মন্দিরা চক্রবর্তীর জন্য কোরিওগ্রাফি করলেন মাহফুজ কাদরী



নিউজ ডেস্ক, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
মন্দিরা চক্রবর্তীর জন্য কোরিওগ্রাফি করলেন মাহফুজ কাদরী

মন্দিরা চক্রবর্তীর জন্য কোরিওগ্রাফি করলেন মাহফুজ কাদরী

  • Font increase
  • Font Decrease

অভিনেত্রী ও নৃত্যশিল্পী মন্দিরা চক্রবর্তী সম্প্রতি গিয়াসউদ্দিন সেলিম পরিচালিত কাজল রেখা চলচ্চিত্রের কাজ শেষ করলেন। তিনি শুধুমাত্র একজন শিল্পীই নন পাপাপাশি একজন নারী উদ্যোক্তা । যিনি তার নিজের জুয়েলারি প্রতিষ্ঠান মন্দিরা হ্যাভেনের গহনায় নিজেকে উপমহাদেশীয় বিখ্যাত রানী পদ্মিনীর বেশে হাজির হয়েছেন।

এই ব্রাইডাল ফটোসেশনে কোরিওগ্রাফি ও স্টাইলিং করেছেন কোরিওগ্রাফার মাহফুজ কাদরী। রূপসজ্জায় ছিলেন তরুণ মেকাপ আর্টিস্ট ইশমাম নিলয় এবং পোশাকের ডিজাইন করেন ডিজাইনার সাফিয়া সাথি। সেট ডিজাইন করেন ডিজাইনার আবদুল্লাহ মামুন।

রানী পদ্মাবতীর সাজে মন্দিরা জানান, এটাই ছিল তার জীবনের প্রথম কোনো ব্রাইডাল ফটোসেশন। এই টিমের সঙ্গে কাজ করে উনি বেশ আনন্দিত।

   

বরিশালের ঐতিহ্যবাহী নবান্ন



লাইফস্টাইল ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
বরিশালের ঐতিহ্যবাহী নবান্ন

বরিশালের ঐতিহ্যবাহী নবান্ন

  • Font increase
  • Font Decrease

ছোটবেলায় পাঠ্য বইয়ে সবাই নবান্ন উৎসব সম্পর্কে পড়ে। বাঙালিদের ঐতিহ্যের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ নবান্ন উৎসব। প্রতি বছর হেমন্তে নতুন চাল ঘরে ওঠার পর পুরো শীত জুড়ে চলে নানারকম পিঠা খাওয়ার ধুম। কম-বেশি পিঠা বা মিষ্টি জাতীয় খাবার ঘরে ঘরে তৈরি হলেও, অনেক বাঙালি সেই ঐতিহ্যবাহী ‘নবান্ন’ই হয়তো খাননি।

বৃহত্তর বরিশাল অঞ্চলে এখনো প্রচীন নিয়মে নবান্ন তৈরি করে খাওয়া হয়। ছোটবেলা থেকে শীত এলেই জলখাবারে থাকতো মায়ের হাতে তৈরি নবান্ন আর ঘরে ভাজা তাজা মুড়ি বা বিন্নি ধানের খই। এই নবান্ন কম উপকরণে খুব সহজেই তৈরি করে নেওয়া যায়। আমার পারিবারিক রেসিপি এখানে উল্লেখ করলাম:

উপকরণ- আতপ চাল: ২ কাপ, নারকেল কোড়ানো: ২ কাপ, পানি: ৩ গ্লাস, চিনি/খেজুরের গুড় কুচি: ১ কাপ, আদা বাটা:১/৪ চা চামচ।

পদ্ধতি- ১.ডোবা পানিতে আতপ চাল ভিজিয়ে রাখুন ২-৩ ঘণ্টা। সময় স্বল্পতা থাকলে সর্বনিম্ন ৩০ মিনিটে মতো ভিজিয়ে রাখতে হবে। চাল নরম হয়ে এলে পরবর্তী ধাপে যেতে হবে।

২. চালের পানি ছাকনিতে ভালো করে ছেঁকে নিন। এবার চওড়া প্লেট বা ট্রেতে ভালো করে চালগুলো ছড়িয়ে দিন। পানি ঝরে গেলে চাল মিহি করে বেটে নিন বা ব্লেন্ড করে নিন।

৩.কুড়িয়ে রাখা নারকেল বেটে বা ব্লেন্ড করে তুলে রাখুন। (বেটে নিলে বেশি ভালো হয়।)

৪. একটি বড় পাত্রে চালগুড়ো, নারকেল বাটা, বেটে রাখা আদা, চিনি বা কুচি করে রাখা গুড় একত্রে নিন। পরিষ্কার হাতে ভালো করে সব উপকরণ মিশিয়ে নিন। (গুড়ের ব্যবহারে নবান্নের রঙ কিছুটা ক্রিম ধরণের করে ফেলতে পারে। ধবধবে সাদা রঙ প্রত্যাশা করলে চিনির ব্যবহার উত্তম)

৫.অল্প অল্প করে চালের পেস্টে পানি ঢেলে নিন। একই সাথে মেশাতে থাকুন। পছন্দ মতো ঘনত্ব পেতে পানি কমিয়ে বা বাড়িয়ে নিতে পারেন।

তৈরি হয়ে গেল অথেন্টিক নবান্ন। অনেকে নানারকম ফল ও বাদাম দিয়ে নবান্ন সাজাতে পছন্দ করে। তবে কোনো টপিংস ছাড়াও বেশ মজার খেতে এই নবান্ন।          

;

শীতে কেন ঘি খাবেন!



লাইফস্টাইল ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: বার্তা ২৪

ছবি: বার্তা ২৪

  • Font increase
  • Font Decrease

বাঙালির ঘি-এর প্রতি আকর্ষণ নতুন কিছু নয়। গরম ভাতে ঘি হলে আর কিছুই লাগে না। শীশুকালে অনেকেই মায়ের কাছে শুনে থাকে ঘি খেলে বুদ্ধি বাড়ে। আসলে কথা কিন্তু সত্য,  ঘি-তে রয়েছে অনেক ধরনের উপকারিতা। বিশেষ করে শীতকালে নানা ভাবে শরীরের যত্ন নেয় ঘি। ‘ইন্ডিয়ান জার্নাল অব মেডিক্যাল রিসার্চ’-এর প্রতিবেদন অনুসারে, শীতকালীন সর্দি-কাশি কমাতে, শারীরিক দুর্বলতা কাটাতে, ত্বকের বিভিন্ন সমস্যা দূর করতে ঘি বিশেষভাবে কার্যকর। 

চিকিৎসকদের মতে, শীতকাল ঘি খাওয়ার একেবারে উপযুক্ত সময়। শরীর উষ্ণ রাখতে ঘি বেশ কার্যকরী। ভিটামিন এ, ডি, ই ও কে সমৃদ্ধ ঘি দৃষ্টিশক্তি ভাল রাখে। শরীরের পাশাপাশি ঘি ত্বকের যত্নেও দারুণ কাজ করে। শীতে ঘি খেলে কী কী উপকার পাবেন সেগুলো একনজরে দেখে নিন।

১. শরীর গরম রাখে

ঘি অনেক উচ্চ তাপমাত্রায় বাষ্পীভূত হয়‌। তাই শীতকালে খাবারে ঘি দিলে তা শরীর গরম রাখতে সাহায্য করে।

২. পেট ভালো রাখে

বেশ কিছু সমীক্ষায় দেখা গিয়েছে, ঘি-এর মধ্যে রয়েছে গ্যাস্ট্রিক রস। এই গ্যাস্ট্রিক রসগুলো আমাদের অন্ত্রের মধ্যেও থাকে। এদের প্রধান কাজ খাবারের কণা ভেঙে তা হজম করতে সাহায্য করা। তাই খাবারের সঙ্গে ঘি থাকলে হজমেরও সুবিধা হয়।

৩. সর্দি কাশি কমায়

ঘি প্রদাহ কমাতে সাহায্য করে। এটি ব্যাকটেরিয়ার বিরুদ্ধে লড়াই করতে সাহায্য করে। ঘি-এর বিশেষ গুণের জন্য সর্দি কাশির ওষুধ হিসেবে এটি নিয়মিত ব্যবহার করতে পারেন। 

৪. ত্বক আর্দ্র করে

ত্বক আর্দ্র রাখতে ঘি বিশেষভাবে ভূমিকা পালন করে। ঘি-এর মধ্যে রয়েছে কিছু প্রয়োজনীয় ফ্যাট। এই ফ্যাটগুলো ত্বকের পর্দায় প্রবেশ‌ করে ভিতর থেকে ত্বককে আর্দ্র রাখে। এছাড়াও মাথার ত্বক শুষ্ক হয়ে গেলে তাও আর্দ্র রাখে ঘি।

কীভাবে খাবেন?

রান্নায় তেলের পরিবর্তে ঘি ব্যবহার করা যেতে পারে। বেশিরভাগ রান্নাই ঘি-এর ব্যবহারে সুস্বাদু হয়ে ওঠে। স্যুপ বা ডাল পরিবেশনের আগে তার মধ্যে এক চামচ ঘি মিশিয়ে খেতে পারেন। এছাড়াও অনেক রান্নায় মাখন ব্যবহার করা হয়। মাখনের পরিবর্তে ঘি ব্যবহার করতে পারেন। এতে রান্নার স্বাদও বেশ ভালো হবে।

 

তথ্যসূত্র-হিন্দুস্তান টাইমস 

;

শীতে শরীর গরম রাখবে যে ৫টি খাবার



লাইফস্টাইল ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
শরীর গরম রাখবে যে ৫টি খাবার

শরীর গরম রাখবে যে ৫টি খাবার

  • Font increase
  • Font Decrease

ধীরে ধীরে শীতের তীব্রতা বাড়তে শুরু করেছে। সেই সাথে বাড়ছে ঠান্ডাও। এই শীতে অনেকে সর্দি,কাশি, জ্বরে আক্রান্ত হন। শীতের আবহাওয়া ত্বকের জন্য বয়ে আনে নানা ধরণের সমস্যা। সুস্থ থাকার জন্য ঋতুর এ পরিবর্তনে মানিয়ে নেওয়ার ক্ষেত্রে আমাদের সবাইকে একটু সচেতন হতে হবে।

শীতে কয়েকটি খাবার শরীর গরম রাখতে সাহায্য করে। এই জমে যাওয়ার আবহাওয়ায় একটু উষ্ণতার জন্য মানুষ কত কিছুই না করে। চলুন জেনে নেওয়া যাক শীতে শরীর গরম রাখার মতো ৫টি খাবার সম্পর্কে।

১. গুড়

গুড় চিনির চেয়ে বেশি স্বাস্থ্যকর। এতে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন, ফসফরাস, আয়োডিন, ম্যাগনেসিয়াম, এবং পটাসিয়াম রয়েছে। গুড় শরীরে যথেষ্ট পরিমাণ তাপ উৎপন্ন করতে সাহায্য করে।

২. তিল

শীতকালে নিজেকে গরম রাখতে চাইলে তীল ভালো কাজে দিবে। শীতে তিলের নাড়ু, খাজা, পিঠার মতো খাবার বেশ জনপ্রিয়। তিল শুধু শরীর গরম রাখতেই নয়, এটি কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করা, স্মৃতিশক্তি বাড়ানো, লিভার ভালো রাখার কাজও করে।

৩. ডিম

ডিমকে বলা হয় ‘শক্তির পাওয়ার হাউস’। ডিম কেবল আপনার শরীরকেই উষ্ণ রাখে না, এতে রয়েছে প্রচুর প্রোটিন ও ভিটামিন, যা আপনার শরীরকে শীতকালে বিভিন্ন সংক্রমণের বিরুদ্ধে লড়াই করতে সাহায্য করবে। তাই এই শীতে প্রতিদিনের খাদ্যতালিকায় রাখতে হবে একটি করে ডিম।

৪. মধু

সর্দি, কাশি, ফ্লু ইত্যাদির বিরুদ্ধে লড়তে অনন্য এক উপাদান মধু। মিষ্টিজাতীয় খাবার হলেও মধুতে নেই বাড়তি ক্যালরির ঝামেলা। এছাড়া শরীর গরম রাখতেও বেশ উপকারী। মধুতে থাকা উপাদান শরীরের তাপমাত্রা বাড়িয়ে দিয়ে ঠান্ডা লাগা কমায়। মধু খেলে এজন্য ঠাণ্ডা কম লাগে।

৫. বাদাম

বিভিন্ন জাতের বাদাম যেমন, চিনাবাদাম, আখরোট, কাঠবাদাম ইত্যাদি ভালো কোলেস্টেরল, ভিটামিন, ফাইবার ও ওমেগা-থ্রি ফ্যাটি অ্যাসিডের সবচেয়ে ভালো উৎস। গরমজাতীয় খাবার বলে শীতে স্ন্যাকস হিসেবে বাদাম খেতে পারেন। এগুলি শরীরে শক্তি ও ফূর্তির সঞ্চার করে।

;

শীতে রোজ খান কমলালেবু, জানুন নানা উপকারিতা



লাইফস্টাইল ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

শীতের সময়ে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কিছুটা দুর্বল হয়ে যায়। নানা রকম ভাইরাসের আক্রমণে এমনটা হতে পারে। তবে এ সময় প্রতিদিন কমলা খেলে বাড়বে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা। কারণ কমলায় থাকে ভিটামিন সি, ক্যালসিয়াম, পটাশিয়াম, ফাইবার, ফলিক অ্যাসিড, ভিটামিন এ এবং ভিটামিন বি। এসব পুষ্টি উপাদান রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে সাহায্য করে।

এছাড়াও শরীরে মেলে নানা উপকার। কমলা আমাদের দেশে সহজলভ্যই বলা চলে। এটি আপনার খাবারের তালিকায় রাখলে সুস্থ থাকা সহজ হবে। ছোট-বড় সবার জন্যই এটি বেশ উপকারী।
চলুন জেনে নেওয়া যাক কমলার কিছু অবাক করা গুণ-

রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায় 

কমলায় থাকে ভিটামিন সি, ক্যালসিয়াম, পটাশিয়াম, ফাইবার, ফলিক অ্যাসিড, ভিটামিন এ এবং ভিটামিন বি। এসব পুষ্টি উপাদান রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে সাহায্য করে।

কোলেস্টেরল হ্রাস করতে সহায়তা করে

কমলাতে দ্রবণীয় ফাইবার থাকে। যাকে বলা হয় পেকটিন। এটি রক্ত স্রোতে শোষিত হওয়ার আগে শরীর থেকে কোলেস্টেরল দূর করে। এটি খারাপ কোলেস্টেরল হ্রাস করে এবং ভাল কোলেস্টেরল বৃদ্ধিতে সহায়তা করে। 

চোখ ভালো রাখে 

কমলা ক্যারোটিনয়েডের সমৃদ্ধ একটি উৎস। এর মধ্যে থাকা ভিটামিন এ চোখের শ্লেষ্মা ঝিল্লি স্বাস্থ্যকর রাখতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।

ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে রাখে

ডায়াবেটিসে আক্রান্ত ব্যক্তিদের কমলা খাওয়া দারুন উপকারী। এতে থাকা পুষ্টি এবং অ্যান্টিঅক্সিডেন্টগুলো রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণ করতে সহায়তা করে। এটি ইনসুলিন উৎপাদনে দারুন সহায়তা করে।

ওজন হ্রাস করে 

কমলায় কম পরিমাণে ফাইবার থাকে। যা মেদ কমাতে সহায়তা করে। যা শরীরের মেদ বাড়তে দেয় না। যা শরীরের ওজন বাড়ায় না। শরীর ভারসাম্যতা বজায় থাকে।

ত্বক সুন্দর করে 

কমলা লেবু তে প্রচুর পরিমাণে অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট রয়েছে। যা বার্ধক্যজনিত লক্ষণ কমায়। ত্বককে ফ্রি র‌্যাডিক্যাল ক্ষতি থেকে রক্ষা করতে সহায়তা করে। এটি ত্বক সুন্দর করে।

ক্যান্সার প্রতিরোধ করে

কমলালেবু তে ডি-লিমোনিন থাকে, এটি এক ধরণের যৌগ। যা ফুসফুসের ক্যান্সার, ত্বকের ক্যান্সার এমনকি স্তনের ক্যান্সারের মতো ক্যান্সার  প্রতিরোধে সহায়তা করে। কমলালেবু তে উপস্থিত ভিটামিন C এবং অ্যান্টিঅক্সিড্যান্ট উভয়ই শরীরের প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ানোর জন্য গুরুত্বপূর্ণ।  এগুলো ক্যানসারের সঙ্গে লড়াই করতে সহায়তা করে।

কিডনিতে পাথর হওয়া থেকে রক্ষা করে

কমলা লেবু কিডনির জন্য উপকারী। কারণ এতে রয়েছে ভিটামিন সি যা কিডনিতে পাথর প্রতিরোধ করে।

তথ্যসূত্র- টিভি৯ বাংলা 

;