পাকা পেপের উপকারিতা



লাইফস্টাইল ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

পাকা পেঁপের কত গুণ, জানেন না অনেকে। চিকিৎসক থেকে পুষ্টিবিদ— সকলেই এই ফলকে ‘মহৌষধ’ বলে মনে করেন। শিশুদের প্রতিরোধ ক্ষমতা গড়ে তুলতে, বয়স্কদের অর্শের সমস্যায় আবার কম বয়সীদের ওজন কমানোর ডায়েটে পাকা পেঁপের স্থান সকলের আগে। বিভিন্ন ভিটামিন এবং খনিজের প্রাকৃতিক উৎস পাকা পেঁপে চোখের জন্যও উপকারী। বিটা ক্যারোটিনে ভরপুর পাকা পেঁপে ত্বকের স্বাস্থ্য রক্ষায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।

এ ছাড়া শরীরের আর কী কী উপকারে লাগে পাকা পেঁপে?

অ্যান্টি অক্সিডেন্টে ভরপুর

ভিটামিন সি এবং অ্যান্টি অক্সিড্যান্টে ভরপুর পাকা পেঁপে ক্যানসারের মতো দুরারোগ্য ব্যধির প্রতিরোধক। এ ছাড়াও পেঁপেতে ছড়েছে ক্যারোটিনয়েড, ভিটামিন সি এবং ই, যা ত্বকের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।

হজমে সহায়ক

পেঁপে মুখের রুচি ফেরায়। সেই সঙ্গে খিদেও বাড়ায় এবং পেট পরিষ্কার রাখে। পেট পরিষ্কার থাকলে গ্যাস অম্বলের সমস্যাও নিয়ন্ত্রণে থাকে। শুধু তাই নয়, যাদের অর্শের সমস্যা রয়েছে, চিকিৎসকরা তাদের পেঁপে খাওয়ার পরামর্শ দেন।

প্রতিরোধ ক্ষমতা গড়ে তুলতে সক্ষম

পেঁপে কিন্তু শরীরে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়। ১০০ শতাংশ ভিটামিন সি পাওয়া যায় এই পাকা পেঁপে থেকেই। শরীরে কোনও সংক্রমণ হলে, তা কমাতে চিকিৎসকরা পাকা পেঁপে খাওয়ার পরামর্শ দেন।

ওজন কমাতে

পাকা পেঁপেতে যথেষ্ট পরিমাণ ফাইবার থাকায় তা অন্ত্রের স্বাস্থ্য রক্ষা করে। পাশাপাশি বিপাক হারও বাড়িয়ে তোলে। এ ছাড়াও যারা ওজন কমাতে ডায়েট মেনে খাবার খেয়ে থাকেন, তাদের জন্যও ভাল পাকা পেঁপে।

হার্টের স্বাস্থ্যরক্ষা করে

হার্টের স্বাস্থ্য ভাল রাখতে পটাশিয়াম খুবই গুরুত্বপূর্ণ। কারণ উচ্চ রক্তচাপ এবং হৃদরোগ সংক্রান্ত যাবতীয় সমস্যা নিয়ন্ত্রণ করে এই যৌগ। প্রাকৃতিকভাবে পটাশিয়ামের উৎস হল পাকা পেঁপে।

প্রস্রাবের রং বলে দেবে শারীরিক অবস্থা



লাইফস্টাইল ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

শরীর সুস্থ রাখতে চেষ্টার কমতি রাখেন না কেউই। তবুও শরীরের অন্দরে ঠিক কী ঘটে চলেছে, তা বাইরে থেকে সব সময় বোঝা সম্ভব হয় না। কোনও অসুখ নিঃশব্দে শরীরে হানা দিলেও সঠিক সময়ে তা জানা যায় না। যখন শরীরে রোগের লক্ষণ ফুটে ওঠে, ততক্ষণে অনেকটা দেরি হয়ে যায়। তবে চিকিৎসকরা জানাচ্ছেন, প্রস্রাবের রং দেখে অনেক সময় রোগ নির্ণয় করা যায়। স্বচ্ছ এবং সাদার বদলে যদি প্রস্রাবের রঙে খানিক বদল আসে, তা হলে তা কিন্তু কোনও রোগের ইঙ্গিত করতে পারে।

ফ্যাকাশে হলুদ

এই রঙের প্রস্রাব শরীরে ইউরোবিলিন পিগমেন্ট উৎপাদনের কারণে সাধারণত প্রস্রাবের রং ফ্যাকাশে হয়। সাধারণত পানি কম খেলে প্রস্রাবের রং হলুদ হয়। তবে শরীর যখন পানিশূন্য হয়ে পড়ে, তখন কিডনি প্রস্রাব থেকে জল শোষণ করে। ফলে প্রস্রাবের স্বাভাবিক রং ঘনীভূত হয়ে হলুদ রং ধারণ করে। তাই এমন হলে অতি অবশ্যই বেশি করে পানি খাওয়া জরুরি।

গাঢ় হলুদ

প্রস্রাবের রং যদি গাঢ় হলুদ হয়, সে ক্ষেত্রে জন্ডিসের একটা আশঙ্কা থেকে যায়। তেমন হলে অতি অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ নিন। এ ছাড়াও ভিটামিন বি কমপ্লেক্স কিংবা মূত্রনালির সংক্রমণ দূর করার কোনও অ্যান্টিবায়োটিক ওষুধ খেলেও প্রস্রাবের রং হালকা কমলা বা হলুদ হতে পারে।

লালচে প্রস্রাব

প্রস্রাবের রঙে লালচে ভাব আসার অন্যতম কারণ হল মূত্রনালির সংক্রমণ। এই সংক্রমণের ফলে অনেক সময় মূত্রাশয়ে রক্তক্ষরণ হয়। সেই কারণেই পরিবর্তন আসে প্রস্রাবের রঙে। এ ছাড়া কিডনিতে পাথর, ক্যানসারের মতো অসুখ হলেও এই লক্ষণ দেখা দিতে পারে।

কালচে বাদামি

প্রস্রাবের রং কালচে বাদামি হলে, এই লক্ষণ কোনও ভাবেই এড়িয়ে যাবেন না। কারণ কিডনি ক্যানসারের অন্যতম উপসর্গ হতে পারে এটি। এ ছাড়া কিডনিতে পাথর কিংবা মূত্রনালির সংক্রমণ হলেও, প্রস্রাবের রং বাদামি হতে পারে।

;

হেঁশেলের ৩ মশলাতেই মাথাব্যথার সমাধান



লাইফস্টাইল ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

কাজের চাপে বা কম ঘুমোলেই মাথা দপদপ। মাথার বা চোখের চারপাশ জুড়ে যন্ত্রণা। মাইগ্রেন বা সাইনাস থাকলে মাঝেমধ্যেই এমন সমস্যা হয় অনেকেরই। ঠান্ডা লেগে এমনটা হয়ে থাকলে তা নিয়ে চিন্তার বিশেষ কারণ না থাকলেও এই যন্ত্রণা যদি এক দিনের বেশি স্থায়ী হয়, সে ক্ষেত্রে চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া জরুরি।

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, আমাদের সকলের হাতের কাছেই এমন তিনটি মশলা রয়েছে, যা মাথা যন্ত্রণার উপশম করতে পারে সহজেই।

দারচিনি

প্রায় সকলের রান্নাঘরেই দারচিনি থাকে। দারচিনি গুঁড়ো দিয়ে চা খেলে, বা দারচিনির তেল মাথায় মালিশ করলে মাথাব্যথা কমে যায় অনেকটাই। অ্যান্টিঅক্সিড্যান্টে ভরপুর এই মশলাটির গন্ধে স্নায়ুর প্রদাহ কমে।

আদা

অ্যান্টিঅক্সিড্যান্ট এবং অ্যান্টি-ইনফ্লেমেটরি যৌগ ভরপুর আদায়। যদি চায়ে দিয়ে খাওয়া যায় তা হলেও আরাম মিলতে পারে। মাথা যন্ত্রণার ফলে রক্তবাহিকাগুলোতে যে প্রদাহ হয়, তা নিরাময় করতে পারে আদা। পাশাপাশি, যদি ঠান্ডা লেগে এমন সমস্যা হয়, সে ক্ষেত্রেও আদা সমান উপকারী। সর্দিতে যদি নাক বন্ধ হয়ে যায়, সে ক্ষেত্রে পানিতে আদা দিয়ে ফুটিয়ে নিয়ে সেই পানির ভাপ নেওয়া যেতে পারে।

লবঙ্গ

আদার বদলে লবঙ্গ দেওয়া চা খেলেও অনেক সময় মাথা যন্ত্রণা থেকে মুক্তি মেলে। এছাড়াও লবঙ্গ থেঁতো করে একটি পরিষ্কার কাপড়ে নিয়ে পুঁটলির মতো করে বেঁধে নিন। এ বার মাঝেমধ্যেই নাকের কাছে ধরে, গন্ধ শুঁকতে থাকুন। লবঙ্গ খাওয়ার পাশাপাশি, স্মেল থেরাপিতেও এর ব্যবহার রয়েছে।

;

গ‍্যাসের সমস‍্যা ভেবে ডিম্বাশয়ের ক‍্যান্সার এড়িয়ে যাচ্ছেন না তো?



লাইফস্টাইল ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

স্তন ক‍্যান্সার ছাড়াও নারীদের মধে ডিম্বাশয়ের ক‍্যান্সারের ঝুঁকি বাড়ছে ক্রমশ। ডিম্বশয়ে ক‍্যান্সার যতটা জটিল রোগ, ঠিক ততটাই ভয়াবহ এর চুপিসাড়ে ছড়িয়ে পড়া। অধিকাংশ নারীই যে লক্ষণগুলো সাধারণ পেটের সমস্যা বা হজমের গন্ডগোল ভেবে গুরুত্ব দিতে চান না, সে থেকেই হতে পারে বিপদ।

ক‍্যান্সার প্রাথমিক পর্যায়ে ধরা পড়লে রোগীর সেরে ওঠার সম্ভাবনা বেশি। চিকিৎসকদের মতে, ঋতুবন্ধের পর ডিম্বাশয়ের ক‍্যান্সারের ঝুঁকি আরও বাড়ে। তাই সেক্ষেত্রে আরও বাড়তি সতর্কতা নিতে হবে। পরিস্থিতি হাতের বাইরে চলে যাওয়ার আগেই সতর্ক হন।

পেটে ব‍্যথা

ঋতুস্রাবের সময়ে তলপেটে, কোমরে ব্যথা হওয়া স্বাভাবিক ব্যাপার। কিন্তু ঋতুস্রাব শেষ হয়ে যাওয়ার পরও যদি এই ব্যথা থেকে যায় বা বার বার ব্যথা হতে থাকে তা ওভারিয়ান ক‍্যান্সারের লক্ষণ হতে পারে।

বার বার প্রস্রাবের বেগ

পেলভিস অঞ্চলে ব্যথা, পানি খুব বেশি না খেয়েও ঘন ঘন প্রস্রাব পাওয়াও ডিম্বাশয়ের ক‍্যান্সারের লক্ষণ হতে পারে।

খুব বেশি খেতে না পারা

যদি দেখেন অল্প খেলেই পেট ভরে যাচ্ছে বা বেশি খেতে পারছেন না, এবং এই অবস্থা যদি তিন-চার সপ্তাহের বেশি সময় ধরে চলে তা হলে চিকিৎসকের পরামর্শ নিন। পেটের নানা সমস্যা কিংবা অবসাদের কারণেও এই সমস্যা হতে পারে। তবে ডিম্বাশয়ে ক‍্যান্সারের ঝুঁকিও কিন্তু উড়িয়ে দেওয়া যায় না।

শারীরিক দুর্বলতা

অল্প কাজ করেই হাঁপিয়ে যাওয়া, সারাক্ষণ ক্লান্ত লাগা, মাথা ঘোরা, পর্যাপ্ত বিশ্রাম নিয়েও দুর্বলতা কাটতে না চাওয়া— এগুলো কিন্তু ডিম্বাশয়ের ক‍্যান্সারের লক্ষণ হতে পারে। তাই এমন লক্ষণ দেখা দিলে তা এড়িয়ে না যাওয়াই ভাল।

গ‍্যাসের সমস‍্যা

কিছু খেলেই কি গ‍্যাস হয়ে যায়? তলপেটে ব‍্যথা, বমি বমি ভাব, পেটে অস্বস্তির মতো সমস‍্যা প্রায়ই হয় অনেকের। গ‍্যাসের সমস‍্যা ভেবে অনেকেই এই উপসর্গগুলো এড়িয়ে চলেন। চিকিৎসকরা জানাচ্ছেন, এগুলো ডিম্বাশয়ের ক‍্যান্সারের লক্ষণ হতে পারে।

;

ঘুম কম হলে কাজ করবে না টিকা, জানাল গবেষণা



লাইফস্টাইল ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

যে কোনও টিকা নেওয়ার আগের রাতে কম ঘুম হলে তার কার্যকারিতা কমে যায়। সম্প্রতি শিকাগো বিশ্ববিদ্যালয়ের মেডিসিন বিভাগের বিজ্ঞানীদের করা একটি গবেষণা তেমনটাই জানাল।

ওজন বেড়ে যাওয়া, মানসিক উদ্বেগ, মাইগ্রেন, চোখের সমস্যা— অপর্যাপ্ত ঘুম এমন কিছু শারীরিক সমস্যার জন্ম দেয়। এগুলো ছাড়াও ঘুমের অভাবে আরও অনেক সমস্যা দেখা দিতে পারে। তাই পুষ্টিবিদরা জানাচ্ছেন, এক জন প্রাপ্তবয়স্ক মানুষের ৭-৮ ঘণ্টা ঘুম অত্যন্ত জরুরি। তা না হলেই বিপদ। অন্তত ৬ ঘণ্টা ঘুম তো অবশ্যই জরুরি।

টিকার কার্যকারিতা বজায় রাখার সঙ্গে ভাল ঘুমেরও দৃঢ় সম্পর্ক রয়েছে বলেই জানাচ্ছেন গবেষকরা। কোভিড কিংবা ফ্লু, যে কারণেই টিকা নিন, তার সুফল পেতে হলে পর্যাপ্ত ঘুমনো প্রয়োজন। তবে এ ক্ষেত্রে নারীদের চেয়ে পুরুষরা বেশি প্রভাবিত হন বলেই জানাচ্ছে গবেষণা।

এর কারণ হিসেবে চিকিৎসকরা জানাচ্ছেন, পুরুষের তুলনায় নারীদের প্রতিরোধ ক্ষমতা দ্বিগুণ।

‘ফেইনবার্গ স্কুল অফ মেডিসিন’-এর স্নায়ু বিভাগের অধ্যাপক জানাচ্ছেন, রোগের হাত থেকে বাঁচতে প্রত্যেকের টিকা নেওয়া অবশ্যই জরুরি। তবে নারীদের রোগের সঙ্গে লড়াই করার ক্ষমতা অনেক বেশি। তবে কোনও নারীর হরমোনজনিত সমস্যা বা আগে থেকে বড় কোনও রোগ থাকলে বিষয়টি আলাদা।

মোট কথা, টিকা নেওয়ার এক-দু’দিন আগে যদি কোনও কারণে ঘুম কম হয় কিংবা রাতের শিফটে‌ অফিস করে থাকেন, তা হলে পরের দিনের টিকা নেওয়ার পরিকল্পনা বাতিল করাই ভাল। তাতে কোনও লাভ হবে না। কেউ যদি অনিদ্রার সমস্যায় ভোগেন, সেক্ষেত্রেও টিকা নেওয়ার আগে চিকিৎসকের সঙ্গে কথা বলে নেওয়াই শ্রেয়।

;