বীরশ্রেষ্ঠ মুন্সী আব্দুর রউফের জন্মভিটার বেহাল দশা

  বিজয়ের ৫০ বছর



সোহেল মিয়া, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, রাজবাড়ী
বীরশ্রেষ্ঠ মুন্সী আব্দুর রউফের জন্মভিটার বেহাল দশা

বীরশ্রেষ্ঠ মুন্সী আব্দুর রউফের জন্মভিটার বেহাল দশা

  • Font increase
  • Font Decrease

বীরশ্রেষ্ঠ মুন্সী আব্দুর রউফের জন্মভিটা রক্ষণা-বেক্ষণের জোড় দাবি জানিয়েছেন এলাকাবাসী। বীরশ্রেষ্ঠ মুন্সী আব্দুর রউফের জন্মভিটা এখন জরাজীর্ণ ও বসবাসের অনুপযোগী। যে জায়গার আলো-বাতাসে বেড়ে উঠেছে জাতির এই সূর্য সন্তান সেই জায়গাটি এখন অবহেলিত। অযত্ন আর অবহেলায় পড়ে রয়েছে ১৯৭১ সালে দেশ স্বাধীনের পর তৎকালীন সরকারের তুলে দেওয়া পাকা ঘরটি।

বীরশ্রেষ্ঠ মুন্সী আব্দুর রউফের বাস্তুভিটাটি সংরক্ষণ করে তার স্মৃতি ধরে রাখার জন্য এখানকার পরিত্যক্ত ঘরটি দ্রুত সংরক্ষণ করবেন প্রশাসন এমনটাই প্রত্যাশা করছেন এলাকাবাসী। তাদের দাবি- পরিত্যক্ত ঘরটির জায়গাতেই শৈশব-কৈশোর কেটেছে বীরশ্রেষ্ঠ মুন্সী আব্দুর রউফের। তাই তার স্মৃতি রক্ষার্থে কোন উদ্যোগ গ্রহণ করা হলে এখানেই করা উচিত।


এলাকাবাসীর এই দাবির প্রেক্ষিতে স্থানীয় প্রশাসন বলছেন- বীরশ্রেষ্ঠ মুন্সী আব্দুর রউফের স্মৃতি সরক্ষার্থে ইতিমধ্যে সরকার বেশ পদক্ষেপ গ্রহণ করেছেন। মহান এই শহিদের নামে এখানে একটি স্মৃতি জাদুঘর ও গ্রন্থাগার প্রতিষ্ঠিত করা হয়েছে। তবে যে বাড়িটিতে বীরশ্রেষ্ঠ মুন্সী আব্দুর রউফের শৈশব কেটেছে সেই বাড়িটি বাউন্ডারিসহ পরিমার্জিত ও সুরক্ষা করা হবে।

বুধবার (১৫ ডিসেম্বর) সরোজমিন ফরিদপুরের মধুখালীর কামারখালী ইউনিয়নের সালামতপুর (রউফ নগর) গিয়ে দেখা যায়, যেখানে শৈশব-কৈশোর কেটেছে এই বীর সন্তানের সেখানে তার স্মৃতি হিসাবে ১৯৭১ সালে দেশ স্বাধীনের পর একটি পাকা ঘর নির্মাণ করে দেন তৎকালিন সরকার। কিন্তু দীর্ঘদিন ধরে এই ঘরটি এখন পরিত্যক্ত অবস্থায় পড়ে রয়েছে। লতা-পাতা আর আবর্জনায় ছেঁয়ে গেছে ঘরটি। ঘরের ছাদ থেকে খসে পড়ছে পলেস্তার। দরজা-জানালাও ভাঙা। ঘরের মধ্যে ময়লা আর আবর্জনায় ভরা।


স্থানীয়বাসিন্দা মো: হামিদুর রহমান চুন্নু মিয়া বার্তা২৪.কমকে বলেন, বীরশ্রেষ্ঠ মুন্সী আব্দুর রউফের স্মৃতি রক্ষার্থে সরকার এই গ্রামে একটি স্মৃতি জাদুঘর ও গ্রন্থাগার প্রতিষ্ঠিত করেছেন। দর্শনার্থীরা এখানে এসে যখন তার বাড়ি দেখতে যান তখন আর কিছুই খুঁজে পায় না। একটি ভাঙা বিল্ডিং ছাড়া। আমরা চাই- সরকার যেন বীরশ্রেষ্ঠ আব্দুর রউফের স্মৃতি বিজড়িত এই বিল্ডিংটি মেরামত করে এখানে একটি মিউজিয়াম তৈরি করেন।

বীরশ্রেষ্ঠ আব্দুর রউফের সহপাঠি মো: খবির হোসেন মোল্লা বার্তা২৪.কমকে বলেন, যেখানে আব্দুর রউফের জরাজীর্ণ বসত ঘরটি দেখতে পাচ্ছেন এটাই তার স্মৃতি বিজড়িত জায়গা। এই বাড়ির চারিপাশ দিয়েই তার ছোটাছুটি। পাশে যে মধুমতি নদী দেখতে পাচ্ছেন এই নদীটিতেই সেই ঝাঁপিয়ে বেড়াত। আমরা চাই- সরকার যেন এই বসত ভিটাতে একটি সুন্দর ঘর নির্মাণ করে তার স্মৃতি রক্ষায় এগিয়ে আসেন।


বীরশ্রেষ্ঠ আব্দুর রউফের ভাগ্নে মো: হায়দার মিয়া (৩৫) বার্তা২৪.কমকে বলেন, আমার মামা বীরশ্রেষ্ঠ আব্দুর রউফের রক্তের সম্পর্কের মধ্যে তার দুই বোন জহুরা বেগম (৬৫) ও হাজেরা বেগমই (৬২) এখন জীবিত রয়েছেন। বিজয় দিবস উপলক্ষে বর্তমান এই দুজনকে সরকার ঢাকাতে নিয়ে গেছেন। আমাদের নিজেদের থাকার ঘরটিও ভালো না। আবার সরকার আমার নানী বেঁচে থাকার সময় যে ঘরটি তুলে দিয়েছিলেন সেটিও এখন বেহাত। তাই আমরা চাই বীরশ্রেষ্ঠ আব্দুর রউফ যেখানে থাকতেন সেই জায়গাটি যেন সরকার রক্ষণা-বেক্ষণ করে তার স্মৃতি ধরে রাখেন।

মধুখালী উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো: আশিকুর রহমান চৌধুরী বার্তা২৪.কমকে বলেন, বীরশ্রেষ্ঠ মুন্সী আব্দুর রউফের বসতভিটাটি সংরক্ষণের উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে। পানি সম্পদ মন্ত্রণালয়ের সচিব মহোদয় এরই মধ্যে মধুমতি নদীর ভাঙন থেকে স্মৃতি জাদুঘর ও গ্রন্থাগারটি রক্ষা করতে এলাকা পরিদর্শন করেছেন। বীরশ্রেষ্ঠ আব্দুর রউফের স্মৃতি বিজড়িত বসতভিটাটি বাউন্ডারিসহ পরিমার্জিত ও সুরক্ষা করার উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে।

  বিজয়ের ৫০ বছর

আরও ৮ কলম বের হলো সেই মোতালেবের পেট থেকে



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, সিরাজগঞ্জ
আরও ৮ কলম বের হলো সেই মোতালেবের পেট থেকে

আরও ৮ কলম বের হলো সেই মোতালেবের পেট থেকে

  • Font increase
  • Font Decrease

কোন প্রকার অস্ত্রোপচার ছাড়া আরও ৮টি কলম বের করা হলো মানসিক রোগী আব্দুল মোতালেবের পেট থেকে।

সোমবার (২৯ মে) দুপুরে সিরাজগঞ্জ শহীদ এম মনসুর আলী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে এন্ডোস্কোপির মাধ্যমে কলমগুলো বের করেন চিকিৎসকরা। এ নিয়ে দু-দফায় অস্ত্রোপচার ছাড়া মোট ২৩টি কলম বের করা হলো।

এর আগে, গত বৃহস্পতিবার (২৫ মে) ওই রোগীর পেট থেকে ১৫টি কলম বের করেছেন চিকিৎসকরা। মেডিকেল সাইন্সের ইতিহাসে বিনা অস্ত্রোপচারে রোগীর পেট থেকে এতগুলো কলম বের করার ঘটনা এটিই প্রথম বলে দাবি চিকিৎসকদের।

আব্দুল মোতালেব নামে ওই রোগী একজন মানসিক প্রতিবন্ধী। তিনি বেলকুচি উপজেলার খুকনি আটার দাগ গ্রামের বাসিন্দা। মোতালেব ৪-৫ বছর ধরে বিভিন্ন সময়ে এসব কলম আস্ত গিলে খেয়েছেন বলে চিকিৎসকদের ধারণা।

শহীদ এম মনসুর আলী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের সার্জারি বিভাগের প্রধান ডা. জাহিদুল ইসলাম জানান, সোমবার প্রায় এক ঘণ্টারও বেশি সময় এন্ডোস্কপির মাধ্যমে আরও ৮টি কলম বের করা হয়েছে। তার পেটে আর কলম নেই। বর্তমানে রোগী সুস্থ আছেন।

তিনি বলেন, দীর্ঘদিন পেটে ব্যথায় ভুগতে থাকা মোতালেবের রোগ ডায়াগনসিস করা যাচ্ছিল না। আমাদের এখানে ভর্তি হওয়ার পর এন্ডোস্কপি করে পাকস্থলীতে অনেকগুলো কলম দেখতে পাই। ঝুঁকিপূর্ণ হলেও আমরা কলমগুলো বের করার সিদ্ধান্ত নিই। এখানে রক্তক্ষরণের শঙ্কা ছিল, ইনজুরি হওয়ার ভয় ছিল। বৃহস্পতিবার তিন ঘণ্টাব্যাপী এন্ডোস্কপির মাধ্যমে একটি করে ধরে ধরে ১৫টি কলম বের করা হয়। ভেতরে আরও বেশ কয়েকটি কলম থাকার বিষয়টি নিশ্চিত হই। আজ সোমবার আবারও এন্ডোস্কপি করে ৮টি কলম বের করা হয়। মেডিকেল সাইন্সের ইতিহাসে পেটের মধ্যে এতগুলো কলম বের করার ঘটনা এটিই প্রথম। সম্ভবত আমরাই প্রথম এই সাফল্যের কাজটি করতে পেরেছি।

মোতালেবের মা লাইলী বেগম বলেন, এক বছর ধরে তার ছেলের পেটের ব্যথা। বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসা করেও সুস্থ হয়নি। ১৫ দিন আগে সমস্যা আরও বেশি হয়। খেতে পারে না, বমি করে। এ কারণে তাকে এই হাসপাতালে আনা হয়। এখানে আসার পর পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে পেটের মধ্য থেকে কলম বের করেন ডাক্তাররা।

তিনি আরও বলেন, ১২ বছর ধরে তার ছেলে মানসিক রোগী। মানসিক ডাক্তারও দেখানো হয়েছে। কলমগুলো অজ্ঞান অবস্থায় খেয়েছে সে।

শহীদ এম মনসুর আলী মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালের পরিচালক সাইফুল ফেরদৌস মোহাম্মদ খায়রুল আতাতুর্ক বলেন, আমাদের এখানে উন্নতমানের অত্যাধুনিক সব মেশিন রয়েছে। আটটি এন্ডোস্কপি মেশিন আছে যার সবগুলো অত্যাধুনিক। প্রতি বিভাগে অত্যাধুনিক যন্ত্রপাতি রয়েছে যেগুলো চালু আছে অথবা অল্প দিনের মধ্যেই চালু হবে। উত্তরাঞ্চলের জনগণের জন্য আশার কেন্দ্র হবে এই হাসপাতালটি।

  বিজয়ের ৫০ বছর

;

মধ্যরাতে হুমকি দিয়ে ভোরে খুন, প্রধান আসামিসহ গ্রেফতার ৪



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, চট্টগ্রাম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

প্রস্রাব করতে বাধা দেওয়ায় চট্টগ্রামের পাহাড়তলিতে কথা কাটাকাটির পর হুমকি দিয়ে এক যুবককে খুনের ঘটনায় প্রধান আসামিসহ চারজনকে গ্রেফতার করেছে র‌্যাব।

সোমবার (২৯ মে) রাঙামাটি জেলার কোতোয়ালি থানাধীন একটি আবাসিক হোটেল থেকে তাদের গ্রেফতার করা হয়।

গ্রেফতারকৃতরা হলেন- প্রধান আসামি আবু তাহের রাজীব (২৩) ও তার সহযোগী দেলোয়ার হোসেন জয় (২৭), রায়হান সজীব (২২) এবং আবুল হাসনাত রানা (৩০)।

বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন র‌্যাব-৭ এর জ্যেষ্ঠ সহকারী পরিচালক (গণমাধ্যম) নুরুল আবছার।

র‌্যাব জানায়, গত ২৭ মে দিবাগত রাত সাড়ে ১২টার দিকে অজ্ঞাতনামা একব্যক্তি নগরীর নয়াবাজার এলাকার একটি কারখানার গেইটের সামনে প্রস্রাব করলে কারখানার নৈশপ্রহরী খুন হওয়া মো. আজাদের ভাই মফিজ লোকটিকে বাধা দেয়। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে ওই ব্যক্তি নৈশপ্রহরী মফিজকে বলে, এটা সরকারি জায়গা তুই বাধা দেওয়ার কে’ এই বলে উভয়ের মধ্যে কথা কাটাকাটি হয়। একপর্যায়ে আসামি আবু তাহের রাজীব, ওসমান, আবুল হাসানসহ অজ্ঞাতনামা কয়েকজন মিলে ঘটনাস্থলে এসে বিবাদে জড়ায়। বড় ভাইয়ের সাথে কথা কাটাকাটির শব্দ শুনে আজাদ ঘটনাস্থলে গেলে তার সাথেও কথা কাটাকাটির একপর্যায়ে ধাক্কাধাক্কি হয়। পরে আসামিরা আজাদকে হুমকি দিয়ে চলে যায়।

ঘটনার কয়েক ঘণ্টা পর ২৮ মে ভোর পৌনে ৫টার দিকে আজাদ নাস্তার জন্য দোকানে যেতে বের হলে পথিমধ্যে পাহাড়তলির নয়াবাজার এলাকায় পূর্ব পরিকল্পিতভাবে আসামিরা তাকে একা পেয়ে হত্যার উদ্দেশ্যে এলোপাথাড়িভাবে পেটে, পিঠে ও শরীরের বিভিন্ন অংশে ছুরিকাঘাত করে পালিয়ে যায়। পরে গুরুতর আহত অবস্থায় আজাদকে স্থানীয়রা উদ্ধার করে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

এ ঘটনায় ওই দিন নিহতের স্ত্রী বাদী হয়ে ৪ জনের নাম উল্লেখ্য করে অজ্ঞাতনামা আরও ৩/৪ জনকে আসামি করে পাহাড়তলি থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। মামলা দায়েরের পর হতে আসামিরা আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর নিকট হতে গ্রেফতার এড়াতে এলাকা ছেড়ে আত্মগোপনে চলে যায়।

এদিকে হাসপাতালে নেওয়ার পথে গুরুতর জখম হওয়া আজাদ তার ভাতিজা তারেকুর রহমারে কাছে আক্রমণকারীদের নাম বলেন।

র‌্যাব-৭ এর জ্যেষ্ঠ সহকারী পরিচালক (গণমাধ্যম) নুরুল আবছার বলেন, আসামিদের গোয়েন্দা নজরদারি এবং ছায়াতদন্তের মাধ্যমে মামলার আসামিরা রাঙামাটি জেলার কোতোয়ালি থানাধীন একটি আবাসিক হোটেলে অবস্থান করছে বলে তথ্য পাই। অভিযান করে ওই হোটেল থেকে প্রধান আসামি আবু তাহের রাজীব ও সহযোগী দেলোয়ার হোসেন জয়, রায়হান সজীবকে গ্রেফতার করা হয়। পরবর্তীতে তাদের দেওয়া তথ্যমতে নগরীর কদমতলী বাসস্ট্যান্ড থেকে আসামি আবুল হাসনাতকেও গ্রেফতার করা হয়।

পরবর্তী আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য গ্রেফতার আসামিদের সংশ্লিষ্ট থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে বলে জানান তিনি।

  বিজয়ের ৫০ বছর

;

সংসদ অধিবেশন উপলক্ষে ডিএমপির নিষেধাজ্ঞা



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

বুধবার (১ জুন) থেকে একাদশ জাতীয় সংসদের ২৩তম এবং ২০২৩ সালের বাজেট অধিবেশন শুরু হতে যাচ্ছে। এই অধিবেশন নির্বিঘ্নে চলাচল নিশ্চিতকরণে কিছু নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি)।

সোমবার (২৯ মে) ডিএমপি কমিশনার খন্দকার গোলাম ফারুক স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এই নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়।

আদেশে মঙ্গলবার (৩০ মে) রাত ১২টা থেকে সকল প্রকার অস্ত্রশস্ত্র, বিস্ফোরক দ্রব্য, অন্যান্য ক্ষতিকারক ও দূষণীয় দ্রব্য বহন নিষিদ্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। এছাড়াও যে কোন প্রকার সমাবেশ, মিছিল, শোভাযাত্রা ও বিক্ষোভ প্রদর্শন ইত্যাদি নিষেধ করা হয়েছে।

যেসব এলাকায় এই নিষেধাজ্ঞা বহাল থাকবে– ময়মনসিংহ রোডের মহাখালী ক্রসিং থেকে পুরাতন বিমান বন্দর হয়ে বাংলামটর ক্রসিং পর্যন্ত, বাংলামটর লিংক রোডের পশ্চিম প্রান্ত থেকে হোটেল সোনারগাঁও রোডের সার্ক ফোয়ারা পর্যন্ত, পান্থপথের পূর্ব প্রান্ত থেকে গ্রীন রোডের সংযোগস্থল হয়ে ফার্মগেট পর্যন্ত, মিরপুর রোডের শ্যামলী মোড় থেকে ধানমন্ডি-১৬ (পুরাতন-২৭) নং সড়কের সংযোগস্থল, রোকেয়া সরণির সংযোগস্থল থেকে পুরাতন ৯ম ডিভিশন (উড়োজাহাজ) ক্রসিং হয়ে বিজয় সরণির পর্যটন ক্রসিং, ইন্দিরা রোডের পূর্ব প্রান্ত থেকে মানিক মিয়া এভিনিউয়ের পশ্চিম প্রান্ত, জাতীয় সংসদ ভবনের সংরক্ষিত এলাকা এবং এ সীমানার মধ্যে অবস্থিত সমুদয় রাস্তা ও গলিপথ।

একাদশ জাতীয় সংসদের বাজেট অধিবেশন শেষ না হওয়া পর্যন্ত এ আদেশ বলবৎ থাকবে।

  বিজয়ের ৫০ বছর

;

প্রয়োজনে সংসদ নির্বাচনে আরও কঠোর হবে ইসি: রাশেদা সুলতানা



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

সুষ্ঠু নির্বাচনের স্বার্থে আগামী দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে পরিবেশ-পরিস্থিতি ডিমান্ড করলে নির্বাচন কমিশন (ইসি) আরও কঠোর হবে বলে মন্তব্য করেছেন সংস্থাটির কমিশনার রাশেদা সুলতানা।

সোমবার (২৯ মে) রাজধানীর আগারগাঁওয়ে নির্বাচন ভবনে নিজের কার্যালয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা জানান।

রাশেদা সুলতানা বলেন, যদি পরিবেশ-পরিস্থিতি ডিমান্ড করে আরও কঠোর হতে, তাহলে আমরা আরও কঠোর হব। পরিবেশ পরিস্থিতি যদি বলে এভাবে চললেই হবে, তাহলে আমরা এভাবেই চলব। এটা পরিবেশ-পরিস্থিতির ওপর নির্ভর করে।

তিনি বলেন, আমাদের একটাই ইচ্ছা ‘সুষ্ঠু, সুন্দর, অবাধ ও নিরপেক্ষভাবে নির্বাচন। যে নির্বাচনে জনগণ ভোট দিতে পারবে, জনগণ বলতে পারবে- আমার ভোটটা আমি দিয়েছি।

গাজীপুর সিটি করপোরেশন নির্বাচনের প্রসঙ্গ টেনে রাশেদা সুলতানা বলেন, জনগণ তাদের রায় দেবেন। আমরা সব সময় চেয়েছি, এখনো চেয়েছি, ভবিষ্যতে চাইব- আমাদের ইলেকশন যতগুলো আমরা করব, সব যেন সুষ্ঠু হয়। মানুষ এসে যেন ভোট দিয়ে চলে যেতে পারে। এটাই আসলে আমাদের প্রধান উদ্দেশ্য। শুধু সিটি করপোরেশন ইলেকশন কেন? যে কয়টা বাকি আছে ও জাতীয় নির্বাচন- আমরা এই নীতিতে থাকব। এটাই আমরা করব৷’

সিটি নির্বাচনগুলো অনেকটা একপাক্ষিক বলা হচ্ছে- এমন নির্বাচনে তৃপ্তি কতটুকু, জানতে চাইলে রাশেদা সুলতানা বলেন, তৃপ্তি-অতৃপ্তি প্রকাশের তেমন কোনো বিষয়.. নেই আমাদের। কেননা নির্বাচনে কেউ আসবে, কেউ প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবে, কেউ করবে না, এটা সম্পূর্ণ তাদের ব্যাপার। যিনি প্রার্থী হতে চান বা চান না এটা সম্পূর্ণ নিজস্ব বিষয়। নির্বাচন কমিশনের কাউকে তো আনার সুযোগ ওভাবে নেই। এলে অবশ্যই আমরা ভালো একটা প্রতিদ্বন্দ্বিতামূলক নির্বাচন পাব। এলে আনন্দ পাব বেশি। না এলেও ইলেকশনগুলো করতে হবে। কারণ আইনি বাধ্যবাধকতা আছে।

জাতীয় নির্বাচনে ভোটকক্ষে সিসি ক্যামেরা ব্যবহারের বিষয় তিনি বলেন, এখনো এনিয়ে বসা হয়নি।

  বিজয়ের ৫০ বছর

;