নানা রকম বাহারি গাছে ঘর সেজে উঠুক, তেমন বাসনা অনেকেরই। দেখতে ভালো লাগলেও ইনডোর প্লান্টের যত্ন নেয়া সহজ নয়। পর্যাপ্ত পানি এবং হাওয়া না পেলে গাছ মরে যাওয়ার আশঙ্কা থাকে বেশি। তবে এমন কিছু গাছ রয়েছে, যেগুলো পর্যাপ্ত আলো না পেলেও বেঁচে থাকে।
স্পাইডার প্ল্যান্ট
বিজ্ঞাপন
খুবই জনপ্রিয় একটি ‘ইনডোর প্ল্যান্ট’ এটি। অনেকে ছাদে বা বারান্দায় এই গাছ রাখেন। একটা ধারণা প্রচলিত রয়েছে, স্পাইডার প্ল্যান্ট বাঁচাতে প্রচুর আলোর দরকার তা কিন্তু নয়। একটু কম আলোতেই এই গাছ বেশি ভাল ভাবে বাড়ে। পরিমিত পানি পেলেই হল। আর একটা কথা মনে রাখা দরকার। এই গাছের পাতা শুকিয়ে গেলে সেই শুকনো পাতা ঝটপট কেটে দিতে হবে। তা হলে আরও তাড়াতাড়ি বাড়বে এই গাছ।
বার্ড অফ প্যারাডাইস
নানা রকমের ফুলের এই গাছ ঘরের ভিতরে খুব সহজে বাঁচে। খুব বেশি আলোর দরকার হয় না। তবে এর ক্ষেত্রে পানি দেওয়ার বিষয়ে সচেতন হতে হবে। খুব বেশি পানি গোড়ায় জমে থাকলে এই গাছ মরে যেতে পারে। একমাত্র তখনই পানি দিতে হবে, যখন মাটি শুকিয়ে যাবে।
পথোস
মানিপ্ল্যান্ট নামে পরিচিত এই গাছ বাঁচিয়ে রাখতে মাটিও লাগে না। শুধু পানির মধ্যে গোড়া ডুবিয়ে রেখে দিলেও এই গাছ বেঁচে যায়। এদেরও খুব বেশি আলোর দরকার হয় না। দীর্ঘ দিন পানি-আলো না পেলেও সহজেই বেঁচে থাকে এই গাছ। পাতাও সবুজ থাকে।
কফি খায় না এমন মানুষ খুঁজে পাওয়া কঠিন। ক্যাম্পাস কিংবা বাসায়, দামি রেস্টুরেন্ট অথবা গুমোট বাধা চার দেওয়ালের রেস্তোরা, একটু রিফ্রেশমেন্টের জন্য কারও কারও কাছে কফি হয়ে উঠে একলা থাকার সঙ্গী! প্রিয় কোন লেখকের উপন্যাস বা কবিতা পড়তে পড়তে হঠাৎ করে এক চুমুক কফি যেনো জাগিয়ে তোলে ভেতরের সত্ত্বাটাকে।
আজ ১ অক্টোবর বিশ্ব কফি দিবস। প্রতি বছর পহেলা অক্টোবর কফি দিবস পালন করা হয়। ২০১৫ সাল থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে পালিত হয়ে আসছে এই দিবস। বিশ্ব কফি দিবস উপলক্ষে কক্সবাজারের সেরা ৫টি কফি শপের বিস্তারিত তথ্য তুলে ধরা হলো:
সল্ট-সুগার:
কক্সবাজার শহরের কলাতলী সড়কের নিরিবিলি অর্কিডে অবস্থিত দুইটা কফি শপ Sugar Boulangerie & Patisserie এবং Bistro & Cafe... এই দুইটি কপি শপ একই মালিকের কিন্তু স্বাদ এবং কফিতে রয়েছে ভিন্নতা। অনেক বিদেশি, পর্যটক এবং স্থানীয় কফি লাভারদের কাছে এই শপ খুবই জনপ্রিয়।
allegro art cafe & gallery:
কক্সবাজার শহরের জনপ্রিয় একটি কফি শপ যেটির তথ্য অনেকেই জানেন না এবং লোকেশন একটু ভেতরে এটি হলো allegro art cafe & gallery... এই শপে অনেকগুলো আর্ট যেমন রয়েছে, তেমনই রয়েছে ভালো মানের কফি। সবধরনের কফি পাওয়া যায় এই শপে। বিশেষ করে কক্সবাজারে বসবাসরত বিদেশিদের কাছে এই শপ খুবই পরিচিত। কক্সবাজার শহরের কলাতলী রোডে লং বিচ হোটেলের বিপরীতে এই শপের দেখা পাওয়া যাবে।
মারমেইড কফি:
কক্সবাজারের জনপ্রিয় মারমেইড ইকো-ট্যুরিজম লিমিটেড কোম্পানির ৫টি কফি শপ রয়েছে। সবগুলো কফি শপের মান খুবই উন্নতমানের। ঢাকা থেকে নিয়ে আসা কফি বিন এবং অভিজ্ঞ বারিস্তা দ্বারা সকল শপে কফি বানানো হয়। মারমেইড কফি শপের লোকেশন: ১. সৈকতের সুগন্ধা পয়েন্টে মারমেইড ক্যাফে চিল এ্যান্ড গ্রিল, ২. মেরিন ড্রাইভের হিমছড়ি ব্লকে মারমেইড ক্যাফে মেরিন ড্রাইভ, ৩. পেঁচারদ্বীপে মারমেইড বিচ রিসোর্ট এবং ৫. ২ কিলোমিটার দূরে রেজুখালের পাশে মারমেইড ইকো রিসোর্ট।
Sweetopia Café & Eatery:
কক্সবাজার সমুদ্র সৈকতের লাবণি পয়েন্টে প্রবেশ করার আগেই দেখা মিলবে Sweetopia Café & Eatery.. শহরে এই শপ নতুন হলে সুনাম আছে অনেক। এই শপে কফি শপের বাহ্যিক ডিজাইন ছবির মতো সুন্দর।
8 Days a Week:
সৈকতের লাবণী পয়েন্টের মোটেল লাবণী সামনে এই শপের অবস্থান। ভালো কফির সাথে সাথে তাদের পরিবেশনা খুবই সুন্দর। এ শপে অনেকেই ঘণ্টার পর ঘণ্টা আড্ডা দিয়ে কফি পান করে। এই শপটিও শহরের খুবই জনপ্রিয়।
এছাড়া বাংলাদেশের অন্যতম কফি ব্রান্ড নর্থ এ্যান্ডের কক্সবাজার শহরের বাইরে উখিয়া স্টেশনে রয়েছে একটি আউটলেট রয়েছে। কলাতলী সৈকতে হোটেল রামাদার এরাবিয়ান, লাবণী মোড়ের হোটেল স্বপ্নিল সিন্দুর মুভ অন ক্যাফে, বাহারছড়ায় লা রোসা অনেক জনপ্রিয়।
শারীরিক ভাবে সুস্থ থাকতে হলে প্রতিদিন শারীরকে সচল রাখার কার্যক্রম করা বাঞ্ছনীয়। তবে শরীরে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণ করতে শুধুমাত্র শরীরচর্চাই যথেষ্ট নয়। রক্তে শর্করার মাত্রা বৃদ্ধি পাওয়া এখনকার যুগের বেশ সাধারণ একটি সমস্যা। একে নিয়ন্ত্রণে রাখতে দৈনিক জীবন যাপনের ধরণ পরিবর্তন করা বেশ উপকারী।
১. স্বাস্থ্যকর খাবার: শুধু ডায়বেটিস নয়, যেকোনো ধরনের রোগ থেকে মুক্ত থাকতেই ভালো অভ্যাসের বিকল্প নেই। এজন্য সবসময় সুষম খাবার খাওয়া জরুরি। যেমন শস্যজাতীয় খাবার, তাজা ফল, শাক-সবজি, চর্বিহীন আমিষ ইত্যাদি। এছাড়া বাইরের বা প্রক্রিয়াজাত করা খাবার, মিষ্টি স্বাদের স্ন্যাকস, মিষ্টিজাতীয় খাবার রক্তে চিনির পরিমাণ বাড়িয়ে দিতে পারে।
২. শরীর চর্চা: ডায়বেটিসে আক্রান্ত রোগীদের নিত্যদিনের কাজের মধ্যে হাঁটা অন্যতম। এছাড়াও কমপক্ষে প্রতিদিন ৩০ মিনিট করে শরীর চর্চা করা প্রয়োজন। তবে তাই বলে যে বেশ আয়োজনে ব্যায়াম করতে হবে তা নয়। সাঁতার কাটা, সাইকেল চালানো বা ভারি জিনিস বহন করার মাধ্যমেও ব্যায়াম করা যেতে পারে।
৩. ওজন নিয়ন্ত্রণ: ডায়বেটিসের রোগীদের জন্য ওজন নিয়ন্ত্রণ করা খুব জরুরি। কারণ সামান্য পরিমাণ ওজন কমাতে পারলেও তা অনেক উপকারী প্রভাব ফেলতে পারে। বয়স ও উচ্চতা অনুযায়ী সঠিক ওজন কত এবং কিভাবে তা বজায় রাখা যায় তা চিকিৎসক বা ডায়েটেশিয়ানের কাছে থেকে জেনে নিতে পারেন।
৪. রক্তে শর্করার পরিমাণ পরিমাপ: ডায়বেটিস ধরা পড়লে সবসময় রক্তে শর্করার পরিমাণের রেকর্ড তৈরি করুন। ওজন, খাদ্যতালিকা এবয় চিকিৎসা নিয়ম তান্ত্রিকভাবে চালানোর জন্য এই রেকর্ড থাকা প্রয়োজন। গ্লুকোজ মিটার বা গ্লুকোজ মনিটরিং সিস্টেমের মাধ্যমে রক্তে শর্করার রেকর্ড রাখা যায়।
৫. চিকিৎসকরে পরামর্শ: ডায়বেটিস রোগকে কখনো হেলা করা উচিত নয়। ডায়বেটিস ধরা পড়লে অবশ্যই অভিজ্ঞ চিকিৎসকের শরণাপন্ন হতে হবে। তাদের পরামর্শ অনুযায়ী চিকিৎসা গ্রহণ করতে হবে। তার পাশাপাশি খাদ্যাভ্যাস এবং জীবনধারাকে পরিবর্তন করতে হবে।
৬. নিয়মিত চ্যেকআপ: ডায়বেটিস একবার নিয়ন্ত্রণে চলে আসলেই বিপদ কেটে গেছে, এই ধারণা ভুল। ডায়বেটিসে আক্রান্ত ব্যক্তিদের নিয়মিত চিকিৎসকদের সকল পরামর্শ মেনে চলতে হয়। ডায়বেটিস কখনো পুরোপুরি নির্মূল করা সম্ভব নয়। তাই ডায়বেটিস নিয়ন্ত্রণে রাখতে নিয়মিত চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে।
সারাবিশ্বে প্রতিনিয়ত ইউরিন ইনফেকশনের আক্রান্ত হওয়ার রোগীর সংখ্যা বেড়ে চলেছে। গত ৩৫ বছরে ইউরিন ইনফেকশনে আক্রান্ত হওয়া এবং এর ফলে মৃত্যুর সংখ্যাও আশঙ্কাজনকভাবে বেড়ে চলেছে।
মূলত প্রাণীর শরীরের নাইট্রোজেন ঘটিত বর্জ্যপদার্থ রেচনতন্ত্রে জটিল প্রক্রিয়ায় পরিশোধিত হয়। শরীরের অতিরিক্ত পানির সঙ্গে সেই বজ্র্য শরীর থেকে বের হয়ে যায়। এই রেচন প্রক্রিয়া স্বাভাবিকভাবে চলমান থাকার উপর আমাদের খাদ্যতালিকার বেশ প্রভাব রয়েছে।
সম্প্রতি এক গবেষণায় জানা গেছে, ফ্রিজে রাখা খাবার খাওয়ার কারণে রেচন অঙ্গ মূত্রনালীর সংক্রমণ অর্থাৎ, ইউরিনারি ট্র্যাক ইনফেকশন (ইউটিআই) হতে পারে। ওয়ান হেলথ এর একটি প্রতিবেদনে বিশেষজ্ঞদের এই মতামত প্রকাশ করা হয়েছে। সেখানে বলা হয়েছে, ই-কোলাই দ্বারা দূষিত মাংস ইউরিন ইনফেকশন সংক্রমণ বৃদ্ধির অন্যতম কারণ। সাধারণত মুরগী এবং টার্কি পণ্যে এক্সটেন্ডেড-স্পেকট্রাম বিটা-ল্যাকটামেজ ব্যবহার করা হয়। ঠিকমতো রান্না না করা হলে এর থেকে ই-কোলাই তৈরি হতে পারে। এতে অন্ত্রে ব্যাকটেরিয়ার সংক্রমণ বেড়ে যেতে পারে, যা পরবর্তীতে রেচনপ্রক্রিয়ায় ছড়িয়ে যায়।
সাধারণত পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা এবং নিরাপদ যৌন কার্যকলাপের প্রতি উদাসীনতার কারণে ইউরিন ইনফেকশন হতে দেখা যায়। এবার, ইউরিন ইনফেকশন হওয়ার নতুন এই কারণটি সামনে এসেছে। এই সমস্যা এড়াতে করণীয়-
১.পোল্ট্রি এবং মাংস থেকে ব্যাকটেরিয়াকে সম্পূর্ণভাবে নির্মূল করার জন্য যথাযথ তাপে এবং ভালো করে সিদ্ধ করে রান্না করতে হবে।
২. মাংস এবং সবজি বা অন্যান্য খাবারের জন্য আলাদা কাটিং বোর্ড, ছুরি এবং পাত্র ব্যবহার করুন। কাঁচা মাংস কাটার পর ভালোভাবে সাবান বা হ্যান্ডওয়াশ দিয়ে হাত ধুয়ে নিন।
৩. পচনশীল খাবার দীর্ঘদিন হিমায়িত করে রেখে খাবেন না। যেসব খাবার ৪০ ডিগ্রি ফারেনহাইট বা ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস নিচে পচনশীল তাদের জমে থাকা অবস্থায় ব্যাকটেরিয়ার বৃদ্ধিতে বাধা দেয়। তবুও এরমধ্যে ব্যাকটেরিয়ার উপস্থিতি থেকেই যায়, তাই নির্দিষ্ট সময়সীমার মধ্যে এই ধরনের খাবার খেয়ে নিবেন।
সর্বদা সুষম খাদ্যগ্রহণ শরীরকে সুস্থ এবং রোগমুক্ত রাখতে সাহায্য করে। ফলমূল-সবুজ শাকসবজির মতো শস্যজাতীয় খাবারও অনেক পুষ্টিকর। ওটস একটি অত্যন্ত পুষ্টিকর খাবার হিসেবে বেশ জনপ্রিয়। আমিষ, উপকারী শ্বেতসার এবং তন্তু বা ফাইবারজাতীয় পুষ্টি উপাদানে পরিপূর্ণ খাবার ওটস। ওটসে থাকা বেটা-গ্লুকন নামক উপাদান কোলেস্টেরল কমিয়ে হৃদপিণ্ডকে সুস্থ রাখতে সাহায্য করে।
সাধারণত সকালের নাস্তায় ওটস খাওয়া হওয়ার প্রচলন রয়েছে। তবে অন্যান্য আরও উপায়ে এই উপকারী খাদ্য খাওয়া যায়। যেমন অনেকেই স্মুদি বা মাফিন তৈরিতে ওটস ব্যবহার করা হয়। অনেকে খাদ্য তালিকাকে আরও সমৃদ্ধ করতে ওটসের আটা ব্যবহার করে। আবার মিষ্টিজাতীয় খাবারে মুচমুচে টপিং হিসেবে এবং সাজসজ্জার কাজেও ওটস ব্যবহার করা যেতে পারে। তাছাড়া ওটস বেশি ব্যয়বহুল খাদ্য নয় এবং একে দীর্ঘদিন সংরক্ষণও করা যায়।
সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ব্যাপার হলো, প্রতিদিন ওটস খেলে তার নানাবিধ উপকার পাওয়া যায়। যেমন-
হার্ট: ওটসে থাকা তন্তুজাতীয় উপাদান বিশেষ করে বিটা-গ্লুকান এলডিএল (খারাপ) কোলেস্টেরল কমাতে সাহায্য করে। এর ফলে হৃদরোগের ঝুঁকি কমে।
হজম: তন্তু বা ফাইবার দ্রুত হজমে সহায়তা করে। সেই কারণে কোষ্ঠকাঠিন্যের মতো তন্ত্রের সমস্যা প্রতিরোধ করা যায়। এছাড়া ওটস অন্ত্রের উপকারী ব্যাকটেরিয়া বৃদ্ধিতেও সহায়তা করে।
শক্তিবৃদ্ধি: ওটসে রয়েছে জটিল শর্করা অর্থাৎ, কার্বোহাইড্রেট। এই উপাদান ধীরে ধীরে শক্তি মুক্ত করে সারাদেহে সরবরাহ করে। তাই ওটস সারা দিন ধরে শক্তি উৎপাদনকারী খাবার হিসেবে বিবেচিত হয়।
রক্তেশর্করারনিয়ন্ত্রণ: ওটসে গ্লাইসেমিক উপাদান কম রয়েছে। তাই ওটস খেলে রক্তে শর্করার মাত্রা স্থিতিশীল রাখা সহজ হয়। ডায়াবেটিসে আক্রান্ত রোগীদের রক্তে শর্করা বা চিনি নিয়ন্ত্রণে রাখা অত্যন্ত জরুরি। তাই ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য ওটস উপকারী একটি খাবার হতে পারে।
ওজননিয়ন্ত্রণ: ওজন নিয়ন্ত্রণের ক্ষেত্রে ব্যায়াম করে শরীরের ক্যালরি কমানো যতটা জরুরি, ঠিক ততটাই জরুরি প্রতিদিনের খাদ্যতালিকায় ক্যালরি যতটা সম্ভব কমিয়ে আনা। ওটস একটি উচ্চ ফাইবার সামগ্রী সমৃদ্ধ খাবার হওয়ায় দীর্ঘসময় পেট ভরা রাখতে পারে। তাই ওজন কমানো এবং নিয়ন্ত্রণের ক্ষেত্রে ওটস একটি উপকারী খঅদ্য উপাদান।