ছেলের উৎসাহে মাস্টারশেফ কিশোয়ার, অতঃপর বাজিমাত অস্ট্রেলিয়ায়



নাছরিন আক্তার উর্মি, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

রান্নাবিষয়ক জনপ্রিয় রিয়েলিটি শো মাস্টারশেফ অস্ট্রেলিয়ায় দ্বিতীয় রানার আপ হয়েছেন কিশোয়ার চৌধুরী। গত এপ্রিল থেকে শুরু হওয়া এ শোতে অংশ নিয়ে আলোচনায় আসেন তিনি। কিশোয়ার যখন চমক দেখিয়ে গ্রান্ড ফিনালে পৌঁছে যান, তখন বাধে বিপত্তি!

বাংলাদেশি গণমাধ্যম কিশোয়ারকে ‘বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত অস্ট্রেলিয়া প্রবাসী’ বলে পরিচয় করিয়ে দিলেও ভিন্নপথে হাঁটে ভারতীয় গণমাধ্যম। দেশটির গণমাধ্যমে কিশোয়ার চৌধুরীকে ভারতীয় বলে উল্লেখ করা হয়।

দু’দেশের মিডিয়া যাই দাবি করুক—কিশোয়ারের পরিচিতি বাঙালি রান্নায়। একের পর এক বাঙালি রান্না দিয়ে শো-এর বিচারকদের মন জিতে নিয়েছেন তিনি। গ্রান্ড ফিনালে দ্বিতীয় রানার আপ হলেও তিনি মন জয় করেছেন বাঙালিদের। ফেসবুক, টুইটার, ইনস্টাগ্রামে এখন কিশোয়ারকে নিয়ে বাঙালিদের উৎসাহ-উদ্দীপনা।

কিশোয়ারের বাবা ঢাকার বিক্রমপুরের বাসিন্দা ছিলেন। আর মা পশ্চিমবঙ্গের বর্ধমানের। প্রায় ৫০ বছর আগে তারা অস্ট্রেলিয়ায় পাড়ি জমান। তবে পারিবারিক আবহে বাঙালিয়ানা ভোলেননি তারা। মেয়ে কিশোয়ারকে গড়ে তুলেছেন বাঙালি মননে। ফলে মাস্টারশেফ অস্ট্রেলিয়ায় বাঙালি খাবারে বাজিমাত করলেন কিশোয়ার।

একের পর এক বাংলাদেশি খাবার মাস্টারশেফের মঞ্চে তুলেছেন কিশোয়ার। ছবি: সংগৃহীত

বাছাই পর্বে মাছ আর কাঁচা আমের রেসিপির পর একের পর এক বাংলাদেশি খাবার মাস্টারশেফের মঞ্চে তুলেছেন কিশোয়ার। এরপর রান্না করেছেন টমেটো এবং পুদিনা পাতা দিয়ে পাস্তা, টমেটো দিয়ে মাছের ঝোল, শিমের ভর্তা আর জিরা ভাত, গলদা চিংড়ি ভাজা, বিটরুট সবজি, শসা দিয়ে মাছ ভাজা, ফুচকা, চটপটি, সমুসা, দম-আলু আর তেঁতুল চাটনি, রেঁধেছেন খিচুড়ি, বেগুন ভর্তা আর নিরামিষ ভোজ, খাসির রেজালা আর ঘিয়ে ভাজা পরোটা, নেহারি এবং পান্তা-‘ইলিশ’ আর আলুভর্তার মতো বাঙালি খাবার। প্রতিবারই খাবারগুলো বাঙালির ঐতিহ্যবাহী খাবার সেটি উল্লেখ্য করেছেন কিশোয়ার।

বাঙালির ঐতিহ্যবাহী খাবার তুলে ধরেছেন কিশোয়ার। ছবি: সংগৃহীত

৩৮ বছর বয়সী কিশোয়ার ভিক্টোরিয়া রাজ্যের মেলবোর্নের বাসিন্দা। তার জন্ম ও বেড়ে ওঠা অস্ট্রেলিয়াতেই। পেশায় কিশোয়ার একজন ‘বিজনেস ডেভেলপার।’ কিশোয়ার দুই সন্তানের জননী। শিশুকন্যা সেরাফিনার বয়স চার বছর। আর ছেলে মিকাইলের বয়স ১২। কিশোয়ারের স্বামীর এহতেশাম নেওয়াজ।

গ্রান্ড ফিনাল যেমন ছিল

রিয়েলিটি শো মাস্টারশেফ অস্ট্রেলিয়ার জমকালো গ্রান্ড ফিনাল দুই দিন ধরে অনুষ্ঠিত হয়। এতে অংশ নেন তিন ফাইনালিস্ট জাস্টিন, পিট ও কিশোয়ার। প্রথমদিন ফাইনাল ডিশে কিশোয়ার রান্না করেন ‘স্মোকড ওয়াটার রাইস’, ‘আলু ভর্তা’ ও ‘সার্ডিন’। অর্থাৎ বাঙালির কাছে চিরচেনা পান্তা-ভাত, আলু ভর্তা আর সার্ডিন মাছ ভাজি।

বাঙালির কাছে চিরচেনা পান্তা-ভাত, আলু ভর্তা। ছবি: সংগৃহীত

ফাইনাল ডিশ রান্না নিয়ে কিশোয়ার বিচারকদের জানান—প্রতিযোগিতায় এমন রান্না সত্যিই চ্যালেঞ্জের। সাধারণ রেস্টুরেন্টে এমন রান্না হয় না। কিন্তু বাঙালির কাছে এটা পরিচিত রান্না। আর ফাইনাল ডিশ হিসেবে এটা রেঁধে নিজের তৃপ্তির কথাও জানান কিশোয়ার।

তার এ রান্না দেখে ও খেয়ে বিচারকেরা রীতিমতো অভিভূত হয়ে পড়েন। ওই রাউন্ডি তিন বিচারক তাকে ১০/১০ দেন। তবে চূড়ান্ত পর্বের শুরুটা কিন্তু বেশ চ্যালেঞ্জের ছিল কিশোয়ারের জন্য। তিনি হাঁসের একটি পদ রান্না করা শুরু করেছিলেন। বিচারকেরা যখন তার রান্না দেখতে এলেন। সবকিছু দেখে জিজ্ঞেস করেছিলেন— ‘এখানে কিশোয়ার কোথায়?’ অর্থাৎ কিশোয়ারের বিশেষত্ব পাচ্ছিলেন না তারা।

চূড়ান্ত পর্বের শুরুটা বেশ চ্যালেঞ্জের ছিল কিশোয়ারের। ছবি: সংগৃহীত

এরপরেই তিনি তার মেন্যু চেঞ্জ করার সিদ্ধান্ত নেন। আর ফাইনাল ডিশ হিসেবে পরিবেশন করেন বাঙালির চির পরিচিত আলু ভর্তা, পান্তা ভাত আর সার্ডিন মাছ। যেই মাছের স্বাদ অনেকটা ইলিশ মাছের কাছাকাছি। চূড়ান্ত পর্বে ফাইনাল ডিশ রেঁধে ৫১ নম্বর নিয়ে দ্বিতীয় স্থানে ছিলেন তিনি। প্রথম স্থানে ছিলেন পিট ৫৩ নম্বর নিয়ে।

ছেলের উৎসাহে মাস্টারশেফ অস্ট্রেলিয়ায় কিশোয়ার

২০২০ সালে যখন করোনাভাইরাসের সংক্রমণ বিশ্বব্যাপী ছড়িয়ে পড়ে, তখন কিশোয়ারের মনে হয় সন্তানদের বাঙালি সংস্কৃতি কীভাবে ধারণ করাবেন। তখন চিন্তা করেন নিজের সংস্কৃতি নিয়ে বই লিখবেন তিনি। পরবর্তীতে ছেলের ইচ্ছায় তিনি মাস্টারশেফ অস্ট্রেলিয়ার ১৩তম আসরে আবেদন করেন।

কিশোর জানিয়েছেন, তার ছেলের বয়স এখন ১২ বছর। এমন সময়ে বাচ্চাদের নিজ সংস্কৃতি, পূর্ব-পুরুষদের সম্পর্কে জানতে এবং তা ধারণ করাতে। তিনি ভাবতেন সন্তানদের জানাতে কী রেখে যাওয়া যায়?

পরিবারের সঙ্গে কিশোয়ার। ছবি: সংগৃহীত

তিনি গণমাধ্যমকে জানান, তার মাস্টারশেফ অস্ট্রেলিয়ায় আবেদন করার কোনো ইচ্ছেই ছিল না। কিন্তু তার সন্তান মিকাইল তাকে বলেন, ‘মা তুমি এটা (মাস্টারশেফ শোতে আবেদন) করো, তুমি অবশ্যই পারবে।’

‘তখন আমি ভেবেছিলাম আমার ছেলে মিকাইল বোধহয় জুনিয়র মাস্টারশেফে যেতে আগ্রহী। কারণ ও ভালো রান্না জানে। তাকে আবেদন করতে বললাম। তখন মাথায় আসলো- আমি আগে আবেদন করে তাদের জন্য একটা উদাহরণ তৈরি করতে পারি। সেই ভাবনা থেকেই আবেদন করি’ বলেন কিশোয়ার।

বাংলাদেশি না ভারতীয়—কী বলছেন কিশোয়ার?

কিশোয়ার বাংলাদেশি নাকি ভারতীয়—তা নিয়ে দুই দেশের মিডিয়া যখন দুই রকম তথ্য প্রকাশ করছেন। ঠিক তখন গণমাধ্যমে নিজের মনন নিয়ে ব্যাখ্যা দিলেন কিশোয়ার।

নিজেকে বাঙালি পরিচয় দিতেই ভালোবাসেন কিশোয়ার। ছবি: সংগৃহীত

তিনি বলেন, ‘আমার বাবা বিক্রমপুরের, খাঁটি বাঙালি। মা বর্ধমানের। ফলে আমি বাংলাদেশি, তবে ইন্ডিয়ানও। তবে সবচেয়ে ভালো লাগে যদি বলি—আমি বাঙালি। বাংলাদেশ এবং পশ্চিমবঙ্গ—দুটো মিলেই আমার আইডেনটিটি (পরিচয়)। এটা আমার কাছে খুবই গুরুত্বপূর্ণ।’

কিশোয়ার জানান, অস্ট্রেলিয়া, লন্ডনসহ বিভিন্ন দেশে প্রচুর বাংলাদেশি ফুডের রেস্টুরেন্ট আছে। কিন্তু সেখানে বাঙালি খাবার খুব একটা দেখা যায় না। বেশিরভাগই হয় ভারতীয়। আমার ইচ্ছা ছিল—বাঙালি ফুড আইডেনটিটি তুলে ধরা। আর সেটাই আমি পূরণের চেষ্টা করেছি মাস্টারশেফ অস্ট্রেলিয়ায়।’

গ্রান্ড ফিনালের দুই প্রতিযোগীর সাথে কিশোয়ার। ছবি: সংগৃহীত

মাস্টারশেফ অস্ট্রেলিয়া কতটা জনপ্রিয়?

বিশ্বের রান্নাবিষয়ক টেলিভিশন রিয়েলিটি শো-গুলোর মধ্যে মাস্টারশেফ অন্যতম। বিশ্বের প্রায় ৪০টি দেশ তাদের নিজস্ব মাস্টারশেফ আয়োজন করে থাকে। বিশ্বে মাস্টারশেফ অনুষ্ঠানগুলোর মধ্যে ‘মাস্টারশেফ অস্ট্রেলিয়া’জনপ্রিয়তার দিক থেকে রয়েছে তালিকার শীর্ষে। এটি প্রতিযোগিতামূলক রান্নার গেম শো।

হৃদরোগের ঝুঁকি কমাতে চান?



লাইফস্টাইল ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

অনিয়ন্ত্রিত জীবনধারা, অস্বাস্থ্যকর খাওয়াদাওয়া এবং শরীরচর্চার অভাবের জেরে বেশির ভাগ মানুষেরই হার্টের স্বাস্থ্য খারাপ হচ্ছে। উচ্চ রক্তচাপ, রক্তে ‘খারাপ’ কোলেস্টেরল— এ সব যেন মানুষের নিত্যসঙ্গী। তবে রক্তের বিভিন্ন উপাদানের মাত্রা যদি বিপৎসীমার ওপর দিয়ে যায়, তাহলে ওষুধ তো খেতেই হবে। সঙ্গে পছন্দের প্রায় সব খাবারেই নিষেধাজ্ঞা জারি হয়ে যাবে। তবে পুষ্টিবিদেরা বলছেন, রোজকার খাবারে কিছু পরিবর্তন আনলেই পরিস্থিতি হাতের বাইরে চলে যাওয়ার আগেই হার্টের যাবতীয় সমস্যা নিয়ন্ত্রণে রাখতে পারবেন।

খাসির বদলে মুরগি

বিরিয়ানি হোক বা পোলাও সঙ্গে মাংসের কোনও পদ ছাড়া জমে না। অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষকেরা বলছেন, এই ধরনের ‘লাল’ মাংস খেলে হৃদরোগে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা ৯ শতাংশ বৃদ্ধি পায়। তাই খাসির বদলে মুরগির মাংস খাওয়া তুলনায় স্বাস্থ্যকর।

ভাজার বদলে বেক

অনেক চেষ্টা করেও ভাজাভুজি খাবারের লোভ সামলাতে পারছেন না। এই অভ্যাসের ফলেই কিন্তু অজান্তেই বেশির ভাগ মানুষের হৃদরোগে আক্রান্ত হওয়ার প্রবণতা বেড়ে চলেছে। পুষ্টিবিদেরা বলছেন, ভাজার বদলে যদি বেকড খাবার খাওয়ার অভ্যাস করা যায়, তবে এই সমস্যা অনেকটাই ঠেকিয়ে রাখা যেতে পারে।

পাউরুটিতে মাখনের বদলে ডিম

সকালের খাবারে পাউরুটি খান অনেকেই। কিন্তু পুষ্টিবিদেরা বলছেন, পাউরুটির ওপর মাখন দেওয়ার অভ্যাস ছাড়তে হবে। শুধু পাউরুটি খেতে যদি সমস্যা হয়, তবে ডিম ফেটিয়ে তার মধ্যে পাউরুটি ডুবিয়ে, তা বেক করে নিন। স্বাদ এবং স্বাস্থ্য দুই-ই থাকবে।

আইসক্রিমের বদলে ইয়োগার্ট

মন খারাপ হলে মাঝে মধ্যেই আইসক্রিম খেয়ে ফেলেন। তৎক্ষণাৎ মন ভাল করতে এই টোটকা সত্যিই কার্যকর। কিন্তু সমস্যা হল আইসক্রিম খাওয়ার অভ্যাসে রক্তে বাড়তে থাকা কোলেস্টেরল। পরবর্তীকালে যা হৃদরোগের কারণ হয়ে দাঁড়ায়।

নরম পানীয়ে বদলে ফলের রস

গরমে তেষ্টা মেটাতে বার বার ঠান্ডা পানীয়ে চুমুক দিচ্ছেন। কিন্তু এই পানীয়ে থাকা কৃত্রিম শর্করা যে হৃদযন্ত্রের ক্ষতি করছে, টের পেয়েছেন কী? পুষ্টিবিদেরা বলছেন, এই তেষ্টা মেটাতে এবং স্বাস্থ্যের খেয়াল রাখতে নরম পানীয় না খেয়ে ফল থেকে তৈরি রস খেতে পারেন।

;

জাম খেতে হবে নিয়ম মেনে



লাইফস্টাইল ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

চলছে মধুমাস। বাজারে ফলের অভাব নেই। তবে গরমে জামের কদর খানিকটা বেশি। জামে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে পুষ্টিগুণ। পটাশিয়াম, ফসফরাস, ক্যালশিয়াম, সোডিয়াম, ম্যাগনেশিয়াম সমৃদ্ধ জাম শরীরের অনেক সমস্যার সমাধান করে।

তবে সেসব সুফলগুলো পেতে হলে জাম খাওয়ার সময় এবং পরে মেনে চলতে হবে কয়েকটি নিয়ম। সেগুলো জেনে নিন-

১. ফল খাওয়ার পর এমনিতেই পানি পানে বারণ করা হয়। তেষ্টা পেলেও জাম খেয়ে কখনও পানি পান করবেন না। নইলে ডায়েরিয়া ও বদহজমের মতো সমস্যা হতে পারে। জাম খাওয়ার অন্তত আধা ঘণ্টা পরে পানি পান করুন।

২. খালি পেটে জাম না খাওয়ায় ভালো। এতে বদহজম, অম্বল হয়ে যাওয়ার আশঙ্কা থাকে।

৩. জাম খাওয়ার পর দুধ, পনির, দইয়ের মতো দুগ্ধজাত খাবার এড়িয়ে চলুন।

৪. জাম এবং হলুদ খুবই মারাত্মক জুড়ি। এই দুটো জিনিস কখনও একসঙ্গে খাবেন না। জাম খাওয়ার পর তাই হলুদ দিয়ে তৈরি কোনও খাবার না খাওয়াই ভাল।

৫. জাম খাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে আচারজাতীয় কোনও খাবার না খাওয়াই ভালো।

;

যে ৩ উপায় দূর হতে পারে ব্রণের দাগ



লাইফস্টাইল ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

নির্দিষ্ট একটি বয়সে বেশির ভাগ ছেলেমেয়ের মুখে ব্রণর সমস্যা দেখা যায়। বিশেষ করে যাদের ত্বক তৈলাক্ত, ব্রণের সমস্যা যেন আরও জাঁকিয়ে বসে। অনেক চেষ্টা করার পর ব্রণ দূর হলেও সমস্যা যে একবারে মিটে গেল, তা কিন্তু একেবারেই নয়। ব্রণের জন্য যে দাগ রয়ে যায়, তা মুখের সৌন্দর্য নষ্ট করে। ব্রণের দাগ সহজে যেতে চায় না। এই দাগ ম্লান হতে কয়েক মাস, কখনও আবার কয়েক বছরও লেগে যায়। অনেক চেষ্টা করেও পুরোপুরি চলে যায়নি, এমন উদাহরণও রয়েছে।

চিকিৎসকেরা বলছেন, ব্রণ কমে গেলেও অনেকের মুখে দাগছোপ থেকে যায়। যেটি আসলে ‘হাইপারপিগমেন্টেশন’ নামে পরিচিত। ব্রণর থেকেও এই দাগগুলি বেশি চিন্তিত থাকেন অনেকে। একটা ভয়ও কাজ করে মনের মধ্যে— আদৌ ত্বক আবার আগের মতো হবে তো? এই ধরনের দাগ দূর করতে বাজারে অনেক প্রসাধনী পাওয়া যায়। সবগুলি যে ফলদায়ক হবে, এমন নয়। কিছু ক্ষেত্রে তা খরচসাপেক্ষও বটে। তবে বিশেষজ্ঞরা বলছেন, নিয়মিত ত্বকের যত্ন নিলে এই সমস্যা অনেকটাই দূর করা সম্ভব।

নিয়মিত ত্বকের যত্ন

ব্রণ কমে গিয়েছে মানেই ত্বকের পরিচর্যায় ইতি টানলে চলবে না। ব্রণ কমে যাওয়ার পর ত্বকের যত্ন নিয়ে যেতে হবে নিয়ম করে। বিশেষ করে করা ‘সিটিএম’ অর্থাৎ ক্লিনজ়িং, টোনিং এবং ময়েশ্চারাইজ়িং বন্ধ করলে চলবে না।

রোদ থেকে ত্বকের সুরক্ষা

দাগছোপ যুক্ত মুখে রোদ লাগলে তা দূর করা আরও সমস্যার হয়ে যায়। তাই রোদে বেরোনোর আগে অবশ্যই সানস্ক্রিন মাখার অভ্যাস করতে হবে। বাড়িতে থাকলেও ‘এসপিএফ-৩০’ যুক্ত সানস্ক্রিন ব্যবহার করার পরামর্শ দিচ্ছেন বিশেষজ্ঞরা।

নিয়মিত এক্সফোলিয়েট করা

স্ক্রাব করার ফলে ত্বকের মৃত কোষ দূর হয়। রোমকূপে জমে থাকা ময়লা বাইরে বেরিয়ে যায়। দাগছোপ তৈরি হওয়ারও অবকাশ কমে। এ ক্ষেত্রে ‘আলফা হাইড্রক্সি অ্যাসিড’ বা ‘বিটা হাইড্রক্সি অ্যাসিড’ যুক্ত এক্সফোলিয়েট ব্যবহার করার পরামর্শ দিচ্ছেন বিশেষজ্ঞেরা।

;

রক্তে ইউরিক অ্যাসিডের মাত্রা কমবে যে ৫ খাবার খেলে



লাইফস্টাইল ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

সকালে ঘুম থেকে উঠেই পায়ের আঙুলে ব্যথা বা হাতের আঙুল ভাঁজ করতে না পারা, হাত বা পায়ের অস্থিসন্ধিগুলি ফুলে থাকা যে ইউরিক অ্যাসিডের লক্ষণ, এ কথা অনেকেই জানেন। কারণ রক্তচাপ, ডায়াবেটিসের মতো ইউরিক অ্যাসিডের সমস্যা এখন জীবনধারা-নির্ভর রোগের মধ্যে পড়ে। ইউরিক অ্যাসিডের মাত্রা বেড়ে গেলে তাই চিকিৎসকের কাছে যাওয়ার আগেই খাওয়ার তালিকা থেকে টমেটো, ঢ্যাঁড়শ, মুসুর ডাল বাদ দিয়ে দেন অনেকে। পুষ্টিবিদদের মতে, বেশ কয়েক বছর আগেও ইউরিক অ্যাসিড বাড়লে নানা খাবারে নিষেধাজ্ঞা ছিল। কিন্তু এখন নির্দিষ্ট কিছু খাবার ছাড়া, নিয়ন্ত্রিত পরিমাণে সবই খাওয়া যায়। তবে খেয়াল রাখতে হয় ওজন যেন নিয়ন্ত্রণে থাকে। ইউরিক অ্যাসিড হলে কী কী খাওয়া বারণ, তা প্রায় সকলেই জানেন। কিন্তু কোন কোন খাবার বেশি করে খেলে ইউরিক অ্যাসিড নিয়ন্ত্রণে থাকবে, তা কি জানেন?

ভিটামিন সি

গবেষণায় দেখা গিয়েছে ভিটামিন সি, ইউরিক অ্যাসিডের মাত্রা নিয়ন্ত্রণ করতে পারে। শুধু লেবু বা সাইট্রাসজাতীয় ফল নয়, চেরি, স্ট্রবেরি বা টকজাতীয় যে কোনও ফলেই অল্প হলেও ভিটামিন সি থাকে। তাই প্রতিদিন সামান্য হলেও টক ফল খাওয়া উচিত।

‘লো ফ্যাট’ দুধ

খেতে ভাল লাগলেও ‘ফুল ক্রিম’ বা ‘ফুল ফ্যাট’ যুক্ত দুধ এবং সেই দুধ দিয়ে বানানো খাবার এড়িয়ে চলা উচিত। বদলে প্রতি দিন ‘ডবল টোনড’ বা ‘স্কিমড’ দুধ থেকে বাড়িতে পাতা দই খেতে পারেন। বানাতে পারেন ঘোল, পনিরও।

ওমেগা ৩ ফ্যাটি অ্যাসিড

হার্টের স্বাস্থ্যের জন্য সামুদ্রিক মাছে থাকা ওমেগা ৩ ফ্যাটি অ্যাসিড ভাল। কিন্তু এই ফ্যাটি অ্যাসিডের পাশাপাশি সামুদ্রিক মাছে ক্ষতিকারক ‘পিউরিন’ নামক একটি যৌগ থাকে, যা ইউরিক অ্যাসিডের পরিমাণ বাড়িয়ে তোলে। তাই সার্ডিন, ট্রাউট বা টুনার মতো সামুদ্রিক মাছ না খেয়ে পমফ্রেট বা ইলিশের উপর ভরসা করতেই পারেন।

ফাইবারযুক্ত খাবার

ফাইবার জাতীয় খাবার বেশি করে খান। কুমড়া, ব্রকোলি, ওটস বা দানাশস্য— সবতেই ফাইবারের পরিমাণ বেশি। এই সব খাবারে থাকা ডায়েটারি ফাইবার ইউরিক অ্যাসিডের উৎপাদন কমিয়ে দিতে পারে।

উদ্ভিজ্জ প্রোটিন

শরীর সুস্থ রাখতে প্রতিদিন খাবারে প্রোটিন রাখতেই হবে। এদিকে প্রাণিজ প্রোটিন বেশি খেলে ইউরিক অ্যাসিডের পরিমাণ বেড়ে যাবে। এমন পরিস্থিতিতে উদ্ভিদই ভরসা। শাকসবজি খাওয়ার পাশাপাশি নানা রকম দানা, ডাল, মাশরুম খাবারের তালিকায় যোগ করতে পারেন।

;