শরীরচর্চা ছাড়াই ওজন কমবে যেভাবে



লাইফস্টাইল ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

কর্মব্যস্ত জীবনে দম ফেলবার ফুসরত কই? তার ওপর আবার শরীরচর্চা। কিন্তু বসে কাজ করার ফলে শরীর ক্রমশ ভারী হয়ে যাচ্ছে। তবে যদি কষ্ট না করেই ওজন কমানো যায়, এর চেয়ে ভাল কিছু তো আর হতে পারে না। পুষ্টিবিদরা বলছেন, জিমে না গিয়েও ওজন ঝরানো সম্ভব। তবে তার জন্য বিশেষ কয়েকটি কাজ নিয়মিত করতে হবে।

গরম পানিতে গোসল করা

৩০ মিনিট শরীরচর্চা করলে যে পরিমাণ ক্যালোরি পোড়ে, তা শুধু গরম পানিতে গোসল করেই পাওয়া যায়। শরীরচর্চা করার সময়ে শরীরে যে পরিমাণ তাপ উৎপন্ন হয়, গরম পানিতে গোসল করলেও তা পাওয়া সম্ভব। শরীরের ভিতরে উৎপন্ন এই তাপই দেহের বাড়তি মেদ ঝরিয়ে ফেলতে পারে।

লিফটের বদলে সিঁড়ি ব্যবহার করা

অফিস থেকে বেরোনোর তাড়া থাকলেও লিফটের বদলে সিঁড়ি ব্যবহার করুন। নিয়মিত সিঁড়ি দিয়ে ওঠানামা অভ্যাস করতে পারলে ভারী কোনও ব্যায়াম ছাড়াই দেহের নিম্নাংশের মেদ ঝরিয়ে ফেলতে পারেন।

রোদে বসা

দেহের বাড়তি মেদ ঝরিয়ে ফেলতে ভিটামিন ডি অণুঘটকের মতো কাজ করে। এ ছাড়াও ক্যালশিয়াম শোষণ করে হাড় মজবুত রাখতে সহায়তা করে। তাই ভিটামিন প্রতিদিন অন্তত পক্ষে মিনিট পনেরো রোদে বসা অভ্যাস করতে হবে।

স্বাস্থ্যকর খাওয়াদাওয়া

ওজন ঝরাতে সব সময়ে ডায়েট করা জরুরি নয়। স্বাস্থ্যকর, সুষম খাবার খেয়েও কিন্তু মেদ ঝরানো যায়। তাই কার্বজাতীয় খাবার কম খেয়ে প্রতি দিন ফাইবার, প্রোটিন এবং স্বাস্থ্যকর প্রোটিন সমৃদ্ধ খাবার খেতে হবে।

পর্যাপ্ত ঘুম

পেটে মেদ জমার প্রধান কারণ অপর্যাপ্ত এবং অনিয়মিত ঘুমের অভ্যাস। যার প্রভাবে বিপাকহার বিঘ্নিত হয়। বিপাকহারের মাত্রা ভাল না হলে ওজন ঝরানো কিন্তু সম্ভব নয়।

দাঁড়িয়ে থাকা

বসে বা শুয়ে থাকলে খাবার হজম করতে সমস্যা হতে পারে। আর হজমের সমস্যা থাকলে বিপাক হারের উপর তার প্রভাব পড়বেই। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, খাবার তাড়াতাড়ি হজম করতে চাইলে বেশ কিছুক্ষণ সোজা হয়ে দাঁড়িয়ে থাকার চেষ্টা করুন। তাতে যেমন খাবার হজম হবে, তেমনই দেহের বাড়তি মেদও ঝরবে।

ঘর পরিষ্কার করা

জীবন এখন অনেক বেশি যন্ত্রনির্ভর। কোনও কাজ করতেই খুব বেশি গা ঘামাতে হয় না। ঘরের ছোটখাটো কাজগুলো করতেও অনেকে যন্ত্রের উপর ভরসা করেন। কিন্তু গবেষণা বলছে, ঘরমোছা, কাপড় কাচা বা শীলে মশলা বাটার মতো কাজগুলো নিয়মিত করলে শরীরচর্চা না করেই ওজন ঝরানো যাবে সহজে।

আখের রসের যত উপকারিতা



লাইফস্টাইল ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

আখের রস শরীরের জন্য অত্যন্ত উপকারী। আখের রসে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে অ্যান্টিঅক্সিড্যান্ট যা শরীর থেকে দূষিত পদার্থ বার করতে সাহায্য করে। কিন্তু জানেন কী ত্বকের অনেক সমস্যাও দূর করা যায় আখের রস খেলে। অনেকে আবার ত্বকের জেল্লা ধরে রাখতে এই রস মুখে মাখার পরামর্শও দিয়ে থাকেন।

ত্বকের যেসব সমস্যা দূর করে আখের রস-

১. ব্রণের সমস্যা দূর করে

আখের রসে থাকা অ্যান্টিমাইক্রোবিয়াল যৌগ ত্বকের ব্রণ সৃষ্টিকারী ব্যাক্টেরিয়াগুলোকে নিয়ন্ত্রণ করে। আখের মধ্যে থাকা আলফা-হাইড্রক্সি অ্যাসিড ত্বকের অতিরিক্ত সেবাম উৎপাদনের হার কমিয়ে দেয়। চিকিৎসকেরা বলেন, নিয়মিত আখের রস খেলে ব্রণের দাগ-ছোপও দূর করে।

২. ত্বকের আর্দ্রতা ধরে রাখে

আখের রসে থাকা গ্লাইকোলিক অ্যাসিড, ত্বকের আর্দ্রতা ধরে রাখতে সাহায্য করে। খাওয়ার পাশাপাশি আখের রস মুখে মাখলেও উপকার পাওয়া যায়। জেল্লাহীন ত্বককে চকচকে করে তুলতে আখের রসে তুলা ভিজিয়ে মেখে রাখতে পারেন মিনিট দশেক।

৩. তারুণ্য বজায় রাখে

প্রোটিন, আয়রন, জ়ঙ্ক, পটাশিয়াম এবং অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ খনিজে সমৃদ্ধ আখের রস ত্বককে অকালে বুড়িয়ে যেতে দেয় না। এছাড়াও আখের রসে থাকা ভিটামিন এ এবং সি ত্বকে বলিরেখা বা কোনও রকম দাগ ছোপও পড়তে দেয় না।

৪. মৃত কোষ দূর করে

আখের রসে প্রাকৃতিক ভাবে থাকা আলফা হাইড্রক্সি অ্যাসিড্‌স (এএইচএএস) ত্বকের উপর থেকে ধুলো-ময়লার পরত সরিয়ে ফেলতেও সাহায্য করে। আখের রস দিয়ে নিয়মিত এক্সফোলিয়েট করলে ত্বক ভিতর থেকে উজ্জ্বল হয়ে ওঠে।

৫. ক্ষত সারাতে

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, অ্যান্টিঅক্সিড্যান্টের পাশাপাশি আখের রসে রয়েছে প্রদাহনাশক উপাদান। যা ত্বকের ক্ষতিগ্রস্ত টিস্যুগুলোকে মেরামত করে। ফলে সহজেই ক্ষত সারিয়ে তোলা যায়।

;

এলাচের যত গুণ



লাইফস্টাইল ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

এলাচের একটি শক্ত ও তীব্র সুগন্ধযুক্ত অনন্য স্বাদ রয়েছে। এই মসলা বিরিয়ানি হোক কিংবা কষা মাংস— না পড়লে রান্নার মোটেই স্বাদ আসে না। পায়েসেও এলাচ পড়লে তার স্বাদ বেড়ে যায় কয়েক গুণ। মশলা চা হোক বা সাধারণ দুধ-চা— দু’টি এলাচ দিয়ে দিলেই স্বাদ অনেক বেড়ে যায়। শুধু তাই নয়, খাওয়ার পর আবার অনেকেই মুখশুদ্ধি হিসেবে এলাচ খান। অনেকের আবার খাওয়ার সময়ে এলাচ মুখে পড়লে মেজাজটাই বিগড়ে যায়!

জানেন কি, রান্না ছাড়াও নিয়মিত একটি করে এলাচ খেলে শরীরের নানা রকম সমস্যার সমাধান মিলতে পারে?

>> নিয়মিত পেটের সমস্যায় ভোগেন? এলাচ বিপাকতন্ত্রকে সক্রিয় রাখে এবং হজমে সাহায্য করে। গরমে বুকজ্বালা, বমি বমি ভাব থেকে মুক্তি পেতে এলাচ মুখে দিন।

>> শরীর থেকে টক্সিন পদার্থ দূর করতেও এলাচ সাহায্য করে। সকলেই চান বয়স ধরে রাখতে। ত্বকে বয়সের ছাপ ঠেকিয়ে রাখতে অনেকেই অনেক কিছু করেন। নিয়মিত সকালে খালি পেটে এলাচ ভেজানো পানি খেলেও ত্বক টান টান হয়, বলিরেখা কমে।

>> শ্বাসকষ্টের সমস্যায় নাজেহাল হতে হয়? রোজ নিয়ম করে মধু, লেবুর রস ও গরম পানির সঙ্গে একটা এলাচ মিশিয়ে দিয়ে পান করলে শ্বাসকষ্ট দূর হবে। ফুসফুস সংক্রমণ এড়াতে চাইলে এলাচ খুবই উপকারী।

>> হৃদরোগ নিরাময়ে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রয়েছে এলাচের। এটি হৃৎস্পন্দন স্বাভাবিক রাখে, ফলে রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে থাকে। এছাড়া, এলাচ রক্তসঞ্চালনেও সহায়ক। প্রতিদিন এলাচ খেলে রক্তের ঘনত্ব সঠিক থাকে।

>> মুখে খুব বেশি দুর্গন্ধ হয়? একটি এলাচ নিয়ে চিবোতে থাকুন। এলাচ মুখের দুর্গন্ধ সৃষ্টিকারী ব্যাকটেরিয়াগুলিকে ধ্বংস করে। এছাড়াও মাড়ির সংক্রমণ, মুখের ফোড়া-সহ দাঁত ও মাড়ির সমস্যা দূর করতেও এলাচ কার্যকর।

>> অনেক সময়ে ভারী কোনও জিনিস তুলতে গেলেই পেশিতে টান ধরে। এক্ষেত্রে ছোট বা বড় এলাচ গরম পানিতে ফুটিয়ে খেলে তত্‍ক্ষণাত্‍ উপশম হয়।

>> এলাচ অ্যান্টি-অক্সিড্যান্টে ভরপুর। সর্দি-কাশির সমস্যাতেও এলাচ খেলেই সুফল পাবেন। যাদের ঠান্ডা লাগার ধাত রয়েছে তারা রোজ এলাচ-পানি খেলে উপকার পাবেন।

;

চুলের যত্নে জবা ফুল!



লাইফস্টাইল ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

চুলের যত্নে কতকিছুই ব্যবহার করা হয়। তবে জবা ফুলের ব্যবহার সেই আদিকাল থেকে। বিশেষজ্ঞদের মতে, জবা ফুলে থাকা অ্যামিনো অ্যাসিড চুলে কেরাটিন প্রোটিনের উৎপাদন বাড়িয়ে তোলে। যা প্রাকৃতিকভাবে চুলের জেল্লা বজায় রাখে।

এছাড়াও জবা ফুল মাথায় ত্বকের রক্ত সঞ্চালন উন্নত করে। ফলে চুলের ফলিকলগুলোও পুষ্টি পায়। যা নতুন চুল গজাতেও সাহায্য করে।

জবা ফুল চুলের আর কোন উপকারে লাগে জেনে নিন-

১. চুলের ঘনত্ব বৃদ্ধি করতে

নারকেল তেলের সঙ্গে জবা ফুলের পাপড়ি বেটে মিশিয়ে নিন। গোসলের আধা ঘণ্টা আগে মাথায় মেখে রাখুন। চুলের ঘনত্ব বাড়িয়ে তুলতে এই মিশ্রণ ম্যাজিকের মতো কাজ করে।

২. রুক্ষ চুলের যত্নে

কাঠবাদামের তেলের মধ্যে রোদে শুকোনো বেশ কিছু জবা ফুলের পাপড়ি কাচের শিশিতে ভরে রেখে দিন। ১০ থেকে ১৫ দিন ২-৩ ঘণ্টা করে সূর্যের আলোতে রাখুন। তার পর গোসলের আধা ঘণ্টা আগে মাথায় মেখে শ্যাম্পু করে ধুয়ে নিন। রুক্ষ চুলও হবে রেশমের মতো মোলায়েম।

৩. খুশকি দূর করতে

জবা ফুলের পাপড়ির সঙ্গে তিলের তেল মিশিয়ে নিন। গোসলের আধা ঘণ্টা আগে মাথায় মেখে রাখুন। পরে শ্যাম্পু করে নিন। খুশকির সমস্যা থেকে মুক্তি পাবেন অচিরেই।

৪. চুল ঝরা রুখতে

অ্যালোভেরা জেলের সঙ্গে জবা ফুলের পাপড়ি বেটে মিশিয়ে নিন। গোসলের আধা ঘণ্টা আগে এই মিশ্রণ মাথায় মেখে রাখুন। চুল পড়া রুখতে এই মিশ্রণ দারুণ কার্যকরী।

৫. অকালপক্কতা রোধ করতে

পানির রং লালচে হয়ে আসলে তা ঠান্ডা করে একটি স্প্রে বোতলে ভরে রেখে দিন। অকালে চুল পেকে যাওয়ার সমস্যা থেকে মুক্তি পেতে সপ্তাহে দু-তিন বার ব্যবহার করুন।

;

কফি খেলে কি ত্বকের ক্ষতি হয়?



লাইফস্টাইল ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

একটানা কাজ করতে করতে একঘেয়েমি কাটাতে কফির বিকল্প নেই। কিন্তু বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এই অতিরিক্ত কফি বা ক্যাফেইন জাতীয় পানীয় খেলে ডিহাইড্রেশন দেখা দিতে পারে। যার ফলে ত্বকে নানা ধরনের সমস্যা দেখা দেয়।

এছাড়াও কফি অনেক সময়েই উদ্দীপক হিসাবে কাজ করে। ‘কর্টিজল’-এর মতো হরমোনের ক্ষরণ বেড়ে গেলে ত্বক অতিরিক্ত তৈলাক্ত হয়ে যায়। ফলে মুখে ব্রণের সমস্যা বেড়ে যায়।

কফি খেলে ত্বকের আর কী কী ক্ষতি হতে পারে?

১. কফিতে থাকা অ্যাসিডের প্রভাবে হরমোনের ভারসাম্য নষ্ট হয়। যা ত্বকের সেবাম উৎপাদনেও হেরফের ঘটায়।

২. দুধ এবং চিনি দেওয়া ফিল্টার কফি খেতে অনেকেই পছন্দ করেন। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এই অভ্যাসের ফলে কিন্তু ত্বক ব্রণতে ভরে যেতে পারে।

৩. তৈলাক্ত ত্বকেও নাক এবং মুখের নির্দিষ্ট কিছু অংশ শুষ্ক হয়ে যেতে পারে।

৪. ক্যাফেইন জাতীয় পানীয় খেলে ত্বকে প্রদাহও দেখা দিতে পারে।

৫. অতিরিক্ত কফি খেলে ঘুমের যে স্বাভাবিক চক্র, তাতেও প্রভাব পড়ে। ঘুম কম হলে ত্বকও জেল্লাহীন হয়ে পড়বে।

ত্বকের ক্ষতি এড়াতে দিনে কতটা কফি খাওয়া যেতে পারে?

পুষ্টিবিদদের মতে, কফি বা ক্যাফেইন  জাতীয় পানীয় থেকে কোনও রকম ক্ষতি এড়াতে ৪০০ মিলিগ্রামের বেশি কফি গুঁড়ো ব্যবহার করা উচিত নয়। পানীয় হিসাবে বলতে গেলে সারা দিনে ২ থেকে ৩ কাপ পর্যন্ত কফি খাওয়া যেতে পারে। পাশাপাশি শরীরে পানির ঘাটতি পূরণ করতে পর্যাপ্ত পরিমাণ পানি পান এবং ত্বকের ধরন অনুযায়ী নিয়মিত ত্বকচর্চা করারও পরামর্শ দিয়েছেন পুষ্টিবিদেরা।

;