দুধ-মাংসের উৎপাদন বৃদ্ধিতে ১ লাখ ৭৫ হাজার খামারিকে প্রশিক্ষণ দেবে সরকার

খামার
দেশের মানুষের আমিষ ও পুষ্টি চাহিদা পূরণে গবাদি পশুর সংখ্যা না বড়িয়ে মাংস ও দুধ উৎপাদন বৃদ্ধির কাজ করছে মৎস্য ও প্রাণী সম্পদ মন্ত্রণালয়। এরই ধারাবাহিকতায় দেশের ১ লাখ ৭৫ হাজার খামারিকে হাতে কলমে প্রশিক্ষণ দেবে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়।
মন্ত্রণালয় সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, দেশের মোট জাতীয় উৎপাদের (জিডিপি’র) প্রায় ২ দশমিক ৯ শতাংশ যোগায় প্রাণিসম্পদ খাত এবং এটির বার্ষিক প্রবৃদ্ধির হার ৫ দশমিক ৫ শতাংশ।
প্রাণিসম্পদ অধিদফতরের প্রাণিসম্পদ ও ডেইরি উন্নয়ন (এলডিডিপি) প্রকল্পের আওতায় দেশের ৬১ টি জেলার ৪৬৬টি উপজেলার এসব খামারিদের প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে। এদের মধ্যে প্রায় অর্ধেক নারী খামারি রয়েছেন।
এ বিষয়ে প্রাণিসম্পদ অধিদফতরের মহাপরিচালক ডা. মনজুর মোহাম্মদ শাহজাদা বার্তা২৪.কম-কে বলেন, বিশ্ব ব্যাংকের অর্থিক সহায়তায় প্রাণিসম্পদ ও ডেইরি উন্নয়ন প্রকল্পের (এলডিডিপি) মাধ্যমে এ কার্যক্রম চলছে। তবে বিস্তারিত জানতে চাইলে প্রকল্প সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে কথা বলতে বলেন তিনি।
প্রাণিসম্পদ ও ডেইরি উন্নয়ন প্রকল্পের (এলডিডিপি) চিফ টেকনিক্যাল কো-অর্ডিনেটর ড. মো. গোলাম রাব্বানী বার্তা২৪.কম-কে বলেন, আমরা দেশের ৬১টি জেলায় জরিপের মাধ্যমে (খামার, খামারি এবং পশু) ৫৫০০ গ্রুপ করেছি। এ গ্রুপের সঙ্গে জড়িত রয়েছে প্রায় ৯০ লাখ মানুষ। প্রাথমিকভাবে এসব এলাকার ১ লাখ ৬৫ হাজার খামারিকে অন্তর্ভুক্ত করা হলেও তা এখন ১ লাখ ৭৫ হাজারে উন্নিত করা হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, খামারিদের একটি আলাদা ডাটা বেইজ করা হয়েছে। যা আমাদের প্রতিটি উপজেলা অফিসে সংরক্ষণ করা হচ্ছে। যে কোনো প্রয়োজনে তাদের প্রয়োজনীয় সহায়তা দেওয়ার জন্য এ ডাটা বেইজ কাজে লাগবে।
প্রশিক্ষণ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, খামারিদের হাতে কলমে প্রশিক্ষণের জন্য জাতিসংঘের খাদ্য ও কৃষি সংস্থার সঙ্গে চুক্তি সম্পন্ন হয়েছে। তারা আমাদের জন্য প্রশিক্ষণের জন্য সিলেবাস/কারিকুলাম তৈরির কাজ চলছে। আশা করা যায় দ্রুত সময়ের মধ্যে আমরা খামারিদের প্রশিক্ষণ কার্যক্রম শুরু করতে পারবো।
সিলেবাস প্রসঙ্গে ড. মো. গোলাম রাব্বানী বলেন, তিনটি বিষয়কে অগ্রাধিকার দিয়ে খামারিদের প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে, প্রথমত- দুধ ও মাংসের হাইজিন ব্যবস্থাপনা, দ্বিতীয়ত- দুধ ও মাংসের উৎপাদন সক্ষমতা বৃদ্ধি এবং তৃতীয়ত- খামারে উৎপাদিত দুধ ও মাংস বিপণন ব্যবস্থাপনার উন্নয়ন।
প্রাণিসম্পদ অধিদফতর সূত্র জানায়, দেশে বর্তমানে মাথাপিছু দৈনিক ২৫০ মিলিলিটার দুধের চাহিদার বিপরীতে পাওয়া যাচ্ছে ১৯৩ দশমিক ৩৮ মিলিলিটার। অপরদিকে মাথাপিছু দৈনিক ১২০ গ্রাম মাংসের বিপরীতে যোগান প্রায় ১৩৭ গ্রাম।