ওয়ার্ক ফ্রম হোম, ঝিমুনি কাটিয়ে ওঠার উপায়



লাইফস্টাইল ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

দেশজুড়ে করোনা সংক্রমণের হার আবারও ঊর্ধ্বমুখী। ক্রমশই উদ্বেগজনক হয়ে উঠছে পরিস্থিতি। স্কুল কলেজের পাশাপাশি অফিসগুলোতেও এখন চালু করেছে ‘ওয়ার্ক ফ্রম হোম’ পদ্ধতি। সরকারের নির্দেশনা অনুযায়ী অর্ধেক জনবল নিয়ে চলবে অফিসের কার্যক্রম। ফলে অফিসের কাজকর্ম ঘড়ে থেকেই করতে হবে অনেককে।

কিন্তু এই শীতে ঘড়ে বসে কাজের মাঝেই একটা আচ্ছন্ন-ভাব চলে আসা মোটেও অস্বাভাবিক কিছু না হলেও বিরক্তিকর বটে। কাজের মাঝে ঘুম ঘুম ভাব এর কারণে কাজ শেষ করতে প্রয়োজনের বেশি সময় লেগে যায়। ফলে সহ্য করতে হতে পারে বসের রাগ।

কিভাবে মিলবে এই ঝিমুনি ভাব থেকে মুক্তি? অনুসরন করুন সিম্পল কিছু টিপস, তাতেই আচ্ছন্ন ভাব কাটিয়ে আপনি হয়ে উঠবেন চাঙ্গা ও চনমনে।

একটানা ল্যাপটপের সামনে বসে থাকবেন না
সকাল থেকে এক ভাবে ল্যাপটপের সামনে বসে কাজ করলে একটা ক্লান্তি ভাব চলে আসাটাই স্বাভাবিক। ফলাফল ঘুম ঘুম ভাব। হারাতে থাকে কাজ করার উদ্যেমও। তাই টানা কাজ না করে মাঝে মাঝে বিরতি নিন, পায়চারি করুন। বাসার মানুষের সঙ্গে অল্পস্বল্প গল্প করুন। আবার কাজে বসুন।

আলো বাতাস এমন জায়গায় কাজে বসুন
অফিসের কাজের পরিবেশ আর ঘড়ে বসে কাজের পরিবেশে রাতদিন তফাত থাকে। শীতকালে অন্ধকারে এমনিতেই বেশি ঘুম ঘুম ভাব আসে। তাই চেষ্টা করুন আলো আসে এমন জায়গায় বসে কাজ করার। এতে আপনি কাজে আনন্দ পাবেন উৎসাহও আসবে আচ্ছন্নতাও কেটে যাবে।

দুপুরের ক্লান্তিভাব দুর করতে গভীর শ্বাস নিন
শীতকালে দুপুরবেলা যেন আরও বেশি করে ঘুম পায়। অথচ অফিস চলছে ঘুমালে চলবে না। এই সময় চোখ বন্ধ করুন বড় করে শ্বাস নিন এতে মস্তিষ্কে প্রয়োজনীয় অক্সিজেন পৌঁছে ঘুম ঘুম ভাব কাটিয়ে মন ও শরীর তরতাজা হয়ে উঠবে।

চা-কফি
কাজ ফেলে বারবার ওঠার চেয়ে ফ্লাস্ক ভর্তি করে চা নিয়ে বসুন। বা একফাকে একমগ কফি বানিয়ে নিন। ঘুম পেলেই খেয়ে নিন। ভাল লাগবে।

চোখে পানির ঝাপটা
ছোটবেলা থেকে ঘুম কাটানোর একটা মোক্ষম উপায় চোখে মুখে পানির ঝাপটা দেওয়া। এটা আসলেও কার্যকর। এক নিমেষে দূর করে আচ্ছনতা। আর ঘুম তাড়ানো ছাড়াও এক ভাবে কম্পিউটারের পর্দার দিকে তাকিয়ে থাকলে চোখেও তার প্রভাব পড়ে পানির ঝাপটায় চোখে মিলবে আরামও।

   

তেঁতুলের উপকারিতা



লাইফস্টাইল ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

তেঁতুল কমবেশি সবাই পছন্দ করেন। ছেলে অথবা মেয়ে যেই হোক না কেনো তেঁতুলের নাম শুনলেই জিবে পানি আসবে এটাই স্বাভাবিক। এই তেঁতুলের রয়েছে বেশকিছু উপকারি। পুষ্টিবিদেরা বলছেন, তেঁতুল গোলা ফুচকার টক পানির মধ্যে পুষ্টিগুণ তেমন নেই বললেই চলে। কিন্তু শুধু তেঁতুলের ক্বাথ শরীরের নানা উপকারে লাগে।

ভিটামিন এবং খনিজের জোগান দেয়

তেঁতুলের মধ্যে রয়েছে ভিটামিন সি, ভিটামিন বি, থায়ামিন, রাইবোফ্ল্যাভিন এবং নায়াসিনের মতো প্রয়োজনীয় উপাদান। পাশাপাশি রয়েছে পটাশিয়াম, ম্যাগনেশিয়াম এবং আয়রনের মতো খনিজ। তাই নিয়মিত তেঁতুল খেতে পারলে শরীরে এই সব ভিটামিন এবং খনিজের ঘাটতি হয় না।

অ্যান্টি-অক্সিড্যান্ট

তেঁতুলে রয়েছে পলিফেলন এবং ফ্ল্যাভোনয়েডের মতো অ্যান্টি-অক্সিড্যান্ট। তা শরীরে উপস্থিত ক্ষতিকর ফ্রি র‌্যাডিক্যালের সঙ্গে মোকাবিলা করতে সাহায্য করে। ফলে বিভিন্ন প্রকার মরণব্যাধিতে আক্রান্ত হওয়ার হাত থেকে সহজে রক্ষা পাওয়া যায়।

হার্ট ভাল রাখে

তেঁতুল রক্তে খারাপ কোলেস্টেরলের মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখতে সাহায্য করে। কোলেস্টেরলের মাত্রা বেশি থাকলে হার্ট অ্যাটাকের আশঙ্কা বৃদ্ধি পায়। নিয়মিত তেঁতুল খেলে এই সমস্যা কিছুটা হলেও নিয়ন্ত্রণে থাকে।

হজমে সহায়তা করে

তেঁতুলে রয়েছে টারটারিক অ্যাসিড। তাই আপাতভাবে দেখতে গেলে এই অ্যাসিড শরীরে অম্লত্বের ভাব বাড়িয়ে তুলতে পারে। কিন্তু পুষ্টিবিদেরা বলছেন, পরিমিত পরিমাণে তেঁতুল খেলে তা হজম এবং কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা— দুই প্রতিরোধ করতে পারে। পাশাপাশি, অন্ত্রের স্বাস্থ্যও ভাল রাখতে সাহায্য করে তেঁতুল।

প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করতে

ঋতু পরিবর্তনের সময়ে ঠান্ডা লাগা এবং সর্দিকাশি থেকে রেহাই পেতে গরম পানিতে তেঁতুল আর গোলমরিচ মিশিয়ে খেলে দারুণ উপকার পাওয়া যায়। তেঁতুলে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন সি আর অ্যান্টি-ব্যাকটেরিয়াল উপাদান। যেগুলি শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কয়েক গুণ বাড়িয়ে দেয়।

;

মেথি ভেজানো পানি উপকারী, কিন্তু সবার জন্য নয়!



লাইফস্টাইল ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

মেথির গুণাগুণ সম্পর্কে সবাই কমবেশি জানেন। বিশেষ করে শরীর ঠান্ডা রাখতে মেথির জুড়ি মেলা ভার। রোজ সকালে মেথি ভেজানো পানি খাওয়ার অভ্যাস রয়েছে অনেকেরই। ওজন কমাতে, শরীরের বাড়তি মেদ ঝরাতে, গাঁটের ব্যথা কমাতে, হজমক্ষমতা বৃদ্ধি করতেও দারুণ সাহায্য করে মেথি। ডায়াবেটিস বা চুল পড়ার সমস্যা কমাতেও ভরসা রাখতে পারেন মেথি ভেজানো পানিতে।

মেথি ভেজানো পানি স্বাস্থ্যকর হলেও মেথি কিন্তু অনেকের জন্যেই উপকারী নয়। কারও কারও ক্ষেত্রে মেথি সমস্যার সৃষ্টি করতে পারে।

কারা মেথির পানি খাবেন না?

>> অন্তঃসত্ত্বা অবস্থায় মেথি বা মেথির পানি না খাওয়াই ভাল। এতে মা এবং বাচ্চার সমস্যা হতে পারে।

>> হাঁপানির সমস্যা থাকলেও মেথি খাওয়া ঠিক নয়। এতে শ্বাসকষ্ট, হাঁপানি বৃদ্ধি পেতে পারে।

>> পেটের গন্ডগোল থাকলেও মেথি ভেজানো পানি এড়িয়ে যাওয়াই ভাল। পেটের সমস্যা আরও বাড়িয়ে দিতে পারে মেথি।

>> মেথি খেলেই চুলকায়? মেথি বা মেথি ভেজানো পানি খেলে ত্বকে নানা ধরনের অ্যালার্জি দেখা দিতে পারে। যাদের এমন হয়, তারা মেথির পানি এড়িয়ে চলুন।

>> মেথি ভেজানো পানি রক্তে শর্করার মাত্রা কমাতে সাহায্য করে। ফলে যাদের রক্তে শর্করার মাত্রা এমনিতেই কম, তাদের বেশি মেথি না খাওয়াই ভাল।

;

রান্নায় অতিরিক্ত লবণ পড়ে গেলে যা করবেন



লাইফস্টাইল ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

রান্নায় লবণ একটি গুরুত্বপূর্ণ উপাদান। তবে লবণ যদি বেশি হয়ে যায় তবেই বিপদ। তবে ঘাবড়ানোর কিছু নেই। রান্নায় লবণ কমানোর কয়েকটি কৌশল জেনে নিলেই পরিস্থিতি সামাল দিতে পারবেন।

পেঁয়াজ

একটি পেঁয়াজ খোসা ছাড়িয়ে কেটে দু’টুকরো করে নিন। তার পর সেগুলি রান্নায় দিয়ে দিন। পেঁয়াজ রান্নার অতিরিক্ত লবণ টেনে নেবে। অবশ্য ভাজা পেঁয়াজও ব্যবহার করতে পারেন। তাতে রান্না সুস্বাদু হবে।

দই

বাড়িতে টক দই থাকলে রান্নায় লবণ বেশি পড়ে গেলেও চিন্তা নেই। একটি ছোট্ট পাত্রে দই ভাল করে ফেটিয়ে নিন। তার পর সেটা রান্নায় দিয়ে দিন। রান্নার নোনতা স্বাদ কেটে যাবে। ঝোলেও অন্য রকম স্বাদ আসবে।

চিনি ও ভিনিগার

রান্নায় বেশি লবণ পড়ে গেলে ঘাবড়ে যাবেন না। বরং চিনি এবং সামান্য ভিনিগার মিশিয়ে নিন। লেবুর রসও দিতে পারেন ভিনিগারের বদলে। এগুলি খাবারের নোনতা ভাব কাটাতে সাহায্য করবে।

আলুর খোসা

মাংসের পাতলা ঝোল রেঁধেছেন, কিন্তু লবণ বেশি পড়ে গিয়েছে। সে ক্ষেত্রে লবণ বেশি পড়ে গেলে একটি সহজ উপায় রয়েছে। কিছু আলুর খোসা রান্নায় ফেলে দিন। নিমেষে সব বাড়তি লবণ টেনে নেবে। স্বাদ স্বাভাবিক হয়ে গেলে খোসাগুলি তুলে ফেলে দিন

;

শরীরের ভিতর কোন জায়গায় রাগ জমে থাকে জানেন?



লাইফস্টাইল ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

আবেগ অনুভূতি প্রকাশ ভঙ্গি একেক জনের একেক রকম। কেউ প্রচণ্ড দুঃখ পেলে কেঁদে ফেলেন। আবার কেউ দুঃখে-শোকে পাথর হয়ে যান। পরিচিত, প্রিয় মানুষের থেকে আঘাত পেলে কারও বুকে চিনচিনে ব্যথা হয়। আবার কেউ রাগে চিৎকার করতে থাকেন।

তবে চিকিৎসকেরা বলছেন, ভালবাসা, রাগ, দুঃখ— প্রকার ভেদ অনুযায়ী শরীরের বিভিন্ন অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ প্রতিক্রিয়া করে। তাই মন ভাঙলে হাঁটুতে ব্যথা হয় না। ওই নির্দিষ্ট জায়গায় মন ভাঙার আবেগ-অনুভূতি কেন্দ্রীভূত থাকে।

রাগ থাকে কোমরে

কারও ওপর রেগে গেলে যতই চোখ-মুখ লাল হয়ে উঠুক, মাথার চুল খাড়া হয়ে যাক না কেন— তার উৎস মুখ কিন্তু কোমর। তাই এই সময়ে যদি কেউ কোমরে একটু মালিশ করে দেন সহজেই রাগ নিবারণ করা যেতে পারে।

ভয়ে পেট গুড়গুড়

সামনেই পরীক্ষা কিংবা চাকরির ইন্টারভিউ রয়েছে। যতই প্রস্তুতি থাক না কেন, মনের মধ্যে ভয়ের উদ্রেক হয় কম-বেশি সকলেরই। অনেকেরই বার বার মলত্যাগের বেগ আসে। কারণ, চিকিৎসকেরা বলছেন অন্ত্রের মধ্যেই লুকিয়ে রয়েছে ভয়ের বীজ। তাই পেট গুড়গুড় করে।

মন ভাঙলে বুকে কষ্ট

প্রেমের সম্পর্ক ভেঙে গেলে বুকে চিনচিনে ব্যথা অনুভব করে কি? বা ভীষণ পছন্দের কাউকে চোখের সামনে দেখছেন কিন্তু মনের কথা বলে উঠতে পারছেন না। তখনও কিন্তু বুকের কষ্ট বেড়ে যেতে পারে। সাইকোলজি টু’ডে-র একটি রিপোর্টে বলা হয়েছে, মন ভাঙার মতো আবেগ-অনুভূতির উৎস হল হৃদয়। তাই বুকে চিনচিনে ব্যথা হওয়া স্বাভাবিক।

অতিরিক্ত পরিশ্রমে ঘাড়-কাঁধে কষ্ট

ছোট থেকে শুনে এসেছেন, গুরু দায়িত্ব নিতে গেলে কাঁধ শক্ত করতে হবে। তখন বোঝেননি যে কোনও কালে এমন ভার এসে ঘাড়ে চাপবে যে, চিরস্থায়ী বন্দোবস্তের মতো ঘাড়, কাঁধের ব্যথা সারাজীবনের সঙ্গী হয়ে যাবে। চিকিৎসকেরা বলছেন, ঘাড়-কাঁধের পেশি শক্ত হয়ে গেলে বা নাড়াচাড়া করতে অসুবিধা হলে বুঝতে হবে অতিরিক্ত পরিশ্রম হচ্ছে।

সব কাজে নাক গলানো মানেই মাথাব্যথা

বাড়ির সবকাজে তো বটেই, পরিবারের সকল সদস্যের ব্যক্তিগত জীবনেও নিজের মূল্যবান মতামত দিতেই হয়। মনে মনে হয়তো ভাবতে ভালই লাগে যে, আপনার সিদ্ধান্ত ছাড়া বাড়িতে সামান্য ধুলোটুকু সরে না। কিন্তু তাতে যে দিনে দিনে মাথাব্যথা বাড়ে সে কথা হয়তো অনেকেই জানেন না। বেশি মাথার পরিশ্রমই মাথা যন্ত্রণার উৎস।

;