ট্রলার থেকে মধুমতি নদীতে পড়ে পুলিশ সদস্য ও শিশু পুত্র নিখোঁজ
ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, গোপালগঞ্জ
ছবি: বার্তা২৪.কম
জাতীয়
গোপালগঞ্জে মধুমতি নদীতে ট্রলার থেকে পড়ে পুলিশ সদস্য ও তার ৬ মাসের শিশু পুত্র নিখোঁজ হয়েছে।
শুক্রবার (২৮ আগস্ট) সন্ধ্যায় কাশিয়ানীর কালনায় মধুমতি নদীর উপর নির্মানাধীন ব্রিজের খুঁটির সাথে ধাক্কা লেগে তারা নদীতে পড়ে যায়।
কাশিয়ানী উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা রথিন্দ্রনাথ বিশ্বাস ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।
নিখোঁজরা হলো পিতা পুলিশ হেডকোয়ার্টার-এর কনস্টেবল আবু মুসা রেজওয়ান (২৮) ও তার শিশু পুত্র আনাস। তাদের বাড়ি নড়াইল জেলার লোহাগাড়া উপজেলার চাচই গ্রামে।
কাশিয়ানী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রথিন্দ্রনাথ বিশ্বাস জানান, স্ত্রী, ছেলে ও কয়েকজন আত্মীয় নিয়ে ট্রলার ভাড়া করে মধুমতি নদীতে ঘুরতে বেরিয়েছিল তারা। নদীতে প্রবল স্রোত থাকার কারণে ট্রলারটি নির্মানাধীন ব্রিজের পিলারের সঙ্গে থাক্কা খায়। এতে মাঝি বাদে ট্রলারের সবাই নদীতে পড়ে যায়। পরে ট্রলারের মাঝি পড়ে যাওয়া কয়েকজনকে উদ্ধার করতে সক্ষম হলেও পিতা ও পুত্র নিখোঁজ হয়। তাদের উদ্ধারের জন্য গোপালগঞ্জ ফায়ার সার্ভিসের একটি দল কাজ করছে। এছাড়া খুলনায় ফায়ার সার্ভিসের একটি ডুবরি দলকে খবর দেয়া হয়েছে।
কাশিয়ানী উপজেলা সহকারী কমিশনার(ভূমি) মোঃ আতিকুল ইসলাম, কাশিয়ানী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোঃ আজিজুর রহমান এবং নড়াইলের লোহাগাড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সৈয়দ আশিকুর রহমান ঘটনাস্থলে থেকে নিখোঁজ পিতা-পুত্রের উদ্ধার প্রক্রিয়ায় অংশ নিয়েছেন।
দেশে ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত হয়ে গত ২৪ ঘণ্টায় আরও ১৩ জনের মৃত্যু হয়েছে। এনিয়ে দেশে ডেঙ্গুতে মৃত্যু বেড়ে দাঁড়ালো ১ হাজার ৩০ জনে। এছাড়া গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন ২ হাজার ৭৯৯ জন।
মঙ্গলবার (৩ অক্টোবর) স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হেলথ ইমার্জেন্সি অপারেশন সেন্টার ও কন্ট্রোল রুম থেকে ডেঙ্গুবিষয়ক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে, সোমবার সকাল ৮টা থেকে মঙ্গলবার সকাল ৮টা পর্যন্ত ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে দেশের বিভিন্ন সরকারি-বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন দুই হাজার ৭৯৯ জন। তাদের মধ্যে ঢাকার বাসিন্দা ৬৮২ জন ও ঢাকার বাইরের দুই হাজার ১১৭ জন। গত ২৪ ঘণ্টায় মারা যাওয়া ১৩ জনের মধ্যে ঢাকার বাসিন্দা ৭ জন ও ঢাকার বাইরের ৬ জন।
চলতি বছরের ১ জানুয়ারি থেকে ৩ অক্টোবর পর্যন্ত ২ লাখ ১১ হাজার ৬৮৩ জন ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়েছেন। তাদের মধ্যে ঢাকার বাসিন্দা ৮৫ হাজার ১৪০ জন। ঢাকার বাইরের হাসপাতালগুলোতে ১ লাখ ২৬ হাজার ৫৪৩ জন ভর্তি হয়েছেন।
একই সময়ে হাসপাতাল থেকে ১ হাজার ৪৫৫ জন ছাড়পত্র পেয়েছেন লাখ। তাদের মধ্যে ঢাকার বাসিন্দা ৮১ হাজার ৫৩৮ জন এবং ঢাকার বাইরের ১ লাখ ১৯ হাজার ৯১৭ জন।
২০২২ সালে ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে মারা যান ২৮১ জন। একই বছর ডিসেম্বর মাসে ডেঙ্গুতে ২৭ জনের মৃত্যু হয়।
চট্টগ্রাম নগরীর আকবর শাহ এলাকায় আলু বিক্রেতাসহ ৪ প্রতিষ্ঠানকে সর্বমোট ১৮ হাজার টাকা জরিমানা করেছে জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর।
মঙ্গলবার (৩ অক্টোবর) নগরীর আকবর শাহ থানাধীন কর্নেল হাট এলাকায় অভিযান পরিচালনা করেন সংস্থাটির চট্টগ্রাম বিভাগীয় কার্যালয়ের উপ-পরিচালক ফয়েজ উল্যাহ।
তিনি জানান, অভিযানে মূল্যতালিকার চেয়ে বেশি দামে আলু বিক্রির অপরাধে আইয়ুব অ্যান্ড ব্রাদার্স নামের একটি আলু বিক্রেতা প্রতিষ্ঠানকে ১০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে। পাশাপাশি মূল্য তালিকা না থাকায় মরিয়ম ট্রেডার্সকে এক হাজার টাকা, মেয়াদোত্তীর্ণ ওষুধ রাখায় একটি ফার্মেসিকে ৫ হাজার টাকা এবং মূল্য তালিকা না থাকায় ক্যাফে আজমীর নামের একটি হোটেলকে দুই হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।
জনস্বার্থে এই অভিযান অব্যাহত থাকবে বলে জানান তিনি।
জলাধার ভরাট করে স্থাপনা নির্মাণকারীদের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়ানোর আহবান
স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত
জাতীয়
জলাধার ভরাট করে স্থাপনা নির্মাণকারীদের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়ানোর আহবান জানিয়েছেন ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের মেয়র মো: আতিকুল ইসলাম।
মঙ্গলবার (৩ অক্টোবর) বিকালে রাজধানীর ইউনাইটেড ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটিতে 'Transformative Change in stormwater management in Dhaka City' শিরোনামে ইউনাইটেড ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি ও দ্য ডেইলি স্টার কর্তৃক আয়োজিত এক সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি এ কথা বলেন।
ডিএনসিসি মেয়র বলেন, 'আমরা ওয়াসা থেকে খালগুলো বুঝে পাওয়ার পর খালগুলো দখলমুক্ত করছি। লাউতলা খাল অবৈধ দখল করে ট্রাক স্ট্যান্ড করে রাখা হয়েছিল। সেটি উচ্ছেদ করে সেখানে বৃক্ষরোপণ করে দিয়েছি। এখন সেখানে সুন্দর পরিবেশ সৃষ্টি হয়েছে। খালে পানির প্রবাহ ফিরে এসেছে।'
মেয়র আরও বলেন, 'অনেকে বলে খাল দখলকারীদের উচ্ছেদ করলে আপনাকে দখলদাররা অপছন্দ করবে। আমাকে কেউ পছন্দ করলো কিনা সেটা কোন বিষয় না। আমি জনগণের স্বার্থে, শহরকে বাঁচাতে উচ্ছেদ অভিযান করে খাল দখলমুক্ত করে যাব। কল্যাণপুর রিটেনশন পন্ডের প্রায় ৫০ একর জমি দীর্ঘদিন দখল ছিল। সেখানে উচ্ছেদ অভিযান পরিচালনা করে প্রায় ৩২ একর জমি উদ্ধার করেছি। সেখানে কল্যাণপুর হাইড্রো ইকো পার্ক নির্মাণ করা হবে।'
এসময় তিনি বলেন, 'কিন্তু অত্যন্ত দুঃখজনক গাবতলীতে সরকারি সংস্থা বিএডিসি জলাধার ভরাট করে স্থাপনা নির্মাণ করছে। আমি বাধা দিয়েছি৷ আমরা চিঠি দিয়েছে আপনার জলাধার ভরাট করে ভবন নির্মাণ করতে পারবেন না। অথচ তারা মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর অনুশাসন উপেক্ষা করে জলাধার বালু দিয়ে ভরাট করা শুরু করেছে। গাবতলীর এই জলাধার ভরাট করলে মোহাম্মদপুর, শ্যামলীসহ মিরপুরের একটু অংশে জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হবে।'
তিনি আরও বলেন, 'ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশন এলাকায় একসময় প্রধান সড়কে যেসব জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হতো সেগুলো হটস্পট হিসেবে চিহ্নিত করে ড্রেনেজ ব্যবস্থা ডেভেলপ করে জলাবদ্ধতা দূর করা সম্ভব হয়েছে। কিছুদিন আগে অল্প সময়ের ভারী বৃষ্টিতে ডিএনসিসি এলাকার মেইন সড়কে কিন্তু দীর্ঘ সময় জলাবদ্ধতা হয়নি। আমাদের খালগুলো ও জলাধারগুলো যদি সিএস ও আরএস দাগ অনুযায়ী ফিরিয়ে আনা যায় তাহলে এই জলাবদ্ধতা পুরোপুরি নিরসন করা সম্ভব হবে। ঢাকাকে বাঁচাতে হলে শহরের নদী ও খাল গুলোর সীমানা সিএস দেখে নির্ধারণ করে দখলমুক্ত করতে হবে। ঢাকা শহরে বৃষ্টির পানির সঠিক ব্যবস্থাপনা এবং নগরায়নের মাধ্যমে উপযুক্ত করে ভবিষৎ প্রজন্মের জন্য গড়ে তুলতে হবে।'
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন দ্যা ডেইলি স্টার পত্রিকার সম্পাদক ও প্রকাশক জনাব মাহফুজ আনাম, সভাপতিত্ব করেন ইউআইইউ'র উপাচার্য (ভারপ্রাপ্ত) প্রফেসর ড. মোঃ আবুল কাশেম মিয়া। আরও উপস্থিত ছিলেন ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের (ডিএনসিসি) প্রধান প্রকৌশলী ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মুহাম্মদ আমিরুল ইসলাম, বুয়েটের পানি সম্পদ প্রকৌশল বিভাগের প্রফেসর ড. মোঃ আতাউর রহমান এবং ইউআইইউ সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের প্রফেসর ড. মোঃ মুজিবুর রহমান। অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য প্রদান করেন ইউআইইউ সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের প্রধান প্রফেসর ড. আফজাল আহমেদ।
গাছ আমাদের বন্ধু। গাছেরও প্রাণ আছে। গাছ আমাদের অক্সিজেন দেয়। গাছেরা কথা বলতে না পারলেও তারা আঘাত অনুভব করতে পারে।
ছোটবেলা পাঠ্য বইয়ে কমবেশি সবাই এই বাক্যগুলো পড়েছে। কিন্তু যেই গাছ আমাদেরকে বাঁচিয়ে রেখেছে সেই গাছের পিঠেই আমরা পেরেক ঢুকিয়ে হত্যা করছি। খোদ রাজধানী ঢাকার বিভিন্ন পাড়া, মহল্লা, অলিগলি ও পার্কগুলোতে এমন চিত্র দেখা গেছে।
সরেজমিন গিয়ে দেখা গেছে, নগরীতে যে পরিমাণ গাছ থাকার কথা সে পরিমাণ নেই। যা রয়েছে তার অবস্থাও বেহাল। এসব গাছের বুকে পেরেক ঠুকে প্রতিনিয়ত লাগানো হচ্ছে বাসা ভাড়া, প্রাইভেট টিউটরসহ বিভিন্ন ধরনের বিজ্ঞাপন। কর্তৃপক্ষের নজরদারি না থাকায় দিন দিন এর পরিমাণ বেড়েই চলছে। ফলে নগরীরবাসীকে বাঁচিয়ে রাখা গাছগুলো দিন দিন মৃত্যুর দিকে হেলে পড়ছে। কমে যাচ্ছে অক্সিজেনের মাত্রা।
সরেজমিন, রাজধানীর ধানমন্ডির ঝিগাতলাসহ বিভিন্ন স্থান ঘুরে দেখা গেছে, রাস্তার দু'পাশে প্রায় সব গাছেই পেরেক ঠুকে লাগানো হচ্ছে বিজ্ঞাপন। এক একটি গাছে কম করে হলেও ১০ থেকে ১২টা পেরেক ব্যবহার করা হচ্ছে। এর ফলে কোথাও কোথাও গাছ থেকে কাঁচা কশ ঝরে পড়ছে।
বিশেষজ্ঞরা বলেছেন, গাছের বুকে পেরেক লাগানোর কারণে যে ছিদ্র হয় এতে করে গাছে বিভিন্ন ধরনের ব্যাকটেরিয়া ও অনুজীব প্রবেশ করে।এতে গাছের ছিদ্র হওয়া জায়গায় দ্রুত পঁচন ধরে এবং গাছটি ধীরে ধীরে মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়ে।গাছের খাদ্য ও শোষণ প্রক্রিয়া ব্যাহত হয়। মানুষ হয়তো ভুলে গেছে গাছেরও প্রাণ আছে। এই গাছই অক্সিজেন দিয়ে মানুষকে বাঁচিয়ে রাখে।
মারুফ নামের একজন পথচারী বলেন,গাছ আমাদের অক্সিজেন দেয়। গাছ প্রকৃতিরই সৌন্দর্য। মানুষ প্রতিদিন প্রকৃতির এই সৌন্দর্যকে নষ্ট করছে। নগরের অধিকাংশ গাছে পেরেক বা তারকাটা লাগানোর কারণে শহরের সৌন্দর্য ধ্বংস হচ্ছে। এ বিষয়ে প্রশাসনের নজর দেওয়া দরকার। গাছে পেরেক ঠুকিয়ে বিজ্ঞাপন লাগানো নিষিদ্ধ করা উচিত।
গাছকে এখন বিজ্ঞাপনের মাধ্যম হিসেবে ব্যবহার করা হচ্ছে। এটা হত্যার শামিল। এ সমস্ত অন্যায় কাজ যারা তাদেরকে সচেতন হতে হবে। পরিবেশবিদ থেকে শুরু করে সরকারকেও এ বিষয়ে সচেতন হতে হবে।
এদিকে গাছে লাগানো এসব অবৈধ বিলবোর্ড ও বিজ্ঞাপনের বিরুদ্ধে মাঝে মাঝে নামমাত্র অভিযান করে সিটি করপোনেশন। বৃক্ষপ্রেমীদের অভিযোগ এসব অভিযান শুধু মিডিয়া কাভারের জন্য। সিটি করপোরেশনের উচিত গাছের পরিচর্জার জন্য প্রতিটি ওয়ার্ডে জনবল নিয়োগ করা।
মোস্তাফিজ নামের একজন স্থানীয় নগরবাসী বলেন, আমরা গাছ লাগানোর পরিবর্তে নিধন করে বেশি। এর জন্য শুধু গাছের ক্ষতি হয় না মানুষেরও ক্ষতি হয়। গাছের বুকে পেরেক না মেরে বিকল্প কোন পদ্ধতি ব্যবহার করা উচিত। রশি বা আঠা ব্যবহার করে বিজ্ঞাপন লাগানো উচিত। পেরেক মারলে গাছের ক্ষতি হয় এবং প্রকৃতিরও ক্ষতি হয়। গাছেরও কিন্তু প্রাণ আছে। আমরা গাছ থেকে অক্সিজেন গ্রহণ করি এবং যার মাধ্যমে বেঁচে থাকি।
এ বিষয়ে পরিবেশবিদ ইকবাল হাবিব বার্তা২৪.কম’কে বলেন, বাংলাদেশ পরিবেশ আন্দোলনসহ বিভিন্ন সংগঠন দীর্ঘ ১২ থেকে ১৫ বছর এ ব্যাপারে আন্দোলন করে আসছি। আমরা বিভিন্ন সময় সিটি করপোরেশনের কাছে আবেদন করেছি। উত্তর সিটি করপোরেশন বিভিন্ন উদ্যোগ গ্রহণের কারণে গাছের বুকে বিভিন্ন ধরনের বিজ্ঞাপন লাগানো অনেকাংশে কমে এসেছে। কিন্তু দক্ষিণ সিটি করপোরেশন এ ব্যাপারে নির্বিকার। তারা কোন পদক্ষেপ গ্রহণ করে নাই। এর জন্য অবশ্যই দক্ষিণ সিটি করপোরেশনকে জবাবদিহিতা করতে হবে।
তিনি আরো বলেন, গাছের বুকে পেরেক ঢুকানোর কারণে গাছের আয়ু কমে যায় এবং গাছ আস্তে আস্তে মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়ে। যারা গাছের বুকে পেরেক ঢুকিয়ে বিজ্ঞাপন লাগিয়েছে তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া উচিত এবং জরিমানাও করা উচিত।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের পরিবেশ, জলবায়ু ও দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা প্রকৌশলী মো: খায়রুল বাকের বার্তা২৪.কম’কে বলেন, গাছের বুকে পেরেক ঠুকে বিজ্ঞাপন লাগানো অপরাধ। এটি গাছের জন্য ক্ষতিকর। এর কারণে পরিবেশের ক্ষতি হয়। যারা গাছের বুকে পেরেক ঠুকিয়ে বিজ্ঞাপন লাগায় তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া উচিত। জনসাধারণকে সচেতন করা উচিত। জনসাধারণ যদি সচেতন না হয় তাহলে এই ধরনের পরিবেশ বিরোধী কাজ বাড়তে থাকবে।