অংশে আঘাত করে চলে যান।

কবি রাধাপদ রায় বলেন, রফিকুলের সঙ্গে তার আগের কোনো শত্রুতা ছিল না। রফিকুলের ভাই কদুর আলীর সঙ্গে ছয় মাস আগে একবার কথা–কাটাকাটি হয়েছিল। সেই প্রতিশোধ নেওয়ার জন্য কদুর আলী তার ভাই রফিকুল ইসলামকে দিয়ে হামলা চালান। অথচ ছয় মাস আগের ওই ঘটনা তিনি ভুলে গিয়েছিলেন।

;

ছিনতাইকারীর হামলার ১৬ দিন পর কলেজছাত্রের মৃত্যু



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট বার্তা ২৪.কম রাজশাহী
ছিনতাইকারীর হামলার ১৬ দিন পর কলেজছাত্রের মৃত্যু

ছিনতাইকারীর হামলার ১৬ দিন পর কলেজছাত্রের মৃত্যু

  • Font increase
  • Font Decrease

ছিনতাইকারীর হামলায় আহত রাজশাহী কলেজের শিক্ষার্থী নিশাদ আকরাম (২৪) মারা গেছেন।

মঙ্গলবার (৩ অক্টোবর) ভোররাতে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে (আইসিইউ) তিনি মারা যান।

মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন রাজশাহী কলেজের অধ্যক্ষ প্রফেসর মোহা. আব্দুল খালেক। 

নিহত নিশাদ আকরামের বাড়ি নওগাঁর নিয়ামতপুর উপজেলার আড্ডা গ্রামে। তিনি রাজশাহী কলেজের পরিসংখ্যান বিভাগের তৃতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী ছিলেন।

অধ্যক্ষ আব্দুল খালেক বলেন, ‘নিশাদ বন্ধুর উপকার করার জন্য বন্ধুকে হাসপাতালে নিয়ে গিয়েছিল। গত ১৭ সেপ্টেম্বর সেখান থেকে ভোর ৫টায় মেসে ফেরার সময় ছিনতাইকারীরা তার মাথায় আঘাত এবং শরীরের বিভিন্ন স্থানে জখম করে। এরপর তাকে হাসপাতালে নেওয়া হয়। ১৬ দিন আইসিইউতে থাকার পর চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়।’

রাজশাহী নগরের বোয়ালিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সোহরাওয়ার্দী হোসেন জানান, হামলা ও ছিনতাইয়ের ঘটনায় যে মামলাটি হয়েছিল, সেটিই এখন হত্যা মামলায় রূপ নেবে। হামলা ও ছিনতাইয়ের মামলায় একজনকে গ্রেফতার করে আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে। হামলার সঙ্গে জড়িত অন্যজনকেও  গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।

তিনি আরও জানান, ময়নাতদন্ত শেষে নিশাদের মরদেহ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। গ্রেফতার সেলিমকে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। সেলিম হামলায় জড়িত থাকার কথা স্বীকার করেছেন। তার নামে আগে থেকেই আটটি মামলা ছিল। তিনি একজন পেশাদার ছিনতাইকারী।

উল্লেখ্য, গত ১৭ সেপ্টেম্বর ভোরে রামেক হাসপাতালে অসুস্থ বন্ধুকে দেখে মেসে ফেরার পথে নেসকো অফিসের সামনে ছিনতাইকারীর কবলে পড়েন নিশাদ। ছিনতাইকারীরা তার মাথায় আঘাত করে সঙ্গে থাকা মোবাইল ও টাকা ছিনিয়ে নেয়। এতে গুরুতর আহত হন নিশাদ। পরে স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে রামেক হাসপাতালে ভর্তি করেন। 

এ ঘটনায় তার চাচাতো ভাই আসাদুজ্জামান বাদী হয়ে নগরীর বোয়ালিয়া থানায় একটি মামলা করেন। এ মামলায় সেলিম (৫০) নামের একজনকে গ্রেফতার করে পুলিশ।

;