ড. ইউনুসের গ্রেফতারি পরোয়ানা হাইকোর্টে স্থগিত
গ্রামীণ ব্যাংকের সাবেক চেয়ারম্যান ও নোবেল বিজয়ী অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূসের বিরুদ্ধে করা তিন মামলার কার্যক্রম স্থগিত করেছেন হাইকোর্ট। মামলা স্থগিত হওয়ায় এসব মামলার গ্রেফতারি পরোয়ানাও স্থগিত থাকছে বলে জানিয়েছেন আইনজীবী।
সোমবার (২৪ অক্টোবর) মামলা বাতিল চেয়ে করা আবেদনের প্রাথমিক শুনানি শেষে বিচারপতি মোহাম্মাদ আব্দুল হাফিজ ও বিচারপতি আহমেদ সোহেল সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্টের দ্বৈত বেঞ্চ এ আদেশ দেন।
আদালতে ড. ইউনূসের পক্ষে শুনানি করেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী ব্যারিস্টার রোকন উদ্দিন মাহমুদ।
জানা গেছে, ড. মুহাম্মদ ইউনূসের গ্রামীণ কমিউনিকেশন্সে কিছু শ্রমিক ট্রেড ইউনিয়ন করতে চাইলে তাতে বাধা দিয়ে তাদের চাকরিচ্যুত করা হয়। এ ঘটনায় ক্ষতিগ্রস্ত তিন শ্রমিক ড. ইউনূসসহ প্রতিষ্ঠানটির ব্যবস্থাপনা পরিচালক নাজনীন সুলতানা ও উপ-মহাব্যবস্থাপক খন্দকার আবু আবেদীনকে বিবাদী করে মামলা করেন। মামলায় আসামিদের উপস্থিতির দিন ধার্য ছিল গত ৯ অক্টোবর। অপর দুই আসামি নাজনীন সুলতানা ও খন্দকার আবু আবেদীন উপস্থিত থাকলেও বিদেশে অবস্থান করায় ড. ইউনূস উপস্থিত ছিলেন না। এ কারণে ঢাকার তৃতীয় শ্রম আদালতের চেয়ারম্যান রহিবুল ইসলাম তার বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেন।
গত ৯ অক্টোবর ড. মুহাম্মদ ইউনূসের পক্ষে তার আইনজীবী রাজু আহম্মেদ আদালতে শুনানি করেন। তিনি বলেন, যেহেতু বর্তমানে তিনি (ড. মুহাম্মদ ইউনূস) ব্যবসার কাজে বিদেশ অবস্থান করছেন, তাই তার পক্ষে আদালতে উপস্থিত হওয়া সম্ভব ছিল না। তিনি দেশে এলে আদালতে উপস্থিত হবেন। তাই ড. ইউনূসের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি না করার জন্য তিনি আবেদন করেন।
গত ৩ জুলাই ঢাকার তৃতীয় শ্রম আদালতে ড. মুহাম্মদ ইউনূসসহ তিনজনের বিরুদ্ধে মামলাটি দায়ের করেন গ্রামীণ কমিউনিকেশন্সের সদ্য চাকরিচ্যুত তিন কর্মচারী ও প্রস্তাবিত গ্রামীণ কমিউনিকেশন্স শ্রমিক কর্মচারী ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক আব্দুস সালাম, একই সংগঠনের প্রচার সম্পাদক শাহ আলম ও সংগঠনটির সদস্য এমরানুল হক।