ওয়াশিং মেশিন: বিলাসবহুল পণ্য এখন প্রয়োজনীয় হোম অ্যাপ্লায়েন্স



নিউজ ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ওয়াশিং মেশিন: বিলাসবহুল পণ্য এখন প্রয়োজনীয় হোম অ্যাপ্লায়েন্স

ওয়াশিং মেশিন: বিলাসবহুল পণ্য এখন প্রয়োজনীয় হোম অ্যাপ্লায়েন্স

  • Font increase
  • Font Decrease

ওয়াশিং মেশিন কেনার বিষয়ে অনেকের মনেই প্রশ্ন আসে ‘এ পণ্যটি আমি কেনো কিনবো?’। ওয়াশিং মেশিন নিয়ে মানুষের মাঝে বেশ কিছু প্রচলিত ধারণা থেকেই এ প্রশ্নটি সাধারণত সামনে আসে। এ প্রশ্নের সহজ উত্তর হলো, ওয়াশিং মেশিন দিয়ে মানুষ খুব সহজে ও স্বল্প পরিশ্রমে কাপড় পরিষ্কার করা ও পানি শুকানো যায়। বৈশ্বিক মহামারি শুরুর পর থেকে প্রতিটি বাসা-বাড়িতে সবচেয়ে বেশি ব্যবহৃত প্রযুক্তি পণ্যগুলোর মধ্যে ওয়াশিং মেশিন বেশ গুরুত্বপূর্ণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। বর্তমান সময়ে ওয়াশিং মেশিন ব্যবহার করে অনেকেই খুব সহজেই কাপড় পরিষ্কার করতে পারেন। তবে, ওয়াশিং মেশিন কেনা নিয়ে অনেকের মাঝে এখনো প্রচলিত ধারণা বিরাজমান রয়েছে। চলুন দেখে নেয়া যাক,  একবিংশ শতাব্দীতে ওয়াশিং মেশিন কেনো প্রয়োজনীয়:         

ধরন অনুযায়ী কাপড় পরিষ্কারের সুবিধা

তথ্য-প্রযুক্তি নির্ভর বিশ্বে ইন্ডাস্ট্রির শীর্ষস্থানীয় ফিচার সহযোগে ওয়াশিং মেশিনগুলোতে প্রতিনিয়ত পরিবর্তন নিয়ে আসছে ওয়াশিং মেশিন প্রস্তুতকারী প্রতিষ্ঠানগুলো। সব ধরনের কাপড় পরিষ্কারের জন্য ওয়াশিং মেশিনের মডেলগুলো বিভিন্ন সরঞ্জামে সজ্জিত। এক্ষেত্রে ব্যবহারকারীকে যা করতে হবে তা হলো রঙ এবং কাপড়ের ধরনের ওপর ভিত্তি করে কাপড়ের স্তূপ তৈরি করে সে অনুযায়ী ধুয়ে ফেলা। এছাড়াও, ওয়াশিং মেশিনগুলোর প্রযুক্তিতে বেশ অগ্রগতি হয়েছে এবং অনেক ফিচার ও সেটিং সুবিধাও বর্তমান ওয়াশিং মেশিনের সাথে যুক্ত হয়েছে। ম্যানুয়াল দেখে ব্যবহারকারীরা ধরন অনুযায়ী কাপড় পরিষ্কারের বিষয়টি খুব সহজেই শিখে নিতে পারবেন এবং সে অনুযায়ী ‘অপশন’ নির্বাচন করতে পারবেন। 

কাপড়কে রাখে সুরক্ষিত

অনেক ব্যবহারকারী তাদের কাপড়ের ক্ষতির জন্য ওয়াশিং মেশিনকে দায়ী করে থাকেন। কিন্তু, দশবারের মধ্যে নয়বারই এটি ওয়াশিং মেশিনের জন্য মিথ্যা বলে প্রমাণিত হয়েছে। বহু বছরের পুরনো মডেলের ওয়াশিং মেশিনগুলোও কাপড়ের কোন ধরনের ক্ষতিসাধন না করে কার্যকরভাবে কাপড়কে পরিষ্কার করতে সক্ষম। বিশেষ করে, সহজে নষ্ট হয়ে যায় এমন ধরনের কাপড় পরিষ্কারের জন্য বর্তমান সময়ের ওয়াশিং মেশিনগুলোতে উদ্ভাবনী ও প্রযুক্তিগত ডিজাইন নিয়ে এসেছে। এ সেটিংগুলো ব্যবহার করে ব্যবহারকারীরা খুব সহজেই কাপড়কে যত্ন সহকারে পরিষ্কারের মাধ্যমে কাপড়কে সুরক্ষিত রাখে।

পানি ও বিদ্যুৎ সাশ্রয়ী

প্রতিটি হোম অ্যাপ্লায়েন্স সামগ্রী চালু অবস্থায় অনেক বিদ্যুৎ খরচ করে। যে কোন হোম অ্যাপ্লায়েন্স সামগ্রীর দক্ষতা নির্ভর করে এর ব্যবহারবিধির ওপর। বর্তমান সময়ের ওয়াশিং মেশিনগুলোতে পরিবেশ-বান্ধব প্রযুক্তি সমৃদ্ধ ফিচার ব্যবহার করা হয়; যা পানি ও বিদ্যুত সাশ্রয়ে সহায়ক ভূমিকা রাখে। এ প্রযুক্তি ব্যবহারকারীদের উল্লেখযোগ্যহারে ইউটিলিটি বিল সাশ্রয় সহ পরিবেশ রক্ষায় সাহায্য করে।     

কাপড় ধোয়ার সেরা বিকল্প ওয়াশিং মেশিন

ওয়াশিং মেশিন ছাড়া কাপড় ধোয়ার বিষয়টি অনেক সময় এবং শ্রমসাধ্য। তবে, বর্তমান যুগে ব্যস্ততার কারণে অধিকাংশ মানুষের কাপড় ধোয়ার জন্য সময় বের করার বিষয়টি বেশ দুরূহ। তাই, ব্যস্ত সময়ে কাপড় ধোয়ার জন্য সেরা বিকল্প হিসেবে ওয়াশিং মেশিন জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে। এছাড়াও, অনেক ওয়াশিং মেশিনে প্রিওয়াশিং ফিচার রয়েছে, যা সঠিকভাবে কাপড় পরিষ্কারের আগে কাপড়কে ভিজিয়ে রাখতে সহায্য করবে।   

ডিটারজেন্টের অধিক ব্যবহার

ওয়াশিং মেশিন নিয়ে একটি ধারণা প্রচলিত আছে যে, বেশি ডিটারজেন্ট ব্যবহারে কাপড় হবে বেশি পরিষ্কার। ওয়াশিং মেশিনে এমন প্রযুক্তি রয়েছে, যা অল্প পরিমাণে ডিটারজেন্ট ব্যবহার করে পানির সর্বোচ্চ ব্যবহারের মাধ্যমে কাপড়কে পরিষ্কার করবে। এ ঘূর্ণন প্রক্রিয়া বিপুল পরিমাণ ফোম নিঃসরণ করে; ফলে, সঠিকভাবে কাপড় পরিষ্কারের জন্য অনেক পরিমাণ ডিটারজেন্ট ব্যবহারের প্রয়োজন পড়ে না।   

বিগত কয়েক বছর ধরে দেশের ব্যবহারকারীদের চাহিদার কথা মাথায় রেখে বাংলাদেশের অনেক হোম অ্যাপ্লায়েন্স প্রস্তুতকারী প্রতিষ্ঠান বিভিন্ন ধরনের ওয়াশিং মেশিন বাজারে নিয়ে আসছে। ব্যবহারকারীদের সুবিধার কথা বিবেচনা করে, কাপড় পরিষ্কারের বিষয়টিকে আরো সহজ করতে স্যামসাং কনজ্যুমার ইলেকট্রনিকস বাংলাদেশ বিভিন্ন ধরনের ওয়াশিং মেশিন বাজারে নিয়ে এসেছে। ৭ কেজি, ৭.৫ কেজি, ৯ কেজি ও ১০ কেজি সক্ষমতার স্যামসাংয়ের টপ লোডিং ওয়াশিং মেশিনগুলোতে অল-ইন-ওয়ান সল্যুশন রয়েছে, যার বাজার মূল্য শুরু হয়েছে ২৩,৯০০ টাকা। হাত দিয়ে ও প্রি-ওয়াশিং কাপড় পরিষ্কারের জন্য এর নিউ অ্যাকটিভওয়াশ + ফিচারই চূড়ান্ত সল্যুশন। ভালোভাবে কাপড় পরিষ্কারের জন্য ‘এক্সট্রা ওয়েভ’ সহ ডেডিকেটেড সিঙ্ক ব্যবহার করা হয়েছে। এর বিল্ট-ইন ওয়াটার জেট সিঙ্কের ভেতরে ইজি-টু-রিচ বাটন ব্যবহারকে নিয়ন্ত্রণ করে।  

এর পাশাপাশি, এ ওয়াশিং মেশিনগুলো বেশ দীর্ঘস্থায়ী; এবং এটি ৪০ শতাংশ পর্যন্ত কম শক্তি খরচ করে এবং শব্দহীনভাবে চলে। কাপড়কে পুরোপুরি পরিষ্কার করতে ডিভাইসটিতে স্টেইনলেস স্টিল পালসেটর রয়েছে; যেখানে ছয়টি ব্লেড রয়েছে, যা বিস্তৃত ও শক্তিশালী পানির প্রবাহ নিশ্চিত করে। এটি কার্যকরভাবে ময়লা ও সাবান পানিকে দূর করে কাপড়কে ধুয়ে ফেলতে পারে। স্যামসাংয়ের নির্দিষ্ট মডেলের ওয়াশিং মেশিনগুলো ইনটেনস ওয়াশ ফাংশন দিয়ে কার্যকরভাবে কাপড়কে পরিষ্কার করে, ইকো টাব ক্লিন ফিচার টবকে পরিষ্কার রাখে এবং ম্যাজিক ফিল্টারের সাহায্যে ড্রেনেজ সিস্টেমকে ঠিক রাখে।

   

এসিও চলছে, পাল্লা দিয়ে সর্দি কাশিও বাড়ছে! জেনে নিন ঘরোয়া উপায়



লাইফস্টাইল ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

প্রচন্ড তাপপ্রবাহে অতিষ্ট হয়ে উঠছে জনজীবন। এই গরমে শীতল হাওয়ার ছোঁয়া পেতে অনেকেই শীতাতপ নিয়ন্ত্রণ যন্ত্র বা এসি ব্যবহার করেন। কিন্তু বাইরে প্রচন্ড গরমে ঘাম আবার অফিসে এসির ঠান্ডায় সর্দি কাশি পিছু ছাড়ে না। ওষুধ, কফ সিরাপ, অ্যান্টিবায়োটিকসহ সব রকম ভাবে চেষ্টা চালিয়েও কাশি থামছে না কিছুতেই। কাশি এক বার শুরু হলে, তা সহজে সারতে চায় না।

এদিকে কাশি হচ্ছে বলে এসি বন্ধ করে পুরো অফিসের লোকজনকে ঘামতেও বলা যায় না। আশপাশে যারা বসছেন, তাদেরও অস্বস্তি হচ্ছে। এ অবস্থায় কাশি কমানোর কিছু ঘরোয়া উপায় রয়েছে। সেগুলো মেনে চললে উপকার পেতে পারেন।

১) লবণ পানিতে গার্গল:

কাশির দাপট নিয়ন্ত্রণে রাখার সবচেয়ে ভাল উপায় হল গরম পানিতে সামান্য লবণ দিয়ে গার্গল করা। সকালে ঘুম থেকে উঠে এবং রাতে ঘুমোতে যাওয়ার আগে দুইবার গার্গল করতেই হবে। প্রয়োজনে আরও বেশি বার করা যেতে পারে।

২) মধু, তুলসীপাতা এবং গোলমরিচ:

প্রতি দিন এক চামচ করে এমনি মধু খেতে পারেন। আবার এক চামচ মধুর সঙ্গে তুলসীপাতার রস এবং এক চিমটি গোলমরিচের গুঁড়ো মিশিয়ে খেতে পারেন। গলায় কোনও রকম সংক্রমণ হলে তা সেরে যাবে এই উপায়ে।


৩) হলুদ এবং দুধ:

রান্নাঘরের অপরিহার্য উপকরণ হল হলুদ। এতে রয়েছে শক্তিশালী অ্যান্টিঅক্সিড্যান্ট। বিশেষ করে গরম দুধে হলুদ মিশিয়ে খেলে রোগ প্রতিরোধ শক্তি বাড়িয়ে তোলে। প্রতি দিন রাত্রে ঘুমাতে যাওয়ার আগে এক গ্লাস গরম দুধে হলুদ মিশিয়ে খেলে ঠান্ডা লাগা এবং সর্দি-কাশির সমস্যা থেকে দ্রুত রেহাই মিলতে পারে।

৪) গরম পানির ভাপ:

ঠান্ডা লাগলে চিকিৎসকেরা প্রথমেই ভাপ নেওয়ার পরামর্শ দিয়ে থাকেন। গলায় জমে থাকা মিউকাস তাপের সংস্পর্শে বাইরে বেরিয়ে আসে। তবে শুধু গরম পানিতে ভাপ না নিয়ে তার মধ্যে লবঙ্গ কিংবা ইউক্যালিপটাস অয়েল মিশিয়ে নিতে পারেন।

তথ্যসূত্র- আনন্দবাজার পত্রিকা

;

রেকর্ড ভাঙবে তাপমাত্রা, জেনে নিন গরম থেকে রক্ষার উপায়!



লাইফস্টাইল ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
রেকর্ড ভাঙবে তাপমাত্রা, জেনে নিন গরম থেকে রক্ষার উপায়!

রেকর্ড ভাঙবে তাপমাত্রা, জেনে নিন গরম থেকে রক্ষার উপায়!

  • Font increase
  • Font Decrease

চলতি বছরের শুরু থেকেই আবহাওয়া অধিদপ্তর জানাচ্ছে এবার তাপমাত্রা আগের সব রেকর্ড ভাঙবে। ইতোমধ্যেই তাঁর প্রভাব দেখতে পাওয়া যাচ্ছে। প্রচণ্ড গরমে দেশবাসীর বেহাল দশা। কোন না কোন কাজে সকলকেই বাড়ির বাইরে যেতেই হচ্ছে। তাই বাইরের গেলে নিজেকে রোদ থেকে রক্ষা করতে হবে।  জেনে নিই, যেভাবে এই গরমেও নিজেকে গরম থেকে রক্ষা করবেন-

পানি: নিজেকে সুস্থ রাখতে পানির কোন বিকল্প নেই। রোগ থেকে বাঁচতে হোক অথবা নিজেকে সুস্থ রাখতে, সবসময় পর্যাপ্ত পানি পান করতে হবে। প্রচণ্ড তাপে নিজেকে রক্ষা করতে চাইলে কোন ভাবেই পানি পান করা বাদ দেওয়া যাবে না। তেষ্টা না পেলেও পানি পান করতে হবে। দিনে অন্তত ৮ গ্লাস বা তারও বেশি পানি পান করুন।

এছাড়াও, প্রতিবার বাইরে যাওয়ার সময় অবশ্যই পানি সাথে রাখা প্রয়োজন। বিকল্প হিসেবে পানিসমৃদ্ধ ফল বা সবজি খেতে পারেন। যেমন- আপেল, তরমুজ, শসা, আপেল, পেয়ারা ইত্যাাদি।

পোশাক: বাইরে গেলে রোদের সরাসরি সংস্পর্শে আসার কারণে গরম অনেক বেশি লাগে। তাই বাইরে যাওয়ার সময় ঢিলাঢালা পোশাক পরা উচিত। এছাড়াও,কম ওজনের কাপড় ব্যবহার ক্রুন। যেমন, সুতি বা লিনেন। এছাড়াও, হাল্কা রঙের পোশাক বাছাই করা উচিত। কেননা, গাঢ় রঙ তাপ বেশি শোষণ করে বিধায় গরম বেশি লাগে।

রোদ আড়াল করা: যখন বাইরে যাবেন, নিজেকে যথাসম্ভব ছায়ায় রাখুন। সঙ্গে ছাতা রাখুন, যেন ত্বক রোদের সংস্পর্শে না আসে। 

গোসল: গরমে শরীর ঠান্ডা রাখতে ঠান্ডা পানি দিয়ে গোসল করতে হবে। এতে ফ্রেশ লাগে, তাছাড়া অনেক্ষ্ণ শরীর থাকে।

গাছ: বাড়িতে থাকলে তুলনামূলকভাবে গরম কম লাগে। তবে ঘরের পরিবেশ ঠান্ডা রাখতে চাইলে বাড়িতে বেশি করে গাছ লাগান। গাছ থাকলে পরিবেষ প্রাকৃতিকভাবে ঠান্ডা হয়।

তথ্যসূত্র: দ্য ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস

;

গরমে চুলের যত্ন নিন ঘরে বসেই



লাইফস্টাইল ডেস্ক, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

সারাদেশে চলছে তীব্র তাপদাহ। গরমে অতিষ্ঠ জনজীবন। এই গরমে মাথা ঘেমে চুল ভেজা থাকায় অনেকেই বিরক্ত থাকেন। ঘামে ভিজে চুলের অবস্থাও নাজেহাল হয়ে যায়। অনেক সময় চুলপড়া বেড়ে যায় গরমে। তাই চুলের বাড়তি যত্ন দরকার হয় এই মৌসুমে।

অনেকেই চুলের যত্ন নিতে নিয়মিত পার্লারে যান। এতে করে সময় এবং অর্থ দুই ব্যয় হয়। অনেকের সময় সুযোগ হয়ে ওঠে না নানা ব্যস্ততায়। তাই সময় এবং টাকা বাঁচিয়ে চুলের যত্ন নিন ঘরে বসেই। 

কীভাবে চুলের যত্ন নেবেন চলুন তা জেনে নিই:

ব্যস্ত সময়ে আমরা অনেকেই চুলে তেল নেই না। আর গরমে তেল না নিলে চুল আরও রুক্ষ হয়ে যায়। তাই নিয়ম করে সপ্তাহে অন্ততপক্ষে দু’দিন চুলে তেল দিতে হবে। চুলের গোড়া মজবুত করতে ‘হট অয়েল ট্রিটমেন্ট’ নিতে পারেন বাড়িতেই।

অনেকের অভ্যাস আছে তোয়ালে দিয়ে চুল পেঁচিয়ে মাথার ওপর তুলে রাখার। এই অভ্যেস থাকলে ত্যাগ করুন। কারণ এতে চুল পড়ে যাওয়ার সম্ভবনা থাকে। এর থেকে ভালো হয় পুরোনো ও নরম টি-শার্ট দিয়ে আলতো হাতে চেপে চেপে চুলের পানি শুকিয়ে নিন। চুল শুকিয়ে এলে মোটা দাঁড়ার চিরুনি দিয়ে চুল আঁচড়াবেন। সেক্ষেত্রে প্লাস্টিক না বরং ব্যবহার করুন কাঠের চিরুনি ।

কাজুবাদামের হেয়ার ওয়েল তেল, মধু আর দইয়ের প্যাক চুলের রুক্ষতা দূর করতে বিশেষ কার্যকর। লেবুর রস আর ডিমের কুসুম মিশিয়ে নিয়েও লাগাতে পারেন। এই প্যাক ফিরিয়ে আনতে পারে চুলের হারানো জেল্লা।

;

গরমে সুস্থ থাকতে যেসব খাবার খাবেন



লাইফস্টাইল ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

তীব্র তাপদাহে বিপর্যস্ত জনজীবন। এ সময় শরীর থেকে অতিরিক্ত পানি ঘাম হয়ে বের হয়। এতে শরীরে সোডিয়াম ও পটাশিয়ামের ভারসাম্য নষ্ট হয়ে যায়। ফলে শরীরে ক্লান্ত লাগে। তাই শরীর সুস্থ রাখতে আপনাকে খেতে হবে পানি ও পানিযুক্ত খাবার।

গরমে কী ধরনের খাবার শরীরের জন্য ভালো চলুন তা জেনে নিই–

পানি

পূর্ণবয়স্ক একজন নারীর দিনে অন্তত ২.৫-৩ লিটার, পূর্ণবয়স্ক একজন পুরুষের ৩-৩.৫ লিটার সুপেয় পানি পান করা উচিত। তবে কিডনি রোগীদের অবশ্যই ডাক্তারের সঙ্গে পরামর্শ করে পানির পরিমাণ নির্ধারণ করতে হবে।

গরমে লেবু বা ফলের শরবত খাওয়া খুবই উপকারী। ডাবের পানিও খুব দারুণ কার্যকর। এসব পানীয় খুব সহজেই শরীরের পানির চাহিদা পূরণ করবে। ডাবের পানি ও ফলের শরবত খেলে পানির পাশাপাশি প্রয়োজনীয় খনিজ লবণের চাহিদাও পূরণ হবে।

সবজি
কাঁচা পেঁপে, পটল, ধুন্দল, শসা, চিচিঙ্গা, গাজর, লাউ, পেঁপে, পালংশাক, টমেটো, শসায় পানির পরিমাণ বেশি থাকে। পানিশূন্যতা দূর করতে এই খাবারগুলো অবশ্যই খাবার তালিকায় রাখার চেষ্টা করুন। এ ছাড়া পাতলা করে রান্না করা টক ডাল, শজনে ডাল শরীর ঠান্ডা রাখতে সাহায্য করে।


মৌসুমি ফল

পানিশূন্যতা দূর করার জন্য কাঁচা আম খুবই ভালো। কাঁচা আমে আছে প্রচুর পরিমাণে পটাশিয়াম। এ ছাড়া ভিটামিন সি ও ম্যাগনেশিয়ামও আছে, যা শরীর ঠান্ডা রাখতে সহায়তা করে। তরমুজ শরীর ঠান্ডা করতে সাহায্য করে। এতে আছে ভিটামিন ও খনিজ লবণ, যা এই গরমে শরীরের জন্য দরকার।

বাঙ্গি খুবই পুষ্টিকর একটি ফল, যা খুবই সহজলভ্য এবং দামেও তুলনামূলক সস্তা। শরীর ঠান্ডা রাখতে বাঙ্গির তুলনা নেই।

আখের রস

আখের রস শরীরকে ঠান্ডা রাখতে খুবই কার্যকরী। আখের রসের সঙ্গে বিট লবণ, পুদিনাপাতা এবং লেবুর রস মিশিয়ে খেলে এর স্বাদও বাড়ে, পুষ্টিগুণও বাড়ে।

বেলের শরবত

বেলের শরবত পাকস্থলী ঠান্ডা রাখতে খুব কার্যকর। বেলে রয়েছে বিটা-ক্যারোটিন, প্রোটিন, রিবোফ্লাভিন, ভিটামিন সি, ভিটামিন বি১ এবং বি২, ক্যালসিয়াম, পটাসিয়াম ও ফাইবার।


পুদিনার শরবত

শরীরকে ভেতর থেকে ঠান্ডা রাখতে এবং সতেজ অনুভূতির জন্য পুদিনার শরবত অতুলনীয়।

জিরা পানি
নোনতা স্বাদযুক্ত এই পানীয় হজমে সাহায্য করে। তবে ডায়াবেটিস রোগীরা শরবতে আলাদা করে চিনি বা মধু অ্যাড করবেন না।

যা খাবেন না

অনেক কার্বনেটেড বেভারেজ আমরা গরমের সময় প্রচুর খেয়ে থাকি, যা ঠিক না। এই পানীয়গুলো শরীরকে সাময়িক চাঙা করলেও এর কোনো পুষ্টিগুণ নেই, বরং শরীরকে আরও ক্ষতিগ্রস্ত করে। ঝাল, বাইরের খোলা শরবত, বাইরের খাবার, ভাজাপোড়া এ সময় যতটা পারেন এড়িয়ে চলুন। পাতলা ঝোল ঝোল খাবার খাওয়া এ সময় সবচেয়ে ভালো।

 

;