ফরিদপুরে পেঁয়াজ ক্ষেত থেকে যুবকের লাশ উদ্ধার



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ফরিদপুর
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

ফরিদপুরের সালথায় রিজু মিয়া (৩৫) নামে এক যুবকের লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ।

মঙ্গলবার সকাল ১১টার দিকে উপজেলার গট্টি ইউনিয়নের কসবা গট্টি গ্রামে ফসলি জমির মাঠে পেঁয়াজ ক্ষেত থেকে তার মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়। রিজু মিয়া কবসা গট্টি গ্রামের বীর মুক্তিযোদ্ধা বাবলু মিয়া ছেলে। তার বয়স ৩৫ বছর হলেও তিনি অবিবাহিত ও মাদকসেবী ছিলেন বলে স্থানীরা জানিয়েছেন।

স্থানীয়রা জানান, বীর মুক্তিযোদ্ধা বাবলু মিয়া চার ছেলে ও এক মেয়ে রেখে মারা যান কয়েক বছর আগে। এরমধ্যে বড় দুই ভাই বিয়ে করে আলাদা সংসার শুরু করে। আর বোনও বিয়ের পর স্বামীর বাড়িতে চলে যায়। রিজু ছোট ভাই মিজু মিয়াকে নিয়ে বাড়িতে একটি টিনের ঘরে বসবাস করত। রিজু মাঝে মাঝে বাসে হেলপারি করতো। সেখান থেকেই সে মাদকাসক্ত হয়ে পড়ে। পরিবারের পক্ষ থেকে তাকে চিকিৎসা করানো হলেও মাদকের থাবা থেকে সে বেরিয়ে আসতে পারেনি। ধারনা করা হচ্ছে অতিরিক্ত মাদক সেবন করার ফলে হার্ট অ্যাটাক করে পেঁয়াজের ক্ষেতের মধ্যে পড়ে মারা গেছে। পরে পুলিশকে খবর দিলে তারা ঘটনাস্থলে এসে লাশ উদ্ধার করে নিয়ে যায়।

রিজুর ছোট ভাই মিজু মিয়া বলেন, আমরা দুই ভাই একই ঘরে ঘুমাতাম। মাঝে মাঝেই সে মাদক সেবন করতে রাতে ঘর থেকে বের হতো। সোমবার রাত ৯টার দিকে সে ঘর থেকে বের হয়। এরপর রাতে আর বাড়িতে ফেরেনি। মঙ্গলবার সকালে খবর পাই আমাদের গ্রামের আলামিন শেখের বাড়ির পাশে একটি পেঁয়াজ ক্ষেতে রিজু ভাইয়ের লাশ পড়ে আছে। আমাদের ধারনা সে মাদক সেবন করে বাড়ি ফেরার পথে স্টোক করে মারা গেছে।

ফরিদপুরের সালথা থানার চার্জ অফিসার (এসআই) মো. মারুফ হোসেন জানান, খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে এসে রিজুর লাশ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য মর্গে প্রেরণ করা হয়েছে। তবে স্থানীয় প্রতিবেশী ও আত্মীয়-স্বজনদের কাছে জিজ্ঞাসাবাদ করে জানতে পারলাম যে, রিজু মিয়া নিয়মিত একজন মাদক সেবী ছিলেন।

   

চট্টগ্রামে একদিনে ডেঙ্গু শনাক্ত ১৩২



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, চট্টগ্রাম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

চট্টগ্রামে গত ২৪ ঘণ্টায় ডেঙ্গুতে আক্রান্ত কারও মৃত্যু হয়নি। তবে এসময় নতুন করে ১৩২ জনের ডেঙ্গু শনাক্ত হয়েছে।

সোমবার (২ অক্টোবর) জেলা সিভিল সার্জন কার্যালয় থেকে প্রকাশিত প্রতিবেদনে এ তথ্য জানা গেছে।

প্রতিবেদনে বলা হয়, চট্টগ্রাম জেলায় বছরের শুরু থেকে এ পর্যন্ত ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন ৯ হাজার ৯৩৪ জন। তাদের মধ্যে সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন ৯ হাজার ৫৯৯ জন। বর্তমানে হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন ৩৩৫ জন। তাদের মধ্যে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ১২৩ জন, ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালে ২৭ জন এবং জেলার অন্যান্য হাসপাতালগুলোতে ভর্তি রয়েছেন ১৮৫ জন।

তাছাড়া জেলায় এ বছরের শুরু থেকে ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে ৭৪ জন মারা গেছেন।

;

মাইক্রোবাস খাদে পড়ে চায়না প্রকৌশলী আহত



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, বরিশাল
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

আমতলী-পটুয়াখালী মহাসড়কের আমড়াগাছিয়া নামক স্থানে মাইক্রোবাস নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে খাদে পড়ে দুমড়ে-মুছড়ে যায়। এতে ওই গাড়িতে থাকা তিন চিনা নাগরিকের মধ্যে ওয়াইইউ (৪৩) এবং চুয়েন (৩১) নামক দুই প্রকৌশলী আহত হয়েছে। আহতদের ফায়ার সার্ভিসের লোকজন উদ্ধার করে আমতলী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে আসে। সেখানে হাসপাতালের কর্তব্যরত চিকিৎসক তাদের উন্নত চিকিৎসার জন্য বরিশাল শেবাচিম হাসপাতালে প্রেরণ করেন। সোমবার (২ অক্টোবর) দুপুরে এ ঘটনা ঘটে।

জানা যায়, পটুয়াখালী পায়রা তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রের ম্যানেজার লিন (৩৭) ও দুই প্রকৌশলী ওয়াইইউ ও চুয়েন মাইক্রোবাসে (ঢাকা মেট্রো-ঠ-১৩-২৮৯৬) সোমবার দুপুরে ঢাকা যাচ্ছিল। পথিমধ্যে আমতলী-পটুয়াখালী মহাসড়কের আমড়াগাছিয়া নামক স্থানে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে মাইক্রোবাসটি খাদে পড়ে দুমড়ে-মুছড়ে যায়। এতে ওই গাড়ীতে থাকা দুই প্রকৌশলী ওয়াইইউ এবং চুয়েন গুরুতর আহত হয়। খবর পেয়ে আমতলী ফায়ার সার্ভিসের লোকজন ঘটনাস্থলে গিয়ে তাদের উদ্ধার করে আমতলী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে আসে। ওই হাসপাতালের মেডিকেল অফিসার ডাঃ লুনা বিনতে হক তাদের প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে বরিশাল শেবাচিম হাসপাতালে প্রেরণ করেন।

আমতলী ফায়ার সার্ভিসের স্টেশন ইনচার্জ শাহাদাৎ হোসেন বলেন, খবর পেয়ে ঘটনাস্থল থেকে পায়রা তাপ বিদ্যুৎ কেন্দ্রের চিনা তিন নাগরিককে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে এসেছি।

এ বিষয়ে আমতলী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডাঃ লুনা বিনতে হক বলেন, আহতদের প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে বরিশাল শেবাচিম হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।

আমতলী থানার ওসি কাজী সাখাওয়ান হোসেন তপু বলেন, খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠিয়েছি।

;

চাঁদা চেয়ে শিশু অপহরণের হুমকি: বিষ্ণুপুরে আতঙ্ক কাটেনি



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, বগুড়া
বগুড়ার বিষ্ণুপুর গ্রামবাসীর আতঙ্ক কাটেনি

বগুড়ার বিষ্ণুপুর গ্রামবাসীর আতঙ্ক কাটেনি

  • Font increase
  • Font Decrease

আতঙ্ক কাটেনি বগুড়ার কাহালু উপজেলার মুরইল ইউনিয়নের বিষ্ণুপুর গ্রামে। শিশু অপহরণের হুমকি দিয়ে এই গ্রামের দুই শতাধিক বাড়িতে চাঁদা দাবি করে পোস্টার লাগানো হয় শনিবার রাতে।

রোববার সকালে পোস্টারিং নজরে আসার পর থেকেই গ্রামে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। এ ঘটনায় জড়িত থাকার সন্দেহে পুলিশ রোববার রাতে তিন যুবকে আটক করে।

জিজ্ঞাসাবাদ শেষে সোমবার (২ অক্টোবর) বিকেলে তাদেরকে ছেড়ে দেয়া হয়। এ দিকে রোববার সকাল থেকেই বিষ্ণুপুর গ্রামে পুলিশ পাহারা বাসানো হয়। গ্রামবাসি আতঙ্কে তাদের সন্তানকে স্কুলে পাঠানো বন্ধ করে দিয়েছে। অনেকে আবার নিজেই সন্তানদের স্কুলে নিয়ে যাওয়া আসা করছেন। শিশুদের পাশাপাশি পুরুষ মানুষের মধ্যেও আতঙ্ক কাটছে না। সন্ধ্যার মধ্যেই কর্মজীবী মানুষ ঘরে ফিরছেন। সন্ধ্যার পর বাড়ি থেকে কোন পুরুষ মানুষ বাজার কিংবা গ্রামে আড্ডা দিতে বের হচ্ছেন না।

এদিকে বগুড়ার পুলিশ সুপার সুদীপ কুমার চক্রবর্তী সোমবার দুপুরে বিষ্ণুপুর গ্রাম পরিদর্শন করেন। তিনি বিভিন্ন শ্রেণি পেশার মানুষের সাথে কথা বলে গ্রামবাসীকে আতঙ্কিত না হওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন। এছাড়াও গ্রামে সার্বক্ষণিক পুলিশ থাকবে বলে জানিয়েছেন। পুলিশের একাধিক টিম রোববার সকাল থেকেই কাজ শুরু করেছেন বলে জানিয়েছেন বগুড়ার পুলিশ সুপার।

কাহালু থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাহমুদ হাসান জানান, গ্রামের একটি ক্লাবে গভীর রাত পর্যন্ত কিছু যুবক আড্ডা দিতো। সেই অনুযায়ী ওই গ্রামের নাজমুল, রজিব ও রুবেল নামের তিন যুবককে পুলিশ হেফাজতে নিয়ে নানা কৌশলে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে। তাদের কাছে তেমন তথ্য না পাওয়ায় ছেড়ে দেয়া হয়েছে। প্রয়োজনে তাদেরকে আবারো পুলিশ হেফাজতে নেয়া হবে।

বিষ্ণুপুর মাজাগাড়ি গ্রামের মামুন, সাইফুল ইসলাম, সুলতান প্রামাণিক বলেন, তাদের গ্রামে এভাবে বাচ্চাদের অপহরণের হুমকি দিয়ে চাঁদা দাবি করা হবে। এটা ভাবতেই পারছে না তারা।এ ধরনের পরিস্থিতির মুখোমুখি কখনও গ্রামের মানুষ হননি। এ কারণেই তাদের মধ্যে আতঙ্ক দেখা দিয়েছে।

কাহালু থানার ওসি মাহমুদ হাসান বলেন, ২০০ টাকা থেকে শুরু করে ৬০০০ হাজার টাকা পর্যন্ত চাঁদা দাবি করে পোস্টার পর্যবেক্ষণ করে দেখা গেছে, আর্থিক অবস্থা বুঝে বাড়ি বাড়ি পোস্টার লাগানো হয়েছে। যাদের আর্থিক অবস্থা ভাল তাদের বাড়িতে ৫ থেকে ৬ হাজার আবার যাদের আর্থিক অবস্থা খারাপ তাদের বাড়িতে ২০০ থেকে ২০০০ টাকা দাবি করা হয়েছে। এ কারণে ধারণা করা হচ্ছে গ্রামের লোকজনই পোস্টার লাগানোর সাথে জড়িত।

ওসি আরো বলেন, পোস্টারে আগামী ৬ অক্টোবর রাতে টাকা দিতে বলা হয়েছে। এ কারণে ৬ তারিখ পর্যন্ত দিন-রাত ২৪ ঘণ্টা গ্রামে পুলিশ মোতায়েন থাকবে। এছাড়াও সাদা পোশাকে পুলিশ গ্রামের সন্দেহভাজনদের গতিবিধি পর্যবেক্ষণ করছে।

;

শিক্ষক আন্দোলন: কলেজগুলোতে হয়নি ক্লাস-পরীক্ষা



স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, চট্টগ্রাম ব্যুরো
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

ক্যাডার বৈষম্যসহ বিভিন্ন সমস্যা সমাধানের দাবিতে চট্টগ্রামের সরকারি কলেজগুলোতেও সর্বাত্মক কর্মবিরতি পালন করেছেন শিক্ষকরা। সকাল ৯টা থেকে বিকেল পাঁচটা পর্যন্ত ক্লাস-পরীক্ষা বাদ দিয়ে তারা কলেজ ক্যাম্পাসে অবস্থান কর্মসূচি পালন করেন।

সোমবার (২ অক্টোবর) সকালে চট্টগ্রাম নগরীর হাজি মুহাম্মদ মহসিন কলেজ ক্যাম্পাসে গিয়ে দেখা যায়, জিরো পয়েন্টে শিক্ষকরা দুই সারিতে বসে অবস্থান কর্মসূচি পালন করছিলেন।

বিসিএস সাধারণ শিক্ষা সমিতির হাজি মুহাম্মদ মহসিন কলেজ ইউনিটের উদ্যোগে আয়োজিত এই কর্মসূচিতে সভাপতিত্ব করেন ইউনিট সভাপতি অধ্যাপক মোহাম্মদ কামরুল ইসলাম। অর্থনীতি বিভাগের প্রভাষক মোহাম্মদ নজরুল ইসলামের সঞ্চালনায় বিভিন্ন বিভাগের শিক্ষকরা কর্মসূচিতে বক্তব্য দেন।

বিসিএস সাধারণ শিক্ষা সমিতির ডাকে সোমবার দেশের সব সরকারি কলেজ, টিচার্স ট্রেনিং কলেজ, আলিয়া মাদ্রাসা, মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদফতর (মাউশি), শিক্ষা বোর্ডসহ শিক্ষাসংশ্লিষ্ট দপ্তরে একযোগে এই কর্মবিরতি পালন করা হয়।

শিক্ষকরা তাদের বক্তব্যে বলেন, শিক্ষা ক্যাডারের বিদ্যমান সমস্যা সমাধানের জন্য তারা দীর্ঘদিন ধরে সরকারের যথাযথ কর্তৃপক্ষকে অনুরোধ করে আসলেও সমস্যার সমাধান হচ্ছে না। বর্তমান সরকার যখন স্মার্ট বাংলাদেশ গঠনে স্মার্ট শিক্ষাব্যবস্থার কথা ভাবছে, ঠিক তখন দেশের সার্বিক শিক্ষাব্যবস্থা নিয়ন্ত্রণ ও পরিচালনার জন্য সৃষ্ট শিক্ষা ক্যাডারকে উদ্দেশ্যেমূলকভাবে বঞ্চিত করে রাখা হচ্ছে বলে জানান শিক্ষকরা।

শিক্ষকরা কর্মসূচি থেকে পদোন্নতি বৈষম্য কমাতে বিসিএসের সব ক্যাডারে সুপারনিউমারারি পদ সৃষ্টি করে পদোন্নতি দেওয়া, অধ্যাপকদের বেতন গ্রেড তৃতীয় ধাপে উন্নীত করা ও অর্জিত ছুটির সমস্যা সমাধানে প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ কামনা করেন।

এছাড়া শিক্ষা ক্যাডারের তফসিলভুক্ত পদ থেকে শিক্ষা ক্যাডারের বাইরের কর্মকর্তাদের দ্রুত সরানোর দাবিও জানান শিক্ষকরা।

একইভাবে চট্টগ্রাম নগরীর বাকি পাঁচ সরকারি কলেজেও ছিল একই চিত্র। শিক্ষকদের আন্দোলনের কারণে কলেজগুলোতে কোনো ক্লাস-পরীক্ষা হয়নি। ফলে শিক্ষার্থীরা কলেজে এলেও ফিরে যান।

;